Tag: shiva temple

shiva temple

  • Maha Shivratri: শিবরাত্রিতে ব্যাসপুরের শিব মন্দিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    Maha Shivratri: শিবরাত্রিতে ব্যাসপুরের শিব মন্দিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের একটি অতি প্রাচীন মন্দির হলো ব্যাসপুর শিব মন্দির। শিবরাত্রি (Maha Shivratri) উপলক্ষে চলে চার দিনব্যাপী উৎসব ও নরনারায়ণ সেবা। বহু দূর-দুরান্ত থেকে ভক্তেরা সমাবেত হন এই মন্দিরে, এই মন্দিরের উৎসব আজ থেকেই শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দরা।

    ১৯১৮ সালে মন্দির সংস্করণ হয় (Maha Shivratri)

    বহরমপুর শহরের কাশিমবাজারের ব্যাসপুরে অবস্থিত এই বিখ্যাত শিব মন্দির। কথিত রয়েছে যে পণ্ডিত রামকেশব দেবশর্মন ১৮১১ সালে এই মন্দির তৈরি করেন। এই মন্দিরটির স্থাপত্য শৈলী খুব সুন্দর। এরকম উচু মন্দির এখানে আর নেই। অনেকের মতে আবার রাণী ভবানীর তৈরি বরানগরের মন্দির থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই মন্দির তৈরি হয়েছে। আজ এই মন্দিরে শিবরাত্রির দিনেই শিবকে পুজো করা হয়েছে। তবে সময়ের সাথে সাথে এই মন্দিরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ১৯১৮ সালে মুর্শিদাবাদের লালগোলার মহারাজা যোগীন্দ্র নারায়ণ রায় বাহাদুর এই মন্দিররের সংস্কার করেন। তখন এই মন্দিরের সংস্কারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী নেতা রায়বাহাদুর বৈকুণ্ঠ নাথ সেন। ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রের অমিত কুমার ভোঁসলে আবার এই মন্দিরের সংস্কার করেন।

    বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণ

    মন্দিরটি বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণে তৈরি। মন্দিরে কার্নিশসহ চালা,পদ্মফুলের আট পাপড়ি, মন্দিরে আট কোণ যুক্ত চূড়া আছে। মন্দিরের চুড়ায় কলস ও ত্রিশূল আছে। যা উল্টো পদ্মের মতো দেখতে। মন্দিরের গায়ে দুর্গা, কালী, রাধামাধব, গণেশ ,সিংহ, হাতি, সর্প ইত্যাদি অঙ্কিত রয়েছে। মন্দিরের প্রবেশ পথে মন্দিরের গায়ে রাম-রাবণের যুদ্ধ, কৃষ্ণলীলা, বিষ্ণুর দশাবতার, মহিষাসুরমর্দিনী, ফুল, লতাপাতা আঁকা রয়েছে। মন্দির সংস্কারের ফলে টেরাকোটার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। শিবরাত্রির (Maha Shivratri) দিনে জল ঢালার জন্য প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।

    মন্দিরের উচ্চতা ৫৭ ফুট

    এই মন্দিরের উচ্চতা ৫৭ ফুট। মন্দিরের গর্ভগৃহে আছে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ। তাঁরই নাম ব্যাস দেব। এই শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৫ ফুট। সম্প্রতি মন্দিরটির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্দিরের প্রবেশ পথের পাশেই তৈরি করা হয়েছে বিশাল “হরগৌরীর” মূর্তি। প্রধান মন্দিরের সম্মুখে তৈরি হয়েছে বিশাল “নাট মন্দির”। এখানে শিবরাত্রিতে (Maha Shivratri) ভক্তরা নিজের মনস্কামনার কথা জানিয়ে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ujjain mosque: উজ্জ্বয়িনী মসজিদ আদতে ছিল ভোজ আমলের হিন্দু মন্দির? প্রমাণ দেখাল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

    Ujjain mosque: উজ্জ্বয়িনী মসজিদ আদতে ছিল ভোজ আমলের হিন্দু মন্দির? প্রমাণ দেখাল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসজিদ বদলে গেল মন্দিরে! মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনীতে (Ujjain) একটি মসজিদের  শিব (Lord Shiva) ও গণেশের (Lord Ganesha) মূর্তি রয়েছে বলে দাবি উঠেছিল দিনকয়েক আগে। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এবার প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (archaeological department) নিশ্চিত করে জানাল, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, এক সময় সেখানেই ছিল হিন্দু দেবতা শিবের মন্দির (Shiva temple)। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের এই ঘোষণায় খুশি একাধিক হিন্দু সংগঠন।

    কিছুদিন আগে মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অতুলেশানন্দ জি মহারাজ দাবি করেছিলেন, উজ্জয়িনীর একটি মসজিদে (Ujjain mosque) শিব ও গণেশের মূর্তি রয়েছে। মসজিদটি দানি গেটে অবস্থিত। প্রতিদিন এখানে পাঁচবার নমাজ পাঠ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। অতুলেশানন্দ মহারাজের দাবি ছিল, ২০০৭ সালে তিনি একবার ওই মসজিদে প্রবেশ করেছিলেন। তখনই দেখেছিলেন, মন্দিরে রয়েছে শিব ও গণেশের ছবি। মূর্তিগুলি রাজা ভোজের সময়কার বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি যে নিছক দাবি নয়, প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের শিলমোহরেই মিলল তার প্রমাণ।

    ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে, মুঘল আমলের এদেশের অনেক মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বহু মন্দিরের বিগ্রহ সরিয়ে রূপদান করা হয় মসজিদের। মুসলমান শাসকের আমলে এসব নিয়ে খুব বেশি হইচই হয়নি। হইচই হয়নি স্বাধীনতা-উত্তর কালেও। সম্প্রতি একের পর এক মসজিদ এক সময় হিন্দুদের মন্দির ছিল বলে দাবি হিন্দুদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর। যেমন, আগরার তাজমহল নাকি এক সময় তেজো মহালয়া নামের শিব মন্দির ছিল। ওই স্মৃতিসৌধের বন্ধ থাকা ২০টি কক্ষ খুলে দেওয়ার দাবিও জানায় হিন্দুদের কয়েকটি সংগঠন।

    আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

    বিবাদ বেঁধেছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েও। কাশী বিশ্বনাথের মূল মন্দিরটি দু’হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত হয়েছিল বলে দাবি করেছেন হিন্দুদের একাধিক সংগঠন। তাদের দাবি, ১৬৬৯ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মন্দিরটি ভেঙে ফেলেন। তার পরেই তৈরি হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque)। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে এক সময় সেখানেই ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। মন্দির ফেরানোর দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কাশীর একটি হিন্দু সংগঠন।

     

     

LinkedIn
Share