Tag: shot

shot

  • Nadia: তোলা না দেওয়ায় মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা, হাড়হিম করা ভিডিও ভাইরাল

    Nadia: তোলা না দেওয়ায় মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা, হাড়হিম করা ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাছের ব্যবসায়ী তোলা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে। এই হাড়হিম করা ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাছ বিক্রেতাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আবার পিস্তল উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে আরও এক ব্যক্তি। ওঁই ব্যবসায়ীর পায়ে একটি গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শহরের তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি। বিজেপির অভিযোগ এই রাজ্যে তৃণমূল মস্তানতন্ত্র চলছে। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 

    চার রাউন্ড গুলি করে দুষ্কৃতীরা (Nadia)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে এক মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ মাছ ব্যবসায়ী ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর (Nadia) কোতোয়ালি থানার গোয়ারী বাজারে। নগেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা সমির ঘোষ এবং বিশ্বনাথ ঘোষ নামে দুই ভাই মাছ ব্যবসা করেন। প্রতিদিন তাঁরা কৃষ্ণনগর গোয়ারা বাজার থেকে মাছ কিনে পাত্র বাজারে বিক্রি করেন। প্রতিদিনের মতো আজ ভোররাতেও তাঁরা গোয়ারি বাজারে মাছ কিনতে যান। অভিযোগ উঠে, হঠাৎ ওই এলাকার কিছু নামজাদা তৃণমূল দুষ্কৃতী তাঁদেরকে আচমকা ঘিরে ধরে এবং টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় হঠাৎ একটি পিস্তল বের করে ওই দুই মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। প্রথমে একটি গুলি বিশ্বনাথ ঘোষের পায়ে লাগে। বিশ্বনাথকে বাঁচাতে গেলে সমীর ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অন্যদিকে বিশ্বনাথ ঘোষের পায়ে গুলি লাগার কারণে মাটিতে পড়ে যান। এরপরেই বন্দুক দিয়ে মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। এরপর চিৎকার চেঁচামেচি এবং গুলির আওয়াজে, ওই বাজারের অন্যান্য মাছ ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্বনাথ ঘোষকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পাশাপাশি হাসপাতালে গিয়ে ওই দুই মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে পুলিশ এবং ঘটনার বিবরণ শোনেন। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্ত আটক কিংবা গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    অভিযুক্ত ২৩ নম্বর ওয়ড়াক্ট প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি

    এ বিষয়ে বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, “আমাদের অভিযুক্তদের সঙ্গে পুরনো কোনও শত্রুতা নেই। তবে যারা গুলি চালিয়েছে তারা ওই এলাকার সমাজবিরোধী হিসেব কাজ করে বেড়ায়। ওরা টাকা চেয়েছিল আমি দিতে অস্বীকার করাতেই এই আক্রমণ করেছে। আমার এবং ভাইয়ের কাছ থেকে ওরা প্রায় ৪০ হাজার নগদ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে প্রশাসন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।” আবার বিশ্বনাথের ভাই সমির ঘোষ বলেছেন, “সৈকত হালদার ওরফে ডাকু এই ভাবে গুলি করেছে। এলাকার মার্কামারা দুষ্কৃতী। মাত্র দুইদিন আগেই জেল থেকে ফিরছে। মদ খাওয়ার জন্য টাকা চাইছিল ওরা, কিন্তু না দেওয়ায় গুলি করে। এলাকায় তৃণমূল নেতা ডাকু, এক সময় শহরের (Nadia) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি (TMC) ছিলেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এই গুলিকাণ্ডের ঘটনায় বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ হয়েছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিন্‌হা বলেছেন, “এই রাজ্যে তৃণমূলের আমলে মস্তানতন্ত্র (Nadia) চলছে। সারা রাজ্যে একই বিষয় চলছে।”

    আরও পড়ুনঃ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে কোমরে পিস্তল ঠেকিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে মারধর!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC ) পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন, “মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আমরা বিষয়টি দেখছি। এলাকায় (Nadia) ঘটনা একদম সহ্য করা যাবে না। প্রশাসনকে বলব উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: নদিয়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ চোরাচালানকারী, গরু পাচার রুখল বিএসএফ

    BSF: নদিয়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ চোরাচালানকারী, গরু পাচার রুখল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের (BSF) গুলিতে গুরুতর জখম হন এক বাংলাদেশি পাচারকারী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সে চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার মলুয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায়। গুলিবিদ্ধ ওই বাংলাদেশি পাচারকারীর নাম আজমল হোসেন। তার বয়স ২৫ বছর। তাকে বিএসএফ জওয়ানরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    নদিয়ার একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বেআইনিভাবে একাধিক জিনিস পাচারের অভিযোগ ওঠে। কোথাও গরু পাচার, আবার কোথাও সোনা পাচারের অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যার কারণে বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও কঠোর পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বেশ কয়েকজন পাচারকারী একদল গরু নিয়ে অনৈতিকভাবে সীমান্ত পারাপার করছিল। খবর পেয়ে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। বিএসএফ জওয়ানরা এলাকায় পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পাচারকারীরা। এরপরই তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়। তাতেই আজমল নামে পাচারকারীর পায়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় সে। তাকে উদ্ধার করে বিএসএফ জওয়ানরা শক্তিনগর (Nadia) জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। সেখানেই বাংলাদেশি ওই চোরাচালানকারী আজমল চিকিৎসাধীন।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    বিএসএফের এক কর্তা কী বললেন?

    বিএসএফের এক কর্তা বলেন, সীমান্তে (Nadia) পাচার রুখতে কড়া নজরদারি চালায় বিএসএফ। এদিন জওয়ানরা সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছিল। সেই সময় একটি গ্যাং গরু পাচার করার চেষ্টা করে। জওয়ানরা প্রথমে তাদের থামতে বলে। কিন্তু, তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। এই আজমল একটু সুস্থ হলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মূলত, ভারতের কারা এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা জানা যাবে। আর কীভাবে তারা এই চোরাচালান করে থাকে, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ভোটের মুখে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Durgapur: ভোটের মুখে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন অতুল বাগদি নামে ওই বিজেপি নেতা। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের (Durgapur) ট্রাঙ্ক রোড এলাকায়। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অতুল বাগদি বিজেপির এক নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি। রাত আড়াইটে নাগাদ দুর্গাপুরের (Durgapur) ট্রাঙ্ক রোড এলাকায় ভোলা পাসোওয়ান নামে এক তৃণমূল কর্মী বিজেপি নেতার বাড়ির কাছে চারচাকা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছি। বাড়ির সামনে গাড়িটি বারবার ঘোরাঘুরি করতে দেখে বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরিয়ে তা দেখতে যান। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গাড়ি থেকে গুলি করা হয়। তবে, গুলিটি কোনওভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর তৃণমূল কর্মী ভোলা ও তাঁর দলবল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে এই বিজেপি নেতা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পুরো ঘটনা জানিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে আর সন্ত্রাস মুক্ত ভোট করার দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। দিন কয়েক আগে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এজোনের কনিষ্ক সাউথ রোডের কাছে অভিষেক রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। অভিষেক তৃণমূলের নমঃশুদ্র ও উদ্বাস্তু সেলের জেলা সভাপতি ছিলেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরের দিন রাতেই অভিষেক রায়ের বাড়িতে বোমাবাজি হয়, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি ও তাঁর পরিবার। সেই ঘটনার এখনও কোনও কিনারা করতে পারেনি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঠিক এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের বিজেপির এক নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি অতুল বাগদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা অতনু বাগদি বলেন, আমি বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম। বাড়ির কাছে গাড়ি ঘোরাঘুরি করার আওয়াজ শুনে আমি বেরিয়ে আসি। তখনই হামলা চালায়। ভোটের আগে আমার ওপর হামলা চালানোর জন্য তৃণমূল এসব করেছে। আসলে এসব করে ওরা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। কারণ, মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির লোকজন গুলি চালিয়েছে। তৃণমূল যুক্ত নয়। ভিত্তিহীন অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপিকে সমর্থন করায় হামলা, ব্যাপক বোমাবাজি, দুজন গুলিবিদ্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: বিজেপিকে সমর্থন করায় হামলা, ব্যাপক বোমাবাজি, দুজন গুলিবিদ্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। এটাই ছিল অপরাধ। আর তারপর থেকেই লাগাতার অত্যাচার চলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দিরবাজার ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেলারামপুর গ্রামে। বুধবার ভোর থেকে ফের মুড়িমুড়কির মতো গ্রামে বোমাবাজি করা হয়। দুজন বিজেপি সমর্থনকারীকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। আহত দুই যুবকের নাম এরাদ আলি মোল্লা ও সাইরাজ মোল্লা। তাঁদের ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) খেলারামপুর গ্রামের বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক নির্দল হয়ে যান। নির্দল দাঁড়় করালেও তাঁরা বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থন করেন। এরপরই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই এলাকায় দফায় দফায় তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর আগেও ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোর থেকে ফের শুরু হয় বোমাবাজি। খেলারামপুর গ্রামে বিজেপি সমর্থনকারীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এক বিজেপি সমর্থনকারী বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে আমরা বিজেপিকে সমর্থন করেছিলাম। ওরা এখন আমাদের দলে টানার চেষ্টা করছে। আমরা রাজি নই বলেই এই হামলা। আমাদের একজনকে গুলি করা হয়েছে।

    গ্রামে বোমাবাজি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    যুব তৃণমূলের মন্দিরবাজার ব্লকের সভাপতি রিঙ্কু ঘোষ বলেন, তৃণমূলের যুব নেতা পারিবারিক ঘটনা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের নাম মিথ্যাভাবে জড়ানো হচ্ছে। এই গন্ডগোলের সঙ্গে বিজেপি জড়িত রয়েছে। বিজেপি নেতা রণজিৎ হালদার বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসব করেছে। এসব মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ প্রশাসনের নজরদারির অভাবের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ত্রিকোণ প্রেমের জের! আইনজীবীর গাড়িতে মিলল সেভেন এমএম, দেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি

    Nadia: ত্রিকোণ প্রেমের জের! আইনজীবীর গাড়িতে মিলল সেভেন এমএম, দেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির মিলননগর বাজারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিস বিশ্বাস নামে এক দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। যদিও পুলিশের দাবি, নাকা চেকিংয়ের সময় গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলে পুলিশ। পরিচয় জানার পরই হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দুজন আইনজীবী রয়েছেন। তাঁদের নাম প্রসেনজিৎ দেবশর্মা ও সুদীপ ব্রহ্ম। এছাড়াও একজন আইনের ছাত্র, একজন ল ক্লার্ক এবং একজন কুখ্যাত সমাজবিরোধী রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে মাদক মামলায় আশিস বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। স্বামীকে ছাড়ানোর জন্য তাঁর স্ত্রী নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট আদালতের আইনজীবী প্রসেনজিৎ দেবশর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিয়মিত আইনজীবীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতেন। সেই সুবাদে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জেলে বসেই তার আঁচ পান আশিস। জেল থেকেই স্ত্রীকে খুন করার হমকি দিয়েছিলেন আশিস। তাঁর স্ত্রী বিষয়টি প্রেমিক আইনজীবীকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, হুমকির বিষয়টি কথার কথা ভেবে সেভাবে তাঁরা গুরুত্ব দেননি। ফলে মেলামেশা বন্ধ হয়নি। ওদিকে জেল থেকে বেরিয়ে তাঁর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে স্ত্রীর ওপর। নৃশংসভাবে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ফের জেলে যান আশিস। জেল থেকে বেরিয়ে স্ত্রীর মতো তাঁর প্রেমিক আইনজীবীকে খুন করার হুমকি দিয়ে যান। কয়েকদিন আগে আশিস জামিনে মুক্তি পান। পথের কাঁটা সরাতে এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গাড়ি করে আশিসের ওপর হামলা চালানোর ছক কষেন ওই আইনজীবী।

    ধৃতদের কাছে থেকে কী কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    জানা গিয়েছে, গাড়ির মধ্যে একটি সেভেন এমএম এবং একটি দেশি পিস্তল সহ ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে রানাঘাট আদালতে পাঠায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। বিচারক ৭দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম ওই যুবকের নাম মনোজ মণ্ডল (২৭)। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৬ জুলাই রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে একটি বিষয় নিয়ে বাপি মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল রাজবীর মণ্ডল নামে এক যুবকের। অভিযোগ, সেইদিন বাপি ও তাঁর শাগরেদরা মিলে রাজবীর-সহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছিল। সেদিন বাপির সঙ্গী ছিলেন এদিনের জখম তৃণমূল কর্মী মনোজ মণ্ডল। আর তারই বদলা নিতে রাজবীররা কয়েকজন মিলে বুধবার রাতে মনোজের বাড়িতে ঢুকে হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। যার একটি গুলি তাঁর পেটে লেগেছে। মনোজ বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে রানিনগরের গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী বললেন?

     রানিনগর ২ ব্লকের নব নির্বাচিত সভাপতি মাহাবুব মুর্শিদ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। এই ঘটনা তারই জের। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রকৃত দোষীদের ধরে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির রানিনগর মণ্ডল সভাপতি আশিক ইকবাল বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুরানো ঝামেলার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Kamarhati: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউট। তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি (Kamarhati) এলাকায়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূলকর্মীর নাম আসিফ ওরফে কাল্লু। তাঁর হাতে ও পা গুলি লেগেছে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের খাসতালুকে দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা জানা গিয়েছে, আসিফ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে তিনি প্রথম সরব হয়েছিলেন। লিফলেট করে সচেতন করেছিলেন। আর দালাল চক্রের সঙ্গে তৃণমূলের এক কর্মী জড়িত বলে তিনি প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে কিছুদিন আগে কামারহাটির (Kamarhati) রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। এবার সেই বিদ্রোহী তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। জানা গিয়েছে, এদিন কামারহাটির ষষ্ঠীতলা এলাকার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূলকর্মী। বাইকে করে ৪ দুষ্কৃতী তাঁকে পিছন থেকে ধাওয়া করে। পর পর চারটি গুলি চালায়। দুটি গুলি গিয়ে লাগে কাল্লুর শরীরে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সাগরদত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কী কারণে গুলি তা এখনও জানা যায়নি। এলাকায় কাল্লু সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসাবে পরিচিত। রাজনৈতিক কোনও কারণেই কাল্লুকে গুলি করা হল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুলি চালনার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে ওই এলাকায়।

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী কী বললেন?

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাই, এই হামলা। এদিন আচমকা পটকা ফাটার মতো আওয়াজ শুনতে পাই। প্রথমে কিছু বুঝতে পারিনি। পরে, রাস্তায় বেরিয়ে দেখি, আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমার স্বামীকে যে বা বা যারা খুন করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর আফসানা খাতুন বলেন, গুড্ডুদের বন্ধু কাল্লু। ওরা তোলাবাজি করে। আমি বাধা দিয়েছিলাম। আমি মানুষের পাশে রয়েছি। কিন্তু, তোলাবাজি করতে দেব না কাউকেই। রিঙ্কুয়ার বন্ধু কাল্লু। ওই তোলাবাজরাই আমাদের দল খেয়ে ফেলছে। আর তোলাবাজরা কোনও দলের হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! অবৈধ সম্পর্কের জেরে গুলি চালিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মী

    South 24 Parganas: আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! অবৈধ সম্পর্কের জেরে গুলি চালিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিংয়ে চলল গুলি! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক মহিলাকে গুলি চালানোর অভিযোগ এলাকারই এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল কর্মীর নাম ভোলা প্রসাদ। ইতিমধ্যেই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল ওই তৃণমূল কর্মীর। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের মধ্যে কোনও এক বিষয় নিয়ে বচসা হয়। আর তারপর সেই বচসা জেরেই ওই তৃণমূল কর্মী নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মহিলাকে গুলি করে বলে অভিযোগ ওঠে। গুলিতে আহত হয় ওই মহিলা। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে আসা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা রেফার করেন কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পেটে গুলি লেগেছে। ইতিমধ্যে এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (South 24 Parganas) এক তৃণমূল নেতা গুলি চালানোর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “ঠিক কোন জায়গায় এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে সেই কথা আমি জানি না। তবে একজন মহিলার সঙ্গে ভোলার একটা সম্পর্ক ছিল। শুনেছি মহিলার টাকাপয়সার চাহিদা ছিল প্রচুর পরিমাণে। অনেক জায়গায় ঘুরতে যেতে চাইত, হোটেলে যেতে চাইত। হয়তো আরও বেশি বেশি টাকার দাবি করেছিল। তবে ভোলা প্রসাদের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। পাড়ার ছেলে হিসাবে তৃণমূল করত ভোলা। কিন্তু এর থেকে বেশি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।”

    পুলিশের বক্তব্য

    ক্যানিং পুলিশ (South 24 Parganas) সূত্রে খবর, রাত ১২ টার সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। গুলি করছে ভোলা প্রসাদ নামক ৪৩ বছরের এক ব্যক্তি। সেই সঙ্গে গুলিতে আক্রান্ত হয়েছে ২৩ বছরের মাহিলা। তবে তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে একটাই গুলি লেগেছে ময়নার পেটে, অবস্থা বেশ আশঙ্কা জনক। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ভোলা প্রসাদ সম্পর্কে আগেও অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়। ফলে এই বিষয় নিয়ে এখন আরও বিস্তৃত তদন্ত চলছে। ভোলা এখন পুলিশের হেফাজতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কোপ, পাল্টা চলল গুলি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Hooghly: প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কোপ, পাল্টা চলল গুলি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তত প্রকট হচ্ছে। দুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি কাঠের কারখানায় পুরনো দুজন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরের পিয়াসাড়ায় ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল দলেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অপর গোষ্ঠীর চালানো গুলিতে জখম হলেন এক তৃণমূলকর্মী। টাঙ্গির কোপে গুরুতর আহত ওই নেতার নাম শেখ সাইদুল মোল্লা। গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন মুন্সি মুকাদ্দার। আহত অবস্থায় ২ জনকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয়েছে সাইদুল মোল্লাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) পিয়াসাড়া বাসস্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসেছিলেন শেখ সাইদুল মোল্লা। আচমকা কয়েকজন এসে তাঁর উপর টাঙ্গি দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে তিনি চায়ের দোকানের ভিতরে ঢুকে গেলে, সেখানেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন ধরেই এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে তৃণমূলের নতুন সংগঠন তৈরি হয়েছে। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জখম তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজনের দাবি।

    যদিও অপর গোষ্ঠীর দাবি, শেখ সাইদুল-সহ বেশ কয়েকজন পার্টি অফিস দখল করছিল। মুন্সি মুকাদ্দার নামে দলের অপর গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মী পার্টি অফিসের সামনে ছিলেন। হঠাৎ তাঁকে মারধর করে সাইদুল ও তাঁর দলবল। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। এরপর স্থানীয়রা সাইদুলকে মারধর করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বেশ কয়েকজন যুবক একটি বাইকে এসে সাইদুলকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে তারকেশ্বর তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রদীপ সিংহরায় বলেছেন, পার্টি অফিস দখল ঘিরে গন্ডগোলের সূত্রপাত। এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: জয়নগর, আমডাঙার পর এবার ভাটপাড়া! গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল কর্মী

    Bhatpara: জয়নগর, আমডাঙার পর এবার ভাটপাড়া! গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথেই তৃণমূল কর্মীকে গুলিত খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার তৃণমূলের প্রধানকে বোমা মেরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা ঘটল। এবার ঘটনাস্থল ভাটপাড়া (Bhatpara)। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ভিক্কি যাদব। তৃণমূল কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁর বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানি তালাব এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhatpara)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ভিক্কি যাদব নামে এক তৃণমূল কর্মী। বাইকে করে তিনজন যুবক তৃণমূল কর্মীর সামনে এসে দাঁড়ায়। ভিক্কিকে জিজ্ঞাসা করে, তুমহারা নাম ভিক্কি হ্যায়। পরিচয় জানার পরে খুব কাছ থেকে ১১ রাউন্ড গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ভিক্কি যাদবের শরীরের পরপর নয় রাউন্ড গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় ভিক্কিকে প্রথমে ভাটপাড়ার (Bhatpara) স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোম নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ঘটনার পর পরই হামলাকারীরা বাইক করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    দুদিন আগে জেল থেকে হুমকি ফোন এসেছিল

    জানা গিয়েছে, ভিক্কি যাদব একসময় বিজেপি করতেন। আকাশ যাদব নামে এক বিজেপি কর্মীর তিনি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগেই আকাশ খুন হন। সেই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন ভিক্কি। অর্জুন সিংহের ভাইপো সৌরভ সিংয়ের ছায়া সঙ্গী ছিলেন ভিকি। তৃণমূলে যোগদান করার পর একাধিক দলীয় কর্মসূচিতেই ভিক্কিকে দেখা যেত। ছট পুজোতেও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশ খুনের ঘটনায় ভিকি সাক্ষীর জন্য বেশ কয়েকজন একন জেলে রয়েছে। দুদিন আগে ভিক্কির কাছে জেল থেকে ফোন এসেছিল। তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। সেই হুমকি ফোন পেয়েও ততটা গুরুত্ব দেননি তিনি। এরপরই এদিনের হামলার ঘটনা ঘটল।

    শহর তৃণমূলের সভাপতির কী বক্তব্য?

    ভাটপাড়়া (Bhatpara) শহর তৃণমূলে সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ভিক্কি আমাদের দলে সক্রিয় কর্মী। তার উপর অভাবে হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসনকে তদন্তের দাবী জানিয়েছে। যে বা যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share