Tag: Shraddha Walkar

Shraddha Walkar

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট দিল্লি পুলিশের, রয়েছে শতাধিক সাক্ষীর বয়ান

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট দিল্লি পুলিশের, রয়েছে শতাধিক সাক্ষীর বয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Walkar) খুন করায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা বর্তমানে জেল হেফাজতে। সূত্রের খবর, আজ তার বিরুদ্ধে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট প্রস্তুত করেছে দিল্লি পুলিশ। এই চার্জশিটে শ্রদ্ধা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রমাণ, তথ্য ও শতাধিক সাক্ষীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। আফতাব পুনাওয়ালার গ্রেফতারের প্রায় আড়াই মাস পরে দিল্লি পুলিশ চার্জশিট জমা করতে চলেছে আদালতে।

    ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিটে কী রয়েছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) খুনের ঘটনা নিয়ে তাঁর আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদেরই বয়ান এই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ১০০ জনের বেশি সাক্ষীর বয়ান রয়েছে এই চার্জশিটে। শুধু তাই নয়, এই হত্যা নিয়ে আফতাব কী কী তথ্য দিয়েছে, তার শ্রদ্ধাকে খুন করার স্বীকারোক্তিরও উল্লেখ রয়েছে। আফতাবকে গ্রেফতার করার পরে আফতাবের নারকো টেস্ট, পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে, সেই টেস্ট থেকে কী কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোও রয়েছে চার্জশিটে। এতে রয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট। সূত্রের খবর, সেই খসড়া চার্জশিট এখন নিরীক্ষা করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তার পর তা জমা পড়বে আদালতে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের ভয়েস স্যাম্পলিং টেস্ট! শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে দিল্লি পুলিশের হাতে রহস্যময় অডিও ক্লিপ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ মে আফতাবের বিরুদ্ধে শ্রদ্ধাকে (Shraddha Walkar) খুন করার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধাকে খুন করে ৩৫ টুকরোয় কেটে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে আফতাবের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, দিল্লির আদালতে আফতাব নিজেও স্বীকার করেছিল যে, রাগের মাথায় সে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল।

    এর পর পুলিশ দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গল থেকে কিছু দেহাংশ, হাড়, চুল উদ্ধার করে। সেগুলি শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) কিনা তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্ট করায় পুলিশ। শ্রদ্ধার বাবার সঙ্গে ডিএনএ মিলে যেতেই পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, উদ্ধার হওয়া দেহাংশ শ্রদ্ধারই। চার্জশিটে সেই ডিএনএ রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর।

    পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিলেও, তা প্রমাণ করতে মরিয়া পুলিশ। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে, বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবারে এই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়ার পর আর কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে, তারই অপেক্ষায় দেশবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shraddha Murder Case: খোশমেজাজে জেলবন্দি আফতাব! দিন কাটছে দাবা খেলে, বই পড়ে

    Shraddha Murder Case: খোশমেজাজে জেলবন্দি আফতাব! দিন কাটছে দাবা খেলে, বই পড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Murder Case) নৃশংসভাবে খুন করে, দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব আমিন পুলাওয়ালা। ফলে তিহার জেলে দিন কাটছে আফতাবের। তবে কোনওরকমের অনুশোচনা নেই তার। খোশমেজাজেই দিন কাটছে তার। জেলে দিন কাটছে দাবা খেলে ও বই পড়ে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলে শান্তই রয়েছে আফতাব। বেশিরভাগ সময়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখে সে। তার দাবি অনুযায়ী, তাকে একটি বইও দেওয়া হয়েছে। ফলে এইসবেই মজে ‘কিলার’ আফতাব।

    কী বই পড়ছে আফতাব?

    তিহার জেল সূত্রে খবর, আফতাব (Shraddha Murder Case) ইংরেজি বই পড়তে চেয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে সেই দাবি মেনে ইংরেজি বই ‘দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার: বাই ট্রেন থ্রু এশিয়া’ নামক একটি বই দেওয়া হয়েছে আফতাবকে। এটি একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বই। এই বই সম্পর্কে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আফতাবকে যে বইটি দেওয়া হয়েছে তা বিদেশি লেখক পল থেরক্সের লেখা। এই বইয়ে কোনও অপরাধের উল্লেখ নেই এবং বইয়ের বিষয়বস্তুও এমন কিছু নয়, যা পড়ে আফতাব তার সঙ্গে থাকা বন্দিদের ক্ষতি করতে পারে।

    দাবা খেলায় মজে আফতাব

    পুলিশ জানিয়েছে, জেলে বেশির ভাগ সময় আফতাব দাবা খেলে। পুনাওয়ালা দাবা খেলার পরিকল্পনা করে সময় কাটায় ও একা থাকতেই পছন্দ করে। তাকে মাঝে মাঝে দুই জেলবন্দীর সঙ্গে ঝগড়া করতেও দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আফতাবের সেলে আরও দুই বন্দি রয়েছে, যারা চুরির অপরাধে অভিযুক্ত। দুইজনকেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আফতাবের উপরে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে (Shraddha Murder Case)।  

    পুলিশ কী জানিয়েছে?

    অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, আফতাবকে দাবা খেলায় বেশ পারদর্শী মনে হয়েছে। সে নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ হিসাবেও দাবা খেলে। তাঁকে হারানো খুবই কঠিন। ফলে তার দাবা খেলার চাল দেখে মনে হচ্ছে, সে কতটা ধূর্ত ও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের। জেলসূত্রে জানা গিয়েছে, তার দাবা খেলার এক-একটি চাল দেখে মনে হচ্ছে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের হত্যাও তার দাবা কৌশলের মতো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আবার এই হত্যাকাণ্ডের এক তদন্তকারী জানিয়েছে, পুলিশ তাকে যা করতে বলেছিল তা পুরোপুরি অনুসরণ করেছে। সে তার অপরাধও স্বীকার করেছে, পুলিশকে সহযোগিতা করেছে এবং পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্টেও রাজি হয়েছে। কিন্তু এখন তার ‘ভালো’ আচরণেও সন্দেহ হচ্ছে পুলিশের।

    উল্লেখ্য, এরই মধ্যে আফতাবের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট দুই-ই করা হয়েছ। দুটিতেই সে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। এরপর অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিংও (Brain Mapping) করতে পারে দিল্লি পুলিশ। ব্রেন ম্যাপিং- এর ফলে ব্রেনের পরিস্কার ছবি পাবেন বিশেষজ্ঞরা। এটি পরবর্তীতে তদন্তে সাহায্য করবে।

  • Shraddha Walkar: ন্যূনতম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি পাবে শ্রদ্ধা হত্যাকারী! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Shraddha Walkar: ন্যূনতম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি পাবে শ্রদ্ধা হত্যাকারী! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলায় এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। দিল্লি পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থা সুবিচার নিশ্চিত করবে।” তিনি আরও জানান, “গোটা ঘটনার উপরে আমার নজর রয়েছে। আমি দেশবাসীকে বলতে চাই, যে ব্যক্তিই এই ঘৃণ্য কাজ করুক, আইনের সাহায্যে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে। সঠিক বিচার যাতে হয়, তা নিশ্চিত করবে আদালত, দিল্লি পুলিশ ও বিচারব্যবস্থা।”

    দিল্লি ও মুম্বই পুলিশের যৌথ তদন্ত 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, দিল্লি ও মুম্বই পুলিশ মিলিতভাবে শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলার তদন্ত করছে। দিল্লি ও মুম্বই পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই। তিনি বলেন, “শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলায় সম্প্রতিই যে চিঠিটি এসেছে, তাতে দিল্লি পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই। শ্রদ্ধা ওয়ালকার মহারাষ্ট্রের একটি থানায় ওই চিঠিটি জমা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি লিখেছিলেন আফতাব হয়তো তাঁকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলবে। সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ওই বিষয় নিয়েও তদন্ত করা হবে। ওই সময় আমরা সরকারে ছিলাম না…এই ঘটনায় যেই-ই দায়ী হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” 

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁর লিভ ইন পার্টনার আফতাবকে। সূত্রের খবর, গতকাল আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে হত্যার কথা। পাশাপাশি সামনে এসেছে মুম্বাইয়ের ভাসাই থানায় আফতাবের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ করেছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু তখন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আর এই প্রসঙ্গ তুলে মহারাষ্ট্র সরকারকে তোপ দেগেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন অমিত শাহ রীতিমতো কড়া ভাষায় বলেন, ”শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন, তাঁকে টুকরো করে ফেলবেন তাঁর প্রেমিক। তবুও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এর দায় যাঁর, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” 

    শ্রদ্ধার চিঠি

    ২০২০ সালে শ্রদ্ধা তাঁর লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার নামে মহারাষ্ট্র পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন যে, আফতাব তাঁকে মাঝেমধ্যেই মারধর করে। এমনকী কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলার হুমকিও দেয়। সেইসময় দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি। তখন দু’জনে মহারাষ্ট্রের ভেসাইয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেই বছরই ২৩ নভেম্বর পুলিশকে এই চিঠিটি লিখেছিলেন শ্রদ্ধা। যার ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছিল অত্যাচার, মারধরের কথা। উল্লেখ্য, মুম্বই বিজেপির প্রধান আশীষ শেলারও ২০২০ সালে শ্রদ্ধা ওয়ালকার তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে চিঠি লিখে যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তা নিয়ে কেন পদক্ষেপ করা হয়নি, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আফতাবের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আফতাবের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে এল আরও ঠোস প্রমাণ। আফতাব পুনাওয়ালার বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ। যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত। এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

    মঙ্গলবার পাঁচদিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আফতাবকে (Shraddha Walker) ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সে এমন মন্তব্য করেছে। শুনানি শেষে অভিযুক্ত আফতাবকে ফের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আফতাব বিচারকের সামনে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ও দেহের অংশ টুকরো টুকরো করে কাটার ঘটনাটিও স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে হতবাক সবাই। আফতাব বিচারকের সামনে বলেছে, ‘HEAT OF THE MOMENT’ হয়েছে সবকিছু। অর্থাৎ ‘মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’

    আদালতে কী বলে আফতাব? 

    আফতাব (Shraddha Walker) আরও জানায় যে, সে তদন্তে সহযোগিতা করেছে। সে কীভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে, কীভাবে শ্রদ্ধার দেহের অংশ টুকরো টুকরো করেছে ও কোথায় সেগুলো ফেলেছে, সেসব বিষয়েই পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তবে সে বলেছে যে, ঘটনার অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তিনি সবকিছু মনে করতে পারছে না।

    তবে পুলিশের তরফে অভিযোগ আসে যে, সে খুনের কথা স্বীকার করলেও কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেয়নি। আদালতে পুলিশ তার নামে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায় যে, আফতাব ভুল তথ্য দিয়েছে ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করছে।

    আফতাবের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল শ্রদ্ধা?

    শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walker) আগেই আঁচ পেয়েছিলেন সবটা। তিনি আশঙ্কায় ছিলেন, যে কোনও মুহূর্তে তাঁকে খুন করে ফেলতে পারে প্রেমিক আফতাব। ছয় মাস ধেরে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এরপর আর সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর মুম্বইয়ের ভাসাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার কুকীর্তি নিয়ে পুলিশকে সবটা জানিয়েছিলেন পুলিশকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

             

     

  • Delhi Murder: শ্রদ্ধার হাড়ের টুকরো এবং রক্তের নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলল বাবা বিকাশ ওয়ালকারের

    Delhi Murder: শ্রদ্ধার হাড়ের টুকরো এবং রক্তের নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলল বাবা বিকাশ ওয়ালকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জঙ্গল থেকে পাওয়া শ্রদ্ধা ওয়ালকারের হাড়ের টুকরো এবং জমাট বাধা রক্তের সঙ্গে ডিএনএ মিলল শ্রদ্ধার (Delhi Murder) বাবা বিকাশ ওয়ালকারের। এমনটাই জানাল ফরেন্সিক টিম। শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। সূত্রমতে জানা গিয়েছে শ্রদ্ধা-আফতাবের বাড়ির ফ্ল্যাটের টাইল থেকে পাওয়া কিছু রক্তের নমুনা শ্রদ্ধা এবং কিছু তাঁর লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার সঙ্গে মিলেছে। আপাতত মৌখিকভাবে দিল্লি পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট আসতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। 

    এদিকে আফতাব পুনাওয়ালা তাঁকে খুন (Delhi Murder) করতে চায়। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে ২০২০ সালে শ্রদ্ধা ওয়ালকর মুম্বইয়ের ভাসাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মুম্বই পুলিশের কাছে শ্রদ্ধা যে অভিযোগ দায়ের করেন, সেখানে তিনি খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এমনকী, আফতাব তাঁকে খুন করে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে বলে পুলিশকে চিঠি লেখেন বলে খবর। তাঁর সঙ্গে যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে কী হবে বলেও পুলিশ চিঠি লেখেন শ্রদ্ধা। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে শ্রদ্ধা যেভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করে চিঠি লেখেন, তারপরও পুলিশ কেন পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হল, এই টেস্টে কী হয়?

    নার্কো টেস্ট 

    আফতাব আমিন (Delhi Murder) পুনাওয়ালার নার্কো টেস্ট করা হয়েছে। আজও চলবে পরীক্ষা। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব তদন্তে সহযোগিতা করছে না, এমনই অভিযোগ ছিল তদন্তকারী আধিকারিকদের। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয় শ্রদ্ধাকে। তারপর দেহ লোপাটের জন্য ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয় আফতাব। হত্যার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার করে সে। খুন সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে নার্কো টেস্টের (Narco Test) আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।সেই মতো গতকাল নার্কো টেস্ট করানো হয় আফতাবের। 

    নার্কো টেস্টের (Delhi Murder) আগে ব্যক্তির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। প্রেশার, সুগার, পালস রেট সব কিছু স্বাভাবিক আছে  কী না দেখা হয়। বয়স, লিঙ্গ অনুযায়ী ইঞ্জেকশনের  ডোজ আলাদা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হল বৃহস্পতিবার। দিল্লি পুলিশের তরফে সে কথা জানানো হয়। দিল্লির রোহিনী ফরেন্সিক ল্যাবে এই পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার সময়ই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আফতাবের কথার উপর ভিত্তি করেই মেলে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করতে ব্যবহার করা পাঁচটি ছুরি।

    কোথায় মিলল ছুরি

    আফতাবের ঘর থেকে ৫টি ছুরি পুলিশ উদ্ধার করেছে। সেগুলিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশের তরফে জানানো হয়, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আজ আফতাব পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala) একেবারে স্বাভাবিক ছিল। পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব ধীর, স্থির ছিল বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত বুধবারই আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের কথা ছিল। তবে গতকাল আফতাব সুস্থবোধ না করায়, পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। পলিগ্রাফের পর আফতাবের নারকো টেস্টও করা হবে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আফতাবের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ

    বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করতে ৫টি ছুরি ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। ওই পাঁচটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর দেহ টুকরো করতে যে একের বেশি অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন আফতাব, তার আন্দাজ আগেই করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি দিল্লিতে আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে ১টি করাতও উদ্ধার হয়। দেহ টুকরো করতে ওই করাতটি ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দিল্লিতে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক আফতাবের (Aftab Amin Poonawalla) বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিয়েছে। তবে তা প্রমাণ করতে মরিয়া পুলিশ। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে, বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Shraddha Walkar: মাদকাসক্ত ছিল আফতাব, রিহ্যাব সেন্টারেও নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন শ্রদ্ধা, দাবি মুম্বই অভিনেতার

    Shraddha Walkar: মাদকাসক্ত ছিল আফতাব, রিহ্যাব সেন্টারেও নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন শ্রদ্ধা, দাবি মুম্বই অভিনেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর (Shraddha Walkar) হত্যাকাণ্ডে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে যে, আফতাব মাদকাসক্ত ছিল ও প্রায় ২-৩ বছর ধরে সে নিয়মিত মাদক সেবন করত। আর এ কথা দাবি করেন মুম্বইয়ের এক অভিনেতা ইমরান নাজির খান। তিনি বলেন, শ্রদ্ধা নিজেই ২ বছর আগে তাঁকে এই কথাগুলো বলেছিলেন ও আফতাবকে নেশা মুক্ত করার জন্য তাঁর কাছে রিহ্যাব সেন্টারের খোঁজও করেছিলেন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ইমরান। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, শ্রদ্ধা যে আফতাবের সঙ্গে ভালো নেই, সেই কথাও শ্রদ্ধা (Shraddha Walkar) ইমরানকে জানিয়েছিলেন।

    মাদকাসক্ত ছিল আফতাব, দাবি মুম্বই অভিনেতার

    অভিনেতা ইমরান সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি কয়েকদিন মুম্বইয়ের বাইরে নিজের শহর কাশ্মীরের কুপওয়ারার চৌকিবলে ছিলেন, যার ফলে মুম্বইয়ে কী ঘটছে, তা তিনি জানতেন না। পরে যখন তিনি মুম্বইয়ে আসলেন, তারপর শ্রদ্ধার খুনের খবর শুনে তিনি হতবাক। তারপরেই তিনি সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেন। তিনি বলেন, “শ্রদ্ধার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। ২০২১-এ ফেব্রুয়ারিতে শ্রদ্ধা আমাকে বলেছিলেন, ওঁর জীবন নরকের মত হয়ে উঠেছে। প্রেমিক আফতাব নিয়মিত মাদক সেবন করে। গত ২ থেকে ৩ বছর ধরে সে মাদকাসক্ত। আফতাবকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানোর কথাও ভেবেছিলেন শ্রদ্ধা। আমাকে তেমন কোনও সংস্থার সঙ্গে যোগযোগ করিয়ে দিতে বলেছিলেন।’’

    আরও পড়ুন: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    তিনি আরও জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা (Shraddha Walkar) চেয়েছিলেন তিনি যেন আফতাবকে রিহ্যাবে পাঠাতে তাঁকে সাহায্য করে। তাই তিনি শ্রদ্ধাকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে শ্রদ্ধা দিল্লি চলে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। ফলে আফতাবের নেশা ছাড়ানোর জন্য রিহ্যাব সেন্টারের খোঁজ আর শ্রদ্ধাকে দিতে পারেননি ইমরান।

    কে এই ইমরান নাজির খান?

    ইমরান নাজির খান একজন টিভি অভিনেতা। তিনি বিভিন্ন সিরিয়াল যেমন- গাঠবন্ধন (কালারস হিন্দি), আলাদিন – নাম তো সুনা হোগা (সাব টিভি), মরিয়ম খান রিপোর্টিং লাইভ (স্টার প্লাস), হামারি বহু সিল্ক (জি টিভি), ম্যাডাম স্যার (সাব টিভি)- তে অভিনয় করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি একজন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারও। অন্যদিকে তিনি তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম এবং কন্নড় চলচ্চিত্রেও সাপোর্টিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আবার তিনি বেশ কয়েকটি এনজিওর সঙ্গেও জড়িত আছেন এবং একজন পরিচিত সমাজকর্মীও ইমনরান। তিনি গরীব শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসার খরচ দিয়ে সহায়তা করেন।

  • Delhi-Mehrauli Murder: ধর্ম পরিবর্তনে রাজি না হওয়াতেই কি খুন শ্রদ্ধা? দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    Delhi-Mehrauli Murder: ধর্ম পরিবর্তনে রাজি না হওয়াতেই কি খুন শ্রদ্ধা? দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Delhi-Mehrauli Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

    শ্রদ্ধার বাবার দাবি

    আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পরই তাঁর মেয়ে বদলে গিয়েছিল। এমনই দাবি করলেন দিল্লিতে নৃশংস হত্যার শিকার শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়েলকার। তাঁর দাবি, “শ্রদ্ধা খুব ভাল মেয়ে ছিল। ফ্যাশন ট্যাশন কিছু করত না। একদম সাধারণভাবে থাকত। যখন থেকে ও প্রথম চাকরি করা শুরু করেছিল এবং ওর সঙ্গে এই ছেলেটির দেখা হয়েছিল, তখন থেকেই লাইফস্টাইলে পরিবর্তন এসেছিল শ্রদ্ধার।” ভিন্ন ধর্ম, অন্য পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা আফতাবের সঙ্গে সম্পর্কে যেতে দিতে রাজি ছিল না শ্রদ্ধার পরিবার। তাই বাড়ি ছাড়েন শ্রদ্ধা। কিন্তু বাড়ি ছাড়লেও শ্রদ্ধার বন্ধুর অনুমান, নিজের ধর্ম-ত্যাগ করতে রাজি ছিল না হিন্দু পরিবারের মেয়ে।  

    শ্রদ্ধার ছোটবেলার বন্ধু লক্ষ্মণ নাদার জানান, মাঝেমাঝেই শ্রদ্ধার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত আফতাব।  সে কথা শ্রদ্ধা তাঁকে জানিয়েছিল। শ্রদ্ধাকে সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথাও বলে। এমনকী, আফতাবকে ভয়ও দেখায় পুলিশকে জানিয়ে দেবে বলে। লক্ষ্মণ বলেন, আফতাব তখনই শ্রদ্ধার থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়। তারপর শ্রদ্ধাই লক্ষ্মণকে পুলিশে যেতে আটকায়। শ্রদ্ধার পরিবার সূত্রে খবর, মা ও বাবাকেও আফতাবের ব্যবহারের কথা জানিয়েছিল শ্রদ্ধা কিন্তু সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি ছিল না।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    তদন্তে নয়া দিক

    পুলিশকে জেরায় আফতাব জানিয়েছে খুনের এক সপ্তাহ আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল সে। শ্রদ্ধা তাকে সন্দেহ করত। ফোনে কারুর সঙ্গে কথা বললে বিরক্ত হত। তার প্রতি শ্রদ্ধা অবিশ্বাস করত বলেই বিরক্ত হয়ে শ্রদ্ধাকে শেষ করার কথা ভাবে সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহ মাটিতে পুঁতে দিলে বা কোথাও ফেললে ধরা পড়তে পারে এই আশঙ্কাতেই দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। পরে তা জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। সেই সময়ও বাড়িতে নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত আফতাব। ডেটিং অ্যাপ বাম্বেলেই তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আফতাবের। এবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোন কোন মহিলার সঙ্গে আফতাবের সাক্ষাৎ হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য হাতে পেতে এবার বাম্বল ডেটিং অ্যাপকে চিঠি পাঠাতে পারে দিল্লি পুলিশ।  শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের (Delhi-Mehrauli Murder) পিছনে সেই মহিলাদের কোনও হাত ছিল কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে প্রমাণ উদ্ধারের জন্য একাধিক দল মোতায়েন করা হয়েছে । সবার আগে শ্রদ্ধার শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে বের করতে চায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত শরীরের ১৩টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে । বেশিরভাগই হাড় । এখনও ,মাথা, ধড় কিংবা শরীরের অন্য কোনও অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা দেখে শ্রদ্ধাকে সনাক্ত করা যেতে পারে । মেহরাউলি জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ । কিন্তু, এত বড়, ঘন জঙ্গলে শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন বলে জানাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। ছয় মাস হয়ে গিয়েছে শ্রদ্ধার শরীরের অংশ জঙ্গলে রয়েছে। তা পচে যেতে পারে বা কোনও প্রাণী খেয়ে ফেলতে পারে বলেও পুলিশের অনুমান।

    যে অস্ত্র দিয়ে শ্রদ্ধার দেহের (Delhi-Mehrauli Murder) টুকরো টুকরো করেছিল আফতাব, এখনও তা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পাশাপাশি, খুনের সময় আফতাবের রক্তমাখা জামারও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। জেরা চলাকালীন আফতাব পুলিশকে জানায়, আবর্জনার ভ্যানে সে তার রক্তমাখা জামাকাপড় ফেলে দিয়েছিল। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এতটা সময়ের ব্যবধান যে তদন্তকে কঠিন করে তুলেছে, তা-ও মেনে নিয়েছেন তিনি। 

     

LinkedIn
Share