মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুই দিনে মণিপুর (Manipur) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জন জঙ্গিক। একথা জানিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে কুকি ন্যাশনাল আর্মির সাতজন সদস্য রয়েছে। যাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ। গত শুক্রবার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে (Security Forces) কুকি ন্যাশনাল আর্মির জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার হুইকাপ গ্রামে অভিযান (Manipur)
অন্যদিকে গতকাল শনিবার ইম্ফল (Manipur) পূর্ব জেলার হুইকাপ গ্রামে আরেকটি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে, এই অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন কাঙ্গেলিপাক কমিউনিস্ট পার্টি (পিডব্লিউজি গ্রুপ) এর চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে দুই মহিলাও রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই জঙ্গিদের (Manipur) কাছ থেকে দুটি AK-47 রাইফেল, পিস্তল, গুলি ও বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)
গত বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’
উত্তপ্ত মণিপুর
গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য। সম্প্রতি জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।