Tag: Siliguri

Siliguri

  • North Bengal Medical: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    North Bengal Medical: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজের হস্টেলে (Siliguri) রীতিমতো মসজিদ গড়ে উঠেছে। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে থ্রেট কালচার নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে এই দিকটি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাণনাশ ও দৈহিক অত্যাচারের হুমকির ভয়ে সকলে এতদিন এসব মুখ বুজে সহ্য করে গিয়েছে।

    কীভাবে হস্টেলে তৈরি হয়েছে মসজিদ? (North Bengal Medical)

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বরখাস্ত চিকিৎসক নেতা অভীক দে-র নির্দেশে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা চিকিৎসক শাহিন সরকার ও চিকিৎসক সোহম মণ্ডল মুসলিম সম্প্রদায়ের ছাত্রদেরকে বেছে বেছে ভালো ও একাধিক ঘর বণ্টন করতেন। একটি হল ঘর নমাজ পড়ার জন্য মসজিদের মতো করে তাঁরা সাজিয়ে নেন। সেই ঘরের মেঝেতে সারি সারি মসজিদের ছবি আঁকা, মাদুর পেতে রাখা হয়েছে। সেখানে ছাত্ররা গিয়ে নমাজ পড়েন। অন্যান্য মুসলিম ধর্মের আচার অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মুসলিম ধর্ম গ্রন্থ নিয়ে লাইব্রেরি তৈরি করা হয়েছে। ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান সম্পর্কে ও নমাজ পাঠের সময় জানানোর জন্য নোটিশ বোর্ড রয়েছে। সেখানে নমাজের সময়সূচি লেখা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার অফার? ডিসি নর্থকে ডেকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের

    প্রতিবাদ করলেই আসত হুমকি

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ডাক্তারি (North Bengal Medical) পড়ুয়া বলেন, মুসলিম ছাত্রদের জন্য হস্টেলে নির্দিষ্ট একটা এলাকা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অন্য ধর্মের ছাত্রদের যাওয়ার সুযোগ ছিল না। এতদিন আমরা মুখ খুলতে পারিনি। কখনও কেউ সামান্য প্রতিবাদ করলেই তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। শাহিন সরকার, সোহম মণ্ডলরা হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার এবং পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তাই মুখ বুজে সব সহ্য করেছিলাম। আরজি করকাণ্ডের জেরে যেভাবে সর্বত্র ছাত্রছাত্রীরা থ্রেট কালচার নিয়ে সরব হয়েছেন, তাতে আমরা সাহসী হয়ে তদন্ত কমিটির কাছে সবটা জানিয়ে হস্টেলে ধর্ম নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরির আবেদন জানাই।

    তদন্ত কমিটির কাছে নালিশ

    থ্রেট কালচার নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের (North Bengal Medical) আন্দোলনের চাপে তদন্ত কমিটি গড়েন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা। এমএসভিপি সঞ্জয় মল্লিকের নেতৃত্বে গড়া তদন্ত কমিটির সামনে একাধিক ছাত্র হস্টেলের মধ্যে মসজিদ তৈরি ও ধর্মের ভেদাভেদ তৈরি, ছাত্রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ জানান। অভিযোগ জানানোর বিষয়টি গোপন না থাকায় তাঁদের কয়েকজনকে এখন হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান অভিযোগকারীরা।

     কী বললেন অধ্যক্ষ ?

    মেডিক্যাল কলেজের (North Bengal Medical) অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কাছে ছাত্ররা অনেক ধরেনের অভিযোগ করেছে। যার অনেক কিছু আমার জানা ছিল না। এতদিন ডিন আমাকে জানাননি। ছাত্রদের আশ্বাস দিয়েছি, এখন থেকে হস্টেলে ধর্মের ভেদাভেদে কোনও বিতর্কিত কাজ বা পরিবেশ বরদাস্ত করা হবে না। সব ধর্ম সমান গুরুত্ব পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজেও টিএমসিপি নেতাদের ‘থ্রেট কালচার’-এর ফলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় কারচুপির বিস্তর অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে নম্বর দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে ১২ জনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রাক্তন ডিন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন ও একজন আরএমও রয়েছেন।

     কীভাবে চলত থ্রেট কালচার? (North Bengal Medical)

    আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকদের অভিযোগ, টিএমসিপি নেতাদের হাতের পুতুল হয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) কর্তৃপক্ষ। থ্রেট কালচারের পাশাপাশি টিএমসিপি নেতাদের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (Siliguri) এতদিন চলে এসেছিল পরীক্ষায় নম্বরে কারচুপি, নকলে মদত দেওয়ার ঘটনা। কলেজ অনুষ্ঠানে টাকা তোলার জন্য জুলুম ও হুমকি দেওয়া হত। সেই টাকার কোনওদিন অডিট হয়নি। ৫২ নম্বর পাওয়া এক পড়ুয়ার নম্বর বাড়িয়ে ৮২ করে দেওয়া হয়েছিল।

    গত ৪ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদে পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে একথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল। এই দু’জনের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীরা তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন। রাতে সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল পদত্যাগ করলেও আশ্চর্যজনকভাবে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

     প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা!

    আন্দোলনের (North Bengal Medical) চাপে সুপারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ। তদন্তে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোকপাত করা হয়নি। থ্রেট কালচারের হুমকি নিয়ে তদন্ত কমিটি সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সোমবার রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টেই তিন আধিকারিক সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৯ ছাত্র নেতা। আধিকারিকদের মধ্যে প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল ও আরএমও নিলাব্জ ঘোষকে আপাতত ছুটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে কলেজ কাউন্সিল। অধ্যক্ষ বলেন, তিন হাউসস্টাফ শাহিন সরকার, শাহিনুল ইসলাম ও রিতুরম্ভ সরকার, সোহম মণ্ডল, জয় লাকড়া, তীর্থঙ্কর রায়, অরিত্র রায়, ঐশি চক্রবর্তী, শ্রীজা কর্মকারকেও বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। সোহম মণ্ডল সহ যাদের নম্বর কারচুপি করার অভিযোগ রয়েছে, তাদের সকলের খাতা ফের মুল্যায়ন করা হবে। এদের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র নেতা সোহম মণ্ডল ইন্টার্ন। অরিত্র ও তীর্থঙ্কর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। ঐশি, শ্রীজা ও জয় লাকড়া তৃতীয় বর্ষের পার্ট-১ এর ছাত্র।

    অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে?

    অন্যতম অভিযুক্ত টিএমসিপির বরখাস্ত নেতা অভীক দে এখানে অবৈধভাবে অডিটোরিয়াম (North Bengal Medical) দখল করে তাঁর জন্মদিন পালন করেছিলেন। অধ্যক্ষ সেই অনুষ্ঠানে থেকেছেন। অভীকের হাত থেকে কেকও খেয়েছেন তিনি। সেকথা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ। তাতেই প্রশ্ন, অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে? এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘‘এখানে সবাই আমার অধস্তন। তাই আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ রয়েছে, তার সবটাই রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের তরফে শাহরিয়ার আলম বলেন,  ‘‘আমরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসছি না। তাঁর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয় দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিগাড়ায় নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল দার্জিলিং জেলা আদালত। ঠিক এক বছর ১৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করা হল। শনিবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর এই সাজা ঘোষণা করেন। পক্সো আইনে মামলা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শনিবার সাজা শোনার জন্য মৃতার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা আদালতে হাজির হয়েছিলেন। অপরাধীকে পুলিশ আদালতে নিয়ে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Siliguri)

    আদালত (Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে একদিন বিকেলের দিকে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। তাকে মাটিগাড়ার (Siliguri) জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে যাতে চেনা না যায়, সে জন্য ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল তার মুখ। ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর পরই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ রাজু বিস্তা, স্থানীয় বিধায়ক আনন্দ বর্মন সহ দলীয় নেতৃত্ব নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে দোষীর শাস্তি হওয়ার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন।

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    আদালতে কী হল?

    খুনের মামলায় একাধিক সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত (Siliguri)। অবশেষে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন ঘটনার নজির তুলে ধরে অপরাধীর ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে, অপরাধীর আইনজীবী বুলা রায় জানান, তাঁর মক্কেলের বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। তাঁর পরিবারের কথা ভেবে ফাঁসির আবেদন বিবেচনা করার আর্জি রাখেন তিনি। আব্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় বৃহস্পতিবারই। এরপরই শনিবার বিচারক ফাঁসির রায় দেন। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুব গুরুত্ব সহকারে প্রতিটি হাজিরায় আদালতে বোঝাবার চেষ্টা করেছি যে, এটা অন্যান্য মামলার তুলনায় ভিন্ন একটি মামলা। এই মামলায় দোষীর ফাঁসি হওয়া উচিত। আমরা ফাঁসির আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালত মূলত দুটি বিষয়েব ওপর নজর দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিল। প্রথমত খুন এবং দ্বিতীয়ত নাবালিকাকে ধর্ষণ।”

    নির্যাতিতার মা কী বললেন?

    সাজা ঘোষণার পরে নির্যাতিতার মা বলেন, “আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি। আমার মেয়ে শান্তি পাবে। ওই লোকটির (দোষী) দু’জন স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছেন। তার পরেও এমন কাজ! ওর ফাঁসিই হওয়া উচিত। প্রথম থেকেই মাটিগাড়া থানা এবং আদালতের উপর আমাদের ভরসা ছিল। সেই ভরসাই আমার মেয়েকে আজ বিচার পাইয়ে দিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: নম্বর দুর্নীতি! ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন ডিন

    North Bengal Medical: নম্বর দুর্নীতি! ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন ডিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নম্বর দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রদের একটানা বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের (North Bengal Medical) ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন সুদীপ্ত শীল। টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া, চিকিৎসকদের বদলির হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস। নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ডিনের বিরুদ্ধে। চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ডিন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারা।

    আন্দোলনের চাপে ডিনের পদত্যাগ! (North Bengal Medical)

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে উঠে আসে অভীক দে’র নাম। চিকিৎসক অভীক দে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে সরব হন ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুর ১টা থেকে ঘেরাও হন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, ডিন এবং অতিরিক্ত ডিন। অবিলম্বে হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন মূলত অভীক দে-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চিকিৎসকরা। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয় কলেজে। শুধু তাই নয়, অভীককে মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical) ঢুকতে না দেওয়ার দাবিও জানান জুনিয়র চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

    এরই মধ্যে, অভিযোগ ওঠে যে, বিশেষ একজন ছাত্রনেতার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এইচওডি-রা বলছেন, তাঁরা ৫২-৫৩ নম্বর দিয়েছিলেন। অথচ মার্কশিটে নম্বর লেখা ৮০। এই অভিযোগেই ছাত্র-ছাত্রীসহ অধ্যাপকরা ঘিরে ধরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও অধ্যক্ষকে। পরে, সন্দীপ সেনগুপ্ত স্বীকার করে নেন যে অভীক দে-র ফোন যেত তাঁর কাছে। ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে এরপরেই পদত্যাগ করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    কী সাফাই দিলেন ডিন?

    মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “আমিও একদিন ছাত্র ছিলাম। তাই তাঁদের বক্তব্যকে অনুধাবন করতে আমার কোনও অসুবিধা হয় না। পরীক্ষা নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছে। আমি পরীক্ষক ছিলাম না। তাই, সেই দায় আমার নয়। তবে, আমাদের আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল।” এরপরেই তাঁর সংযোজন, “আমি দায়ভার নিয়ে নয়, ছাত্রদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    North Bengal Medical: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদের রেশ এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও (North Bengal Medical) দুর্নীতির অভিযোগের বিস্ফোরণ ঘটল। অভিযোগ খোদ অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা এবং ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে। পরীক্ষায় কারচুপি, ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকিতে মদত দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি অবৈধভাবে তৃণমূলের নামে ছাত্র সংসদ পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এ নিয়ে বুধবার তাঁরা কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন।

     অধ্যক্ষকে ঘেরাও কেন? (North Bengal Medical)

    রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন ও জুনিয়র ডাক্তাররা এদিন তৃণমূলের ছ’জন ছাত্রনেতার নামে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া, হস্টেলে ঘর বণ্টন নিয়ে দাদাগিরি, অনৈতিকভাবে টাকা তোলার অভিযোগ করেন। ওই  ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র সংসদ বাতিলের দাবিতে অধ্যক্ষ ও ডিনকে ঘেরাও করেন আন্দোলন রত জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি করকাণ্ডে বিতর্কিত তৃণমূল ছাত্র নেতা অভীক দের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical) প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান তাঁরা। তৃণমূল ছাত্র নেতা সোহম মণ্ডল ও সাহিন সরকারকে অবিলম্বে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল থেকে বরখাস্ত করার জোরালো দাবিও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    কে অভীক দে?

    নির্যাতিতা কাণ্ডে যে সব ভিডিও ভাইরাল হচ্ছিল, সেখানে সেমিনার রুমে এক লাল জামা পরা যুবককে দেখা গিয়েছিল। লালবাজার যাঁকে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলেছিল। যদিও পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম অভীক দে। এসএসকেএমের সার্জারির পিজিটি তিনি। আরও পরে জানা যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে সংগঠনের তরফে সেভাবে মুখ খোলেনি কেউই। অবশেষে সোমবার রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানান, অভীক দে-কে বরখাস্ত করা হল। এই অভিক দে-র বিরুদ্ধেই উঠছিল জোর করে চাপ দিয়ে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ।

     দুর্নীতির অভিযোগের বিস্ফোরণ!

    জুনিয়র ডাক্তারদের (North Bengal Medical) ঘেরাও আন্দোলনের মাঝে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা ও ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তকে দুর্নীতির অভিযোগে চেপে ধরেন অধ্যাপক চিকিৎসকরাও। সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক এসকে রায়ের অভিযোগ, অধ্যক্ষ ও ডিন কীভাবে পরীক্ষায় কারচুপির পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন আমাদেরকে ডেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, নকল না ধরার জন্য। ফেল করা এক ছাত্রীকে পাশ করানোর জন্য সন্দীপ সেনগুপ্ত দিনের পর দিন নানা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। ট্যাবুলেশন শিটে হোয়াইটনার দিয়ে প্রকৃত নম্বর মুছে উত্তরের লবির ছাত্রদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ৫২ নম্বর বাড়়িয়ে ৮০!

    এই অভীকের বিরুদ্ধে শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা নয়, ডিপার্টমেন্টাল হেডরাও সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশেষ একজন ছাত্র নেতার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এইচওডি-রা বলছেন, তাঁরা ৫২-৫৩ নম্বর দিয়েছিলেন। অথচ মার্কশিটে নম্বর লেখা ৮০। এক অধ্যক্ষ বলেন, “নম্বর ধরে ধরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ডাকলে ফাইল দেখাব।” এদিন ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকরা ঘিরে ধরেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও অধ্যক্ষকে। তাঁরা জানতে চান নম্বর বাড়ানোর পিছনে কে যুক্ত। প্রথমে ডিন মানতে না চাইলেও পরে আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে কার্যত মুখ খোলেন তিনি। ডিন অফ স্টুডেন্স বলেন, “কোনও-কোনও সময় অভীক দে-র ফোন আসত। তবে বারবার ফোন এলে আমি বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে যেতাম। অভীক ছাড়া কেউ ফোন করত না। তবে যতক্ষণ হলে ছিলাম, ততক্ষণ কড়া গার্ড দিয়েছি।” পাল্টা আন্দোলনকারীরা বলতে থাকেন নাম বলুন নাম। তখন আবার ডিন বলেন, “আমি অ্যাপোলজি চেয়ে বলছি, কয়েকটা ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল স্যরের কাছেও ফোন আসত। অভীক ছাড়া ফাইনাল ইয়ারে শাহিন সরকার ফোন করেছিল। আর কেউ নেই।” যদিও, প্রিন্সিপাল বলেন, “আমার কাছে কোনও ফোন আসত না।” আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা একটি ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করেন এখানে পরীক্ষা হল থেকে প্রতিটি অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে (North Bengal Medical)  অভীকের অবাধ বিচরণ ছিল। সেই ছবিতে দেখা যায়, অধ্যক্ষের জন্মদিনে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন অভীক। কলেজ ক্যাম্পাসেই সেই অনুষ্ঠান হয়েছিল। এরপর মাধা নিচু করে চুপ করে বসে থাকেন অধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশ, অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল! জল-স্থল সীমান্তে সতর্ক বিএসএফ

    Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশ, অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল! জল-স্থল সীমান্তে সতর্ক বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। চারিদিকে শুধুই হাহাকার আর কান্নার রোল। অন্যদিকে, একদলের উন্মত্ত উল্লাস। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার সীমাহীন। সোনার বাংলা ভূলুণ্ঠিত। শুধু সংখ্যালঘুরাই নয়, আক্রান্ত হচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাও। প্রাণভয়ে অনেকে পালিয়ে আসছেন সীমান্তপারে। বাংলাদেশের এই চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে তাই ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিল বিএসএফ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জলসীমানা অনেকটা। তাই কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে জলসীমায়। বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর ডাঙাতেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কাঁটাতার ঘেরা সীমান্তে রাত-টহলের জন্য নাইট ভিশন ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে জওয়ানের সংখ্যাও।

    সুন্দরবনে জলসীমায় কড়া পাহাড়া

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে হাই অ্যলার্ট জারি করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ও ভারতের জলসীমানায় ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে জলে-স্থলে চলতে পারা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাফ্ট। এদিন বেলায় ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটিতে পৌঁছে গিয়েছে বিশেষ এই হোভারক্রাফ্ট। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা হোভারক্রাফ্টে চেপে বঙ্গোপসাগরে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় টহলদারি শুরু করেছেন। অনেক সময়ে বাংলাদেশ থেকে জলদস্যু বা মৎস্যজীবীরা জলসীমানা পেরিয়ে চলে আসে এ পারে‌। ট্রলারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ আটকাতে এই হোভারক্রাফ্ট অনেকটাই কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি সুন্দরবনের উপকূল এলাকার প্রতিটি থানাই জলপথে পেট্রোলিং চালাচ্ছে। এ দিন সকাল থেকে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার স্পিডবোট এবং এফআইবি বোট নদী এবং সমুদ্রে টহল দিয়েছে।

    গ্রামবাসীদের দল

    সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার একজোট হলেন গ্রামবাসীরাও। গ্রামে গ্রামে টিম করে সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। জেল ভাঙা জামাত জঙ্গিরা যে কোনও সময় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে পারে, এমন প্রচারও চালাচ্ছে বিএসএফ (BSF)। মূলত বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে যাতে কোনও ভাবে অনুপ্রবেশ না ঘটে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতেই, নদিয়া,  জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসএফ। গেদে ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের উদ্যোগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে নদিয়ায় বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েত প্রধান সদস্য-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা। কোনও অপরিচিত মানুষ দেখলে গ্রামবাসীদের কী কর্তব্য সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে সেনা-আধিকারিকরা।

    গ্রামবাসীদের করণীয়

    বুধবার সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামে গিয়ে অনুপ্রবেশ (Bangladesh Crisis) রুখতে গ্রামবাসীদের কী করণীয় তা বুঝিয়ে বলেন বিএসএফ (BSF) আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের তাঁরা বলেন, ‘‘অচেনা কাউকে গ্রামে দেখলে বিএসএফ বা পুলিশকে জানাবেন। রাতে খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। আর বেরোলেও সীমান্তের কাটাতারের দিকে যাবেন না।’’ তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কোনও প্রভাব সীমান্তের এপারে পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না গ্রামগুলির বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও পুলিশের পাহারায় নিরাপদে রয়েছেন তাঁরা।

    উত্তরবঙ্গে সতর্কতা

    উত্তরবঙ্গের ফুলবাড়ি সীমান্তে সরদারপাড়া, ধদাগছ, লক্ষ্মীস্থান, নারায়ণজোতসহ প্রায় ১২টি সীমান্তবর্তী গ্রাম রয়েছে। সেখান থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে বিএসএফ (BSF)। এব্যাপারে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। বুধবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বিএসএফের নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি সুর্যকান্ত শর্মা বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ, অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাতেও গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে যাতে কোনও সন্দেহজনক কাওকে বা অপরিচিত কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বা পুলিশকে জানানো হয়।” দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কোচবিহার পর্যন্ত উত্তরের পাঁচ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৯৩৬ কিলোমিটার নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীনে। সীমান্তে নজরদারির জন্য চারটি সেক্টরে মোট ১৮টি বিএসএফ ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    সীমান্তের কাছেই সেনা

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে ১০৯ কিলোমিটার খোলা সীমান্ত রয়েছে। সেই ফাঁকা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে। বিএসএফের তরফে ফাঁকা সীমান্তে জওয়ানদের নজরদারি দ্বিগুণ করা হয়েছে। চ্যাংরাবান্ধা এবং ফুলবাড়ির মতো সীমান্ত থেকে এক দেড় কিলোমিটার দূরে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি হলে তড়িঘড়ি যাতে সেনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে, সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) অমিত ত্যাগী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে অনেকেই ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসছেন। অনিয়মে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও নামানো হবে। তবে কাঁটাতারহীন কিছু এলাকায় জওয়ানদের তরফেই অস্থায়ী বেড়া দেওয়া রয়েছে।’’

    সতর্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    সোমবার বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চূড়ান্ত নৈরাজ্য শুরু হয়েছে সীমান্তের ওপারে। বিদায়ী শাসকদল আওয়ামি লিগ নেতা ও হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চলছে সীমান্তের ওপারে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সীমান্ত পাহারায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বিএসএফ জওয়ান। তবে তাতেও জল – জঙ্গলে ভরা সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। টহলদারির পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির জন্য ড্রোন ওড়াচ্ছে বিএসএফ (BSF)। অনুপ্রবেশ রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা জওয়ান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: নথি জাল করে রামকৃষ্ণ আশ্রমের ১৪০ কোটির জমি দখল ‘তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ’ জমি মাফিয়াদের

    Siliguri: নথি জাল করে রামকৃষ্ণ আশ্রমের ১৪০ কোটির জমি দখল ‘তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ’ জমি মাফিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের একাংশের মদতেই শিলিগুড়িতে (Siliguri) জমি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেবক হাউজের পর এবার মাটিগাড়ায় রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের জমি হাতানোর অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এক বা দুবিঘা নয়, ৯.৯০ একর জমি, যার বাজার মূল্য ১৪০ কোটি টাকা। বিষয়টি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    জাল নথি করে মিউটেশন! (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) সাহুডাঙ্গি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের সন্ন্যাসীদের মাটিগাড়ায় উপনগরীর কাছে মাল্লাগুড়িতে ৯.৯০ একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে ১০ বিঘা জমি ১৯৭৬ সালে আশ্রমের কেনা। বাকি জমি দানে পেয়েছিল আশ্রম কর্তৃপক্ষ। ওই জমিতে দাতব্য চিকিৎসালয় এবং স্কুল করার কথা ছিল। কিন্তু, এখন জমির সিংহভাগই দখল হয়ে গিয়েছে। দখলদাররা নিজেদের নামে জমির নথি তৈরি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে জমিটির মিউটেশনের জন্য আবেদন করা হলে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। যদিও সম্প্রতি আশ্রমের মহারাজরা জানতে পারেন, এরই মাঝে ওই জমির জাল নথির মাধ্যমে খতিয়ান বদলে অন্য কারও নামে জমির মালিকানা চলে গিয়েছে। জমি জবরদখল করে সেখানে গোডাউন গড়ে উঠেছে। আর এসবই জমি মাফিয়াদের হাতে ধরেই বেদখল হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের (Trinamool Congress) মদতেই এসব হয়েছে বলে এলাকায় চর্চা রয়েছে। সম্প্রতি, শিলিগুড়ি পুরনিগমে রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউজ  ১০০ কোটি টাকার একটি জমি দখলের অভিযোগ ওঠে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। পরে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রাতারাতি জমির মিউটেশনের কাগজ মিশন কর্তৃপক্ষের হাতে গিয়ে তুলে দিয়েছিলেন খোদ মেয়র গৌতম দেব। ফের জমি হাতানোর ঘটনায় চরম বিড়ম্বনা পড়েছে শাসক দল।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    আশ্রমের মহারাজ কী বললেন?

    ওই বিপুল পরিমাণ জমি পুনরুদ্ধারের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র গৌতম দেবকে চিঠি দেয় রামকৃষ্ণ আশ্রম কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পুরনিগম ভবনে রামকৃষ্ণ আশ্রম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র গৌতম দেব। জমি জবরদখল প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণ আশ্রমের সম্পাদক স্বামী বিনয়ানন্দ মহারাজ বলেন, “আমরা আমাদের জমি উদ্ধারের জন্য মেয়রের কাছে আবেদন করেছিলাম। ওই জমি উদ্ধারে সাহায্য করার তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।”

    মেয়র কী সাফাই দিলেন?

    মেয়র গৌতম দেব তাঁর বক্তব্যের মধ্যে বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের আমলে কিছু হয়নি। সবই আগে হয়েছে। তিনি বলেন, “১৯৭৬ সালের জমি। ১৯৯০ সাল থেকে সেখানে স্থায়ী, অস্থায়ী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তৈরি হতে শুরু করে। অনেকটা জমি। তবে, জমির দলিল রামকৃষ্ণ আশ্রমের নামে রয়েছে। তাই তাঁরা নথি তৈরির জন্য আবেদন করছেন। আমরা সেসব কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মমতার নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়িতে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা তৃণমূল নেতার

    Siliguri: মমতার নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়িতে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে উচ্ছেদে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির (Siliguri) তৃণমূল নেতা দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে। তিনি আবার শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্যও। সাধারণত এই ধরনের উচ্ছেদ অভিযানে বিরোধীরাও এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন, সেখানে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার এই ভূমিকা দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    হাজার টাকা ভাতা, রেশন লাগবে না (Siliguri)

    মঙ্গলবার শিলিগুড়ির (Siliguri) চম্পাসারি মোড়ে বাজার উচ্ছেদ অভিযানে যান শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মীরা। তৃণমূল নেতা দিলীপ বর্মন সেই উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন। উচ্ছেদ না করেই ফিরে যান পুরসভার কর্মীরা। ব্যবসায়ীরা সাফ বলেন, মাসে মাসে হাজার টাকা ভাতা, রেশন কিছুই লাগবে না। ডালরুটি খেয়েই আমাদের চলবে। ছেলেমেয়ে মানুষ করা ও সংসার চালাতে দোকান  করার জন্য একটু জায়গা ভিক্ষা চাই। 

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হয়ে উচ্ছেদ আটকে দেন দিলীপ বর্মন। ডাকাবুকো মেজাজে মেয়র গৌতম দেব ও  তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, পুনর্বাসন দিয়েই উচ্ছেদ করতে হবে। তার জন্য আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাস্তায় বসব। এর জন্য দল আমাকে বাদ দিলে, কাউন্সিলর পদ কেড়ে নিলে আমি তা মেনে নেব। কিন্তু, ব্যবসায়ীদের জন্য এই লড়াই থেকে সরব না। আমি এখানে কাউন্সিলর হওয়ার পর ২০২২ সালে চম্পাসারিতে সাড়ে ১১ বিঘা জমি উদ্ধার করে দিয়েছি। সেই জমি আজও পুরসভা নিজের দখলে নেয়নি। একদিকে কেউ সরকারি জমি নিয়ে ব্যবসা করবে, অন্যদিকে উচ্ছেদের নামে গরিব মানুষকে পথে বসাবে, এটা আমি হতে দেব না। পুরসভার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন এর দায় তাকে নিতে হবে।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) চম্পাসারি মোড়ে এই বাজারে ১৩৯ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। কেউ ৩১ কেউ বা ৩৫ বছর ধরে এখানে দোকান করে আসছেন।  এদিন তাঁরা তৃণমূলের পতাকা নিয়েই পুরসভার অভিযানের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।  শ্রীরাম সাহানি,মাম্পি সাহা, দুর্গাদেবীরা বলেন, পুনর্বাসন দিয়েই উচ্ছেদ করতে হবে। আমরা ডাল রুটি খেয়ে থাকতে চাই। দোকান করার মতো একটু জায়গা ভিক্ষা চাই।

     কী বললেন মেয়র?

    দলের মেয়র পরিষদ সদস্য এভাবে পুরসভার উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ায় কিছুটা হলেও চাপে পড়েছেন মেয়র (Trinamool Congress) গৌতম দেব। তিনি বলেন, জোর করে কিছু করব না। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই  উচ্ছেদ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: জমি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা চুটকির কীর্তি জানলে চমকে যাবেন

    Siliguri: জমি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা চুটকির কীর্তি জানলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিকাণ্ডে দেবাশিস প্রামাণিক, গৌতম গোস্বামীর পর শিলিগুড়ির (Siliguri) ফুলবাড়িতে আরও দুই তৃণমূল নেতা ধরা পড়ল। সোমবার রাতে তৃণমূলের ফুলবাড়ির প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ আহিদ ওরফে চুটকি ও তাঁর শাগরেদ আর এক তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসিরকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনকেই দেবাশিস প্রামাণিকের জমি দুর্নীতির মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

    থিতিয়ে পড়া আতঙ্ক জেগে উঠল (Siliguri)

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরপরই তৃণমূলের ডাবগ্রাম -ফুলবাড়ির (Siliguri) প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও সদ্য বহিষ্কৃত নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরপরই একই অভিযোগে সরকারি জমি দখল ও বিক্রির অবৈধ কারবারে তৃণমূলের একই ব্লকের সহ-সভাপতি গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর কিছুদিন গ্রেফতার পর্ব বন্ধ থাকায় তৃণমূলের বিতর্কিত নেতাদের আতঙ্ক থিতিয়ে আসছিল। কিন্তু, সোমবার ফের দুজনকে গ্রেফতার করায় ফুলবাড়ি সহ শিলিগুড়ির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের মধ্যে ফের আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সকলেরই প্রশ্ন, এরপর তাহলে কে? 

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

     চুটকির বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে?

    ফুলবাড়িতে (Siliguri) দেবাশিস প্রামাণিক, গৌতম গোস্বামী এবং নকশালবাড়িতে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গ্রেফতারের পর এই দু’জনকে গ্রেফতার করায় জমিকাণ্ডে মোট পাঁচ জন তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হল। তবে, দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের অন্দরেই  প্রশ্ন উঠেছিল, চুটিকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ফুলবাড়ির সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই প্রশ্ন জোরালো ছিল। কেননা ফুলবাড়িতে সবাই জানতেন, মহানন্দা নদীর পার দখল ও বিক্রি করে মোটা টাকা কামিয়েছে চুটকি। এর পাশাপাশি সরকারি জমি দখল করে নিজের ফ্যাক্টরি তৈরি, সেই সঙ্গে নদীঘাট দখল করে বালি পাথরের অবৈধ কারবারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই প্রশ্ন ওঠেছিল দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হলে এখই অবৈধ কারবারে ফুলে-ফেঁপে ওঠা চুটকিকে কেন গ্রেফতার করা হবে না।

      বহু তৃণমূল নেতা আতঙ্কে!

    অবশেষে চুটকি গ্রেফতার হওয়ায় সেই প্রশ্ন হোক প্রশমিত হলেও তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্বের অন্য একটি অংশের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক নতুন করে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিস প্রামাণিককে ধরে তাকে জেরা করে তার অবৈধ কারবারের সঙ্গে কে কে যুক্ত ছিল, কাদের মধ্যে সেই অবৈধ কারবারে তিনি ফুলে-ফেঁপে উঠেছিলেন  সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতোই তদন্তের প্রয়োজন মতো গ্রেফতার করা হচ্ছে। আর পুলিশের এই পদক্ষেপে তৃণমূলের (Trinamool Congress)  বিতর্কিত বহু নেতাই এখন আতঙ্কে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: “কাজ করতে দিচ্ছেন না জেলাশাসক”, বিধানসভায় অবস্থানে বসার হুমকি বিজেপি বিধায়কের

    Siliguri: “কাজ করতে দিচ্ছেন না জেলাশাসক”, বিধানসভায় অবস্থানে বসার হুমকি বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক হিসেবে এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করতে চান। কিন্তু, পারছেন না। বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করতে বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। তৃণমূল সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিধানসভার অভ্যন্তরে অবস্থানে বসার হুমকি দিলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধায়ক তথা বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ।

    ঠিক কী বললেন বিজেপি বিধায়ক? (Siliguri)

    শনিবার শিলিগুড়ি (Siliguri) জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে করে  বিজেপি বিধায়ক বলেন, নিজের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬০টি প্রকল্প দিয়েছি। তারমধ্যে মাত্র আটটি প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হলেও সেই কাজ নানা টালবাহানা আটকে রেখেছেন জেলাশাসক। বাকি প্রকল্পগুলি ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি কোনও টাকা ছাড়ছেন না। এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করতে দিচ্ছেন না জেলাশাসক। এতে সাধারণ মানুষের কাছে বিধায়ক হিসেবে আমার সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। জেলাশাসক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের খুশি রাখতে চাইছেন। তাই শিলিগুড়িতে আসেন শুধু শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের কর্মসুচিতে যোগ দিতে। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, আমি বিধায়ক হয়েও তার সঙ্গে দেখা করতে পারি না। মনে রাখতে হবে, আজ না হোক কাল সরকার পরিবর্তন হবে। আমরা ক্ষমতায় আসব। তখন কাউকে ছাড়ব না।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

     জমি কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নাটক করছেন

     বিধায়ক (BJP) শঙ্কর ঘোষ বলেন, সরকারি জমি উদ্ধারের নামে গজলডোবা রিসর্ট ভাঙ্গা থেকে শুরু করে ফুলবাড়ির জমি কাণ্ডে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার, পুরোটাই নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা বাগানের (Siliguri) লিজ নেওয়া জমি দখল করে দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের চেয়ারম্যান মেয়ের নামে ফ্ল্যাট বানিয়েছেন। জেলাশাসক থেকে শুরু করে বিধানসভা সর্বত্র অভিযোগ জমা দেওয়ার পরও সেই অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গার ব্যাপারে জেলাশাসক কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না।  আগামী সোমবার  বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। সেখানে আমি স্পিকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এরকম আরও অনেক দুর্নীতি নিয়ে চিঠি দেব। রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে আমি বিধানসভার অভ্যন্তরে অবস্থানে বসব।

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের বিরুদ্ধে সরব

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক আরও বলেন, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকা সহ জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবা অন্যান্য জায়গায় জমি দুর্নীতি নিয়ে আমি জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাঁর দফতরের সামনে আমাকে ৫০ মিনিট বসিয়ে রাখার পর আমার সঙ্গে দেখা না করে বেরিয়ে যান। বলেন, পূর্ব নির্ধারিত অন্য কর্মসূচি রয়েছে, সেখানে তাঁকে যেতে হবে। তা জেনেও  আমাকে তিনি ৫০ মিনিট  বসিয়ে রেখেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যেমন  নাটক করবেন সেভাবেই চলবেন আমলারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share