Tag: Shuvendu

  • Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না! আমরা লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী।” সোমবার দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডের (Durgapur Gangrape) শিকার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। সোমবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সামনে ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চ বেঁধেছিল বিজেপি। পদ্মশিবিরকে সেই মঞ্চ বাঁধায় পুলিশ প্রথমে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্তাদের তর্কাতর্কি পর্যন্ত শুরু হয়ে যায়। পরে ওই মঞ্চে উপস্থিত হন শুভেন্দু। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভিযোগে সোচ্চার হন তিনি।

    ‘আমরা লজ্জিত’ (Durgapur Gangrape)

    এই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সটান চলে যান নির্যাতিতার বাড়িতে। পরে বলেন, “ওঁর পরিবার জানিয়েছে, আরও ভালো চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ওরা ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যেতে চায়। আমি শুনে আরও লজ্জিত হয়েছি যে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি, ফোনও করেননি। অথচ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি ফোন করে সহানুভূতি জানিয়েছেন।” এদিকে, দুর্গাপুরের ওই গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) সোমবার পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। রবিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার সকালে আরও একজনকে ধরা হয়। তাকে জেরা করে পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ।

    শুভেন্দুর তোপ

    অন্যদিকে, দুর্গাপুরকাণ্ডের মেডিক্যাল রিপোর্টে ইতিমধ্যেই ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। দুর্গাপুরের এই কাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল-যোগের অভিযোগে সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজকে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, তৃণমূলের ক্যাডার। ওঁর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার।” তিনি বলেন, “এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী জড়িত। শাসক যেখানে শোষক, সেখানে আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বয়ানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে।

    তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা যখন জঙ্গলের মধ্যে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠীকে ঘিরে ধরেছিলেন, তখন বেশ কিছুক্ষণের জন্য তাঁর সহপাঠী তাঁকে সেখানে ফেলে চলে এসেছিলেন। আধঘণ্টা পরে তিনি আবারও সেখানে যান এবং নির্যাতিতাকে নিয়ে আসেন। কেন তিনি প্রথমে চলে গিয়েছিলেন, কেনই বা পরে সহপাঠীকে ফেরত নিতে এসেছিলেন (Shuvendu Adhikari), সেই সব মিসিং লিঙ্ক খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ (Durgapur Gangrape)।

  • Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে।” সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে এই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে এই হুমকিই দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। অনুব্রতর কুকথাকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বোলপুরে নারী সম্মান যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। পরে এক জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূলকে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার বীরভূমে এসেছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিপি ও এসপিকে বলেছেন, আপনারা অনুব্রতর নির্দেশে চলবেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা কেষ্টকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তিনি যাননি। কারণ তিনি দিল্লিতে যেতে চান না।” শুভেন্দু বলেন, “দিল্লিতে গেলে এখানকার পাথর, বালি, জেলা পরিষদ, পুরসভা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস, কয়লা, গরুপাচার, টাকা তুলবেন কখন? আর বোলপুরের প্রাসাদে বসে গুণবেন কখন? আর মুড়ির টিনে করে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে পাঠাবেন কখন? তাই তিনি রাজ্যসভায় যাননি।” বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ করে কুকথা বলায় ক্ষমতায় এসে অনুব্রতকে ৫ বছরের জন্য জেলে ভরবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    অনুব্রতকে শুভেন্দুর (Shuvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় ইডি গ্রেফতার করেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল খাটতে হয়। অনুব্রত মণ্ডল দু’বছর জেল খেটেছে। দেশের আইন ঠিক থাকলে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নিলাম (BJP) শুরু হল বলে। এদেরকে আমরা শিকড়-সহ তুলব। যাতে আর একটা পাতাও না গজায়।” শুভেন্দু বলেন, “যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের মা ও আইসিকে অপমান করেছেন, তা মুখে আনা যায় না, কানে শোনা যায় না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে যদি যোগী আদিত্যনাথ থাকতেন, তাহলে ধরে নিয়ে যেতেন। ১৪ দিন হেফাজতে রাখতেন। প্রতিদিন শুকনো লঙ্কা জ্বালানো হত। আর নাকে নল ঢোকানো হত। যেদিন পাতা উল্টে দেবেন, তার পরের দিনই এই মামলা রিওপেন হবে। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাবে পুলিশ। পকসো আইনে পাঁচ বছর জেলে রাখব। রেকর্ড করে রাখুন।” তিনি বলেন, “বোলপুরের আইসির চামড়া মোটা হতে পারে, কিন্তু তাঁর মায়ের (BJP) ও স্ত্রীর অপমান গোটা বাংলার নারীদের অপমান (Shuvendu Adhikari)।”

LinkedIn
Share