Tag: Shahjahan Sheikh

Shahjahan Sheikh

  • Jyotipriya Mallick: বালুর মদতেই ‘বাঘ’ হয়ে ওঠেন শাহজাহান? ইডির তদন্তে সামনে এল নতুন তথ্য

    Jyotipriya Mallick: বালুর মদতেই ‘বাঘ’ হয়ে ওঠেন শাহজাহান? ইডির তদন্তে সামনে এল নতুন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারো সংবাদ শিরোনামে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। সন্দেশখালির জেলবন্দি তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে (Shahjahan Sheikh) জমি দখলের ‘বেতাজ বাদশা’ তৈরির কারিগর ছিলেন তিনিই। সম্প্রতি ইডির তদন্তে উঠে এলো এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই বর্তমানে দিন কাটছে তাঁর। জামিনের আবেদন করেও সুরাহা হচ্ছে না। এবার সেই জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুরই নাম জড়াল সন্দেশখালির জমি দখল মামলায়। 

    ঠিক কী জানিয়েছে ইডি? 

    সোমবার জমি দখল মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেখানে জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ইডি যে চার্জশিট দিয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে, শাহজাহানকে  সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ তৈরির নেপথ্যে ছিলেন এই বালুই। বাম জমানা থেকে ধীরে ধীরে সন্দেশখালির বুকে শাহজাহানের প্রভাব বাড়তে শুরু করলেও ‘জ্যোতিপ্রিয়-যোগে’র পর সন্দেশখালিতে শাহজাহানের রমরমা বৃদ্ধি পায়। 
    যদিও সরাসরি জমি দখলের সঙ্গে বালু যুক্ত না থাকলেও, এ বিষয়ে শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) নাকি প্রশ্রয় পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছ থেকেই। এছাড়াও ইডির একটি সূত্র এও জানিয়েছে, সময়ে সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে বালুর থেকে সমর্থন পেয়েছেন শাহজাহান। 

    আরও পড়ুন: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! পূর্ব বর্ধমানে জখম ৫

    জমি দখল মামলাতেও বালু-শাহজাহান যোগ

    প্রসঙ্গত, এর আগে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বালুর (Jyotipriya Mallick) সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল শাহজাহানের। সেই সূত্র ধরে শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে ইডির তদন্তকারীরা হানাও দিয়েছিলেন। আর এ বার জমি দখল মামলাতেও বালু-শাহজাহান ‘যোগ’ প্রকাশ্যে এসেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ইডিরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রাক্তন মন্ত্রীর টাকা ‘পার্ক অ্যান্ড লন্ডার’-এর অভিযোগও রয়েছে। আইনি ব্যাখ্যায় যার অর্থ, কোনও একটি জায়গায় টাকা গচ্ছিত রাখা এবং তার পর তার বেআইনি লেনদেনের ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ, বালুর টাকা ‘উপযুক্ত’ ঠিকানায় জমা দিয়েছেন শাহজাহান। তার পর সেখান থেকে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে হাজার হাজার কোটির কালো টাকা সাদা করেছেন। এ ছাড়াও সন্দেশখালির স্থানীয় আদি তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশেরও দাবি ছিল, বালুর (Jyotipriya Mallick) ‘প্রশ্রয়েই’ নাকি বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল শাহজাহান শেখের মতো নেতার। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টিতে বালুর আর কী ভূমিকা ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Sahajahan: ১১৩ পাতার চার্জশিট! জমি দখল করে কত কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান?  

    Sheikh Sahajahan: ১১৩ পাতার চার্জশিট! জমি দখল করে কত কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি দখল করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan)। সন্দেশখালির জেলবন্দি তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিটে এমনই দাবি করল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযোগ, দুর্নীতির মাধ্যমে এই সম্পত্তি করা হয়েছে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জমি দখল সংক্রান্ত মামলায় সোমবার কলকাতায় বিশেষ ইডি আদালতে এই চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। 

    চার্জশিটে কী বলল ইডি

    আদালতে শুনানির পরে সোমবার ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তের ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা হল। অভিযুক্ত চার জনের বিরুদ্ধে জমি দখল এবং তোলাবাজির মাধ্যমে সম্পত্তি করার অভিযোগ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে।’’ চার্জশিটে জানানো হয়েছে, আনুমানিক ১৮০ বিঘা জমি দখল করেছেন শাহজাহান। তবে সেই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।  ১১৩ পাতার ওই চার্জশিটে শাহজাহান ছাড়াও নাম রয়েছে শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) ভাই আলমগির এবং তাঁর দুই ‘সঙ্গী’ দিদার বক্স ও শিবু হাজরার। সাক্ষী হিসাবে সরকারি আধিকারিকদেরও বয়ান নেওয়া হয়েছে। সিবিআই সন্দেশখালিতে অভিযান চালিয়ে যে অস্ত্র উদ্ধার করেছিল, সে কথারও উল্লেখ আছে চার্জশিটে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সোমবার বিকেলেও বৃষ্টি শহরে, কবে কাটবে দুর্যোগ?

    জামিন পাওয়া কঠিন

    চলতি বছরের শুরু থেকেই টানা সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan)। তারপর থেকে বহু জল বয়ে গিয়েছে সন্দেশখালির উপর দিয়ে। মুখ খুলেছেন সন্দেশখালির মানুষরা। জানিয়েছেন তাঁদের অভিযোগের কথা। উঠে এসেছে জমি দখল সংক্রান্ত বিস্তর অভিযোগ। জমি দখল সংক্রান্ত ওই অভিযোগগুলির তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। প্রসঙ্গত, মার্চের গোড়ায় শাহজাহান এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত ১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আটক করেছিল ইডি। তার পর আবার মে মাসে দ্বিতীয় দফায় তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি আটক করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গত ১৭ মে ইডির তরফে জানানো হয়, শাহজাহানের ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা আটক করা হয়েছে। তার পাশাপাশি, ৫৫টি স্থাবর সম্পত্তি, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, তা-ও আটক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে জমি দখল সংক্রান্ত যা তথ্য ইডির কাছে রয়েছে তার ফলে শেখ শাহাজাহানের জামিন পাওয়া মুশকিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    Shahjahan Sheikh: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিকবার সমন পাঠিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। তার পরেও বারংবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) ভাই সিরাজউদ্দিন শেখ। ঘটনার পঞ্চান্ন দিন পরে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত শাহজাহানকে। এবার সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল ইডি।

    বিদেশে পালাতে পারে সিরাজউদ্দিন (Shahjahan Sheikh)

    তদন্ত এড়াতে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করতে পারে সিরাজউদ্দিন। সে যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে ইডি। সিরাজউদ্দিনের ছবি ও তার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও পাঠানো হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) আর এক ভাই আলমগিরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (গ্রেফতার হতেই দায় ঝেড়ে ফেলতে সাসপেন্ড করা হয় শাহজাহানকে) দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও দিদারবক্স মোল্লাকে।

    সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, মহিলা নির্যাতন, জমি জবরদখল, স্থানীয়দের ওপর জুলুমবাজির যেসব অভিযোগ সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানায় দায়ের হয়েছিল আঠারো থেকে চব্বিশ সালের মধ্যে, সেই অভিযোগগুলিতে নাম রয়েছে শাহজাহান-সহ অন্যদের। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এলাকাবাসীর অভিযোগ নেওয়ার জন্য যে পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল, সেখানে সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অন্তত ১০০টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এতে যেমন ছিল জমি দখলের অভিযোগ, তেমন ছিল অকারণে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও।

    আরও পড়ুুন: ফের ‘কেরালা স্টোরি’র গল্প! বিহার, কর্নাটকে ‘লাভ জিহাদে’র ফাঁদে হিন্দু তরুণীরা

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ সর্দার পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ‘এক আদিবাসী মহিলার ৩৩ শতক চাষের জমি দখল করে মার্কেট তৈরি করেছে সিরাজউদ্দিন। টাকার জন্য সিরাজউদ্দিনের দোরে ঘুরেও ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। গাড়ি করে বসিরহাটে তুলে নিয়ে গিয়ে জমি লিখিয়ে নিয়েছে, ভয়ে কারও কাছে মুখ খুলতে পারিনি।’ ইডি সূত্রে খবর, এসব মামলার তদন্ত সূত্রেই সিরাজউদ্দিনকে তলব করেছিল ইডি।

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান মায় সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। অভিযোগের আঙুল ওঠে শাহজাহান অনুগামীদের দিকে। তার পর থেকেই নিত্য খবরের শিরোনামে রয়েছে শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) অ্যান্ড কোং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident:সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    Sandeshkhali Incident:সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল। সাফ জানানো হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) রিপোর্টে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এক ডজন সুপারিশও করেছে কমিশন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করেছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

    এক ডজন সুপারিশ কমিশনের (Sandeshkhali Incident)

    সন্দেশখালিকাণ্ডে ২১ ফেব্রুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ১২ দফা সুপারিশ করেছেন কমিশনের দলের সদস্যরা। এই সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে, আইনের শাসন সম্পর্কে সন্দেশখালিবাসীর (Sandeshkhali Incident) আস্থা ফিরিয়ে আনা, যাঁরা যৌন অপরাধের শিকার, তাঁদের কাউন্সেলিং করানো, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাও। তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনী যে জমি দখল করেছে, সেই জমিও প্রকৃত মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সন্দেশখালি এলাকা থেকে গত কয়েক বছরে যেসব মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে, তাদের উদ্ধারে তদন্ত চালানোর কথাও বলা হয়েছে সুপারিশে। এই এক ডজন সুপারিশের ভিত্তিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করছে, দু’মাসের মধ্যে তা জানাতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মুখ্যসচিবকে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    কেলেঙ্কারিতে যুক্ত শাহজাহানের ভাইও!

    এদিকে, সরকারি অর্থ তছরুপ এবং মহিলাদের যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগির ও সঙ্গী শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে (Sandeshkhali Incident)। সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে এমনই অভিযোগ পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের সেই বয়ানের ভিত্তিতেই ইডির বিশেষ আদালতে এমনতর দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার আলমগির, শিবপ্রসাদ এবং জনৈক দিদার মোল্লাকে আদালতে হাজির করানো হয়। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ইডি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক। এদিন আদালতে ইডির তরফে বলা হয়, জমি দখলের টাকা পাচার করতে শাহজাহানের সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা গিয়েছে আলমগির, শিবু এবং দিদারের অ্যাকাউন্টে। তারা সেই টাকা কীভাবে রোজগার করেছে, তা জানতে সন্দেশখালির বেশ কিছু বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই কলঙ্ক মুছতে তড়িঘড়ি তাকে বহিষ্কার করে তৃণমূল) বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির কর্তারা। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই সন্দেশখালি থেকে বের হচ্ছে একের পর কেলেঙ্কারির কেউটে (Sandeshkhali Incident)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shahjahan Sheikh: শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দুই তৃণমূল নেতার

    Shahjahan Sheikh: শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দুই তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি। সূত্রের খবর, যে দুটি অ্যাকাউন্ট ইডি ফ্রিজ করেছে, তার একটি ব্যক্তিগত, অন্যটি ‘মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশ সাপ্লাই ওনলি’র অ্যাকাউন্ট। শাহজাহানের আরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছে ইডি।

    ইডির নজর শাহজাহানের ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (Shahjahan Sheikh)

    প্রাথমিকভাবে শাহজাহানের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৩৭ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। তাঁদের শ্যেন দৃষ্টি শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) প্রায় ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপর। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেও লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। নিয়ম মেনে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এই বিপুল পরিমাণ টাকা শাহজাহান কাদের পাঠিয়েছিল, তা জানতেই এসকে সাবিনা নামের সংস্থার অ্যাকাউন্টটিও ফ্রিজ করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, শাহজাহানের এই সংস্থাটির নাম রাখা হয়েছে তাঁর মেয়ের নামে।

    কীর্তিমান শাহজাহান!  

    শাহজাহান ছিলেন তৃণমূলের নেতা। পরে ইডির তদন্তকারীদের মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেই তাঁকে ঝেড়ে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। দলীয় নেতৃত্বের আশীর্বাদী হাত থাকায় কার্যত বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন শাহজাহান। মাছের কারবারের আড়ালে নানা কুকর্মও করে বেড়াতেন বলে অভিযোগ। এভাবে কামানো কালো টাকা সাদা করতেন শাহজাহান। জানা গিয়েছে, শাহজাহান প্রথমে নগদ অর্থ তুলে দিতেন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে। পরে সেই টাকাই জমা করাতে বলতেন তাঁর অ্যাকাউন্টে।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস থেকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার সঞ্জয় নিরুপম, যোগ দিচ্ছেন শিন্ডে-শিবিরে?

    এদিকে, শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বুধবার ইডি তলব করেছিল ১৩ জনকে। ওই ঘটনায় ইডি সমন পাঠিয়েছিল হাটগাছি ৬৪ নম্বর বুথের সভাপতি আকবর মোল্লা এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আবদুল মতিন শেখকে। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে এসেছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁকে জেরা করায় উঠে আসে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের নাম। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এই ঘটনায়ই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের নাম। তাই কেবল শাহজাহানকে (Shahjahan Sheikh) ছেঁটে ফেলে আদৌ কোনও লাভ হবে কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে সন্দেশখালির তৃণমূলের অন্দরেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ফের ইডি হেফাজতে শাহজাহান, সন্দেশখালিতে কী চলত, আদালতে বলল তদন্তকারীরা

    Sheikh Shahjahan: ফের ইডি হেফাজতে শাহজাহান, সন্দেশখালিতে কী চলত, আদালতে বলল তদন্তকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandesh Khali) আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়ে টাকার বিনিময়ে সেই জমি অন্যদের ব্যবহার করতে দিতেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। নগদ অর্থের বিনিময়ে বেনামে জমি ব্যবহার করা হত। আদালতে সোমবার এই কথা জানায় ইডি। সেই কালো টাকা সাদা করতে মাছের ভেড়ির ব্যবসা চলত। তাই  দেশের স্বার্থে, সন্দেশখালির মানুষের স্বার্থে শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলার আরও গভীরে পৌঁছতে চায় ইডি। এদিন ইডির সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শাহজাহানকে ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

    কী বলল ইডি

    সোমবার শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) বিশেষ ইডি আদালতে পেশ করার পর, ইডির আইনজীবীরা তুলে ধরেন কী কী চলত সন্দেশখালিতে (Sandesh Khali)। আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, জমি ও মাছের ভেড়ি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, সেখানে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছিল, যার কিংপিন বা মাস্টারমাইন্ড ছিলেন শাহাজাহান। সঙ্গে আরও অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান ইডির আইনজীবী। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ নিজেদের ভেড়ির মালিক দেখিয়েও উপার্জন করেছেন বলে দাবি ইডির। তাদের আরও দাবি, জমি দখলের কালো টাকা চিংড়ির ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করা হত। টাকাটা চিংড়ি ব্যবসার লেনদেন হিসাবে দেখানো হত। সেই ব্যবসা শাহজাহানের মেয়ে শেখ সাবিনার নামাঙ্কিত। ইডির দাবি, চিংড়ি বেচা-কেনা করে দুর্নীতির টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে চলবে না পেট্রল-ডিজেল গাড়ি! কী বললেন নিতিন গড়করি?

    শাহজাহানের ‘ফাঁসি’র দাবি

    আদালতের লকআপে প্রবেশের সময় ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে হোঁচট খান শাহজাহান। এ দিকে সে সময় আইনজীবীদের একাংশ তাঁর ফাঁসি চেয়ে স্লোগান তোলেন। তাঁকে দুষ্কৃতী বলেও তোপ দাগেন। স্লোগান দেওয়া আইনজীবীদের এক জন বলেন, “শাহজাহান(Sheikh Shahjahan) যা করেছেন, তাতে ফাঁসিও ওঁর শাস্তির জন্য যথেষ্ট নয়।” সোমবার আদালতে ইডি দাবি করে, কিছু নথি দেখিয়ে জেরা করার সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন শাহজাহান। প্রশ্নও এড়িয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়াও তদন্তে বেশ কয়েকটি নতুন নাম উঠে এসেছে। ইডির আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা না হলে, যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরা পালিয়ে যেতে পারেন বা নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন। সব কথা শুনে আদালত এদিন ইডির দাবি মেনে শাহজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত হেফাজতে পাঠানোর কথা জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: আদালতের নির্দেশ অমান্য! শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Shahjahan Sheikh: আদালতের নির্দেশ অমান্য! শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারপরেও পুলিশে মামলাতে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে ভৎর্সনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, সোমবারই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে সন্দেশখালির এই মামলাটির শুনানি ছিল। এদিন পুলিশের ভূমিকায় অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এই খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)।

    ২০১৯ সালে খুন ৩ বিজেপি কর্মী 

    মৃতদের পরিবারের পক্ষে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য এদিন বলেন, ‘‘এই মামলাতে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। এখনও কীভাবে রাজ্য পুলিশ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে, এটা তার নমুনা।’’ শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘সাক্ষীকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।’’ তখন বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি ঠিক করবেন, কে বিশ্বাসযোগ্য আর কে বিশ্বাসযোগ্য নয়?’’ জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে সন্দেশখালিতে খুন হন তিন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। এই ঘটনায় শেখ শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করা হয়।  কিন্তু পুলিশ শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সম্প্রতি, সেই অভিযোগ নিয়েই নিহতদের পরিবাররা হাজির হয় হাইকোর্টে। সোমবার আদালতে এই মামলার আইনজীবী জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয়। এতেই ক্ষুদ্ধ হন বিচারপতি। এই মামলা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, ‘‘হাইকোর্ট ট্রায়াল সহ যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তারপরেও কিভাবে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ?’’ এ প্রসঙ্গে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আদালতে নির্দেশ অমান্য করার কারণে তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে আমি আদালত অবমাননার রুল জারি করতে বাধ্য হব।’’ জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলায় বাড়ির পাশ থেকেই ফোনে নির্দেশ দিচ্ছিলেন শাহজাহান, দাবি সিবিআই-এর

    Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলায় বাড়ির পাশ থেকেই ফোনে নির্দেশ দিচ্ছিলেন শাহজাহান, দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার সময় বাড়ির কাছ থেকেই নির্দেশ দিচ্ছিলেন শেখ শাহজাহান। ফোনে এভাবে নির্দেশ দিয়েই রেশন-দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী ইডি অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটানো হয়। পরিকল্পিত এই ছকের পিছনে ছিলেন এই তৃণমূল নেতাই। ঠিক এমনটাই আদালতে দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির করা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতে। আদালত চত্বরকে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল।

    সিবিআই-এর বক্তব্য (Sandeshkhali)

    ছ’দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হতেই আদালতে ফের তোলা হয় শাহজাহানকে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের নির্দেশেই গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি নিজেই বাড়ির পাশের লোকজনকে একত্রিত হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।” একই সঙ্গে সুকমল সর্দার এবং মেহবুর মোল্লাকে এদিন হাজির করা হয়েছিল। তাঁদের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অজিত মাইতিকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সন্দেশখালি থানার পুলিশ ৭৬ নম্বর মামলায় তাঁকে ৭ দিনের জন্য হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল। উল্লেখ্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অজিতকে দুর্নীতি এবং জমি দখলের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁকে মারধর করতে উদ্যত হয় এলাকাবাসী। এরপর একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। টানা ছয় ঘণ্টা আটকে থাকার পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে।

    ৫ জানুয়ারি হামলা হয়েছিল

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তিন ইডির অফিসার সহ কেন্দ্রীয় জওয়ানদের উপর আক্রমণ করা হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান পলাতক। সেই সঙ্গে তাঁর অনুগামীদের অত্যাচারের ঘটনায় এলাকার মানুষ ব্যাপক আন্দোলন করেন। চাপে পড়ে শিবু-উত্তমের মতো ঘনিষ্ঠ নেতাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় হয়। হামলার ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর কাছে তদন্তভার যায়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকরির নামে আর্থিক দুর্নীতি ও প্রতারণা! অভিযুক্ত আরও এক শাহজাহান, চেনেন তৃণমূল নেতাকে?

    TMC: চাকরির নামে আর্থিক দুর্নীতি ও প্রতারণা! অভিযুক্ত আরও এক শাহজাহান, চেনেন তৃণমূল নেতাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির শাহজাহানের মতো এবার পূর্ব মেদিনীপুরের আরেক তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। দুই জনের নামের যেমন মিল তেমনি রাজনৈতিক দলও এক। এই তৃণমূল নেতার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে স্পষ্ট বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমার ২০০০ টাকা লাগবে।” তবে ভিডিও কয়েক বছরের পুরাতন হলেও লোকসভার আগে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ (TMC)

    শিল্পাঞ্চল হলদিয়ার একটি বাড়িতে ভিডিও রেকর্ড করা হয় বলে জানা গেছে। সেখানকার এক বাড়ির মালিক শেখ ইব্রাহিম আলি বলেছেন, “আমার এক আত্মীয়ের সরকারি চাকরির জন্য তৃণমূল নেতা (TMC) শেখ শাহজাহানকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। তিনি আমার বাড়িতে এসে বলেন, দুই হাজার টাকা গাড়িভাড়া হিসাবে অতিরিক্ত দিতে হবে। বাকি পুরো টাকাটা সরকারি আধিকারিককে দিতে হবে। কিন্তু টাকা দেওয়ার ৩ থেকে ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও চাকরির খোঁজ নেই। আমি আমার টাকাও ফেরত পেলাম না।”

    টাকা নিয়ের চাকরির প্রতারণা (TMC)

    এলাকার প্রতারণার শিকার আরও এক ব্যক্তি সমরেশ সামন্ত বলেন, “তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহান আমাকে বলেছিলেন খাদ্য দফতরের চাকরি করে দেবেন। সেই জন্য ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু আজও কাজ মেলেনি।” আবার শেখ কামরুল আলম অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল। আরও ৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু দিতে পারব না বলে জানিয়েছিলাম। কিছু টাকা ফেরত পেলেও এখনও অনেক টাকা বাকি।” এলাকার মানুষ ডায়মণ্ডহারবারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে।

    পুলিশের বক্তব্য

    ভোটের মুখে সেই ভিডিও ভাইরাল হলে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ নিতে চায়নি। এরপর হলদিয়া এসডিপিওকে সংবাদ মধ্যম ফোন করলে তিনি বলেন, “২০২০ সালের ঘটনা। এই বিষয়ে এখন কিছু বলার নেই। তবে এই তৃণমূল নেতার (TMC) বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলে পুলিশ তদন্ত করবে।”

    শাহজাহানের বক্তব্য

    এই বিষয়ে শাহজাহান নিজের আর্থিক লেনদেনের কথা স্বীকার করে বলেন, “আমি কাউকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেইনি। যার বাড়িতে টাকা নেওয়া হয়েছে সেখানে আমাকে সাক্ষী হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি মাত্র ২০০০ টাকা নিয়েছিলাম। এর থেকে বেশী টাকা আমি চাইনি।” এইবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা শেখ শাহানুল্লাহ খান বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে সত্যতা এখনও জানিনা। অনুসন্ধান করে বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: “পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে”, বিস্ফোরক সিবিআই

    Sandeshkhali: “পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে”, বিস্ফোরক সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশাসন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন গ্রামের মানুষ। এবার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ফের একবার প্রশ্নের মুখে।

    সিবিআইয়ের দাবি (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রেশন দুর্নীতি মামলা এবং ইডির আধিকারিকদের উপর শাহজাহানের দুস্কৃতী বাহিনীর আক্রমণ প্রসঙ্গে সিবিআই দাবি করেছে, “অপরাধ আড়াল করতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর দলবল ন্যাজাট থানার পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। সেখানে সত্য ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে বহু নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।” হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যত জন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাদের বয়ানের উপর নির্ভর করে আদালতে এমনটাই জানাতে চলেছে সিবিআই। আদালতের কাছে এই বক্তব্য পেশ হলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের এক একবার প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    পুলিশের দ্বারা ধৃতের বিরুদ্ধে তথ্যের অভাব

    গত বৃহস্পতিবার বসিরহাট (Sandeshkhali) আদালতে আবেদন জানিয়ে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাত জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসারেরা। সিবিআই জানায়, ধৃতদের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্য পরীক্ষা করে দেখা হয়, কিন্তু তদন্তকারী অফিসারেরা জানান ঘটনায় হামলার সঙ্গে এইসব ব্যক্তিরা যুক্ত ছিলেন বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

    ধৃতদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) পুলিশের দ্বারা ধৃতদের জেরা করায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ধৃতেরা জানিয়েছেন, “তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাদের থানায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু থানায় পৌঁছলে, তাদের সেইসময় গ্রেফতার করা হয়।” তাদের বক্তব্যের সত্যতা জানতে তদন্তকারী অফিসারেরা ধৃতদের পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। গত শনিবার সুকোমল সর্দার এবং মেহবুব মোল্লার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এরপর আবার গতকাল রবিবার, রামপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারেরা কথা বলেন। ফলে সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যে আরও একবার প্রশ্ন উঠল বলে ওয়াকিবহাল মানুষ মনে করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share