Tag: singer

singer

  • Himanta Biswa Sarma: “জুবিন গর্গের মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি খুন”, অসম বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “জুবিন গর্গের মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি খুন”, অসম বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি খুন।” মঙ্গলবার বিধানসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে ইয়ট ভ্রমণের সময় সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর বাহান্নর গায়ক-সুরকার জুবিনের। প্রথমে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বলা হয়েছিল রহস্যজনক দুর্ঘটনা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে আরও গুরুতর তথ্য।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ (Himanta Biswa Sarma)

    বিরোধী দলের আনা স্থগিতাদেশ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অসম পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে এটি ছিল একেবারে সোজাসাপ্টা খুন।” তাঁর দাবি, একজন ব্যক্তি সরাসরি জুবিন গর্গকে হত্যা করেছে এবং আরও কয়েকজন এ কাজে তাকে সহায়তা করেছে। তাঁর মতে, এখন চার থেকে পাঁচজনকে এই হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

    সিট গড়ল রাজ্য সরকার

    উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন গর্গ । তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অসমজুড়ে ৬০টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়। দাবি জানানো হয়, পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। এর পাশাপাশি, কী ঘটেছিল তা যাচাই করতে গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র শইকিয়ার নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয় (Himanta Biswa Sarma)। সিট তদন্ত শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই জুবিনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন, এনইআইএফ সংগঠক শ্যামকানু মহন্ত, গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, তাঁর দুই ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও অমিত প্রভ মহন্ত, এবং তাঁর এক আত্মীয় সন্দীপন গর্গ, যিনি অসম পুলিশের একজন প্রবীণ আধিকারিক (Zubeen Garg)। গ্রেফতার করা হয় তাঁর দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী – নন্দেশ্বর বরা এবং প্রবীন বৈশ্যকেও। কারণ তদন্তকারীরা তাদের ব্যাঙ্কের হিসেব থেকে ১.১ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিট খুব শীঘ্রই একটি চার্জশিট জমা দেবে। গর্গকে হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য রাজ্যবাসীকে হতবাক করবে (Himanta Biswa Sarma)।”

  • Shreya Ghoshal: কনসার্টেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কেও শ্রদ্ধা শ্রেয়া ঘোষালের

    Shreya Ghoshal: কনসার্টেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কেও শ্রদ্ধা শ্রেয়া ঘোষালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার মঞ্চে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কণ্ঠ ছাড়লেন সঙ্গীতশিল্পী তথা বাংলার মেয়ে শ্রেয়া ঘোষাল। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যখন প্রায় ভর্তি, সেই সময় শ্রেয়া গাইলেন, ‘এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে … তুমি বন্ধু আজ শুনবে…।’ গান শেষ করে নিঃশব্দে মঞ্চ ছাড়লেন শ্রেয়া। তখন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে মুখর নেতাজি ইন্ডোর। কারও চোখে জল বা গলায় প্রতিবাদের সুর। তবে শুধু প্রতিবাদ নয় এদিন ‘ঘুম ঘুম চাঁদ, ঝিকিমিকি তারা’ গেয়ে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কেও ট্রিবিউট দেন শ্রেয়া।

    কেউ হাততালি দেবেন না

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার কনসার্ট পিছিয়ে দিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। সেপ্টেম্বরের বদলে কনসার্ট হল ১৯ অক্টোবর। শ্রেয়া এলেন, তত দিনে প্রায় ৭০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে এই ঘটনার। রাজপথে অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বিচারের দাবিতে অটল তাঁরা। এ সবের মাঝেই ফের তিলোত্তমায় দাঁড়িয়ে ‘তিলোত্তমার’হয়ে গান ধরলেন শ্রেয়া। এই গান গাওয়ার আগে কাউকে হাততালি দিতে বারণ করেন শ্রেয়া। জানান, সেটি আরজি করের প্রতিবাদের জন্য তৈরি গান। এই গান উচ্ছ্বাসের জন্য নয়, উদ্দিপনার জন্য নয়। গান শেষ করেই মঞ্চ থেকে নেমে যান। গান গাওয়ার আগে শ্রেয়া বলেন, ”এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।” শ্রেয়ার মঞ্চ ছাড়ার সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে মুখর নেতাজি ইন্ডোর। 

    শ্রেয়ার এই প্রতিবাদ দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা

    হাততালি না পেলেও শ্রেয়ার এই গান প্রশংসিত হয়। ক্ষণিকের মধ্যেই শো-এর ভিডিও ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। শ্রেয়ার এই প্রতিবাদ দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা লিখছেন, ‘এমন প্রতিবাদের নজির আগে কখনও দেখেনি শহর কলকাতা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তখন দর্শকে ছয়লাপ। এতবছর ধরে প্রতিটা কনসার্টেই সর্বশেষ গান হিসেবে ‘মেরে ঢোলনা’ গেয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবার তা হলো না। মেরে ঢোলনা গাওয়া শেষ করে শ্রেয়া বললেন, এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।’ এক নেটিজেন লিখলেন, ‘তিলোত্তমার বুকে প্রতিবাদের স্বরকে তীব্রতর হতে দেখলাম আজ। বেঁচে থাক শ্রেয়া আর ওঁর সঙ্গীত সাধনা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Scam: দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরি গেল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ গায়কের স্ত্রীর, কে জানেন?

    Scam: দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরি গেল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ গায়কের স্ত্রীর, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গ্রুপ সির নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam)  এবার নাম জড়াল তৃণমূলপন্থি সংগীত শিল্পী পর্ণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী সোহিনী চক্রবর্তীর। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইজিরও এই তালিকায় নাম রয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক নেতার আত্মীয়দের নামও চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে।  আদালতের নির্দেশে রাজ্যে ৮৪২জনের যে চাকরি বাতিলের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তারমধ্যে ৬৩১ নম্বর তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। পর্ণাভের বাড়়ি খড়দহের রহড়া এলাকায়। তৃণমূলের দলীয় সভায় তাঁকে মঞ্চে উঠে গান গাইতে দেখা যেত। এমনিতেই সংগীত শিল্পী হিসেবে টলিউডের অনেকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এমনিতেই শাসকদলের এক দাপুটে নেতার আত্মীয় টলিউডের একটি বড় অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। টলিউডে শাসক দল ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে বেশি ওঠাবসা ছিল। পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়কের সঙ্গে পর্ণাভ এবং তাঁর স্ত্রীর সুসম্পর্ক ছিল। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, উত্তর ২৪ পরগনার দাপুটে নেতা তথা বিধায়ক নারায়ণ গোম্বামী, অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীসহ একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর সঙ্গে সোহিনীর ছবি রয়েছে। এমনকী খড়দহে প্রয়াত এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন পর্ণাভ। তাঁর সঙ্গে একাধিক মঞ্চে দেখা যেত। তবে, সংগীত শিল্পীর স্ত্রীর চাকরি টলিউডের কোনও দাপুটে কারও সুপারিশে হয়েছে, না তৃণমূলের কোনও বড় মাপের নেতা সুপারিশ করেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, সোহিনী চক্রবর্তী খড়দহ পাতুলিয়া হাইস্কুলে ক্লার্কে চাকরি করতেন। তাঁর চাকরি চলে যাওয়ার খবর জানাজানি হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন পাতুলিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক? Scam

    ২০১৮ সালে পাতুলিয়া স্কুলে সোহিনী যোগ দেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস বলেন, নিয়মিত সোহিনী স্কুলে আসতেন। বছরখানেক একবার তিনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে স্কুলে কিছুদিন আসেনি। পরে, ও নিয়মিত স্কুলে আসত। গত ৮ মার্চ  তিনি স্কুলে এসেছিলেন। তবে, এভাবে তাঁর চাকরি চলে যাওয়ায় ঘটনায় খারাপ লাগছে। আর তার এই চাকরি যাওয়ার ঘটনায় খড়দহ এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে, এই বিষয়ে পর্ণাভ ও তাঁর স্ত্রী সোহিনী চক্রবর্তীর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ustad Rashid Khan: জীবনসফর শেষ পঞ্চান্নতেই, প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান

    Ustad Rashid Khan: জীবনসফর শেষ পঞ্চান্নতেই, প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পঞ্চান্ন বছর বয়সেই থেমে গেল কণ্ঠের জাদু। প্রয়াত হলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জনপ্রিয় শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। গত কয়েক বছর ধরে ভুগছিলেন প্রস্টেট ক্যান্সারে। বাড়াবাড়ি হওয়ায় বেশ কিছুদিন আগে ভর্তি করা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীনই স্ট্রোক হয় শিল্পীর। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে প্রয়াত হন এই শিল্পী। অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পীর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া শিল্পীমহলে।  

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় রাশিদ

    রশিদের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে, ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই। ইনায়েত হুসেন খাঁ সাহিব প্রতিষ্ঠিত রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী ছিলেন রশিদ। তালিম নিয়েছিলেন উস্তাদ নিশার হুসেন খাঁ সাহিবের কাছে। ইনি ছিলেন রশিদের দাদু। মামা উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ সাহিবের কাছেও সঙ্গীতের পাঠ নিয়েছেন রশিদ। কৈশোরে পা দেওয়ার আগেই রশিদ চলে আসেন কলকাতায়। তার পর থেকে এই শহরই হয়ে ওঠে তাঁর ঘরবাড়ি। জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন রশিদ। এর মধ্যে রয়েছে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবিভূষণ এবং পদ্মশ্রী সম্মান। বলিউড এবং টলিউডের বহু ছবিতেই গান গেয়েছে রশিদ (Ustad Rashid Khan)।

    “শিল্পীদের প্রতি ঈশ্বরের ইঙ্গিত থাকে”

    রশিদের কণ্ঠের জাদুতে মজেছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। প্রয়াত চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, “ভূমণ্ডলের দীপ্যতম সুরগন্ধর্ব”। ভীমসেন জোশী বলেছিলেন, “ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত তার ভবিষ্যৎ পেয়ে গিয়েছে।” এই ভীমসেনের বাড়িতেই গান গেয়ে ১০ হাজার টাকা নজরানা পেয়েছিলেন রাশিদ। তিনি টাকা নিতে চাননি। একপ্রকার জোর করেই রশিদকে টাকা দিয়েছিলেন ভীমসেন। ঈশ্বরে বিশ্বাসী রশিদ বিশ্বাস করতেন, “শিল্পীদের প্রতি ঈশ্বরের ইঙ্গিত থাকে।” সেই ইঙ্গিতেই গানবাজনা করেন তাঁর মতো শিল্পীরা।

    আরও পড়ুুন: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    রশিদ বলতেন, “আমার গুরু উস্তাদ নিসার হুসেন সব সময় বলতেন, আর যাই করো, ভুলেও কাউকে কোনও দিন হিংসে কোরো না। হিংসে করলে সঙ্গীতের মৃত্যু অনিবার্য। সাধনা করতে করতেই গায়কি তৈরি হয়। সঙ্গীত দিল আর দিমাগের কাজ। ওখান থেকেই একটা সোচের জন্ম হয়। ওই সোচই আমায় দিয়ে নানারকম কাজ করিয়ে নেয়।” রশিদ সত্যিই ছিলেন ‘সুরগন্ধর্ব’। এহেন গন্ধর্বই অকালে চলে গেলেন সুরলোকে। ভূমণ্ডল নয়, তিনি চিরতরে হয়ে গেলেন নভঃমণ্ডলের বাসিন্দা (Ustad Rashid Khan)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • KK Demise: “আলবিদা..!” গানই  শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    KK Demise: “আলবিদা..!” গানই শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘অলবিদা…’। ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ সিনেমায় তাঁর গাওয়া বিখ্যাত গান। সুরের শহর কলকাতাকে সেই কথাই হয়তো জানাতে এসেছিলেন কেকে (K K Demise)। 

    পুরো নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath), তবে পরিচিত ছিলেন কেকে (K K) নামেই। দিল্লিতে ১৯৬৮ সালের ২৩ অগাস্ট তাঁর জন্ম। ছোটবেলায় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরোরিমল কলেজে পড়াশোনা করেছেন কে কে। বাণিজ্যে স্নাতক। পরে একটি হোটেলে কাজ করতেন। তবে আট মাস পর হোটেলের সেই চাকরি ছেড়ে দেন ভবিষ্যতের তারকা।

    ‘মাচিস’ ছবির  বিখ্যাত গান ‘ছোড় আয়ে হাম ও গলিয়া…’ দিয়ে বলিউডে পা রাখেন কেকে। সেই গানে তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন  হরিহরণ। এরপর এক এক করে বলিউডে কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন।হিন্দি ছাড়াও বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়লাম, মারাঠি, ভাষায় প্লেব্যাক করেছেন। ২০০৫ সালে তামিল ভাষায় সেরা নেপথ্যশিল্পী নির্বাচিত হন।

    ২০১০ সালে কন্নড় ভাষায় দক্ষিণের ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। অসংখ্য কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কেকে। প্রেম, বন্ধুত্ব বা বিরহ সব ধরনের গান সমানতালে চালিয়ে গেছেন তিনি। মঙ্গলবার কলকাতায় একটি লাইভ কনসার্টে এসেছিলেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। তাঁর এই আসা যে শেষ যাত্রায় পরিণত হবে এ কথা কে জানত! মাত্র ৫৩ বছর বয়সে থেমে গেল কণ্ঠ। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কেকে।

    জীবনের শেষ দিনেও গানই ছিল তাঁর সঙ্গী। অগণিত শ্রোতা ছিল তাঁর বন্ধু। একের পর এক গান করে চলেছেন প্রিয় গায়ক। পরনে টি শার্ট। কেকে-কে মঞ্চে দেখে উন্মাদনার শেষ নেই ভক্তদের মধ্যে। তাঁরাও গলা মেলাচ্ছিলেন প্রিয় গায়কের সঙ্গে। পর মুহূর্তে কী ভয়ানক সংবাদ অপেক্ষা করে রয়েছে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ। ৩১ তারিখ শ্রী গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের জন্য শো করতে নজরুল মঞ্চে (Nazrul Manch) ওঠেন তিনি। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি মঞ্চে ওঠেন। এরপর একের পর এক গানে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শিল্পীকে চোখের সামনে দেখে উল্লাসে, আনন্দে ফেটে পড়ছিলেন ভক্তরা। 

    [tw]


    [/tw]

    কণ্ঠে সুরের ঝাঁপি আর হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করছিলেন তিনি। হাততালিতে ফেটে পড়ছিল হল। গান শুরু হতেই উৎসাহ-উত্তেজনায় দর্শকদের গলা ফাটিয়ে চিৎকার। হবে না-ই বা কেন! মঞ্চে যিনি গান গাইতে উঠেছেন, তিনি তো আর সাধারণ কেউ না। বলিউডের তারকা নেপথ্যগায়ক কেকে। নজরুল মঞ্চে হাজির দর্শক-শ্রোতারা দেখলেন, ৫৩ বছর বয়সি এক জন গায়ক কতটা তরতাজা।

    গান গাইতে গাইতে মঞ্চের এ পাশ থেকে অন্য পাশে দাপিয়ে বেড়াতেও দেখা গেল কেকে-কে। কখনও দর্শকদের উদ্দেশে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে দিচ্ছেন, তো কখনও আবার গান গাইতে গাইতে নিজের মনেই লাফাচ্ছেন। তবে অনুষ্ঠানের শেষের দিকে বেশ ক্লান্ত লাগছিল। স্পটলাইট নিভিয়ে দিতে বলেন। যাঁর গানের সুরে ভারতের আপামর শ্রোতা মুগ্ধ, তাঁর আবার স্পটলাইটের দরকারই কী! স্পটলাইট নেভাতেই শতাধিক ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি গানের পরিবেশে অন্য এক মাত্রা যোগ করে দিল।

    গান গাইতে গাইতে গায়ককে দরদর দরদর করে ঘামছিলেন। মাঝে মাঝে সাদা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিচ্ছিলেন। তবে চোখে মুখে বিরক্তির লেশমাত্র ছিল না। অনুষ্ঠান শেষ হতেই চলে যান ধর্মতলার বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে পৌঁছে শারীরিক অবস্থার অবনতি। সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে কেকে-র (K K)।

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু। শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করেই কি অনুষ্ঠান করেছিলেন কেকে? উঠছে প্রশ্ন? তবে নিজে বুঝে থাকলেও, শারীরিক অসুবিধার কথা বুঝতে দেননি দর্শকদের। দক্ষ জাদুকরের মতো সুরের জাদু দেখিয়েছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। 

    “হাম রহে ইয়া না রহে কাল… ইয়াদ আয়েগি ইয়ে পল” 

LinkedIn
Share