Tag: shivratri

shivratri

  • Maha Kumbh 2025: মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে শেষ অমৃত স্নান! উপচে পড়ল ভিড়, কন্ট্রোল রুমে বসে যোগী

    Maha Kumbh 2025: মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে শেষ অমৃত স্নান! উপচে পড়ল ভিড়, কন্ট্রোল রুমে বসে যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) উপলক্ষে মহা কুম্ভের শেষ অমৃত ‘স্নান’ (Last Amrit Snan)। মহা কুম্ভের (Maha Kumbh 2025) শেষ দিনে পবিত্র স্নান করার জন্য ত্রিবেণী সঙ্গমে (Prayagraj Sangam) বিপুল ভক্ত সমাগম। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতির ওপর নিজের অফিস থেকে নজরদারি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) স্বয়ং। জানা গিয়েছে, গোরক্ষনাথ মন্দিরে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছেন যোগী। সেখান থেকেই অনবরত নজরদারি চালাচ্ছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের হিসেব জানাচ্ছে, এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৮২ লক্ষ মানুষ পুণ্যডুব দিয়েছেন। এদিন সকালে এক্স হ্যান্ডলে যোগী আদিত্যনাথ জানান, কুম্ভে ৬৩.৬৩ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। মেলা শেষে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে, তা নিশ্চিত।

    লাখ লাখ পূণ্যার্থী প্রয়াগরাজে

    গত ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) সূচনা ঘটেছিল। ৬ সপ্তাহ ধরে চলেছে এই ধর্মীয় ‘মহামিলন’। এর মধ্যে মোট ৬ দিন ‘শাহি স্নানের যোগ’ ছিল- ১৩ জানুয়ারি (পৌষ পূর্ণিমা), ১৪ জানুয়ারি (মকর সংক্রান্তি), ২৯ জানুয়ারি (মৌনী অমাবস্যা), ৩ ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী), ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা), ২৬ ফেব্রুয়ারি (মহা শিবরাত্রি)। মহাকুম্ভের শেষ শাহি স্নানের সময় সঙ্গমে ডুব দিতে ভোররাত থেকেই ঘাটে ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন লক্ষাধিক পূণ্যার্থী। মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri) উপলক্ষে মহাকুম্ভে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জনের ‘শেষ সুযোগ’ যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়, তার জন্যে লাখ লাখ পুণ্যার্থী প্রয়াগরাজে ভিড় জমিয়েছেন।

    কুম্ভে কড়া নিরাপত্তা

    শেষ অমৃত স্নান (Last Amrit Snan) উপলক্ষে গোটা কুম্ভ এলাকায় গাড়ি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে আজ কোনও ভিআইপি-র জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে না কুম্ভে। এদিকে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিকটবর্তী ঘাটেই স্নান করতে বলা হয়েছে পুণ্যার্থীদের। এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে ডিআইজি (কুম্ভ) বৈভব কৃষ্ণ দাবি করেছেন, শিবরাত্রিতে ‘জোড়া পরিস্থিতি’ সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি করেছে পুলিশ বাহিনী। ৩৭ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, ১৪ হাজার হোমগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ২৭৫০টি এআই ভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ৩টি জল পুলিশ স্টেশন বসানো হয়েছে। এছাড়াও ১৮টি জল কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। এরই সঙ্গে ৫০টি ওয়াচটাওয়ার বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরারি চালানো হচ্ছে যাতে কোনও ভুয়ো খবর না ছড়ানো হয়। ভারতীয় রেলওয়েও মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা কুম্ভ ২০২৫-এর (Maha Kumbh 2025) চূড়ান্ত অমৃত স্নানের (Last Amrit Snan) পর তীর্থযাত্রীদের ফিরে যাওয়ার সুবিধার্থে প্রয়াগরাজ থেকে ৩৫০ টিরও বেশি অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

  • Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, উপোস থেকে পুজো, জেনে নিন নিয়মবিধি

    Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, উপোস থেকে পুজো, জেনে নিন নিয়মবিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার শিবরাত্রি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটা অতি পবিত্র একটা দিন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই দিনেই শিব ও পার্বতী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ভক্তরা তাই মনে করেন, এই দিন যদি শিব-পার্বতীর পুজো করা হয় তা হলে সংসারে শান্তি বজায় থাকে। এ ছাড়াও এই দিন শিবের পুজো করলে মোক্ষলাভ হয় বলেও কথিত রয়েছে, এমনটাই বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2025) পুজো মহিলা ও পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই করতে পারেন বলে শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। শিবরাত্রির (Shivratri) পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে যা অবশ্যই সঠিক ভাবে পালন করতে হবে।

    মহা শিবরাত্রির তাৎপর্য (Maha Shivratri 2025)

    সাধারণভাবে প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালিত হয়, কিন্তু ফাল্গুন মাসের শিবরাত্রি, মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025) নামে প্রসিদ্ধ। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবলিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহাদেব। এই ব্রতে ভক্তরা শিবলিঙ্গে দুধ নিবেদন করেন এবং মোক্ষ প্রার্থনা করে। সারা রাত ধরে চলে ভক্তদের প্রার্থনা। শিবলিঙ্গকে স্নান করানোর জন্য মূলত গঙ্গাজল বা গঙ্গাজল মেশানো জল ব্যবহার করা হয়। শিবলিঙ্গের মাথায় অর্পণ করা হয় তিনটি পাতাযুক্ত যৌগিক বেলপাতা।

    আগের দিন থেকেই খান নিরামিষ (Maha Shivratri 2025)

    শিবরাত্রির আগের দিন থেকেই নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই কোনও প্রকার আমিষ আহার গ্রহণ করা যাবে না। তার পর শিবরাত্রির দিন থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত উপবাস করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। যাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই ব্রত পালন করেন তাঁরা শিবরাত্রির রাত না ঘুমিয়ে কাটান। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, চেষ্টা করুন শিবরাত্রির রাতে একেবারে না ঘুমিয়ে জেগে কাটাতে। পরের দিন পুজো করে প্রসাদ মুখে দিয়ে উপবাস ভঙ্গ করুন।

    চার প্রহরের পুজো

    প্রসঙ্গত, শিবরাত্রির পবিত্র দিনে রাত জেগে চার প্রহরে শিবের পুজো করতে হয়। প্রথম প্রহরে জল দিয়ে পুজো হয়, দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ঘি এবং চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে শিবের অভিষেক করার রীতি দেখা যায়। শিবরাত্রির পুণ্যতিথিতে পুজো করার সময় শিবলিঙ্গে কাঁচা দুধ এবং গঙ্গাজল অবশ্যই অর্পণ করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। এই পুজোয় অপরাজিতা, ধুতরো ফুল এবং বেলপাতা ব্যবহার করা উচিত। পুজোর শেষে শিবের নাম ১০৮বার জপ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পরের দিন পর্যন্ত যদি উপবাস না রাখা যায়, অথবা সারা রাত জেগে কাটাতে না পারলে শিবরাত্রির দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত উপবাস থেকে পুজো করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর প্রসাদ গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করা যেতে পারে। তারপর ফল ও দুধ খেতে পারেন।

    মহা শিবরাত্রির পুজোর নিয়ম

    শিবরাত্রিতে (Maha Shivratri 2025)  ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে শিব ও পার্বতীকে প্রণাম করে পুজোর সংকল্প গ্রহণ করুন। এর পর গঙ্গায় স্নান করুন। গঙ্গা দূরে থাকলে গঙ্গাজল মেশানো জলে স্নান করুন। নতুন ও পরিষ্কার পোশাক পরে সূর্যকে অঞ্জলি দিন। মন্দিরে গিয়ে দুধ, গঙ্গাজল দিয়ে শিবের অভিষেক করুন। এ ছাড়াও বাড়িতে একটি চৌকিতে লাল কাপড় বিছিয়ে দিন। তার উপর রাখুন শিব মূর্তি। দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে সেই প্রতিমার অভিষেক করুন। এর পর পঞ্চোপচার নিয়মে শিব ও পার্বতীর অভিষেক করুন।

    কেন শিবলিঙ্গের ওপর জল ঢালা হয় জানেন?

    পুরাণ অনুসারে, দেবতা এবং অসুররা যখন অমৃত পাওয়ার জন্য সাগর মন্থন শুরু করেন, তখন সেখান থেকে উঠেছিল বিষ বা হলাহল। মহাবিশ্বের সমস্ত সৃষ্টিকে ধ্বংস করে দিতে পারত সেই হলাহল। দেবতা এবং দানবরা মিলে ভগবান শিবকে বিষ পান করার জন্য অনুরোধ করেন। মহাবিশ্বকে রক্ষা করতে মহাদেব দেবতা ও অসুরদের অনুরোধ মেনে নেন। এবং সেই বিষ পান করেন। এই বিষ মহাদেবের শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র পীড়া হতে পারতো। তাই, ভোলানাথকে যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর জন্য দেবী পার্বতী তাঁর গলায় হাত রাখেন। বিষ শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা রোধ হয়ে যায়। শরীর জুড়ে হলাহল ছড়িয়ে না পড়লেও ভগবান শিবের গলায় থাকার কারণে তা তাঁর গলাকে নীল করে দিয়েছিল। একারণেই তাঁকে নীলকণ্ঠ বলা হয়ে থাকে। বিষের কারণে প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহাদেবের শরীর। তাই ভগবান বিষ্ণু সেই তাপ কমানোর জন্য দেবতাদের (Maha Shivratri 2025) নির্দেশ দেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। ভক্তদের এই বিশ্বাস থেকেই আজও শিবের মাথায় জল ঢালার রীতি দেখা যায়।

  • Maha Shivratri 2025: আজ মহাশিবরাত্রি, কখন লাগছে তিথি? থাকবে কতক্ষণ?

    Maha Shivratri 2025: আজ মহাশিবরাত্রি, কখন লাগছে তিথি? থাকবে কতক্ষণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহাশিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)। শাস্ত্র অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল এই তিথিতেই। আবার শিবপুরাণ অনুযায়ী, মহাদেব যেদিন শিবলিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সেই দিনই ছিল ফাল্গুন কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথি। প্রসঙ্গত, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মহা শিবরাত্রির (Shivratri) ব্রত। দলে দলে ভক্তরা পুণ্য ও মোক্ষ লাভের আশায় শিবের মাথায় জল ঢালেন। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, যত ব্রত আছে সকল ব্রতের শ্রেষ্ঠ হল মহাশিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)। ভক্তদের বিশ্বাস, এই তিথিতে দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর আরাধনায় অজ্ঞতা, অন্ধকার দূর হয়। পূরণ হয় মনের সকল বাসনা।

    কখন শুরু হচ্ছে তিথি? থাকবে কতক্ষণ?

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে-

    চতুর্দশী তিথি আরম্ভ: ২৬ ফেব্রুয়ারি বা ১৩ ফাল্গুন, বুধবার

    সময়: সকাল ১১টা ১০ মিনিট

    চতুর্দশী তিথি শেষ: ১৪ ফাল্গুন বা ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার

    সময়: সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে-

    চতুর্দশী তিথি আরম্ভ: ১৩ ফাল্গুন বা ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার

    সময় সকাল: ৯টা ৪১ মিনিট ৮ সেকেন্ড

    চতুর্দশী তিথি শেষ: ১৪ ফাল্গুন বা ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার

    সময়: সকাল ৮টা ২৯ মিনিট ৩১ সেকেন্ড

    ব্রত পালনের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম

    শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2025) ব্রত পালনের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। এই ব্রত পালন শুরু করা হয় ঠিক শিবরাত্রির আগের দিন। ব্রত শেষ হয় শিবরাত্রির পরের দিন। শাস্ত্রবিদরা জানাচ্ছেন, ব্রত শুরু হওয়ার আগের দিন থেকেই ভক্তদের নিরামিষ খেতে হবে। এরপর মহাশিবরাত্রির দিন উপবাস থাকতে হবে। গঙ্গাজল, দুধ, ঘি এবং মধু মাখিয়ে শিবলিঙ্গকে চার প্রহরে চার বার স্নান করাতে হবে। ব্রতের নিয়ম অনুযায়ী, মহাদেবকে অর্পণ করতে হবে বেলপাতা, ধুতরো ফুল, আকন্দ ফুল, অপরাজিতা (নীল) ফুল এবং ফল-মিষ্টি। শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2025) পরের দিন কোনও ধর্মপ্রাণ মানুষকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভোজন করিয়ে এই ব্রত উদ্‌যাপন করা হয়।

  • Maha Shivratri 2024: সামনেই শিবরাত্রি, জেনে নিন বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠার এই নিয়মগুলি

    Maha Shivratri 2024: সামনেই শিবরাত্রি, জেনে নিন বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠার এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ মার্চ শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2024)। দেবাদিদেব মহাদেবের বিশেষ পুজো। হিন্দু শাস্ত্র মতে, গঙ্গার সমতুল যেমন কোনও নদী নেই, তেমনি শিবরাত্রির মতো ব্রত নেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ব্রতীরা এদিন শিবলিঙ্গে জল ঢালেন। শিবরাত্রির পুজো হয় চার প্রহরে, চারবার। শিবের আর এক নাম আশুতোষ। অল্পেই সন্তুষ্ট হন। সামান্য একটা বেলপাতা মাথায় দিলেই হয়। শিব যোগী পুরুষ। শাস্ত্র অনুযায়ী, যেহেতু শালগ্রাম শিলা স্পর্শের অধিকার সব বর্ণের মানুষের নেই, তাই স্বয়ং নারায়ণই বানলিঙ্গ শিবের রূপ নিয়েছিলেন। সেই কারণেই বাণলিঙ্গ শিবের স্পর্শ দোষ নেই, নেই শুচি-অশুচিও।

    শিব প্রতিষ্ঠার নিয়ম

    শিবরাত্রিতে অনেকেই বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এই প্রতিষ্ঠা নিজে নিজে করলেই হয় না। শিব প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন বিশেষ আয়োজন। বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন পুরোহিত। তবে বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানতে হবে কিছু বিশেষ নিয়ম। কারণ মনে রাখতে হবে, শিবের আপাত শান্ত মূর্তির মধ্যে রয়েছে তাঁর প্রলয়ঙ্করী রূপও (Maha Shivratri 2024)। তিনি যেমন ত্রাতা, তেমনি তিনি প্রলয়কর্তাও।

    শিবের ছবি পুজো

    তাই শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা না করে শিবের ছবি পুজো করাই ভালো। আর যদি নিতান্তই শিব প্রতিষ্ঠার ইচ্ছে হয়, তাহলে শাস্ত্র সম্মতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিব যেহেতু যোগী পুরুষ, সব সময় যোগে নিমগ্ন থাকেন, তাই তাঁর ধ্যান ভাঙানো উচিত নয়। তাঁর যাতে ধ্যানভঙ্গ না হয়, সেজন্য শিবমন্দিরে জানালা পর্যন্ত থাকে না। বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠা করলে এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। শিব মন্দিরে নিয়মিত পুজো করতে হবে। দিতে হবে সন্ধেও।

    আরও পড়ুুন: মোদির সভায় যোগদান? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন তমলুকে?

    যাঁরা এসব নিয়মকানুন মানতে পারবেন না, অথচ দেবাদিদেবের পুজো করতে চান, তাঁরা বাণলিঙ্গ রাখতে পারেন। বাণলিঙ্গকে নর্মদেশ্বর লিঙ্গও বলা হয়। নর্মদা নদীতেই মেলে বাণলিঙ্গ শিব। এই বাণলিঙ্গ শিবের যেহেতু শুচি-অশুচি নেই, তাই পুজো করা সহজ। তবে কোন রংয়ের বাণলিঙ্গ ঘরে রাখবেন, তা জেনে নেবেন শাস্ত্রকারদের কাছ থেকে। তবে সাদা রংয়ের শিব কখনওই পুজো করবেন না। এটি পুজো করেন সন্ন্যাসীরা। গৃহীর এই রংয়ের শিবের পুজো করা উচিত নয়। শিবলিঙ্গকে সব সময় তামার কোনও পাত্রের ওপর রাখবেন। শিবের গৌরীপট্টটি সর্বদা রাখতে হবে উত্তর দিকে (Maha Shivratri 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Shivratri: শিব মন্দিরে প্রবেশে বাধা, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম অন্তত ১৪

    Shivratri: শিব মন্দিরে প্রবেশে বাধা, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম অন্তত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবমন্দিরে (Shivratri)  প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ। জখম অন্তত ১৪ জন। শনিবার ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের (Clashes Over Caste) দক্ষিণ পশ্চিমের খারগন জেলার ছাপরা সানাওয়াড় এলাকায়। এদিন স্থানীয় এক শিব মন্দিরে প্রার্থনা করতে ভিড় করেছিলেন বহু পুণ্যার্থী। দলিত সম্প্রদায়ের কয়েকজনও জল ঢালতে ওই মন্দিরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, উচ্চবর্ণের লোকজন তাঁদের বাধা দেন। তার জেরেই বাঁধে সংঘর্ষ।

    হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি…

    রাজধানী ভোপাল থেকে অকুস্থলের দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। স্থানীয়রা জানান, মন্দিরে ঢোকা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। তার জেরে শুরু হয় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি। দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের অভিযোগ, মন্দিরে তাঁদের প্রবেশ করা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। বচসা থেকে হাতাহাতি এবং পরে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক বিনোদ দীক্ষিত জানান, দুই তরফে ইটবৃষ্টি চলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। অভিযোগ জমা পড়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    দলিত সম্প্রদায়ের দাবি, স্থানীয় গুর্জর নেতা ভাইয়ালাল পটেলের নেতৃত্বেই অশান্তির শুরু। প্রথমে দলিত মেয়েদের মন্দিরে (Shivratri) ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ১৭ জন সন্দেহভাজন ও ২৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। প্রেমলাল নামের এক দলিতের অভিযোগ, গুর্জর সম্প্রদায়ের নেতা ভাইয়ালাল পটেল দলিত যুবতীদের মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেন। এক দলিত মহিলার দাবি, শিবের মাথায় জল ঢালতে গেলে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। রবীন্দ্র রাও মারাঠা নামে এক ব্যক্তির দাবি, প্রেমলাল সহ ৩৪ জন হাতিয়ার নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হন।

    মধ্যপ্রদেশে অবশ্য এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরও খারগনের ওই শিবমন্দিরেই (Shivratri) ঢোকা নিয়ে অশান্তি হয়েছিল। সেবার খোদ মন্দিরের পুরোহিত শিবরাত্রিতে দলিত কন্যার প্রবেশে বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় ওই পুরোহিত ও আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।

    স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মন্দিরে কাউকে প্রবেশে বাধা দেওয়া যাবে না বলে স্থানীয়দের বুঝিয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে একটি বটগাছ কেটে ফেলা ও বিআর আম্বেদকরের মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। তিনি জানান, গুর্জরদের তরফেও দলিত সম্প্রদায়ের ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

LinkedIn
Share