Tag: Shivalinga

Shivalinga

  • Parthiv Shivalinga: মাটির শিবলিঙ্গ পূজনে পূরণ হয় ভক্তদের সকল মনোবাঞ্ছা! কীভাবে তৈরি করবেন?

    Parthiv Shivalinga: মাটির শিবলিঙ্গ পূজনে পূরণ হয় ভক্তদের সকল মনোবাঞ্ছা! কীভাবে তৈরি করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবপুরাণে ভগবান শিব ও শিবলিঙ্গের (Parthiv Shivalinga) পুজোর পদ্ধতি বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মাটির বা পার্থিব শিবলিঙ্গ পুজোর গুরুত্বও ব্যাখ্যা করা হয়েছে এখানে। মাটির শিবলিঙ্গের পুজো করলে দুঃখ-কষ্ট নাশ হয় এবং ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হয় বলে ধর্মীয় বিশ্বাস। শাস্ত্রবিদরা জানাচ্ছেন, শিবলিঙ্গের পুজো করার সংকল্প নিয়ে একটি পবিত্র স্থান বেছে নিন। আর নিয়ে আসুন পবিত্র নদী বা হ্রদের মাটি। মাটি শুদ্ধ করতে ফুল ও চন্দন ব্যবহার করুন। মাটি শোধনের সময় শিবমন্ত্র জপ করতে করতে মাটিতে গরুর দুধ, গুড়, মাখন ও ভস্ম মিশিয়ে শিবলিঙ্গ (Shivalinga) তৈরি করুন। শাস্ত্রবিদরা আরও জানাচ্ছেন, মাটির শিবলিঙ্গ তৈরির সময় শিবভক্তদের (Parthiv Shivalinga) মুখ পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখতে হবে। শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৮ ইঞ্চির বেশি রাখবেন না। শিবপুরাণ মতে, যে ব্যক্তি মাটির শিবলিঙ্গ তৈরি করে প্রতিদিন পুজো করেন, তিনি শিবপদ ও শিবলোক লাভ করেন। আবার যে ব্যক্তি ব্রাহ্মণ কুলে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও পুজো করে না, সে ঘোর নরকলাভ করে। 

    কীভাবে মাটির শিবলিঙ্গের (Parthiv Shivalinga) পুজো করবেন

    ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজোর সামগ্রী একত্রিত করে জল ছিটিয়ে শুদ্ধ করে নিতে হবে। পার্থিব শিবলিঙ্গের (Shivalinga) পুজো করার আগে শ্রী গণেশ, ভগবান বিষ্ণু, নবগ্রহ এবং দেবী পার্বতীর পুজো করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। শিবলিঙ্গে অর্পণ করতে হবে বেলপত্র, ফুল ইত্যাদি। এরসঙ্গে কাঁচা দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে হবে। পঞ্চমেব, পঞ্চামৃত, মিষ্টি, ফল, ধাতুরা, ভাং ইত্যাদিও নিবেদন করতে হবে। সবশেষে মহাদেবের আরতি করতে হবে। এরপর কোনও ব্রাহ্মণের সাহায্যে পুজো করে থাকলে, তাঁকে দক্ষিণা দিন। শিবের সামনে নিজের মনস্কামনা পূরণের প্রার্থনা করুন। তার পর বিসর্জন করবেন। শিবপুরাণ অনুযায়ী এ ভাবে শিবের পুজো করলে মোক্ষ লাভ করা যায়।

    হিন্দু ধর্মে মাটির শিবলিঙ্গের (Parthiv Shivalinga) গুরুত্ব কী?

    শিবপুরাণ অনুযায়ী, মাটির শিবলিঙ্গের পুজো জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। এছাড়া যে কোনও মানসিক ও শারীরিক কষ্ট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই। পুরাণ অনুযায়ী, কুষ্মাণ্ড ঋষির পুত্র মণ্ডপ সর্বপ্রথম মাটির শিবলিঙ্গের পুজো শুরু করেন। মাটির শিবলিঙ্গের পুজোর সময় শিবমন্ত্র জপ করা উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maha Shivratri: শিবরাত্রিতে ব্যাসপুরের শিব মন্দিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    Maha Shivratri: শিবরাত্রিতে ব্যাসপুরের শিব মন্দিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের একটি অতি প্রাচীন মন্দির হলো ব্যাসপুর শিব মন্দির। শিবরাত্রি (Maha Shivratri) উপলক্ষে চলে চার দিনব্যাপী উৎসব ও নরনারায়ণ সেবা। বহু দূর-দুরান্ত থেকে ভক্তেরা সমাবেত হন এই মন্দিরে, এই মন্দিরের উৎসব আজ থেকেই শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দরা।

    ১৯১৮ সালে মন্দির সংস্করণ হয় (Maha Shivratri)

    বহরমপুর শহরের কাশিমবাজারের ব্যাসপুরে অবস্থিত এই বিখ্যাত শিব মন্দির। কথিত রয়েছে যে পণ্ডিত রামকেশব দেবশর্মন ১৮১১ সালে এই মন্দির তৈরি করেন। এই মন্দিরটির স্থাপত্য শৈলী খুব সুন্দর। এরকম উচু মন্দির এখানে আর নেই। অনেকের মতে আবার রাণী ভবানীর তৈরি বরানগরের মন্দির থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই মন্দির তৈরি হয়েছে। আজ এই মন্দিরে শিবরাত্রির দিনেই শিবকে পুজো করা হয়েছে। তবে সময়ের সাথে সাথে এই মন্দিরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ১৯১৮ সালে মুর্শিদাবাদের লালগোলার মহারাজা যোগীন্দ্র নারায়ণ রায় বাহাদুর এই মন্দিররের সংস্কার করেন। তখন এই মন্দিরের সংস্কারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী নেতা রায়বাহাদুর বৈকুণ্ঠ নাথ সেন। ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রের অমিত কুমার ভোঁসলে আবার এই মন্দিরের সংস্কার করেন।

    বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণ

    মন্দিরটি বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণে তৈরি। মন্দিরে কার্নিশসহ চালা,পদ্মফুলের আট পাপড়ি, মন্দিরে আট কোণ যুক্ত চূড়া আছে। মন্দিরের চুড়ায় কলস ও ত্রিশূল আছে। যা উল্টো পদ্মের মতো দেখতে। মন্দিরের গায়ে দুর্গা, কালী, রাধামাধব, গণেশ ,সিংহ, হাতি, সর্প ইত্যাদি অঙ্কিত রয়েছে। মন্দিরের প্রবেশ পথে মন্দিরের গায়ে রাম-রাবণের যুদ্ধ, কৃষ্ণলীলা, বিষ্ণুর দশাবতার, মহিষাসুরমর্দিনী, ফুল, লতাপাতা আঁকা রয়েছে। মন্দির সংস্কারের ফলে টেরাকোটার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। শিবরাত্রির (Maha Shivratri) দিনে জল ঢালার জন্য প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।

    মন্দিরের উচ্চতা ৫৭ ফুট

    এই মন্দিরের উচ্চতা ৫৭ ফুট। মন্দিরের গর্ভগৃহে আছে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ। তাঁরই নাম ব্যাস দেব। এই শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৫ ফুট। সম্প্রতি মন্দিরটির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্দিরের প্রবেশ পথের পাশেই তৈরি করা হয়েছে বিশাল “হরগৌরীর” মূর্তি। প্রধান মন্দিরের সম্মুখে তৈরি হয়েছে বিশাল “নাট মন্দির”। এখানে শিবরাত্রিতে (Maha Shivratri) ভক্তরা নিজের মনস্কামনার কথা জানিয়ে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share