Tag: screen time

screen time

  • Eye Infections: বহু শিশুই চোখে সংক্রমণ, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যায় ভুগছে! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Eye Infections: বহু শিশুই চোখে সংক্রমণ, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যায় ভুগছে! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কম বয়স থেকেই বাড়ছে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা। স্কুলের চৌকাঠে প্রবেশ করার আগেই অনেক শিশুর একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়তি উদ্বেগজনক। শিশুদের অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি শেখানোর মতো প্রথম থেকেই চোখের যত্নের (Eye Infections) বিষয়ে সজাগ করা জরুরি। কীভাবে চোখ ভালো থাকবে, দৃষ্টিশক্তি বজায় থাকবে, এসব নিয়ে সচেতনতা জরুরি। অক্টোবর মাসে ‘ওয়ার্ল্ড সাইট অ্যাওয়ারনেস’ পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বাড়তি উদ্বেগজনক। তাই অন্ধত্ব,‌ দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি।

    কেন শিশুদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা বাড়তি উদ্বেগজনক? (Eye Infections)

    সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় রিপোর্ট দেশ জুড়ে শিশুদের চোখ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ৩০ হাজার শিশু নতুন করে চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা একাধিকবার চোখের নানান সংক্রমণের শিকার হচ্ছে। যা তাদের কর্নিয়ায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিশেষত বারবার চোখের কনজাংটিভাইটিস জাতীয় সংক্রমণ একদিকে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে, আরেকদিকে চোখের ক্ষতি করছে। এর নিরিখে ভারতে চোখের নিয়মিত পরীক্ষা করার সচেতনতা খুবই কম। দেশ জুড়ে মাত্র ৪৬ শতাংশ শিশুর নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা হয়। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ড্রাই আই জাতীয় রোগের প্রকোপ বাড়ছে। যার ফলে চোখের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, অধিকাংশ শিশুর চোখের মারাত্মক সমস্যা হওয়ার আগে কিছু বোঝাই যায় না। ফলে দৃষ্টিশক্তির বড় ক্ষতি আটকানো আরও কঠিন হয়ে উঠছে। তাই শিশুদের চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

    সন্তানের চোখের বাড়তি যত্ন নেবেন কীভাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুর চোখ ভালো রাখার প্রথম ও প্রধান শর্ত ‘স্ক্রিন টাইম’-এ রাশ টানা। খুব কম বয়স থেকেই এখন সকলে মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপে অভ্যস্ত। কিন্তু এই অভ্যাস চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই শিশু কতক্ষণ মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকবে, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। ছোট থেকে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য মোবাইল দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে একাধিক শারীরিক সমস্যা (Eye Infections) তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের চোখে ড্রাই আই সহ নানান সংক্রমণ হতে পারে‌‌।
    দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে (Blurred vision) সবুজ সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন,‌ দিনে অন্তত একটা লেবু এবং বেরি জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি।‌ পাশাপাশি কমলালেবু, অ্যাপ্রিকট, স্ট্রবেরি কিংবা মাল্টা, যে কোনও একটা ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত। তাহলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। তবে এর পাশপাশি পালং শাক, ঝিঙে, পটলের মতো সবুজ সব্জি নিয়মিত খাওয়া জরুরি।‌ কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এগুলো চোখের জন্য খুবই উপকারী। 
    পাশপাশি কম বয়সি শিশুরা এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের ডায়াবেটিস চোখের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে (Eye Infections)। ভারতীয় শিশুদের চোখের সমস্যার অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ছোট থেকেই খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। যাতে শিশু ডায়াবেটিসের‌ মতো রোগে আক্রান্ত না‌ হয়। শিশু যাতে অতিরিক্তি মিষ্টি খাওয়া এবং বাইরের চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত না হয় সেদিকেও‌ খেয়াল‌ রাখা জরুরি। তবেই চোখের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Social Media: দিনরাত চোখ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়! কোন রোগের কবলে পড়ছেন জানেন কি?

    Social Media: দিনরাত চোখ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়! কোন রোগের কবলে পড়ছেন জানেন কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) চোখ না রাখলে দিন যেন সম্পূর্ণ হয় না। দিনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন দেওয়া হয়, তেমন আবার নিজের দিনভর নানা কাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার অভ্যাস তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের। অফিস কিংবা ক্লাসের মাঝেও সময় পেলেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন। আবার অনেকের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রোল করতে করতে সময়ের হিসেব রাখাই কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানোর অভ্যাস, একাধিক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। তবেই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

    কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়? (Social Media)

    বিশ্ব জুড়েই জনপ্রিয়তা বাড়ছে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের। মূলত তরুণ প্রজন্মের কাছেই বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলো। আমেরিকার একদল গবেষক বিশ্ব জুড়ে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্ত প্রজন্ম নিয়ে এক গবেষণা চালিয়েছেন। আর সেখানেই উঠে এসেছে একাধিক বিপদের ঝুঁকির আশঙ্কা। তাঁদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটালে শরীর ও মনের একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এই অভ্যাসে তাদের নানা কাজের মধ্যে গভীর প্রভাব পড়ছে। তাই এবিষয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আসক্তি বাড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া

    মনোরোগ‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) অতিরিক্ত সময় কাটানোর অভ্যাস আসক্তি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনের অধিকাংশ সময় কাটানোর অভ্যাস মস্তিষ্কে এক ধরনের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। তার জেরেই এক ধরনের আসক্তি বাড়ায়। আর এই আসক্তির জেরে যে কোনও বিষয়ে আসক্তির প্রবৃত্তি বাড়ায়। এর জেরে সামাজিক জীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে মেশা ও মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কমে। ক্রমাগত লাইক, কমেন্ট এবং ফলোয়ার বাড়ানোর ইচ্ছে এই আসক্তিকে আরও বাড়িয়ে তোলে‌। ফলে জটিলতা আরও বাড়ে।

    মনঃসংযোগ নষ্ট করে (Social Media)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটালে মনোসংযোগ নষ্ট হয়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় অধিকাংশ ভিডিও খুব কম সময়ের হয়। তার জেরে বড় কোনও ছবি দেখা কিংবা দীর্ঘ সময় একটি বই পড়ার জন্য যে‌ ধরনের ধৈর্য্য দরকার তা থাকে না। দীর্ঘ সময় ধরে একটা কাজ যত্ন করে করার জন্য যে ধরনের ক্ষমতা প্রয়োজন হয়, মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতা কমতে থাকে। যে কোনও কাজে মনঃসংযোগ হারায়। কোনও কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করতে হলে এক ধরনের বিরক্তি তৈরি হয়। যার প্রভাব কাজে পড়ে।

    ড্রাই আইয়ের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে

    সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) অতিরিক্ত সময় কাটানোর ফলে চোখের শুষ্কতার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। এমনই জানাচ্ছেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ড্রাই আই কিংবা চোখের শুষ্কতার মতো রোগ অর্থাৎ, চোখ দিয়ে লাগাতার জল পড়া, চোখ জ্বালা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া আর চোখে এক ধরনের যন্ত্রণা অনুভব হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মোবাইলের স্ক্রিনের আলো দীর্ঘ সময় চোখে পড়ার জেরে বিশেষত রাতে অন্ধকার ঘরে দীর্ঘ সময় মোবাইল দেখার জেরে এই চোখের শুষ্কতার সমস্যা বাড়ে।

    সমস্যা এড়াতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Social Media)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন জীবনের ওতোপ্রোত অংশ। কোনও ভাবেই তাকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া যাবে না। বিনোদন এবং সামাজিক যোগাযোগ ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ঘোষণা, সরকারি তথ্যও অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানতে পারা যায়। তাই এই প্ল্যাটফর্মগুলো বাদ দেওয়া যাবে না। তবে কতটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাদ্দ থাকবে, সে নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ সতর্ক না থাকলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বাড়বে। কখনই একটানা আধঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানো যাবে না। পাশপাশি , কোনও জরুরি কাজের মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) সময় কাটানোর অভ্যাস বাদ দিতে হবে। তবেই মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Eye Protection: একরত্তির চোখে চশমা! সন্তানের চোখ ভালো রাখতে কী করবেন?

    Eye Protection: একরত্তির চোখে চশমা! সন্তানের চোখ ভালো রাখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাওয়ার সময় হোক কিংবা স্কুলের হোম ওয়ার্ক শেষ করা,‌ অধিকাংশ শিশুর চোখ আটকে থাকছে‌ মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে। পড়াশোনা থেকে বিনোদন, সবটাই এখন নির্ভর করে ইন্টারনেটের ওপর। তাই বাড়ছে চোখের সমস্যা। কারণ স্ক্রিন টাইমের জেরে চোখের ভিতরের জল শুকিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকে ড্রাই আই-এর সমস্যা বাড়ছে। আর তার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে দৃষ্টিশক্তি কমছে। খুব কম বয়স থেকেই বহু শিশুকেই চশমা পরতে হচ্ছে। সন্তানের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে চিন্তিত বহু অভিভাবক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে তাই খাবারে বিশেষ নজরদারি (Eye Protection) জরুরি।

    কীভাবে সন্তানের চোখের যত্ন নেবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের স্ক্রিন টাইম নিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, কতক্ষণ একটানা মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে সন্তান চোখ রাখবে, সেটা নির্ধারণ করে দিতে হবে। পাশপাশি দিনে একাধিকবার চোখ পরিষ্কার জলে ধুতে হবে। তবে এই সবকিছুর পাশাপাশি নজর দিতে হবে কোন ধরনের খাবার খাওয়া হচ্ছে। কারণ, কিছু ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে (Eye Protection)।

    কোন খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা? (Eye Protection)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত ছোট মাছ খাওয়া জরুরি। পুঁটি, মৌরলা, ছোট চিংড়ির মতো মাছ নিয়মিত খেলে চোখের উপকার হয়। দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। কারণ এই মাছে ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি থাকে। যা চোখের জন্য উপকারী (Eye Protection)। এর পাশাপাশি নিয়মিত আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমলকিতেও ভিটামিন ই থাকে। তাই নিয়মিত খাওয়ার পরে আমলকি খেলে চোখ ভালো থাকে। 

    যষ্ঠিমধু ও ডিমের কুসুম 

    যষ্ঠিমধু চোখের জন্য বাড়তি উপকারী বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধে সঙ্গে যষ্ঠিমধুর গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খেলে চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা কমে। নিয়মিত ডিম খেলে বিশেষত ডিমের কুসুম খেলে চোখের একাধিক সমস্যা কমে (Eye Protection) বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমের কুসুমে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। শরীরে ভিটামিন, বি, সি এবং ই-র মূল জোগান দেয় ডিমের কুসুম। তাই নিয়মিত ডিম খেলে চোখের সমস্যা কমে। 

    পালং, পুঁই, লাউয়ের মতো শাক (Eye Protection)

    সন্তানকে নিয়মিত বিভিন্ন রকম শাক খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সবুজ শাক যেমন, পালং, পুঁই, লাউয়ের মতো শাক নিয়মিত খেলে চোখ ভালো থাকে। কারণ এই ধরনের শাক চোখকে ইউভি রশ্মি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এর জেরে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে (Eye Protection)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Eye Infection: একরত্তি শিশুও মোবাইলের স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে, শৈশবেই কমছে দৃষ্টিশক্তি?

    Eye Infection: একরত্তি শিশুও মোবাইলের স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে, শৈশবেই কমছে দৃষ্টিশক্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষা হোক বা শীত! যে কোনও ঋতু পরিবর্তনের সময়েই ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির মতোই ভোগান্তি বাড়ায় চোখের সংক্রমণ (Eye Infection)! চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে‌ যাওয়া কিংবা চুলকানির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। একরত্তি শিশুদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সংক্রমণ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সব সময় যে কনজাংটিভাইটিস হচ্ছে, এমন নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বছরে একাধিকবার শিশুরা চোখের সংক্রমণে ভুগছে।‌ যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন বারবার চোখে সংক্রমণ হচ্ছে? (Eye Infection)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দূষণের জেরে বাড়ছে সংক্রমণ। ফুসফুস হোক‌ বা চোখ, সংক্রমণ রোগের দাপট বাড়াচ্ছে দূষণ। বিশেষত বায়ু দূষণের জেরে চোখের সংক্রমণে সমস্যা বাড়ছে।‌ চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে গেল যেমন ‌শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বাড়ে। তেমনি, চোখ জ্বালা করে। তার জেরেই সংক্রমণ হয়। তাই শীতে অনেকের চোখে সংক্রমণের সমস্যা হয়। কারণ, ওই সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। 
    তাছাড়া, ছোট থেকেই এখন ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইলের পর্দায় চোখ রাখতে অভ্যস্থ অনেকেই।‌ আর এর জেরে সমস্যা আরও বাড়ছে।‌ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু শিশুই মোবাইলের স্ক্রিনে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকছে।‌ তাই চোখে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকী চোখ শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে (Eye Infection)। ফলে, এক ধরনের চুলকানি আর ব্যথা অনুভব হয়। যার জেরে শৈশবেই কমছে দৃষ্টিশক্তি।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা হবে‌?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি‌‌।‌ শিশুদের নিয়মিত ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাক, ব্রকোলির মতো খাবার খাওয়া জরুরি। এতে ভিটামিন এ, সি থাকে। তাই চোখের পক্ষে উপকারী। পাশপাশি, নিয়মিত ডিম সিদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কারণ ডিমে ল্যুটিন থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট‌ চোখের জন্য ভালো। এছাড়া, কাজু, পেস্তা, বাদাম খাওয়া জরুরি। এগলিতে ভিটামিন ই থাকে। যা মায়োপিয়ার ঝুঁকি কমায়। গাজর, বিট নিয়মিত খেলে চোখের রেটিনা সুস্থ থাকে (Eye Infection)। কারণ, এই সব্জিগুলিতে ক্যারোটিন আছে।‌
    খাবারের পাশাপাশি স্ক্রিন টাইমের উপরেও বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে পড়াশোনার সঙ্গে ল্যাপটপ, মোবাইল বিশেষ ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। তাই খুব কম বয়স থেকেই শিশুদের ল্যাপটপ, মোবাইলে সময় কাটাতে হয়। অভিভাবকদের নজর দিতে হবে, যাতে বিনোদনের জন্য শিশুরা এই ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে নির্ভর হয়ে না‌ পড়ে। কতক্ষণ একজন‌ শিশু স্ক্রিন টাইম কাটাচ্ছে, সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি জরুরি। কারণ, স্ক্রিন টাইম না কমালে, চোখের সমস্যা কমবে না। 
    নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস দেহের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে।‌ এর ফলে, প্রত্যেক অঙ্গে ঠিকমতো অক্সিজেন সরবরাহ হয়। শরীর সুস্থ থাকে। চোখও ভালো থাকে। পাশপাশি ধ্যান যোগাভ্যাসের অন্যতম অংশ।‌ এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশপাশি চোখের বিশ্রাম হয়। যা খুব জরুরি। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাসের অভ্যাস থাকলে শিশুদের চোখ ভালো থাকবে (Eye Infection)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share