Tag: scientists

scientists

  • Science News: মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মস্তিষ্কের মধ্যে ঠিক কী চলে? গবেষণার তথ্য চমকে দেওয়ার মতো

    Science News: মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মস্তিষ্কের মধ্যে ঠিক কী চলে? গবেষণার তথ্য চমকে দেওয়ার মতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের কৌতূহল থেকেই গিয়েছে যে মৃত্যুর পূর্বে মস্তিষ্কের ঠিক কী রকম পরিবর্তন ঘটে! এই নিয়েই সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন এজিং নিউরো সায়েন্স জার্নালে (Science News)। ওই প্রতিবেদন অনুসারে বলা হচ্ছে যে মৃত্যুর পূর্বে মস্তিষ্ক জীবনের (Human Brain Before Death) শেষ তথা গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিগুলিকে রোমন্থন করতে থাকে। প্রসঙ্গত, মৃত্যুর পূর্বে মানব মস্তিষ্কের এই পরিবর্তন নিয়ে জার্নালটি প্রকাশিত হয়েছিল আজ থেকে ৩ বছর আগেই। ২০২২ সালের প্রকাশিত হওয়া ওই জার্নাল নিয়ে ফের একবার চর্চা শুরু হয়েছে।

    পরিবর্তন হয় মস্তিষ্কের তরঙ্গের (Science News)

    বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে লক্ষ্য করেছেন মস্তিষ্কের (Science News) বেশ কিছু তরঙ্গেরও পরিবর্তন ঘটে। গামা তরঙ্গ যা কিনা মানুষের স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। অন্যান্য তরঙ্গগুলি হল ডেল্টা, থিটা, আলফা এবং বিটা- এই তরঙ্গগুলিও ওঠানামা করতে দেখা গিয়েছে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মৃত্যুর পূর্বে মস্তিষ্কে জীবনের শেষ মুহূর্তগুলিতে ফিরে আসে জীবনের স্মৃতিগুলি। এনহ্যান্সড ইন্টারপ্লে অফ নিউরোনাল কোহেরেন্স অ্যান্ড কাপলিং ইন দ্য ডাইং হিউম্যান ব্রেন শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে।

    ৮৭ বছর বয়সি এক রোগীর ওপর গবেষণা (Science News)

    এই গবেষণায় মৃত্যুর আগে এবং পরে মস্তিষ্কের (Science News) কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গবেষণাটি ৮৭ বছর বয়সী একজন মৃগী রোগীর ওপরে করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে খবর। ডাক্তাররা মৃত্যুর সময় প্রায় ৯০০ সেকেন্ড ধরে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ রেকর্ড করেন। এর মধ্যে তাঁরা হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার আগে এবং পরের ৩০ সেকেন্ড মস্তিষ্কের পরিবর্তনগুলি পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। কেন্টাকির লুইসভিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ আজমল জেম্মার মতে, ‘‘মৃত্যুর আগে মস্তিষ্ক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ জীবনের ঘটনাগুলিকে শেষবারের মতো স্মরণ করে।’’

  • Vasuki Indicus: গুজরাটে উদ্ধার প্রায় ৫ কোটি বছর পুরনো বিশালাকার বাসুকি সাপের জীবাশ্ম

    Vasuki Indicus: গুজরাটে উদ্ধার প্রায় ৫ কোটি বছর পুরনো বিশালাকার বাসুকি সাপের জীবাশ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয় নয় করে প্রায় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ বছরের পুরনো প্রাগৈতিহাসিক বাসুকি সাপের (Vasuki Indicus) জীবাশ্ম উদ্ধার হল ভারতের মাটি থেকে। গুজরাটের (Gujarat) কচ্ছ এলাকার একটি খনিতে আইআইটি রুরকির গবেষকদের দল এই জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। আর এই জীবাশ্ম আরও একবার প্রমাণ করল যে একটা সময় তারা ছিল এই পৃথিবীতেই এবং দাপিয়ে বেড়াত এই ভারতীয় উপমহাদেশের বুকেই। কালের নিয়মে তারা বিদায় নিলেও পৃথিবীর বুকে আজও লুকিয়ে তাদের অতীতের অস্তিত্ব।

    কয়লা খনি থেকে উদ্ধার (Vasuki Indicus)

    জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে গুজরাটের কচ্ছ এলাকার একটি কয়লা খনি থেকে বিজ্ঞানীরা এই বাসুকির (Vasuki Indicus) জীবাশ্মটি আবিষ্কার করেছেন। প্রায় ৫ কোটি বছরের পুরনো প্রজাতি। এই প্রজাতির সাপটিকে ভারতের প্রাগৈতিহাসিক জীববৈচিত্র্যের অন্যতম বিশেষ নিদর্শন হিসেবে মেনে নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সম্প্রতি আইআইটি রুরকির জীবাশ্ম গবেষকের দল ওই সুবিশাল সাপের জীবাশ্ম সম্পর্কে এমন সব তথ্য প্রকাশ করেছেন যা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন আপনিও।

    বিশ্বের দীর্ঘতম সাপ

    এই জীবাশ্ম পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীদের ধারণা, সাপটি (Vasuki Indicus) দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩৫ থেকে ৫০ ফুট। ওজন প্রায় ১০০০ কিলোগ্রাম ছিল। চাঞ্চল্যকর এই আবিষ্কারে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে বৈজ্ঞানিক মহলে। অনুমান করা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের দীর্ঘতম সাপ এটিই। হিন্দু দেবতা শিবের গলার থাকা সাপের নামে নয়া আবিষ্কৃত এই সাপের নাম রাখা হয়েছে বাসুকি ইন্ডিকাস (Vasuki Indicus), সাপটি মাৎসোইদাই (Madtsoiidae) প্রজাতিভুক্ত। একটি জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই সাপটি একটি স্বতন্ত্র প্রজাতিভুক্ত। যা ভারতের মাটিতে ৫ কোটি ৬০ থেকে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ বছর আগে ইওসিন যুগে দক্ষিণ ইউরোপ থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আজকের স্তন্যপায়ী প্রজাতির প্রথম পূর্বপুরুষ এবং নিকটাত্মীয়রা ইওসিন যুগে পৃথিবীতে এসেছিল। এমনটাই মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

    ২৭টি হাড় উদ্ধার হয়েছে

    অন্যদিকে, গবেষকরা এই জীবাশ্মকে টাইটেনোবোয়ার সঙ্গে তুলনা করছেন, একসময় যার বিচরণ ছিল পৃথিবীজুড়ে এবং পৃথিবীর দীর্ঘকায় সাপের (Longest Sake Ever Known) খেতাবও পেয়েছিল এই সাপটি। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া জীবাশ্মতে ২৭টি হাড়ের সন্ধান পান আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে ২৭টি হাড় উদ্ধার হয়েছে সেগুলি সাপের (Vasuki Indicus) মেরুদণ্ডের। তার বেশিরভাগই এখনও অক্ষত। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, “এটি একটি পূর্ণ বয়স্ক সাপের হাড়। যার দৈর্ঘ্য ১১ থেকে ১৫ মিটার। আকারে বিশাল হওয়ার কারণে বর্তমান অ্যানাকোন্ডার (Anaconda) মতো ধীর ছিল এদের চলাফেরা। দীর্ঘক্ষণ ওত পেতে থেকে হঠাৎ আক্রমণ চালাতো শিকারের উপর। তারপর শিকারকে জড়িয়ে হত্যা করত।”

    আরও পড়ুনঃ “কংগ্রেস আমলে হনুমান চালিশা শোনাও অপরাধ ছিল”, তোপ মোদির

    গবেষকদের মতামত

    বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক সুনীল বাজপেয়ী ও দেবজিত দত্তের নেতৃত্বে এই সংক্রান্ত নমুনা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, গবেষণা, সমীক্ষা ইত্যাদি হয়েছে। এপ্রসঙ্গে দেবজিত দত্ত বলেন, “বাসুকি (Vasuki Indicus) ছিল খুব ধীর চলন শক্তিসম্পন্ন ভারী শরীরের বিশাল আকারের এক সাপ। ঠান্ডা ভিজে জায়গায় থাকে এরা। অ্যানাকোন্ডা ও পাইথনের কায়দায় শিকার ধরে এরা।” সায়েন্টিফিক রিপোর্টে তাঁদের এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shanti Swarup Bhatnagar Prize: গর্বিত বাংলা! বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি

    Shanti Swarup Bhatnagar Prize: গর্বিত বাংলা! বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন আইআইসিবি-র বাঙালি চিকিৎসক-গবেষক ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত চার বাঙালি বিজ্ঞানী। ৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন ইমিউনোলজিস্ট শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারমোট ১২ জন এই সম্মান পাচ্ছেন। এর মধ্যে ৪ জন বাঙালি। 

    শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার কী

    দেশে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় পুরস্কার শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize)। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) এর প্রতিষ্ঠা দিবসে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। সিএসআইআর-এর প্রথম ডিরেক্টর শান্তি স্বরূপ ভাটনাগরের নামানুসারে, প্রতি বছর সাতটি বৈজ্ঞানিক শাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়। জীববিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্থ, বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর এবং গ্রহ বিজ্ঞানের মতো ৭ টি বিষয়ে এই পুরস্কার দেওয়া হয়৷ ভাটনগর পুরস্কার স্বরূপ গবেষকদের ৫ লক্ষ টাকা নগদ দেওয়া হয়৷ ৪৫ বছরের কম বয়সী বিজ্ঞানীরা এই সম্মান পেয়ে থাকেন৷

    দীপ্যমানের কীর্তি 

    চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১৯৮৪-র পর এই প্রথম কোনও বাঙালি শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন। কোভিডের উপর কাজ করে এই পুরস্কার পেয়েছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অনাক্রম্যতা (ইমিউনোলজি) বিষয়ে গবেষণা করছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে বিশেষ ভাবে ছিল অটোইমিউন ডিজিজ। সাম্প্রতিক কালে কোভিডে অনাক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কী ভাবে প্রভাব ফেলেছিল, সেটি নিয়েও গবেষণা করেন তিনি। কোভিডে প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক গবেষণাও করেছেন। সেই সমস্ত কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই এই পুরস্কার পেয়েছেন দীপ্যমান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে। লিখেছেন, ‘সম্মানপ্রাপক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাই। বহু বছর পর বাংলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একজন গবেষকের হাত ধরে এই ভাটনগর সম্মান এল।’

    কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা?

    ৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। এই পুরষ্কারের ঝুলিতে রয়েছে—একটি প্রশংসাপত্র, একটি ফলক এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা। এই পুরষ্কার পাওয়ার পর দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‌রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই রাজ্যে আর‌ও বেশি করে গবেষণার পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা চলে যাচ্ছে?‌ সেটাও দেখতে হবে।’

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট প্রকাশ বেলুড় মঠের, স্বামীজি প্রচলন করেছিলেন এই পুজো

    আর কোন কোন বাঙালি পেলেন সম্মান

    যে চার বাঙালির আলোয় এ বারের ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) উজ্জ্বল, তাঁরা রসায়নে আইআইটি বম্বের দেবব্রত মাইতি, পদার্থবিদ্যায় বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের (আইআইএসসি) অনিন্দ্য দাস ও টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের বাসুদেব দাশগুপ্ত এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজির দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। দেবব্রতের গবেষণা কার্বন এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর পারস্পরিক রাসায়নিক বন্ধন নিয়ে। সন্ধিগত মৌলের অনুঘটন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জীবনদায়ী ওষুধ থেকে কীটনাশক পর্যন্ত বিভিন্ন কিছুর উদ্ভাবনে দিশা দিচ্ছে তাঁর কাজ। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দেবব্রতের পড়াশোনা পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শ্রীরামপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়ে। পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার প্রাপক অনিন্দ্য দাসও বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার প্রাপক আর এক বাঙালি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের (টিআইএফআর) বাসুদেব দাশগুপ্ত। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার স্নাতক স্তরের ছাত্র ছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share