Tag: Shahzadi Khan

  • Shahzadi Khan: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে শেষ কথা শাহজাদির

    Shahzadi Khan: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে শেষ কথা শাহজাদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফিসফিস করে কথাগুলি বলছিলেন বছর ঊনত্রিশের শাহজাদি খান (Shahzadi Khan)। উত্তরপ্রদেশের বান্দার বাসিন্দা শাহজাদি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ফোনে কথাগুলি বলছিলেন আবুধাবির (Abu Dhabi) একটি জেল থেকে। এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় শাহজাদির।

    মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে আবুধাবি নিয়ে গিয়েছিল এক যুবক (Shahzadi Khan)

    ছোট থেকে শাহজাদির মুখে পোড়া দাগ ছিল। সেই দাগগুলি তাঁকে পীড়া দিত। বন্ধু-বান্ধবদের কাছেও কটু কথা শুনতে হত তাঁকে। তিনি চেয়েছিলেন মুখের দাগ মুছে ফেলতে। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহজাদির সঙ্গে পরিচয় হয় আগ্রার উজাইরের। সে তাকে প্লাস্টিক সার্জারি করার আশ্বাস দিয়ে আবুধাবি নিয়ে যায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আবুধাবিতে পৌঁছান শাহজাদি। অস্ত্রোপচার না করিয়ে উজাইর তাঁকে তার আত্মীয় ফয়েজের বাড়িতে রেখে আসে। সেখানে শাহজাদিকে গেরস্থালির কাজ করতে হত। পরের বছর অগাস্টে ফয়েজের স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় শাহজাদিকে। ৭ ডিসেম্বর শিশুটিকে টিকা দেওয়া হয়। রাতে মৃত্যু হয় তার। এর পরেই শাহজাদির বিরুদ্ধে শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ করা হয়। ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আবুধাবির পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ৩১ জুলাই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় শাহজাদিকে। তার পরেই তাঁকে (Shahzadi Khan) পাঠিয়ে দেওয়া হয় আল ওয়াথবা জেলে।

    শাহজাদির শেষ ইচ্ছে

    গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তার আগে জেল কর্তৃপক্ষ শাহজাদির কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর শেষ ইচ্ছের কথা। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে থাকা বাবা-মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো একবার কথা বলতে চান। ১৪ তারিখ রাতেই প্রস্তুত করা হয় ফাঁসির মঞ্চ। তার পরেই শুরু হয় তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ-পর্ব। ফোনে শাহজাদি তাঁর বাবা সাব্বির খানকে জানিয়েছিলেন, ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে। তার পরেই তিনি বলেন, “বাবা, এখন আর কিছুই করা সম্ভব নয়।” মৃত্যুর আগে উজাইরকে ক্ষমা করে দিতে বলেন শাহজাদি।

    তিনি বলেন, “উজাইরকে দয়া করে ক্ষমা করে দিও বাবা। ওর বিরুদ্ধে করা মামলাটা তুলে নাও। এখন আর এই মামলার মানে কী? আমিই যখন থাকব না, তখন আমি আর কোনও শত্রুতা চাই না।” এরপর আর শাহজাদির সঙ্গে (Abu Dhabi) কোনও কথা হয়নি তাঁর পরিবারের। শাহজাদির পরিবার জানিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টে তারা একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিল। তারাই সোমবার শাহজাদির মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে অবহিত করে (Shahzadi Khan)।

LinkedIn
Share