মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার শিলিগুড়ি (Siliguri)। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলে তিলক কেটে যাওয়ায় এক শিক্ষিকা তাতে আপত্তি করেন। এই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়। এই বিতর্ককে সামনে রেখে বুধবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া ব্লকের মেডিক্যাল মোড় ঠিকনিকাটা জুনিয়র হাইস্কুলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে অভিভাবক ও এলাকার বাসিন্দারা খোল-কর্তাল নিয়ে নাম-সংকীর্তণ করে স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Siliguri)
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকনিকাটা (Siliguri) জুনিয়র হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রত্না বর্মন ও তার পরিবারের সকলে ইসকনের ভক্ত। মঙ্গলবার স্কুলে রত্না কপালে তিলক কেটে স্কুলে গিয়েছিল। রত্না বলে, শিউলি ম্যাম আমাকে স্কুলে তিলক কেটে আসতে মানা করেন। বাড়িতে গিয়ে মা’কে বলি। তারপর বাবা ও পাড়ার সকলে বিষয়টি জানতে পারে। বাবা-মা,পাড়ার সকলে এবং ইসকনের সদস্যরা বুধবার স্কুলে এসে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাই এদিন তিলক কেটে স্কুলে এসেছি। ম্যাম আর কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান
অভিভাবকদের কী বক্তব্য?
এদিন সকালে স্কুল খুলতেই দল বেধে অভিভাবক ও ইসকনের শিষ্যরা জমায়েত হন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা শিউলি পালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। জানতে চান, কেন রত্না বর্মনকে তিলক কেটে আসতে মানা করা হয়েছে। এক অভিভাবক মলয় সরকার বলেন, স্কুলের শিক্ষিকা এভাবে তিলক কেটে আসতে মানা করায় হিন্দুধর্মের আবেগে আঘাত করেছেন। এর প্রতিবাদ জানাতে এদিন আমরা স্কুলে এসে ওই শিক্ষিকার কাছে জানতে চাই, স্কুলের কোন নিয়মে লেখা রয়েছে যে তিলক কেটে কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। শিক্ষিকা এব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি। এতে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শেষে সকলের সামনে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ক্ষমা চাইলেও অভিযোগ মানছেন না শিক্ষিকা
শিক্ষিকা শিউলি পাল বলেন, এদিন অভিভাবকরা স্কুলে জমায়েত হওয়ায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিই। তবে, আমি ওই ছাত্রীকে তিলক কেটে আসতে মানা করিনি। রত্নার বাবা নির্মল বর্মন বলেন, আমার মেয়ে মিথ্যা কথা বলে না। নিজেকে বাঁচাতে শিক্ষিকা এখন এসব কথা বলছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।