Tag: Science News

Science News

  • Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষনিকের অপেক্ষা! কিছুক্ষণ পরে চাঁদের মাটি ছুঁয়েই অরবিটারে বার্তা পাঠাবে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পর কিছু অপেক্ষা। ল্যান্ডার-এর পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে অবতরণের কিছুক্ষণ পরে, বিক্রম ল্যান্ডারটি খুলবে এবং রোভারের জন্য একটি র‌্যাম্প তৈরি করবে। অর্থাৎ সেই র‌্যাম্প ধরেই রোভারটি এদিক ওদিক ঘুরে বেরাবে। ছয় চাকার রোভারে ভারতের পতাকা এবং ইসরোর লোগো রয়েছে। অবতরণের প্রায় চার ঘণ্টা পর এটি ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে নামতে শুরু করবে। অবতরণের সময় রোভারের গতিবেগ হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ সেমি। রোভার তার নেভিগেশন ক্যামেরার মাধ্যমে আশেপাশের পরিবেশ অনুধাবন করতে থাকবে।

    কীভাবে কাজ করবে সাতটি পে-লোড

    সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভারটি চাঁদের চারপাশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে দুই সপ্তাহ (পৃথিবীর হিসেবে) সময় পাবে। চন্দ্রযান-৩ এর সাতটি পেলোড রয়েছে – চারটি বিক্রম ল্যান্ডারে, দুটি প্রজ্ঞান রোভারে এবং একটি প্রপালশন মডিউলে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথ জানিয়েছেন, “আমরা জানি চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। কিন্তু এটা ঠিক নয় কারণ এর থেকে গ্যাস বের হয়। বরং তারা আয়নিত হয় এবং পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি থাকে। এটি দিন এবং রাতের সাথে পরিবর্তিত হয়।” 

    বিক্রমের পে-লোড

    বিক্রমের চারটি পে-লোড হল মুখ্য। রম্ভা, চ্যাস্টে, ইলসা এবং অ্যারে। চাঁদে অবতরণের পর পরই কাজ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই চারটি পেলোড। এই পেলোডগুলির সাহায্যেই চাঁদে বাজিমাত করবে চন্দ্রযান। এই পেলোডগুলিই চাঁদের ‘অজানা রহস্য’ খুলে দেবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সামনে।

    রম্ভা (RAMBHA)- রেডিও অ্যানাটমি অব মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার এবং অ্যাটমোস্ফিয়ার বা রম্ভা চাঁদের বুকে সূর্য থেকে আসা প্লাজমা কণার ঘনত্ব, পরিমাণ এবং পরিবর্তনগুলি নিরীক্ষণ করবে।
    চ্যাস্টে (ChaSTE)- চন্দ্রের সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট বা চ্যাস্টে মেপে দেখবে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। 
    ইলসা (ILSA)- অবতরণস্থলের আশপাশের মাটির কম্পন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ইলসা বা ইনস্ট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি।
    এলআরএ (LRA)- ‘লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর’ অ্যারে চাঁদের গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে। চাঁদের প্রাকৃতিক কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিরীক্ষণ করে তা পৃথিবীতে পাঠানোর দায়িত্ব থাকছে এই চার পেলোডের কাঁধে।

    রোভারের পে-লোড

    আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS)- রোভারের ‘আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার’ নামে যন্ত্রটি অবতরণস্থলের কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী উপাদান রয়েছে তা দেখবে। ওই যন্ত্রে কিউরিয়াম নামে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে এক্স-রে ও আলফা পার্টিকল নির্গত হবে এবং তার মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলবে। চাঁদের পাথরের মধ্যে লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে কি না, তার সন্ধানও করবে সে। 
    লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS)-রোভারের ‘লেসার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ’ যন্ত্রের কাজ হল অবতরণস্থলের আশপাশে চাঁদের মাটিতে কী উপাদান কত পরিমাণে রয়েছে তা খুঁজে বার করা, তবে প্রথম যন্ত্রের থেকে আলাদা পদ্ধতিতে। 

    প্রপালশন মডিউলের পে-লোড

    প্রপালশন মডিউলটি চন্দ্রের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করবে। এই কাজে তাকে সাহায্য করবে তার একমাত্র পেলোড, বাসযোগ্য প্ল্যানেট আর্থের স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি (শেপ)। এটি কয়েক মাস (বা বছর) চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং মেঘের উপর স্পেকট্রোস্কোপি এবং পোলারাইজেশন অধ্যয়ন করবে, বায়োসিগনেচার সংগ্রহ করবে যা বাসযোগ্য এক্সোপ্ল্যানেট সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই, চৌম্বকক্ষেত্রও নেই। তবে বিপুল জলের খোঁজ পেলে, (H2O)সেখান থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে হাইড্রজেন ও অক্সিজেনে ভেঙে নেওয়া সম্ভব। এই অক্সিজেন শ্বাসপ্রশ্বাসকে স্বাভাবিক রাখবে। আর হাইড্রজেন ব্যবহার করা যেতে পারে জ্বালানি হিসেবে। চাঁদের ওই মেরুতে আবার বরফ থাকার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। চাঁদের আধাঁর পিঠের ঠিক কোথায় বরফ জমে আছে তার খোঁজ চালাবে প্রজ্ঞান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই আসতে চলেছে বহুকাঙ্খিত মাহেন্দ্রক্ষণ। বুধবার সন্ধেয় চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সেই সঙ্গে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে আজ। ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, আজ ভারতীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬টা থেকে শুরু হবে অবতরণের প্রক্রিয়া। চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে ল্যান্ডার বিক্রম। সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) ও তার মধ্যে থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

    দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কোনও দেশই মহাকাশযান পাঠায়নি। ফলে ভারত আজ সফল হলে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের কৃতিত্ব অর্জন করবে। চাঁদের বুকে অবতরণের সেই দৃশ্য বুধবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে ইসরোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউবে।

    আরও পড়ুন: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ

    তবে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। তা হলো, অবতরণ প্রক্রিয়ার ওই শেষের ২০ মিনিট। চার বছর আগে এই পর্বে এসে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার। এই পর্যায়টিই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ। ইসরোর বিজ্ঞানীরা যদিও আত্মবিশ্বাসী, যে এবার তাঁরা সফল হবেনই। ইসরোর দাবি, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ও তার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে (Lander Vikram) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও তা সঠিকভাবে সফট-ল্যান্ডিং করতে পারবে। ল্যান্ডারে থাকা যাবতীয় সেন্সর কাজ না করলেও, সঠিকভাবে অবতরণ করতে সক্ষম ‘বিক্রম’। তেমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে তাকে।

    তবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের মাথায় অন্য আরেকটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো, চাঁদের মাটি। অবতরণের সময় ল্যান্ডার স্পর্শ করার সময় চারদিকে ধুলোর আস্তরণ উড়বে। কার্যত প্রায় ঢাকা পড়ে যাবে ল্যান্ডার। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না ধুলো পুরো থিতিয়ে বসে যাচ্ছে, ততক্ষণ ‘বিক্রম’-এর পেট থেকে ‘প্রজ্ঞান’-কে বের করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিজ্ঞানীদের এই আশঙ্কার নেপথ্যে রয়েছে কোন বিজ্ঞান? 

    বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে ‘রেগোলিথ’, কী এটা?

    চাঁদের ধুলোকে বলা হয় ‘রেগোলিথ’। এই ধুলো চার্জড পার্টিকলে ভরপুর, খনিজ উপাদানও আছে। এর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, টাইটানিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ মৌল। তাদের অণু-পরমাণুর মধ্যে নিরন্তর ধাক্কাধাক্কি চলছে। রেগোলিথ মহাজাগতিক রশ্মির বিকিরণে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। চাঁদে যেহেতু পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল নেই, তাই মহাজাগতিক রশ্মি, সৌরঝড় সরাসরি আছড়ে পড়ে চাঁদে। আর মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো উত্তেজিত থাকে সারাক্ষণ। 

    মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো আরও উত্তেজিত হয়ে লাফালাফি শুরু করে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা অন্য কোনও মহাজাগতিক রশ্মি চাঁদের মাটিতে সরাসরি আছড়ে পড়ার সময় এই সূক্ষাতিসূক্ষ ধূলিকণাগুলিকে আঘাত করে। ফলে এগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়। গরম হলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার জন্য ধুলোকণাগুলো তড়িৎ ঋণাত্মক কণা বা ইলেকট্রন ছাড়তে থাকে। তাপমাত্রার ফারাক এবং মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে বিরাট এলাকা জুড়ে ধুলোর ঝড় শুরু হয় যাতে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক ফোর্স চুম্বকীয় স্তর তৈরি করে। 

    প্রজ্ঞানকে বাঁচাতে এখন কী করণীয়?

    সফট ল্যান্ডিং (Chandrayaan 3) ঠিকঠাক ভাবে করতে হলে রেট্রো-রকেট চালাতে হতে পারে ল্যান্ডারকে (Lander Vikram)। ইসরো জানিয়েছে, অবতরণের সময় যদি চাঁদের মাটির ধুলো ওড়ে, তাহলে ক্ষতি হতে পারে রোভারের। ধুলোর আয়নিক কণারা রোভারের যন্ত্রপাতির ক্ষতি করতে পারে। ধুলোকণা যন্ত্রের উপর গিয়ে পড়লে বেতার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক‘ (DSN)-এর মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারবে না রোভার ‘প্রজ্ঞান’। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? ইসরো জানিয়েছে, ল্যান্ডারের চারটি পা যখন মাটি ছোঁবে, ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবেন বিজ্ঞানীরা। শুধুমাত্র সেন্ট্রাল ইঞ্জিন কাজ করবে। তাও সতর্ক ভাবে, যাতে ধুলো না ওড়ে। অবতরণের পর ওই মাটি থিতিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করা হবে। এর পর ল্যান্ডার থেকে আলাদা হয়ে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: অবতরণ-পর্বে শেষ ২০ মিনিটই চ্যালেঞ্জ! ‘চিন্তা নেই, সফট-ল্যান্ডিং হচ্ছেই’, আশ্বাস ইসরোর

    Chandrayaan 3: অবতরণ-পর্বে শেষ ২০ মিনিটই চ্যালেঞ্জ! ‘চিন্তা নেই, সফট-ল্যান্ডিং হচ্ছেই’, আশ্বাস ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ‘দ্য ফাইনাল কাউন্টডাউন’। রাত পোহালেই ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়বে ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করার নজির গড়তে চলেছে দেশ। অনাবিষ্কৃত আঁধারে ঘেরা চাঁদের সেই মেরু অঞ্চলে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) অবতরণ ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে গোটা দেশে, থুরি বলা ভালো গোটা বিশ্বে। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী যা থাকতে পারে দেশবাসী, তার জন্য গোটা অবতরণ প্রক্রিয়ার সরাসরি স্ট্রিমিং ৫টা ২০ মিনিট থেকে করবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

    অবতরণ-পর্বে শেষের ২০ মিনিটই প্রধান চ্যালেঞ্জ

    ইসরোর পরিকল্পনা অনুযায়ী, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর (Lander Vikram) চূড়ান্ত অবতরণ প্রক্রিয়া (দ্য ফাইনাল ডিসেন্ট) শুরু হবে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। আর সন্ধেয় ৬টা ৪ মিনিটে হবে কাঙ্খিত ‘টাচডাউন’। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবি, চির-আঁধারে ঘেরা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। এই দক্ষিণ মেরু অঞ্চলই সবচেয়ে এবড়ো-খেবড়ো, খানা-খন্দে ভরা। রয়েছে শয়ে শয়ে গহ্বর। ফলে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো, অবতরণ প্রক্রিয়ার ওই শেষের ২০ মিনিট। চার বছর আগে এই পর্বে এসে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার।

    আরও পড়ুন: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    যদিও এবার, সফল সফট ল্যান্ডিংয়ের বিষয়ে আশাবাদী ইসরো। তারা জানিয়েছে, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ও তার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে (Lander Vikram) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও, তা সঠিকভাবে সফট-ল্যান্ডিং করতে পারবে। কীভাবে গোটা অবতরণের প্রক্রিয়া কাজ করবে, তা বিশদে ইসরোর তরফে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ধাপে ধাপে ‘বিক্রম’-কে নিচে নামানো হবে। একইসঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে কমানো হবে তার গতিও। এই পুরো বিষয়টা একেবারে অঙ্ক কষার মতো সাজিয়ে ল্যান্ডারের সিস্টেমকে বলে দেওয়া হয়েছে। 

    ধাপে ধাপে গতি কমানোর সঙ্গে নিচে নামবে ‘বিক্রম’

    বর্তমানে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) চাঁদের ২৫ কিলোমিটার x ৭০ কিলোমিটার কক্ষপথে অবস্থান করছে। সেখান থেকে চাঁদের বুকে পা রাখতে মিনিট ২০ সময় লাগবে। ইসরো জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ‘বিক্রম’-কে বর্তমান অবস্থান থেকে ৭.৪ কিমি উচ্চতায় নামিয়ে আনা হবে। এই সময়ে ল্যান্ডারের গতি থাকবে সেকেন্ডে ৩৫৮ মিটার। সময় লাগবে ১১ মিনিট। দ্বিতীয় ধাপে ৬.৮ কিলোমিটার উচ্চতায় নামিয়ে আনা হবে। এখানে ‘বিক্রম’-এর গতি আরও কমে হবে সেকেন্ডে ৩৩৬ মিটার। 

    ছবি সৌজন্য – ইসরো

    তৃতীয় ধাপে উচ্চতা কমে হবে ৮০০ মিটার। এবারও আরও গতি কমবে। এই পর্যায়ে এসে ল্যান্ডার তার লেজার রশ্মির সাহায্যে অবতরণের যোগ্য জায়গা খুঁজে বের করে নেবে। লেজার রশ্মির সাহায্যে ‘বিক্রম’-এ থাকা সেন্সর অবতরণের উপযুক্ত জায়গা খুঁজে নিতে সাহায্য করবে। পরের ধাপে, ৮০০ থেকে ১৫০ মিটার উচ্চতায় নামবে ‘বিক্রম’। এখানে তার গতি থাকবে সেকেন্ডে ৬০ মিটার। এর পর, পর ১৫০ থেকে ৬০ মিটারে নামার সময়ে এই গতি হবে ৪০ মিটার প্রতি সেকেন্ড। শেষ ধাপে, ৬০ থেকে ১০ মিটারে নামতে গিয়ে ‘বিক্রম’-এর গতি থাকবে ১০ মিটার প্রতি সেকেন্ড। সেখান থেকে মাটি ছোঁয়ার সময় ল্যান্ডারের গতি কমে হবে সেকেন্ডে ১.৬৮ মিটার।

    আরও পড়ুন: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    কোনও সেন্সর কাজ না করলেও নামতে পারবে ‘বিক্রম’!

    বিজ্ঞানীদের মতে, এই গোটা ধাপগুলিই হচ্ছে একটা চ্যালেঞ্জ। এই পর্যায়টিই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ। চার বছর আগে, এই পর্যায় থেকে ছিটকে গিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ২’। ব্যর্থ হয়েছিল অভিযান। অধরা থেকে গিয়েছিল স্বপ্ন। তবে, ইসরো এবার অনেক বেশি সতর্ক থেকেছে। যে কারণে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) নকশায় আমূল বদল আনা হয়েছে। পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ সেন্সর বসানো হয়েছে ‘বিক্রম’-এ। রয়েছে প্রচুর ক্যামেরা। শুধু তাই নয়, ইসরোর দাবি, ল্যান্ডারে থাকা যাবতীয় সেন্সর কাজ না করলেও, সঠিকভাবে অবতরণ করতে সক্ষম ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। তেমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে তাকে। শর্ত বলতে শুধুমাত্র প্রোপালশন সিস্টেম ঠিক চললেই হলো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    Chandrayaan 3: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার মডিউল চাঁদে নামার সঙ্গে সঙ্গেই মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে পা রাখবে ভারত। চার বছরে ব্যর্থ হয়েছে তিনটি অভিযান। এবার তাই সদা সতর্ক ইসরো। ‘চন্দ্রযান ২’ চাঁদের সামনে গিয়েও চাঁদে পা রাখতে পারেনি। তবে সেই অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়েই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর রূপরেখা তৈরি করেছে ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা। বুধবার অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পরই শুরু হবে আসল কাজ।

    কী করবে বিক্রম

    ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদে একটা গোটা দিন (পৃথিবীতে ১৪ দিন) তার কাজ চালিয়ে যাবে। ল্যান্ডারে ৩টি পেলোড এবং ১টি রোভার রয়েছে। এছাড়াও এতে ৫ ধরনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্র রয়েছে, যা পৃথিবীতে প্রচুর তথ্য পাঠাবে। সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকবে। তবে রোভার শুধুই তথ্য সংগ্রহ করবে। কিন্তু পৃথিবীতে সেই সব তথ্য পাঠানোর কাজ হবে ল্যান্ডারের। এক্ষেত্রে, ল্যান্ডার যোগাযোগ রাখছে চাঁদের চারপাশে কক্ষপথে ঘুরতে থাকা ‘চন্দ্রযান ৩’ প্রোপালশন মডিউল এবং ‘চন্দ্রযান ২’-এর অরবিটারের সঙ্গে। তাদের মাধ্যমে রিলে পদ্ধতিতে সেই তথ্য পৃথিবীতে বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন অপারেশনস কন্ট্রোলে (MOX) এসে পৌঁছবে।

    চন্দ্রপৃষ্ঠে ভারতের চিহ্ন

    চাঁদের পৃষ্ঠ ছোঁয়ার কিছুক্ষণ পরেই, বিক্রম ল্যান্ডারের এক পাশের প্যানেলটি খুলে যাবে। বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এটি চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে বেরিয়ে একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারের ছয়টি চাকায় খোদিত রয়েছে জাতীয় পতাকার ছবি ও ইসরোর লোগো। ল্যান্ডারটি অবতরণের চার ঘণ্টা পরে বেরিয়ে আসবে এই রোভার। তারপর প্রতি সেকেন্ডে ১ সেমি বেগে ঘুরে-ফিরে বেড়াবে। অবতরণ স্থলের চারপাশ স্ক্যান করতে ব্যবহার করবে নেভিগেশন ক্যামেরা। রোভারটি ঘুরে ফিরে বেড়ানোর সময় চাঁদের পৃষ্ঠে ভারতের পতাকা ও ইসরোর লোগোর ছাপ পড়ে যাবে। ভারতের চিহ্ন আঁকা হবে চাঁদের বুকে।

    আরও পড়ুন: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    প্রবল ঠান্ডা সইতে হবে

    ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছে, রোভারের পেলোডগুলিতে ইনস্টল করা যন্ত্রগুলি চাঁদের সমস্ত ডেটা পাঠাবে। এগুলি চাঁদের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যও দেবে। ল্যান্ডারে তিনটি পেলোড রয়েছে। এটি ল্যান্ডিং সাইটের চারপাশে চাঁদের প্লাজমার ঘনত্ব, তাপমাত্রা এবং ভূমিকম্প পরিমাপ সবকিছুই করবে। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সময় বাড়ানো হতে পারে। এক চন্দ্রদিনের পরিবর্তে দুই চন্দ্রদিনও কাজ করতে পারে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। তবে সেক্ষেত্রে ল্যান্ডার ও রোভারটিকে দ্বিতীয় চন্দ্রদিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে দক্ষিণ মেরুতে এক চন্দ্ররাতে (পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ১৪ দিন) মাইনাস ২৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হিমাঙ্কের তাপমাত্রা সহ্য করতে হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে মাত্র ২৪-ঘণ্টা। বুধবার সন্ধেয় চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তার সঙ্গেই রচিত হতে চলেছে নতুন ইতিহাস। আপামর ভারতবাসী এখন একটাই প্রার্থনা— ঠিকঠাক যেন অবতরণ করে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। দেশবাসীকে অভয় দিচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। জানিয়েছেন, সব ঠিকই আছে। এখন শেষ মুহূর্তের সিস্টেম-চেক প্রক্রিয়া চলছে।

    ইতিহাস তৈরির অপেক্ষায় ভারত

    তারিখ— ২৩ অগাস্ট। দিন— বুধবার। সময়— সন্ধেয় ৬টা বেজে ৪ মিনিট। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কাছে এটাই এখন মাহেন্দ্রক্ষণ। কখন তা আসবে সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন সকলে। কারণ, এই সময় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’  মহাকাশযানের ‘ল্যান্ডার বিক্রম’ (Lander Vikram)। সকলেই উদগ্রীব। সকলের মন প্রত্যাশায় ভরপুর। তবে, একইসঙ্গে রয়েছে সামান্য আশঙ্কাও। আর তাই, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্য কামনায় দেশজুড়ে চলছে পুজো-প্রার্থনা।

    আরও ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    কিন্তু, পৃথিবীতে যখন তার নামে এত পুজোপাঠ চলছে, যজ্ঞ হচ্ছে, তখন কী করছে ‘চন্দ্রযান ৩’? উত্তর দিয়েছে ইসরো। মঙ্গলবার, ট্যুইটার হ্যান্ডলে দুটি ভিডিও শেয়ার করেছে ইসরো। সেখানে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত অবতরণ করার আগে চন্দ্রপৃষ্ঠের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। আর মহাকাশযানে লাগানো বিভিন্ন ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে চাঁদের এবড়ো-খেবড়ো খানা-খন্দ-গর্তে ভরা ভূমি। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৭০ কিলোমিটার উপর থেকে ছবি তুলেছে চন্দ্রযানের ‘ল্যান্ডার পজিশন ডিটেকশন ক্যামেরা’। ধূসর গোলকের গায়ে এবড়োখেবড়ো চিহ্ন দেখা গিয়েছে সেই ভিডিওতে। গত ১৯ অগাস্ট ওই ছবিটি তুলেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। পাশাপাশি, আরেকটি ভিডিওতে গত ২০ তারিখ ৪ নম্বর ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরায় তোলা পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের ছবিও ধরা পড়েছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে চাঁদের পরিক্রমা করে চলেছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। এর আগেও চাঁদের ছবি পাঠিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছিল ইসরো।

    মঙ্গলে চূড়ান্ত ব্যস্ততা ইসরোয়

    ট্যুইটারে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) অবতরণের প্রসঙ্গে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে মিশন অপারেশনস কমপ্লেক্সে (MOX) চূড়ান্ত ব্যস্ততা ও উত্তেজনা রয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিশন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলছে। সিস্টেমে এখন চেকিং চলছে। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে সব ঠিকঠাক আছে। ইসরো আরও জানিয়েছে, অবতরণের সরাসরি সম্প্রচার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে শুরু হবে। ইসরো আগেই জানিয়েছিল, অবতরণের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে বিকেল ৫টা ৪৬ মিনিট নাগাদ। আর সন্ধেয় ৬টা ৪ মিনিটে হবে কাঙ্খিত ‘টাচডাউন’। ইসরো জানিয়েছে, যেখানে উৎক্ষেপণের সময় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) গতি ছিল ঘণ্টায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার, সেখানে চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার পরে তা হয় ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটার এবং অবতরণের সময়ে হবে ঘণ্টায় মাত্র ৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ, একেবারে পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। 

    সাফল্য কামনায় দেশজুড়ে পুজো-যজ্ঞ

    এদিকে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্য কামনায় দেশজুড়ে কোথাও হচ্ছে পুজো-প্রার্থনা, তো কোথাও আয়োজন করা হয়েছে যজ্ঞের। কলকাতা থেকে বারাণসী— দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বারাণসীর কামাখ্যা মন্দিরে হোমের আয়োজন করা হয়। কোচবিহার মদনমোহন কলোনি এলাকায় এই যজ্ঞের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার যাতে চাঁদের মাটিতে নেমে অবতরণ ইতিহাস তৈরি করতে পারে, সেই প্রার্থনা করা হয়। মুম্বইয়ে আবার বিশেষ হোমের আয়োজন করেন শিবসেনা নেতা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির) আনন্দ দুবে। উত্তর প্রদেশের আগ্রায় বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল চন্দ্রযানের সাফল্য কামনায়। আবার মধ্য প্রদেশে বিশেষ পুজোর আয়োজনও করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: কোথায় অবতরণ? জায়গা খুঁজে চলেছে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’, ছবি প্রকাশ ইসরোর

    Chandrayaan 3: কোথায় অবতরণ? জায়গা খুঁজে চলেছে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’, ছবি প্রকাশ ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে আর মাত্র একটা দিন। ভারতের ইতিহাস গড়ার জন্য আর একটু সময় ধৈর্য্য ধরতেই হবে। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে প্রত্যাশার পারদ। ততই বাড়ছে আশা। ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, বুধবার সন্ধেয় ৬টায় সামান্য কিছু পরেই, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, তার আগেই সম্ভাব্য ল্যান্ডিং সাইটের ছবি সোমবার পাঠালো ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। 

    চাঁদের দক্ষিণ মেরু দেখতে কেমন? ছবি প্রকাশ ইসরোর

    চাঁদের মাটি থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। চাঁদের বুকে নামার আগে শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতের মহাকাশযান। বুধবার বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার প্রক্রিয়া শুরু করবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সন্ধেয় ৬টা ৪ মিনিট নাগাদ চাঁদের অনাবিষ্কৃত ও অদেখা দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা ‘ল্যান্ডার বিক্রম’-এর (Lander Vikram)। কেমন সেখানকার ভৌগলিক বৈচিত্র্য? কী আছে সেখানে? ল্যান্ডিংয়ের আগে, সেই ছবি ধরা পড়েছে ল্যান্ডারে লাগানো ক্যামেরায়। সোমবার সকালে তেমনই বেশ কয়েকটি ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করা হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার হ্যান্ডেলে। 

    দক্ষিণ মেরুতে সফট-ল্যান্ডিং একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ

    পৃথিবী থেকে চাঁদের কেবলমাত্র একটি দিকই দেখা যায়। উল্টোদিকে কী আছে, তা পৃথিবী থেকে অধরা। চাঁদের এই দিককে বলা হয়ে থাকে ‘দ্য ডার্ক অফ দ্য মুন’। বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, চির-আঁধারে ঘেরা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের পরতে পরতে রহস্য। এই দক্ষিণ মেরুই সবচেয়ে এবড়ো-খেবড়ো। রয়েছে শয়ে শয়ে গহ্বর। ফলে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। চাঁদের যে ছবিগুলো প্রকাশ পেয়েছে এদিন, সেগুলো তোলা হয়েছে ল্যান্ডার হ্যাজার্ড ডিটেকশন অ্যান্ড অ্যাভয়ডেন্স ক্যামেরায়। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদে অবতরণের জন্য একটি সুরক্ষিত জায়গা খুঁজতে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’-কে (Lander Vikram) সাহায্য করছে এই ক্যামেরা। অর্থাৎ, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর যেখানে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার অবতরণ করবে, সেখানে কোনওরকম বোল্ডার বা গভীর কোনও গর্ত না থাকে, বা জায়গাটা যাতে অবতরণের যোগ্য হয়, তা নিশ্চিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই ক্যামেরা। অবতরণের সময় ভুল জায়গায় পা না পড়ে তাই আগেভাগেই এলাকায় চিহ্নিত করে রাখছে সে।

    আরও পড়ুন: বুধবার সন্ধেয় চাঁদে পা ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! কখন-কোথায় সরাসরি সম্প্রচার, জেনে নিন

    অবতরণের সময় ল্যান্ডার গতি হবে ঘণ্টায় ৫ কিমি

    চাঁদে অবতরণের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এবং একইসঙ্গে সাবধানীও বটে ইসরো। গত ৫৭ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত এবং চিন ছাড়া অন্য কোনও দেশের মহাকাশযানই চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করতে পারেনি। রবিবারই চাঁদে আছাড় খেয়ে ধ্বংস (পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) হয় রাশিয়ার লুনা ২৫ ল্যান্ডার। যদিও, ইসরো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত, এবার সব ঠিকঠাক হবে। যেখানে উৎক্ষেপণের সময় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) গতি ছিল ঘণ্টায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার, সেখানে চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার পরে তা হয় ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটার এবং অবতরণের সময়ে হবে ঘণ্টায় মাত্র ৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ, একেবারে পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’ (Lander Vikram)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের দারুণ ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের দারুণ ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদে অবতরণ করতে এখনও দিন পাঁচেক বাকি। তার আগেই চন্দ্রপৃষ্ঠের দারুণ দারুণ ছবি পাঠাতে শুরু করলো ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সেই ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করেছে ইসরো। একইসঙ্গে এদিন প্রথম ‘ডিবুস্টিং’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গতি ও উচ্চতা কমালো ল্যান্ডার মডিউল।

    আরও পড়ুন: প্রপালশন মডিউল থেকে ছিন্ন হল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম

    চন্দ্রপৃষ্ঠের ভিডিও ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    আগামী ২৩ তারিখ চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। বর্তমানে চাঁদের ঠিক ওপরে ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতের চন্দ্র মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। তবে, এরই মধ্যে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। ইসরোর তরফে শুক্রবার দুটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সংস্থার ট্যুইটার হ্যান্ডেলে। তাতে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর (Lander Vikram) শরীরে লাগানো ক্যামেরায় বন্দি হওয়া ২টি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, একটি ভিডিও তোলা হয়েছে ১৫ তারিখ। চাঁদের সেই ভিডিও তুলেছে ল্যান্ডার পজিশন ডিটেকশন ক্যামেরা (LPDC)। অন্যদিকে, ১৭ অগাস্ট যে ভিডিও তোলা হয়েছে, সেটি তুলেছে ল্যান্ডার ইমেজার এল-১ ক্যামেরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ধূসর চন্দ্রপৃষ্ঠের এবড়োখেবড়ো নানা অংশ। ফ্রেমের বড় অংশ জুড়ে শুধুই চাঁদ ও তার পৃষ্ঠে ছড়িয়ে থাকা একাধিক নামকরা সব গহ্বর। প্রসঙ্গত, এর আগেও চাঁদের বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

     

    সফল ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া

    এদিকে, এদিন বিকেলে ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ প্রথম ‘ডিবুস্টিং’ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এর ফলে, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর কক্ষপথ কিছুটা কমেছে। বর্তমানে এটি ১১৩ কিমি x ১৫৭ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় ডিবুস্টিং প্রক্রিয়াটি আগামী ২০ তারিখ রাত ২টো নাগাদ হতে চলেছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তার পর, শুক্রবার অর্থাৎ, আজ থেকে বৃত্তাকার কক্ষপথ থেকে চন্দ্র পৃষ্ঠের দিকে আরও নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) বৃত্তাকার ১০০ কিমি x ১০০ কিমি কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এরপর ১০০ কিমি x ৩০ কিমি কক্ষপথে প্রবেশ করিয়ে ল্যান্ডারকে চাঁদের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হবে। ২৩ অগাস্ট ল্যান্ডারটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে স্পর্শ করার জন্য সেখানে চূড়ান্ত অবতরণ শুরু করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Luna 25: চাঁদের দেশে পাড়ি রুশ ল্যান্ডারের, ‘লুনা ২৫’ না ‘চন্দ্রযান ৩’, আগে নামবে কে?

    Luna 25: চাঁদের দেশে পাড়ি রুশ ল্যান্ডারের, ‘লুনা ২৫’ না ‘চন্দ্রযান ৩’, আগে নামবে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের কক্ষপথে চক্কর কাটছে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। আগামী ২৩ তারিখ তার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা। এর মধ্যেই শুক্রবার, চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল রুশ মহাকাশযান ‘লুনা ২৫’ (Luna 25)। গন্তব্য সেই এক— চাঁদের দক্ষিণ মেরু। ‘লুনা ২৫’-এর সম্ভাব্য অবতরণ সেই ২৩ তারিখেই। ফলত, এখনও পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কে প্রথম অবতরণ করে, তা নিয়ে জোর কৌতুহল বিশ্বজুড়ে।

    স্বাধীন রাশিয়ার প্রথম চন্দ্রাভিযান

    ১৯৭৬ সালের ১৪ অগাস্ট মহাকাশে যাত্রা করেছিল ‘লুনা ২৪’। সেটিই ছিল সাবেক সোভিয়েত আমলের শেষ চন্দ্র অভিযান। তারপর ৪৭ বছর কেটে গিয়েছে। পতন হয়েছে সোভেয়েত সাম্রাজ্যের। এবার এতদিন পর অধুনা রাশিয়ার এটিই হচ্ছে প্রথম চন্দ্রাভিযান। শুক্রবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) মস্কো থেকে প্রায় ৫৫০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আমুর ওব্লাস্টের ভোস্টনি কসমোড্রোম থেকে সয়ুজ রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় ‘লুনা ২৫’। পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ১৬ অগাস্ট এটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এর পর ২৩ তারিখ সম্ভবত সেটি চাঁদের বুকে অবতরণ করবে। যদিও, রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস দাবি করেছে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর অবতরণের ২ দিন আগেই, অর্থাৎ ২১ তারিখই চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফলবে ‘লুনা ২৫’ (Luna 25)।

    মহাকাশে প্রতিযোগিতা ভারত ও রাশিয়ার!

    গত ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল মহাকাশযানটির। উৎক্ষেপণের ২২ দিন পর তা চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেছে। ইসরো জানিয়েছে, আগামী ২৩ তারিখ বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে রোভার প্রজ্ঞানকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছোঁবে ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) কিংবা রাশিয়ার ‘লুনা ২৫’ (Luna 25), যে দেশের মহাকাশযানই প্রথমে অবতরণ করবে, তাদেরই নাম উঠবে ইতিহাসের পাতায়। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান নামানোর পালক জুড়বে তাদের মুকুটে। ফলে, মহাকাশে এক প্রকার প্রতিযোগিতা চলছে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে। এদিনর সফল উৎক্ষেপণের জন্য রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসকে অবশ্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইসরো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: দ্বিতীয় কক্ষপথ বদল সফল! চাঁদ থেকে আর মাত্র ১,৪৩৭ কিলোমিটার দূরে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: দ্বিতীয় কক্ষপথ বদল সফল! চাঁদ থেকে আর মাত্র ১,৪৩৭ কিলোমিটার দূরে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের আরও কাছে পৌঁছল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পূর্ব নির্ধারিত সময় মতোই চাঁদের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে দ্বিতীয়বার কক্ষপথ বদল করল ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। গতকাল পর্যন্ত চাঁদের থেকে ৪,৩১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। আজ দুপুরে দ্বিতীয় কক্ষপথ বদলের পর সেই দূরত্ব কমে হলো ১,৪৩৭ কিলোমিটার। পরবর্তী কক্ষপথ বদল ঘটবে ১৪ অগাস্ট।

    চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    এদিন ইসরোর তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, চাঁদের আরও কাছে। পরিকল্পনা মাফিক কক্ষপথ সঙ্কোচন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে মহাকাশযানটি ১৭৪ কিমি x ১৪৩৭ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে। পরবর্তী সঙ্কোচন প্রক্রিয়া হবে ১৪ তারিখ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) এই কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়াটি হয়েছে বেঙ্গালুরুস্থিত ইসরোর টেলিমেট্রে, ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক (ISTRAC) সেন্টার থেকে।

    পাখির চোখ ২৩ অগাস্ট

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে একদিকে কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গতিও বাড়িয়ে চলেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পাঁচবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ১ অগাস্ট এক লাফে চন্দ্র-বৃত্তে পৌঁছে যায় ‘চন্দ্রযান ৩’। সেখান থেকে প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথের কাছে। পরের ধাপে গত ৫ তারিখ, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে ‘চন্দ্রযান ৩’। সেই থেকে চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ভারতের মহাকাশযান। আগামী ২৩ তারিখ চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, সেদিনই হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

    সফট-ল্যান্ডিং হবেই, প্রত্যয়ী ইসরো প্রধান

    ল্যান্ডার বিক্রমকে সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করানোই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। সফল ল্যান্ডিংয়ের বিষয়ে আশায় বুক বাঁধছেন ১৪০ কোটি ভারতবাসী। একইসঙ্গে, সকলের মনে উৎকণ্ঠাও রয়েছে। কারণ, চার বছর আগে এই পর্বেই ব্যর্থ হয়েছিল ‘চন্দ্রযান ২’। তবে, এবার যথেষ্ট প্রত্যয়ী ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। গতকালই, দেশবাসীকে অভয় দিয়ে ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ল্যান্ডার ও সেন্সর ব্যর্থ হলেও, মহাকাশযান (ISRO Moon Mission) সঠিকভাবেই অবতরণ করবে চাঁদের বুকে। তিনি বলেন, “মহাকাশযানে থাকা ল্যান্ডার বিক্রম-এর সমস্ত সেন্সর এবং দু’টি ইঞ্জিনও যদি কাজ না করে, তাহলেও ২৩ অগাস্ট চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে যানটি। ল্যান্ডারের পুরো নকশাটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা কোনওভাবেই এই মিশনটিকে ব্যর্থ হতে দেবে না।” তিনি যোগ করেন, যদি কিছু কাজ না করবে, তখন একমাত্র প্রপালশন সিস্টেম ভালোভাবে কাজ করবে।” এখানে বলে রাখা ভালো যে, এধরনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) নকশা ব্যর্থতা-নির্ভর করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    সুশান্ত দাস

    চাঁদের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) নিজের গতি ও কক্ষপথের পরিধি দুই-ই কমিয়ে ফেলছে। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ প্রথম কক্ষপথ বদল করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। এইভাবে আরও চারবার এই একই প্রক্রিয়া চালানো হবে। যার শেষে চাঁদ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। সেখান থেকে শুরু হবে চূড়ান্ত অবরতণের প্রক্রিয়া।

    পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী?

    কিন্তু, কীভাবে গতি কমানোর প্রক্রিয়া সম্ভব হচ্ছে? তা বোঝার আগে দেখে দেখে নেওয়া যাক উৎক্ষেপণের পর টানা ১৮ দিন ধরে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ঠিক কীভাবে নিজের কক্ষপথ ও গতি বাড়িয়েছিল মহাকাশযানটি (ISRO Moon Mission)। তাহলেই সহজ হবে গোটা বিষয়টি। ১৪ তারিখ উৎক্ষেপণের সময় চন্দ্রযান মডিউলকে পৃথিবীর থেকে ১৭০ কিলোমিটার (পেরিজি) x ৩৬ হাজার কিলোমিটার (অ্যাপোজি) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে স্থাপন করে এলভিএম-৩ রকেট। আগে দেখে নেওয়া যাক, পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী? যেমনটা বলা হয়েছে, কক্ষপথের আকার ডিম্বাকৃতি। অর্থাৎ, একটি চন্দ্রযান পৃথিবীর চারপাশে এমন একটি কক্ষপথে ছিল, যার দূরত্ব (পৃথিবী থেকে) একটি জায়গায় ন্যূনতম এবং ঠিক তার উল্টোদিকে বৃহত্তম। এই ন্যূনতম দূরত্বের অবস্থানকে বলা হয় পেরিজি (অর্থ- পৃথিবীর কাছে)। অন্যদিকে দীর্ঘতম দূরত্বের পয়েন্টকে বলা হয় অ্যাপোজি (অর্থ- পৃথিবীর দূরে)।

    গতি ও কক্ষপথ বদলের নেপথ্যে ‘পেরিজি ফায়ারিং’! সেটা কী?

    এই ভাবে পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে করেত কয়েক দিন অন্তর যখন ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ওই পেরিজি পয়েন্টে এসে পৌঁছত, তখন বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং করিয়ে তার কক্ষপথ বাড়িয়ে দেওয়া হতো। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় প্রথম আর্থ-বাউন্ড পেরিজি ফায়ারিং (Earth Bound Perigee Firing)। এটা সম্ভব হতো কারণ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যে দিকে থাকত, ঠিক সেই দিকে তার মাথা থাকতো, আর রকেট ইঞ্জিন থাকতো লেজ বা পিছনের দিকে। রকেট ফায়ারিংয়ের ফলে, ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলের গতি বেড়ে যেত। এক কথায় তাকে কিছুটা বাড়তি ধাক্কা দিয়ে গতি বৃদ্ধি করে দেওয়া হতো, যার ফলস্বরূপ, কক্ষপথের পরিধিও বেড়ে যেত।

    পৃথিবীর বৃত্তে কেমন ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথ বদল?

    এই ফায়ারিং যেহেতু পেরিজিতে করা হতো, তাই পেরিজি-দূরত্বে খুব একটা হের-ফের না হলেও অ্যাপোজি-দূরত্ব অনেকটা বেড়ে যেত। যেমন, অরবিট রেইজিং ম্যানুভারের (Orbit Raising Maneuvre) ফলে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ১৭৩ কিমি x ৪১,৭৬২ কিমি। এর পর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যানুভারের পর ‘চন্দ্রযান ৩’ কক্ষপথের পরিধি হয় যথাক্রমে ২২৬ কিমি x ৪১,৬০৩ কিমি, ২২৮ কিমি x ৫১,৪০০ কিমি এবং ২৩৩ কিমি x ৭১,৩৫১ কিমি। শেষ তথা পঞ্চম ম্যানুভারে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ২৩৬ কিমি x ১,২৭,৬০৯ কিমি। পাঁচবার চক্কর কাটার পর, প্রয়োজনীয় গতি জোগাড় করা ‘চন্দ্রযান ৩’-কে গত ১ অগাস্ট নিক্ষেপ করা হয় চন্দ্র-বৃত্তে। এর পর প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত শনিবার চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করে ‘চন্দ্রযান ৩’। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। এবার তখন থেকে শুরু হয় উল্টো পদ্ধতি— অর্থাৎ গতি ও কক্ষপথের পরিধি কমানোর পালা। কী করে তা সম্ভব হলো?

    রিভার্স-গিয়ারে চাঁদের চারপাশে ঘুরছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কীভাবে?

    ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করানোর সময় এমনভাবে রকেট ফায়ারিং করা হয়, যাতে দিশা এক থাকলেও, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। অর্থাৎ, পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে এগনোর সময় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ছিল চন্দ্র-অভিমুখে। এবার মডিউলের মুখ বিপরীত দিকে থাকায় চাঁদের চারপাশে মহাকাশযান প্রদক্ষিণ করে চলেছে পিছন দিকে মুখ করে। এক কথায়, যেন ‘চন্দ্রযান ৩’ চাঁদের চারপাশে ঘুরে চলেছে ব্যাক বা রিভার্স-গিয়ারে। অর্থাৎ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যেদিকে রয়েছে, সেদিকে রয়েছে রকেটের ইঞ্জিন। এবার লুনার পেরিজি ফায়ারিং বা পেরিলিউন ফায়ারিং-এর (Perilune Firing) মাধ্যমে সীমিত সময়ের জন্য রকেট চালানো হচ্ছে। এর ফলে, রকেট ব্যাক-থ্রাস্ট দিচ্ছে মহাকাশযানকে। অনেকটা ব্রেক কষার মতো। ফলস্বরূপ, এইভাবে বারে বারে ধাক্কা খেতে খেতে গতি ও পরিধি কমিয়ে নিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এক কথায়, আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভারের ঠিক বিপরীত হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। কারণ, যে রকেট পৃথিবীর কক্ষে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর গতি বাড়াতে সাহায্য করছিল, তা এখন উল্টোভাবে রেট্রো-রকেটের ভূমিকা পালন করে গতি কমাতে সাহায্য করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share