Tag: Shivsena

Shivsena

  • Palghar Sadhu Lynching: রাহুল গান্ধীর নির্দেশেই পালঘর সাধু খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেননি উদ্ধব!

    Palghar Sadhu Lynching: রাহুল গান্ধীর নির্দেশেই পালঘর সাধু খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেননি উদ্ধব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালঘরে দুই সাধুকে পিটিয়ে খুনের (Palghar Sadhu Lynching) মামলায় বিস্ফোরক দাবি শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের! দলের সম্পাদক তথা মুখপাত্র কিরণ পাওয়াস্কারের দাবি, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর নির্দেশে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে পালঘর সাধু খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেননি। সেই কারণেই আজও সত্য উদ্ঘাটন হয়নি নারকীয় এই ঘটনার। দোষীরা পায়নি সাজা।

    পালঘর সাধু খুন

    ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল ঘটেছিল পালঘরে সাধু হত্যা। খর বৈশাখের সেই দিনটিতে দেশজুড়ে যখন চলছিল রাম নবমী পালনের উদযোগ। সেই রাতে ঘটেছিল নৃশংস সেই গণপিটুনির ঘটনা, যার জেরে বেঘোরে প্রাণ গিয়েছিল জুন আখড়ার দুই সন্ন্যাসীর। এঁদের (Palghar Sadhu Lynching) একজন বছর সত্তরের কল্পবরুক্ষগিরি ও বছর পঁয়ত্রিশের সুশীল গিরি মহারাজ। করোনা পরিস্থিতিতে জুনা আখড়ার এই দুই সাধু মুম্বইয়ের কান্দিভালি থেকে সুরাটে যাচ্ছিলেন অন্য এক সাধুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে। গাদচিনচিল গ্রামে তাঁদের ঘিরে ধরে জনতা। তারপর নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করা হয় এই দুই নিরীহ সাধুকে। কেবল এই দুই সাধু নন, সেই রাতে উন্মত্ত জনতার রোষের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁদের গাড়ির চালক বছর তিরিশের নীলেশ তেলগাদেও।

    সিবিআই দেয়নি ঠাকরে সরকার

    নৃশংস এই হিংসার ছবি ভিডিও বন্দি করা হয়। শ’খানেক উন্মত্ত জনতার সেই তাণ্ডবের ছবিতে দেখা গিয়েছে, ঘটনার সময় পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয় দর্শক। বিপন্ন দুই সাধু ও তাঁদের গাড়ির চালককে উদ্ধারের কোনও চেষ্টাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের নেতা তথা দলের সম্পাদক পাওস্কর বলেন, “২০২০ সালে সাধুদের হত্যা করা হয়েছিল। সেই সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। মামলাটি যখন সুপ্রিম কোর্টে যায় তখন একটিই দাবি ছিল। সেটি হল রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নিয়ে তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। সেই সময় একজন বলতে থাকেন, তিনি হিন্দুত্ববাদী, বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে। তিনি বলেছিলেন, এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করার প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকারের হাতেই থাকবে।” ঠাকরের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এত নৃশংস একটি খুনের ঘটনার কথা জেনেও সেই সময় উদাসীন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ব্যস্ত ছিলেন তহবিল সংগ্রহে।” তাঁর অভিযোগ, সরকারি উদাসীনতার জেরেই পার পেয়ে গিয়েছে সন্দেহভাজনরা। শিবসেনার এই মুখপাত্রের অভিযোগ, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার হস্তান্তরে দেরি হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে তদন্তের।

    আরও পড়ুুন: দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উদ্যোগ 

    দুই সাধু খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হন জুনা আখড়ার সাধুরা। তাঁদের সুরে সুর মেলায় জনতাও। অভিযোগ, তার পরেও তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়নি সিবিআইয়ের হাতে। পরে ফাটল ধরে শিবসেনায়। ২০২২ সালের ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন একনাথ শিন্ডে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় পালঘর সাধু খুনের মামলা হস্তান্তর করা হবে সিবিআইয়ের হাতে। পরে তা হস্তান্তর করাও হয় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার হাতে। শিবসেনা নেতার এহেন বিস্ফোরক দাবিতে ঘুরতে পারে পালঘর সাধু খুনের মামলার মোড়। কারণ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল পালঘর সাধু খুনের (Palghar Sadhu Lynching) তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘটনায় দেশের শীর্ষ আদালত যখন সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবিতে জমা পড়া পিটিশনের জবাব চায়, তখনই রাজ্য সরকারের তরফে জমা দেওয়া হয় ওই হলফনামা।

    তদন্তে জানা গিয়েছে, জুনা আখড়ার ওই দুই সাধু খুনের নেপথ্যে ছিল বড়সড় ষড়যন্ত্র। ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে অতিবাম দল, স্থানীয় এনসিপি নেতারা এবং খ্রিস্টান মিশনারি সংগঠন। এফআইআরে সিপিআইএমের গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের নামও রয়েছে। যা থেকে আক্রমণের নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। সাধুদের হেনস্থার ঘটনাটি যে পূর্ব পরিকল্পিত, সেই আশঙ্কাও করছেন তাঁরা (Palghar Sadhu Lynching)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Crisis: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    Maharashtra Crisis: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভয় পেয়ে তিনি পিছিয়ে যাবেন না। লড়াইও চালিয়ে যাবেন। আপনজনেরাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অভিমান বালসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধবের। বৃহস্পতিবার আস্থাভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই  বুধবার মহারাষ্ট্রের ( Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ফেসবুক লাইভে এসে একথা ঘোষণা করেন তিনি। এদিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ FB Live -এ এসে ‘ওয়াকওভার’ দেওয়ার কথা জানান ঠাকরে।

    লাইভে এসে উদ্ধব বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আমি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাওয়ার মানুষ নই। কিন্তু, রাস্তাঘাটে শিব সৈনিকদের (Shivsena) রক্ত ঝরুক সেটা আমি চাই না। সেই কারণেই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    নাম না নিয়ে বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেকে  (Eknath Shinde) কটাক্ষ করে উদ্ধব বলেন, “যারা অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি চালাত, আমরা তাঁদের সাংসদ, বিধায়ক বানিয়েছি। আমি যাদের সবকিছু দিয়েছি, তাঁরাই এমন করেছে।”  তাঁর কথায়, শিবসেনা যাঁদের তুলে এনে কাউন্সিলর এবং মন্ত্রী করেছে, তাঁরাই বিশ্বাসঘাতকতা করছে। 

    এদিন আবেগঘন বক্তৃতায় উদ্ধব জানান, তিনি চিরতরে চলে যাচ্ছেন না।  সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে  উদ্ধব বলেন, “আমি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত করে থাকি তবে আমিও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি এখানে থাকব আবার শিবসেনা ভবনে বসব। আমি আমার সমস্ত মানুষকে একত্র করব।”

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?

    এনসিপি (NCP) এবং কংগ্রেসকে (Congress)  ধন্যবাদ জানিয়ে উদ্ধব বলেন,“আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করছি না। আমার কোনও দুঃখ বা আক্ষেপ নেই। আমি এনসিপি এবং কংগ্রেসের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই যে তাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন। যাঁদের নিজে হাতে গড়লাম, তাঁরাই ক্ষমতা পেয়ে অতীত ভুলে গেল। আমি হঠাতই ক্ষমতায় এসেছিলাম আবার একইভাবে ক্ষমতা থেকে সরে যাচ্ছি। তবে শিবসেনা একটা পরিবার, একে আমি ভাঙতে দেব না। আমি কোথাও যাচ্ছি না। সমস্ত সমর্থকদের একজোট করে আমরা আবার ক্ষমতা দখল করব।”

  • Cities Renamed in Maharashtra: শেষবেলায় দুই শহরের নাম বদল, হিন্দুত্ববাদ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা উদ্ধবের!

    Cities Renamed in Maharashtra: শেষবেলায় দুই শহরের নাম বদল, হিন্দুত্ববাদ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা উদ্ধবের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুসপ্তাহের টানাপোড়েন। অবশেষে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে পা রেখেছিলেন নির্বাচনী রাজনীতিতে। শেষ মুহূর্তে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে ‘মহা বিকাশ আঘাডি’ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মসনদে বসেছিলেন উদ্ধব। কিন্তু এত ঘটা করে সিংহাসনে বসেও শেষ রক্ষা হল না। মাত্র আড়াই বছরেই ভেঙে গেল উদ্ধব রাজত্ব। ছাড়লেন বিধান পরিষদের সদস্য পদও। ইস্তফা দিয়েই বলেছেন কোনও আফসোস নেই। সত্যিই কী শুরু থেকেই পদের প্রতি এতটা নির্মোহ ছিলেন উদ্ধব?

    আরও পড়ুন: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির 

    মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অবস্থা যখন টালমাটাল তখন রাজ্যবাসীর মন পেতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি উদ্ধব। শেষবেলায় ফের হিন্দুত্বের পথেও হেঁটেছেন তিনি। গতকালই ঔরঙ্গাবাদের (Aurangabad) নাম পরিবর্তন করে সম্ভাজিনগর করার অনুমোদন দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা!  মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নামে নয় এবার ছত্রপতি শিবাজির ছেলে শম্ভাজির ( Sambhajinagar) নামে শম্ভাজিনগর হতে চলেছে ওই এলাকার নাম। ওসমানাবাদেরও (Osmanabad) নাম পাল্টে হচ্ছে ধারাশিব (Dharashiv)। হায়দ্রাবাদের শেষ নবাব মীর ওসমান আলি খানের নামে ছিল এই শহরের নাম। এই দুই শহরের নাম বদলের দাবি বহুদিনের। মারাঠা ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারকে প্রমাণ করে  ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ চেষ্টাটি করেছিলেন উদ্ধব।    

    এই সিদ্ধান্ত যে নিজের হিন্দুত্ববাদ প্রমানের মরিয়া চেষ্টার ফসল তা সহজেই বোঝা যায়। অর্থাৎ ইস্তফার কয়েক ঘণ্টা আগেও আশা ছাড়েননি উদ্ধব। কিন্তু তরী ডোবা আটকানো যায়নি।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?   

    সুত্রের খবর, এই প্রস্তাবে একেবারেই রাজী ছিল না শিবসেনার জোটসঙ্গী এনসিপি। তবে এদিনের বৈঠকের শেষ তিন মিনিটে আবেগপ্রবণ ঠাকরে কংগ্রেস ও এনসিপিকে ধন্যবাদ জানায় পাশে থাকার জন্য। এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানান উদ্ধব ঠাকরে। 

    উদ্ধবের এমন পরিণতিতে বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন বক্তব্য সামনে আসছে। অনেকেই মনে করছেন, বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি থেকে সরে এসে ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে ঝোঁকার মতো সিদ্ধান্ত উদ্ধবের বিপক্ষে গিয়েছে। অনেকে আবার ছায়াসঙ্গী তথা দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকেও উদ্ধবের পতনের জন্য দায়ী করেছেন।

     

  • Uddhav Thackeray: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    Uddhav Thackeray: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন যে, দু’বার তিনি পদত্যাগ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, জোটসঙ্গী তথা প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) কথায় পিছু হঠেন। তবে, তৃতীয়বার আর পিছোলেন না। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ  (Floor Test) করার আগের রাতে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ফলে, নতুন মোড় নিল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট (Maharashtra Crisis)।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির (Bhagat Singh Koshyari) কাছে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)। এর পরই বুধবার, উদ্ধবকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। সেই আস্থাভোট আজ বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল অর্থাৎ বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হয় উদ্ধব-শিবির। 

    কিন্তু, শীর্ষ আদালত তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, নির্ধারিত সময়ই হবে আস্থাভোট। এই পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে যে এখন মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা মুশকিল, তা বিলক্ষণ জানতেন উদ্ধব। যে কারণে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধব। একইসঙ্গে ছেড়ে দেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। এদিকে, উদ্ধব পদত্যাগ করার ফলে, নিযুক্ত সরকার রইল না। ফলে এমতাবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    এদিকে, বিশাল নিরাপত্তার বেষ্টনীতে বুধবার সন্ধ্যায় আসাম থেকে গোয়ায় পৌঁছেছে একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী শিবির। গুয়াহাটি থেকে বিশেষ বিমানে করে বিধায়করা ডাবোলিমে এসে পৌঁছন। আজ বৃহস্পতিবার, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মহারাষ্টে পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে একনাথ শিন্ডের বলে জানা গিয়েছে।

    ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া ফড়নবীশও। মহারাষ্ট্রের মসনদে প্রত্যাবর্তনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে কোশিয়ারির কাছে যেতে তিনি প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে একনাথ শিন্ডেকে। সব ঠিক থাকলে ২ জুলাই শপথ নিতে পারেন তাঁরা।

    বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধব ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই উৎসব শুরু হয়ে যায় বিজেপি শিবিরে। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিলের সঙ্গে সেই সময় পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন ফড়নবীশ। বিজেপি-র অন্য নেতারাও সেখানে ছিলেন। প্রায় ধরেবেঁধে সকলে মিলে ফড়নবীশকে মিষ্টিমুখ করান।

    আরও পড়ুন: দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

  • Maharashtra Political Crisis: ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন! ভেঙে যাবে শিন্ডে সরকার দাবি পাওয়ারের

    Maharashtra Political Crisis: ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন! ভেঙে যাবে শিন্ডে সরকার দাবি পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহও হয়নি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (CM) পদে শপথ নিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। আজ, সোমবার মহারাষ্ট্র (maharashtra) বিধানসভায় (assembly) আস্থা ভোট (floor test)। তার আগে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) কটাক্ষ করলেন এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। নতুন সরকার কত দিন টিকবে তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের ‘স্ট্রংম্যান’। রবিবার সন্ধ্যায় এনসিপির বৈঠকে পওয়ার বলেন, আগামী ছ’মাসের মধ্যেই পতন হতে পারে মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারের। সে কারণে মহারাষ্ট্রে অসময়ে নির্বাচনও হতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাই সকলকে প্রস্তুত থাকার আবেদন করেছেন। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফের জয় টিম শিন্ডের, স্পিকার পদে বিজেপির রাহুল

    রবিবার এনসিপির বিধায়ক এবং অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পাওয়ার। সেই সময় তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের নবগঠিত সরকারের পতন হতে পারে ৬ মাসের মধ্যেই। সেই কারণে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের জন্য তৈরি থাকতে হবে। পাওয়ারকে উদ্ধৃত করে বৈঠক শেষে এক এনসিপি নেতা বলেছেন, ‘‘শিন্ডেকে যাঁরা সমর্থন করেছেন, সেই সমস্ত বিদ্রোহী বিধায়কের অনেকেই খুশি নন। এ কথা বলেছেন পওয়ার। তাঁর মতে, মন্ত্রিত্ব বণ্টনের পরই অসন্তোষ বাড়বে। যার ফলে সরকার পড়ে যাবে।’’ ওই নেতার কথায়, পাওয়ার জানিয়েছেন, একনাথ শিন্ডের পরীক্ষা ব্যর্থ হবে এবং এর ফলে অনেক বিদ্রোহী তাঁদের পুরোন দলে ফিরে আসবেন। তিনি বলেছেন, হাতে মাত্র ছয়মাস সময় রয়েছে, সেই কারণে এনসিপি বিধায়কদের নিজের নিজের বিধানসভা এলাকায় আরও বেশি করে সময় দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: শিবসেনায় উদ্ধব-জমানার শেষ?

    বিজেপির (BJP) সঙ্গে জোট বেঁধে শিন্ডে শিবির মহারাষ্ট্রের মসনদে বসেছে। সোমবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছেন একনাথ। উদ্ধব ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডে সঙ্ঘাতের পারদ ক্রমশ চড়ছে। শিবসেনার অন্দরে জটিলতা রোজই বাড়ছে। এই অবস্থায় পওয়ারের মন্তব্য নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে, রাজনৈতিক মহল।

     

  • Maharashtra Crisis: বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    Maharashtra Crisis: বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নন, মহারাষ্ট্রের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর নাম একনাথ শিন্ডে। 

    এদিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণা করলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নিজে। তিনি বলেন, হিন্দুত্ব ও বালাসাহেবের আদর্শের পাশাপাশি, আমাদের বিধায়কদের কেন্দ্রগুলিতে উন্নয়নের অ্যাজেন্ডাকে মাথায় রেখেই একনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধে সাড়ে সাতটায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি।

    পরতে পরতে নাটক। প্রতি মুহূর্তে পট-পরিবর্তন। মহারাষ্ট্রের মহাসংকট যে কোনও বলিউড ছবিকেও হার খাওয়াবে। এদিন দুপুর পর্যন্ত যে খবর আসছিল, তা হল, ফড়নবিশ হবেন মুখ্যমন্ত্রী, আর একনাথ শিন্ডে হবেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফড়নবিশের ঘোষণা কার্যত সকলকে চমকে দিয়েছে। তিনি এও জানিয়ে দেন, নতুন সরকারের মন্ত্রিসভাতেও তিনি থাকছেন না। বললেন, আমি বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করব। 

    তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান একনাথ শিন্ডে। বললেন, এটা তাদের উদারতা। আমার থেকে তাদের সমর্থন, আসন-শক্তি বেশি। তা সত্ত্বেও আমাকে মুখ্যমন্ত্রী বানালেন। এটাই বা কে করেন? তিনি যোগ করেন, এমভিএ সরকারে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। বললেন, বালা সাহেবের হিন্দুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

    ঘোষণার ঠিক আগেই শিন্ডে ও ফড়নবিশ একসঙ্গে গিয়ে রাজ্যপাল কোশিয়ারিরর কাছে সরকার গঠনের দাবি পেশ করেন। সেখানেই ভাবী মুখ্যমন্ত্রীকে মিষ্টিমুখ করান রাজ্যপাল। এদিকে, শিন্ডের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হতেই রাস্তায় নেমে উৎসব পালন করতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। 

    এদিকে সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় বিজেপির ২৫ ও শিণ্ডে শিবিরের ১৩ জন পেতে পারেন মন্ত্রিত্ব। এদিন সন্ধেয় মহারাষ্ট্রে ফের বৈঠক রয়েছে বিজেপি-র। নয়া সরকার গড়ার আগে সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে একাধিক বিষয়ে। কাকে কোন দফতর দেওয়া হবে, সেই নিয়েও বিশদ আলোচনা হতে চলেছে ওই বৈঠকে।

    দুসপ্তাহ ধরে টানাপোড়েনের শেষে গতকাল রাতে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে। একইসঙ্গে ছেড়ে দেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা যে প্রমাণ করা অসম্ভব, তা কার্যত মেনে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

  • Maharashtra Crisis: দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    Maharashtra Crisis: দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনাথ শিন্ডে (Shinde) বিদ্রোহ ঘোষণা করে গুজরাট (Gujarat) চলে যাওয়ার দিনই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। শিবসেনা (Shivsena) সূত্রে খবর, দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান উদ্ধব। তবে দু’বারই উদ্ধবকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে আটকান এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। 

    গত ২১ জুন একনাথ শিন্ডে-সহ ২১ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করে সুরাট (Surat) চলে যান। সে দিনই ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) করে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন শিবসেনা প্রধান। কারণ, উদ্ধব নাকি বুঝেছিলেন ২১ নয়, শিন্ডের হাত ধরে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের সংখ্যা আরও বাড়বে। কিন্তু সে দিন উদ্ধবকে আটকেছিলেন মহাবিকাশ আগাড়ি (Maha Vikas Aghadi) জোটের ‘প্রবীণ’ নেতা পাওয়ার। পরের দিন আবারও ইস্তফা দিতে চান উদ্ধব। বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন এ বিষয়ে। তখনই পাওয়ার ঠাকরেকে পরামর্শ দেন, এ ভাবে সরে না গিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। উদ্ধবের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, পাওয়ারের কথাতেই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন বালাসাহেব-পুত্র।

    আরও পড়ুন: ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উদ্ধব সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রের পর্যটন মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray) সোমবার দাবি করেন যে, একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহী শিবিরে থাকা বিধায়কদের মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন বিধায়ক শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদেরকে গুয়াহাটি (Guwahati) থেকে মুম্বইতে ফিরিয়ে আনার জন্য দলকে অনুরোধও করেছেন তাঁরা। 

    ঠাকরের দাবি, ওই বিধায়কদের বন্দির মতো হোটেলে রাখা হয়েছে। তাঁরা ফিরে আসতে চান। কিন্তু তাঁদের উপর জোর করা হচ্ছে। তাঁরা গোপনে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানানো হয়েছে। মুম্বইয়ের (Mumbai) উপকণ্ঠে কারজাতে শিবসেনা কর্মীদের ঠাকরে বলেছেন প্রতিটি শিব সৈনিক বর্তমান পরিস্থিতিকে সমস্যা নয়, একটি সুযোগ হিসাবে দেখছে।

    নয়জন মন্ত্রী সহ বেশিরভাগ শিবসেনা বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। একনাথ শিন্ডে মোট ৫৫ জনের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ঠাকরে বলেন যে কিছু নেতাকে বিশ্বাস করা হয়েছিল এই ধরনের মানুষকে সংগঠনে ক্রমাগত পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। যা ঠিক নয়। 

  • Anil Parab: আর্থিক তছরুপ! শিবসেনা মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি ইডি-র

    Anil Parab: আর্থিক তছরুপ! শিবসেনা মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় (Money Laundering Case) বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের পরিবহণমন্ত্রী অনিল পরবের বাড়িসহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।

    জমি লেনদেনে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ রোধ আইনে (PMLA) মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সূত্রেই এদিন মুম্বই, পুণে, রত্নগিরিসহ মোট সাতটি এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলাকালীন মুম্বইয়ের নরিমান পয়েন্টে নিজের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তিনবারের শিবসেনা বিধায়ক। গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে। আট ঘণ্টা ধরে মন্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করেন আধিকারিকরা। রাত আটটা নাগাদ তাঁর বাড়ি ছাড়ে ইডি। তারপরেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান অনিল পরব।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে রত্নগিরির দাপোলি জেলায় ১ কোটি টাকা দিয়ে একটি জমি কিনেছিলেন অনিল। ২০১৯ সালের সেই জমি নথিভুক্ত করান। ইডির অভিযোগ, এর পরের বছর সদানন্দ কদম নামে মুম্বইয়ের এক কেবল অপারেটরকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় জমিটি বিক্রি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ওই জমিতে একটি রিসর্ট নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের মার্চে আয়কর বিভাগের একটি তদন্তে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ২০১৭ সালে ওই বেআইনি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। রিসর্টটি তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৬ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক অনিয়ম আমলার! ৫ দিনের ইডি হেফাজতে আইএএস পূজা সিঙ্ঘল

    যদিও ইডির অভিযোগ স্বীকার করে নেননি মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন রিসর্টটি তাঁর নয়, সদানন্দ কদমের নামে নথিভুক্ত। এর সঙ্গে আর্থিক তছরুপের কোনও যোগ নেই। এক বছর আগেও পরবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইডিই ছিল সেই তদন্তের দায়িত্বে। অভিযোগ, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ অফিসার সচিন ভাজে তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন যে, পুলিশদের পছন্দের জায়গায় বদলি দেওয়ার পরিবর্তে পুলিশদের থেকে টাকা নিতেন অনিল পরব এবং এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। 

     

  • Maharashtra Crisis: আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ ফড়নবিশের, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন একনাথ শিন্ডে?

    Maharashtra Crisis: আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ ফড়নবিশের, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন একনাথ শিন্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, “আমি ফিরে আসব…”। আড়াই বছর পর মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) তখতে ফিরতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। সূত্রের খরব, আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। ডেপুটি সিএম বা উপ-মুখ্যমন্ত্রী (Deputy CM) হতে চলেছেন উদ্ধব-সরকারের পতনের প্রধান কাণ্ডারি একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)।

    প্রথমে জানা গিয়েছিল, আজ সরকার গড়ার দাবি নিয়ে রাজ্যপাল কোশিয়ারির কাছে যাবেন ফড়নবিশ-শিন্ডে জুটি। আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। কিন্তু, পরে জানা যায়, আজ সন্ধ্যা ৭টায় শপথ বাক্যপাঠ করাবেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি (Koshyari)। একইসঙ্গে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন একনাথ শিন্ডে। এদিনই, বিজেপির পাঁচ ও শিন্ডে গোষ্ঠীর তিন বিধায়কও শপথ নিতে পারেন।

    আরও পড়ুন: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    ইতিমধ্যেই গোয়া থেকে মুম্বাই পৌঁছেছেন শিন্ডে। বিদ্রোহীদের নিয়ে উদ্ধব সরকারের নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আঘাড়ি (MVA) জোট ছেড়ে চলে আসার পর থেকেই একনাথ দাবি করছিলেন, তার সঙ্গে শিবসেনার (Shivsena) দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ক রয়েছেন। ফলে, তারাই হচ্ছেন আসন শিবসেনা। এদিন মুম্বই নেমে প্রথমেই শিবাজি পার্কে গিয়ে বালাসাহেব ঠাকরেকে শ্রদ্ধা জানান একনাথ। এর পর, ফড়নবিশ সহ বিজেপি নতৃত্বের সঙ্গে পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

    আজ বিধানসভায় আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বুধবারই উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhave Thackeray) নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তার আগে গতকাল রাতে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে। একইসঙ্গে ছেড়ে দেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা যে প্রমাণ করা অসম্ভব, তা কার্যত মেনে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    দেখে নেওয়া যাক বর্তমান মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কার শক্তি কত?

    বিজেপি-শিবসেনা (শিন্ডে) – ১৬৮। এর মধ্যে বিজেপি – ১০৬। শিন্ডে গোষ্ঠী – ৩৯। নির্দল – ১৩। অন্যান্য – ১০।
    মহা বিকাশ আঘাড়ি – ১১৯। এর মধ্যে এনসিপি – ১১৯। শিবসেনা – ১৬। কংগ্রেস – ৪৪। অন্যান্য – ৬।

  • Modi:  “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    Modi: “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Elections) কী নিজেকে দেশের মসনদে দেখতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে একটি গোপন কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, ”সম্প্রতি এক বিরোধী নেতার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের বিরোধিতা করলেও আমি তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করি। উনি আমায় বলেন, মোদিজি, এই দেশের মানুষ আপনাকে দু’বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে। আর কী চান আপনি। এই সাফল্যই যথেষ্ট।”

    গুজরাত সরকার প্রবীণ ও দরিদ্র বিধবাদের জন্য যে প্রকল্প চালু করেছে সেই প্রকল্প গ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে গল্পের ছলে বৃহস্পতিবার একথা জানান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ওই সাংসদের মতে কেউ যদি দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান, তবে তাঁর সমস্ত সাফল্য অর্জন করা হয়ে যায়। কিন্তু, তিনি জানেন না মোদি অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি। এই গুজরাতের মাটি আমায় তৈরি করেছে। আমি কোনও কিছুকেই হালকাভাবে নিই না। এখন আমার বিশ্রাম নেওয়ার সময় নয়। আমার স্বপ্ন হল উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে ১০০ শতাংশ সফল করে তোলা।”

    “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    যদিও সেই বিরোধী নেতার নাম প্রকাশ্যে আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে অনেকেরই ধারণা ওই নেতা আর কেউ নন, শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। আসলে এপ্রিল মাসেই এনসিপি (NCP) প্রধান দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। শিবসেনা (Shivsena) নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগও জানান তিনি। ফলে তাঁদের মধ্যে হওয়া বৈঠকে শরদ পাওয়ারই প্রধানমন্ত্রীকে একথা বলেছিলেন কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার টানা আট বছর রয়েছে। এই আট বছর ধরে সেবা, গরিবদের কল্যাণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা একটা বহমান প্রক্রিয়া। উন্নয়নের কাজ ১০০ শতাংশ করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানান মোদি।

LinkedIn
Share