Tag: Singh

  • Neeraj Chopra: ‘গোল্ডেন বয়’-এর মুকুটে নয়া পালক, নীরজ চোপড়া হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল

    Neeraj Chopra: ‘গোল্ডেন বয়’-এর মুকুটে নয়া পালক, নীরজ চোপড়া হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গোল্ডেন বয়’ নীরজ চোপড়ার Neeraj Chopra) মুকুটে নয়া পালক। অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে টেরিটোরিয়াল আর্মিতে সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত করা হল। নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় আয়োজিত এই “পিপিং সেরিমনি” নীরজ চোপড়ার জীবনের আর একটি গৌরবময় মাইলফলক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে রইল। নীরজ হলেন সেই ক্রীড়াবিদ, যিনি বিশ্বমঞ্চে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন একাধিকবার। অনুষ্ঠান চলার সময়ই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) নীরজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

    কী বললেন রাজনাথ? (Neeraj Chopra)

    এই জ্যাভলিন চ্যাম্পিয়নের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “নীরজ অধ্যবসায়, দেশপ্রেম এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের ভারতীয় চেতনার জীবন্ত প্রতীক।” রাজনাথ নীরজের প্রেরণাদায়ী যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। হরিয়ানার একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে শুরু করে তিনি কীভাবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষে পৌঁছলেন, তাঁর সেই অসামান্য সাফল্য এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সাম্মানিক) নীরজ চোপড়া শৃঙ্খলা, নিষ্ঠা এবং জাতীয় গৌরবের সর্বোচ্চ আদর্শের প্রতীক। তিনি ক্রীড়া জগতের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কাছেও অনুপ্রেরণার উৎস।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন (Neeraj Chopra) সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, ভারতীয় সেনা ও টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রবীণ আধিকারিকরা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

    নীরজের পথ চলা

    ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন নীরজ। সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রাচীন ও সর্বাধিক সম্মানিত পদাতিক রেজিমেন্ট রাজপুতানা রাইফেলসে যোগ দেন। নীরজ ইতিহাসে নিজের নাম অমর করে তুলেছেন ২০২০ সালে, টোকিও অলিম্পিক্সে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে ভারতের প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী অ্যাথলিট হয়ে। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে রৌপ্যপদক জয় এবং ২০২৩ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতে নীরজ প্রমাণ করেছেন, তিনি বিশ্বের অন্যতম ধারাবাহিক জ্যাভলিন থ্রোয়ার।

    এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস এবং ডায়মন্ড লিগ প্রতিযোগিতায়ও একাধিক স্বর্ণপদক জয় করেছেন নীরজ। এভাবে বিশ্বমঞ্চে নীরজ উজ্জ্বল করেছেন ভারতের নাম (Rajnath Singh)। নীরজের ব্যক্তিগত সেরা থ্রো ৯০.২৩ মিটার (২০২৫) ভারতীয় ক্রীড়া ইতিহাসে এক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি (Neeraj Chopra) শুধু শারীরিক দক্ষতার নয়, বরং জাতীয় গৌরব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (POK) খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে।” অন্তত এমনই দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য আক্রমণ করার প্রয়োজনও পড়বে না। তাঁর দাবি, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি তুলেছেন সেখানকার মানুষই।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Rajnath Singh)

    দু’দিনের সফরে রবিবার মরক্কোয় গিয়েছেন রাজনাথ। সেখানে তিনি দেখা করেন সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে। সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হবে। সেখানকার মানুষ ইতিমধ্যেই সেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাঁচ বছর আগে আমি কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলাম পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে আমাদের আক্রমণ করার প্রয়োজন নেই। ওটা এমনিতেই আমাদের হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাই বলবেন, আমরা ভারতের অংশ। ওই দিন আসতে চলেছে।” রাজনাথ বলেন, “সেখানকার মানুষই বর্তমান প্রশাসনের কাছে স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। পিওকের সেই স্লোগান আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন।”

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    ভারত বরাবরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীকেও বলতে শোনা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। গত বছর এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন, “পিওকে (পাক অধিকৃত কাশ্মীর) কখনওই ভারতের বাইরের অংশ ছিল না। সেটি এই দেশের অংশ। ভারতীয় সংসদের একটি রেজোলিউশন রয়েছে, যাতে বলা আছে, পিওকে ভারতেরই অংশ। এখন অন্যের কাছে পিওকের নিয়ন্ত্রণ কী করে গেল, তা আলোচনার বিষয়।”

    কী বললেন রাজনাথ

    এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ৭ মে অপারেশন সিঁদুর চালানোর সময় পিওকে দখলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। বিভিন্ন বিরোধী দলের বহু নেতা সমালোচনা করেছিলেন এই বলে যে ভারত একাধিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার পরেও যখন ভারতের প্রাধান্য ছিল, তখন কেন্দ্র কেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হল। তাঁদের দাবি ছিল, তখন পাকিস্তান অধিকৃত ভূখণ্ড দখল করার যথেষ্ট সুযোগ ছিল।”

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    প্রসঙ্গত (Rajnath Singh), মরক্কোয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেরেশিদে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমসের নয়া উৎপাদন কারখানার উদ্বোধন করবেন। এখানে হুইলড আর্মার্ড প্ল্যাটফর্ম ৮*৮ তৈরি হবে। এটি আফ্রিকায় ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হবে। রাজনাথ মরক্কোর নয়া (POK) উৎপাদন কেন্দ্রটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উপস্থিতিকে প্রতিফলিত করে। উল্লেখ্য, এটি ভারতের কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মরক্কো সফরের প্রথম ঘটনা। তিনি মরক্কোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেলতিফ লৌদিয়ির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন।

    মউ স্বাক্ষর

    রাজনাথের এই সফরে ভারত ও মরক্কো প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও প্রসারিত ও গভীর করার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দেবে, যার মধ্যে থাকবে বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও শিল্পখাতের সংযোগ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলি নিয়মিতভাবে কাসাব্লাঙ্কা বন্দরে নোঙর করছে। এই চুক্তি সেই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর নিয়েও মুখ খুলেছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “চাইলে আমরা (পাকিস্তানের) যে কোনও সেনাঘাঁটি বা লোকালয়ে হানা দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা চাইনি। ভারতকে আমরা নীতিবিচ্যুত হতে দিইনি।” পহলেগাঁওয়ে ধর্ম পরিচয় জেনে জঙ্গিরা গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, “আমরা কাউকে ধর্ম পরিচয়ের জন্য হত্যা করিনি। হত্যা করেছি তাদের কাজকর্মের জন্য।” অপারেশন সিঁদুর ফের যে কোনও দিন শুরু হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “ভারত যে কোনও সময় অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপ শুরু করতে পারে। পাকিস্তান যদি জঙ্গি হামলা চালানোর বা অনুপ্রবেশকারীদের পাঠানোর সাহস দেখায়, তাহলে ভারত আবারও অপারেশন সিঁদুর শুরু করতে দ্বিধা করবে না (POK)।”

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই, মিলছে না প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। বেহাল দশা শিক্ষা ব্যবস্থার। তার ওপর চাপানো হয়েছে মোটা অঙ্কের কর। তাই তাঁরা পাক সরকারের শাসনে থাকতে রাজি নন (Rajnath Singh)।

  • Rajnath Singh: “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই”, সংসদে রাজনাথ

    Rajnath Singh: “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই”, সংসদে রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই।” সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা স্পষ্টভাবে বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    লোকসভায় শুরু ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা

    সোমবার লোকসভায় শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা। সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনে এই অভিযান নিয়ে আলোচনা শুরুর পরেই দাঁড়িয়ে উঠে বলতে থাকেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই আলোচনা অনেক আগেই শুরু হয়ে যেতে পারত। কিন্তু বিরোধীদের প্রতিবাদের কারণে সংসদ মুলতুবি থেকেছে।”

    ভারতীয় সেনার অবদান

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজনাথ মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় সেনার অবদানের কথাও। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অপারেশেন সিঁদুর (Operation Sindoor) আদতে ভারতীয় সেনার সাফল্যের কাহিনি। রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “অপারেশন সিঁদুর যে সাফল্য ছুঁয়েছে, সে প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য আজ এই সংসদ তৈরি। আমি সেই জওয়ানদের সম্মান জানাই, যাঁরা এই দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ দান করেছেন, যাঁরা এখনও এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলেছেন।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের আগে এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করেই এগিয়ে গিয়েছে আমাদের সেনা। অপারেশনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নজরে রাখা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে যেন কোনওভাবেই সাধারণ মানুষের প্রাণ না যায়। আর এভাবেই মাত্র ২২ মিনিটেই পাকিস্তানের ভেতরে থাকা ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা আঘাত হানে। তবে দেশের আকাশরক্ষী সুদর্শন চক্র বা এস-৪০০ সেই হামলা প্রতিহত করে (Rajnath Singh)।”

    সেনাকে ফ্রি-হ্যান্ড

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতের সামরিক বাহিনীকে একেবারে ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া হয়েছিল। কোন কোন (Operation Sindoor) জায়গায় হামলা চালানো হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সামরিক বাহিনীই। একেবারে নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যেভাবে হনুমানজি লঙ্কায় নিজের রণনীতি তৈরি করেছিলেন, সে রকমভাবেই আমরা তাদের নিশানা করেছি, যারা আমাদের ক্ষতি করেছিল (Rajnath Singh)।”

    কীভাবে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি

    কীভাবে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি হয়েছে, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ১০ মে পাকিস্তানের একাধিক এয়ারফিল্ডে প্রত্যাহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের হার মেনে নিয়ে সংঘর্ষ-বিরতির জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে (Operation Sindoor) পাকিস্তান। আর ভারত সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে একটাই শর্তে, তা হল অপারেশন সিঁদুর কেবল স্থগিত করা হয়েছে। পাকিস্তান যদি ফের ভুলভাল কাজ করে, তাহলে আবারও পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। রাজনাথের জবাবেই স্পষ্ট, যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, সেটা আদতে বিভ্রান্তিকর। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির জন্য ট্রাম্প বারবার নিজেই ক্রেডিট নিয়েছেন। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন (Operation Sindoor), “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই (Rajnath Singh)।”

    রসদের জোগানে জোর রাজনাথের (Rajnath Singh)

    এর আগে, রবিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনাথ বলেছিলেন, “বন্দুক বা গুলি দিয়ে এখন আর যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। যুদ্ধ জেতার অন্যতম হাতিয়ার এখন সামরিক রসদ সঠিক সময় জোগান দিতে পারা।” গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় মে মাসে ভারতের অপারেশন সিঁদুর সে কথাই প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে।” ভারতের রেলমন্ত্রকের অধীন এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জোগানকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকারই সমাবর্তনে ভাষণ দিতে গিয়ে যুদ্ধ জয়ের বর্তমান কৌশলটি বলে দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রসদের জোগানকে একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার ওপর জোর দেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “রসদের জোগানই একটি যুদ্ধক্ষেত্রকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। রসদের জোগান ঠিকঠাক না থাকলে গোটাটাই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পরিণত হবে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানোর পর প্রমাণিত হয়েছে একাধিক সংস্থার সমন্বয় কীভাবে প্রয়োজনীয় উপকরণ সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। আধুনিক যুদ্ধ জয় এর ওপরই নির্ভর করে।” এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধ কেবল বন্দুক এবং গুলি দিয়ে জেতা যায় না, বরং সময়মতো রসদ জোগানের ওপর নির্ভর করে (Operation Sindoor) কারা জিতবে, আর হারবেই বা কে।”

    ভিন্ন সেনার জন্য পৃথক রসদের ব্যবস্থা

    সব বাহিনীর জন্য যে একই রসদ নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনায় রসদ জোগানের অর্থ ভিন্ন। সেনাবাহিনীর জন্য রসদ জোগানের অর্থ অস্ত্র, জ্বালানি, রেশন এবং ওষুধ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া। আবার নৌবাহিনীর কাছে এর অর্থ হল জাহাজে খুচরো যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া। আর বায়ুসেনার কাছে এর অর্থ হল নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাউন্ড সাপোর্ট দিতে থাকা। এর পাশাপাশি প্রয়োজন জ্বালানি সরবরাহ ঠিক রাখা।”

  • Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এমতাবস্থায় চিনে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ওই বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ না থাকলেও, বালুচিস্তানে অশান্তির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার উল্লেখ ছিল। এরই প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি ভারত।

    অপারেশন সিঁদুরের যৌক্তিকতা (Rajnath Singh)

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন রাজনাথ। সম্মেলন চলাকালীন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব ছিল অপারেশন সিঁদুরের মতো অভিযান। এসসিও সম্মেলনে রাজনাথ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় তুলোধনা করেন শাহবাজ শরিফের দেশকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হতে বাকি দেশগুলিকেও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবং সীমান্ত সন্ত্রাস কাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছিল।”

    পাকিস্তানকে নিশানা

    পাকিস্তানকে নিশানা করে রাজনাথ বলেন, “কিছু দেশ সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয়ও দেয়। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির নিন্দা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করছে, এদিন সেকথাও ওই মঞ্চে জানিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলগুলি আর নিরাপদ নয়, এবং প্রয়োজনে আমরা সেগুলিকে টার্গেট করে আঘাত হানতেও পিছপা হব না।” রাজনাথ বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়া রোধে আমাদের সক্রিয় পদক্ষেপ করা উচিত। এই বিষয়ে এসসিও-র রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট স্ট্রাকচার ব্যবস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সভাপতিত্বে এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিষদ থেকে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল — ‘সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাওয়া চরমপন্থা প্রতিরোধ’ — তা আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতীক।”

    দুরমুশ জঙ্গি শিবির

    প্রসঙ্গত, গত (Rajnath Singh) ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। এমতাবস্থায় ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি শিবির। এই অভিযানের নামই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)।

    বিবৃতিতে সই করলেন না রাজনাথ

    সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় এবং তা নিয়ে অবস্থান বোঝাতে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে একে একে সই করতে থাকেন এসসিওর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সই করার পালা এলে ওই বিবৃতি নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজনাথ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কোনও উল্লেখ নেই কেন? বালুচিস্তানে অশান্তি সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার কথা কেন লেখা হয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। এসসিওর চেয়ার এই মুহূর্তে চিনের দখলে। চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের খবর সর্বজনবিদিত। ভারতের অভিযোগ, সেই কারণেই যৌথ বিবৃতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ (Operation Sindoor)। তার বদলে বালুচিস্তানের অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ভারতকে। এমনতর বিবৃতি দেখে তাতে আর স্বাক্ষর করেননি রাজনাথ (Rajnath Singh)।

    এসসিওর সদস্য রাষ্ট্র

    চিনের চিংদাওয়ে চলছে এসসিও সম্মেলন। যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। রাজনাথের (Rajnath Singh) পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়া, পাকিস্তান, চিন, বেলারুশ, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই আয়োজন করা হয় এই সম্মেলনের।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে লাগাতার অশান্তির খবর আসছে বালুচিস্তান থেকে। সেখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিচ্ছিন্নতাকামী সংগঠনগুলি। আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করা থেকে কনভয়ে বিস্ফোরণ, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বালুচিস্তানের এই অশান্তির জন্য ভারতকে বরাবর দায়ী করে আসছে শাহবাজ শরিফের দেশ। যদিও পাক সরকারের তোলা অভিযোগ বার বার খণ্ডন করেছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত জোগাতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতেই এখন ভারতকে কাঠগড়ায় তুলছে (Operation Sindoor) পাকিস্তান।

     

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) মানুষ ভারতীয় পরিবারের অঙ্গ। নিজে থেকেই তাঁরা একদিন ভারতে ফিরে আসবেন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকেও নিশানা করেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে একমাত্র কথা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

    সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা (Rajnath Singh)

    প্রসঙ্গত, ভারত বার বার দাবি করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসলে কেবল দুটি বিষয়েই আলোচনা হতে পারে –সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও নয়াদিল্লির সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ পাশাপাশি চলতে পারে না। জল ও রক্ত পাশাপাশি বইতে পারে না।” এদিন সিআইআই বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের আপন বলেই মনে করি। ওঁরা আমাদের পরিবারেরই অঙ্গ। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে ভাইরা ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, একদিন তাঁরা নিজেদের মনের তাগিদেই ভারতের মূল স্রোতে ফিরে আসবেন।”

    রাজনাথের বক্তব্য

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সিংহভাগ মানুষই যে ভারতের সঙ্গে গভীর সংযোগ অনুভব করেন, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেখানকার কিছু মানুষকেও ভুল বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরাও সঠিক পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন এবং ভারতে ফিরে আসবেন।” রাজনাথ বলেন, “ভারত সব সময় হৃদয়ের বন্ধনের কথা বলে। আমাদের বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং সত্যের পথে হেঁটেই একদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ ভারতে ফিরবেন এবং বলবেন, আমরা ভারতীয়। সেই দিন খুব বেশি দূরে নেই (Rajnath Singh)।” এদিন সন্ত্রাসবাদ নিয়েও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে পাকিস্তানকে। অপারেশন সিঁদুরের পর সেটা উপলব্ধি করেছে ইসলামাবাদ। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়ও এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান-সহ গোটা বিশ্ব পেয়ে গিয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৭ জন হিন্দুর। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদেরই হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপর প্রত্যাঘাত করে ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত (Rajnath Singh)।

  • Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ঠিক তার পরের দিনই রাজনাথ গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জম্মু-কাশ্মীরে যে সেনা অভিযান চলছে সেই ব্যাপারে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁকে ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলমান। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয় মিনিট চল্লিশেক।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Rajnath Singh)

    রুদ্ধদ্বার ওই কক্ষে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রাজনাথ দক্ষিণ ব্লকে যান, যেখানে সেনাপ্রধান তাঁকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, বিশেষত পহেলগাঁওয়ে সর্বশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া অঞ্চলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার জেরে ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকার এই হামলার সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী সংযোগের কথা উল্লেখ করে জোরালো ও সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’

    রবিবারই তাঁর ১২১তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলায় অপরাধী ও ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সব চেয়ে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সমগ্র বিশ্ব ১৪০ কোটি (Rajnath Singh) ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আমি আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, তারা ন্যায়বিচার পাবে। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।” ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বলেন, “এটি কাশ্মীর ও দেশের শত্রুদের একটি হতাশাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যারা এই অঞ্চলের অসাধারণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে চায়।”

    এই হামলাকে “সন্ত্রাসবাদে প্রশ্রয়দানকারীদের” হতাশার প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিল, পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং যুবসমাজের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল, সেই (Pahalgam Attack) সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও দেশের শত্রুরা এটিকে মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায় (Rajnath Singh)।”

LinkedIn
Share