Tag: SC

SC

  • Arvind Kejriwal: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    Arvind Kejriwal: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Policy Case) অবশেষে গ্রেফতার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এই মামলায় ৯ বার ইডি-র সমন এড়িয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তাও শেষরক্ষা হলো না। বৃহস্পতিবারই এই মামলায় কেজরিওয়ালকে কোনও প্রকার রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করে দিল্লি হাইকোর্ট। এর পরই, এদিন সন্ধ্যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দলটিতে রয়েছেন ১২ জন আধিকারিক। জানা যায়, একেবারে, ওয়ারেন্ট নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। রাত ৯টা নাগাদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর মোবাইল ফোন।

    আবগারি নীতি মামলায় গ্রেফতার (Arvind Kejriwal)

    আবগারি নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির কয়েকজন নেতাকে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন (Arvind Kejriwal) দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহও। চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয় বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে। এবার গ্রেফতার হলেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে, এই মামলায় ইডি ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। নানা অজুহাতে প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।

    রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করে হাইকোর্ট

    ইডি যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করে, সেই আর্জি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এদিন আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেন, “ইডি নিশ্চয়তা দিক যে তাদের সমনে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ (Liquor Policy Case) করা হবে না।” কিন্তু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি ধোপে টেকেনি। মেলেনি রক্ষাকবচ। তার পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে হাজির হয় ইডি। ঘণ্টাদুয়েক তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, তার আগে, শেষ মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন কেজরিওয়াল। গ্রেফতারি আসন্ন বুঝতে পেরে শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। আর্জি জানিয়েছিলেন জরুরিভিত্তিতে শুনানির। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মধ্যরাতে শুনানি হবে না এই মামলার। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি না হওয়ায় রাতেই গ্রেফতার করা হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। 

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বাসভবন চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আপ কর্মী, সমর্থকেরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আশপাশে জারি করা হয়েছে ১১৪ ধারা। শুক্রবার পিএমএলএ আদালতে হাজির করানো হবে আপ প্রধানকে। দেশের ইতিহাসে কেজরিওয়ালই (Arvind Kejriwal) প্রথম, যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হলেন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফাতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি (Liquor Policy Case)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Baba Ramdev: বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় রামদেবকে তলব সুপ্রিম কোর্টের

    Baba Ramdev: বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় রামদেবকে তলব সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগগুরু বাবা রামদেবকে (Baba Ramdev) তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত মামলায় রামদেবের পাশাপাশি ডেকে পাঠানো হয়েছে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণকেও। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমান্নুলার বেঞ্চ রামদেব ও বালকৃষ্ণকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন।

    পতঞ্জলির কৈফিয়ত তলব (Baba Ramdev)

    প্রসঙ্গত, আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির কৈফিয়ত তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পাঠানো নোটিশের কোনও উত্তর না দেওয়ায় এদিন রামদেব ও তাঁর সহযোগীকে তলব করে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “এখনও কেন নোটিশের উত্তর দেননি? আমরা সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে বলছি পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে উপস্থিত থাকতে।”

    আদালতে আইএমসি

    রামদেবের (Baba Ramdev) বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ও চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমজনতাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। গত নভেম্বরে কোভিড-১৯ এর টিকা নিয়েও মিথ্যে প্রচার করেছিল পতঞ্জলি। কোভিড প্রতিরোধী না হওয়া সত্ত্বেও শুধু ‘করোনিল’ কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকারও বেশি মুনাফা লুটেছে পতঞ্জলি।

    আরও পড়ুুন: গ্যাস, জ্বালানির পর এবার ডালের দাম কমাতেও উদ্যোগী মোদি সরকার

    মামলাটির প্রথম শুনানির সময় পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যে বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে জরিমানার মুখে পড়তে হবে পতঞ্জলিকে। প্রতিটি সামগ্রীর জন্য তাদের জরিমানা করা হতে পারে ১ কোটি টাকা করে। আদালত পতঞ্জলিকে তাদের ওষুধের বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখার নির্দেশও দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা যেন ওই ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখে।

    ২০২০ সালের ২৩ জুন প্রথম ‘করোনিল’ বাজারে আনে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। ‘করোনিল’ ও ‘শ্বাসারি বটি’ নামে দু’ধরনের ট্যাবলেট ও অণু তৈল নামের একটি তেল নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম ছিল ৫৪৫ টাকা। তারপর থেকে গত বছর ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার ‘করোনিল’ কিট বিক্রি করেছে পতঞ্জলি। এদিন রামদেব (Baba Ramdev) ও বালকৃষ্ণকে ভর্ৎসনা করে আদালত। পতঞ্জলির তরফে কেন সাড়া দেওয়া হয়নি প্রশ্ন তুলে আদালত বলেছে, এর ফল ভোগ করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Electoral Bonds Case: পাঁচ বছর কত নির্বাচনী বন্ড, হলফনামা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল এসবিআই

    Electoral Bonds Case: পাঁচ বছর কত নির্বাচনী বন্ড, হলফনামা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল এসবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds Case) প্রকল্প বাতিল করেছিল উনিশের এপ্রিল মাসে। সেই থেকে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে ২২ হাজার ২১৭টি। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে একথা জানাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।

    এসবিআইয়ের হলফনামা

    এদিন হলফনামা দিয়ে এসবিআই জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে ২২ হাজার ২১৭টি। এর মধ্যে ২২ হাজার ৩০টি বন্ড ক্যাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাকি ১৮৭টি বন্ড জমা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিলে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী বন্ড পাওয়ার পক্ষকালের মধ্যে সেটি ভাঙানো না হলে বন্ডের (Electoral Bonds Case) অর্থ জমা হয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।

    পেনড্রাইভ

    আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, একটি পেনড্রাইভে করে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্যাবলী জমা দেওয়া হয়েছে। দুটি পিডিএফ ফাইলে করে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। স্টেট ব্যাঙ্ক এও জানিয়েছে, সঠিক পাসওয়ার্ড ছাড়া ফাইলগুলি খোলা যবে না।

    হলফনামায় এসবিআই জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে ১২ মার্চ ব্যবসায়িক সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বন্ড সম্পর্কিত বিশদ তথ্য তারা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। প্রতিটি বন্ড কেনার তারিখ, ক্রেতার নাম এবং বন্ডের মূল্য-সহ বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: অরুণাচল সীমান্তে নয়া সড়কপথের পরিকল্পনা, ভারতের প্রয়াসে ভয় পাচ্ছে চিন?

    গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বন্ডের মাধ্যমেই এতদিন রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতেন বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার মালিক ও বড় বড় শিল্পপতিরা। সে সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা হত। এটি দেশের সংবিধানের পরিপন্থী বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে এসবিআইয়ের দেওয়া তথ্য প্রকাশিত হওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (Electoral Bonds Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: প্রিভিলেজ কমিটির তলব রাজ্যের ৫ কর্তাকে, স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sandeshkhali Incident: প্রিভিলেজ কমিটির তলব রাজ্যের ৫ কর্তাকে, স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে তলব করেছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি (প্রিভিলেজ কমিটি)। তার বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যসচিব। সোমবার তাতে স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন বিষয়টিতে আইনজীবী কপিল সিব্বাল দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের। একই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও। তার পরেই স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে হামলা হয় বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওপর। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি জানিয়ে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটিকে চিঠি দেন সুকান্ত। চিঠি দেন লোকসভার স্পিকারকেও। তাঁর অভিযোগ, সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় অন্যায়ভাবে তাঁকে হেনস্থা করেছে পুলিশ।  

    স্বাধিকার রক্ষা কমিটির তলব 

    তার পরেই লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি মুখ্য সচিব ছাড়াও তলব করে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং বসিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁদের কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়। তার আগেই সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব।

    রাজ্য প্রশাসনের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তাই এখনই তাঁদের পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দিন পিছনোর আর্জিও জানানো হয় রাজ্যের তরফে। এর পাশাপাশি সংসদীয় কমিটির নোটিশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জও করে নবান্ন।

    আরও পড়ুুন: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে মিটিংয়ের নামে মহিলাদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত বলে অভিযোগ। প্রথমে কিছুক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হলেও, পরে বাছাই করা কয়েকজন মহিলাকে পার্টি অফিসে কিংবা এলাকার একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হত। এই প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। সেই নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াতেই সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! দেশের শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর আর্জি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের শুনানি পর্বের রিপোর্ট প্রকাশের ওপর জারি করা হোক নিষেধাজ্ঞা। অভিষেকের এই আবেদনই শুক্রবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

    কী বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার? তদন্তে নাম জড়ায় অভিষেকের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সম্প্রতি একটি মুখবন্ধ খামে পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় ইডি। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “সম্পত্তির পরিমাণ কম হলে কি এত নথি জমা পড়ত? এসব সম্পত্তির জন্য আয়ের উৎস কী তা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে?” বিচারপতি সিনহা এও বলেছিলেন, “দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ সম্পত্তিই হয়েছে ২০১৪ সালের পর। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারি। এই ব্যপারটা কি তদন্ত করে দেখা হয়েছে?”

    অভিষেকের আবেদন

    বিচারপতি সিনহার সেই পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। তৃণমূল নেতার আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, “এই ধরনের পর্যবেক্ষণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় সম্মানহানি হচ্ছে তাঁর মক্কেলের (Abhishek Banerjee)।” কলকাতা হাইকোর্টের যে বেঞ্চে বর্তমানে মামলাটি রয়েছে, সেখানে থেকে মামলাটি সরানোর আর্জিও জানানো হয়। অভিষেকের সেই আর্জিও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মন্তব্য, “যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের আপত্তি জানাতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র বিস্তারিত নথি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এই সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ এবং সংস্থার লেনদেন, গ্রাহক কারা, সিইওর সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য, সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • PM Modi: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানালেন মোদি-শাহ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানালেন মোদি-শাহ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”। সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে আমাদের ভাইবোনেদের আশা-আকাঙ্খা, সমৃদ্ধি এবং ঐক্যের প্রতিধ্বনি এই রায়।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, সেই সিদ্ধান্ত উনিশের ৫ অগাস্ট নিয়েছিল দেশের সংসদ। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে আমাদের ভাইবোনেদের আশা-আকাঙ্খা, সমৃদ্ধি এবং ঐক্যের প্রতিধ্বনি এই রায়। আমরা ভারতীয়রা, যে ঐক্যকে ভালবাসে এবং সবকিছুর ওপরে গুরুত্ব দেয়, এই ভাবনাকে তার গভীর জ্ঞান দিয়ে মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত।”

    প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, “জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের প্রাণোচ্ছ্বল বাসিন্দাদের আমি এই বলে আশ্বস্ত করছি যে, আপনাদের স্বপ্নপূরণের যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম, তা পূরণের কাজ চলছে। উন্নতির সুফল যে কেবল আপনাদের হাতে পৌঁছবে তা নয়, তার লভ্যাংশ ভোগ করবেন সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ। ৩৭০ ধারা আরোপের জেরে যাঁরা এতদিন ধরে দুঃখকষ্ট ভোগ করেছেন, তাঁরাও এর সুফল কুড়োবেন।“ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও লিখেছেন, “শীর্ষ আদালতের এই রায় কেবল একটি বৈধ রায় নয়, এটা একটা আশার আলো, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি এবং আরও শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার দলিল।” 

    রায়কে স্বাগত শাহেরও

    সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেল তিনিও লিখেছেন, “ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে আমি সম্মান করি। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদিজি। তার পর জম্মু-কাশ্মীরে ফিরে এসেছে শান্তি এবং স্বাভাবিকতা। লাগাতার হিংসায় উপত্যকাবাসীর জীবনছন্দের যে তাল কেটে গিয়েছিল, সমৃদ্ধি এবং বিকাশ তাঁদের জীবনে নতুন অর্থ দিয়েছে। পর্যটনে সমৃদ্ধি এবং কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখবাসীর আয় বাড়িয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায় জানিয়ে (PM Modi) দিল, ৩৭০ ধারা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা পুরোপুরি সাংবিধানিক।”

    আরও পড়ুুন: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Consent Case: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    CBI Consent Case: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গ নয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই (CBI Consent Case) তদন্তের জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার পরেও রাজ্যের অনুমতি ছাড়া একের পর এক মামলায় এফআইআর করতে শুরু করে সিবিআই। এর পরেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার।

    সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি

    এদিন শুনানির জন্য মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গবই ও বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চে। কেন্দ্রের হয়ে শুনানি করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, সিবিআই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র একটি সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের করা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল। শীর্ষ আদালতে তিনি জানান, সিবিআইয়ের (CBI Consent Case) তদন্তের ধরন বা এফআইআর করার সিদ্ধান্তে নাক গলায় না কেন্দ্র। তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা যায় না। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল এও জানান, যেসব ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্ত বা এফআইআরের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে রাজ্য সরকার, সেই তদন্ত সিবিআই শুরু করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। তাই রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন কেন হবে?

    ‘সিবিআই আর কেন্দ্রীয় সরকার এক নয়’

    তিনি বলেন, “সিবিআই আর কেন্দ্রীয় সরকার এক নয়। যদি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই মামলা করতে হবে। এই সংস্থার ওপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা।” সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারতীয় সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্যের মতপার্থক্য হলে তবেই অরিজিনাল সিভিল স্যুট দায়ের করা যায়। এ ক্ষেত্রে যেহেতু অভিযোগটা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নয়, তাই এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকাই নেই।”

    আরও পড়ুুন: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসবে ৪ ডিসেম্বর, পেশ হবে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ!

    তাঁর অভিযোগ, সিবিআই পশ্চিমবঙ্গে রেলের জমি থেকে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডসের কয়লা পাচারের তদন্ত শুরু করেছিল। সেই তদন্তে বিশেষ একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার উদ্যোগ নিতেই এই মামলা করেছে রাজ্য সরকার।” বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্তের বিষয়টা বুঝতে পারছি। সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করবে। তবে প্রশাসনিক দিক থেকে সিবিআই কেন্দ্রেরই অধীন। এই মামলার (CBI Consent Case) পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ নভেম্বর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ ওই নোটিশ দেয়। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানতেই সিবিআইকে নোটিশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।  

    অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য

    অনুব্রতর আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, “এই মামলায় জড়িত অনেকেই ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। পাঁচটি চার্জশিট ফাইল হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল একমাত্র জেলে রয়েছেন। ১৪ মাস ধরে জেলে রয়েছেন উনি। এই মামলায় ‘কিংপিন’ জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই অনুব্রতকে জামিন দেওয়া হোক।” গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। উচ্চতর আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত।

    সিবিআইকে নোটিশ আদালতের

    এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বসু জানান, আদালত সিবিআইকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিচ্ছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানা দরকার। তার পরেই বিবেচনা করা হবে জামিনের আবেদন। হাইকোর্টে সিবিআই জানিয়েছিল, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) জামিন দিলে ব্যাহত হতে পারে তদন্ত। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত বছরের পর বছর বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে থেকেছেন। সেই জেলায় চলছে তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়েই গরু পাচারের মতো ঘটনায় যোগ রয়েছে তাঁর।

    গরু পাচার মামলায় গত বছর অগাস্ট মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোল জেলে। পরে এই মামলায়ই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি নিজেদের হেফাজতে তাঁকে রেখে দু’ সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদের পর তিহাড় োজেলেই রয়েছেন অনুব্রত। এখানেই বন্দি রয়েছেন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিও।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত মামলায় কমিশনের বিরুদ্ধে কি রুল জারি করবে আদালত? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

    প্রসঙ্গত, গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের এক চালকল মালিক রবিন টিব্রেওয়ালকে মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন এনামুল হকের ‘হক ইন্ডাস্ট্রি’র সঙ্গে টাকার যে লেনদেন হয়েছে, তার বিস্তারিত হিসেব চেয়েছে সিবিআই। কোনও ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে কিনা, তাও জানাতে (Anubrata Mondal) বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পরেও হয়েছে আর্থিক লেনদেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

    Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের! রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে শীর্ষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। এনআইএ তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জানানো হয়েছিল আর্জি। মে মাসে খারিজ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের সেই আর্জি। এবার খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টের নির্দেশ বাতিলের আর্জিও। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারডিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সোমবার খারিজ করে দেন ওই আর্জি। যার জেরে রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার ঘটনায় এবার তদন্ত করতে পারবে এএনআই।

    এনআইএ তদন্তের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগও ওঠে। এর পরেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ১০ এপ্রিল শুনানির দিন কলকাতা হাইকোর্টে এনআইএ জানিয়েছিল, অশান্তির ঘটনার তদন্ত করতে তারা প্রস্তুত। ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

    মুখ পুড়ল রাজ্যের

    প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্যকে এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএকে হস্তান্তর করতে হবে। তার আগের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, কারা (Ram Navami) এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত এবং কারা উসকানি দিয়েছে, সেটা রাজ্য পুলিশের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত করতে হবে। পুলিশের রিপোর্টেও স্পষ্ট হিংসা হয়েছিল। ছাদ থেকে পাথর কীভাবে ছোড়া হল, ঘটনাস্থলে লাঠি, বাঁশ, অ্যাসিড কোথা থেকে এল, তা জানা দরকার। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেখানেই পুড়ল মুখ। 

    আরও পড়ুুন: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, বিস্ফোরক ব্যবহারের যে অভিযোগ রয়েছে, তা কি অস্বীকার করা যায়?  রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি বলেন, “আদালতকে দেখতে হবে এটা বিস্ফোরক কিনা, কতজন জখম হয়েছে। এগুলি স্মোগ বোমা ছিল। রাজ্যের তদন্তের ওপর আস্থা না রাখাটা দুর্ভাগ্যজনক।” তিনি বলেন, “রামনবমীর শোভাযাত্রার (Ram Navami) সময় চার দিনে ৬টি ঘটনা ঘটেছে। হাইকোর্ট একটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এনআইএ বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৬টি এফআইআর নিয়ে তদন্ত করার কথা বলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Salboni: মন্ত্রীর বাড়ির কাছে সাত বছর ধরে বন্ধ তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাস

    Salboni: মন্ত্রীর বাড়ির কাছে সাত বছর ধরে বন্ধ তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে থাকা জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার প্রসারে বারবার নানা প্রকল্পের কথাও শোনা যায় শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের গলায়। কিন্তু  তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাসের (Salboni) উল্টো দিকেই রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর বাড়ি আর তাঁর বাড়ির সামনেই গত সাতবছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস। তবে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলে চিত্রটা ঠিক কি তাই উঠে এলো সাধারণ মানুষের কণ্ঠে।

    বর্তমান ছাত্রাবাসের অবস্থা

    ১৯৮০ সালে তৈরি হয়েছিল শালবনি উচ্চ বিদ্যালয়ের  তফশিলি জাতি ও উপজাতি সমাজের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ছাত্রাবাস। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠছে। এলাকার মানুষ অভিযোগ করছেন দীর্ঘ সাত বছর ধরে অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই ছাত্রাবাসটি। প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকায় আদিবাসী সমাজের পড়ুয়ারা থেকে-খেয়ে পড়াশুনা করবেন এই উদ্দেশ্যেই তৈরি হয়েছিল এই ছাত্রাবাস। আদিবাসী সমাজের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করে প্রান্তিক এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছানোর একটা বিশেষ মাধ্যম ছিল এই শালবনীর ছাত্রাবাস (Salboni)। স্কুলের গায়েই এই ছাত্রাবাস। পরিকাঠামো থাকলেও কোন সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।

    কেন বন্ধ ছাত্রাবাস?

    বর্তমানে সরকার এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশেষ গাফিলতি রয়েছে এই বন্ধের পিছনে। পড়ুয়া না থাকায় সচল নেই, তাই ছাত্রাবাসে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে আগাছা ঝোপজঙ্গল। বন্ধ ছাত্রাবাসে অসামাজিক কাজকর্ম চলে রাত হলেই, তাই যত্রতত্র পড়ে রয়েছে মদের বোতল। স্থানীয় সুমন মাহাতো বলেন, ছাত্রাবাস (Salboni) বন্ধের জন্য শুধু শিক্ষা দফতরের গাফিলতি নয় রাজ্য সরকারও সঠিক ভূমিকা পালন করছেন না। স্থানীয় কুড়মি সমাজের জেলা সম্পাদক অনিমেষ মাহাতো বলেন, সবটাই ঘটছে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর গাফিলতির জন্য। মন্ত্রী হয়েও তফশিলি জাতি-উপজাতিদের বিষয় নিয়ে কিছু করছেন না বলে বিশেষ অভিযোগও করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটা ভালো স্কুলে তফশিলি সমাজের পড়ুয়ারা যাতে থেকে পড়াশুনা করবেন এটাই এলাকার মানুষ চান কিন্তু আজ সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ।

    স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের ভূমিকা

    ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু শেখর বাগ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই আবাসিকদের অভাবে ধুঁকছিল ছাত্রাবাসটি (Salboni)। এই নিয়ে একাধিক সময় স্কুল শিক্ষা দফতরকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে স্কুলের তরফে। অবশেষে তারা বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দিয়েছেন ছাত্রাবাসটি। জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী গোটা বিষয় নিয়ে বলেছেন, ছাত্রাবাস নিয়ে বিডিও সাহেবকে তথ্য ও রিপোর্ট দিতে বলেছি। তথ্য পেলে কেন বন্ধ জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক। বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রাবাস বন্ধ হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার  তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষেরা। কবে এখন এই ছাত্রাবাস আবার খোলা হয় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share