Tag: SC

SC

  • Supreme Court: বিবাহ বিচ্ছেদের বিশেষ ক্ষেত্রে আর ৬ মাস অপেক্ষা নয়! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বিবাহ বিচ্ছেদের বিশেষ ক্ষেত্রে আর ৬ মাস অপেক্ষা নয়! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ছয় মাস বাধ্যতামূলকভাবে (Six Month Wait Mandatory) অপেক্ষা করতে হবে না। ক্ষেত্রবিশেষে এই নিয়ম বাতিল করাতে মত দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Courts Order On Divorce)। সোমবার ‘বাধ্যতামূলক’ সেই সময়সীমা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে সম্পর্ক তিক্ত, খাদের কিনারায় এসে ঠেকেছে, আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা করা যুক্তিহীন। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, সঞ্জীব খান্না, এএস ওকা, বিক্রম নাথ এবং জেকে মাহেশ্বরীর পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, কোনও ভেঙে যাওয়া বৈবাহিক সম্পর্ক যদি আর কোনও ভাবেই মেরামত করা সম্ভব না হয়, তবেই এই বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করবে আদালত। আদালত এই বিশেষ অবস্থাকে এক কথায় বলছে, ‘পুনরুদ্ধারের অসাধ্য বৈবাহিক সম্পর্ক’। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের এই সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি ধারাটি নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। যেখানে ডিভোর্সের নোটিশ প্রদানের দিন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ছয় মাস অপেক্ষার কথা বলা আছে। ওই সময়ের মধ্যে আদালতও ডিভোর্সের ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে পারে না। 

    আরও পড়ুন: মে মাসের গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকে! কবে থেকে শুরু তাপপ্রবাহ?

    এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ না দিয়েই বিবাহ ভেঙে দেওয়া যেতে পারে। তবে তা পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ-বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র প্রযোজ্য। কোন কোন ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ ছাড়া কোনও গতি নেই বলে বিবেচিত হবে তা আদালত চিহ্নিত করেছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে তার উল্লেখ থাকবে। বিশেষ পরিস্থিতিটির ব্যাখ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের দায়িত্ব কে নেবেন, সম্পত্তির ভাগ কে পাবেন, এ সব কিছু খতিয়ে দেখে আদালতই ঠিক করবে বিবাহবিচ্ছেদের আর্জিটির দ্রুত মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন কিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: আদানিকাণ্ডে কমিটি গড়ল সুপ্রিম কোর্ট, কে কে রয়েছেন জানেন?

    Supreme Court: আদানিকাণ্ডে কমিটি গড়ল সুপ্রিম কোর্ট, কে কে রয়েছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৌতম আদানির (Gautam Adani) সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান কমিটি গড়ল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদানি গোষ্ঠী নিয়ে হিন্ডেনবার্গ (Hindenberg) রিসার্চ রিপোর্টের জেরে যে সমস্যাগুলি তৈরি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ল দেশের শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএম সাপ্রে ছয় সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন ওপি ভাট, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জেপি দেবদত্ত, কেভি কামাথ, নন্দন নিলেকানি এবং সোমশেখর সুদর্শন। আগামী দু মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে ওই কমিটিকে।

    সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)…

    একই সঙ্গে সেবিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, এই ইস্যুতে সেবির নিয়মের ১৯ নম্বর ধারা লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। শেয়ারের দরে কোনও জালিয়াতি হয়েছে কি না, তাও দেখতে হবে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কমিটি গঠনের আবেদন করা হয়েছিল। আদালতের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ ছিল, বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর যথাযথ মূল্যায়ন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া জোরদার করা প্রয়োজন। তাই এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের কমিটির সদস্য করে দেশের বিনিয়োগকারীদের ভরসা জোগাতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ওরা বলছে, মর যা মোদি, দেশ বলছে, মৎ যা মোদি’’, একথা কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সেবি। শীর্ষ আদালত বলেছে, সেবিকে তাদের অনুসন্ধান রিপোর্ট যত দ্রুত সম্ভব আদালত গঠিত কমিটির কাছে পেশ করতে হবে। সেই সঙ্গে আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, সেবির স্বাধিকারে কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না কমিটি। প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসে। তার পর থেকে এনিয়ে হইচই হয় ভারতে। আদানিদের তরফে ওই রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।

    এনিয়ে ৪১৩ পাতার পাল্টা জবাব সামনে আনা হয়। তার পরেও আদানি তাঁর সংস্থার ক্ষতি আটকাতে পারেননি। গত এক মাসে শেয়ার বাজারে তাঁর একাধিক সংস্থার শেয়ারের দর পড়েছে হু হু করে। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন আদানি। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আদানি গ্রুপ স্বাগত জানায়। এটা সঠিক সময়ে তদন্তের মাধ্যমে সত্যিটা সামনে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • Supreme Court: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের ওপর চাপানো যায় না।মঙ্গলবার এই মর্মে রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। বিচারপতি (Justice) এএস নজিরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, কেউ মন্ত্রী কিংবা জনপ্রতিনিধি বলেই তাঁর বাক স্বাধীনতা খর্ব করা বা বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় না। আদালত এও জানিয়েছে, সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বাক স্বাধীনতা দেশের সব নাগরিকের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।

    মামলার নেপথ্যে…

    প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের তৎকালীন মন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা আজম খান বুলন্দ শহর গণধর্ষণ মামলাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও সমাজবাদী পার্টিকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে বলে বিবৃতি দেন। তার পরেই দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ এবং বিধায়কদের মতো উচ্চ সরকারি অধিকর্তাদের বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারের সীমা সংক্রান্ত আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) যে সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে, তার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি এএস নাজির। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন, বিচারপতি বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রহ্মনিয়ম এবং বিচারপতি নাগরত্না। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই মোদি সরকারের পুরানো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের ওই সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় বিষয়ে একজন মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি সরকারের সুরক্ষার স্বার্থে হলেও সরকারের দায়িত্ব আছে, এ কথা মাথায় রেখে সেই বিবৃতির জন্য সরকারকে দায়ী করা যায় না। একই সঙ্গে আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, ১৯ নম্বর ধারা বা মত প্রকাশের অধিকার এবং ২১ নম্বর ধারা বা জীবনের অধিকার ভঙ্গ হলে কোনও নাগরিক আদালতের শরণাপন্ন হতেই পারেন। তবে কোনও মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি নাগরিকের অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। কিন্তু যদি এটা কোনও সরকারি আধিকারিকের অপরাধ হয়, তবে তার বিরুদ্ধে আদালতের কাছে প্রতিকার চাওয়া যেতে পারে।

    এদিকে, বিচারপতি নাগরত্ন পৃথক রায়ে জানিয়েছেন, যে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অধিকার। এই অধিকারের দৌলতে নাগরিকরা শাসন সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত ও শিক্ষিত হন। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬ সালে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মামলায়ও ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি ইস্যুতে অবস্থান জানাতে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি ইস্যুতে অবস্থান জানাতে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিয়ে (Same Sex Marriage) নিয়ে কেন্দ্র ও অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারামানিকে নোটিশ পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত। আজ, শুক্রবার পাঠানো হয় নোটিশ। সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে দুটি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে তাঁদের বিয়ে নিবন্ধীকৃত হোক। এ ব্যাপারেই কেন্দ্র ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিমত জানতে চেয়ে নোটিশ (Notice) পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।

    সময় মাত্র চার সপ্তাহ…

    সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে সমলিঙ্গ বিয়ের (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি চেয়ে করা আবেদনের শুনানি চলছে, ওই বেঞ্চে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলি। কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠানোর আগে তাঁরা প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতোগির কাছে এই আবেদনের নির্যাস শোনেন। তার পরেই পাঠানো হয় নোটিশ। চার সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে কেন্দ্রকে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    সমলিঙ্গ বিয়ের (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে দুটি আবেদন জমা পড়েছিল, তার একটি করেছিলেন জনৈক সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ঢ্যাং। এঁরা হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা। আর দ্বিতীয় আবেদনটি করেছিলেন পার্থ ফিরোজ মেহরোত্রা এবং উদয় রাজ। আবেদনে বলা হয়েছে, সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকৃতি না দিলে সংবিধানের ১৪ ও ২১ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকার এবং জীবনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দেশের শীর্ষ আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারাটি বাতিল বলে ঘোষণা করে। ওই ধারায় সমলিঙ্গ মানুষের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ বলে গণ্য করা হত। ১৮৬৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের চালু করা ওই ধারা ব্রিটেনেই বাতিল হয় তার ঠিক ১০২ বছর পরে। তবে ভারতে তা চালু ছিল। সুপ্রিম কোর্টের যে সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই ধারাটি বাতিল করেছিলেন, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

    দেশের শীর্ষ আদালত ধারাটি বাতিল করলেও, সরকার এখনও এ ব্যাপারে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। সেই কারণেই থমকে রয়েছে সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি। যার জেরে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ঢ্যাংকে। একই কারণে সুপ্রিম কোর্টের শরণ নিতে হয়েছে পার্থ ফিরোজ মেহরোত্রা ও উদয় রাজকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (CEC) ‘ভঙ্গুর ঘাড়ে’র ওপর সংবিধান প্রচুর ক্ষমতা চাপিয়েছে। তাই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে হবে শক্ত চরিত্রের কাউকে। মঙ্গলবার একথা জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এবং তাই প্রয়াত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো একজন কাউকে প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আসীন ছিলেন শেষন। তাঁর আমলে নির্বাচনী নানা সংস্কার হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গই টেনেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    সাংবিধানিক বেঞ্চ…

    পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের মাথায় রয়েছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। এই বেঞ্চেই এদিন শুনানি হচ্ছিল একটি পিটিশনের। এই পিটিশনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কার সাধনের কথা বলা হয়েছিল। জোসেফ ছাড়াও এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমার। পাঁচ বিচারপতির এই সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন ২০০৭ সাল থেকে সমস্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ কমানো হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, আমরা এই প্রবণতা ইউপিএ এবং বর্তমান সরকারের আমলেও লক্ষ্য করেছি।

    এই মামলার শুনানিতে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। আমরা সংসদকে কিছু করতে বলতে পারি না। এবং আমরা তা করবও না। দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের সদস্য নিয়োগে সংসদকেই সংস্কার সাধন করতে হবে। কারণ এর প্রভাব পড়ে নির্বাচন কমিশনের কর্যক্রমে।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    দেশের শীর্ষ আদালতের বলে, এটি নির্বাচন কমিশনারের স্বাধীনতাকেও প্রভাবিত করে। আদালতের প্রশ্ন, ১৯৯১ সালের আইনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কার্যকাল ছিল ছ’ বছর। তাহলে কোন যুক্তিতে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ কমানো হচ্ছে? এর পরেই আদালতে বলে, সংবিধান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের কাঁধে অনেক দায়িত্ব অর্পণ করেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো শক্তশালী চরিত্রের এক ব্যক্তির প্রয়োজন। আদালত বলে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আমাদের যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DY Chandrachud: ‘গণতন্ত্রে  কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি  

    DY Chandrachud: ‘গণতন্ত্রে  কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রে (Democracy) কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়। এমন কী কলেজিয়াম সিস্টেম, যারা বিচারক নিয়োগ করে, তারাও এর বাইরে নয়। শুক্রবার একথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। আজ, শনিবার সংবিধান দিবস (Constitution Day)। এই উপলক্ষে শুক্রবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেশের প্রধান বিচারপতি। সেখানেই তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান হল, যে সিস্টেম রয়েছে, তার মধ্যে থেকে কাজ করাই একমাত্র পথ।

    চন্দ্রচূড় বলেন…

    সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, আমি ভেবেছিলাম, আমি সেরাটাকে সংরক্ষণ করব। এর পরেই তিনি বলেন, গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়। যে পরিকাঠামো রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সৈনিক, যারা সংবিধানকে কার্যকর করব। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা যখন অপূর্ণতার কথা বলি, তখনও আমাদের সমাধান হল, যে সিস্টেম রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই কাজ করা। চন্দ্রচূড় আরও বলেন, কেবল কলেজিয়াম সিস্টেম সংস্কার করলে কিংবা বিচারকদের বেতন বাড়িয়ে দিলেই ভাল এবং যোগ্য মানুষ বেঞ্চে যোগ দেবেন, তা নিশ্চিত হয় না।

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)  বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভাল মানুষের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর পরেই তিনি বলেন, ভাল মানুষদের বিচার ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা, ভাল আইনজীবী তৈরি করেই কলেজিয়াম ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়। টাকা কিংবা বেতন দিয়ে বিচারকের মান নির্ণয় করাও সম্ভব নয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন বিচারককে আপনি যতই বেতন দেন না কেন, তা একজন সফল আইনজীবীর দিনের শেষের উপার্জনের একটা ছোট অংশ হবে। তিনি বলেন, বিচারক হওয়া আসলে বিবেকের ডাক, পাবলিক সার্ভিসের প্রতি দায়বদ্ধতা।

    আরও পড়ুন: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল ভারতীয় সংবিধান। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পরের বছর থেকে ফি বছর এই দিনটিকে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আগে এই দিনটি পালিত হত আইন দিবস হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SC on Juvenile Act: ‘জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট নাবালকদের অপরাধ করতে সাহসী করে তুলছে’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    SC on Juvenile Act: ‘জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট নাবালকদের অপরাধ করতে সাহসী করে তুলছে’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কারের উদ্দেশে যতই নম্রতা দেখানো হচ্ছে, ততই আরও ভয়ঙ্কর অপরাধের দিকে সাহসী হচ্ছে নাবালকরা। পর্যবেক্ষণে জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন কাঠুয়া গণধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শুনানি চলাকালীন এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (SC on Juvenile Act)। কাঠুয়া গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত নাবালককে সাবালক হিসেবে ধরে নিয়ে বিচার হবে বলেও জানায় আদালত। দেশের শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণই প্রশ্ন তুলে দিল, দেশের জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট নিয়ে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন কিনা।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

    এদিন সুপ্রিম কোর্ট (SC on Juvenile Act) জানায়, যেভাবে গত কয়েক বছরে নাবালকদের দ্বারা অনেক অপরাধ ঘটছে এবং এখনও হয়ে চলেছে, তাতে আমরা বিস্মিত হচ্ছি এই ভেবে যে সরকারের উচিত জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার। কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় ২০১৯ সালে ১১ অক্টোবর ধর্ষণে অভিযুক্ত শুভম সাংরাকে নাবালক হিসেবে ধরে আইনি নির্দেশ দেয় জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয় যে, ওই অভিযুক্তকে সাবালক ধরেই আইনি পথে এগোতে হবে। এর পরেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, আমরা দেখছি, সংস্কারের উদ্দেশ্যে যতই নম্রতা দেখানো হচ্ছে, ততই আরও ভয়ঙ্কর অপরাধের দিকে সাহসী হচ্ছে নাবালকরা। বেঞ্চ জানায়, এবার সরকার দেখুক যে ২০১৫ সালের আইনটি কার্যকরী হচ্ছে নাকি অনেকটা দেরি হওয়ার আগে তা নিয়ে ফের আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জম্মুর কাঠুয়ায় গণধর্ষণের শিকার হয় বছর আটেকের এক শিশু। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ছ জনকে। দোষী সাব্যস্তও করা হয়। অভিযুক্ত এক নাবালকের বিচার চলছিল আলাদাভাবে। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশে ওই নাবালককে সাবালক হিসেবে গণ্য করেই চলবে মামলা।  এদিন, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের দেওয়া রায় খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, আমরা কাঠুয়া সিজেএম এবং হাইকোর্টের রায় এক পাশে সরিয়ে রাখছি এবং অপরাধের সময় অভিযুক্ত নাবালক ছিল না হিসেবেই গণ্য করছি।

    আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SC on Lottery Tax: লটারির ওপর প্রাক জিএসটি যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Lottery Tax: লটারির ওপর প্রাক জিএসটি যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্য রাজ্যের লটারির ওপর প্রাক জিএসটি (GST) যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য (State)। এ মর্মে দায়ের হওয়া একটি রিভিউ পিটিশন (Review Petition) খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে দেশের শীর্ষ আদালত (SC on Lottery Tax) কেরল এবং কর্নাটক হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছিল সিকিমের মতো যেসব রাজ্য লটারি রয়েছে, সেগুলির ওপর অন্য রাজ্য কোনও ট্যাক্স বসাতে পারে না।

    সংবিধানে বেটিং এবং জুয়াখেলা…

    এদিন সেই রায়ের ওপর দায়ের হওয়া রিভিউ পিটিশনও খারিজ করল শীর্ষ আদালত। কেরল এবং কর্নাটক দুই রাজ্যের হাইকোর্টই জানিয়ে দিয়েছিল, যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আইনসভার এটা করার কোনও অধিকারই নেই। এতে বলা হয়েছিল, সংবিধানে বেটিং এবং জুয়াখেলা সংক্রান্ত যে আইনের সংস্থান রয়েছে, তাতে লটারিকেও অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই রায়ের ফলে কর্নাটক ট্যাক্স অন লটারিজ অ্যাক্ট ২০০৪ এবং কেরল ট্যাক্স অন পেপার লটারিজ অ্যাক্ট, ২০০৫ বৈধ বলে গণ্য হল। এখন দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এর আগের রায়ে কোনও ভুল ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়নি। সেই কারণেই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে রিভিউ পিটিশন। সিকিম সহ বেশ কিছু রাজ্য লটারি চালায়। এই রাজ্যগুলির লটারির ওপর প্রাক জিএসটি যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য। এই মর্মে দায়ের হওযা রিভিউ পিটিশনই এদিন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, দ্য লটারিজ (রেগুলেশন) আইন ১৯৯৮ অনুযায়ী লটারি ব্যবসার পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ হয় ভারতে। এই আইনে লটারি ব্যবসায় রাজ্যগুলিকেও প্রায় সমান ক্ষমতা দেওয়া আছে। সারা দেশে এখন একটি সংস্থাই লটারির ডিস্টিবিউটর। যদিও আইন অনুযায়ী একাধিক ডিস্ট্রিবিউটর থাকার কথা। সহজ কথায় সারা দেশে একটি ব্র্যান্ড নেমেই বিভিন্ন রাজ্যের লটারি বিক্রি হয়। বাংলায় সব থেকে বেশি বিক্রি হয় নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারি। পাঞ্জাব ও সিকিম রাজ্য লটারিও বিক্রি হয় প্রচলিত ব্র্যান্ড নেমে। ২০২০ সালের পর থেকে নিজস্ব লটারি খেলা বন্ধ করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Demonetisation: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Demonetisation: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত। এটি একটি বড় পরিকল্পনার অংশ। জাল নোট, কালো টাকা (Black Money), কর ফাঁকি এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন রুখতে করা হয়েছিল নোটবন্দি। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানাল কেন্দ্র।

    নোটবন্দি…

    ২০১৬ সালে নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের জেরে বাতিল হয়েছিল দেশের সমস্ত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। নোটবন্দির জেরে এটিএম, ব্যাঙ্কে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হন রাজ্যবাসীর একটা বড় অংশ। সমস্যায় পড়েন বহু সাধারণ মানুষ। এটিএম, ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে অসুস্থতার জেরে কয়েকজনের মৃত্যু হয় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। কালো টাকা উদ্ধারের জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে তখন সাফাই দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রর তরফে। নোটবন্দির (Demonetisation) জেরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরাও। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত দেশের সব চেয়ে বড় অপরাধ বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় ৫৮টি মামলা। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এই মামলাগুলিকে পাঠিয়েছিলেন সাংবিধানিক বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: ‘… আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন একথা, জানেন?

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় সরকার পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার সমস্ত নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার একত্রে শুনানি চলছিল। তাতে নোটবন্দির (Demonetisation) পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অত্যন্ত সচেতনভাবেই। তারা এও জানিয়েছিল, এনিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছিল। নোটবন্দি হওয়ার আগে এ ব্যাপারে নানা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কেন্দ্র জানায়, নোটবন্দির এই সিদ্ধান্ত একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অঙ্গ। জাল নোট, কালো টাকা, কর ফাঁকি এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ মদত রুখতে করা হয়েছিল নোটবন্দি। এদিন যে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে, সেই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এসএ নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপোন্না, ভি রামসুব্রহ্মনিয়ম এবং বিভি নাগারাথনা। ২৪ নভেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajiv Assassination: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    Rajiv Assassination: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Assassination) মামলায় ছয় সাজাপ্রাপ্তকে সপ্তাহখানেক আগে মুক্তির অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে কেন্দ্র (Centre)। সরকারের যুক্তি, সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমার নির্দেশটি শুনানির সুযোগ না দিয়েই পাশ করা হয়েছে। আবেদনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টিতে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। কারণ সাজাপ্রাপ্তরা তাদের মুক্তির আবেদনে কেন্দ্রকে অংশীদার করেনি। তাই মামলায় অংশ নিতে পারেনি কেন্দ্র।

    চলতি বছরের ১১ নভেম্বর নলিনী শ্রীহরণ সহ ছয় সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তির অনুমতি দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তামিলনাড়ুর জেল থেকে ছাড়াও পেয়ে যায় তারা। এরা প্রত্যেকেই রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Assassination) মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তিন দশকের বন্দি জীবনও কাটিয়েছে তারা। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, যে ছজনকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তার মধ্যে চারজনই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগও রয়েছে। এদের মুক্তি দেওয়ার অনুমতি ছিল এমন একটি বিষয় যার আন্তর্জাতিক প্রভাব রয়েছে। এবং সেই কারণে এটি ভারতের সার্বভৌম ক্ষমতার মধ্যে পড়ে।

    রাজীব গান্ধী হত্যা…

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে একটি জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। এলটিটিইর এক আত্মঘাতী মহিলা হামলাকারীর বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান তিনি। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল আরও ১৫ জনের। যে আত্মঘাতী হামলাটি চালিয়েছিল, সে ধনু। রাজীব গান্ধীর পা ছোঁয়ার ভান করে সে নিচু হয়েছিল। তার পরেই ঘটে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় ১৬ জনের। জখমও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন।

    আরও পড়ুন: পথ কুকুরদের খাওয়ালে দত্তক নিতে হবে, বম্বে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাস ছয়েক আগে এই মামলার অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত এজি পেরারিভালানকে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। ১৮ মে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট পেরারিভালানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মুক্তি রাজীব হত্যাকাণ্ডে বাকি সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে। শুক্রবার বেঞ্চ বলেছে, এই একই আদেশ অন্য ছয় অভিযুক্তের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share