Tag: sir

  • Amit Shah: “বাংলায় এসআইআর হবেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অনড় বার্তা অমিত শাহের

    Amit Shah: “বাংলায় এসআইআর হবেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অনড় বার্তা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় এসআইআর হবেই।” এবার মমতাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জবাব দিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা এবং ভুয়ো ভোটারদের ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নিবিড় সংশোধন করবে। আর এই কাজের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দাবি, কেন্দ্র নাকি এসএইআর-কে হাতিয়ার করে এনআরসি করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও নাগরাকাটায় সাফ জানিয়েছেন, এসআইআর-এ (SIR) বাধা দিলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে রাজ্যে।

    জালিয়াতি রুখতে এসআইআর

    প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে নভেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন। ওই রাজ্যে এসআইআর-এর কারণে ৬৭ লক্ষের বেশি অবৈধ নাম বাদ পড়েছে। নির্বাচনের আবহেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রসঙ্গ নিয়ে আজতক সংবাদ মাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “বিহারেও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব একই কথা বলেছিলেন। সেখানেও সকলেই নথি জমা দিয়েছেন। এখন নির্বাচনও হবে। আর একই বিষয় বাংলাতেও হবে। ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়বে, তাই বিরোধীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনে জালিয়াতি রুখতে এসআইআর (SIR) একান্ত প্রয়োজন।” শাহ খুব স্পষ্ট করে বলে দেন বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হবেই।

    ১৯৫৩ সালে এই কাজ শুরু হয়েছে

    বাংলায় এসআইআর ইস্যু নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “দেশে এই প্রথমবার এসআইআর (SIR) হচ্ছে না। ১৯৫৩ সালে এই কাজ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ রাহুল গান্ধির ঠাকুমার বাবার আমল থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের সংবিধান নির্মাতারাই এই ব্যবস্থা তৈরি করে দিয়ে গেছেন। ভোটার তালিকাকে সংশোধন করতেই এই কাজ করা হয়। গত ১০, ১২ এবং ১৭ বছরে অনেক ভোটারদের মৃত্যু হয়েছে। এই সত্য হয়তো রাহুলকে কেউ বলেননি। এমন অনেকে রয়েছেন যারা কাজের জন্য ঠিকানা বদল করে নিয়েছে। এই সমস্ত ভোটারদের নাম বাতিল করা প্রয়োজন। তাই এসআইআর হবেই।”

  • Suvendu Adhikari: এসএইআর করতে না দিলে বাংলায় হবে রাষ্ট্রপতি শাসন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এসএইআর করতে না দিলে বাংলায় হবে রাষ্ট্রপতি শাসন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এসএইআর করতে না দিলে বাংলায় হবে রাষ্ট্রপতি শাসন”, মমতা সরকারের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ঠিক এইভাবেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নাগরাকাটায় বন্যাবিধস্থ এলাকায় ত্রাণ পরিষেবা দিতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য নাগরাকাটায় বন্যাকবলিত মানুষকে ত্রাণ দিতে গিয়ে মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা মারত্মাক ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর থেকেই বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে।

    বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা এবং ভূতুড়ে ভোটার বাদ (Suvendu Adhikari)

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী নাগরাকাটায় গিয়ে বলেন, “বাংলায় এসএইআর করতে না দিলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। নিবিড় সংশোধন হলে তালিকা থেকে বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা এবং ভূতুড়ে ভোটারদের নাম বাদ যাবে। তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় মুসলমানদের নাম বাদ যাবে না। ছাব্বিশে বিজেপি ক্ষামতায় এসে সরকার গড়বে, তারপর বদলাও হবে এবং বদলও হবে।” এদিন এলাকায় ধিক্কার মিছিল করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, “২৬ সালে হলেই সুদে আসলে বদলা হবে। কালী পুজোর পরই বামনডাঙায় অভিযান হবে। সবে তো ট্রেলার দেখিয়েছি, এরপর সিনেমা দেখাব।”

    সময় শেষ হওয়ার আগেই মমতা সরকারের পতন?

    ভোটার তালিকায় সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং মমতা সরকারের নানা স্তরের সংঘাত নজরে এসেছে। এসআইআর নিয়ে খোদ মমতা (Mamata Banerjee) একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন। গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একাধিক আধিকারিকরা বৈঠক করে সবরকম প্রস্তুতি করে গিয়েছেন। কালীপুজোর পর থেকেই রাজ্যে এসআইআর কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু যদি রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনের কাজে বাঁধা প্রধান করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। আর তা যদি আরও প্রকটরূপ ধারণ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিও হয়ে যেতে পারে। ফলে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই মমতা সরকারের পতন হয় কিনা তাই এখন দেখার।

  • Suvendu Adhikari: ২৬-এ বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, কীভাবে? অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ২৬-এ বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, কীভাবে? অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর পরেই বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election) বাদ্যি বাজতে শুরু করেছে। রাজ্য চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রস্তুতি। এসআইআর নিয়ে চলছে বৈঠক। আর মাস সাতেক পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election)। সেই নির্বাচনে বিজেপি কীভাবে জিতবে, অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার কাঁথিতে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে তিনি শাসকদল তৃণমূলকেও তীব্র আক্রমণ করলেন। রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    ৪৬ শতাংশ ভোট পেলেই ক্ষমতায়

    আর দেরি নয়! সোমবার কাঁথির বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের এখনই ‘ঘরে ঘরে সংগঠন গড়ে তোলা’র বার্তা দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিজেপি কীভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে, সেই হিসেবে তুলে ধরে বিজয়া সম্মলিনীর মঞ্চে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে আমরা ৪৬ শতাংশ ভোট পেলেই ক্ষমতায় আসব। সংখ্যালঘুদের ৯৫ শতাংশ ভোট ওরা পায়। ওদের সঙ্গে ৪২ লক্ষ ভোটের ব্যবধান রয়েছে। দরকার ২২ লক্ষ ভোট।” তিনি দাবি করেন, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ কোটি ভোটার বাদ যাবে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “এই প্রক্রিয়ার (SIR) পর ভোটের অঙ্ক অনেকটাই বদলে যাবে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে ২০২৬ বিধানসভা ভোটের রণকৌশল স্পষ্ট হয়ে গেল। এসআইআর প্রক্রিয়া ও ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে তাঁর মন্তব্য, বিজেপি-র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকনির্দেশই দিয়েছে।

    বিশেষ নিবিড় সংশোধনের উল্লেখ

    রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন(SIR) খুব দ্রুত শুরু হতে পারে বলে জল্পনা বেড়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান শুভেন্দু। এদিন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বিএলও-দেরও বার্তা দিলেন শুভেন্দু। বলেন, “বিএলও-দের উপর নজর রাখতে হবে। বিএলও-রা কমিশনের কথা শুনে চলুন। ওদেরও না, আমাদেরও না।” পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপির ফল যে ক্রমশ ভালও হচ্ছে, সেকথা তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরে আমরা ৪৬ শতাংশ। তৃণমূল ৪১ শতাংশ।” তাঁর দাবি, বাংলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ রয়েছে, কাঁটাতার না থাকায় বহু বাংলাদেশি অবৈধভাবে প্রবেশ করে বসবাস করতে শুরু করেছে। এবার তাঁদের নাম সরিয়ে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি হোক, এটাই চান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, বিহারে সরকার সাহায্য করেছে। রাজনৈতিক দলগুলিও কাজ করেছে। ফলে সেখানে ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে (SIR)। এখানে বিস্তির্ণ এলাকায় সন্ত্রাস আছে। রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং ধর্মীয় সন্ত্রাস। এখানে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোককে লেলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সঠিক এসআইআর-এর পর নির্বাচন হলে রাজ্যে ভোটের অঙ্কটাই বদলে যাবে।

    বুথে বুথে হিন্দুদের এক করার আহ্বান

    দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের নিয়ে তিনি কর্মসূচির আয়োজন করবেন বলেও জানান। বুথে বুথে হিন্দুদের এক করার আহ্বান জানালেন। ‘মেরা বুথ সবচেয়ে মজবুত’-র ডাক দিলেন। পুরনো কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশও দেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “যাঁরা একসময় দল গড়েছিলেন, তাঁদের ভুলে গেলে চলবে না। দলের মধ্যে তুই বড় না আমি বড় ছাড়ুন।” এদিন কাঁথির এই সভায় শুভেন্দুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী। ভোটের অঙ্ক ছাড়াও এদিন নারী নিরাপত্তা নিয়েও সরব হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পাড়ায় পাড়ায় অসুর তৈরি হয়েছে। বোনেদের হাতে ত্রিশূল দরকার। মহিলাদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নন, তৃণমূল সরকার কেবলমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধর্ষকদের রক্ষাকারী। সম্প্রতি গণধর্ষণের ঘটনায় যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেও দুর্গাপুর মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী এবং তৃণমূলের যুব নেতা।” এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপি ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের লাভ

    বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী কী সুবিধা দেওয়া হবে, এদিন সেই ইঙ্গিতও দেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষ পাবেন প্রকৃত উন্নয়ন। বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকারি বাসে মহিলারা বিনামূল্যে যাতায়াত করছেন, গ্যাসের দাম কমেছে। বাংলায়ও সংকল্পপত্রে সেই প্রতিশ্রুতিগুলো থাকবে।” তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা— “যতই বাধা আসুক, আমরা লড়ব। বাংলায় পরিবর্তন আসবেই।” শুভেন্দু অধিকারী দাবি করে বলেন, “প্রার্থীকে দেখার দরকার নেই, উপরে মোদিজি আর নিচে পদ্মফুল, এরাই আপনার প্রার্থী। এ লড়াই বাঁচার লড়াই”।

  • Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা পরিবর্তন নিয়ে বিস্ফোরক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ শুধু জন্মহার নয়, বরং পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অনুপ্রবেশই তার মূল কারণ। ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা (Hindu Population) উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে, লক্ষণীয় বৃদ্ধি ঘটেছে মুসলিমদের (Muslim Population)। শাহের দাবি, এই অনুপ্রবেশ দেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।

    পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ জন্মহার নয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ (Inflitartors from Pakistan, Bnagladesh) থেকে অনুপ্রবেশের ফলে মুসলিম জনসংখ্যা ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাঁর কথায়, অনুপ্রবেশ, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যতদিন না দেশের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে যুব সমাজ এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং এর থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতন হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা এবং স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারব না।

    উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক পরিবর্তন

    অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ১৯৫১, ১৯৭১, ১৯৯১ ও ২০১১ সালে ভারতে জন গণনায় ধর্ম ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৯৫১ সালে যখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন তাঁর দল বিজেপি ছিল না। তাঁর কথায়, যদি দেশভাগ না হতো, তাহলে হয়তো ধর্মের ভিত্তিতে জনগণনার দরকার হতো না। কিন্তু যেহেতু দেশভাগ ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল, সে কারণে তৎকালীন শাসকদলের নেতারা ১৯৫১ সালের জনগণনায় ধর্মের উল্লেখকে যথোপযুক্ত মনে করেছিলেন। তিনি জানান, ১৯৫১ সালে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ, মুসলিমদের ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৯ শতাংশে, আর মুসলিমদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.২ শতাংশে। এই পরিসংখ্যানকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে চিহ্নিত করে শাহ বলেন, এটা অনুপ্রবেশের কারণে হয়েছে। এই পরিবর্তনকে ‘উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক’ বলে ব্যাখ্যা করে শাহ বলেন, “এটা জন্মহারের ফল নয়, এটা অনুপ্রবেশের ফল।”

    রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে

    শাহ স্পষ্ট ভাবে বলেন, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ হারে বেড়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৪.৫ শতাংশ হারে। তাঁর দাবি, এই পার্থক্যের মূলে রয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) দাবি, অসমে ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৬ শতাংশ, যা অনুপ্রবেশ ছাড়া অসম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই হার ৪০ শতাংশেরও বেশি, কোথাও কোথাও ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমার পেছনেও অনুপ্রবেশকেই তিনি দায়ী করেন। শাহ বলেন, “এই সমস্যার সমাধান শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়, রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কিছু রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে।”

    অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করতেই হবে

    ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রসঙ্গে শাহ বলেন, এটি কোনও রাজনৈতিক নয়, জাতীয় ইস্যু। “যদি প্রশাসন অনুপ্রবেশকারীকে চিনতেই না পারে, তবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে কীভাবে?” তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে। এই প্রসঙ্গে শাহ সতর্ক করে বলেন, “যদি অনুপ্রবেশকারীরা ভোটার তালিকায় ঢুকে যায়, তারা দেশের নীতি নির্ধারণে অংশ নেবে যা গণতন্ত্রের জন্য হানিকর।” তিনি বলেন, ভারত একটি ভূ-সাংস্কৃতিক জাতি। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ ছিল এক ঐতিহাসিক ভুল। তিনি বলেন, সরকার অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবে, ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করবে। কারণ অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা এবং শহরে দরিদ্র শ্রমিকদের অধিকার হরণ করছে।

  • SIR in Bengal: সাত দিনের সময়সীমা! এসআইআর প্রস্তুতি শেষ করতেই হবে ১৫ তারিখের মধ্যে জানাল কমিশন

    SIR in Bengal: সাত দিনের সময়সীমা! এসআইআর প্রস্তুতি শেষ করতেই হবে ১৫ তারিখের মধ্যে জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দিনের মধ্যে বাংলায় ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR in Bengal) সহ যাবতীয় নির্বাচনী প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবার রাজ্যের (West Bengal) সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই কড়া বার্তা দেয় কমিশনের প্রতিনিধি দল। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বে এদিন বৈঠকও হয়। আর সেই বৈঠকে যে ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে ১৫ অক্টোবরের পরই বাংলায় এসআইআর (SIR) হতে পারে। এই আবহে বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন রাজ্যে এসআইআর হলে চার ধরনের নাম বাদ পড়তে পারে।

    পূর্ব মেদিনীপুরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। কমিশনের নজরে তিন জেলা-পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া। কোলাঘাট অডিটোরিয়ামে তিন জেলার আধিকারিক ও ৫০০ বিএলও-কে নিয়ে বৈঠক করবেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। বেলা দুটো থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার, প্রথমে জেলাশাসক ও ইআরও-দের সঙ্গে বৈঠক হবে। পরে বিএলআরও-দের সঙ্গে বৈঠক হবে। অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, বাঁকুড়া। কারণ এই জেলায় ২০০২-এর ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় বিস্তর ফারাক রয়েছে। অর্থাৎ, যাঁদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল, তাঁদের অনেকেই ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে পাচ্ছেন না। এরকম একাধিক জেলার ক্ষেত্রে এই অভিযোগ উঠলেও, বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা অত্যন্ত বেশি। যে রিজিয়নগুলোতে বেশি অভিযোগ উঠছে, তাতেই সব থেকে বেশি নজর দিচ্ছে কমিশনের প্রতিনিধি দল।

    এসআইআর প্রক্রিয়াকে স্বাগত শুভেন্দুর

    এসআইআর প্রক্রিয়াটিকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মনে করেন, এই প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের স্বার্থে অপরিহার্য। শুভেন্দুর কথায়, ভোটার তালিকা থেকে শুধুমাত্র চার ধরনের নাম বাদ যাওয়ার কথা। মৃত ভোটার, ডাবল বা ট্রিপল এন্ট্রি, ভুয়ো ভোটার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। বিশেষত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, এই প্রক্রিয়া চলার ফলে কোনও ভারতীয় নাগরিক, তিনি যে ধর্ম বা সম্প্রদায়েরই হোন না কেন, তাঁর নাম বাদ যাবে না। বিহারের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু উল্লেখ করেন, সেখানে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাতিল হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, যদি এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তবে এক কোটিরও বেশি মৃত, ভুয়ো এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর নাম তালিকা থেকে বাদ পড়বে। শুভেন্দু বলেন, “মৃত ভোটারের নাম বা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকা গণতন্ত্রের পক্ষে সমীচীন নয়। একটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ত্রুটিমুক্ত করার প্রথম ধাপই হল ভোটার তালিকা সংশোধন করা এবং তাকে ত্রুটিমুক্ত করা।”

    এসআইআর নিয়ে সতর্ক কমিশন

    মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উচ্চপর্যায়ের দল। তাতে রয়েছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিরেক্টর জেনারেল সীমা খান্না, কমিশনের সচিব এসবি যোশী এবং উপ-সচিব অভিনব আগরওয়াল। বুধবার সকালে তাঁদের নেতৃত্বেই হয় রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক। কমিশন সূত্রের খবর, এদিন একে একে সমস্ত জেলার প্রস্তুতির খতিয়ান চাওয়া হয়। কোথায় কতটা কাজ এগিয়েছে, সরেজমিনে সেই ছবি দেখা হয়। এদিনের বৈঠকে বিহারের উদাহরণ টেনে কড়া বার্তা দিয়েছেন জ্ঞানেশ ভারতী। কমিশনের তরফে জানানো হয়, বিহারে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও যদি কেউ গাফিলতি করেন, তা হলে রেহাই নেই।

    কীভাবে হবে কাজ তা-ও স্পষ্ট করল কমিশন

    কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে সমস্ত প্রস্তুতি। সময়মতো বিজ্ঞপ্তি জারি ও ফর্ম বিতরণে যেন কোনও গাফিলতি না হয়, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই অন্তত ৩০ শতাংশ ফর্ম ছাপানোর কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিটি জেলার নিজস্ব পরিকাঠামো ব্যবহার করে সেই ছাপার কাজ করতে হবে। বিহারের মতো এক জায়গা থেকে ফর্ম পাঠানোর পথে হাঁটবে না কমিশন। রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার। তাঁদের জন্য ছাপাতে হবে অন্তত ১৫ কোটিরও বেশি আবেদনপত্র। প্রতিটি ভোটারের জন্য দু’টি করে ফর্ম-একটি ভোটারের হাতে থাকবে, অন্যটি সংগ্রহ করে আনবেন বিএলও। দিল্লি থেকে সফট কপি পাঠানোর পরই ফর্ম ছাপার কাজ শুরু হবে। তার পর সেই ফর্ম বিলি করা হবে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) হাতে। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেগুলি পৌঁছে দেবেন তাঁরাই। ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ থেকে ৩২৯ ধারার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশন একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা, যা বাবাসাহেব আম্বেদকর তৈরি করে গিয়েছেন। তাই কোনও শাসক বা বিরোধী নেতার কথায় নির্বাচন কমিশন চলবে না, কমিশন চলবে সংবিধানের নিয়ম মেনে। শুভেন্দুর কথায়, “একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকাই হল গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ।”

  • SIR: বাংলায় এসআইআর ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা! বুধ-বৃহস্পতিতে রাজ্যে একগুচ্ছ বৈঠক কমিশনের বিশেষ দলের

    SIR: বাংলায় এসআইআর ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা! বুধ-বৃহস্পতিতে রাজ্যে একগুচ্ছ বৈঠক কমিশনের বিশেষ দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ বা এসআইআর (SIR)  নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। পুজো মিটতেই বাংলায় এসআইআর নিয়ে বুধবার বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার রাতে বাংলায় এসেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ টিম। সেই টিমে রয়েছেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী-সহ চার কমিশন কর্তা। বুধ ও বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে কমিশনের বিশেষ টিমের। প্রতিটি জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার, ওসি (ইলেকশন)-দের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার।

    কোথায় কোথায় বৈঠক কমিশনের

    বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) পর ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এরাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এসআইআর (SIR) নিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার রাতে বাংলায় এসেছে কমিশনের বিশেষ টিম। পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিশেষ নজর দিচ্ছে তারা। ওই তিন জেলার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন জ্ঞানেশ ভারতীরা। এছাড়া রাজারহাট-গোপালাপুরে সব আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের কারণে পরিস্থিতি খারাপ। তাই বুধবার সকাল দশটা থেকে উত্তরবঙ্গ বাদে সব জেলার জেলাশাসক, ইলেক্ট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার(ERO)-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন জ্ঞানেশ ভারতীরা। বৈঠক শেষে প্রথমে রাজারহাট-গোপালপুর তারপর বারাসত যাবেন। বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় কোলাঘাটে পৌঁছবেন। সেখানে তিন জেলা-পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    কোন কোন বিষয়ে আলোচনা

    কমিশন সূত্রে খবর, ৮ দফা বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

    ১) ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, বর্তমান তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে কী না, তা দেখা হবে।

    ২) বিএলও নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ

    ৩) বিএলও-দের সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবক চিহ্নিত করা

    ৪) বিএলও-দের কিটে কী কী থাকবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া

    ৫) এসআইআর-এর ফর্ম তৈরি করতে হবে এ-ফোর সাইজের পাতার ম্যাপে

    ৬) সাম্প্রতিককালে ফর্ম ৬ অর্থাৎ ভোটার তালিকায় কত আবেদন জমা পড়েছে, কতজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং কতজন ঠিকানা বদল করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন, তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট তৈরি করা

    ৭) এসআইআর সংক্রান্ত বিস্তারিত ইস্যু

    ৮) বিএলও নিয়োগ বা বুথ পুনর্গঠন নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

    কেন তিন জেলাকে গুরুত্ব

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। তাই এই জেলায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে, বলে অনুমান। সূত্রের খবর, বিজেপি অভিযোগ করেছে, সরকারি কর্মীদের বাদ দিয়ে বেসরকারি কর্মীদের বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার) হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এতে ভোটার তালিকায় গরমিল হতে পারে। এর মধ্যে বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম নিয়ে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি ছিল। কমিশনের আধিকারিক জানাচ্ছেন, বাঁকুড়ায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের অনেকের নাম ২০২৫ সালের তালিকায় পাওয়া যায়নি। সবকিছু খতিয়ে দেখবে কমিশন। সূত্রের খবর, রাজারহাট গোপালপুর নিয়েও তৎপর কমিশন। রাজারহাটের ডিস্ট্রিক্ট অফিসার (ডিইও), আইটি সেল, ইআরও-দের নিয়ে বৈঠক করবে কমিশন। রাজারহাট-গোপালপুর এবং রাজারহাট-নিউটাউন, এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের সব বিএলও-দের নিয়ে বৈঠক আছে। ইতিমধ্যেই সেখানকার ইআরও-দের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কমিশন। বাংলায় এসআইআর-এর (SIR) আগে সবদিক খুঁটিয়ে দেখে এগোতে চায় কমিশন।

  • SIR: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এসআইআর-এর সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে, নির্দেশ কমিশনের

    SIR: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এসআইআর-এর সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে, নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR)। প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুত থাকতে বলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সাফ কথা, ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যেই সব রাজ্যের সিইও দফতরগুলিতে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। দেশজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের চারটি মূল উদ্দেশ্যে। প্রথম) মৃত ভোটারদের নাম বাদ। দ্বিতীয়) একাকধিক জায়গায় একই ব্যক্তির নাম থাকলে বাদ। তৃতীয়) ঠিকানা বদল হয়েছে এমন ব্যক্তির নাম বাদ। এবং চতুর্থ) অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে নিবিড় সংশোধন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এই কাজের জন্যই রণংদেহি মুডে ময়দানে নেমে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকেই শুরু এসআইআর

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (SIR) কাজ শুরু হবে। তাই চলতি মাসের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিইও-দের প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও করেছে। সেখান থেকেই রাজ্যগুলিতে ১০-১৫ দিনের এসআইআর-এর কাজের সবরকম প্রস্তুতিকে শেষ করার কথা বলা হয়েছিল। এইবার দিনক্ষণ বেধে দিয়ে চূড়ান্ত সময়ে প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০৩ সালে

    কমিশন আরও জানিয়েছে, গতবারের এসআইআর-এর (SIR) সাপেক্ষে প্রত্যেক রাজ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের দফতরে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০৩ সালে, দিল্লিতে হয়েছিল ২০০৮ সালে, উত্তরাখণ্ডে হয়েছিল ২০০৬ সালে। ইতিমধ্যে কমিশন ১১টি নথি দিয়ে ভোটারদের নাম তোলার বিষয়কে নিশ্চিত কোর্টে বলা হয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্ট আধারকে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। যদিও মামলার আগামী শুনানি অক্টোবরের প্রথমে হলে আধার গ্রহণ হবে কিনা চূড়ান্ত হবে।

    অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ভোট দিতে না পারে

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই নির্বাচনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ভোট দিতে না পারে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী না হতে পারে, তা নিয়েও কমিশন আগেই কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে সমীক্ষার (SIR) মূল উদ্দেশ্য ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে নাম তোলা হবে। অপারেশন সিঁদুরের পর গোটা দেশজুড়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা এবং পাকিস্তানিদের ব্যাপক ভাবে ধরপাকড়ের খবর উঠে আসছে। আর তাই কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনে ব্যাপক তৎপর।

  • SIR in Bengal: রাজ্যের আধিকারিকদের দ্রুত প্রস্তুতির নির্দেশ, চলছে প্রশিক্ষণ! পুজোর পরেই রাজ্যে শুরু এসআইআর

    SIR in Bengal: রাজ্যের আধিকারিকদের দ্রুত প্রস্তুতির নির্দেশ, চলছে প্রশিক্ষণ! পুজোর পরেই রাজ্যে শুরু এসআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR in Bengal) আবেদনপত্র (Enumeration Form) ছাপানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক(CEO) মনোজ কুমার আগরওয়াল। রাজ্যে মোট ভোটারের দ্বিগুণ ফর্ম ছাপানো হবে। সিইও দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১৫ কোটি ফর্ম ছাপানো হবে। এত সংখ্যক ফর্ম একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ছাপানো সম্ভব নয়। তাই কোন কোন জেলায় ফর্ম ছাপানো যাবে, সেই তথ্য জানতে চাইল সিইও দফতর। মঙ্গলবার এসআইআরের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের একটি প্রশিক্ষণও দেন সিইও মনোজ আগরওয়াল। সেখানেই এই নির্দেশ দেন তিনি।

    আবেদনপত্র ছাপানোর নির্দেশ

    সিইও-র দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে এখন প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার রয়েছেন। তার দ্বিগুণ সংখ্যক ফর্ম (SIR in Bengal) ছাপানো হবে। এক জন ভোটারের জন্য ছাপানো হবে দু’টি করে আবেদনপত্র। একটি থাকবে ভোটারের কাছে। অন্যটি বুথ লেভেল আধিকারিকরা (বিএলও) নিয়ে আসবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিটি ভোটারের নাম-সহ তথ্য দেওয়া ফর্ম অনলাইনে আসবে। সেই সব ফর্ম এলেই ছাপানোর কাজ শুরু করতে হবে। এত সংখ্যক ফর্ম একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ছাপানো সম্ভব নয়। তাই কোন কোন জেলায় ফর্ম ছাপানো যাবে, সেই তথ্য রাজ্যের আধিকারিকদের কাছে জানতে চেয়েছে সিইও-র দফতর। সিইও-র দফতর জানিয়েছে, কোনও জেলায় ছাপানোর ব্যবস্থা না-থাকলে কলকাতা থেকেই আবেদনপত্র ছাপিয়ে তা ওই জেলায় পাঠানো হবে। সিইও দফতর জানাচ্ছে, বিহারের ক্ষেত্রে একটি জায়গা থেকেই ফর্ম ছাপানো হয়েছিল। এখানে জেলায় জেলায় ফর্ম ছাপানোর কাজ হবে। কারণ, দ্রুত কাজ করতে হবে।

    আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ

    আবেদনপত্র (SIR in Bengal) ছাপানো হলেই পঞ্চায়েত স্তরে তা পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ২০২৫ এবং ২০০২ সালের তালিকা মিলিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এর পরে রাজ্যের প্রায় দু’কোটির বেশি পরিবারের সদস্যদের নাম, তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে। এই শনাক্তকরণের কাজ হলেই এসআইআর সংক্রান্ত কাজের ৭০ শতাংশ শেষ হয়ে যাবে। বিহারের চেয়ে আবেদনের ফর্মে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। বিহারের মতোই ফর্মের তথ্য প্রায় ৯৫-৯৭ শতাংশ একই থাকবে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেন। বিহারে কী ভাবে এই প্রক্রিয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে রাজ্যের প্রায় চার হাজার আধিকারিক যোগ দেন। প্রশিক্ষণে ছিলেন ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এইআরও (অ্যাসিসট্যান্ট ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এডিএম এবং কয়েক জন জেলাশাসক। পুজোর আগে ৭৫ হাজার বুথ লেভেল অফিসারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সিইও দফতর জানিয়েছে, আগামী ২১-২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে।

  • SIR: বাংলায় এসআইআর শুরুর প্রস্তুতি, ভোটার ম্যাপিংয়ের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    SIR: বাংলায় এসআইআর শুরুর প্রস্তুতি, ভোটার ম্যাপিংয়ের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এসআইআর-এর (SIR) লক্ষ্যে আরও একধাপ এগলো নির্বাচন কমিশন। এবার রাজ্যের ভোটার তালিকার মূল্যায়ন শুরু করতে চলেছে তারা। এ রাজ্যে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের ওয়েবসাইটে সেই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই ভোটার তালিকার সঙ্গে এবার মিলিয়ে দেখা হবে রাজ্যের বর্তমান ভোটার তালিকা -কমিশনের ভাষায় ‘ম্যাপিং অফ ইলেক্টর’ (Voter Mapping)।

    ‘ম্যাপিং অফ ইলেক্টর’ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ (SIR)

    ১০ অগাস্ট দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সিইওদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সিইও মনোজ আগরওয়াল। ওই বৈঠকেই ‘ম্যাপিং অফ ইলেক্টর’ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। সেই মতো এই প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে সিইও অফিস। মূলত, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজ করবেন বুথ লেভেল আধিকারিকরা। এদিকে, ১৭ সেপ্টেম্বরই রাজ্যে আসছেন সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করতে পারেন তিনি। অন্য একটি সূত্রের খবর, ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে রাজ্যের এসআইআর প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা। ২০ তারিখে দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন তিনি।

    সারা দেশেই এসআইআর চালু

    বিহারের পর এবার সারা দেশেই এসআইআর চালু করার পথে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব রাজ্যকে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। অক্টোবরে জারি করা হতে পারে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। তার পরেই শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। যদিও ঠিক কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে, তা জানা যায়নি। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের (SIR) তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রস্তাব দেন, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে রেশন কার্ড এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকেও নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি হিসেবে গ্রহণ করা হোক। রাজ্যের দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের সাফ কথা, আধার কার্ডের পরে আর কোনও নথি গ্রহণ করা হবে না। সারা দেশেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

    এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর হবে আগে

    সামনেই রয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ পার্বণ দুর্গাপুজো। তাই এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ শুরু হবে পুজোর পরে। যদিও নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতেও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। অক্টোবরের প্রথম দিকেই শেষ দুর্গাপুজো। কালীপুজো-ভাইফোঁটার পর্ব চুকতে আরও দিন পনেরো। তার পরেই জোরকদমে (Voter Mapping) শুরু হয়ে যাবে এসআইআর প্রক্রিয়া। কারণ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে এই রাজ্যগুলিতে (SIR)।

  • SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর পরেই দেশ জুড়ে শুরু হতে পারে এসআইআর। আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী। এর পরে রয়েছে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে দেশ জুড়ে ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর (SIR) শুরু করতে পারে তারা। সূত্রের খবর, বিহার নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর শুরু হয়ে যেতে পারে। বুধবার, কনফারেন্স কাম ওয়ার্কশপে মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এসআইআর নিয়ে তাদের প্রস্তুতি কতটা। তাতে অধিকাংশ আধিকারিকই জানান যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রাউন্ডওয়ার্ক শেষ হয়ে যাবে। অক্টোবরেই এসআইআর শুরু হতে পারে।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনে বৈঠক

    বুধবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। অপর নির্বাচন কমিশনারেরা এবং নির্বাচন কমিশনের অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন। ওই বৈঠকে এসআইআর নিয়ে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখা হয়। সাড়ে তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেন যা এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় ভোটারদের তথ্য যাচাইয়ে গণ্য করা হবে। যেমন উত্তর-পূর্বের রাজ্য বা উপকূল অঞ্চলে যেখানে আদিবাসী জনসংখ্যা বেশি, সেখানে তাদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বাসস্থানের সার্টিফিকেট বা জনজাতি পরিচয়ের সার্টিফিকেট গণ্য করা হবে।

    বাংলায় দু-দশক পরে এসআইআর

    আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে শেষ এসআইআর হয়েছিল। ২০০২ সালের এসআইআর অনুসারে ভোটার তালিকা আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে এলাকাভিত্তিক সেই তালিকা ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। এ বার দু’দশকেরও বেশি সময় পরে পশ্চিমবঙ্গে ফের এসআইআর শুরু করতে উদ্যোগী কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জনের উদ্দেশ্য হল ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া। এছাড়া যারা ঠিকানা বদল করেছেন বা একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে কিংবা ভারতীয় নাগরিকের প্রমাণ নেই, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    কীভাবে হবে এসআইআর

    বিহারের পর এবার সারা দেশে চালু হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (Special Intensive Revision)। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সব রাজ্যকে। অক্টোবরে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। তারপরই শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও দিনক্ষণ এখনও জানায়নি কমিশন। দিল্লিতে কমিশনের পক্ষ থেকে এদিনের বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। তবে দেশজুড়ে একযোগে এই প্রক্রিয়া চালু হবে নাকি যেসব রাজ্যে আগামিবছর বিধানসভা ভোট রয়েছে, সেখানে আগে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বাংলায় প্রস্তুতি প্রায় শেষ

    পাঁচ রাজ্য—পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম, কেরল ও পন্ডিচেরি—আগামী বছরে ভোট, ফলে এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর আগে চালু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর জন্য রাজ্য প্রস্তুত। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও কর্মীবাহিনীও প্রস্তুত রেখেছে তারা। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “২০০২ সালে বাংলায় ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল। এবার অতীতের সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আরও বেশি স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতির মাধ্যমে তালিকা সংশোধনের কাজ হবে।”

    অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা

    এই ভোটার তালিকার নিবিড় ও বিশেষ সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য হল বিদেশি অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা করে তাদের নিজেদের দেশে ফেরৎ পাঠানো। বাংলাদেশ ও মায়ানমার-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে এই পদক্ষেপটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। অবশেষে, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার অখণ্ডতা রক্ষার জন্য তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে দেশজুড়ে এসআইআর চালু করতে চলেছে। সারা দেশে এসআইআর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে ঘরে ঘরে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন, বলে জানিয়েছেন। কোনও সঠিক ভোটদাতার নাম বাদ পড়বে না বলেও আশ্বস্ত করেছে কমিশন।

LinkedIn
Share