Tag: Shah Jahan

Shah Jahan

  • Bandel Church: ব্যান্ডেল চার্চের জন্য ৭৭৭ বিঘা জমি দিয়েছিলেন শাহজাহান, কেন জানেন?

    Bandel Church: ব্যান্ডেল চার্চের জন্য ৭৭৭ বিঘা জমি দিয়েছিলেন শাহজাহান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার খুব কাছেই হুগলি জেলার এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং পিকনিক স্পট ব্যান্ডেল।.এক সময় এখানে আধিপত্য ছিল পর্তুগিজদের। ১৫৩৭ সালে নবাবকে সাহায্য করার বিনিময়ে পর্তুগিজ অ্যাডমিরাল সাম্পাইরো এখানে পর্তুগিজ কলোনি গড়ে তোলার অনুমতি পান। ১৫৭১ সালে তাঁরা এখানে একটি বন্দর গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। ১৫৭৯ তে মুঘল সম্রাট আকবর এখানে পর্তুগিজদের নগর পত্তনের অধিকার দেন এবং ওই একই সময় পর্তুগিজরা এখানে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এজন্য তাঁরা গোয়া থেকে অগাস্টিয়ান (Augustian) সন্ন্যাসীদের নিয়ে আসেন। ১৫৯৯ তে নির্মিত হয় এই ‘ব্যান্ডেল চার্চ’ (Bandel Church)। পর্তুগিজদের গড়া রোমান ক্যাথলিক এই চার্চই হল এখানকার প্রধান আকর্ষণ। এটিই হল বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন চার্চ।

    চার্চের জন্য অর্থবরাদ্দ (Bandel Church)

    মুঘলদের আক্রমণের ফলে এই চার্চটির একবার ক্ষতিও হয়। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আদেশে এই চার্চের ফাদার জোয়ান দ্য ক্রুজ (Joan Da Cruz) সহ বেশ কয়েকজন খ্রিষ্টানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রা ফোর্টে। শাহজাহানের আদেশে তাঁদের হাতির পায়ের তলায় পিষে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে ফাদার জোয়ানের জন্য নির্দিষ্ট হাতিটি ফাদারকে পদপিষ্ট না করে তাঁকে পিঠে বসিয়ে সম্রাটের কাছে নিয়ে যায়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে হাতিটি এমন আচরণ করে যেন মনে হয় সে সম্রাটের কাছে ফাদারের প্রাণভিক্ষা করছে। হাতিটির হাঁটু মুড়ে ফাদারের এইভাবে প্রাণভিক্ষার চেষ্টা দেখে সম্রাটের হৃদয় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে এবং তিনি ফাদারসহ বাকি বন্দিদেরও মুক্তি দেন। শুধু তাই নয়, তিনি চার্চটিকে সংস্কার করার জন্য বেশ কিছু অর্থ বরাদ্দ করেন এবং ৭৭৭ বিঘা জমি দেন চার্চের জন্য ১৬৩৩ সালে (Bandel Church)।

    দেখার আছে অনেক কিছুই

    চার্চটির সামনের অংশ গ্রিসের ডোরিক স্থাপত্যে নির্মিত। ভিতরে যিশুর জীবনের বিভিন্ন আখ্যান তুলে ধরা হয়েছে পেইন্টিংয়ে। এই অসাধারণ স্থাপত্য এবং শিল্পকর্ম উৎসর্গ করা হয়েছে নোসা সেনোরা ডি রোজারিওকে। কাঁচের পাত্রে রাখা আছে তাঁর মুর্তি। এর পাশেই মা মেরির আবির্ভাবস্থানে ১৮৫৮ সালে লুর্ভের রেপ্লিকার অনুকরণে গুহা তৈরি করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে এই চার্চকে ব্যাসিলিকা বা ঈশ্বরের প্রাসাদ (Bandel Church) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৮ অক্টোবর এই চার্চের ৩৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গঙ্গার তীরে মা মেরির স্মরণে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ক্রশ মেমোরিয়াল অল্টার’। এছাড়াও এখানে অন্যতম দ্রষ্টব্য প্রার্থনা গৃহ, সমাধি, একটি সুবিশাল জাহাজের হাল প্রভৃতি। আর আছে গঙ্গার অপরূপ মোহময়ী রূপ। ইচ্ছে হলে বা হাতে সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন নিকটবর্তী ইমামবাড়া। ১৮৬১ সালে দানবীর হাজি মোহম্মদ মহসিন প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই মার্বেল পাথরের অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। দেখে নিন সূর্য ঘড়ি এবং ৩৫ মিটার উঁচু ক্লক টাওয়ারটিও।

    যাবেন কীভাবে? (Bandel Church)

    যাতায়াত-হাওড়া স্টেশন থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ট্রেন যাচ্ছে ব্যান্ডেল। দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। এখানে থাকার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। কলকাতা থেকে সকালে এসে সারা দিন ঘুরে আবার সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়া যায় কলকাতায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Biryani: মহাভারতের সেই ‘পলান্ন’ই কি আজকের বিরিয়ানি? কী বলছে ইতিহাস?

    Biryani: মহাভারতের সেই ‘পলান্ন’ই কি আজকের বিরিয়ানি? কী বলছে ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকাল বাইরের খাবার খেতে মানুষ এতটাই পছন্দ করে যে, বাজারে নতুন নতুন খাবারের সন্ধানও মেলে সহজে। নানা পদের খাবার আজ হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। তবে যে যাই বলুক না কেন, বিরিয়ানির (Biryani) সঙ্গে কিন্তু কোনও খাবারের তুলনাই চলে না। বিখ্যাত কয়েকটি পদের মধ্যে একটি হল বিরিয়ানি। ভারতের কলকাতা, দিল্লি, লক্ষ্নৌ, হায়দরাবাদের বিরিয়ানি আজ বিশ্ববিখ্যাত। যেমন খেতে সুস্বাদু, তেমন এর চাহিদা। গোটা ভারত জুড়ে রমরমিয়ে চলছে এই পদটি। কখনও মটন, কখনও বা চিকেন, যে কোনও বিরিয়ানি আজ এতটাই জনপ্রিয়, যা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গেছে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এই বিরিয়ানির উৎপত্তি কোথা থেকে? কী এই বিরিয়ানির ইতিহাস?

    কীভাবে ভারতে জনপ্রিয় হল বিরিয়ানি?

    এই জনপ্রিয় পদটির উৎপত্তি নিয়ে অনেক মতবিরোধ আছে। ইতিহাস ঘাঁটলে এর সম্বন্ধে অনেক মতামত আমাদের চোখে পড়ে। কেউ কেউ বলেন, আরবের ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই ভারতে আসে এই বিরিয়ানি (Biryani)। তবে প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী ভারতে বিরিয়ানির উৎপত্তি মুঘল বাদশাদের হাত ধরেই। শাহজাহানের শাসনকালে তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম সৈন্যদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে চান এবং দেখেন, সৈন্যদের বেশিরভাগ ক্লান্ত, করুণ অবস্থায় রয়েছে তারা। তখন তাঁর মাথায় প্রশ্ন আসে, এরকম হলে তারা বাঁচবে কী করে বা যুদ্ধই করবে কী করে? তখন মমতাজ এক উপায় বের করেন। তিনি রান্নাঘরে খানসামাকে আদেশ দেন, সৈন্যদের জন্য এমন একটি পদ তৈরি করতে হবে, যেটি খেলে তাদের শরীরে শক্তি আসে এবং তারা সুস্থ থাকে। সেই সূত্রেই তিনি বলেন যে মশলা সহযোগে ভাতের সঙ্গে মাংস মিশিয়ে একটি পদ তৈরি করতে, যা খেলে শক্তি তো আসবেই। সঙ্গে পেটও ভরে থাকবে অনেকক্ষণ। আর সেই থেকেই নাকি উৎপত্তি বিরিয়ানির। আধুনিক শেফরা আবার বলছেন, এই বিরিয়ানি নাকি এমন একটি পদ যা দেওয়ান ই আম থেকে দেওয়ান ই খাস-এ পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ মুঘলদের এই পদ রাজ পরিবারে খাস হওয়ার আগে থেকেই সাধারণ মানুষ এবং সৈন্যসামন্তরা এই খাবার খেতেন। মুঘলরা ভারতে আসার ১০০ বছর আগেও এই বিরিয়ানির মতো পদের অস্তিত্ব ছিল।
     
    মহাভারতেও এমন এক পদের নাম পাওয়া যায়, সেটাই কি আজকের বিরিয়ানি?

    মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনা আমাদের জানা। এই মহাভারতেরই অনেক জায়গায় একটি শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেটি হল ‘পলান্ন’। কোথাও ধৃতরাষ্ট্র যুধিষ্ঠিরকে এই ‘পলান্ন’ খাওয়ার কথা বলেছেন, আবার কোনও জায়গায় দ্রৌপদী ও পাণ্ডবরাও এই পদ খেতেন। কী এই  পলান্ন? এই শব্দটির সংস্কৃত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পল শব্দের অর্থ মাংস এবং অন্ন শব্দের অর্থ ভাত। অর্থাৎ মাংস মিশ্রিত ভাতকেই পলান্ন বলা হত। তাহলে সেই পলান্নই কি আজকের বিরিয়ানি (Biryani)? এমনটাই মনে করা হয় আজকের দিনে দাঁড়িয়ে। অনেক ঐতিহাসিক একে বিরিয়ানির পূর্ব পদ বলেও অভিহিত করেছেন।  তবে আবার কেউ কেউ বলছেন, ভাত আর মাংস মিশ্রিত করলেই সেটি যে বিরিয়ানি, এমনটা নয়। তাই এই বিরিয়ানির উৎপত্তি নিয়ে আজও মতবিরোধ আছে পুরোমাত্রায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Taj Mahal: তাজমহল কি শাহজাহান নির্মাণ করেননি? এএসআইকে তথ্য সন্ধানের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Taj Mahal: তাজমহল কি শাহজাহান নির্মাণ করেননি? এএসআইকে তথ্য সন্ধানের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল (Taj Mahal) নির্মাণ করেননি। সেই সঙ্গে ইতিহাস বইতে থাকা এই ভুলকে সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। আর তাই শুক্রবারের শুনানিতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) বা ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এই ঘটনায় রীতিমতো তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

    মামলায় আবেদনকারীর বক্তব্য

    স্ত্রী মমতাজের স্মৃতির উদ্দেশে সম্রাট শাহজাহান যে তাজমহল (Taj Mahal) নির্মাণ করেছেন তা সত্য ইতিহাস নয়! এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন হিন্দু সেনা সংগঠনের সভাপতি সুরজিৎ সিং যাদব। তাঁর মূলত দাবি, রাজা মান সিংয়ের প্রাসাদকে সংস্করণ করেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। তাজমহল শাহজাহানের সৃষ্টি নয়। আর এই দাবিতে ইতিহাসের বইকে ঠিক করে ইতিহাসের প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরার দাবি করেন তিনি।

    ‘তাজ মিউজিয়াম’ সম্পর্কে একটি বইয়ের কথা উল্লেখ বলে সুরজিৎ আরও বলেন, “মমতাজের মৃত্যুর সময় একটি ভালো প্রাসাদকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এই প্রাসাদটি হল সম্রাট মান সিংয়ের প্রাসাদ। রাজার এই প্রাসাদকে ভেঙে, সেই জায়গায় তাজমহল নির্মাণ করা হয়েছে। আর তাই মান সিং এবং তাজমহলের সময়কে বিশ্লেষণ করে তথ্য জ্ঞাপন করুক এএসআই।”

    কী বলল দিল্লি হাইকোর্ট?

    গত শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চে তাজমহল (Taj Mahal) নিয়ে এই আবেদনের শুনানি করেন। আদালত নির্দেশ দেন, “এই মামলার আগেও একপ্রকার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টা এএসআইয়ের পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”

    আর কী দাবি?

    মামলার আবেদনকারী সুরজিৎ সিং যাদবের দাবি, তাজমহলের (Taj Mahal) নির্মাণ বিষয়ে এএসআই, জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার থেকে অসত্য তথ্যকে যাতে সরিয়ে ফেলা হয়, তার জন্য কেন্দ্র এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিক আদালত। তাজমহলের সত্যকে তুলে ধরে আরও বলেন, “এএসআই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে ১৬৪৮ সালে তাজমহল নির্মাণ হয়েছিল। তৈরি করতে সময় লেগেছিল ১৭ বছর। কিন্তু এই তথ্য পুরোপুরি ভুল। ১৬৩২ থকে ১৬৩৮ সালের মধ্যে সময়ে শাহজাহান, মানসিংয়ের প্রাসাদের সংস্করণ করেন। তাতে সময় লেগেছিল ১৭ বছর।” পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল সম্পর্কে আসল সত্য প্রকাশিত হোক এই কথাই বলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share