Tag: Shanghai

  • Randhir Jaiswal: “অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ”, চিনা দাবি উড়িয়ে ফের জানিয়ে দিল ভারত

    Randhir Jaiswal: “অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ”, চিনা দাবি উড়িয়ে ফের জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং চিন একে বারবার অস্বীকার করলেও কখনও এই সত্য বদলাতে পারবে না। মঙ্গলবার চিনের সাংহাই বিমানবন্দরে হয়রানি করা হয় এক ভারতীয় মহিলাকে। তিনি আদতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা হলেও, কর্মসূত্রে থাকেন ব্রিটেনে। সেখান (Randhir Jaiswal) থেকে জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই বিমানবন্দরে (Shanghai Airport) তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেজিং। যদিও ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে তাদের অবস্থান। জানিয়ে দিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের দ্বারা বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজ্য।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (Randhir Jaiswal)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতি দেখেছি, যা একজন ভারতীয় নাগরিককে অযৌক্তিকভাবে আটক করার বিষয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মহিলা অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পাসপোর্ট ছিল এবং তিনি জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ট্রানজিট করছিলেন।” তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ – এটি একটি স্বয়ংস্পষ্ট সত্য। চিনের পক্ষ থেকে যতই অস্বীকার করা হোক না কেন, এই অখণ্ড বাস্তবতা পরিবর্তিত হবে না।”

    ভিসা-মুক্ত ট্রানজিটের অনুমতি

    তিনি জানান,  ভারত ওই মহিলাকে আটক করার বিষয়ে চিনের কাছে (Randhir Jaiswal) জোরালোভাবে বিষয়টি উত্থাপন করেছে। জয়সওয়ালের মতে, চিন এখনও পর্যন্ত তাদের এই পদক্ষেপের কোনও কারণ জানায়নি। এটি আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রা সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়মের বিরোধী। তিনি মনে করিয়ে দেন, চিনের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী সব দেশের যাত্রীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিসা-মুক্ত ট্রানজিটের অনুমতি দেওয়া হয়, এবং এ ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম মানা হয়নি।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংহাই বিমান বন্দরে ট্রানজিট করার সময় পেমা ওয়াংজম থংডক নামের অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলাকে আটকে দেওয়া হয়। তাঁর কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও (Randhir Jaiswal), আটকানো হয় তাঁকে। বিমানবন্দরে যেসব চিনা আধিকারিক ছিলেন, তাঁরা পেমাকে বলেছিলেন, তাঁর কাছে রয়েছে ভারতের পাসপোর্ট, চিনের নয়। কারণ অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ। এর (Shanghai Airport) পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। সাফ জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লির অবস্থান।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ! ভারতীয় মহিলাকে হেনস্থা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Arunachal Pradesh: অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ! ভারতীয় মহিলাকে হেনস্থা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) চিনের অংশ। এই দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে ড্রাগনের দেশ। তবে শি জিনপিংয়ের দেশের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই ছিল, আছে এবং থাকবেও (Shanghai Airport)। তবে ভারত এবং চিনের এই দোটানার মধ্যে পড়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হল অরুণাচল প্রদেশের এই মহিলাকে।

    ১৮ ঘণ্টা আটকে, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের (Arunachal Pradesh)

    আদতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা ওই মহিলা বর্তমানে থাকেন ব্রিটেনে। ২১ নভেম্বর সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলার নাম প্রেমা ওয়াংজম থংডক। বিমানবন্দরে থাকা কয়েকজন চিনা আধিকারিক দাবি করেন, তাঁর পাসপোর্টটি ভারতীয়। জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের। ওই আধিকারিকরা জানান, এটি অবৈধ। কারণ ওই প্রদেশ চিনের অংশ। খবরটি দ্রুত পৌঁছে যায় ভারতীয় কর্তাদের কানে। সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাঁরা। তীব্র প্রতিবাদ জানান চিনা কর্তৃপক্ষের কাছে। সাংহাইয়ে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি উত্থাপন করে এবং প্রেমাকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য দেয়।

    অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা

    প্রেমা অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলার রূপা এলাকার বাসিন্দা। গত ১৪ বছর ধরে কর্মসূত্রে ব্রিটেনে বসবাস করছেন তিনি। ঘটনার দিন লন্ডন থেকে জাপানে যাচ্ছিলেন তিনি (Arunachal Pradesh)। এর মধ্যে সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে তিন ঘণ্টার ট্রানজিট ছিল। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা জানান, নিরাপত্তা তল্লাশির সময় চিনা ইমিগ্রেশনের এক আধিকারিক তাঁকে (Shanghai Airport) আলাদা করে ডেকে নেন। তিনি যখন তাঁকে আটকে রাখার কারণ জানতে চান, তখন ওই আধিকারিক জানান যে তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট ‘অবৈধ’। কারণ অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ। প্রেমা বলেন, “আমি যখন তাঁদের প্রশ্ন করতে চেষ্টা করলাম এবং জানতে চাইলাম সমস্যাটা কী, তাঁরা বললেন, ‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ নয়’। তাঁরা আমায় উপহাস করতে শুরু করল। তাঁরা বলতে লাগল, ‘তোমার চিনা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা উচিত। তুমি চিনা, ভারতীয় নও’”। তিনি বলেন, “এর আগে আমি কোনও সমস্যা ছাড়াই সাংহাই হয়ে ট্রানজিট করেছি। আমি অনেকক্ষণ আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, পারিনি।” ভারতীয় ওই মহিলা বলেন, “লন্ডন থেকে ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করার পর আমায় ১৮ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয় (Arunachal Pradesh)। তারা আমার পাসপোর্ট নিয়ে নেয় এবং আমায় বের হতে দেয়নি। আমি খাবারও পাইনি। চিনে গুগল নেই, তাই কোনও তথ্যও পেতে পারছিলাম না। তারা আমায় জাপানে যেতে দিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও আমার বৈধ জাপানি ভিসা ছিল। তারা জোর করে বলে যে আমায় হয় ব্রিটেনে ফিরে যেতে হবে, নয়তো ভারতে যেতে হবে।”

    ওঁদের আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক

    প্রেমা বলেন, “ওঁদের আচরণ ছিল অত্যন্ত অপমানজনক এবং সন্দেহজনক, ইমিগ্রেশন স্টাফদের যেমন, তেমনই আচরণ করেছেন এয়ারলাইন স্টাফরাও। আমি সাংহাই এবং বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসে ফোন করি। এক ঘণ্টার মধ্যেই (Shanghai Airport) ভারতীয় কর্তারা বিমানবন্দরে এসে আমায় কিছু খাবার দেন। তাঁদের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলেন এবং আমায় দেশ থেকে বের হতে সাহায্য করেন। এটি ছিল দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার একটা লড়াই। কিন্তু আমি এখন খুশি যে এখন আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি (Arunachal Pradesh)।”

    ত্রাতার ভূমিকায় ভারতীয় কর্তারা

    জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে থাকার পর প্রেমা একটি ফোন এবং তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনে থাকা তাঁর বন্ধুদের ফোন করেন। তাঁরা তাঁকে সাংহাইয়ের ভারতীয় কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করাতে সাহায্য করেন। ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্তারা এক ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছন এবং তাঁকে সেই পরিস্থিতি থেকে বের হতে সাহায্য করেন। অরুণাচল প্রদেশের ওই মহিলা বলেন, “আমি কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে, সেখান থেকে ছ’জন কর্তা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিমানবন্দরে এসে আমায় খাবার দেন। তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন যেন আমায় জাপানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু চিনা আধিকারিকরা তা কোনওভাবেই মানেনি। তাঁরা জোর করেছিলেন যে আমি যেন শুধু চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমেই দেশ ছাড়ার টিকিট বুক করি। শেষ পর্যন্ত আমি তাইল্যান্ডে ট্রানজিট-সহ ভারতের ফ্লাইট বুক করি, এবং এখন তাইল্যান্ডেই থেকে কাজ করছি।” প্রেমা বলেন, “অনেক বছর ব্রিটেনে থাকার পরেও আমি আমার ভারতীয় পাসপোর্ট (Shanghai Airport) ছাড়িনি। কারণ আমি আমার দেশকে ভালোবাসি এবং নিজের দেশেই বিদেশি হতে চাই না (Arunachal Pradesh)।”

  • Central Banks: আরবিআই একা নয়, বিপুল সোনা কিনছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিও, কারণ কি জানেন?

    Central Banks: আরবিআই একা নয়, বিপুল সোনা কিনছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিও, কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনায় সোনা ফলে! তাই তামাম বিশ্বেই এই সোনালি ধাতুর কদর রয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। তবে ইদানিং চাহিদা বাড়ছে সোনার। মানুষ তো বটেই, ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় তথা শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলিও (Central Banks) সোনা কিনে মজুত করছে। এ বছরে ধারাবাহির ভাবে সোনা কিনে মজুত করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভাণ্ডারে জমা থাকা সোনার মূল্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা থাকা সোনার মূল্য ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০৯ কোটি টাকারও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সোনার প্রতি নস্টালজিয়া নয়, কিংবা সাময়িক বাজার উদ্বেগের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরক্ষাও নয়, এটি আদতেই একটি কৌশল। ভূ-রাজনৈতিক পুনর্গঠন, অনিশ্চিত বন্ডের মুনাফা এবং অসম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই বিশ্বে, সোনা ফের সর্বোচ্চ মূল্য সংরক্ষণের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    “কাঠামোগত অস্থিরতা” (Central Banks)

    এই পরিবর্তনের মূল কারণ হল “কাঠামোগত অস্থিরতা”। আন্তর্জাতিক সেটেলমেন্টস ব্যাঙ্কের মতে, উন্নত দেশগুলির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ২ শতাংশের নীচে আটকে রয়েছে। অথচ বছরের পর বছর সুদের হার ব্যাপকভাবে বাড়ানোর পরেও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এহেন পরিস্থিতিতে প্রচলিত নিরাপদ সম্পদ, যেমন সরকারি বন্ড থেকে লাভ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি ডলার, ইউরো ইত্যাদির মতো ফিয়াট অ্যাসেটের ওপর আস্থা হারায়, তখন তারা বাস্তব ও দৃশ্যমান সম্পদের দিকে ঝোঁকে। সোনা, বন্ড বা মুদ্রার মতো নয়। এর কোনও কাউন্টারপার্টি রিস্ক নেই। মুদ্রাস্ফীতির কারণে এর মান কমে না, এবং নিষেধাজ্ঞা বা রাজনৈতিক চাপের কারণে এটি স্থগিতও করা যায় না। এই স্থিতিশীলতাই বোঝায় কেন সোনা ফের অতীতের নিদর্শন নয়, বরং আধুনিক মজুত ব্যবস্থাপনার মূলভিত্তি হিসেবে ফিরে আসছে।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য

    ইনফরমেরিক্স রেটিংসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মনোরঞ্জন শর্মা বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির সোনা কেনার এই প্রবণতা (Gold Hoarding) কেবল প্রচলিত ধারণার কারণেই নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত উদ্দেশ্য।” তিনি বলেন, “এই সঞ্চয়ের একটি বড় অংশ এসেছে ডি-ডলারাইজেশন প্রচেষ্টার কারণে, বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতিগুলিতে যেমন চিন, ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে।” বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সোনা সবরকম নিষেধাজ্ঞা থেকে সুরক্ষা দেয়, আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়, আর্থিক স্থিতিশীলতা মজবুত করে এবং ক্রমবর্ধমান আর্থিক ব্যবস্থায় স্বাধীন মুদ্রানীতি পরিচালনার জন্য নমনীয়তা দেয়।” খ্যাতনামা এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “সোনা আর্থিক দমননীতি এবং ক্রমবিবর্তিত ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থার অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধেও এক ধরনের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে (Central Banks)।”

    ৯০০ টন সোনা

    চলতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি সম্মিলিতভাবে প্রায় ৯০০ টন সোনা কিনবে (Gold Hoarding) বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ধারাবাহিকভাবে চতুর্থ বছর যেখানে গড়ের চেয়ে বেশি কেনাকাটা হবে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ‘সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫’ অনুযায়ী, প্রায় ৭৬ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মনে করছে আগামী পাঁচ বছরে তাদের মজুতে সোনার অংশ বৃদ্ধি পাবে। আর ৭৩ শতাংশ ব্যাঙ্ক মনে করছে বৈশ্বিক মজুতে মার্কিন ডলারের অংশ কমে যাবে। শর্মা বলেন, “এই লাগাতার অফিসিয়াল সোনা কেনা সোনার দামে একটি কাঠামোগত ভিত্তি তৈরি করেছে, এমনকি বৈশ্বিক সুদের হার বেশি থাকলেও।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির এই ক্রয় সোনার একটি নির্ভরযোগ্য দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ হিসেবে খ্যাতিকে আরও মজবুত করেছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক ও খুচরো বিনিয়োগকারীদেরকে ইটিএফ, খনিশিল্পের শেয়ার, এবং সার্বভৌম গোল্ড বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসাহিত করছে।”

    আইএমএফের সিওএফইআর ডেটাবেস

    আইএমএফের সিওএফইআর ডেটাবেস অনুযায়ী, বর্তমানে মার্কিন ডলার এখনও মোট বৈশ্বিক মুদ্রা মজুতের প্রায় ৫৮ শতাংশ অংশ ধরে রেখেছে। এটি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ডলারের এই আধিপত্য এখন শুধু অর্থনৈতিক কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার ওপর আরোপিত আর্থিক নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশঙ্কা বহু সরকারকে মার্কিন সম্পদে অতিরিক্ত নির্ভরতা নিয়ে চিন্তিত করে তুলেছে (Central Banks)। অন্যদিকে সোনা এই ব্যবস্থার বাইরে থাকে। এটি নিজের দেশে সংরক্ষণ করা যায়, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য করা যায়, এবং কোনও নির্দিষ্ট দেশের নীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। এই কারণেই পশ্চিমি অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে নিজেদের আর্থিকভাবে সুরক্ষিত রাখতে চাওয়া উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলির কাছে সোনা (Gold Hoarding) বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

    কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা

    শর্মা বলেন, “আগে যেখানে দামের ওঠানামা প্রধানত জল্পনামূলক প্রবাহ এবং ইটিএফের দ্বারা প্রভাবিত হত, এখন সরকারি খাতে স্বর্ণ সঞ্চয় একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে কাজ করছে, যা সোনাকে আরও স্থিতিশীল এবং কম চক্রাকার করে তুলছে।” তিনি বলেন, “খনি উৎপাদন বৃদ্ধির সীমাবদ্ধতা এবং পুনর্ব্যবহারের অভাবের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শক্তিশালী ক্রয় ফিজিক্যালি সোনার বাজারকে আরও সংকুচিত করছে। তাই সাংহাই ও মুম্বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ এশীয় কেন্দ্রগুলিতে প্রিমিয়াম প্রায়ই বেড়ে যাচ্ছে।” শর্মা বলেন, “এটি ভূরাজনৈতিক পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি সোনার ফের একটি কৌশলগত রিজার্ভ সম্পদ হিসেবে আবির্ভাবকেও প্রতিফলিত করে (Central Banks)।”

LinkedIn
Share