Tag: Shahi Idgah Mosque

Shahi Idgah Mosque

  • Krshina Janmabhumi: শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব, এএসআই রিপোর্টে দাবি

    Krshina Janmabhumi: শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব, এএসআই রিপোর্টে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরায় মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব। কাশীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ছিল আদি বিশ্বনাথের মন্দির, এই খবরের পর ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) সম্পর্কে বড় খবর প্রকাশ্যে এল। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছে এএসআই। শাহি ইদগাহ মসজিদের উপর রিপোর্ট তলব করে আরটিআই করলে তার সাপেক্ষে এএসআই এই ঐতিহাসিক সত্যকে উত্তরপত্রে উল্লেখ করে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ তথা এএসআই, কৃষ্ণ জন্মভূমির মন্দির কমপ্লেক্সের ১৯২০ সালের একটি গেজেটের তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেছে এএসআই (Krshina Janmabhumi)?

    ১৯২০ সালের নভেম্বর মাসে গেজেট থেকে আরটিআই-এর উত্তর দিয়ে তারা জানিয়েছে, “কাটরা ঢিবির অংশগুলি নাজুল প্রজাদের দখলমুক্ত ছিল। এক সময় সেখানে কেশবদেবের একটি মন্দির (Krshina Janmabhumi) ছিল। পরবর্তী সময়ে ওই মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। এই জায়গায় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে মসজিদ নির্মাণ করা হয়।”

    আরটিআই করে তথ্য জানা গিয়েছে

    মন্দির ভাঙা বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের ময়নপুরীর বাসিন্দা অজয় প্রতাপ নিজে আরটিআই করেন। এই আরটিআই-এর মাধ্যমে জানতে চান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের (Krshina Janmabhumi) বিষয়ে তথ্য। এরপর তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত ভারতের ১৯২০ সালের গেজেটের রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়, এখন যেখানে মসজিদ, সেখানে আগে কাটরা কেশবদের মন্দির ছিল। এরপর মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। একই ভাবে অজয় প্রতাপ খুব স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছিলেন, মন্দির ভাঙা হয়েছিল কিনা। কিন্তু আরটিআই-এর উত্তরে কৃষ্ণ জন্মভূমি শব্দের উল্লেখ না করলেও মসজিদের জমি যে কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির কমপ্লেক্সের, একথা বলা হয়েছে। মুঘল সম্রাট এই কেশবদেবের মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণের কথা উত্তরপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়। ফলে এএসআইয়ের রিপোর্টকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চাল্যকর তথ্য উঠে আসে।

    কৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নিয়াস সংগঠনের বক্তব্য

    কৃষ্ণ জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) মুক্তি নিয়াসের সভাপতি আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিং বলেন, “ব্রিটিশ শাসনকালে গণপূর্তি বিভাগ বিল্ডিং ও সড়ক বিভাগকে দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানের ৩৯টি স্মৃতিস্তম্ভের তালিকা। এরপর তাকে রেকর্ড করা হয় গেজেটে। ১৯২০ সালে এলাহবাদ হাইকোর্টে প্রকাশ করা হয় এই রিপোর্ট। এই তালিকার ৩৭ নম্বরে উল্লেখ করা হয় কেশবদেবের মন্দিরকে। এই তথ্যকে বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাই এই প্রামাণ্য তথ্যের উপর নির্ভর করে একটি কমিশন গঠনের জন্য আবেদন করা হবে।”

    শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির মূল বিবাদ কী?

    শ্রীরামের জন্মস্থান অযোধ্যা, বাবা বিশ্বনাথের আদি মন্দির জ্ঞানব্যাপীর মতো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) নিয়েও বিরাট বিবাদ তৈরি হয়েছে। হিন্দুদের দাবি, অযোধ্যায় রাম জন্মভূমির মন্দিরকে যেমন বাবরের সেনাপতি মীরবাকি ভেঙে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিল, ঠিক একই ভাবে মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব ১৬৭০ সালে শ্রীকৃষ্ণের কেশবদেবের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এই এলাকার মোট বিবদমান জমির পরিমাণ ১৩.৩৭ একর। যার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের জমির পরিমাণ ১০.৯ একর। বাকি আড়াই একরে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। উল্লেখ্য কংসের যে কারাগারে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সেই কারাগারের গা ঘেঁষেই মসজিদ নির্মাণ হয়। ফলে কারাগার এবং যমুনা নদী পর্যন্ত দীর্ঘ সুড়ঙ্গ মসজিদের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে দাবি হিন্দু পক্ষের। তাই পুরো জমিটাই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। এখানে মসজিদ অবৈধ নির্মাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shahi Idgah Mosque: কাশীর পর মথুরা! শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ আদালতের

    Shahi Idgah Mosque: কাশীর পর মথুরা! শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের পর এবারে মথুরার ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque)। জ্ঞানবাপীর বিতর্কের মাঝেই মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় এল নতুন মোড়। এবারে শাহি ইদগাহ মজসিদে (Shahi Idgah Mosque) সার্ভের নির্দেশ দিল মথুরার এক আদালত। আগামী ২ জানুয়ারি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ওই মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা করবে। ২০ জানুয়ারি ২০২৩-এর মধ্যে সার্ভের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হিন্দু সেনার তরফে দাবি করা হয়েছিল, ঔরঙ্গজেবের আমলে কৃষ্ণ জন্মভূমির উপর এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই শনিবার সমীক্ষার নির্দেশ দিল মথুরার আদালত।

    শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ মামলা

    মথুরার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। হিন্দু সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমিতে ১৭ শতকে এই শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque) তৈরি করা হয়েছিল। এই মসজিদের অপসারণের দাবি তুলে আদালতে হিন্দু সেনার তরফে অনেকগুলি মামলা করা হয়। তার মধ্যে একটি হল, হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত ও সহ-সভাপতি সুরজিত সিং যাদবের করা আবেদন। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এই আবেদনে জানানো হয়েছে, ১৬৬৯-১৬৭০ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে কৃষ্ণ জন্মভূমিতে কেশব দেব মন্দিরের ১৩.৩৭ একর জমিতে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। দিল্লির বাসিন্দা বিষ্ণু ও সুরজিত তথা হিন্দু সেনার তরফে করা ওই আবেদনে ১৯৬৮ সালে শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘ বনাম শাহি মসজিদ ইদগাহের মধ্যে করা চুক্তিকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    ফলে কৃষ্ণের জন্মভূমিতে ইদগাহ (Shahi Idgah Mosque) সরানোর দাবি তুলে মামলা হয় মথুরা আদালতে। সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই নির্মাণ নিয়ে হওয়া মামলায় বিস্তর বিতর্কও হয়। পরে অবশেষে আজ এই মসজিদে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হল মথুরা আদালতের তরফে। আদালতের আরও নির্দেশ, ওই জায়গায় সমীক্ষার পর কি তথ্য পাওয়া গেল তা আগামী ২০ জানুয়ারি আদালতে পেশ করতে হবে। এই সমীক্ষা করবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।

    এর আগে অনেকটা একইভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদের ক্ষেত্রেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেখানে ওই মসজিদের ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসী আদালত। ফলে এখানেও বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের মতই সমীক্ষা (Survey) করা হবে।

    উল্লেখ্য, হিন্দু সেনার এই আবেদন আগে খারিজ করে দিয়েছিল মথুরার জেলা আদালত। কারণ শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque) ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থান আইনের আওতায় আসে। ওই আইন যেকোনও উপাসনালয়ের স্থানান্তরকে নিষিদ্ধ করা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তৈরি হয়। তবে উপাসনালয়টি ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট থেকে সংশ্লিষ্ট জায়গায় থাকতে হবে। তাহলেই ওই আইন কার্যকর হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mathura Mosque: এবার মথুরার শাহি ইদগাহে উঠল আজান বন্ধের দাবি

    Mathura Mosque: এবার মথুরার শাহি ইদগাহে উঠল আজান বন্ধের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লাউডস্পিকার ব্যবহার করে আজান নিষিদ্ধ করার দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে। বৃহস্পতিবার নতুন করে মথুরা আদালতে আবেদন করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

    পরে, ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তিনি এবং আরও কয়েকজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থানে দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    আদালতে আরও একটি আবেদন করেছিলেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক। সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন মথুরার কাছে একটি আবেদনে দাবি করেন শাহি ইদগাহ মসজিদের ভিতরে থাকা লাড্ডু গোপালকে পবিত্র করার এবং সেখানে নিয়মিত পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।

    বৃহস্পতিবার আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অখিল ভারত হিন্দু কোষাধ্যক্ষ দীনেশ শর্মার দাবি, যেহেতু ইদগাহটি ছিল ভগবান কৃষ্ণের গর্ভগৃহ, তাই এখানে আজান হওয়া ঠিক না। তিনি বলেন, মসজিদের আশেপাশে যাঁরা বসবাস করেন, আজানের ফলে তাঁদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।দীনেশ বলেন, যেহেতু লাউডস্পিকারে আজান বন্ধের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাই এখানেও মাইকে আজান না হওয়াই উচিত।  

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া একটি কৃষ্ণের মন্দিরও রয়েছে, কাটরা দেব মন্দির। মসজিদের এলাকা আগে কেশব দেব মন্দিরের ছিল বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও মিলিয়ে যায়নি। এর মধ্যেই ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে মথুরার মসজিদ বিতর্ক।

  • Mathura Mosque Case: শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    Mathura Mosque Case: শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন মথুরা আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরার (mathura) কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ বিবাদ (Krishna Janmabhoomi-Shahi Idgah mosque controversy) মামলায় মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা (status quo) চেয়ে আবেদন জমা পড়ল সিভিল জজের (সিনিয়র ডিভিশন) আদালতে। শুক্রবার তিনটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এরই একটিতে মসজিদ (mosque) প্রাঙ্গনে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah mosque)। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Krishna Janmabhoomi)। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তিনি এবং আরও কয়েকজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মপালনের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থান দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি।

    আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?

    বিচারক জ্যোতি সিংয়ের এজলাসে আবেদনপত্রগুলি জমা দেওয়া হয়। আবেদন করেন দেবতা শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান এবং লখনউ নিবাসী মণীশ যাদব। এই মণীশই নিজেকে শ্রীকৃষ্ণের বংশধর বলে দাবি করেন। ২০২০ সালে মসজিদ স্থানান্তরিত করার দাবিও তুলেছিলেন ইনিই।

    আবেদনকারীদের দাবি, কাটরা কেশব দেবের ১৩.৩৭ একর জমির একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। এর আগে মসজিদে জরিপের আবেদন নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। গ্রীষ্মাবকাশের পর আদালত খুললে ১ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    জেলা সরকারি কাউন্সেল (সিভিল) সঞ্জাই গৌর বলেন, তিনটি নতুন আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে, দুজন সহকারী অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করতে হবে এবং অ্যাডভোকেট কমিশনার যখন মসজিদ পরিদর্শন করবেন, তখন ঘটনাস্থলে জেলাস্তরের আধিকারিকদের থাকতে হবে।

    স্থিতাবস্থা চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে আবেদনকারীরা দাবি করেছেন যে হিন্দুদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মসজিদের ভিতরে চাপা দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের আশঙ্কা, এই প্রমাণগুলি বিকৃত করা হতে পারে। তাই স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন।

     

  • Shahi Idgah mosque: ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান, নমাজ পড়া বন্ধের দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে

    Shahi Idgah mosque: ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান, নমাজ পড়া বন্ধের দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (Gyanvapi mosque) নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মন্দিরনগরী মথুরার (Mathura) শাহি ইদগাহ (Shahi Idgah Mosque) মসজিদে নমাজ পড়া বন্ধের আর্জি জানাল আইনজীবী এবং আইন পাঠরত ছাত্রদের একাংশ। আদালতে তাঁদের আবেদন, অতি সত্বর যেন শাহি ইদগাহ মসজিদে নমাজ পড়তে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হিন্দুত্বের প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে এই আশঙ্কায় মসজিদ চত্বর সিল করে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়।

    আবেদনকারীদের দাবি শাহি ইদগাহ মসজিদ আসলে কৃষ্ণের জন্মস্থান। ওই স্থানে একটি প্রাচীন মন্দির ছিল। আবেদনকারী এক আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘মসজিদের এই কাঠামো একটি হিন্দু মন্দিরের অবশিষ্টাংশের উপর তৈরি হয়েছে। এটি একটি মন্দির এবং এই কাঠামোর উপর মসজিদ হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।’’হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের দাবি, ইদগাহের ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি অনেক দিন ধরেই  দাবি জানিয়ে আসছে, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কৃষ্ণ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে তৈরি করেছিলেন ওই মসজিদ। ফলে ওই মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে। এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া কৃষ্ণের একটি মন্দিরও রয়েছে। মন্দিরের নাম কাটরা কেশব দেব মন্দির।

    শুধু নমাজ বন্ধ নয়, মঙ্গলবার হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে মথুরা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদের মতোই শাহী ঈদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। সেগুলোর সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির দাবিতে ইতোমধ্যেই একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় ঘোষণার আগেই ঈদগাহ থেকে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তাই অবিলম্বে পুরো চত্বরটি সিল করারও আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বলেন, “কাশীর তথাকথিত জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট দেখার পরে সোমবার আদালত ‘মা শৃঙ্গার গৌরিস্থল’ (মসজিদের ওজুখানা এবং তহখানা এলাকা) সিল করার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে প্রাচীন শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে। আমাদের আশঙ্কা, মথুরার শাহী ঈদগাহ থেকে এবার এমন ঐতিহাসিক প্রমাণগুলো নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা হবে। “এই মামলায় পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসের ১ তারিখ।

  • Sri krishna Janmabhoomi: কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ মামলা গ্রহণ করল মথুরার আদালত

    Sri krishna Janmabhoomi: কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ মামলা গ্রহণ করল মথুরার আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণ জন্মভূমির (Sri krishna Janmabhoomi) জমিতে শাহি ইদগাহ মসজিদ (shahi idgah mosque) গড়ে ওঠার অভিযোগ জানিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য। এমনটাই জানাল মথুরার আদালত (Mathura court)। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া সিভিল কোর্টের আদেশও বাতিল করে দিয়েছে জেলা আদালত।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা। আবেদনে দাবি করা হয়, ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের। ফলে, মসজিদ সরিয়ে ওই জমি মন্দিরকে হস্তান্তর করা হোক।

    ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি দায়ের করা হয়। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তাঁরা দাবি করেছিলেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থানে দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি। দু’পক্ষের শুনানি শেষে আদলত রায় সংরক্ষণ করে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    আদালতে আরও একটি আবেদন করেছিলেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক। দায়রা বিচারক সিনিয়র ডিভিশন মথুরার কাছে একটি আবেদনে তিনি দাবি করেন, শাহি ইদগাহ মসজিদের ভিতরে থাকা লাড্ডু গোপালকে পবিত্র করার এবং সেখানে নিয়মিত পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।

    ভারত দীর্ঘকাল মুসলমান শাসকের অধীনে ছিল। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের অভিযোগ, ওই সময়কালে বহু মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছে মসজিদ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে সবচেয়ে বেশি মন্দির ধ্বংস হয়েছিল বলে ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি। তাঁদের দাবি, এই সময়ই বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। এই মসজিদে শিবলিঙ্গ মিলেছে বলে দাবি এক আইনজীবীর। মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে যে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, তাও প্রমাণও মিলেছে এক ইতিহাস বইতে।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    এহেন আবহে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ নিয়ে বিতর্ক। গত ১৭ তারিখ এই বিতর্কিত ইদগাহ চত্বর সিল করার দাবিও মথুরার একটি আদালতে করেছিল আবেদনকারীরা। বিতর্কিত জায়গাটি সিল করা না হলে পরিবর্তিত হবে সম্পত্তির ধর্মীয় চরিত্র। মসজিদ চত্বরে নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়। 

    আবেদনে শাহী ইদগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা বাড়ানো, যে কোনও ধরনের চলাচল নিষিদ্ধ এবং নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের দাবিও জানানো হয়। পাশাপাশ, জ্ঞানবাপীর মতো এখানেও আদালত নিযুক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে গোটা চত্বরে ভিডিও সমীক্ষা চালানো হোক বলেও দাবি করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই এই আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

LinkedIn
Share