Tag: School Service Commission

School Service Commission

  • SSC Recruitment: আদালতের নির্দেশে ৫৭৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন

    SSC Recruitment: আদালতের নির্দেশে ৫৭৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির (SSC) নিয়োগের তালিকা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বৃহস্পতিবার পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। কোনও নিয়োগের পিছনে দুর্নীতি আছে কি না, তা জানতে ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশের মেধাতালিকা ও সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার আর্জি জানিয়েছিলেন ববিতা সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চও বহাল রাখে সেই নির্দেশ। সেইমতো তালিকা প্রকাশ করা হল। 

    কী কী রয়েছে তালিকায়

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের তালিকায় মোট ৫৭৫৭ জনের নাম ও তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ৫৭৫৭ জনের নাম ছাড়াও স্কুল, জেলা, বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে। প্রসঙ্গত, নিজের চাকরি হারানোর পর তা পুনরায় ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন ববিতা। ববিতার বক্তব্য ছিল, ২০১৬-র পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে এমন কারও চাকরি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, যদি তালিকা প্রকাশ্যে আসলে দুর্নীতি ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন তিনি। তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে মেধাতালিকা ও ওএমআর প্রকাশের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ কি বাড়ানো যায়? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ববিতার আর্জি মঞ্জুর করে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, উত্তরপত্র প্রকাশে বাধা কোথায়? তবে কারও চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, তাঁর বক্তব্য শুনতে হবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরই এই তালিকা প্রকাশ করা হল। প্রসঙ্গত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। এরই মধ্যে এবার সামনে এল ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশের নিয়োগের পূর্ণ তালিকা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

  • Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত অবমাননার মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান (SSC Chairman) সিদ্ধার্থ মজুমদার। ‘ভুল’-এর জন্য হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন তিনি। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের ব্যাখ্যা করতে আমাদের ভুল হয়েছে।’

    যা বললেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান

    নম্বর বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ অমান্য করার জন্য গত ১৭ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আদালতের নির্দেশমতো শুক্রবার হাজিরা দিয়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানান, আদালতের নির্দেশ বুঝতে তাঁদের ‘ভুল’ হয়েছিল। মামলাটি পুরনো বলে গোটা পদ্ধতিতে কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা এসএসসিকে খতিয়ে দেখতে বলে আদালত। পদ্ধতিগত ত্রুটি দূর করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার কাজ কত দূর এগোল, তা আগামী শুক্রবার জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত। সূত্রের খবর, নির্দেশ না থাকলেও ওই দিন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দিতে পারেন এসএসসির চেয়ারম্যান। 

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    ২০১১ সালে উচ্চ প্রাথমিক টেটের পরীক্ষাকে কেন্দ্রে করে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর না দেওয়া সংক্রান্ত একটি মামলা চলছিল হাইকোর্টে। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এসএসসি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে আদালতে জানান সিদ্ধার্থবাবু। এসএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ভিত্তিতে, সবটা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এসএসসি খতিয়ে দেখবে এক্সপার্টদের রিপোর্ট। তারপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দেবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WB School Service Commission: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির আইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে

    WB School Service Commission: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির আইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এবার এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি উঠল। কমিশনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা রুজু হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের দাবি, কমিশনের ১৭ নম্বর ধারা বাতিল করা হোক। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার, এসএসসি (SSC) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ এপ্রিল।

    এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি…

    সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিল হয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের দাবি, ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, এসএসসির সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও আবার ৫৩। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৯৫২ জনের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় (WB School Service Commission) যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান তাঁরা। যদিও তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এঁদের সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে ৯৫২ জনের একাংশ। সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। তার পরেই কমিশন ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে প্রথমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বাতিল করে নিয়োগপত্র।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    কমিশনের (WB School Service Commission) এই ১৭ নম্বর ধারা বাতিলের আবেদন জানিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কমিশনের এই ধারাকে অবৈধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। প্রসঙ্গত, এই ধারায়ই কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া আছে কমিশনকে। যদি কোনও চাকরি প্রার্থীকে দেওয়া সুপারিশপত্রে কোনও ভুল থাকে তবেই কমিশন এই ধারা প্রয়োগ করতে পারে। প্রসঙ্গত, ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে এসএসসি। তাঁদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এসএসসির চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High Court)। আগামী শুক্রবার রিপোর্ট নিয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি। এদিন ২০১১ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ ঘিরে একটি মামলায় কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, “আদালতের সঙ্গে খেলবেন না। আপনারা নিয়োগ করছেন,আবার আপনারাই ভুল প্রশ্ন করছেন? সব পরিকল্পিত। বলতে দ্বিধা নেই, একটা গোটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে কমিশন।”

    কোন মামলায় এমন মন্তব্য বিচারপতির?

    ২০১১ সালের আপার প্রাইমারি প্রার্থীদের পরীক্ষায় ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন করেছিল এসএসসি (SSC)। এমনটাই অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন ৮৩ জন। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court। কিন্তু কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সেই নম্বর না দেওয়ায় এসএসসি-কে চরম ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    আর কী বললেন বিচারপতি?

    এদিন তিনি (Calcutta High Court হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। আপনাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আমি সব নিয়োগে সন্দেহ করছি। আমাকে বাধ্য করবেন না আরও কড়া পদক্ষেপ করতে। আপনারা ভেবেছেন কী? আপনারা কোর্টের নির্দেশের উপরে খবরদারি করছেন! আগেও এই মামলায় আমি বলেছিলাম, দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু আজও দেখছি সেই একই পথে হাঁটছে এসএসসি।”

    ভর্ৎসনার শেষে এদিন আদালত (Calcutta High Court স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানায়, এই মামলায় এসএসসি-র চেয়ারম্যান যে হলফনামা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এরপরেই  আগামী শুক্রবার, ২৪ মার্চ রিপোর্ট নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জের এসএসসি-র গ্রুপ সি (Group C) পরীক্ষাতেও। গ্রুপ সি-তেও ওএমআর শিটের নম্বরে কারচুপি ধরা পড়েছে। প্রাপ্ত নম্বর শূন্য, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭! প্রাপ্ত নম্বর ১, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৪! হাইকোর্টের নির্দেশ ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।  ৩৪৭৮ জনের মধ্য়ে ৩৬২ জনের নম্বরে কোনও রদবদল হয়নি। বাকী ৩১১৬ জনের মধ্যে ৮৬ জনের নম্বর কমে গিয়েছে এসএসসির মূল সার্ভারে। এদের নম্বর গাজিয়াবাদের ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র সার্ভারে বেশি বা কম ছিল। 

    তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি

    এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি করে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ছবি। প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর দেওয়া আছে সেই তালিকায়। পাশে পরপর কলামে লেখা – প্রকাশ হওয়া নম্বর ও আসল নম্বর। তার পাশের কলামে দেখানো হয়েছে, ঠিক কত নম্বরের তফাৎ রয়েছে। 

    এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি (SSC Scam)। এসএসসির মান সম্মান এখন আর কিছু নেই। যে উদ্দেশে এসএসসি তৈরি হয়েছিল, সেটিকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তে এই দুর্নীতি হয়নি। উনি জানতেন না এটা হতে পারে না। আর যদি না জানেন তাহলে অযোগ্য হিসেবে তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত’। এদিকে, গ্রুপ সি-র শূন্য পদে নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এসএসি। খুব শীঘ্রই হবে কাউন্সেলিং। এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করল কমিশন। প্রথম দফায় হবে ৭৮৫ পদে নিয়োগ। ওয়েটিং লিস্ট থেকেই হবে নিয়োগ। কিন্তু ওইসব প্রার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনও অসংগতি থাকলে তাদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে না। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ গ্রুপ সি-র চাকরিচ্যুতরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ৮৪২ জন চাকরিচ্যুত। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।    

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: সাদা খাতা জমা দিয়েও পেল ৫৩! ওএমআর শিট মামলায় রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের

    SSC Scam: সাদা খাতা জমা দিয়েও পেল ৫৩! ওএমআর শিট মামলায় রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশমের নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেই মামলায় আদালতের নির্দেশের পর বেআইনিভাবে সুপারিশ করা ৪০ জনের ওএমআর শিট (omr sheet) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। এসএসসি-এর সাইটে ওএমআর শিট প্রকাশ করতেই বেরিয়ে আসল আসল সত্যিটা। ফাঁকা খাতা জমা দিয়েই পেয়েছে অনেক নম্বর, আবার ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তনেরও অভিযোগ উঠে এসেছে। ফলে ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতির মামলায় বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।

    ওএমআর শিট থেকে কী তথ্য পাওয়া গেল?

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪০ জন প্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে। আর তারপরেই দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্র ফাঁকা। শুধু  রোল নম্বর, ভেনু কোড, বুকলেট সিরিয়াল নম্বর, সাবজেক্ট কোডের জায়গায় গোল করা আছে। গোল করা আছে পরীক্ষার্থী কোন ক্যাটাগরির, কোন জেন্ডার আর কোন মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু অদ্ভূতভাবে উত্তরপত্র পুরোটাই ফাঁকা। কেউ সেখানে কোনও দাগ দেননি।

    ফলে এসএসসি নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) কী ভাবে জালিয়াতি হয়েছিল ওএমআর  শিটে? কারা বদলেছিল নম্বর? এর পিছনে কার হাত রয়েছে? এ সব বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। আর তার বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ১৫০-রও বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি

    প্রসঙ্গত, নবম-দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) প্রথমে ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, যাঁদের নাম বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪০ জনের নামের সঙ্গে ওমএমআর শিটও প্রকাশ করতে হবে। এরপরই উত্তরপত্র প্রকাশ করে এসএসসি। ফলে তারপরেই এমন ধরণের ওএমআর শিটের নমুনা দেখতে পাওয়া যায়।

    এর আগেই সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল যে, একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের নম্বর বদল হয়েছে। এই মামলায় (SSC Scam) ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীর নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে বলে আদালতকে জানায় সিবিআই। এরপরই সেই তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। তদন্তে দুটি মাদার ডিস্ক পেয়েছিল সিবিআই। একটি এসএসসি-র দফতর থেকে পাওয়া যায় ও অপরটি পাওয়া যায় গাজিয়াবাদ থেকে। সেখান থেকেই পাওয়া যায় ওএমআর শিটের তথ্য। সিবিআই তখন জানিয়েছিল, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর আসলে ছিল ৫ বা ৬, সেটাই বাড়িয়ে ৫৩ বা তার বেশি করে দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এরপরেই মন্তব্য করেছিলেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল।’

    সূত্রের খবর, কার নির্দেশে, কারা, কী ভাবে নম্বর বদল করেছে তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই সব বিস্ফোরক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কার নির্দেশে বাংলার শিক্ষায় এমন নৈরাজ্য নেমে এসেছে, তারই উত্তর চাইছে এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ (SSC Scam)।

  • Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ছিল, সাদা উত্তরপত্র জমা দিয়েও ৪৩ নম্বর পেয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী। নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরে ওএমআর শিটে বিকৃতির (OMR sheet Corruption) অভিযোগ ওঠে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও (Recruitment Scam)। শেষমেশ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ‘অযোগ্য শিক্ষকদের’ নামের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার এই নতুন তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। তালিকায় নাম রয়েছে ৪০ জনের। তবে, এবার শুধু তালিকাই নয়। আদালতের নির্দেশে এই ৪০ জনের জমা দেওয়া ফাঁকা ওএমআর শিটও প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। 

    আরও পড়ুন: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী নিয়ে বিতর্ক

    পরীক্ষায় পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)-এর সার্ভারে দেখা যায়, গ্রুপ ডির সেই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩। সিবিআইয়ের পেশ করা নথি নিয়েই মঙ্গলবার সরব হয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানিতেই বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কমিশনের ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কমিশনের ওয়েবসাইটে আরও ৪০ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের তালিকা ও ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়।

    মামলার প্রেক্ষাপট

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেছিলেন লক্ষ্মী টুঙ্গা। এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিটেই এই বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিন বিচারপতি আরও বলেন, ‘যাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে তাঁরা চাইলে মামলাও করতে পারেন। যদি তাঁরা মামলা করতে চান তো আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলা দায়ের করতে পারেন। তাঁদের এই মামলায় যুক্ত করা হবে।

    প্রকাশ্যে তালিকা—

    এর আগে, ১৮৩ জনের নামের তালিকা একইভাবে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশ করেছে কমিশন। এবার আদালতের নিয়ম মেনে ৪০ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)।  

     

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC on SSC)। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হাইকোর্টের নির্দেশ, যাঁরা সুপারিশ পত্র পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগ পত্র দিতে নিষেধ করল আদালত। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পিছু হটল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবেদন প্রত্যাহার

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে (Calcutta HC on SSC) কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের শূন্যপদে নিয়োগ করার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশিকা এসেছে। 

    সম্প্রতি আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বিচারপতি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কমিশনের প্রতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন? কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এরপর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, সেই বিষয়ে আজ জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC on SSC)।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    আদালতে কী জানাল পর্ষদ?

    বিচারপতি কমিশনকে প্রশ্ন করেন (Calcutta HC on SSC), ‘সবাইকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে?’ এর উত্তরে কমিশন জানায়, ‘হ্যাঁ, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে। কর্ম শিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে  ৭৬৬ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে।’ এরপর বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন?’ এর উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কোয়েলি ভট্টাচার্য বলেন,  ‘না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি।’

    আজ আদালতে (Calcutta HC on SSC) মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করার অধিকার রাজ্যের নেই। এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন ‘আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’ এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন যে ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক জমানাতে শিক্ষার অবক্ষয় হয়েছে। একটা সরকার ইংরেজি বন্ধ করে দিয়েছিল, এটা খুব বড় ভুল ছিল।’ আর এই কথাতে সহমত প্রকাশ করে জানালেন বিচারপতি বসু, ‘হ্যাঁ, এটা বড় ভুল।’

    এরপর শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও ৩০ নভেম্বর হবে এই মামলার  পরবর্তী শুনানি হবে জানানো হয়।

  • Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সিবিআই হেফাজতের (CBI Custody) নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। ২১ শে সেপ্টেম্বর অবধি সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ। এদিন এসএসসি দুর্নীতির (SSC Scam) মামলা আদালতে ওঠে। এতদিন ইডির হেফাজতে (ED Scam) ছিলেন পার্থ। এদিন জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Kalyanmay Ganguly) সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, আরও তদন্তের জন্য কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। এটি একটি বড় চক্রান্ত। এদিন আদালতেও একই কথা বলেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। 

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    সিবিআই গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, এসএসসি দুর্নীতির মূল চক্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে ঘাড় থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছেন পার্থ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এসএসসি আলাদা সংস্থা। আমি মন্ত্রী থাকলেও এসএসসির কোনও কাজে আমার নিয়ন্ত্রণ ছিল না।” নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে এদিন বার বার জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু এদিনও জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় সিবিআই- এর বিশেষ আদালত।   

    এদিন আদালতে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পারিবারিক কৌলিন্যের কথাও বিচারকের সামনে তুলে ধরেন পার্থ। তিনি বলেন, “আমি শিক্ষিত, ইকনমিক্সে স্নাতক, এমবিএ। আমার মামার নাম শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এখন আরও এক সংস্থা নতুন করে তদন্ত করতে চাইছে। আমি খুবই অসুস্থ। কে সাহায্য করবে? আপনি আপনার মতো বিচার করবেন। আপনার কাছে বিচারের আশায় আছি।” তিনি আরও বলেন, “ইডি দুমাস ধরে জেলে রেখেছে। এবার সিবিআই হেফাজতে চাইছে। ২৮টি ওষুধ খাই, আমি খুব অসুস্থ, জামিন দেওয়া হোক।” 

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় 

    সিবিআই- এর আইনজীবী আদালতে পাল্টা বলেন, সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, ২০১৬-তে গ্রুপ সি পরীক্ষা হয়। রেজাল্ট বের হয় ২০১৭-তে। কিন্তু ২০১৯-এ নিয়ম না মেনে ৪০০ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে অনৈতিকভাবে। 

    অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, “কোনও এফআইআর-এ আমার মক্কেলের নাম নেই। সিবিআই, ইডি ষড়যন্ত্র করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখতে চাইছে। সিবিআই যখনই ডেকেছে আমার মক্কেল তখনই গেছেন। ইডি গ্রেফতার করার পর ৬০ দিন হয়ে গেছে। ইডি চার্জশিট দিতে না পারলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেয়ে যেতে পারেন, তাই এবার এফআইআর-এ নাম না থাকলেও সিবিআই তাঁকে হেফজতে নিতে চাইছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Partha Chatterjee Aide: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    Partha Chatterjee Aide: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী। আরেক ঘনিষ্ঠ প্রযোজক! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) জেল হাজতে থাকা তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এক ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সঙ্গে ফিল্মি জগতের যোগ সকলেরই জানা। হরিদেবপুর (Haridevpur) ও বেলঘরিয়ায় (Belghoria) অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তিনি রয়েছেন শ্রীঘরে।

    ইতিমধ্যেই, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ২ মিডলম্যানও। একজন হলেন প্রদীপ সিং, অপরজন প্রসন্নকুমার রায় (Prasanna Kumar Roy)। এরমধ্যে সিবিআই সূত্রে দাবি, সম্পর্কে পার্থর ভাগ্নী-জামাই প্রসন্নর সঙ্গেও নাকি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Kolkata Film Industry) যোগসূত্র রয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, একসময় সিনেমা প্রযোজনাও করেছিলেন এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-র ধৃত মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়।

    আরও পড়ুন: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    হেফাজতে প্রসন্নকে যত জেরা করছেন তদন্তকারীরা, ততই যেন তাঁর নিত্য-নতুন সম্পত্তির রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। এমনিতেই, তদন্তে উঠে এসেছে যে, সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে স্রেফ পার্থর ‘প্রসন্নতায়’ বৈভবের চূড়ায় পৌঁছেছেন প্রসন্ন। এবার তাঁর আরও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। 

    সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রসন্নকুমারের একাধিক ফ্ল্যাটের মধ্যে রয়েছে আইডিয়াল ভিলা, হাওড়ার গাদিয়াড়ায় চলন্তিকা রিসর্ট–সহ নানা সম্পত্তি। প্রায় দশ বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছে চলন্তিকা রিসর্ট। হোটেলটি মূলত থ্রি স্টার। আবার টাইলস কারখানার খোঁজ মিলল তাঁর নামে। ২০১৫–১৬ সালে বাগনানে ১২ কোটি টাকা দিয়ে এই টাইলস কারখানা কেনেন। ওই কারখানাটি ৩০ বিঘা জমির উপর তৈরি।

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    সিবিআই সূত্রে খবর, প্রসন্নকে জেরা করে অযোগ্যদের নিয়োগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, প্রসন্নই তৈরি করতেন অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা। তারপর সেটি প্রদীপ সিংয়ের হাত ধরে পৌঁছে যেত এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে।

    আবার, এই প্রসন্ন-ঘনিষ্ঠ এক পার্শ্বশিক্ষকও রয়েছেন সিবিআই রেডারে। আব্দুল আমিন নামে ওই ব্যক্তি পাথরঘাটা স্কুলের সহকারি শিক্ষক। ২০১৬ সালে পাথরঘাটা এলাকায় প্রাসাদোপম বাড়ি নির্মাণ করেন আমিন। সূত্রের খবর, বাড়িটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১.৫ কোটি টাকা। কিন্তু ১০ হাজার টাকার চাকরি করে কীভাবে এত বড় বাড়ি বানিয়েছেন আমিন? তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। 

    তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ সাল থেকে পাথরঘাটা হাই স্কুলের প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করতেন। কাজের সূত্রেই কোনওভাবে প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। অভিযোগ, কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমিনও একাধিক ব্যক্তির চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১১৩টি চাকরি তিনি টাকার বিনিময়ে করিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share