Tag: shanti prasad Sinha

shanti prasad Sinha

  • SSC Scam: ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ! এসএসসি দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাও

    SSC Scam: ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ! এসএসসি দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Case) ক্ষেত্রে এক দফতর থেকে অন্য দফতরে কী ভাবে ইমেল চালাচালির মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করা হত, তা জানতে পেরেছে ইডি। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি,  ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে এসএসসিতে (SSC Scam) প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে সিবিআই জানিয়েছে শুধু মন্ত্রী, বা সরকারি আধিকারিক নয় রাজ্য় জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন বহু শিক্ষকও। অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এরকম বহু শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নাম পেয়েছে সিবিআই।

    আদালতে ইডির দাবি

    আদালতে ইডি দাবি করেছে, এসএসসিতে (SSC Scam) প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো সুপারিশপত্র। এর পর সেই সুপারিশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ (ডব্লিউবিবিএসই)-এর কাছে। সেই দফতরের কয়েক জন কর্মীর মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশিত হত। ইডির দাবি, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার নির্দেশে এই ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরির কাজটি করেছিলেন দফতরের অস্থায়ী কর্মী সমরজিৎ আচার্য। ইডির দাবি, এই সুপারিশগুলো এসেছিল মূলত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নকুমার রায়ের থেকে। তাঁর হয়ে আবার কাজ করতেন প্রদীপ সিং ওরফে ছোটু।

    কীভাবে করা হত সুপারিশ

    ইডি দাবি করেছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এজেন্টদের সঙ্গে যোগ ছিল প্রসন্নের। ওই এজেন্টদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতেন প্রসন্ন। তার পর বেআইনি ভাবে তাঁদের চাকরির সুপারিশ করতেন শান্তিপ্রসাদের কাছে। সমরজিৎকে অযোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করে যে ইমেল করেছিলেন ছোটু, তা হাতে এসেছে ইডির। ইডি জানিয়েছে, একটি মেল ২০২০ সালের ১৬ জুন সমরজিৎকে করেছিলেন প্রদীপ। মেলের সঙ্গে ‘একাদশ-দ্বাদশ অ্যালটেড স্কুল-২১’ নামাঙ্কিত একটি ‘অ্যাটাচমেন্ট’ পাঠানো হয়েছে। তাতে ২১ জন প্রার্থীর নাম পাঠানো হয়েছিল। ইডির আরও দাবি, সমরজিৎ এই সুপারিশপত্রের প্রিন্ট করিয়ে পাঠিয়ে দিতেন পর্ষদের দফতরে। সেখানে রাজেশ লায়েক নামে এক কর্মী নিয়োগপত্র (Recruitment Case)  প্রিন্ট করাতেন। সেই কাজটা করতেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নিয়োগপত্র প্রিন্ট করাতেন রাজেশ।

    আর পড়ুন: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা

    অন্যদিক, ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলে (SSC Scam) অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্য়ে রয়েছে বিভিন্ন সকুলে কর্মরত ১১ জন শিক্ষক ও ২ জন অশিক্ষক কর্মীর নাম। অযোগ্য়দের বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় কি ভূমিকা ছিল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের? সরাসরি টাকার লেনদেনেও যুক্ত ছিলেন তাঁরা? জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, সোমবার থেকে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী সহ ৩৭ জনকে তলব করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • SSC scam: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    SSC scam: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) দফতরে অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ছয় সদস্যের একটি দল যায় সল্টলেকের ডিরোজিও ভবনে। তদন্তকারীরা কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গেও। এদিকে, এদিনই উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।এদিন সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল যায় তাঁর সার্ভে পার্কের বাড়িতে।

    এসএসসি দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। সেই শিকড়ের গোড়ায় পৌঁছতেই এদিন সকালে সিবিআইয়ের একটি দল হানা দেয় সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে। কথা বলেন পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে। খতিয়ে দেখেন প্রয়োজনীয় নথিপত্রও। কাদের কাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তা জানতে আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

    সিবিআইয়ের একটি দল যখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে অভিযান চালাচ্ছে, প্রায় ঠিক সেই সময়েই অন্য একটি দল হানা দেয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে। এসএসসি গ্রুপ সি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।শান্তিপ্রসাদ ছাড়াও নাম রয়েছে তৎকালীন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য, তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার, তৎকালীন সচিব অশোক কুমার সাহা এবং তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    সূত্রের খবর, শান্তিপ্রসাদের বাড়ির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শান্তিপ্রসাদের কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।  

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে খোঁজখবর করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও আয়কর সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই পাঁচজনের নামে-বেনামে গত পাঁচ বছরে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিও চাওয়া হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, এদিন সার্ভে পার্কের একটি আবাসনের তিন তলায় শান্তিপ্রসাদের বাসভবনে পৌঁছান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। নথিপত্র দেখিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেন তাঁরা। পরে বন্ধ হয়ে যায় ফ্ল্যাটের দরজা। তারপর আর দীর্ঘক্ষণ খোলেনি।

    সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসি দুর্নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শান্তিপ্রসাদের। দুর্নীতি করতেই বেআইনি কমিটি গড়ে তার উপদেষ্টা পদে বসানো হয়েছিল তাঁকে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শান্তিপ্রসাদের গ্রেফতারি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

LinkedIn
Share