মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপান, চিন, কোরিয়া, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে পরিচিত সামুদ্রিক শৈবাল (Seaweed)। এই খাদ্য নিয়ে এখন ভারতেও চলছে জোর চর্চা। বিশাখাপত্তনমের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ টেকনোলজি (CIFT) সামুদ্রিক শৈবালের সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণ নিয়ে অনেক তথ্যই সামনে এনেছে।
স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হল সামুদ্রিক শৈবাল (Seaweed)
অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষজন সামুদ্রিক শৈবালের স্বাস্থ্যগুণ বিবেচনা করে নিয়মিত এটি খেতেও শুরু করেছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটা সময় ছিল যখন সামুদ্রিক শৈবালকে কেবল একটি সমুদ্রের আগাছা হিসেবে বিবেচনা করা হত কিন্তু এখন, এটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, তামা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে।
কেন্দ্রীয় সরকারও এর ব্যবহার বৃদ্ধিতে (Seaweed) জোর দিচ্ছে
কেন্দ্রীয় সরকারও ‘নীল বিপ্লব’ এবং প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক শৈবালের (বিশেষ করে কাপ্পাফাইকাস, গ্র্যাসিলারিয়া, উলভা এবং সারগাসাম) ব্যবহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে সবাইকে।
সামুদ্রিক শৈবালের (Seaweed) রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পারকিনসন্স ডিজিজ বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাওয়া দ্বিতীয়-সবচেয়ে সাধারণ ডিজেনারেটিভ রোগ। পারকিনসন্স রোগ নড়াচড়াকে প্রভাবিত করে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যে সামুদ্রিক শৈবাল পারকিনসন্স রোগের অগ্রগতি ধীর করতে সক্ষম হতে পারে। অন্যদিকে গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে সামুদ্রিক শৈবাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং এমনকি শরীরকে (Powerhouse Of Nutrients) সালমোনেলা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
সমুদ্রের শৈবাল নয়, এটা হল সবজি, বলছেন গবেষকরা
গবেষকরা জানাচ্ছেন, পালং শাকের (Powerhouse Of Nutrients) মতো সামুদ্রিক শৈবালকে কেবল আগাছা নয়, একটি সমুদ্রের সবজি হিসেবেই দেখা উচিত। ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস,কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় সামুদ্রিক শৈবাল। এর পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।