Tag: singur

singur

  • Singur: এখনও রাজনীতির ময়দান হিসেবেই সিঙ্গুরকে ব্যবহার করছে তৃণমূল, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

    Singur: এখনও রাজনীতির ময়দান হিসেবেই সিঙ্গুরকে ব্যবহার করছে তৃণমূল, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর (Singur) নিয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুসারে, টাটাকে কারখানা করতে না দেওয়ার কারণে, রাজ্য সরকারকে সুদ-সহ ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর এই নির্দেশ আসার পর থেকেই এলাকার মানুষ বলছেন, ‘সিঙ্গুর এখন রাজনীতির ময়দান’। বিগত দিনের বাম সরকার যেমন রাজনীতি করেছে, ঠিক একইরকম ভাবে বর্তমান তৃণমূল শাসকও রাজনীতি করছে। কার্যত সিঙ্গুরের ইচ্ছুক এবং অনিচ্ছুক চাষিদের শিল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল। 

    রাজনীতির ময়দান সিঙ্গুর (Singur)

    টাটা গোষ্ঠীকে সুদ-সমেত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ আসার পর থেকেই সিঙ্গুর (Singur) হল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সিঙ্গুর আন্দোলনের নামে, তৃণমূল কংগ্রেস শিল্প-কারখানার সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে। অপর দিকে বাম আমলে ছিল না শিল্প গড়ে তোলার উপযুক্ত পরিবেশ। এর ফল ভুগতে হয়েছে সিঙ্গুর সহ সারা রাজ্যের মানুষকে। শিল্পের বিরোধিতা, নাকি জমি বাঁচাও আন্দোলন? এই দুইয়ের জন্য এলাকার মানুষ বাম এবং তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে। ফলে বাস্তবে সিঙ্গুরের ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিয়েছে বলে মনে করছেন মানুষ। তাই আজ ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক সকল চাষিরা যে বিরাট চক্রান্তের শিকার হয়েছেন, তাও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

    সিঙ্গুরের চাষিদের বক্তব্য

    সিঙ্গুরের (Singur) অনিচ্ছুক চাষি ভুবন গারাই বলেন, “আমি সেই সময় জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিলাম, কিন্তু শিল্প চেয়েছিলাম। বাম আমলের আগে এই রাজ্য শিল্পে এক নম্বরে ছিল। কিন্তু ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলে সব কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। সব সরকার মিথ্যাবাদী।” আবার ইচ্ছুক চাষি শক্তিপদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম শিল্প হোক। কিন্তু রাজনীতির খেলায় না হল শিল্প, না হল চাষ। আমাদের যুব সামজের জন্য বড় সুযোগ ছিল। বর্তমান তৃণমূল সরকার চাষিদের ঠকিয়েছে।”

    সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইয়ের বক্তব্য

    বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিঙ্গুরের (Singur) মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “টাটার কোনও দোষ নেই, আদতে তাঁদের ক্ষতি হয়েছে অনেক। কারখানা করতে চেয়েও তাঁরা করতে পারেননি। বাম সরকারের ভুলের জন্যই টাটারা চলে যেতে বাধ্য হন।” আন্দোলনের অন্যতম মুখ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “তৎকালীন রাজ্যপাল-এর মধ্যস্থতায় চুক্তিও হয়, কিন্তু সেই চুক্তি তৎকালীন বাম সরকার মানেনি। কারণ পলিটব্যুরো নেতারা সায় দেয়নি। টাটা চলে যাওয়ার পিছনে আমাদের আন্দোলন আংশিক দায়ী হলেও, পুরোপুরি দোষ ছিল তৎকালীন বাম সরকারের।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    সিঙ্গুরের (Singur) বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাণ্ডে অবশ্য আশাবাদী, আবার সিঙ্গুরে শিল্প হবেই।ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে শিল্প হবে। ওই জমিতেই হবে কারখানা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আমাদের কথা দিয়ে গেছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: টিকিট না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা

    Panchayat Vote: টিকিট না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছেই। এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) প্রার্থী না হতে পারায় ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ দুধকুমার ধাড়া। সিঙ্গুর (Singur) পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে দলীয় তালিকায় নাম ছিল দুধকুমার ধাড়ার। সেই মতো মনোনয়নও জমা দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এরপর দলের প্রতীক অন্য একজন পেয়ে যায়। এ নিয়ে দুধকুমার জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠিও খেলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের এই কৃষক নেতা।

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    কী লিখলেন দুধকুমার?

    ফেসবুকে দুধকুমার ধাড়া লেখেন, ‘‘এই নির্বাচনে আমাকে বেড়াবেড়ি পিএস ৩ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নাম দেওয়া হয়। সেই মতো নমিনেশন জমা দিই। কিন্তু জানতে পারলাম আমাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। কারণ জানতে বেচারাম মান্নার কাছে যাই। আমার অপরাধ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনও অপরাধ নেই’। ‘এত বড় অপমান সহ্য করতে পারছি না।’’ দুধকুমারের আরও প্রশ্ন, ‘‘২০০৩ সাল থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘদিন দলের কাজ করার পরও কেন তিনি টিকিট পেলেন না?’’ দুধকুমারের এই পোস্ট নিয়ে জোর শোরগোল ছড়িয়েছে জেলার রাজনীতিতে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দুধকুমার বলেন, “এই পোস্ট আমার অপমানের পোস্ট। আমাকে যে অপমান করা হল তার বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছি।”

    দুধকুমারের পরিবর্তে কে প্রার্থী হলেন?  

    জানা গিয়েছে, দুধকুমার ধাড়ার আসনে যিনি দলীয় প্রতীক পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তিনিও সিঙ্গুর জমি আন্দোলনেরই অন্যতম আরেক মুখ তথা হুগলি জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস। মানিক বলেন, “উনি টিকিট পেয়েছিলেন তা আমার জানা ছিল না। আগে থেকে কেউই জানত না, কে কোথায় টিকিট পাবে। দল যেটা ভাল মনে করেছে সেটা করেছে। আমিও ভেবেছিলাম জেলা পরিষদে টিকিট পাব কিন্তু দল দেয়নি। তাতে আমার কিছু বলারও নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Singur: চারচাকা গাড়ির পিছনের সিট খুলতেই থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট!

    Singur: চারচাকা গাড়ির পিছনের সিট খুলতেই থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির সিটের পিছনে কী? দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। রাতের বেলা সিঙ্গুরে (Singur) নাকা চেকিংয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখা যায়, চারচাকা গাড়ির পিছনের সিটে স্ক্রু আঁটা। স্ক্রু খুলে দিতেই পর্দা ফাঁস। ভিতরে থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট। আসলে একটা খবর ছিলই পুলিশের কাছে। সেটাই সত্যি হল।

    গ্রেফতার মহিলা সহ চারজন

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাঁজা ভর্তি ওই চারচাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের সিঙ্গুর থানা। পাচারের অভিযোগে গ্ৰেফতার করা হল এক মহিলা সহ তিনজনকে। উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। ধৃতদের বাড়ি ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে। সিঙ্গুর (Singur) থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও অফিস এলাকায় একটি গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায়  দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গাড়িতে থাকা তিনজনের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় সন্দেহ বাড়ে। পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি শুরু করে। পাওয়া যায় ৮৭ টি প্যাকেট। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা আছে বলে জানা গেছে।

    পুলিশের আধিকারিক কী জানালেন?

    হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি আফজল আবরার জানান, পাচারকারীরা ওড়িশার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল‌ চন্দননগরে  কোনও এক ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য। পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে আসছিল, যাতে পুলিশের নজর এড়ানো যায়। গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া, শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে (Singur) ঢোকে, তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দা ফাঁস হয়। গাঁজা পাচারকারী তিনজনেরই বাড়ি চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর এলাকায়। গ্ৰেফতার হওয়া তিনজন এত পরিমাণ গাঁজা কাদের সরবরাহ করত এবং এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছে, তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যে গাড়িটি করে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল, সেটি কোথাকার, তার মালিক কে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সিঙ্গুর মামলায় রাজ্যের কৈফিয়ত তলব কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: সিঙ্গুর মামলায় রাজ্যের কৈফিয়ত তলব কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাততাড়ি গুটিয়ে সিঙ্গুর ছেড়ে চলে গিয়েছে টাটারা। যে সিঙ্গুর আন্দোলনের জেরে রাজ্যে বাম সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল, সেখানেও জমেছে সময়ের শ্যাওলা। সিঙ্গুরের জমিহারাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেও ক্ষতিপূরণ পাননি তাঁরা। এরপর তাঁরা দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় রাজ্যের কাছে কৈফিয়ত তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞনমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এ ব্যাপারে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে নিজেদের অবস্থান।

    ট্রাইবুনালে টাটারা

    সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা না হওয়ায় রাজ্যকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ট্রাইবুনালে মামলা করে টাটারা। ট্রাইবুনাল জানিয়ে দেয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাটাকে দিতে হবে ৭৬৬ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই টাকার ওপর ১১ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে। রাজ্য সরকার যতক্ষণ না ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত গুনে যেতে হবে সুদ। ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে (Calcutta High Court) ন্যানো কারখানা গড়তে টাটাদের হাজার একর কৃষি জমি দিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। কৃষি জমিতে শিল্প স্থাপনের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলন হয় ‘জমিরক্ষা কমিটি’র ব্যানারে। আন্দোলনের ধাক্কায় ২০১১ সালে পতন ঘটে বাম সরকারের। ক্ষমতায় আসে মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার।

    ‘সুপ্রিম’ নির্দেশেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ

    সিঙ্গুর থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে গুজরাটের সানন্দে চলে যায় টাটারা। সেখানেই গড়ে ওঠে ন্যানো কারখানা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাষিরা। অবিলম্বে চাষিদের ক্ষতিপূরণ ও জমি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ। কারখানা না হওয়ায় চাকরিও হয়নি। কংক্রিটের চাঙড় সরিয়ে জমি ফেরানো হলেও, ততদিনে উর্বরতা শক্তি হারিয়েছে সিঙ্গুরের উর্বর কৃষি জমি। যদিও ক্ষমতায় আসার পরে পরে ওই অনুর্বর জমিতেই সর্ষের বীজ ছড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়েছিলেন, সিঙ্গুরের জমি উর্বরই রয়েছে। তবে উর্বরতা হারানো জমিতে আক্ষরিক অর্থেই সেদিন সর্ষেফুল দেখেছিলেন চাষিরা, সর্ষে ঘরে তুলতে পারেননি। তার পরেই জোরালো হয়েছে ক্ষতিপূরণের দাবি। আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন চাষিরা।

     

    আরও পড়ুুন: “অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!” মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    Singur: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুরের খাসেরচক চকগোবিন্দ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে অর্থ তছরুপের ঘটনায় সংস্থার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। ডেপুটি রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির (DRCS) পক্ষ থেকে করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের (Singur) ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ। ধৃতদের বিরুদ্ধে সমবায়ের প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমুলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    কীভাবে ক্ষোভ পরিণত হল বিক্ষোভে?

    উল্লেখ্য, সিঙ্গুরের ওই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকরা তাঁদের জমানো টাকা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। তার পরেই সমবায়ে কোটি টাকা তছরুপের ঘটনা সামনে আসে। তৃণমুল পরিচালিত সমবায়ের (Singur) পরিচালন সমিতির সেক্রেটারি অশোককুমার দাস ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ তোলেন। তারপর সমবায়ের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার অর্থ তছরুপের জন্য একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালনগর এলাকায় ক্রমেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। গরিব মানুষের অর্থ ফিরিয়ে দেবার দাবিতে সমবায় চত্বরে পোস্টার লাগায় বাম কৃষক সংগঠন। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সমবায় এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে তাঁদের হয়রানির কথা শোনেন।

    কীভাবে অবশেষে গ্রেফতার?

    ডেপুটি  রেজিস্ট্রার অফ কো অপারেটিভ সোসাইটি গত ১৬ ই জুন সিঙ্গুর থানায় সমবায়ের ওই দুর্নীতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ সমবায়ের ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেফতার করে ২৭ শে জুন চুঁচুড়া স্পেশাল আদালতে পাঠায়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত আছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এ বিষয়ে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, ডিআরসিএস থেকে একটা অভিযোগ করা হয় সমবায়ের (Singur) ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার একটা গরমিল করেছেন। তার প্রেক্ষিতে থানায় আইপিসি ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় একটি কেস শুরু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিভাবে তারা এত টাকা গরমিল করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ভোট সামনে বলেই গ্রেফতার? প্রশ্ন বিজেপির

    অন্যদিকে সমবায়ের এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি রাজ্যের গেরুয়া শিবির। সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস বলেন, এত বড় ঘটনায় শুধু ম্যানেজার আর ক্যাশিয়ার জড়িত, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড। একটা সিস্টেমে কাজ হয় সমবায়ে। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনও কিছু পাশ হয় না। ভোট এসে গেছে বলে এদের গ্রেফতার করে দেখানো হচ্ছে, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আছি। তাহলে এতদিন অ্যারেস্ট করা হয়নি কেন? এই ঘটনায় আরও যারা পিছনে আছে, সেই  সমস্ত রাঘববোয়ালদের সামনে আনতে হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের (Singur) টাকা ফেরত দিতে হবে।

    কী বলছে তৃণমূল?

    বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিঙ্গুর (Singur) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেন, পরিচালন সমিতিকে অন্ধকারে রেখেই এইসব তছরুপ করা হয়েছে। এর সাথে বোর্ড কোনও ভাবে যুক্ত নয়। তদন্তে আইনি পথে যদি বোর্ডের কেউ জড়িত প্রমাণ হয়, তখন সে সাজা পাবে। দল কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Travel: পায়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণে বেরিয়েছেন যুবক, কেন জানেন?

    Travel: পায়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণে বেরিয়েছেন যুবক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার বড়ই অভাব। বিশেষ করে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই বিষয়ে উদাসীন। তাই পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। পাশাপাশি জীবনে সুস্থ থাকতে গেলে যোগাসনের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা সকলকে জানাতে পায়ে হেঁটে সারা দেশ ভ্রমণে (Travel) বেরিয়েছেন কর্ণাটকের বছর ঊনত্রিশ এর যুবক কৃষ্ণা নায়েক। তামিলনাড়ু , তেলেঙ্গানা, ছত্রিশগড়, ওড়িশা পেরিয়ে এখন তিনি এই রাজ্যের হুগলিতে।

    কবে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন পরিবেশপ্রেমী যুবক?

    গত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে কর্নাটকের মহীশূর থেকে তিনি পথ চলা শুরু করেন। ভারতবাসীকে পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও যোগাসনে শরীর সুস্থ রাখার বার্তা দিতে ২৮টি রাজ্যে পায়ে হেঁটে ভ্রমণের (Travel) সিদ্ধান্ত নেন মহীশূরের এই যুবক। কর্নাটকের মহীশূর থেকে পায়ে হেঁটে গত ৬ মাসে ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছেন কৃষ্ণা। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মোট ২ বছরে ২৮ টি রাজ্য পাড়ি দেবেন তিনি। ইতিমধ্যেই পার করেছেন কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ছত্রিশগড়, উড়িষ্যা রাজ্য। যাওয়ার পথে প্রতিটি রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের শেখাচ্ছেন যোগাভ্যাস এবং ছাত্র ছাত্রীদের দিচ্ছেন নিজের জন্মদিনে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ। সিঙ্গুর হয়ে তিনি শৈব তীর্থ তারকেশ্বরে এসে পৌঁছলে, তাঁকে শুভেচ্ছা জানান তারকেশ্বর থানার ওসি অনিল রাজ। তারকেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও ইছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতার বার্তা দেন তিনি।

    কী বার্তা দিলেন তিনি?

    এবিষয়ে কৃষ্ণা নায়েক বলেন, প্রতিদিন হেঁটে আমি ৩০ কিলোমিটার যাই। যোগব্যায়ামের সুবিধা সম্পর্কে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ এর বিষয়ে যুব সমাজকে সচেতন করি। যোগব্যায়াম আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানসিক চাপ কমায়, পাশাপাশি একজন ব্যক্তিকে ভাল শারীরিক গঠনে সহায়তা করে। একসময় আমি মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলাম এবং খুব বেশি ক্রিকেট খেলার ফলে ছাত্রজীবনে পিঠে ব্যথা হয়। ব্যথার জন্য ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করি, তখন তাঁরা সবাই আমাকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি অস্ত্রোপচার করতে ইচ্ছুক ছিলাম না। তাই, আয়ুর্বেদ হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে একজন আমাকে নিয়মিত যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। প্রায় ২ বছরের যোগাসন শেখার পর আমার সেই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে যোগ শেখানোর জন্য কৃষ্ণম যোগ ইনস্টিটিউট স্থাপন করি। এখন সমস্ত বয়সের ৩০ জনেরও বেশি আমার ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ শিখছেন। যোগ ভারতের আদি পরম্পরা, সকলকে সেই বার্তা দিতেই আমার এই দেশ ভ্রমণ (Travel)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে এক মাসের মধ্যে সিঙ্গুরে (Singur) টাটাকে (TATA) এনে শিল্প হবে। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে এবং সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে তোলার দাবিতে আয়োজন করা হয়েছিল ওই সভার। তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, এরকম স্ট্রং অপজিশন গত ১২ বছরে দেখেনি মমতা সরকার। এর আগে সিপিএমের অপজিশন লিডার সূর্যকান্ত মিশ্র ছিলেন, সেটিং করে নিয়েছিলেন। কংগ্রেস ছিল তাকেও সেটিং করা গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপিকে করা যায়নি। তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যদি কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করা যায়, তাঁর অফিসের সবাইকে জেরা করা যায়, তাহলে যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মমতা ব্যানার্জির ওপর কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিবিআই?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিন সভা হয়েছে সিঙ্গুর বিধানসভার অন্তর্গত বড়া হাওয়াখানা ময়দানে। সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ শুভেন্দু যখন জনসভায় পৌঁছন তখন মাঠে উপচে পড়া ভিড়। এদিনের মঞ্চে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, বিধায়ক বিমান ঘোষ, খগেন মুর্মুর মতো বিজেপির হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, কৃষি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে মমতা সিঙ্গুর আন্দোলন করেননি। তিনি সব থেকে বড় সর্বনাশ করে গিয়েছেন টাটার কারখানা ধ্বংস করে। সিপিএমের জমি নীতির বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৮৯৪ সালের ব্রিটিশদের জমি আইন বস্তাপচা ছিল। আমরা কিন্তু শিল্পের পক্ষে। শুভেন্দু বলেন, ১৬ দিন এখানে বসে ড্রামা করে টাটাকে তাড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তাহলে টাটাকে ফুলের মালা পরিয়ে রাজ্যে আনা হবে।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    তিনি বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি ধরা পড়েছে। জলজীবন প্রকল্পকে নিজেদের নামে করতে চায় তৃণমূল সরকার। তিনি বলেন, এখন তৃণমূলের দুয়ারে সিবিআই চলছে। শুভেন্দু বলেন, সর্বভারতীয় তকমা সরতেই মরিয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অমিত শাহজি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে, নিয়ম মেনেই করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে গুন্ডা বলেছেন। ওদিকে তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছেন। বলছেন, ২০২৪ পর্যন্ত আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখা যাবে না? জবাবে অমিত শাহজি স্পষ্ট বলেছেন, আপনি তো ভোট পাননি। সেই নিয়মে আপনি আর সর্বভারতীয় নন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
LinkedIn
Share