Tag: Siliguri

Siliguri

  • Mithun Chakraborty: “বিজেপির ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে”, তোপ মিঠুনের, রোড শোয়ে জনজোয়ার

    Mithun Chakraborty: “বিজেপির ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে”, তোপ মিঠুনের, রোড শোয়ে জনজোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) রোড শোয়ে জনজোয়ার। এদিন বেলা ১২ নাগাদ দার্জিলিং লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সমর্থনে শিলিগুড়ির গুরুং বস্তি থেকে চম্পাসারি মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে সামনে থেকে দেখার জন্য এদিন সকাল থেকেই রাস্তার দু’ধারে নানা ভাষা, বর্ণ ও বয়সের মানুষ প্রতীক্ষায় ছিলেন। মিঠুন চক্রবর্তীর কনভয় ঢুকতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন জনতা। আর জনতার এই উন্মাদনা দেখে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, সবখানেই বিজেপির মিটিং, মিছিলে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। আর বিজেপির এই ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

    মমতার গর্দার বলার জবাব দিলেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)

    এদিন শিলিগুড়ির রোড শো থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির সমর্থনে প্রচার শুরু করার পর থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) নিশানা করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে গর্দার বলেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, হ্যাঁ, আমি গর্দার, সর্দার সবই। বিজেপির মিটিং মিছিলের ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যতদিন যাবে  বিজেপির মিটিং মিছিলে ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা আরও খারাপ হবে। তৃণমূলের রাজ্য নেতা কুণাল ঘোষও তাঁকে আক্রমণ করেছেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কুণাল ঘোষ একটা নর্দমা। ওর নাম নেবেন না। ওর নাম নিলে দিন খারাপ যায়।

    আরও পড়ুন: এবছর কি আপনার প্রথম ভোট? তাহলে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে কী কী করণীয়?

    রাজু বিস্তা জিতবে, বললেন মিঠুন

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয় তথা আসন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এদিন রোড শো’র ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, আমি চার জায়গায় প্রচারে গিয়েছি, সবখানে মানুষের কাছ থেকেই পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি। মানুষ বিজেপিকে চাইছে। এদিন শিলিগুড়িতেও যেভাবে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা দেখলাম তাতে আমি নিশ্চিত বিজেপি সব জায়গাতেই জিতবে। আর রাজু বিস্তা গত পাঁচ বছরে এখানে যে কাজ করেছে তাতে দার্জিলিং লোকসভা আসনে যোগ্য প্রার্থী রাজু। এবারও বিপুল ভোটে জিতবে রাজু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    Ram Navami 2024: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট বড় বালাই। অবশেষে রামকে আঁকড়ে ধরল তৃণমূল। বুধবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) বিজেপি প্রভাবিত রামনবমী মহোৎসব কমিটির মিছিলে বিদায়ী সাংসদ তথা দার্জিলিংয়ের বিজেপি প্রার্থী রাজুর বিস্তার সঙ্গে হাঁটলেন দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। রাজু বিস্তা একা নন। সেই মিছিলে ছিলেন শিলিগুড়ি মহকুমার বিজেপির তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন ও দুর্গা মুর্মু। সবাইকে চমকে দিয়ে সেই মিছিলে পা মেলালেন পাপিয়া ঘোষ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় ধসে যাওয়া ভোট ব্যাঙ্ক মেরামতের মরিয়া চেষ্টাতেই এদিন পাপিয়া ঘোষ বিজেপির রাম নবমীর মিছিলে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটল? (Siliguri)

    এদিন সকাল থেকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাম নবমীকে ঘিরে ছিল বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। রামভক্তদের একের পর এক মিছিলে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা শহর। আরএসএস প্রভাবিত রাম নবমী মহোৎসব কমিটির মিছিল তারই একটি। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজু বিস্তা, বিজেপির তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ,  আনন্দময় বর্মন ও দুর্গা মূর্মু। ছিলেন বিজেপির একাধিক নেতা।  শহরের কেন্দ্র স্থল এয়ারভিউ মোড়ে সেই মিছিলেই  পা মেলাতে দেখা গেল দার্জিলিং জেলা( সমতল) তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নির্ণয় রায় সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতাকে। দু’পক্ষকই একে অপরকে উত্তরীয় পরিয়ে, প্রসাদ বিনিময় করেন। বিজেপি বিরোধিতায় এই রামনবমী ও রাম নাম নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম নাম শুনে তাঁকে মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছে।  তাই এদিন রাম নামে সব ছুৎমার্গ ভুলে পাপিয়া ঘোষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে হাঁটায় শহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিস্মিত হন সাধারণ মানুষ। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের কাছে এটা প্রত্যাশিত। তাদের বক্তব্য, রাম নাম ও রাম নবমী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের আচরণে তৃণমূলের ভোটেব্যাঙ্কে বড় ধস নেমেছে। ভোটের মুখে রাম নবমী নিয়ে সেই অবস্থান ধরে রাখলে বিপদ বাড়বে। সেটা বুঝতে পেরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য এদিন পাপিয়া ঘোষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে রাম নবমীর মিছিলে হাঁটেন।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

     কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ এবারেরও বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা পাপিয়া ঘোষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, অবশেষে তৃণমূলের বোধোদয় হয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে রাম নাম ছাড়া সব কিছু অসম্পূর্ণ। ধর্ম নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। এদিন সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছে ভারত দ্রুত রাম রামরাজ্যে পরিনত হতে চলেছে।

     রাম কারও একার নয়, বললেন তৃণমূল নেত্রী

    পাপিয়া ঘোষ বলেন, রাম কারও একার নয়। আমরা হিন্দু, আমরাও রামের ভক্ত। এদিন সকাল থেকে রামের পুজো দিয়েছি। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। তাই রাম নবমীর মিছিলে কে আছে দেখিনি। রামভক্ত হিসেবেই রামনবমীর মিছিলে হেঁটেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: “তৃণমূল সরকার রাজ্যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে”, বিস্ফোরক অনুরাগ ঠাকুর

    Siliguri: “তৃণমূল সরকার রাজ্যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে”, বিস্ফোরক অনুরাগ ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকার রাজ্যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। তাই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এরাজ্য। সোমবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সমর্থনে প্রচারে এসে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কেন্দ্রের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ এবং তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গরিব ও সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না।

     জঙ্গিদের আশ্রয় দেয় তৃণমূল সরকার (Siliguri)

    এদিন শিলিগুড়িতে (Siliguri) নির্বাচনী প্রচারে রাজু বিস্তাকে জেতানোর আহ্বান জানান অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশজুড়ে উন্নয়নের কাজ হয়েছে। তার শরিক হয়ে রাজু বিস্তাও গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করেছেন। মানুষ বুঝেছেন যে নরেন্দ্র মোদি গরিব ও সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করেছেন, আগামী দিনেও করবেন। সেখানে রাজ্যের তৃণমূল সরকার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ঘৃণা, বিরক্তি এসে গিয়েছে। কলকাতা থেকে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে গেলে তৃণমূল সরকার সম্পর্কে শোনা যায় দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারীদের আশ্রয়দাতা। ক্রমে জঙ্গিদেরও আশ্রয়দাতা হয়ে উঠেছে। বেঙ্গালুরু বা দেশের যে কোনও প্রান্তে  নাশকতা ঘটিয়ে জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গে এসে  আশ্রয় নিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন উঠেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জঙ্গিরা কেন পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিচ্ছে? সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকার জঙ্গিদেরও আশ্রয় দেয়। 

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের 

    এরাজ্যের গরিবদের বঞ্চিত করছে তৃণমূল

    তৃণমূল রাজ্যে গরিব মানুষের ক্ষতি করে চলেছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত সহ কৃষকদের বিমা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি এরাজ্যে লাগু করেননি। অথচ ১০০ দিনের কাজের  টাকার জন্য তিনি চিৎকার করে যাচ্ছেন। এরাজ্যের গরিব ও সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছেন, সরাসরি তাদের উপকার লাগে এমন কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি মুখ্যমন্ত্রী এরাজ্যে কেন লাগু হতে দেননি। তাই এবার  রাজু বিস্তা সহ রাজ্যের সব বিজেপি প্রার্থীকে জেতানর জন্য ভোটাররা মনস্থির করে ফেলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    Mamata Banerjee: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে খাতা খুলতে জেলায় জেলায় জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জনজোয়ার দেখাতে ছোট ছোট মাঠে জনসভা করা হচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এনে সেই ছোট মাঠ ভরাচ্ছেন। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু, মাঠ ভরা দেখেও স্বস্তিতে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঠ ভরলেই ভোট জয় নিশ্চিত তা মনে করছেন না তিনি। তাঁর সভায় যারা আসছেন, সবাই যে তৃণমূলকে ভোট দেবেন না তা মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন। শনিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া জাবরকভিটা জুনিয়র হাইস্কুল মাঠে জলপাইগুড়ি আসনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রকাশ্য সভায় নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

     ঠিক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? (Mamata Banerjee)

    এদিন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় একটি ছোট মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্বাচনী জনসভা ছিল। সেখানে বক্তৃতা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে আমি এখানে গৌতম দেবের হয়ে জনসভা করতে এসেছিলাম। বড় মাঠ ভরে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম গৌতম জিতবে। কিন্তু, পরে দেখলাম বড় ব্যবধানে ভোটে গৌতম হেরেছে।” মাঠ ভরলেই যে তৃণমূলে জয় নিশ্চিত নয়, নিজের এই আশঙ্কা এভাবেই এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি উত্তেজিত হয়ে প্রশ্নের সুরে বলেন, “বিজেপি কী দিয়েছে? সবই তো আমি দিয়েছি। কেন আপনারা বিজেপিকে ভোট দেন?”

    আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, দমদমে একী কাণ্ড?

    কী বলছে বিজেপি?

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথা শুনতে আর লোক পছন্দ করছে না। কেননা সকলেই জেনে গিয়েছেন উনি মিথ্যা কথা বলেন। মিথ্যাবাদী ও চোরদের কথা আর মানুষ শুনতে চাইছেন না। সে কারণেই তাঁর জনসভায় সাধারণ মানুষ হয় না। লোক দেখাতে ছোট ছোট মাঠে জনসভা করা হচ্ছে। আইসিডএস কর্মী, আশা কর্মী এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিয়ে সেই ছোট মাঠ ভরিয়ে দেখানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জনজোয়ার। সেটা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। আর সে কারণেই তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন মাঠ ভরলেই তৃণমূল জিতবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: সরকারি হলে দলীয় প্রচার তৃণমূলের, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    Siliguri: সরকারি হলে দলীয় প্রচার তৃণমূলের, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি। শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের লেকচার থিয়েটার হলে তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারী সমিতির সাংগঠনিক সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে দার্জিলিং আসনের তৃণমূল প্রার্থী গোলাম লামার সঙ্গে সকলের পরিচয় করানো হয়। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন নেতারা বক্তব্য রাখেন। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব মূল বক্তা ছিলেন। মেডিক্যাল কলেজের মতো সরাকারি জায়গায় এধরনের অনুষ্ঠানকে নির্বাচন বিধি ভেঙে করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

     রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দলীয় প্রচারে নামার নির্দেশ গৌতমের (Siliguri)

    রাজনৈতিক বক্তব্য রাখার পাশাপাশি বেশকিছু প্রতিশ্রুতির কথা বলেন মেয়র। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাওয়াখালিতে অফিসপাড়া তৈরি করার মতো বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেন গৌতম দেব। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মচারীরা। তাদের উদ্দেশ্যে গৌতম দেব বলেন, আপনারা এখান থেকে গিয়ে পাড়ায়-পাড়ায় ছোট ছোট বৈঠকের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে জেতানোর আবেদনে প্রচার চালাবেন।

    আরও পড়ুন: মোদির সভা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে, আশায় বুক বাঁধছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা

     কি বলছে বিজেপি?

    বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, মালদাতেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে সভা করে তৃণমূল নির্বাচনী প্রচার করল। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী সহ তাদের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এটা নির্বাচন বিধিভঙ্গের মধ্যে পড়ে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে নালিশ জানাবো। পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আমার প্রশ্ন, যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারছে না তৃণমূল সরকার, সেখানে কোন মুখে তাদের নিয়ে ভোট প্রচার করার পাশাপাশি তাদেরকে ভোটের কাজে নামারও আবেদন জানান? তৃণমূল দু’কান কাটা, তাই তাদের মধ্যে কোনও লজ্জা নেই।

    কী বলছে তৃণমূল?

    সরকারি জায়গায় দলীয় প্রচার করে চরম বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে তৃণমূল। তবে, দলীয় নেতারা কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। তবে,এদিন এই সভার শেষে গৌতম দেবকে সাংবাদিকরা নির্বাচন বিধিভঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দোকানে ঢুকে অস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীকে হুমকি তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    Siliguri: দোকানে ঢুকে অস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীকে হুমকি তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে অস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীকে হুঁশিয়ারির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) বাগডোগরার গোঁসাইপুর এলাকায়। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হাতে অস্ত্র নিয়ে হুমকি দিতে দেখে সাধারণ মানুষ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার শিলিগুড়ির (Siliguri) বাগডোগরার গোঁসাইপুরের এক হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর দোকানে যান আপার বাগডোগরার গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কুলপ্রসাদ শর্মা ওরফে উজ্জ্বল শর্মা। জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর দোকান থেকে রড কেনার পর তার গুণগুত মান খারাপ হওয়ায় টাকা ফেরতের দাবি করেন অভিযুক্ত উজ্জ্বল। দোকানে ঢুকে কর্মরত কর্মচারী ও ক্রেতাদের ধাক্কাধাক্কি করার পাশাপাশি জিনিসপত্র ভাঙচুর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে। তাঁর এই কুকর্মে কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দোকানের কর্মচারী সহ ক্রেতারা। এরপরই সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি এই ছবি নিয়ে বাগডোগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। এ দিকে, এই ঘটনার পর উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে দল। উজ্জ্বল শর্মাকে অঞ্চল যুব সভাপতির পদ থেকে এবং সমস্ত দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করেছে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সমতল। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেন, ব্যবসায়ী দোকান থেকে খারাপ সামগ্রী দিয়েছে। তবে তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিলাম। হামলা করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।

    আরও পড়ুন: ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার! বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূলের

    ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ব্যবসায়ী মহল। বাগডোগরা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের বক্তব্য, এভাবে দিনেদুপুরে অস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকলে রাতে কী হবে? তৃণমূল নেতা বলে কী পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। আমরা আর ব্যবসা করতে পারব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: মন্দিরে পুজো দিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা

    Darjeeling: মন্দিরে পুজো দিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে জেতার জন্য নয়। একশো শতাংশ মানুষের মন জয় করার জন্য আমি দুয়ারে দুয়ারে কাছে যাব। দার্জিলিং (Darjeeling) লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার পর মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফিরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে একথা বললেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা।

     মন্দিরে পুজো দিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী (Darjeeling)

    বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই জনজোয়ারে ভাসলেন দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। রাজু বিস্তাকে এদিন দুপুরে স্বাগত জানাতে বাগডোগরা বিমানবন্দর চত্বরে জন সমুদ্রের ঢেউ  আছরে পড়েছিল। শুধু সমতল নয়, পাহাড় থেকেও এসেছিলেন বহু মানুষ। হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে ছেয়ে ছিল বিজেপির পতাকা। ভিড় ঠেলে হুড খোলা জিপে ওঠেন রাজু বিস্তা।  বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শিলিগুড়ি, ১২ কিলোমিটার পথে সাত  জায়গায় বিজেপি প্রার্থীর লম্বা কনভয়কে থামতে হয়। প্রত্যেক জায়গায় মানুষ সকাল থেকেই ফুল ও আবিরে স্বাগত জানানোর জন্য অধীর হয়ে ছিলেন। মানুষের এই ভালোবাসাকে মর্যাদা দিতে রাজু বিস্তা সকলের কাছ থেকে ফুল নেন। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে আসেন শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়িতে  সঙ্কটমোচন মন্দিরে। সেখানে পুজো দিয়ে মানুষের সঙ্গে আবীর খেলায় মেতে ওঠেন কিছুক্ষণ। তারপর যান বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা দফতরে। সেখানেও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রঙ খেলেন। তারপর গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক করে চলে যান মাটিগাড়ায় তাঁর বাড়িতে। একটু বিশ্রামের পর ব্যস্ত হয়ে পড়েন ভোট প্রচার ও রণ কৌশল ঠিক করতে।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে উদয়নের গড়ে ধস নামালেন নিশীথ, বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল নেতা

    মানুষের ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী

    রাস্তার দুপাশে স্বাগত জানাতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন রাজু বিস্তা। সকলেই বিজেপির নেতা-কর্মী নন, বহু সাধারণ মানুষ ছিলেন এই জন সমুদ্রে। রাজু বিস্তা বলেন, মানুষের এই ভালোবাসা বলে দিচ্ছে তাঁরা বিজেপিকে ভালোবাসেন। বিজেপির প্রতি সকলের ভরসা। রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার জন্য মানুষের এই ভালোবাসাকে হাতিয়ার করে আমরা এগোতে চাইছি।  মানুষের এই ভালোবাসা প্রমাণ করে দিচ্ছে তৃণমূলকে আর এরাজ্যের মানুষ চাইছে না। তাই ভোটে জেতার জন্য নয়, প্রতিটি মানুষের মন জয় করার জন্য আমি দুয়ারে দুয়ারে যাব। গত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসেবে এলাকার উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ভোটের মুখে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়ার হুমকি দিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্য়ান

    Siliguri: ভোটের মুখে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়ার হুমকি দিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্য়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য বহিষ্কৃত নেতাকে দলে ফেরানোয় লোকসভা ভোটের আগে শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের প্রথম সভাপতি ও রাজ্যের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রতুল চক্রবর্তী দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। তৃণমূল পরিচালিত শিলিগুড়ি পুর নিগমের চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের মুখে শিলিগুড়িতে ভাঙনের মুখে তৃণমূল।

     কেন এই বিদ্রোহ? (Siliguri)

    গত পুরসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতুল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা যুব সভাপতি বিকাশ সরকার। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই বহিষ্কৃত নেতাকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাজসিক সংবর্ধনা দিয়ে দলে ফিরিয়ে নেওয়ায় তৃণমূলে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। সরাসরি মুখ খুলেছেন প্রতুল চক্রবর্তী। শুধু প্রতুলবাবুই নন, দলের একটি বড় অংশ বিকাশ সরকারকে ফেরানোয় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা তৃণমূল ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। প্রতুলবাবু বলেন, বিকাশ সরকারকে দল বহিষ্কার করার পর থেকে বিকাশ সরকার যেভাবে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দল সম্পর্কে কুৎসা রটিয়েছে, আমাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছেন, আমার সম্পর্কে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছেন। বিজেপি ঘনিষ্ঠও হয়েছিলেন। তারপর তাঁকে দলে ফেরানোটা তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমগ্র তৃণমূলের কাছে অসম্মানজনক। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারব না। বিকাশ সরকারকে আমি ঘৃনা করি। ও ফিরলে আমি সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি দলও ছেড়ে দেব। 

     অভিষেকের নির্দেশে বিকাশ ফের তৃণমূলে!

    বিকাশ সরকারকে দলে ফেরনোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলের জেলা সভানেত্রীও নেননি। তৃণমূলের মমতা পন্থীদের বক্তব্য, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে দলনেত্রীকে অসম্মান করার জন্য বিকাশ সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেই নেতাকে দলে ফেরানো কখনই উচিত কাজ হয়নি। এই বিতর্ক সামাল দিতে দার্জিলিং জেলা( সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, এবার  ময়নাগুড়িতে  এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিকাশ সরকারকে দলে নিতে বলেছেন। তাই তাঁকে দলে ফেরানো হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার মেয়র ও তৃণমূলের রাজ্য নেতা গৌতম দেব বলেন, প্রতুল চক্রবর্তী দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের প্রথম সভাপতি। দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে রয়েছেন। তাঁর হাত আমরা ছাড়তে চাই না। তাঁর ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে, তাই এই ধরনের কথা বলছেন। আমি তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসবো। অভিমানে দল এবং পুরসভার চেয়ারম্যান পদ না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: সিএএ-র প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক দিয়েও পিছিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী!

    Mamata Banerjee: সিএএ-র প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক দিয়েও পিছিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি টাকারও বেশি সরকারি অর্থের কার্যত অপচয় করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! লোকসভা নির্বাচনের আগে শিলিগুড়িতে দলের নেতা-কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে গেলেন দলের সুপ্রিমো। দু’দিনের প্রশাসনিক সফরে মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার পৌঁছে দীনবন্ধু মঞ্চে বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরে ঘোষণা করেন, বুধবার শিলিগুড়িতে সিএএ’র প্রতিবাদে মহামিছিল করবেন। সেই মিছিল শেষে উত্তরবঙ্গের মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যার পাশের মাঠে প্রশাসনিক সভার নামে প্রকাশ্য জনসভা করার কথা ছিল। কিন্তু, হঠাৎ সেই কর্মসূচি বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার উত্তরকন্যার অডিটোরিয়ামে প্রশাসনিক সভার নামে হাতে গোনা কয়েকজনকে জমির পাট্টা ও গরিবদের জন্য তৈরি ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে দুপুরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।

    কোটি টাকা জলে! (Mamata Banerjee)

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ছবি দেওয়া ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড দিয়ে মঞ্চ, মাঠের চারদিক ও গোটা  রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রশাসনিক সভার আয়োজন সফল করার জন্য প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। বুধবার সকালে সেখানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা নেমে আসে। ডেকরেটর কর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্যান্ডেল খুলে ফেলার কাজে। প্রশাসনিক সভার জন্য বিপুল আয়োজন ছিল। মাঠ জুড়ে বিশাল মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি হয়েছিল। এতে সব মিলিয়ে খরচের পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ফ্লেক্স, হোর্ডিং বানাতেই ২০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্যান্ডেল, লাইট ও মাইকের জন্য বিশাল খরচ হয়েছে। প্রশাসনিক সভা ছিল তাই সবটাই সরকারের খরচ। কোটি টাকা জলে চলে যায়।

    আরও পড়ুন: দেড় বছর অপেক্ষা নয়, তার আগেই বিধানসভার ভোট, জনসভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মুষড়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা

    মাঠ ভরানোর জন্য নির্দেশ মতো দলের নেতারা গাড়ি ভাড়া করে দলে দলে লোক আনার ব্যবস্থাও পাকা করে ফেলেছিলেন। হঠাৎ করে সেই কর্মসূচি বাতিল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শিলিগুড়ি সফরের পরপর মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই সভা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে সফল করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লোক এনে মাঠ ভরানোর। গাড়ি ভাড়া করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আনার ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছিল। এভাবে হঠাৎ কোনও কারণ ঘোষণা না করেই সভা বাতিল হওয়ায় সেইসব মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা আমাদের কাছে বড় ধাক্কা। এর পরে মিটিং-মিছিলে লোক আনতে সমস্যায় পড়তে হবে। এভাবেই সরকারি অর্থ বাজে খরচের জন্যও ভোট প্রচারে দলকে কথা শুনতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: এবিভিপি-র শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্মমভাবে লাঠিচার্জ, চ্যাংদোলা করে নিয়ে গেল পুলিশ

    ABVP: এবিভিপি-র শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্মমভাবে লাঠিচার্জ, চ্যাংদোলা করে নিয়ে গেল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শিলিগুড়িতে এবিভিপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠি চালাল পুলিশ। পুলিশের লাঠিতে জখম হলেন অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীর। এদিন এবিভিপি (ABVP) উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই মিছিরকে আটকাতেই  উত্তরকন্যার আগে  তিনবাত্তি মোড়ে নির্মমভাবে লাঠি চালায় পুলিশ।

    কেন উত্তরকন্যা অভিযান? (ABVP)

    রাজ্যের নারী নির্যাতন সহ সন্দেশখালি ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবিতে এদিন উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল এবিভিপি। এই কর্মসূচির তিনদিন আগেই ঘোষণা করেছিল এবিভিপি (ABVP)। রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনার মাঝে সন্দেশখালি ঘটনা উঠে এসেছে। তাতে নবান্নে চরম বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই অভিযান কর্মসূচি ছিল।  তাই কোনও স্মারকলিপি নয়, প্রতিবাদি মিছিল নিয়ে উত্তরকন্যায় পৌঁছে সেই বার্তা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল এবিভিপি।

    জারি করা হয় ১৪৪ ধারা

    উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারে হাজারে ছাত্র-যুব এদিন এবিভিপির (ABVP) এই মিছিলে অংশ নেয়। দিল্লি থেকে আসেন এবিভিপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  যাজ্ঞবাল্ক শুক্লা। এই বিশাল মিছিল দেখে চিন্তায় পড়ে পুলিশ প্রশাসন। যে কোনওভাবে মিছিল আটকাতে তৎপর ছিল পুলিশ। শিলিগুড়ি থেকে উত্তরকন্যা যাওয়ার মূল রাস্তার জায়গায় জায়গায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। জলপাই মোড় থেকে তিনবার মোড় ব্যারিকেড করে রেখেছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। তিনবাত্তি মোড় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।  বেলা দুটোর পর বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল এসে জলপাই মোড়ে  জমায়েত হয়। শুরু হয় উত্তরকন্যা অভিমুখে যাত্রা।

    কীভাবে মিছিল আটকাল পুলিশ?

    নৌকাঘাট অতিক্রম করার মুখেই প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে চলে মিছিল। তিনবাত্তি মোড়ে মিছিল পৌঁছতেই দেখা যায় দলবেঁধে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে মিছিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিনা প্ররোচনাতেই এবিভিপি (ABVP) মিছিলের ওপর পুলিশের নির্মমভাবে লাঠি চালায়। এই আক্রমণে বহু ছাত্র ছাত্রী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে অনেকে দৌঁড়ে পালান। দেখা যায় অলিতে গলিতে চলে যাওয়া এবিভিপি সমর্থকদের পুলিশ টেনে-হিঁচড়ে টেনে আনছে মারতে মারতে। এবিভিপি বহু ছাত্র-যুব সদস্যকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  যাজ্ঞবাল্ক শুক্লা রয়েছেন।  তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দেখা যায় পুলিশ তাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে।

    আরও পড়ুন: প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সায়ন্তিকা

      এবিভিপি-র নেতৃত্ব কী বললেন?

    এবিভিপি-র উত্তরবঙ্গ জোনের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমাদের আন্দোলন সফল। কেননা এবিভিপির মিছিলকে আটকাতে এদিন পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে যেভাবে  বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  যাজ্ঞবাল্ক শুক্লাকে পুলিশ যেভাবে টেনে হিঁচড়ে মেরে গাড়িতে তুলেছে, এতে প্রমাণ হয় সত্যকে চাপা দিতে পুলিশ দিয়ে তৃণমূল সরকার ন্যায় বিচারের দাবিতে এবিভিপি আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে চেয়েছে। পুলিশ যেভাবে লাঠি চালিয়েছে, তাতে প্রমাণ হয়েছে এবিভিপির আন্দোলন সফল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share