Tag: sikkim disaster

sikkim disaster

  • Sikkim: উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই চলছে উদ্ধার কাজ

    Sikkim: উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই চলছে উদ্ধার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির জেরে বেহাল সিকিম (Sikkim)। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। উত্তরবঙ্গ সহ সিকিমে আরও বেশ কয়েকদিন যে দুর্যোগ চলবে সেই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

    চলছে উদ্ধার কাজ

    বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। একাধিক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধসের কারণে। তাই সিকিমে আটকে থাকা অন্তত ১২০০ পর্যটককে উদ্ধার করতে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে উদ্ধারকারী দলকে। তবে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২ দিনে ৬০ জনের বেশি পর্যটককে উদ্ধার করা গিয়েছে। মঙ্গলবার সিকিমের লাচুং এবং মঙ্গন  (North Sikkim) জেলা থেকে ১৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করে গ্যাংটক নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার ৫০ জনকে গ্যাংটক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

    উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন

    প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির মধ্যেই বিআরও-র অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ফের একবার ধসে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের (North Sikkim) সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে। মংগন জেলার গুয়াহাটি বেসের ডিফেন্স পাবলিক রিলেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত বলেন, ‘রাস্তা থেকে বড় বড় পাথরের টুকরো সরাতে একাধিক মেশিন এবং শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। অধিকাংশ রাস্তায় বর্তমানে সাফ করা গিয়েছে।’ বিআরও প্রায় দু’দিনের মধ্যে ভেঙে যাওয়া সেতু পুনর্নির্মাণ করে ফেলেছে ৷ ফলে আবার উত্তর সিকিমের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপনও সম্ভব হয়েছে ৷ তবে এখনও গাড়ি চলাচল স্থগিত রয়েছে। উত্তর সিকিমের বিপদসংকুল পাহাড়ি পথ টুং থেকে মঙ্গন পর্যন্ত পায়ে হেঁটেই আসতে হচ্ছে পর্যটকদের। 

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছেই

    মঙ্গলবারও নতুন করে সিকিমের (Sikkim) বহু এলাকায় ধস নামার কারণে পরিবহণ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। অন্যদিকে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় আটকে পড়া অনেক পর্যটককে এয়ারলিফ্ট করে উদ্ধার করাও সম্ভব হচ্ছে না।সিকিমে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে দুর্যোগ। এতদিনেও পরিস্থিতির সেরকম উন্নতি হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর,  গ্যাংটকে রাখা হয়েছে দুটি হেলিকপ্টার। প্রয়োজনে বাগডোগরা থেকেও সেনাবাহিনীর কপ্টার আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি এবং মেঘ থাকার কারণে হেলিকপ্টার চালানো যাচ্ছে না। তাই উদ্ধারকাজে যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে। এই প্রেক্ষিতে সড়কপথই পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sikkim: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কালিম্পঙের বহু অংশ, উত্তর সিকিমে আটকে হাজারেরও বেশি পর্যটক

    Sikkim: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কালিম্পঙের বহু অংশ, উত্তর সিকিমে আটকে হাজারেরও বেশি পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি চলছেই সিকিমে (Sikkim)। ধস নেমে একের পর এক পাহাড়ি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন উত্তর সিকিম। লাচুং, চুংথাম, জঙ্গুতে এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় ১২০০ পর্যটক। সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। কালিম্পং-এর (Kalimpong) বিভিন্ন অঞ্চল অবরুদ্ধ। ফুঁসছে তিস্তা, রঙ্গীত-সহ ছোট বড় পাহাড়ি নদীগুলি। একটানা বৃষ্টিতে তিস্তার জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। তিস্তাবাজার সংলগ্ন বহু এলাকা জলের তলায়।

    নতুন করে ধস

    শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে উত্তর ও দক্ষিণ সিকিমে (Sikkim)। এদিন টুং, দক্ষিণ সিকিমের লিঙ্গসে, লিঙ্গে ও পাইয়ংয়ের মূল রাস্তা এবং কাওখোলা ও সুন্তালে এলাকাতেও ধস নামে। যার ফলে সিংথামের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মূল সড়ক ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আটকে রয়েছে উদ্ধারকাজ। বৃহস্পতিবার রাতে সিকিম থেকে লাচেন যাওয়ার মূল রাস্তার উপর থাকা সাঙ্গেকেলাংয়ের সেতু ভেঙে পড়েছে। ফলে লাচেন সহ অন্যান্য এলাকায় আটকে থাকা পর্যটকদের টুং চেকপোস্ট পর্যন্ত নামিয়ে আনার পর আর নিচের দিকে আনা যায়নি। 

    আকাশপথে পর্যটকদের উদ্ধারের ভাবনা

    এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের গ্যাংটকে (Sikkim) ফেরাতে হলে আকাশপথ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এয়ারলিফটও করা সম্ভব হচ্ছে না। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে ভারতীয় সেনার কাছে সাহায্যের আবেদন জানাতে চলেছে সিকিম প্রশাসন। আবহাওয়া ভাল হলে যাতে পর্যটকদের বিমানে উদ্ধার করা যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই সিকিমের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। সিকিম প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লাচুংয়ে আটকে রয়েছে ১২০০ ভারতীয় পর্যটক। বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন তাইল্যাণ্ড, নেপাল এবং বাংলাদেশের ১৫ জন পর্যটক। সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে পর্যটকেরা সকলেই সুরক্ষিত আছেন, এমনকী খাবারও মজুত রয়েছে, তবে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নিষেধ করা হয়েছে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম বলেন, “নর্থ সিকিমের মঙ্গনের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আটকে থাকা পর্যটকেরা সুরক্ষিত আছেন। রংপোয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম সীমানায় ট্যুরিস্ট হেল্পডেস্ক খোলা হয়েছে। পর্যটকেরা সীমানায় পৌঁছলে কালিম্পং (Kalimpong) জেলা প্রশাসন পর্যটকদের উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাতে প্রস্তুত”।

    বাড়ছে তিস্তার জলস্তর

    সিকিমে (Sikkim) প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও বাড়ছে বৃষ্টির প্রভাব। শুক্রবার কালিম্পংয়ের (Kalimpong) তিস্তাবাজার, মাল্লির প্রতিটি বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে তিস্তা নদীর জল । কোথাও কোথাও বাড়ির ভিতরে জমে গিয়েছে পলি। এদিনও কালিম্পং, দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। বড় কোনও গাড়ি চলছে না। ঘুরপথে বিরিকধারা-মংপু-সিটং-তাকদা হয়ে চলছে ছোট গাড়ি। বৃষ্টি আরও বাড়লে উত্তরের সমতলও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে তিস্তার জলস্তর। এদিন সকালে তিস্তার বাঁধ থেকে ১৭৬৩.৪২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, ফলে জলস্তর বেড়েছে তিস্তা নদীর। বিপদের আশঙ্কায় জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি বসিয়েছে পুলিশ। নদীতে নেমে কাঠ সংগ্রহ করতে বারণ করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: উত্তর সিকিমে ধ্বংসস্তূপের ওপর সেতু গড়ল সেনা, স্বাভাবিক হল যান চলাচল

    Sikkim Disaster: উত্তর সিকিমে ধ্বংসস্তূপের ওপর সেতু গড়ল সেনা, স্বাভাবিক হল যান চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের দুর্যোগে কার্যত ভেঙে পড়েছিল সিকিমের (Sikkim Disaster) সম্পূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। উত্তর সিকিমের অবস্থা সব থেকে খারাপ ছিল। গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে উঠেছিল উত্তর সিকিম। স্থলপথে যোগাযোগও ছিল না সারা দেশের সঙ্গে। ৪৪ দিন পর অবশেষে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা গেল এবং এর পুরোটাই সম্পন্ন হল ভারতীয় সেনার উদ্যোগে এবং তত্ত্বাবধানে। ধ্বংসস্তূপের উপর সেতু তৈরি করল ভারতীয় সেনা। এর ফলে উত্তর সিকিমে যান চলাচল আবার স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে।

    বৃহস্পতিবারই সেনার তৈরি ব্রিজের উদ্বোধন 

    উত্তর সিকিমের (Sikkim Disaster) চুংথাং-এ সেনার তৈরি এই বেলি ব্রিজ উদ্বোধন হয়েছে বৃহস্পতিবারই। ইতিমধ্যে সেতুর উপর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ত্রাণবাহী গাড়ি বিধ্বস্ত অংশে পাঠানোর কাজও শুরু হয়েছে। স্থলপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়াতে এতদিন আকাশ পথের মাধ্যমেই ত্রাণ পাঠানো হচ্ছিল। ধ্বংসস্তূপের উপর ব্রিজ নির্মাণের পরে সেনার তরফে বিবৃতিও সামনে এসেছে।

    গত ৩ অক্টোবর হড়পা বানে বিধ্বস্ত হয় সিকিম

    বৃহস্পতিবারই ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, ত্রিশক্তি কর্পস এবং বিআরও-এর যৌথ প্রচেষ্টায় চুংথাং-এ এই বেলি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্রিজটি ২০০ ফুট লম্বা। গত ৩ অক্টোবর হড়পা বানে বিধ্বংসী রূপ নেয় তিস্তা নদী। হড়পা বানের ফলে চারদিকে চলতে থাকে তাণ্ডবলীলা। সেই থেকেই কার্যত ভেঙে পড়েছিল উত্তর সিকিমের সমস্ত পর্যটন শিল্প। বাকি অংশগুলিতে সিকিমের (Sikkim Disaster) জনজীবন স্বাভাবিক হলেও উত্তর সিকিম কার্যত যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল এতদিন। তবে ব্রিজ উদ্বোধন হওয়ায় সেই অবস্থা কাটল। বৃহস্পতিবার সেনা নির্মিত সেতুর উদ্বোধন করেন সিকিমের সড়ক মন্ত্রী সমডুপ লেপচা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই স্বামীর, সিকিমের পথে জলপাইগুড়ির বধূ

    Sikkim Disaster: বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই স্বামীর, সিকিমের পথে জলপাইগুড়ির বধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমের লোনাক লেক বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) পর বিপন্ন সেখানকার জনজীবন। মঙ্গলবার পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে সব মিলিয়ে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। সেই সংখ্যাটা ঠিক কত, তা নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছে না প্রশাসন। তবে আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে জোরকদমে। নিখোঁজের তালিকায় নাম রয়েছে জলপাইগুড়ির রাঙালির বাসিন্দা ঋষিকেশ রায়ের। তিনি সিকিমে কর্মরত। সিকিমে বিপর্যয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযাগ করতে পারছেন না স্ত্রী খুশি রায়। স্বামীর খোঁজে রওনা দিয়েছেন সিকিমের পথে।

    শেষ কথা ৩ অক্টোবর, সাতদিন ধরে নিখোঁজ (Sikkim Disaster)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খুশির স্বামী ঋষিকেশ থাকেন মঙ্গানে। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর স্বামী সিকিমে অবস্থিত ওই সংস্থায় কর্মরত। তিস্তা উর্জা লিমিটেড নামে সংস্থায় কর্মরত তিনি। রোজ দিন পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা হত তাঁর। সিকিমে বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) আগে শেষ বার কথা হয়েছে তাঁদের। কিন্তু ঋষিকেশের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওদের কোম্পানির ১৪ জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বলে জানতে পেরেছে পরিবারের লোকজন। তবে, ঋষির কোনও খোঁজ নেই। শেষ কথা হয়েছিল ৩ অক্টোবর, রাত ১২টা ১৫ মিনিটে। তার পর সাত সাতটি দিন পেরিয়ে গিয়েছে। বার বার ফোন করে গিয়েছেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু সিকিমে কর্মরত ঋষিকেশ রায়ের কোনও খোঁজ পাননি তাঁরা। নানা ভাবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

    কী বললেন নিখোঁজ যুবকের স্ত্রী?

    বাড়িতে বসে থেকে ফোনে এ ভাবে আর পারছেন না। চোখেমুখে উদ্বেগ নিয়ে সিকিম রওনা দিলেন জলপাইগুড়ির রাঙালির বাসিন্দা খুশি। বাসে করে সিকিমের পথে রওনা দেন। তিনি বলেন,  ৩ অক্টোবর প্রায় মাঝ রাত পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তখনও টের পাইনি সিকিমের এই বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) কথা। তাই রাস্তা একটু ঠিকঠাক হয়েছে শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছি। আমার বিশ্বাস, ও ভাল আছে। ওখানে তাঁকে ঠিক খুঁজে বের করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ের পর তিস্তার চর এখন মরণফাঁদ! কেন জানেন?

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ের পর তিস্তার চর এখন মরণফাঁদ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ের পর (Sikkim Disaster) তিস্তার চর এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সিকিমের বিপর্যয়ে ভেসে গিয়েছে সেনা ছাউনি। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার জলে ফ্রিজ, ঘরের আসবাবপত্রের সঙ্গে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর পরিমাণে মর্টার শেল-সহ অন্যান্য গোলা বারুদ। ইতিমধ্যেই মর্টার শেল কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও ৬ জন।

    কেন তিস্তার চর মরণফাঁদ? (Sikkim Disaster)

    সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) সময়ে সিংতামে তিস্তা নদীগর্ভেই সেনাবাহিনীর ছাউনি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেনাদের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ২২ জন সেনা নিখোঁজ। তারমধ্যে সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই সেনা ছাউনির সমস্ত গোলাবারুদ তিস্তার প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়েছে। গত ৬ অক্টোবর সেবক করোনেশন সেতু লাগোয়া আন্ধেরি ঝোরায় তিস্তার চরে নিজে থেকেই একটি মর্টার বিস্ফোরণ হয়। সেদিনই বরদাঙে সেনা ছাউনির খুব কাছেই বাগেখোলা নামে একটি পাহাড়ি ঝোরার কাছে বালির চরের ভিতর থেকে প্রথমে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। পরে আগুন বের হতে দেখে স্থানীয়দের অনুমান, ওই ঝোরার কাছেও সম্ভবত বালি চাপা পড়ে গিয়েছে কিছু গোলাবারুদ। ফলে, তিস্তার চরে এখন অনেক বিস্ফোরক মজুত রয়েছে, বালি চাপা পড়ে রয়েছে। চাপ পড়লেই বিস্ফোরণ ঘটবে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    সিকিমের বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) পর সেনা, সিআইডির বোমা বিশেষজ্ঞরা জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে আরও ত্রিশটি বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করেছে। কিন্তু, বিপদ এখনও শেষ হয়নি। বিপদটা কতটা ভয়ানক, সেটা আঁচ করে সকলেই প্রচারে নেমেছেন। কিন্তু, কতদিন চলবে এই প্রচার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে তিস্তার চর লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বহু মৎস্যজীবী তিস্তার উপরে ভরসা করে বেঁচে থাকেন। শীতে পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থল এই তিস্তার চর। বুনো হাতির পাল ডুয়ার্স থেকে তরাইয়ে এই তিস্তা পেরিয়েই যাতায়াত করে। সেনারা গোলা ছোড়ার অভ্যাস করার সময়ে অনেক কিশোর এই চরে ঘুরে বেড়ায় গুলির খোল উদ্ধার করার জন্য। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি, আপাতত তিস্তার চরে নামা যাবে না। কিন্তু, একটা সময়ে লোকে নামবেই। তখন দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে কি না সন্দেহ থাকছেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিমে বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ বালুরঘাটের সাত পরিযায়ী শ্রমিক, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Disaster: সিকিমে বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ বালুরঘাটের সাত পরিযায়ী শ্রমিক, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাত জন পরিযায়ী শ্রমিকের কোনও খোঁজ নেই। তাঁদের বাড়ি বালুরঘাটের ডাঙ্গা বিজয়শ্রী এলাকায়। পরিবারের লোকজন আর তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে, চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    কবে কাজে গিয়েছিলেন?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গার পাল পাড়ার নিখোঁজ ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম মৃদু পাল, সুধু পাল, দুলাল পাল, বেলাই পাল, সামরা পাল, তজু পাল ও নবীন পাল। এছাড়াও বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া, চিঙ্গিসপুরের আরও চার শ্রমিক সিকিমের অন্যত্র কাজে গিয়েছেন। তাদের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিক কাজে যোগ দিতে যান। মূলত তাঁরা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। ৪ অক্টোবর হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিম (Sikkim Disaster)। ওই দিনের পর থেকে সকলের ফোন বন্ধ, যোগাযোগ হচ্ছে না বলেও পরিবারের সদস্যরা জানান। জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের ডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের ডাঙ্গা বিজশ্রী গ্রামের মৃদু পালের বাড়িতে স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা রয়েছে। পাশেই বাড়ি মৃদুর দাদা সুধু পালও তাঁর স্ত্রীকে রেখে সিকিমে কাজে গিয়েছিলেন। সিকিমের ভয়াবহ বিপর্যয়ের ছবি মোবাইলে দেখেই শিউরে উঠছেন পরিবারের লোকজন।

    পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নিখোঁজ শ্রমিক মৃদু পালের স্ত্রী কৌশল্যা পাল বলেন, কোন ঠিকাদারের সঙ্গে গিয়েছে, তা জানা নেই।  যেদিন থেকে সিকিমের বন্যার (Sikkim Disaster) খবর পেয়েছি, সেদিন থেকেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ষষ্ঠী পাহান বলেন, আমাদের গ্রামের মোট সাতজন এক ঠিকাদারের সঙ্গে সিকিমে কাজে গিয়েছিলেন। কারও খোঁজ পাচ্ছিনা। আমাদের গ্রামের সবাই চিন্তায় রয়েছে। উদ্বেগ কাটছে না।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জেলার ২৫ জনের খবর পেয়েছি, যারা সিকিমে (Sikkim Disaster) কাজে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের সঙ্গেই যোগাযোগ করা গিয়েছে। তাঁরা ভালো রয়েছেন। যাদের খোঁজ মেলেনি, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে ভেসে যায় বীরভূমের সেনা কর্মীর দেহ, শোকের ছায়া এলাকায়

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে ভেসে যায় বীরভূমের সেনা কর্মীর দেহ, শোকের ছায়া এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম বিপর্যয়ে (Sikkim Disaster) দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, একজনের নাম গোপাল মান্ডি। তাঁর বাড়ি বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার নান্দুলিয়া গ্রামে। আর অন্যজনের নাম বিমল ওঁরাও। তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ারের মধু চা বাগান এলাকায়। এই ঘটনায় দুই জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Sikkim Disaster)

    পরিবার সূত্রে খবর, ২৯ বছর বয়সি গোপাল ২০১৪ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। গোপাল মেডিক্যাল বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালে বোলপুরের সিয়ানের বাসিন্দা মাম্পি মুর্মুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্ত্রী ছাড়াও গোপালের বাড়িতে আছেন মা-বাবা, দাদা, বোন এবং স্ত্রী। তিনি জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে পোস্টিং ছিলেন। তবে, কয়েকদিন আগে সিকিমের বাবা হরভজন সিংহ মন্দিরে ডিউটি করতে যান তিনি। সিকিমে দুর্যোগের (Sikkim Disaster)  দিন মন্দির থেকে ডিউটি সেরে বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনিতে ফিরছিলেন গোপাল। কিন্তু, আর সেনাছাউনিতে ফেরা হয়নি। কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। বুধবার গোপালের বাড়িতে তাঁর নিখোঁজের খবর দেওয়া হয়। তারপর থেকেই উদ্বেগে দিন কাটছিল মান্ডি পরিবারের। বিভিন্ন ভাবে খোঁজখবরের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। আবার ওই সেনা জওয়ানের বাড়িতে ফোন আসে। তবে এ বার তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। তার পর থেকেই আদিবাসী অধ্যুষিত নান্দুলিয়া গ্রাম শোকস্তব্ধ  হয়ে পড়ে। 

    ছেলের মঙ্গল কামনায় পুজো দেন পরিবারের লোকজন

    অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারের মধু চা বাগানের জওয়ান বিমল ওঁরাও মাস তিনেক আগে লাদাঘ থেকে বদলি হয়ে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে কাজে যোগ দেন। কয়েকদিন আগে বিন্নাগুড়ি থেকে তাঁকে সিকিমে পাঠানো হয়েছিল। ৪০ বছর বয়সী জওয়ান বিমল ওঁরাওয়ের মৃত্যুতে শোকস্তদ্ধ ডুয়ার্সের মধু চা বাগান। ভাই কমলও সিআরপিএফ কর্মী। তিনি দাদার মৃত্যুর খবর জানতেন। ছেলের সুস্থতা কামনায় বৃহস্পতিবার সকালেও স্ত্রী তনুজা, মা বৈন্ধন ও বাবা মাঙ্গরা স্থানীয় মন্দিরে পুজোও দেন। পরে সিআরপিএফ কর্মী কমল পরিবারের সকলের কাছে আসল সত্যিটা বলে দেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: তিস্তার জলে পাওয়া মর্টার শেল মজুত বাড়িতে! জমা দিলে গ্রেফতারি নয়, বার্তা সাংসদের

    Sikkim Disaster: তিস্তার জলে পাওয়া মর্টার শেল মজুত বাড়িতে! জমা দিলে গ্রেফতারি নয়, বার্তা সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে (Sikkim Disaster) মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার জলে ফ্রিজ, ঘরের আসবাবপত্রের সঙ্গে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর পরিমাণে মর্টার শেল-সহ অন্যান্য গোলা বারুদ। নদীর জল কমতেই সেগুলি ভেসে উঠছে। তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা অনেকেই সেগুলিকে কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। তিস্তায় ভেসে আসা সেই সব বিস্ফোরক জমা দিলে পুলিশ মামলা রুজু করবে না। এমনই বার্তা দিলেন  জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়।

    বাড়িতে মজুত রয়েছে সেনার একাধিক মর্টার শেল!

    সিকিমের বিপর্যয়ে (Sikkim Disaster) ভেসে গিয়েছে সেনা ছাউনি। সেনার বহু অস্ত্রসস্ত্র ভেসে এসেছে। সেই সব অস্ত্র, শেল সাধারণ মানুষের হাতে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই মর্টার শেল কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও ৬ জন। সেনার ধারণা, এরকম অনেক সাধারণ মানুষের হাতেই এই ধরনের শেল, অস্ত্র চলে গিয়েছে। কিন্তু, তা এখনও প্রশাসনের কাছে জমা পড়েনি। বাড়িতে মজুত করা মর্টার শেল জমা দিলে, পাছে পুলিশ গ্রেফতার করে, এই ভয়ে অনেকেই শেলগুলি জমা দিতে চাইছেন না বলে পুলিশ প্রশাসনের ধারণা। যে পরিমাণ মর্টার শেল মজুত রয়েছে তা ফেরত না দিলে আরও বড় বিপদ হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।

    কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, সিকিম বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) পর বন্যার জলে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর বিস্ফোরক। যেগুলি তিস্তা পাড় থেকে উদ্ধার করে অনেকেই বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে, উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলগুলি জমা দিলে পুলিশ তাঁদের বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার করতে পারে। এমন ভয়ে সেগুলির তথ্য পুলিশকে দিতে চাইছেন না। যদিও ইতিমধ্যেই সেগুলির মধ্যে কিছু উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে সেনা। বিস্ফোরকগুলি পুলিশকে দিলে মামলা রুজু করবে না। আমি পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ফলে, সকলের কাছে আমার আবেদন, তিস্তা থেকে যারা সেনার মর্টার সেল সহ বিভিন্ন বিস্ফোরক নিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা থানায় গিয়ে জমা করে দিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরে সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে হড়পা বানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়লেন পর্যটকরা। বীরভূম থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) বেড়াতে গিয়ে একই পারিবারের দুই শিশু, মহিলা সহ ৮ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। অপর দিকে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা বিপর্যয়কে অতিক্রম করে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, তা নিয়েও চরম আতঙ্কের ছায়া দেখা গেছে কলকাতা-হাওড়ার বেশ কয়েকটি পরিবারের মধ্যে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন পরিজনরা। পাশাপাশি বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবা চালু করেছে।

    বীরভূমের নিখোঁজ ৮ জন (Sikkim Disaster)

    সিকিমে (Sikkim Disaster) গিয়ে বীরভূমের একই পারিবারে নিখোঁজ ৮ জন। ইলামবাজারের ভগবতী বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক মহম্মদ মহফুজ রহমান, তাঁর ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-সহ একই পরিবারের ৮ জন সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন। ১ অক্টোবর বোলপুর থেকে তাঁরা সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ সিকিমের লাচেন এলাকায় একটি হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে, অর্থাৎ ৩ অক্টোবর থেকে ওই ৮ জনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। নিখোঁজদের নাম হল, সোহান রাজভি (৬), রেহা তানভি (১০), রায়না জাহান (৪), রায়সা জাহান (১৩), এসথাউদ্দিন শেখ (৪২), নাজিয়া খাতুন (৩৭), মুজাফফর আহমেদ (৪০), রেবিকা মণ্ডল (৩৪)। পরিবারের তরফে সংশ্লিষ্ট ইলামবাজার থানায় জানানো হয়। তবে একই পরিবারের ৮ জন নিখোঁজ থাকায় রীতিমতো ঘুম উড়েছে পরিবারের বাকি সদস্যদের। প্রশাসন যাতে সিকিমে থাকা পরিজনকে খুঁজে বের করে, সেই জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    হোটেলবন্দি হাওড়া-কলকাতার পর্যটকরা

    রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) প্রায় তিন হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়েছেন। পুজোর আগে অনেক মানুষ সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তবে সিকিমের পাহাড় থেকে সমতলে অনেকে নামতে পারলেও, বেশিরভাগ মানুষ এখনও আটকে রয়েছেন বিপর্যয়ে। গত ২ অক্টোবর কসবার বাসিন্দা পেশায় ডাক্তার, ভাবনী প্রসাদ নিজের পরিবারকে নিয়ে সিকিমে বেড়াতে গেলে বিপর্যয়ের কারণে হোটেলে আটকে পড়েছেন। ভবানীপ্রসাদবাবু ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “নানারকম খবর শুনছি এবং সেই সঙ্গে আতঙ্কে ভুগছি। পরিবারের সকলে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। বাড়িতে পরিজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। আপাতত সকল প্রোগ্রাম বাতিল করে বাড়ি ফেরার চেষ্টায় রয়েছি।” সিকিমে ঘুরতে যাওয়ায় নিজের পরিজনদের খবর না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। একই ভাবে হাওড়ার কৌশিক হাজরাও সিকিমে ঘুরতে গিয়ে হোটেলে আটকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। পরিবার তাঁদের ফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    বিশেষ পরিষেবা

    হড়পা বানে সিকিমের (Sikkim Disaster) সঙ্গে উত্তরেবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ অবনতি ঘটেছে। ঘুরপথে পাহাড় থেকে শিলিগুড়িতে নামতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগছে। গাড়িতে বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে পর্যটকদের। এই অবস্থায় মানুষকে বিপর্যয় স্থল থেকে উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবার কথা ঘোষণা করেছে। সংগঠনের সচিব মিলন সরকার বলেন, “পর্যটকদের বিনামূল্যে নিরাপদে পৌঁছে দিতে পারলে আনন্দিত হব। আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি পরিষেবা প্রদান করার জন্য।”

    বিপদগ্রস্ত পর্যটকরা 9734144375 বা 9832388425 নম্বরে যোগাযোগ করে যে কোনও সাহায্য চাইতে পারবেন। ৬ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: মর্মান্তিক! জলের তোড়ে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মৃত্যু শিশুর

    Sikkim Disaster: মর্মান্তিক! জলের তোড়ে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মৃত্যু শিশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মর্মান্তিক মৃত্যু হল একজনের। ঘটনায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা অঞ্চলে। মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে সিকিমের সিংথামের সেনাবাহিনীর একটি ছাউনি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় (Sikkim Disaster)। সেখানে থাকা সেনাবাহিনীর গোলাবারুদও জলের তোড়ে ভেসে যায়। যার মধ্যে বেশ কিছু মর্টারও ছিল। তার জেরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।

    হাতুড়ি দিয়ে খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণ

    বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থানা এলাকার বাকালি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি মর্টার (Sikkim Disaster)। পাশাপাশি ক্রান্তি এলাকা থেকেও বেশ কয়েকটি মর্টার মেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠ ধরতে গিয়ে সেগুলি দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেগুলির মধ্য থেকেই একটিকে হাতুড়ি দিয়ে খুলতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় আইনুর রহমান নামে এক সাত বছরের শিশুর। আহত হন আরও কয়েকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের প্রায় প্রত্যেকের গোটা শরীর ঝলসে গেছে। জলপাইগুড়ি থেকে সঙ্গে সঙ্গে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    শোকের ছায়া (Sikkim Disaster)

    ঘটনার পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপরই ঘটনাস্থলে আসেন সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিক এবং জওয়ানরা। তাঁরা সেগুলিকে সেখান থেকে নিয়ে যান। ঘটনায় আতঙ্কের পাশাপাশি শোকের ছায় নেমে এসেছে গোটা রাজাডাঙ্গা এলাকায় (Sikkim Disaster)। অন্যদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এমন ঘটনা যে ঘটবে সেটা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। অবুঝ শিশু কাঠ ধরতে গিয়ে ওই বস্তুটি নিয়ে আসে। তার পরিণতি যে এমন হবে, সেটা তাঁরা আন্দাজ করতে পারেননি। ওই এলাকার কেউই আর কোনওদিন তিস্তা থেকে কিচ্ছু আনতে যাবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share