Tag: SDRF

SDRF

  • Flood Relief: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    Flood Relief: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় বিধ্বস্ত (Flood Relief) উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র এবং ডিভিসিকে দোষারোপ করছেন। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের বন্যায় ৪৬৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Amit Shah) তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে বন্যার জেরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি দল পাঠানো হবে। সেই কেন্দ্রীয় দল যে রিপোর্ট দেবে, তার উপর ভিত্তি করে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত সাহায্যের অনুমোদনও দেওয়া হবে।

    কেন্দ্রের সাহায্য

    বন্যা মোকাবিলায় (Flood Relief) মঙ্গলবার রাজ্যকে ৪৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও ১৩টি রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৪টি রাজ্যের জন্য ৫৮৫৮.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা এক্স হ্যান্ডলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্র যে রাজ্যগুলির পাশে রয়েছে, সেকথা জানান তিনি। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্টার মিনিস্ট্রিয়াল সেন্ট্রাল টিম (আইএমসিটি) বিভিন্ন রাজ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই আইএমসিটি বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রক্রিয়া মেনে এনডিআরএফ থেকে আরও আর্থিক সাহায্য করা হবে। চলতি বছরে ২১টি রাজ্যকে সবমিলিয়ে ১৪ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    দোষারোপের পালা

    রাজ্যে বন্যার (Flood Relief) জন্য ডিভিসিকে তোপ দেগে কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সাহায্যেরও আবেদন জানান তিনি। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছর বর্ষায় ভারী বৃষ্টি, বন্যা, ধসের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে এই রাজ্যগুলি। সে কারণেই অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্য ছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সেনা, বায়ুসেনার দল পাঠানো হয়েছে। আগে বহুবার কেন্দ্রের উপর আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তবে সবসময়ই রাজ্যের দোষারোপকে উপেক্ষা করেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা

    Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে এক নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Rescue) মধ্যে আটকে পড়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র এবং এই যন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গে করা হবে উদ্ধার কাজ। গত রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকেই ওই সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রায় ১২০ ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের মধ্যে জমে থাকা ধ্বংসস্তূপকে সরিয়ে ২৫ মিটার পর্যন্ত প্রবেশ করা গিয়েছে। ফলে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা। উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ডের চারধাম বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী তীর্থস্থানগুলিতে সংযোগ আরও সরল করতে এই সুড়ঙ্গ পথের কাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ বিপত্তি ঘটে সুড়ঙ্গে।

    ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের বক্তব্য (Uttarkashi Tunnel Rescue)

    ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে ৯০০ মিলিমিটার ব্যাস এবং ৬ মিটার দীর্ঘ দুটি পাইপ সম্পূর্ণ ঢোকানো হয়েছে। প্রায় ৪৫ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের ভিতরে ড্রিল করে ঢোকাতে হবে। ২৪ টন ওজনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র ঘণ্টায় ৫ মিটার করে সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে। তবে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে শক্ত কিছু পড়লে সাময়িক ভাবে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখতে হয়। এই উদ্ধার কাজে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বিআরও এবং আইটিবইপির মোট ১৬৫ জন কর্মী উদ্ধার কাজে নেমেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    ন্যাশনাল হাইওয়েস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের বক্তব্য

    ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে (এনএইচআইডিসিএল) ডিরেক্টর আংশু মনীশ খালখো বলেছেন, “গ্যাস কাটার ব্যবহার করে ধাতব অংশ কাটার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বর্তমানে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রয়েছে। প্ল্যান বি সফল হবে বলে আশা রাখছি। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি আমরা সাফল্য পাবো। যন্ত্রের যাতে কোন ক্ষতি সাধন না হয় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। থাইল্যান্ড এবং নরওয়ের অভিজ্ঞ উদ্ধারকারীদের এই উদ্ধার (Uttarkashi Tunnel Rescue) কাজে সংযুক্ত করা হয়েছে।”

    খাবার, জল, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে

    সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবর, জল, অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ওয়াকি-টকির মাধ্যমে উদ্ধারকারীরা (Uttarkashi Tunnel Rescue) আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সুড়ঙ্গের কাছেই একটি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলিকে সতর্ক রাখা হয়েছে। উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যাতে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়েও সচেতন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel: বাইরে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স, কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে আসবেন সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকরা

    Uttarkashi Tunnel: বাইরে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স, কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে আসবেন সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে একে একে বেরিয়ে আসবেন আটক ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধারকারী দল তাঁদের প্রায় কাছে পৌঁছে গিয়েছে। আটক শ্রমিকদের বের করার পরে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে জেলা হাসপাতালে। সেই মতো সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel) বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই এই অ্যাম্বুল্যান্সগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দলও প্রস্তুত রয়েছে। তাঁরাই সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    প্রস্তুত রয়েছে  চিনিয়ালিসৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

    প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে জেলা হাসপাতালে। ইতিমধ্যে শ্রমিকদের (Uttarkashi Tunnel) পরিবারগুলিকে প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে আপনারা প্রস্তুত থাকুন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও। প্রথমে যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে সেই চিনিয়ালিসৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবং প্রতিটি বেডের সঙ্গে অ্য়াটাচ করা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। এর পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কোনও শ্রমিকের (Uttarkashi Tunnel) অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ভর্তি করানো হবে ঋষিকেশের এইমসে।

    শুক্রবার থেকে ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ

    আর ১০-১২ মিটার বাকি থাকতেই গত শুক্রবার হঠাৎ ভেঙে পড়ে অগার মেশিন। মেশিনের বিকল যন্ত্রপাতিগুলি সোমবার সকালে বের করে উদ্ধারকারী দল। এর পরই শুরু হয় ম্যানুয়াল ড্রিলিং অর্থাৎ হাত দিয়ে খোঁড়ার কাজ। শাবল, গাঁইতি দিয়ে উদ্ধারকারী দল খুঁড়তে থাকে সুড়ঙ্গ। গত ১২ নভেম্বর থেকে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। সুড়ঙ্গের মধ্যে শ্রমিকরা রয়েছেন সুস্থই। খাবার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। ইদানিং তাঁদের জন্য পাঠানো হচ্ছে বেরি ও অন্যান্য ফল। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মনোবিদরাও। সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel) মাত্র ৪১ মিটার ফাঁকা জায়গায় আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁরা যাতে মনোবল হারিয়ে না ফেলেন, তাই সুড়ঙ্গে পাঠানো হয়েছে লুডো, দাবা এবং তাস। শ্রমিকরা সেখানে চোর-পুলিশও খেলছেন বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur landslide: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    Manipur landslide: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা ধসে বিপর্যস্ত মণিপুর (Manipur)। এবার ধসের (Landslide) কবলে পড়ল টেরিটোরিয়াল আর্মির (Army) সদস্যরা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। নামানো হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী ও আসম রাইফেলের জওয়ানদের। এখনও পর্যন্ত দশজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এঁদের মধ্যে ৯ জন সেনা। একজন রেলের কর্মী। উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ জন সেনা বহিনীর কর্মী ও ৫ জন সাধারণ মানুষকে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ থেকতে ৫০ জন ধসে আটকে রয়েছে।

    এদিন নোনে জেলায় ধসের মুখে পড়ে ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির একটি ক্যাম্প। মৃত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান,  ইম্ফল-জিরিবাম রেলওয়ে প্রজেক্টের কাজ চলছিল বলেই নিরাপত্তার জন্য সেখানে মোতায়েন ছিলেন জওয়ানরা। বুধবার রাতে তুপুল ইয়ার্ড রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ক্যাম্পের কাছে ধসের ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ ৫০ জনের মধ্যে পাঁচ জন সাধারণ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। ব্যাপক ধসে ইজেই নদীর একাংশ প্রায় রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে নিচু এলাকা বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা।

    আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    ধসের কারণে আটকে যায় অনেকে। কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় জনা পঞ্চাশেক মানুষ। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন নতুন করে ধস হয়। সেনা বাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, আবহাওয়াও খারাপ হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে বেশ কিছুক্ষণ উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে ফের উদ্ধারকাজ শুরু হয় জানান তিনি। ঘটনাস্থলে রয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টার।

    পরিস্থিতি নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, মণিপুরের টুপুল রেলস্টেশনের কাছে ধসের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। আরও দুটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তিনি জানান, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আরও দু’টি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জরুরি বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। লোকজনকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নদীর কাছাকাছি না আসার এবং ধসের কারণে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল।

    স্থানীয়দের মতে, বেশ কয়েকদিন ধরে মণিপুরে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। এই সময় ধসের প্রবণতা অনেকটাই বেশি থাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল।

  • Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একমাসের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম (Assam Flood)। বন্যার জল সামান্য নামলেও, এখনও ২২ জেলার ২২৫৪ গ্রামে ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ১৩৪ জন মানুষ জলে ডুবে বা ভূমি ধ্বসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে দুই শিশুসহ মোট আট জনের। যে জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেগুলি হল, বাজালি, বকসা, বরপেটা, কাছার, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ডিমা হাসাও, গোয়াল পাড়া, গোলাঘাট, হাইলা কান্ডি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শোণিতপুর, তামুলপুর এবং উদালগুড়ি। 

    রাজ্যজুড়ে এখনও ১,৯১,১৯৪ লক্ষ মানুষ ৫৩৮টি আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। ১৮ জেলায় ৭৪,৬৫৫ হেক্টর ফসলের জমি এখনও জলের তলায়। শতাধিক বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজ, খাল, বাঁধ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ। 

    বরপেটা জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। ৬,১৪,৯৫০ জন ক্ষতিগ্রস্থ। এরপরেই রয়েছে নওগাঁ, ৫,১৩,০৬১ জন ক্ষতিগ্রস্থ। কাছার জেলায় ৪,৭৭,১৬৫ জন ক্ষতিগ্রস্থ।  

    আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় মৃত ৮২, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭ লক্ষ! মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন অমিত শাহের

    পানীয় জলের কষ্ট দেখা দিয়েছে শিলচর জেলায়। শিলচরে ভারতীয় বিমান বাহিনী আকাশ পথে ত্রাণ বিতরণ করছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী হাত লাগিয়েছে।

    আনম্যানড এরিয়াল ভেইকেল (UAV) শিলচরে বন্যা কবলিত এলাকার ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: অসমের চিরাংয়ে দুর্গতদের উদ্ধারে দমকল, যে কোনও মুহূর্তে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা

    [tw]


    [/tw]

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) শনিবার আকাশপথে শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এই নিয়ে তিনি দুই বার শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান। তিনি বন্যাকবলিত মানুষকে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে আসাম প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়েছে। গত দুদিন বৃষ্টি কমায় জোড় কদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার আসামের চার জেলায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।    
     

     

  • Assam Flood: উত্তর-পুর্ব ভারতে বন্যায় মৃত ৭১, শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লক্ষ মানুষ

    Assam Flood: উত্তর-পুর্ব ভারতে বন্যায় মৃত ৭১, শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লক্ষ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে আসাম তথা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation)। আসামে (Assam) বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশু-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা গিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মীও।  

    চলতি বছরে পর পর দুবার বন্যায় এবং বন্যার কারণে ধসে আসামে মোট ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাজালি, বক্সা, বরপেটা, কাছাড়-সহ ৩৩ টি জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বরপেটার। ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে ৭৪৪ টি আশ্রয় শিবির। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ। 

    আরও পড়ুন: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪  
     
    শুধু আসামেই বন্যার কারণে ৪২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। কাছাড় জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বরপেটায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। বাজালি, কামরূপ, করিমগঞ্জ, উদলগুড়িতে এক জন করে মৃত্যু হয়েছে। ডিব্রুগড়ের নৌকাডুবিতে চারজন এখনও নিখোঁজ। কাছাড়, হোজাই, তমুলপুর, উদলগুড়ি থেকেও এক জন করে নিখোঁজ।

    আরও পড়ুন: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম, মৃত বেড়ে ৫৪, ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ লক্ষের বেশি  
     
    বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা। ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন গজরাজ’। ভারতীয় সেনার সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত মিলিয়েছে, আধা সেনা (Para Military), জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) এবং দমকল বাহিনীও (Fire Brigade)। সূত্রের খবর, জলের তলায় রয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি গ্রাম। শুধুমাত্র বরপেটা জেলার প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। এছাড়াও নওগাঁওয়ের প্রায় ৪ লক্ষ এবং দেলগুয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। অসমের ২৫টি জেলার ১০ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লক্ষ গবাদি পশু। এমনকী কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের বেশ কিছু অংশও রয়েছে জলের তলায়। বন্যা কবলিত লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় শিবিরে। অনেকের কাছেই এখনও পৌঁছনো যায়নি ত্রাণ।     

    উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে (North-Eastern India) এই বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৭১ জন। এর মধ্যে রয়েছেন অরুণাচল প্রদেশের সম্ভবনাময় এক ১৬ বছরের বক্সার। ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।  

    কামরূপে নদীর জল শেষ বন্যার থেকে .৩৩ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। এর আগে যখন সবচেয়ে বন্যা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল, তখন নদীএর জলের উচ্চতা ছিল ৬১.৭৯ মিটার। ব্রহ্মপুত্র, মধুরার জল বিপদ সীমার বেশ খানিকটা ওপর দিয়ে বইছে। এখনই কমছে না বৃষ্টিপাত, সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।  

     

LinkedIn
Share