Tag: Sc rules

Sc rules

  • Supreme Court: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের ওপর চাপানো যায় না।মঙ্গলবার এই মর্মে রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। বিচারপতি (Justice) এএস নজিরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, কেউ মন্ত্রী কিংবা জনপ্রতিনিধি বলেই তাঁর বাক স্বাধীনতা খর্ব করা বা বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় না। আদালত এও জানিয়েছে, সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বাক স্বাধীনতা দেশের সব নাগরিকের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।

    মামলার নেপথ্যে…

    প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের তৎকালীন মন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা আজম খান বুলন্দ শহর গণধর্ষণ মামলাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও সমাজবাদী পার্টিকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে বলে বিবৃতি দেন। তার পরেই দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ এবং বিধায়কদের মতো উচ্চ সরকারি অধিকর্তাদের বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারের সীমা সংক্রান্ত আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) যে সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে, তার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি এএস নাজির। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন, বিচারপতি বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রহ্মনিয়ম এবং বিচারপতি নাগরত্না। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই মোদি সরকারের পুরানো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের ওই সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় বিষয়ে একজন মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি সরকারের সুরক্ষার স্বার্থে হলেও সরকারের দায়িত্ব আছে, এ কথা মাথায় রেখে সেই বিবৃতির জন্য সরকারকে দায়ী করা যায় না। একই সঙ্গে আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, ১৯ নম্বর ধারা বা মত প্রকাশের অধিকার এবং ২১ নম্বর ধারা বা জীবনের অধিকার ভঙ্গ হলে কোনও নাগরিক আদালতের শরণাপন্ন হতেই পারেন। তবে কোনও মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি নাগরিকের অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। কিন্তু যদি এটা কোনও সরকারি আধিকারিকের অপরাধ হয়, তবে তার বিরুদ্ধে আদালতের কাছে প্রতিকার চাওয়া যেতে পারে।

    এদিকে, বিচারপতি নাগরত্ন পৃথক রায়ে জানিয়েছেন, যে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অধিকার। এই অধিকারের দৌলতে নাগরিকরা শাসন সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত ও শিক্ষিত হন। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬ সালে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মামলায়ও ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share