Tag: School Bus

School Bus

  • Yellow Colour: সব স্টেশনের বোর্ডে কেন হলুদ রং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Yellow Colour: সব স্টেশনের বোর্ডে কেন হলুদ রং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু ক্ষেত্রে পোস্টার হোক বা কোনও সচেতনতামূলক বোর্ড। সব জায়গাতেই কিছু বিশেষ রঙের ব্যবহার দেখা যায়, যেগুলি মানুষকে আকর্ষণ করে। যেমন সিগন্যালে লাল ও সবুজ রং মানুষকে সচেতন করে। প্রত্যেকটি রং বিশেষ বার্তা এবং মানেও বহন করে। এই বিশেষ কোনও একটি রঙের ব্যবহার নিয়ে আবার অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, কেন সেই জায়গায় শুধু ওই একটি রংই ব্যবহার করা হয়? অন্য রং কেন ব্যবহৃত হয় না? আজ আমরা যে রংটি নিয়ে বিশেষ ভাবে আলোচনা করব, সেটি হল হলুদ (Yellow Colour)। রেল স্টেশনের বোর্ড থেকে শুরু করে স্কুল বাস, সবেতেই কেন হলুদ রং ব্যবহার করা হয়? এর পিছনে কি আছে বিজ্ঞান?

    সব স্টেশনের বোর্ডে কেন হলুদ রং (Yellow Colour) ব্যবহার করা হয়?

    বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর অন্যতম কারণ হল, হলুদ রঙের (Yellow Colour) বোর্ডের ওপর কালো কালিতে লেখা জায়গার নাম সহজেই ট্রেনের ড্রাইভার দূর থেকে বুঝতে পারেন। সামনে কোনও স্টেশনের উপস্থিতি দূর থেকেই তাই জানতে পারেন তাঁরা। এটি অন্য কোনও রঙের দ্বারা সম্ভব নয়। 

    স্কুল বাসগুলিতেও কেন হলুদ রং (Yellow Colour) করা হয়?

    এর পিছনেও আছে বিজ্ঞান। কারণ হলুদ রং (Yellow Colour) বাচ্চাদের মস্তিষ্কে খুব ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। হলুদ রং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। আর নিরাপত্তার দিক থেকে ভাবলে দেখা যায়, আগের কারণটির মতোই হলুদ রং খুব দূর থেকে লক্ষ্য করা যায় এবং তা সহজেই চোখে পড়ে। স্কুল বাসে উপস্থিত বাচ্চাদের পথ দুর্ঘটনা থেকে এড়াতে এই রঙের ব্যবহার করা হয়। এমনকী কুয়াশা থাকেলও সহজেই এই রং ধরা দেয় চোখে। হলুদের পেরিফেরাল দৃষ্টি লাল রঙের চেয়ে দেড় গুণ বেশি। দুর্ঘটনার প্রবণতা কমাতে তাই স্কুল বাসে হলুদ রংই বেশি করা হয়।

    অনেক খাবারের দোকান ও রেস্টুরেন্টের বোর্ড হলুদ (Yellow Colour) ও লাল হয়, কারণ কী?

    এর পিছনে আছে এক মনস্তাত্ত্বিক কারণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লাল রঙের মধ্যে এমন এক গুণ আছে, যা মানুষের খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। আর তার সাথে হলুদ রং (Yellow Colour) মস্তিষ্কের নেতিবাচক প্রভাবগুলিকে বাড়িয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং ভালোলাগার অনুভূতিগুলো জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই অনেক রেস্তোরাঁ কোম্পানি যেমন ডোমিনোজ, ম্যাকডোনাল্ড, বার্গার কিং, পিৎজা হাট, কেএফসি বরাবর এই লাল ও হলুদ রঙের ব্যবহার বেশি করে থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IIT Kharagpur: স্কুলে যাতায়াতের মাধ্যম কী হওয়া উচিৎ? সমীক্ষা চালাল আইআইটি খড়গপুর 

    IIT Kharagpur: স্কুলে যাতায়াতের মাধ্যম কী হওয়া উচিৎ? সমীক্ষা চালাল আইআইটি খড়গপুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইভেট গাড়ির বাড়বড়ন্তে নাজেহাল জনজীবন। চিন্তিত সরকারও। যানজট থেকে পরিবেশ দূষণ এসবেতেই বড় ভূমিকা পালন করে বিপুল সংখ্যক প্রাইভেট গাড়িগুলি (Private Car)। এই পরিস্থিতিতে দূষণ ও জানযট রোধে সকলকে নিজ নিজ গাড়ি না বের করে শেয়ার গাড়ি ব্যবহার করার পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা। 

    সবচেয়ে ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় “শেয়ার্ড” পরিবহন (Shared Vehicle) মাধ্যম হল স্কুল বাস (School Bus)। কলকাতার বুকে এই স্কুল বাসগুলির সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে গত পাঁচ বছর ধরে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছিল আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur)। সম্প্রতি তার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তারা। 

    স্কুল বাসগুলি ঠিক কতটা সুবিধাজনক, পরিবেশের ওপর তার কী প্রভাব, সময় কতটা বাঁচে, নিরাপত্তা, কর্মচারীদের ব্যবহার, সুরক্ষা, অভিভাবকদের কাছে জনপ্রিয়তা এসব কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সেই রিপোর্টে। 

    সব মিলিয়ে স্কুল বাস ব্যবহারের পক্ষেই সওয়াল করেছে ওই প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলকাতার  মতো জনবহুল এলাকায় স্কুল বাস অনেকাংশেই উপযোগী বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। 

    অভিভাবকরা কী চাইছেন সেটা বুঝতে সমীক্ষা (Survey) চালানো হয়। কর্মচারী, স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলে বিশেষজ্ঞদের কমিটি। ১২ হাজার অভিভাবকের সঙ্গে সমীক্ষার বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৭ হাজার প্রশ্নের উত্তর দেন।  

    দুটি পর্যায়ে করা হয় সমীক্ষাটি। প্রথম পর্যায়ে জানতে চাওয়া হয় কী কী পরিবর্তন আনতে হবে যানজট বা পরিবেশ সংক্রান্ত অসুবিধে এড়াতে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে জানতে চাওয়া হয় তাদের পছন্দের পরিবহন মাধ্যম কী এবং তাতে কী পরিবর্তন আনতে হবে?  

    সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, স্কুল বাসের ব্যবহারে ৫-৭% প্রাইভেট কারের ব্যবহার কমবে। প্রাইভেট কারের মালিকাধীন অভিভাবকদেরও খরচ ২-৩% কমবে। এবং যানজট থেকেও অনেকাংশেই মুক্তি পাবে এই শহর। এক্ষেত্রে অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, বাসের ড্রাইভার, কন্ডাক্টর এবং বাস মালিকরা সবাই নির্দিষ্ট নিয়মাবলী বা এসওপি অনুসরণ করার পরামর্শ  দিয়েছেন। যা সব স্কুলের বাসে ক্ষেত্রেই এক থাকবে।  
     
    সব চালক এবং কন্ডাক্টরদের যাবতীয় তথ্য থাকা উচিৎ পুলিশের কাছে, এমনটাই মনে করছেন অভিভাবকরা। প্রতিটি চালকের অন্তত ৫ বছর গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা উচিৎ। সরকারের তরফ থেকে গাড়ির গতির বেঁধে দিতে হবে। প্রতিটি গাড়ির তথ্য রাখবে পুলিশ। অভিভাবকরাও চাইলে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স খতিয়ে দেখতে পারেন বা তার কপিও রাখতে পারেন।

    এছাড়া, ওই রিপোর্টে আরও সুপারিশ করা হয়েছে– অভিভাবকরা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর, চাকার পরিস্থিতিসহ যাবতীয় তথ্য নিজেদের কাছে রাখতে পারেন। সিট বেল্ট না থাকলে সেই বাসে সন্তানকে ছাড়তে আপত্তিও জানাতে পারেন অভিভাবক। মদ্যপান বা গুটখা সেবন করে ড্রাইভার গাড়ি চালাবেন না। পুলিশের সব নির্দেশ মানতে হবে। বাচ্চাদের একা ছাড়া যাবে না। নিয়মাবলীতে এই বিষয়গুলির সুপারিশ করা হয়েছে আইআইটি খড়গপুরের সমীক্ষায়।   

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share