Tag: Siliguri

Siliguri

  • Siliguri: তিলক কেটে ছাত্রীকে স্কুলে না আসার ফতোয়া! অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Siliguri: তিলক কেটে ছাত্রীকে স্কুলে না আসার ফতোয়া! অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার শিলিগুড়ি (Siliguri)। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলে তিলক কেটে যাওয়ায় এক শিক্ষিকা তাতে আপত্তি করেন। এই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়। এই বিতর্ককে সামনে রেখে বুধবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া ব্লকের মেডিক্যাল মোড় ঠিকনিকাটা জুনিয়র হাইস্কুলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে অভিভাবক ও এলাকার বাসিন্দারা খোল-কর্তাল নিয়ে নাম-সংকীর্তণ করে স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। 

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Siliguri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকনিকাটা (Siliguri) জুনিয়র হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রত্না বর্মন ও তার পরিবারের সকলে ইসকনের ভক্ত। মঙ্গলবার স্কুলে রত্না কপালে তিলক কেটে স্কুলে গিয়েছিল। রত্না বলে, শিউলি ম্যাম আমাকে স্কুলে তিলক কেটে আসতে মানা করেন। বাড়িতে গিয়ে মা’কে বলি। তারপর বাবা ও পাড়ার সকলে বিষয়টি জানতে পারে। বাবা-মা,পাড়ার সকলে এবং ইসকনের সদস্যরা বুধবার স্কুলে এসে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাই এদিন তিলক কেটে স্কুলে এসেছি। ম্যাম আর কিছু বলেননি। 

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

     অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    এদিন সকালে স্কুল খুলতেই দল বেধে অভিভাবক ও ইসকনের শিষ্যরা জমায়েত হন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা শিউলি পালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। জানতে চান, কেন রত্না বর্মনকে তিলক কেটে আসতে মানা করা হয়েছে। এক অভিভাবক মলয় সরকার বলেন, স্কুলের শিক্ষিকা  এভাবে তিলক কেটে আসতে মানা করায় হিন্দুধর্মের আবেগে আঘাত করেছেন। এর প্রতিবাদ জানাতে এদিন আমরা স্কুলে এসে ওই শিক্ষিকার কাছে জানতে চাই, স্কুলের কোন নিয়মে লেখা রয়েছে যে তিলক কেটে কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। শিক্ষিকা এব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি। এতে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শেষে সকলের সামনে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

     ক্ষমা চাইলেও অভিযোগ মানছেন না শিক্ষিকা

    শিক্ষিকা শিউলি পাল বলেন, এদিন অভিভাবকরা স্কুলে জমায়েত হওয়ায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিই। তবে, আমি ওই ছাত্রীকে তিলক কেটে আসতে মানা করিনি। রত্নার বাবা নির্মল বর্মন বলেন, আমার মেয়ে মিথ্যা কথা বলে না। নিজেকে বাঁচাতে শিক্ষিকা এখন এসব কথা বলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বাবা-মার সঙ্গে আর বাড়ি ফেরা হল না, ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৬ বছরের স্নেহার প্রাণ

    Train Accident: বাবা-মার সঙ্গে আর বাড়ি ফেরা হল না, ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৬ বছরের স্নেহার প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামাবাড়িতে কাটানো সেই আনন্দের গল্প আর বন্ধুদের বলা হল না ছোট্ট স্নেহার। সোমবার সকালে বাবা-মায়ের হাত ধরে আনন্দে গদগদ হয়ে বাড়ি ফিরছিল স্নেহা। অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Train Accident) সে চেপেছিল সে। তারপর সব শেষ। মালদার ছ’বছরের স্নেহা মণ্ডলের নিথর দেহ এখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে শুয়ে রয়েছে।

    স্নেহার বাবা-মা ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে (Train Accident)

    সোমবার রাঙাপানি এলাকায় মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী ছিল স্নেহা। বাবা- মা’র সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সে। কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মামাবাড়ি এসেছিল। সোমবার বাড়ি ফিরছিল। ট্রেন দুর্ঘটনায় স্নেহার বাবা মণিলাল মণ্ডল ও ছবি মণ্ডলও জখম হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্নেহা সঙ্কটজনক অবস্থায় পিকু ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশনে ছিল। পাশাপাশি সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মোট ৩৭ জন ভর্তি হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। আর আশঙ্কাজনক ছিল ছ’বছরের ওই স্নেহা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ছিল তার। সোমবার থেকে তার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলছিল শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তবে, শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক সন্দীপ সেন বলেন, “পায়ে আঘাত থাকার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কালকে থেকেই মেডিক্যাল টিম অস্ত্রোপচার করে বাচ্চাটির রক্তক্ষরণ বন্ধের চেষ্টা করে। পিকুতে ভর্তি ছিল। আজ সকালে তাকে হারিয়েছি আমরা।”

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মেয়েকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন বাবা

    এদিন সকালে মৃত্যুর খবর শোনার পর চোখের জল মুছে চলেছেন বাবা মণিলাল মণ্ডল। সামনে কেউ গেলে বলছেন, আমরা এখন কাকে নিয়ে বাঁচব? কারও কাছে এর উত্তর নেই। তিনি বলেন, শিলিগুড়ির মাটিগাড়া আমার শ্বশুরবাড়ি। ক’টাদিন সেখানে স্নেহা কত আনন্দই না করেছে। সোমবার বাড়ি ফিরছিলাম। আর ওকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব না।

     হাসপাতালে পরিজনদের ভিড়়

    এদিকে এদিন সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জখম যাত্রীর পরিজনরা একে একে আসতে শুরু করেন। কেউ প্রিয়জনকে জখম অবস্থায় বেডে শুয়ে থাকতে দেখে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। কেউ বা মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য মর্গের সামনে অপেক্ষা করছেন। তাদের চোখে জল নেই। নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন। সকলেরই প্রশ্ন, কীভাবে এই সর্বনাশ হল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjunga Accident: দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে লোকো পাইলট অনিলের জীবন, জানেনই না সহকর্মী মনু

    Kanchanjunga Accident: দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে লোকো পাইলট অনিলের জীবন, জানেনই না সহকর্মী মনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে একইসঙ্গে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উঠেছিলেন লোকো পাইলট অনিল কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারি লোকো পাইলট মনু কুমার। অভিশপ্ত মালগাড়িটি শিলিগুড়ির রাঙাপানি এলাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে। আর তাতেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Kanchanjunga Accident) অনিল কুমারের মৃত্যু হয়। আর গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মনু কুমার।

    সহকর্মীর মৃত্যুর খবর কানে পৌঁছয়নি (Kanchanjunga Accident)

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে বড় কিছু ঘটেছে তা বুঝতে পেরেছিলেন মনু কুমার। তবে, তাঁর চোট গুরুতর হওয়ায় দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Accident) বিষয়ে তাঁকে কেউ খুব বেশি কিছু বলছেন না। তাই, তাঁর সহকর্মীর মৃত্যুর খবর কানে পৌঁছয়নি। কিন্তু, আন্দাজ করেছিলেন। বড় কিছু তো ঘটেইছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তখনও নিজের সহকর্মীর খোঁজ নিচ্ছিলেন মনু। আশঙ্কা করছিলেন কী হয়েছে ঠিক! তবে সেটা বুঝতে পারছিলেন না তিনি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে চোখ বন্ধ করে কিছু একটি চিন্তা করছেন। তবে, তিনি খুব বেশি কথা বলছেন না।

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়ে নিয়েছে লোকো পাইলট অনিলের জীবন

    জানা গিয়েছে, একসঙ্গেই যাত্রা শুরু করেছেন মালগাড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট মনু কুমার এবং লোকো পাইলট অনিলবাবু। অনেকখানি পথ গিয়েছিলেন একসঙ্গে। কিন্তু, বাধ সাধল দুর্ঘটনা (Train Accident)। গুরুতর আহত অবস্থায় মনু শুয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের বেডে। আর অনিলবাবু নেই। দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাঁর প্রাণ। বেডে শুয়ে মনু কুমার বলেন,”‘ড্রাইভার সাহাব ক্যাসে হ্যায়”। অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এল, “এখনও ওঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।” এই উত্তর শুনে বাকিটা বুঝতে অসুবিধা হল না হল তাঁর। চোখ বুঝলেন। আর কোনও প্রশ্ন করলেন না। হয়ত তিনি বুঝেই গিয়েছেন, তাঁর সহকর্মী আর নেই। তাই, আর কিছু বললেন না। মনু শুধু বললেন, “আমি কিচ্ছু জানি না। মোবাইল নম্বর মনে নেই। আমার কিছু মনে পড়ছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: মেয়ের জন্মদিনে বালিগঞ্জের বাড়িতে আর ফেরা হল না, শুভজিতের নিথর দেহ শিলিগুড়ির মর্গে

    Train Accident: মেয়ের জন্মদিনে বালিগঞ্জের বাড়িতে আর ফেরা হল না, শুভজিতের নিথর দেহ শিলিগুড়ির মর্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের জন্মদিন পালনের জন্য বাড়িতে আনন্দ উৎসবের তোড়জোড় চলছিল। মেয়ের কথা মেনে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁচ্ছাতে অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চড়ে বসেছিলেন কলকাতার বালিগঞ্জের শুভজিৎ মালি। আর মেয়ের আবদার রাখতে পারলেন না শুভজিৎ। শিলিগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় ছিলেন। পরে, মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।

    মেয়ের জন্মদিনে আর ফেরা হল না, শুভজিতের নিথর দেহ শিলিগুড়ির মর্গে (Train Accident)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভজিতবাবু একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কাজের সূত্রে প্রায়শই ভিন রাজ্যে যেতে হয় তাঁকে। সম্প্রতি গিয়েছিলেন নাগাল্যান্ডে। গিয়েছিলেন চার চাকার গাড়ি চালিয়ে। সেখানে গাড়ি সাপ্লাই দিয়ে ফিরছিলেন কলকাতায়। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছেন। গাড়ি নিয়ে ভিন রাজ্যে যান, সাপ্লাই দিয়ে আবার ফিরে আসেন। কিন্তু, এবার মেয়ের আবদার মেটাতে দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে চেপেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কারণ, বাড়িতে ১১ বছরের মেয়ে রয়েছে তাঁর। সোমবারই ছিল মেয়ের জন্মদিন। ছোট্ট মেয়েটা আবদার করেছিল, বাবা বাড়ি এলে তবেই কেক কাটবে। সেই টানেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য উঠেছিলেন অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। কিন্তু, আর মেয়ের সঙ্গে দেখা হল না। মেয়ের জন্মদিনও উদযাপন করা হল না। নিউ জলপাইগুড়ি ছেড়ে আসার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Train Accident) কাড়ল কলকাতার শুভজিৎ মালির প্রাণ। তাঁর নিথর দেহ শিলিগুড়িতে (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পড়ে রয়েছে। বালিগঞ্জের জামির লেনের বাড়িতে এখন শুধুই কান্নার রোল আর স্বজন হারানোর যন্ত্রণা।

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মেয়ের জন্মদিনে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছিল

    স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি বলেন, “রবিবার রাতেও ফোন ওর সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। মেয়ের জন্মদিন নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জন্মদিনে বাবা আসছে শুনে মেয়েও খুব খুশি ছিল। বাড়িতে ফিরে ঘুরতে যাওয়ার কথাও বলেছিল। তবে, সোমবার সকালে ও ট্রেনে ওঠার পর ফোন করেনি। আমার সঙ্গে আর কথা হয়নি। এরপরই ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর পাই। ফলে, সারাক্ষণ টিভির পর্দায় নজর ছিল। অবশেষে সব শেষ।” এরপর কান্নায় চোখ বুজে এল তাঁর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Accident: শতাব্দী এক্সপ্রেসের কল বুক ফিরিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ডিউটি নেওয়া কাল! মৃত্যু হল গার্ডের

    Rail Accident: শতাব্দী এক্সপ্রেসের কল বুক ফিরিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ডিউটি নেওয়া কাল! মৃত্যু হল গার্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী আশিস দে-র মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁর স্ত্রী গীতিকা দে। রবিবার রাতেও স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে ফুচকা খেয়েছেন। বাড়িতে এসে দুজনে গান করেছেন। সোমবার সকালেই ডিউটি যাওয়ার সময় দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছিলেন গীতিকাদেবী। স্বামী চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ। শিলিগুড়ির কাছে রাঙাপানি এলাকায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Rail Accident) কেড়ে নিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডের জীবন।

    শতাব্দী এক্সপ্রেসের কল বুক ফিরিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ডিউটি নেওয়া কাল! (Rail Accident)

     অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড ছিলেন আশিস দে। সোমবার রাঙাপানি এবং নিজ বাড়ির মাঝে ট্রেন দুর্ঘটনাটি (Rail Accident) ঘটে। শিলিগুড়ি পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বলাকা মোড়ে থাকতেন আশিসবাবু। খবরে পেয়ে  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাগলের মতো ছুটে আসেন তাঁর স্ত্রী গীতিকাদেবী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে। তাঁদেরকে কেউ সামলাতে পারছিলেন না। গীতিকাদেবী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “এদিন সকালে শতাব্দী এক্সপ্রেস নিয়ে যাওয়ার কল বুক এসেছিল। ওই ডিউটি নিলে আর কিছু হত না। সেই ডিউটি ফিরিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ডিউটি নেয়। পরে, ফোনে আমাকে এসব ও জানিয়েছিল। কে ভেবেছিল এই সিদ্ধান্তে আমার সংসার, স্বপ্ন সবকিছুই তছনছ হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    দুজনে একসঙ্গে গানও করেছিলেন

    গীতিকাদেবী আরও বলেন, “রবিবার আমরা ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে কত গল্প করলাম। রাতে বাড়ি ফিরে ডিমের ওমলেট বানাই। ও কোনওদিন রান্না করত না। ভালো গান গাইত। গান বলতে পাগল ছিল। অনেকদিন পর আমরা দুজনে বসে রবিবার রাতে অনেক্ষণ গান করি। বাড়িতে একটা সুন্দর আনন্দের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেই আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়ে যাবে ভাবতেও পরিনি। আশিস সকালে ডিউটি যাবে। সেই মতো উঠে সব কিছু ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। ডিউটিতে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা বাদে সেই মানুষটা আর নেই, তা ভাবতেই পারছি না।” এরপর তিনি ফের কান্নায় ভাসালেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Accident: ছুটি কাটিয়ে আর কাজে ফেরা হল না, ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় কেড়ে নিল আবগারি ওসি-র প্রাণ

    Rail Accident: ছুটি কাটিয়ে আর কাজে ফেরা হল না, ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় কেড়ে নিল আবগারি ওসি-র প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে ফের কাজের জায়গায় ফিরছিলেন মালদার মানিকচক সার্কেলের আবগারি দফতরের ওসি সালেব সুব্বা। সোমবার সকালেও তিনি বুঝতে পারেননি অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চাপা তাঁর কাল হবে। বাড়ি থেকে আর চাকরির জায়গায় ফেরা হল না তাঁর। শিলিগুড়ির রাঙাপানিতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় (Rail Accident) কেড়ে নিয়েছে তাঁর প্রাণ। রেল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই আবগারি আধিকারিকের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিবারের লোকজনকেও জানানো হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁচ্ছেছেন।

    নিহত সরকারি আধিকারিকের বাড়ি গরুবাথানে (Rail Accident)  

    জানা গিয়েছে, আবগারি আধিকারিক সালেব সুব্বার বাড়ি কালিম্পঙের গরুবাথানে। এদিন অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন তিনি। ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় (Rail Accident) মৃত্যু হয়েছে তাঁর। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে তাঁর রক্তাক্ত দেহ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সালেব মানিকচকে কর্মরত ছিলেন। তবে, সঠিক কতদিন আগে ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে ছিলেন তা স্পষ্ট করে কোনও কিছু জানা যায়নি। তবে, এদিন ট্রেনে কর্মস্থলেই ফিরছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলাশাসকও। সোমবারই তাঁর কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকালে ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দুর্ঘটনার আগে শেষবার কথা হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। কিন্তু, আর তাঁর কাজে যাওয়া হল না। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে এসে তখনও পৌঁছতে পারেননি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    মৃত্যু হয়েছে মালগাড়ির লোকো পাইলটের

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮ জনের দেহ রয়েছে। দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। পিটিআই সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা ১৫। আহত হয়েছেন বহু। সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের অদূরে রাঙাপানি এলাকায় শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে এসে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। প্রাথমিকভাবে সিগন্যালের গন্ডগোলের জন্যই এই ট্রেন দুর্ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। যদিও কারণ এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, মালগাড়ির লোকো পাইলট সহকারি লোকো পাইলটের। মৃত্যু হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ডেরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Accident: দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর, অশ্বিনীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জখম যাত্রীরা

    Rail Accident: দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর, অশ্বিনীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জখম যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির রাঙাপানি এলাকায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Rail Accident) জখম যাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার বিকেল নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে তিনি সোজা রাঙাপানির দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে রেলমন্ত্রী  হাসপাতালে ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম যাত্রীদের দেখতে যান।

     রেলমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে জখম যাত্রীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন (Rail Accident)

    এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রী উদ্ধারকার্যের তদারকি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেল আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। জখম রোগীরা কোথায় রয়েছেন তা তিনি জানতে চান। পরে, রেলমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম যাত্রীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। বিশেষ করে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন জখম যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী। তাঁকে কাছে পেয়ে জখম যাত্রীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের পাশে থাকা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী। জখম যাত্রীদের হাতে ফল তুলে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

     কী বললেন রেলমন্ত্রী?

    রেলমন্ত্রী বলেন, “আমরা এখন জোর দিয়েছি উদ্ধারকার্যে। এখনও সেই কাজ চলছে। এপর্যন্ত মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে জখমদের চিকিৎসা চলছে। দুর্ঘটনার পর পর স্থানীয় মানুষ, স্থানীয় জেলা প্রশাসন, এনডিআরএফ এবং রেল কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। তাই, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। এখন সবার আগে উদ্ধারকাজের ওপর নজর দেওয়া দরকার। যাত্রী নিরাপত্তার দিকে সম্পূর্ণ ফোকাস রয়েছে।” সিগনালিং ব্যর্থতার কারণেই কি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা? যদিও এই নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির রিপোর্ট এলেই এই বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখে, এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে কখনও পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।” প্রসঙ্গত, কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে এসে ধাক্কা মেরেছে মালগাড়ি। ট্রেনের একাধিক কামরা প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Accident: “নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরলাম”, বললেন রেল দুর্ঘটনায় জখম যাত্রী বিশ্বনাথ

    Rail Accident: “নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরলাম”, বললেন রেল দুর্ঘটনায় জখম যাত্রী বিশ্বনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলাম। বেঁচে আছি বিশ্বাসই হচ্ছে না। নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখছি সত্যিই বেঁচে আছি তো। হাসপাতালের বেডে শুয়ে একথায় বললেন শিলিগুড়ির রাঙাপানিতে রেল দুর্ঘটনায় (Rail Accident) জখম যাত্রী বিশ্বনাথ শর্মা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁর বাড়ি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।  

    ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল আস্ত কামরা (Rail Accident)

    সোমবার এনজেপির কাছে রাঙাপানি ও নিজবাড়ি স্টেশনের মাঝে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। রেল দুর্ঘটনায় (Rail Accident) বহু যাত্রী জখম হন। সর্বশেষ পাওয়া খবরে, আটজন জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সেই অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন বিশ্বনাথ শর্মা। তিনি বলেন, “আমি ট্রেনের পিছনের দিক থেকে দুনম্বর কোচে ছিলাম। ঘুম থেকে ভোরবেলায় উঠেছি। অসম থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। এনজেপি স্টেশন ছাড়ার পর চা-বিস্কুট খেয়ে বসেছিলাম। হঠাৎ একটা ধাক্কায় ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল আমার বগি। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি ট্রেনের বগির দুধারে দেওয়াল, সিট আমাকে দুদিক দিয়ে চেপে ধরছে। ওপরে তাকাতেই দেখি বগির সিলিং তিন ভাগ হয়ে ত্রিশূলের মতো আকৃতি নিয়ে আমার বুকের ওপর নেমে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে দুই হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করি। সেই চেষ্টায় একটা রড ধরতে পারি। সেই রড ধরেই এক ঝটকা মেরে পাশ কাটিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলাম। কোনওরকমে বাইরে ছিটকে পড়লাম। তারপর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরতেই দেখি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি।  যেভাবে সিলিং ভেঙে তিনটি ফলা ত্রিশূলের মতো হয়ে নেমে আসছিল,আমি যদি না ধরতাম তাহলে তার একটি আমার বুকে ঢুকে যেত। ঢুকলেই আমার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল।”

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

      জানি না কোন শক্তি দিয়ে, ভেঙে পড়া কোচের সিলিং আটকাতে পারলাম! 

    জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ শর্মা পেশায় পাচক। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় রান্নার কাজ করেন। গুয়াহাটি থেকে অসম, ডিব্রুগড় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রান্নার কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বলেন, “এখন হাতে কোনও কাজ ছিল না। তাই বাড়ি ফিরছিলাম। এদিন রাতে শিয়ালদা স্টেশনে নেমে লোকাল ট্রেন ধরে কৃষ্ণনগরে বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। বাড়িতে সকলে অপেক্ষা করছে, আমি কতক্ষণে বাড়ি যাব। জানি না এখন বাড়ির লোক খবর পেয়েছে কিনা। ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ, আমার ও আমার পরিবারের কথা ভেবে আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আমি এখনও ভেবে উঠতে পারছি না, কোন শক্তি দিয়ে, দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়া কোচের সিলিং আটকাতে পারলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Accident: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    Rail Accident: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে এনজেপির কাছে রাঙাপানি  রেল স্টেশন এলাকায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের কামরায় পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি সজোরে এসে ধাক্কা মারে। যার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বেসরকারি সূত্রে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০ জন। তবে রেল সূত্রে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আট। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির চালক মৃত।বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি (Rail Accident) ঘটে এনজেপি থেকে রাঙাপানির কাছে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে। ঘটনাস্থলে রেলের পদস্থ কর্তারা ইতিমধ্যে পৌঁচ্ছে গিয়েছেন। যে লাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগের প্রধান লাইন সেটাই। ফলে, আপাতত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

    কী ভাবে এই দুর্ঘটনা? (Rail Accident)

    সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সকাল ন’টার কিছু পরে রাঙাপানি স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বেরিয়ে যাওয়ার সময় পিছন থেকে একটি মাল গাড়ি এসে ধাক্কা মারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।  কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এর দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। মালগাড়ির লোকো পাইলট ভিতরে আটকে পিষ্টঅবস্থায় আটকে রয়েছে। রেল সূত্রে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় মানুষরা উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এসেছেন। রেলের পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা সেই নিয়ে এখনও তাঁরা কিছু  বলা পারছেন না। একই লাইনে দুটি ট্রেন কিভাবে এল এটা নিয়ে সকলেরই প্রশ্ন।

     কী পরিস্থিতি?

    এদিন সকাল  বৃষ্টি থাকায়  উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার জেরে কলকাতা – শিলিগুড়ির  সহ  দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একটি কামরা লাইন থেকে ওপরের দিকে উঠে রয়েছে। তার নীচে ঢুকে রয়েছে মালগাড়ির ইঞ্জিন। বৃষ্টি সেই সঙ্গে লাগোয়ায় জমা জলে পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে ওঠে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন থেকে ছিটকে যাওয়া কামরাদু’টি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। এলাকায় বৃষ্টিও চলছে। অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

    শিয়ালদা স্টেশনে রেলের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম

    রেল দুর্ঘটনার (Rail Accident) পর পরই যাত্রীর পরিবারের লোকজনের সহযোগিতার জন্য রেলের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যাত্রীদের পরিবারের লোকজন শিয়ালদা স্টেশনে ভিড় করা শুরু করেছেন। যাত্রীদের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, দুর্ঘটনায় কতজন মারা গিয়েছেন। জখম কতজন হয়েছেন। তা আমরা জানতি পারিনি। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET Exam 2024: নিট-এ দেশের সেরা বাংলার রূপায়ণ- সক্ষম, দুজনেই এইমসে পড়তে চান

    NEET Exam 2024: নিট-এ দেশের সেরা বাংলার রূপায়ণ- সক্ষম, দুজনেই এইমসে পড়তে চান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যালে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিট-এ (NEET Exam 2024) দেশের সেরাদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের তিনজন। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের রূপায়ণ মণ্ডল এবং শিলিগুড়ির সক্ষম আগরওয়াল। এছাড়া কলকাতার একজন রয়েছেন। তিনজনই ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বর পেয়েছেন। দেশের মধ্যে সেরা হওয়ায় পরিবারে খুশির হাওয়া।

    ভালো সার্জেন হতে চান রূপায়ন (NEET Exam 2024)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপায়ণের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। তিনি মাধ্যমিকে ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পান। তিনি লালবাগ নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশনের ছাত্র। যদিও মাধ্যমিকে ডন বস্কো স্কুল থেকে পড়াশুনা করেছেন। বাবা জ্যোতিকান্ত মণ্ডল পেশায় স্কুল শিক্ষক। তিনি ছোট থেকেই ছেলেকে পড়াতেন। পড়াশুনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে তিনি ভালোবাসেন। মা রুবি বিশ্বাসও পেশায় শিক্ষিকা। তিনি বলেন, পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশিই ‘নিট’-এর (NEET Exam 2024) প্রস্তুতির জন্য একটি কোচিংয়েও যোগ দেয়। সেখানে নিয়মিত মক টেস্ট সে দিত। পড়াশুনার পাশাপাশি এই প্রস্তুতি চালানো বেশ কঠিন ছিল। ছেলের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। ও একজন ভালো সার্জেন হতে চায়।

    সফলতা নিয়ে কী বার্তা দিলেন সক্ষম?

    শিলিগুড়ির সক্ষম আগরওয়ালের পড়াশোনায় প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা হলেও পেশায় এক জন সফল চিকিৎসক হতে চান সক্ষম। ‘নিট’-এ বহরমপুরের রূপায়নের মতো ৭২০ পেয়ে দেশের সেরা হয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি উপনগরীর বাসিন্দা। সক্ষমের বাবা চেতন আগরওয়াল পেশায় চিকিৎসক। অ্যানাস্থেসিস্ট হিসাবে তিনি একটি নার্সিংহোমে কাজ করছেন। সক্ষমের মা মায়া কুমারী গৃহবধূ। বিহারের মধুরপুরায় জন্ম সক্ষমের। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় শিলিগুড়িতে চলে আসা। এখানে দাগাপুরে সিবিএসসি বোর্ডের একটি স্কুলে পড়াশোনা। একাদশ শ্রেণিতে নির্মাণ বিদ্যাজ্যোতি স্কুলে ভর্তি হন সক্ষম। স্কুলে পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশিই ‘নিট’-এর (NEET Exam 2024) প্রস্তুতির জন্য একটি কোচিংয়েও যোগ দেন তিনি। স্কুলের সঙ্গে দুই বছর কোচিংয়ের পড়ার তাল মেলানো কঠিন ছিল। সক্ষমের কথায়, “নতুন চ্যাপ্টার পড়ার সঙ্গে কিন্তু পুরনো পড়াগুলো নিয়মিত ঝালিয়ে নিতে হবে। না হলে ভুলে গেলে পরিশ্রম মাটি হবে। তাই নিয়মানুবর্তিতা খুবই জরুরি।” খুব কঠিন হলে বাড়িতে ছয়-সাত ঘণ্টা পড়ার জন্য রাখতেন সক্ষম।

    দিল্লির এইমস-এ সক্ষম পড়তে চান

    প্রস্তুতির সময় গল্পের বইপড়া বা সিনেমা দেখে সময় নষ্ট করতে রাজি নন সক্ষম। তাই সমাজমাধ্যম থেকেও নিজেকে সংযত করে রাখতেন। পড়ার ফাঁকে কখনও ফুটবল বা ব্যাডমিন্টন বা টেবল টেনিস খেলতে ভালবাসেন তিনি। সক্ষমের সাফল্যে খুশি বাবা চেতন আগরওয়াল। তিনি বলেন, “চিকিৎসক হিসাবে একদিন মানুষের উপকার করবে সেটাই আশা করি।” দিল্লির এমস-এ সক্ষম পড়তে চান। এখন সেই প্রস্তুতি চলছে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share