Tag: Science News

Science News

  • Science News: মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মস্তিষ্কের মধ্যে ঠিক কী চলে? গবেষণার তথ্য চমকে দেওয়ার মতো

    Science News: মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মস্তিষ্কের মধ্যে ঠিক কী চলে? গবেষণার তথ্য চমকে দেওয়ার মতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের কৌতূহল থেকেই গিয়েছে যে মৃত্যুর পূর্বে মস্তিষ্কের ঠিক কী রকম পরিবর্তন ঘটে! এই নিয়েই সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন এজিং নিউরো সায়েন্স জার্নালে (Science News)। ওই প্রতিবেদন অনুসারে বলা হচ্ছে যে মৃত্যুর পূর্বে মস্তিষ্ক জীবনের (Human Brain Before Death) শেষ তথা গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিগুলিকে রোমন্থন করতে থাকে। প্রসঙ্গত, মৃত্যুর পূর্বে মানব মস্তিষ্কের এই পরিবর্তন নিয়ে জার্নালটি প্রকাশিত হয়েছিল আজ থেকে ৩ বছর আগেই। ২০২২ সালের প্রকাশিত হওয়া ওই জার্নাল নিয়ে ফের একবার চর্চা শুরু হয়েছে।

    পরিবর্তন হয় মস্তিষ্কের তরঙ্গের (Science News)

    বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে লক্ষ্য করেছেন মস্তিষ্কের (Science News) বেশ কিছু তরঙ্গেরও পরিবর্তন ঘটে। গামা তরঙ্গ যা কিনা মানুষের স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। অন্যান্য তরঙ্গগুলি হল ডেল্টা, থিটা, আলফা এবং বিটা- এই তরঙ্গগুলিও ওঠানামা করতে দেখা গিয়েছে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মৃত্যুর পূর্বে মস্তিষ্কে জীবনের শেষ মুহূর্তগুলিতে ফিরে আসে জীবনের স্মৃতিগুলি। এনহ্যান্সড ইন্টারপ্লে অফ নিউরোনাল কোহেরেন্স অ্যান্ড কাপলিং ইন দ্য ডাইং হিউম্যান ব্রেন শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে।

    ৮৭ বছর বয়সি এক রোগীর ওপর গবেষণা (Science News)

    এই গবেষণায় মৃত্যুর আগে এবং পরে মস্তিষ্কের (Science News) কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গবেষণাটি ৮৭ বছর বয়সী একজন মৃগী রোগীর ওপরে করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে খবর। ডাক্তাররা মৃত্যুর সময় প্রায় ৯০০ সেকেন্ড ধরে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ রেকর্ড করেন। এর মধ্যে তাঁরা হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার আগে এবং পরের ৩০ সেকেন্ড মস্তিষ্কের পরিবর্তনগুলি পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। কেন্টাকির লুইসভিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ আজমল জেম্মার মতে, ‘‘মৃত্যুর আগে মস্তিষ্ক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ জীবনের ঘটনাগুলিকে শেষবারের মতো স্মরণ করে।’’

  • Science News: জীবনকে আলোকিত করে এক অদৃশ্য শক্তি, রয়েছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব, দাবি হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীর

    Science News: জীবনকে আলোকিত করে এক অদৃশ্য শক্তি, রয়েছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব, দাবি হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঈশ্বরের উপস্থিতি সত্যিই রয়েছে! এমনটা আর কোনও ধর্মগুরু নয়, বলছেন নামকরা বিজ্ঞানী (Science News)। অলমাইটি গড কিংবা ঈশ্বর যে নামই হোক না কেন! মানুষ সমস্যায় পড়লে তাঁকেই স্মরণ করে। এবার ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়েই অবাক দাবি করলেন বিজ্ঞানী উইলি সুন। প্রথমে এই বিজ্ঞানীর একটু পরিচয় জেনে নেওয়া যাক। ডঃ উইলি সুন আসলে একজন একজন জ্যোতির্পদার্থবিদ তথা এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। হার্ভার্ড অ্যান্ড স্মিথসন সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে দীর্ঘ সময়ে কর্মরত ছিলেন তিনি, এমনটাই জানা যায়।

    ঈশ্বরের অস্তিত্বের সপক্ষে কী বললেন বিজ্ঞানী?

    সৃ্ষ্টির সূচনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে রয়েছে ভিন্ন মত (Science News)। একইভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়েও নানা মত রয়েছে। এই আবহে হার্ভার্ডের বিজ্ঞানী (Harvard Scientist) এবার ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে সওয়াল করলেন। জানালেন, ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে গাণিতিক সূত্রও তুলে ধরেন বিজ্ঞানী। Tuckert Carlson Network-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঈশ্বরের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করেন এই বিজ্ঞানী। নিজের দাবির সপক্ষে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জীবনকে সর্বদা আলোকিত করে চলেছে কিছু শক্তি। ঈশ্বর (Science News) আমাদের এই আলো দিয়েছেন, যথাসাধ্য সেই আলোকে অনুসরণ করতে পারি আমরা। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি একটু দুর্বল হলেই গ্রহের সৃষ্টি হতো না। আবার একটু বেশি হলে গ্রহ কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হত। ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুতেই ঈশ্বরের হাত রয়েছে।’’

    Fine Tuning Arguement তত্ত্ব আসলে কী

    উইলি ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব (Science News) নিয়ে তাঁর যে তত্ত্ব, তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে Fine Tuning Arguement. অর্থাৎ ব্রহ্মাণ্ডে ভৌত সমীকরণ প্রাণসৃষ্টির জন্য এতটাই নিখুঁত যে তা কোনও অপ্রত্যাশিত ভাবে ঘটে যাওয়া ঘটনা হতে পারে না। কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। Tucker Carlson Network-এ উপস্থিত হয়ে তিনি Fine-Tuning Argument নিয়ে আলোচনা করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে, মহাবিশ্বের ভৌত আইন ও ধ্রুবকগুলির মান অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সজ্জিত। যা জীবনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে পৃথিবীতে। বিজ্ঞানী উইলির মতে, এই নিখুঁত সামঞ্জস্য নিছক কোনও দুর্ঘটনা হতে পারে না, বরং এর পিছনে একটি ঐশ্বরিক পরিকল্পনা থাকতে পারে।

    ১৯৬৩ সালে বিজ্ঞানী পল ডিরাক প্রথম এই দাবি করেন

    তবে উইলির আগে এই সূত্রটি প্রথম কেমব্রিজের গণিতবিদ পল ডিরাক উপস্থাপন করেন। ১৯৬৩ সালে পল ডিরাক প্রথম এই তত্ত্ব তুলে ধরেন। ওই বিজ্ঞানীর মত ছিল, কিছু মহাজাগতিক ধ্রুবক এতটাই নিখুঁত, তা নেহাত কোনও আকস্মিক ঘটনা হতে পারে না। ১৯৬৩ সালে ডিরাক লেখেন, ‘‘প্রকৃতির মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল, মৌলিক ভৌত সমীকরণগুলিকে গাণিতিক সূত্রের নিরিখে অত্যন্ত সুন্দর ও বলিষ্ঠ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বোঝার জন্য গণিতের যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।। প্রকৃতির গঠন অত্যন্ত সুন্দর। এটা মানতেই হবে। কেউ বলতেই পারেন যে ঈশ্বর আসলে গণিতবিদ, অত্যধিক উন্নত (Science News) গণিত প্রয়োগ করে ব্রহ্মাণ্ড তৈরি করেছেন তিনি।’’ ডিরাক আরও লিখেছিলেন, ‘‘ঈশ্বর একজন উচ্চমানের গণিতবিদ হতে পারেন, যিনি উন্নত গণিতের সাহায্যে মহাবিশ্ব গঠন করেছেন।’’

    জীবনকে আলোকিত করতে কাজ করে এক অদৃশ্য শক্তি

    Tucker Carlson Network-এ ডক্টর উইলি সুন ডিরাকের তত্ত্বের ভিত্তিতেই ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জীবনকে আলোকিত করার জন্য সর্বদা এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করে। ঈশ্বর আমাদের এই আলো দিয়েছেন, যা আমাদের অনুসরণ করা উচিত।’’ তাঁর মতে, ‘‘মহাবিশ্ব যে সুনির্দিষ্ট গাণিতিক নিয়ম অনুসরণ করে, তা ঈশ্বরের উপস্থিতির প্রমাণ হতে পারে।’’ উইলি সুনের এই বক্তব্যে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেউ কেউ মনে করেন, বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। আবার অনেকে মনে করছেন, বিজ্ঞান নিজেই ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারে।

    ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে স্টিফেন হকিং কী লিখেছিলেন

    ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে স্টিফেন হকিং-ও মুখ খুলেছিলেন। নিজের অসুস্থতা নিয়ে শেষ বই Brief Answwers to the Big Questions-তে হকিং লেখেন, ‘‘আমার মতো প্রতিবন্ধীরা ঈশ্বরের অভিশাপের ফলে দুর্দশা ভোগ করছেন বলে বহু শতাব্দী পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন মানুষজন। হতে পারে উপরের কাউকে আমি কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু আমার মনে হয়, প্রকৃতির নিয়ম মেনেই প্রত্যেকটি বিষয়কে অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। আমার মতো আপনি যদি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করেন, কিছু নীতিনিয়ম সর্বদা মেনে চলি আমরা। এই নীতি-নিয়ম ঈশ্বরের বলা যেতে পারে, কিন্তু তা ঈশ্বরের সংজ্ঞা, তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ নয়।’’

  • JNU: ম্যালেরিয়া-কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নয়া আবিষ্কার জেএনইউ বিজ্ঞানীদের

    JNU: ম্যালেরিয়া-কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নয়া আবিষ্কার জেএনইউ বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় আবিষ্কার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) বিজ্ঞানীদের। ম্যালেরিয়া ও কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এই আবিষ্কার। জেএনইউয়ের (Big Discovery) স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের দলটি একটি মানব প্রোটিন, ‘এইচএসপি ৭০’-কে চিহ্নিত করেছে।

    একাধিক সংক্রমণ রুখবে (JNU)

    এই প্রোটিনটি ম্যালেরিয়া ও কোভিড-১৯ এর মতো রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিজ্ঞানীরা রাশিয়া ও ভারতের গবেষকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করে এইচএসপি ৭০ এর একটি ছোট মলিকিউল ইনহিবিটর তৈরি করেছেন, যা একাধিক সংক্রমণের জন্য একটি বিস্তৃত-স্পেকট্রাম চিকিৎসা হিসাবে কাজ করতে পারে। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন জেএনইউয়ের স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের অধ্যাপক আনন্দ রঙ্গনাথন এবং শৈলজা সিং। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এইচএসপি ৭০-কে টার্গেট করা হলে ওষুধ প্রতিরোধ আটকানো যেতে পারে, যা সংক্রমণের চিকিৎসায় একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ফর বায়োলজিকাল ম্যাক্রোমলিকিউলসে।

    এইচএসপি ৭০ টার্গেট

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে (JNU), এইচএসপি ৭০ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন এবং মানুষের এসিই২ রিসেপ্টরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে, যা ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, জ্বরের সময় এইচএসপি ৭০ এর মাত্রা বাড়ে এবং এই সংযোগকে স্থিতিশীল করে। ফলে ভাইরাসটি কোষে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এইচএসপি ৭০ ইনহিবিট করে তারা ল্যাব পরীক্ষায় ভাইরাসের প্রতিলিপি সম্পূর্ণরূপে থামাতে সক্ষম হন। অধ্যাপক শৈলজা সিং বলেন, “ম্যালেরিয়া পরজীবী বা সার্স-কোভ২ এর মতো রোগজীবাণু হোস্টের মেকানিজম ব্যবহার করে বেঁচে থাকে। এইচএসপি ৭০ টার্গেট করে আমরা তাদের প্রতিলিপি তৈরি করার ক্ষমতা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে (Big Discovery) লড়াই করার ক্ষমতা ব্যাহত করতে পারি।”

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    আবিষ্কারের গুরুত্ব প্রসঙ্গে অধ্যাপক রঙ্গনাথন বলেন, “বিশ্ব হয়ত কোভিড ১৯-কে পেছনে ফেলেছে। কিন্তু বিজ্ঞানী হিসেবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদের আবিষ্কার ভবিষ্যৎ মহামারির জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করতে পারে।” এইমসের ড. প্রমোদ গর্গ এবং পিএইচডি স্কলার প্রেরণা জোশি-সহ গবেষণার অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “এই গবেষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে একটি সর্বজনীন পদ্ধতি প্রদান করতে পারে (JNU)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Drug Resistant Pneumonia: বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা, আবিষ্কার নয়া অ্যান্টিবায়োটিক

    Drug Resistant Pneumonia: বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা, আবিষ্কার নয়া অ্যান্টিবায়োটিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা। মহারাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ওকহার্ট লিমিটেড প্রথম দেশীয়ভাবে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ‘নাফিথ্রোমাইসিন’ (বাণিজ্যিক নাম- মিকন্যাফ) তৈরি করেছে। এটি বহু-ওষুধ প্রতিরোধী (Drug Resistant Pneumonia) জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর। এই নয়া অ্যান্টিবায়োটিকটি (Antibiotic) প্রাপ্তবয়স্কদের কমিউনিটি-অ্যাকোয়ার্ড ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া (CABP) চিকিৎসার কাজে লাগবে।

    ‘সফট লঞ্চ’ (Drug Resistant Pneumonia)

    চলতি বছরের ২০ নভেম্বর কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি এবং বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স কাউন্সিল (BIRAC) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই ওষুধটির ‘সফট লঞ্চ’ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ড্রাগ-প্রতিরোধী নিউমোনিয়া প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী  ২০ লক্ষেরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ার মধ্যে ভারতের অংশ ২৩ শতাংশ। এখানে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো প্রচলিত ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কারণে চিকিৎসায় নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে (Drug Resistant Pneumonia)।

    কী বলছেন প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান?

    বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স কাউন্সিল ওকহার্টকে নাফিথ্রোমাইসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ৮ কোটি টাকা দিয়েছে। যদিও প্রকল্পের খরচ ৫০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। ওকহার্টের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ডঃ হাবিল খোরাকিওয়ালা তাঁর বক্তব্যে মিকন্যাফের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এটি একটি ওরাল ড্রাগ, যা কমিউনিটি রেসপিরেটরি ইনফেকশন মোকাবিলার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। গত ৩০ বছরে এই সেগমেন্টে বিশ্বব্যাপী কোনও নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়নি বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি, ওষুধটি অ্যাজিথ্রোমাইসিনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি কার্যকর এবং ফুসফুসে ৮ গুণ বেশি এক্সপোজার দেয়। এটি প্রতিদিন একবার করে তিন দিন খেতে হবে। তিনি জানান, নাফিথ্রোমাইসিন উন্নততর নিরাপত্তা এবং সহনশীলতা প্রদর্শন করে। এতে ক্লিনিক্যাল কিওর রেট রয়েছে ৯৬.৭ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নাফিথ্রোমাইসিনের উন্নয়ন ১৪ বছরের টানা গবেষণা এবং ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের (Antibiotic) ফল, যেখানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ভারতের মধ্যে পরিচালিত হয়েছে (Drug Resistant Pneumonia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: “মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও বেশি দেশীয়করণ প্রয়োজন”, বললেন ইসরো কর্তা

    ISRO: “মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও বেশি দেশীয়করণ প্রয়োজন”, বললেন ইসরো কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও বেশি দেশীয়করণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। শনিবার তিনি বলেছিলেন, “বর্তমানে গ্লোবাল স্পেস অর্থনীতিতে ভারতের অবদান (Gaganyaan) ২ শতাংশ হলেও, আগামী এক দশকের মধ্যেই তা বাড়িয়ে অন্তত ১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।”

    কী বললেন ইসরো কর্তা (ISRO)

    এদিন অল ইন্ডিয়া রেডিওয় সর্দার প্যাটেল স্মৃতি বক্তৃতা দিচ্ছিলেন সোমনাথ। সেই সময় তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসন্ন মিশনের নতুন তারিখও জানান। এগুলি হল, মানববাহী মহাকাশ মিশন গগনযান সম্ভবত ২০২৬ সালে, চন্দ্রযান-৪ মিশনের স্যাম্পল রিটার্ন মিশন ২০২৮ সালে, এবং ভারত-মার্কিন যৌথ নিসার মিশনও হবে আগামী বছরে। ইসরোর চেয়ারম্যান জানান, জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাক্সার সঙ্গে যৌথভাবে চাঁদে অবতরণের মিশনটি এখন চন্দ্রযান-৫ মিশন হিসাবে পরিকল্পিত। তবে মিশনটি কবে হবে, তার কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান-৫ মিশন শুরু হতে পারে ২০২৮ সালে চন্দ্রযান-৪ মিশনের পরে।

    গুরুত্বপূর্ণ মিশন

    সোমনাথ বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিশন হবে, যেখানে ভারতের পক্ষ থেকে ল্যান্ডার এবং জাপানের পক্ষ থেকে রোভার সরবরাহ করা হবে। চন্দ্রযান-৩-এর রোভারটির ওজন ছিল প্রায় ২৭ কেজি। কিন্তু এই মিশনে ৩৫০ কেজির একটি রোভার থাকবে।” তিনি বলেন, “এটি একটি বিজ্ঞানসমৃদ্ধ মিশন, যা আমাদের চাঁদে মানব অবতরণের এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে যাবে।” তিনি জানান, ভারত ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একটি মানব মিশন পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইসরো (ISRO) কর্তা বলেন, “মহাকাশ খাতটি বেসরকারি উদ্যোগের জন্য উন্মুক্ত করা, নয়া সহায়ক নীতিমালা এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের দেখানো উদ্দীপনা ভারতে একটি প্রাণবন্ত মহাকাশ ইকোসিস্টেম সৃষ্টি করেছে।”

    আরও পড়ুন: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    তিনি বলেন, “আমাদের বৈশ্বিক মহাকাশ অর্থনীতিতে অবদান এখনও প্রায় ২ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্য আগামী ১০-১২ বছরের মধ্যে এটি প্রায় ১০ শতাংশে উন্নীত করা। কিন্তু ইসরো একা এটা অর্জন করতে পারবে না। আমাদের অন্যান্য অংশীদারদের অংশগ্রহণও প্রয়োজন। স্টার্ট-আপ থেকে শুরু করে বড় কোম্পানিগুলি, সবাইকেই (Gaganyaan) এগিয়ে আসতে হবে এবং ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে হবে (ISRO)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Vigyan Dhara Scheme: ‘বিজ্ঞান ধারা’ প্রকল্পে ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার

    Vigyan Dhara Scheme: ‘বিজ্ঞান ধারা’ প্রকল্পে ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকল্পের নাম ‘বিজ্ঞান ধারা’ (Vigyan Dhara Scheme)। এই প্রকল্পে থাকছে স্কুলস্তরে বিশেষ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামও। ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Cabinet)। মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই অনুমোদন মেলে এই প্রকল্পের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি থেকে ইন্টার্নশিপ ও পরবর্তীতে গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করবে সরকার।

    বৈঠকে মোদি (Vigyan Dhara Scheme)

    জানা গিয়েছে, বিজ্ঞান ধারা প্রকল্পের অধীনে প্রস্তাবিত সব কর্মসূচি ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ – এর লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন (Vigyan Dhara Scheme) করেন তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্রডকাস্টিং মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের তিনি বড় উপাদান রয়েছে। এগুলি হল, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইননোভেশন টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট এবং ডিপ্লয়মেন্ট।” মন্ত্রী জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর বিশেষ আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেই কারণেই নিয়ে আসা হচ্ছে ‘বিজ্ঞান ধারা’ প্রকল্প। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানের পড়াশোনা, গবেষণা, গবেষণাগারের উন্নতি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ দেবে সরকার। এজন্য পাঁচটি স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “জিহাদকে লালন করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স, তার সঙ্গে জোট কংগ্রেসের? প্রশ্ন ধামির

    স্কুলস্তরেই মিলবে ইন্টার্নশিপের সুযোগ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ইন্টার্নশিপ। এই প্রকল্পে পাঠ্য পুস্তকের বাইরে বেরিয়ে কীভাবে আমরা বাস্তব জীবনে পড়ুয়াদের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারি, তারই দিশা দেখানো হবে। এর জেরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। পড়ুয়ারা আরও এগিয়ে যেতে পারবে।” মোদির রাজত্বে তামাম বিশ্বে গুরুত্ব বেড়েছে ভারতের। এদিন পরোক্ষে সে প্রসঙ্গের উল্লেখ করে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ভারতের নতুন পরিচয় তৈরি হয়েছে। এই নতুন পরিচয়কে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করব। ভারতের যে প্রতিভা রয়েছে, তা অত্যন্ত মূল্যবান।” তিনি বলেন, “ব্রেনড্রেন রুখতে (Cabinet) জয়েন্ট রিসার্চ, জয়েন্ট প্রজেক্টস, এবং জয়েন্ট ফেলোশিপের ওপর ফোকাস করা হবে (Vigyan Dhara Scheme)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Indian Astronaut: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এ বড় ঘোষণা

    Indian Astronaut: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এ বড় ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আন্তর্জাতিক মহকাশ স্টেশনে (International Space Station) যাচ্ছেন এক ভারতীয় (Indian Astronaut)। আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে মহাকাশে পাড়ি দেবেন তিনি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হবে ওই মহাকাশচারীকে। এ খবর জানালেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ।

    এএক্স-৪ মিশন (Indian Astronaut)

    নাসা এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মহাকাশ অভিযানের নাম এক্সিওম স্পেস এএক্স-৪ মিশন। এই অভিযানে ভারত থেকে পাঠানো হবে দুই নভশ্চরকে। এঁরা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা ও প্রশান্ত বালকৃষ্ণণ নায়ার। বর্তমানে নাসায় চলছে এঁদের প্রশিক্ষণ। জানা গিয়েছে, এএক্স-৪ মিশনের জন্য ইসরো বেছে নিয়েছেন শুক্লাকে। আর নায়ার হবেন ব্যাকআপ ক্যান্ডিডেট। নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, “একজন ভারতীয় মহাকাশচারী আগামী এপ্রিলের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাবেন।” এবার আজ ২৩ অগাস্ট পালিত হবে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’। গত বছর এই দিনে চাঁদে ল্যান্ড করেছিলেন বিক্রম ল্যান্ডার। তারই বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পালিত হবে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’। তার আগেই এক ভারতীয় মহাকাশচারীর (Indian Astronaut) আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

    জাতীয় মহাকাশ দিবসের থিম

    জাতীয় মহাকাশ দিবসের থিমও জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। এবার থিম হল, ‘টাচিং লাইভস হোয়াইল টাচিং দ্য মুন: ইন্ডিয়াজ স্পেস সাগা।’ এ উপলক্ষে এদিন ইসরোর তরফে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সায়েন্টিফিক ডেটা প্রকাশ করবে ইসরো। গবেষকরা যাতে এই ডেটা ব্যবহার করতে পারেন, তা-ই এই ব্যবস্থা। চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের বর্ষপূর্তিতে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে হাজারো অনুষ্ঠান হচ্ছে দেশজুড়ে। ভারত মণ্ডপমে ‘জাতীয় মহাকাশ ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ হ্যাকাথন’ ও ‘ইসরো রোবোটিক্স চ্যালেঞ্জ’ জয়ীদের পুরস্কারও দেবেন তিনি। আসন্ন স্পেস মিশনের বিষয়ে বলতে গিয়ে ইসরোর সায়েন্টিফিক সেক্রেটারি সান্ত্বনু ভাটাদেকর বলেন, “ইসরো-নাসার (International Space Station) যৌথ অভিযান এনআইএসএআর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির পরেই লঞ্চ করা হবে (Indian Astronaut)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chinese Scientists: চাঁদের মাটির নমুনায় জলের উপস্থিতি! নিশ্চিত করল চিনা বিজ্ঞানীরা

    Chinese Scientists: চাঁদের মাটির নমুনায় জলের উপস্থিতি! নিশ্চিত করল চিনা বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের বুকে এবার জলের খোঁজ (Water In Lunar Soil) মিলল। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস (CAS) অনুসারে, চিনের চন্দ্রযান চাং’ই ৫ (Chang’e 5) অভিযান থেকে আনা নমুনায় চাঁদের বুকে জলের অণুর খোঁজ পেয়েছেন চিনের বিজ্ঞানীরা (Chinese Scientists)। চাঁদের বুকে পাথরের নীচে জলের অণু চাপা পড়েছিল বলেই তাদের অনুমান। এই প্রথম হাতেকলমে চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্বের খোঁজ মিলল। চাঁদ থেকে আনা নমুনা পরীক্ষা করে যা মিলেছে, সেই গবেষণাপত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ (Nature Astronomy) জার্নালে। 

    ঠিক কী জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা? (Chinese Scientists)

    মঙ্গলবার চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস জানিয়েছে, ২০২০ সালে চাং’ই ৫ মিশন থেকে নিয়ে আসা চাঁদের মাটির নমুনার উপর ভিত্তি করেই চিনা বিজ্ঞানীরা একটি হাইড্রেটেড খনিজ খুঁজে পেয়েছেন। চাঁদের মাটি নিয়ে পরীক্ষা করা চিনা বিজ্ঞানীরা ১,০০০টিরও বেশি খনিজ পদার্থ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষকরা বলেছেন, ”এইসব খনিজ পদার্থের মধ্যে একটি স্বচ্ছ পদার্থ ছিল, যাকে “অজানা চন্দ্র খনিজ” (ULM-1) বলা হয়েছে, এর মধ্যেই জলের অণু রয়েছে।”

    মিলেছে অ্যামোনিয়ার খোঁজও

    গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, চাঁদের বুকে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে, সেখানেও জলের অণুগুলি লবণের আকারে বিরাজ করে। শুধু জলের অণুই নয়, চাঁদের মাটি থেকে সংগ্রহ করে আনা পাথরের টুকরোর মধ্যে অ্যামোনিয়ার খোঁজও পেয়েছেন চিনা বিজ্ঞানীরা (Chinese Scientists), যা রকেট জ্বালানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজ্ঞানী (Chinese Scientists) বলেছেন, ”আমি আশা করেছিলাম এই গবেষণায় চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্বের (Water In Lunar Soil) প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যাবে। যদি এই জল বহনকারী খনিজটি চাঁদের নমুনায় থাকে, তবে চাঁদের মাটিতে এমন একাধিক টুকরো পাওয়া উচিত।” 

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে রেলে, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৯ সালে, ভারতের চন্দ্রযান-১ চাঁদের সূর্যালোক অঞ্চলে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন, অণুর আকারে হাইড্রেটেড খনিজের সন্ধান পেয়েছিল। এর পরেই নাসা মুন মিনারোলজি ম্যাপার (M3) ও একটি ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার দিয়ে চাঁদে খনিজ পদার্থে জলের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছিল। যদিও সেবার হাতে কলমে কোনও প্রমাণ মেলেনি। এরপরেই চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনতেই অভিযান চালায় চিন।
     
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jitendra Singh: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাচ্ছেন গগনযাত্রী, জানালেন জিতেন্দ্র

    Jitendra Singh: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাচ্ছেন গগনযাত্রী, জানালেন জিতেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যৌথ অভিযানের উদ্যোগ নিচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। অভিযানে অংশ নেবেন একজন ভারতীয় গগনযাত্রীও (Gaganyatri)। তিনি অবশ্য হবেন কোনও ভারতীয় নভশ্চর। লোকসভায় এ কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)।

    ইসরো, নাসার যৌথ উদ্যোগ (Jitendra Singh)

    এই মিশনটি হতে চলেছে ইসরো, নাসা এবং নাসা স্বীকৃত প্রাইভেট সংস্থা তথা অ্যাক্সিওম স্পেসের যৌথ প্রয়াসে। সম্প্রতি মহাকাশ মিশনের অংশ হিসেবে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাত্রার জন্য ইসরো অ্যাক্সিওম স্পেসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। লিখিত জবাবে লোকসভায় মন্ত্রী জানান, নাসার সঙ্গে যৌথ মিশনে নেমেছে ইসরো। এই মিশনেরই অংশ হিসেবে ইসরোর তরফে এক গগনযাত্রীকে পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে।

    বেসরকারি উদ্যোগ

    নাসার তরফে জানানো হয়েছে, বেসরকারি উদ্যোগে চতুর্থবারের জন্য আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারীদের নিয়ে যেতে অ্যাক্সিওমের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে নাসা। এই চুক্তি মোতাবেক, চলতি বছরের অগাস্ট মাসের পরে বেসরকারি উদ্যোগে নভশ্চরদের নিয়ে যাওয়া হবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ইসরোও (Jitendra Singh)।

    জানা গিয়েছে, এই মিশনের জন্য ইতিমধ্যেই চার নভশ্চরকে বেছে নিয়েছে ইসরো। ইসরোর পক্ষ থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। তার আগে এঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন রাশিয়ায়। তবে প্রশিক্ষণের শেষ ধাপ সম্পূর্ণ হবে ভারতেই। প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “গগনযাত্রীদের তিন ধাপ প্রশিক্ষণ পর্বের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে দুধাপ। এক ধাপের প্রশিক্ষণ এখনও বাকি।”

    আরও পড়ুন: দেশে বিপুল চাহিদা কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেমের, ৫ বছরে বৃদ্ধি কত হবে জানেন?

    চারজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও, মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ পাবেন তিনজন। তবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে পাঠানো হবে যন্ত্রমানব। তার যাত্রাপথ মসৃণ হলে, তবেই মহাকাশে পাঠানো হবে রক্তমাংসের মানুষ। ইসরোর ওই মিশন হবে তিন দিনের। শুরু হতে পারে ২০২৫ সালে।

    যে যানটিতে করে নভশ্চরদের (Gaganyatri) মহাকাশে পাঠানো হবে, সেই যান সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “মানব-রেটেড লঞ্চ ভেহিক্যালের কঠিন ও তরল প্রপালশন পর্যায়গুলি ফ্লাইট ইন্টিগ্রেশনের জন্য প্রস্তুত (Jitendra Singh)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Luca Discovery: আবির্ভাব ৪২০ কোটি বছর আগে! ‘লুকা’ থেকেই কি পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি?

    Luca Discovery: আবির্ভাব ৪২০ কোটি বছর আগে! ‘লুকা’ থেকেই কি পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছে ঠিক কোন সময়ে? বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণের উৎস হল ‘লুকা’ – ‘দ্য লাস্ট ইউনিভার্সাল কমন অ্যান্সেস্টর’ (Luca Discovery)। এই প্রোক্যারিয়টিক কোষই বিশ্বের প্রতিটি জীবন্ত বস্তুর পূর্বপুরুষ (Single Ancestor)। এই জীবন্ত বস্তুটি ব্যাকটিরিয়াই হোক কিংবা হোক অতিকায় নীল তিমি।

    কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? (Luca Discovery)

    বিজ্ঞানীদের মতে, ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ হয়েছিল প্রায় ৫৩ কোটি বছর আগে। তখনই শুরু জটিল জীবনের সূত্রপাত। পৃথিবীতে জীবনের প্রকৃত সময়রেখা অনেক দীর্ঘ। বিজ্ঞানীদের অনুমান, প্রায় চার’শ কোটি বছর আগে এসেছে লুকা। পৃথিবী নামক গ্রহ গঠনের ৬০ কোটি বছর পরে। তবে, নয়া সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে, ৪০০ কোটি নয়, এই সময়টি হল, আরও ২০ কোটি বছর আগে, অর্থাৎ এখন থেকে প্রায় ৪২০ কোটি বছর আগে।

    লুকার জীবন

    লুকার জীবন কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কেও একটা ধারণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ জার্নালে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সমস্ত কোষীয় জীবের কমন অ্যাংসেসট্রির প্রমাণ মেলে ইউনিভার্সাল জেনেটিক কোডে, প্রোটিন সিন্থেসিসের জন্য মেশিনারি, প্রায় সব ইউনিভার্সাল সেটের অ্যামাইনো অ্যাসিডের শেয়ার চিরালিটি এবং কমন এনার্জি কারেন্সি হিসেবে এটিপির ব্যবহারে (Luca Discovery)। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, লুকার প্রভাব সম্পর্কে আমরা যা জেনেছি, তা থেকেই ধারণা মেলে এই গ্রহে জীবনের অস্তিত্বের বিবর্তনের। লুকা কি কোনও সরল কিংবা জটিল অর্গানিজম? কোন পরিবেশে বাস করত লুকা? কখনই বা বাস করত?

    আরও পড়ুন: মাতৃভাষায় মিলবে পড়াশোনার রসদ, ‘অস্মিতা’ প্রকল্প চালু ইউজিসি-র

    গবেষক দলের প্রধান ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমান্ড মুডি বলেন, “জিনের বিবর্তনের ইতিহাস জটিল হয়ে উঠেছে তাদের লাইনেজের দেওয়া- নেওয়ার জেরে। আমাদের ব্যবহার করতে হবে জটিল বিবর্তনীয় মডেলস। বিভিন্ন প্রজাতির জেনোলজির জিনগুলির বিবর্তনের ইতিহাস জানতেই এটা করতে হবে।” ৪২০ কোটি বছর আগে লুকা কেমন ছিল, তা বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা জীবিত প্রজাতির শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যগুলি পুনরুদ্ধার করেন। তাঁদের অনুমান, লুকা ছিল একটি সাধারণ প্রোক্যারিওটিক। এটি সম্ভবত ছিল একটি ইমিউন সিস্টেম। যার জেরে আমাদের শরীর আদিম ভাইরাসগুলির বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

    ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার টিম লেন্টন বলেন, “লুকা তার পরিবেশকে ধ্বংস এবং পরিবর্তন করছিল। তবে এর একা থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।” তিনি বলেন, “এর বর্জ্য মিথেনোজেনের মতো অন্যান্য জীবাণুর খাদ্য হয়ে উঠত। এটি সাহায্য করত একটি (Single Ancestor) পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইকোসিস্টেম তৈরি করতে (Luca Discovery)।”

    হিন্দু বিভিন্ন শাস্ত্রেও তো বলা হয়েছে, এক ব্রহ্ম থেকেই বিশ্বের সমস্ত প্রাণের উৎপত্তি। এই লুকাই কি তাহলে সেই পরম ব্রহ্ম?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share