Tag: Simi

Simi

  • Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) বিস্তীর্ণ অংশ। এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।

    উসকানিমূলক বক্তব্য (Murshidabad Unrest)

    এর আগে ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী সমাবেশে বেশ কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। তার কিছু ভিডিও এসে পৌঁছায় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাছে। জঙ্গিপুরের পিডব্লুডি মাঠে এই সমাবেশ হয়েছিল। আয়োজক ছিল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। তাকে সমর্থন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

    এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে মুর্শিদাবাদের হিংসায় এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এসডিপিআইয়ের সদস্যরা গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফের নামে এলাকার মুসলিম যুবকদের উসকানি দিচ্ছিল। এসডিপিআইয়ের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবক ও কিশোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোরদের বলা হয় যে, সরকার ওয়াকফের নামে মুসলমানদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। শনিবার মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদের। বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পরিবারেরও দাবি, মুর্শিদাবাদে উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে এসডিপিআই।

    পিএফআইয়ের প্রভাব!

    পুলিশের মতে, এক সময় পশ্চিমবাংলায় সিমির ঘাঁটি ছিল এই মুর্শিদাবাদই। সিমির যোগ ছিল জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে। সিমির লোকজন অবশ্য পরে কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেয়। তার পর বদলে যায় মুর্শিদাবাদের ছবি। বস্তুত, পিএফআইয়ের ঘাঁটিতে পরণিত হয় মুর্শিদাবাদ। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউএপিএর অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, এই সিমি ও পিএফআইয়ের এই লোকজনও এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদে এসডিপিআই বেশ শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে দুস্কৃতীরা প্রাথমিকভাবে সহায়তা পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) ও অন্যান্য সংবেদনশীল জেলার কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সম্ভাব্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে অন্যান্য সংবেদনশীল জেলাগুলোয়ও কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন। তার পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদে বিএসএফের প্রায় ন’কোম্পানি, অর্থাৎ কমপক্ষে ৯০০ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। এই ন’টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০ বিএসএফ সদস্য স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরে অতিরিক্ত কোম্পানিগুলিও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি আগেই জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডিজিপি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে মোতায়েন থাকা বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উত্তেজনা অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভের জেরে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Murshidabad Unrest)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্কতামূলকভাবে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সহায়তায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি, পরে যাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘাসফুল নেতৃত্ব।

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থতা, রেলওয়ে সম্পত্তিতে হামলা এবং হিংসার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে (Murshidabad Unrest)।

  • Success Story: ডেন্টিস্ট থেকে এক চান্সেই আইপিএস, সিমির গল্প হার মানায় রূপকথাকেও

    Success Story: ডেন্টিস্ট থেকে এক চান্সেই আইপিএস, সিমির গল্প হার মানায় রূপকথাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন পেশায় দন্ত চিকিৎসক। তবে বরাবর প্রশাসনিক কাজকর্মই ছিল তাঁর পছন্দের তালিকার ওপরের দিকেই (Success Story)। সেই স্বপ্ন পূরণ করেই এবার খবরের শিরোনামে নভজ্যোত সিমি (Navjot Simi)। প্রথমবারের চেষ্টায় ইউপিএসসির মতো কঠিন একটি পরীক্ষার চৌকাঠ পার হয়েছেন তিনি। তাঁর সাফল্যের কাহিনি ছড়িয়েছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সৌন্দর্য এবং নিষ্ঠার তারিফ করছেন আসমুদ্র হিমাচলবাসী।

    সিমির পাখির চোখ (Success Story)

    পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে ১৯৮৭ সালের ২১ ডিসেম্বরে জন্ম সিমির। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর। স্কুলের পাঠ শেষে লুধিয়ানার একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে ডেন্টিস্ট হন সিমি। চেম্বার খুলে শুরু করে দেন দন্তচিকিৎসাও। তবে তাঁর পাখির চোখ ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় লক্ষ্যভেদ করা। এজন্য দিল্লির একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন তিনি। সাহায্য নেন ইন্টারনেটেরও।

    ইউপিএসসি ক্র্যাক মেধাবিনীর

    রোগীদের দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি প্রস্তুতি শুরু করে দেন ইউপিএসসি পরীক্ষারও। দিনরাত এক করে পড়াশোনা করেন সিমি (Success Story)। প্রথমবারের চেষ্টায়ই লক্ষ্যভেদ করতে সমর্থ হন এই রূপসী। ইউপিএসসি পরীক্ষায় তাঁর স্থান হয় ৭৩৫। বিহার ক্যাডারের আইপিএস হিসেবে শুরু করেন কর্মজীবন। বর্তমানে বিহারের মহিলা ও দুর্বল শ্রেণির জন্য যে বিশেষ পুলিশবাহিনী রয়েছে, তার সুপার পদে রয়েছেন এই মেধাবিনী।

    পাঞ্জাবেরই তুষার সিঙ্গলার সঙ্গে বিয়ে হয় সিমির। তুষার আইএএস অফিসার। ২০১৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় তাঁর স্থান হয়েছিল সাফল্যে তালিকার ৮৬ নম্বরে। শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও চুটিয়ে সংসার করে চলেছেন তুষার-সিমি (Navjot Simi)। ইতিমধ্যেই মা-ও হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সিমি। পছন্দ করেন ঘুরে বেড়াতে। স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেন প্রায়ই।

    প্রথমবারের চেষ্টায় কীভাবে করলেন লক্ষ্যভেদ? ইউপিএসসির মতো একটি কঠিন পরীক্ষার চৌকাঠ কীভাবে টপকালেন প্রথমবারেই? পাঞ্জাবী এই তন্বী বলেন, “ব্যয়বহুল কোচিং সেন্টারের সাহায্য ছাড়াও ডিঙোনো যায় এই পরীক্ষার চৌকাঠ। আমার বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, পড়াশোনার প্রতি নিষ্ঠা, লক্ষ্য পূরণে গভীর মনোযোগ এবং অবশ্যই পরীক্ষাটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা এনে দেবে সাফল্য।”

    হাসি ঝরে পড়ে সিমির মুখে। যে হাসিতে মিশে রয়েছে গর্ব, নিষ্ঠা এবং অবশ্যই প্রত্যয় (Success Story)।

     

     

     

  • Simi Terrorist: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    Simi Terrorist: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ বছর ধরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। তবুও ধরা যাচ্ছিল না নিষিদ্ধ সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা সিমির সদস্য হানিফ শেখকে। অবশেষে রবিবার দিল্লি পুলিশের সাউদার্ন রেঞ্জ স্পেশ্যাল সেল  গ্রেফতার করল ওই জঙ্গি নেতাকে। ২০০১ সাল থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দেশদ্রোহী মামলা। ইসলামিক মুভমেন্ট নামের এক উর্দু ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিল হানিফ। প্রচুর মুসলিম যুবককে জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

    কে এই হানিফ শেখ

    স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া-র (সিমি) বিভিন্ন কার্যকলাপ সামলাতেন হানিফ শেখ। ২০০১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’-এর অভিযোগও আনা হয়। হানিফের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে মামলা দায়ের হয়।  তার পর থেকেই ‘পলাতক’ ছিলেন তিনি। হানিফ শেখ ১৯৯৭ সালে মারুল জলগাঁওতে কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন। সে বছরই তিনি সিমি-তে যোগ দেন। জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসাবে কাজ শুরু করেন। তাঁর উৎসাহ দেখে তৎকালীন সিমি প্রধান সহিদ বদর ২০০১ সালে ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’-এর উর্দু সংস্করণের হানিফকে সম্পাদক করে দেন। সেখানে হানিফের একাধিক লেখা ‘যুব সমাজ’-এ প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ ওঠে। 

    আরও পড়ুন: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    কীভাবে গ্রেফতার হানিফ

    শুরুতে হানিফের বিষয়ে তেমন তথ্যই ছিল না পুলিশের কাছে। সিমির ম্যাগাজিন ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’ এ লেখা সম্পাদকীয় কলমে ‘হানিফ হুদাই’নামই ছিল পুলিশের কাছে একমাত্র লিঙ্ক। এই সূত্র  ধরেই দেশেরে নানা প্রান্তে অভিযান চালায় পুলিশ। গত ৪ বছর ধরে হানিফকে ধাওয়া করছে পুলিশ। তবে বারবারই সে ছিল অধরা। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হানিফ সম্পর্কে তথ্য একত্রিত করতে থাকে পুলিশ। সিমির এই সদস্য কোথায় ডেরা তৈরি করতে পারে, তার সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করে দিল্লি পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ জানতে পারে, মহম্মদ হানিফ নাম নিয়ে মহারাষ্ট্রের ভুসাওয়ালে একটি উর্দু স্কুলের শিক্ষক হিসাবে কাজ করছে হানিফ শেখ। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। পাতা হয় ফাঁদ। ২২ ফেব্রুয়ারি গোপন আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করতেই হানিফকে ধরে ফেলে পুলিশ। অভিযোগ, গত ২৫ বছর ধরে বহু মুসলিম যুবককে বিপথে নিয়ে গিয়েছে হানিফ। অন্তরালে থাকলেও উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের যেখানেই সভা হত সেখানে হাজির হতেন তিনি। শুধু তা-ই নয় সংগঠনের জন্য টাকার জোগানও দিতেন হানিফ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও সংগঠন যারা ভারতে (India) ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। সেই সংক্রান্ত মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।

    সিমি…

    এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে, সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে। এরা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক ইসলামি অর্ডার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের যে লক্ষ্য, তা আমাদের দেশের আইনের পরিপন্থী। বিশেষত, তাদের মূল লক্ষ্য হল ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ২০০১ সালেই এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিমিকে (SIMI)। কারণ ওই সংগঠন আইনবিরুদ্ধ নানা কার্যকলাপ করছিল। এ দেশে তাদের ৩৬টিরও বেশি শাখা সংগঠন রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে তারা তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়েছে, ৩৬টিরও বেশি ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে এদেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিমি। এই ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনগুলো নানাভাবে সিমিকে সাহায্য করছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থ সংগ্রহ, পুস্তিকার মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া, ক্যাডারদের সংগঠিত করা ইত্যাদি। সিমি বিভিন্ন রকম বেআইনি কাজকর্মও করছিল। এই সব কাজ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে ভয়ঙ্কর হুমকি স্বরূপ।

    আরও পড়ুুন: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৫টি আসন পাবে বিজেপি! দাবি সুকান্তর

    বুধবার কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামা নিয়ে শুনানি হবে বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের এজলাসে। সুপ্রিম কোর্টেই সিমির (SIMI) এক প্রাক্তন সদস্য পিটিশন দাখিল করেছিল। ২০১৯ সালে ইউএপিএ ধারায় সিমিকে যে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দাখিল করা হয় ওই পিটিশন। এদিন কেন্দ্রের তরফে দাখিল করা হলফনামায় এও বলা হয়েছে, সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও বিভিন্ন সংগঠনের নামে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এর প্রতি যারা সহানুভূতিশীল, তারা। এই সব সংগঠন মুসলিম তরুণদের মনে জেহাদির ধারণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে, তাদের ব্রেইন ওয়াশ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share