Tag: sir

  • SIR In Bengal: রাজ্যে ৮৫ লক্ষের বাবার নামে গলদ! দেড় কোটিরও বেশি ভোটারের তথ্য যাচাইয়ে নামছে কমিশন

    SIR In Bengal: রাজ্যে ৮৫ লক্ষের বাবার নামে গলদ! দেড় কোটিরও বেশি ভোটারের তথ্য যাচাইয়ে নামছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শেষ হয়েছে এনুমারেশন প্রক্রিয়া। এনুমারেশন ফর্মের তথ্য দেখে চোখ কপালে উঠেছে কমিশনের। কোথাও ভোটারের চেয়ে তাঁর বাবা বা মা মাত্র ১৫ বছরের বড়। কোথাও আবার ঠাকুরদা বা ঠাকুরমার চেয়ে ভোটার ৪০ বছরেরও ছোট নয়। মাঝে এক প্রজন্ম ব্যবধানের পরেও বয়সের ফারাক ৪০ বছরের কম। কোথাও ভোটারের সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের বয়সের ফারাক ৫০ বছরেরও বেশি। আবার অনেক জায়গায় বদলে গিয়েছে বাবার নামই। দেখা গিয়েছে রাজ্যে ৮৫ লক্ষ ভোটারের বাবার নামে গলদ। সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের বাবা-মায়ের নাম এক।

    বাবার নামে গলদ

    কমিশন সূত্রে খবর, মোট ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ ভোটারের তথ্যে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ওই তথ্যগুলি যাচাই করে দেখা হবে। যেমন, বহু ক্ষেত্রে ৬ জনেরও বেশি ভোটার এনুমারেশন ফর্মে বাবার নাম একই উল্লেখ করেছেন। এমন ২৪ লক্ষ ২১ হাজারেরও বেশি ভোটারকে চিহ্নিত করেছে কমিশন। বর্তমান সমাজব্যবস্থার প্রেক্ষিতে এনুমারেশন ফর্মের তথ্যগুলি সন্দেহজনক ঠেকছে কমিশনের। ১৫ বছরের কম বয়সে বাবা হয়েছেন, এরকম সংখ্যা ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার। ৪০ বছরেরও কম বয়সে ঠাকুরদা হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার। বিস্তারিত যদি তথ্যগুলো যাচাই করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির নাম বাবা – মা হিসেবে এসেছে। অর্থাৎ পরিবারে একজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম যা ওই পরিবারে, আরেকজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম মায়ের জায়গায় এসেছে। এরা প্রত্যেকেই বৈধ ভোটার কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।

    ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই কেন

    কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে এমন বহু ভোটার রয়েছেন যাঁদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি, অথচ ২০০২ সালের তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। এমনও ২০ লক্ষ ৭৪ হাজার ভোটারকে চিহ্নিত করেছে কমিশন। এই ভোটারদের বয়স এখন যদি ৪৫ বছরও হয়, তা-ও ২০০২ সালে তাঁদের বয়স হওয়ার কথা অন্তত ২২ বছর। সে ক্ষেত্রে তাঁদের নাম কেন ওই সময়ের ভোটার তালিকায় ছিল না, তা খতিয়ে দেখতে চায় কমিশন। যদিও কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, নামের বানান ভুল থাকলে সেগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে যে সব ফর্মে উল্লেখ্যযোগ্য বদল দেখা যাচ্ছে, সেগুলিকেই মূলত যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের এক বুথে কোনও এক ভোটারের বাবার নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল নিরঞ্জন। এখন তা বদলে হয়ে গিয়েছে নিরাপদ। এই ধরনের বদলগুলিকেই বেশি করে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    লিঙ্গের তথ্যেও অমিল

    ১৩ লক্ষেরও বেশি ভোটারের লিঙ্গের তথ্যেও অমিল ধরা পড়েছে এনুমারেশন ফর্মে। সব মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ ভোটারের তথ্য যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশন নিযুক্ত বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)-এরা এই তথ্য যাচাই করার জন্য পুনরায় সন্দেহের তালিকায় থাকা এই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। সূত্রের খবর, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাইয়ের পরেও কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকলে ওই ভোটারদের কমিশনের শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে রোল অবজারভারদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    সরব বিরোধীরা

    এই তথ্য সামনে আসার পরই স্বাভাবিকভাবে সরব বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলেন, “পুরোটাই আসলে ভেজাল। ভোটে জেতার জন্য বিভিন্ন সময়ে বামেরা, তারপর তৃণমূল সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। আসল ভোটারদের ভোট দিতে দেননি। ১৫ বছরে যারা বাবা হয়েছে, তারাই আসলে ভূতুড়ে ভোটার হয়ে এইসব লোকদের জিতিয়ে এসেছে।” কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে ৯৯.৯৬ শতাংশ ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। এসআইআর প্রক্রিয়ায় দেখা গেছে, রাজ্যে অনুপস্থিত, মৃত, স্থানান্তরিত বা একাধিক স্থানে তালিকাভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৫৮ লক্ষের বেশি। আপাতত এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তথ্য যাচাই শেষ হওয়ার পর ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে, ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নির্ভুল রাখার জন্য যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন ও এসআইআর প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত সকল তথ্য খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

  • SIR in Bengal: খসড়া তালিকা থেকে বাদ ৫৮ লাখের বেশি নাম! শুনানির জন্য ডাকা হবে কাদের?

    SIR in Bengal: খসড়া তালিকা থেকে বাদ ৫৮ লাখের বেশি নাম! শুনানির জন্য ডাকা হবে কাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শেষ হল এনুমারেশন প্রক্রিয়া। রোজই একটু একটু করে লম্বা হচ্ছিল তালিকাটা। বাড়তে বাড়তে এবার ৫৮ লক্ষ ছাপিয়ে গেল রাজ্য়ে আনকালেক্টেড ফর্মের সংখ্যা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ৯৯.৯৬ শতাংশ ডিজিটাইজেশনও হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে পশ্চিমবঙ্গে। সেই তালিকায় কোনও অভিযোগ থাকলে, ত্রুটি থাকলে কমিশনকে জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে হবে শুনানি।

    বাদ পড়া ভোটারের কে কোন বিভাগে 

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এনুমারেশন পর্ব শেষে মোট ৫৮ লক্ষ ৮ হাজার ২০২ জনের নাম বাদ পড়তে চলেছে। খসড়া তালিকাতে এই পরিসংখ্যানে সামান্য হেরফের হতে পারে। তবে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। কমিশন সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। এ ছাড়া, ১২ লক্ষ ১ হাজার ৪৬২ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কোনও ভোটারের খোঁজে সংশ্লিষ্ট বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও) যদি তাঁর বাড়ি থেকে তিন বার বা তার বেশি ঘুরে আসেন, কিন্তু ওই ভোটারের খোঁজ যদি তার পরেও না-পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে তাঁদের নিখোঁজ তালিকায় রাখা হয়। পশ্চিমবঙ্গের খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়া ভোটারের সংখ্যা ৫০ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল আগেই। মৃত, স্থানান্তরিত এবং নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেল। এ ছাড়া, এ রাজ্যে মোট ১৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৭ জন ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। ফলে একটি জায়গায় রেখে বাকি জায়গা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৭৫ জন ভোটারকে কমিশন ‘ভুয়ো’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তাঁদের নামও খসড়া তালিকায় থাকবে না। এ ছাড়া, আরও ৫৭ হাজার ৫০৯ জনকে রাখা হয়েছে ‘অন্যান্য’ তালিকায়। তাঁরাও বাদ পড়তে চলেছেন।

    কীভাবে ভোটারদের শুনানিতে ডাকা হবে

    সূত্রের খবর, ভোটারদের মোট তিনটি তালিকায় ভাগ করেছে কমিশন— নিজস্ব ম্যাপিং, প্রজেনি ম্যাপিং এবং নন-ম্যাপিং। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় (রাজ্যে শেষ বার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে) যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা নিজস্ব ম্যাপিংয়ের তালিকায় পড়ছেন। এমন ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৮৮ জন ভোটারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় না-থাকলেও বাবা-মা বা আত্মীয়ের নাম আছে, তাঁরা প্রজেনি ম্যাপিং তালিকায় রয়েছেন। রাজ্যে তেমন ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৩৯ জন। এ ছাড়া, ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, যাঁদের নিজেদের নাম বা আত্মীয়ের নামও ২০০২ সালের তালিকায় নেই। তাঁরা নন-ম্যাপিং তালিকাভুক্ত। এই তৃতীয় তালিকার সকলকেই কমিশনের তরফে শুনানিতে ডাকা হবে। তাঁদের তথ্যপ্রমাণ, নথি যাচাই করে দেখা হবে। এ ছাড়া, প্রথম দুই তালিকার ভোটারদের মধ্যে কারও তথ্যে সন্দেহ থাকলে তাঁদের শুনানিতে ডাকা হতে পারে। সব দেখে শুনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।

  • Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে দু’দিনের আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে অনুপ্রবেশ প্রশ্নে সরব হলেন অমিত শাহ (Amit Shah on SIR)। কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা কবচ দিতেই এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সরব। এমনই দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘একজনও বিদেশিকে ভোট দিতে দেব না। আমাদের নীতি হল, ডিকেক্ট, ডিলিট অ্যান্ড ডিপোর্ট।’’ একই সঙ্গে ২২১৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এখনও ৫৬৩ কিলোমিটার বেড়া না হওয়ায় দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই।

    ভিনদেশিরা কেন ভোট দেবেন?

    লোকসভায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) আলোচনা-পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীরা কেন এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করছেন? ভিনদেশি ভোটারদের কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে? কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে? বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘‘এসআইআর আর কিছু নয়, এটা স্রেফ ভোটার তালিকার সংশোধন। আমি মেনে নিচ্ছি যে এটার কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ঘা লাগবে। ওই দলগুলির প্রতি একদিক থেকে আমার সহানুভূতিও আছে। কারণ দেশের ভোটাররা তো ভোট দেন না। কয়েকটি ভোট বিদেশিরা দিয়ে দিতেন, সেটাও চলে যাবে। কিন্তু ভারতীয় হিসেবে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এই দেশের সাংসদদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে, রাজ্যের বিধায়কদের নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের ভোটাধিকার দেওয়া উচিত কি? আমাদের মতে, সেটা দেওয়া উচিত নয়।’’

    ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষ কেন?

    নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন যে বিজেপিও নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেনি। এখন মমতা, হেমন্ত সোরেন, এমকে স্টালিনরাও কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আগে শুধু কংগ্রেস সেই কাজটা করত। কিন্তু বন্ধুত্বের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে ইন্ডি জোটের দলগুলিতেও। তারইমধ্যে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপরে চটে যান শাহ। বুধবার লোকসভায় শাহ অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীরা এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। বুধবার লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বাংলার সীমান্তে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তোলেন। রাজ্যের দিকে অনুপ্রবেশকারী তোষণের অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন শীঘ্রই পূর্ণ হবে

    পাশাপাশি, ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূর্ণ হবে বলেই এদিন বার্তা দিলেন শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্য়ে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ। কিন্তু ৫৬৩ কিলোমিটার এখনও বাকি। অসম, ত্রিপুরায় কাজ শেষ। শুধু বাংলা এখনও বাকি।’ এই কাঁটাতার না বসানোর নেপথ্যে অনুপ্রবেশকারী তোষণকেই দায়ী করেছেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘রাহুলের মতো অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তৃণমূলেরও ওদের মতোই অবস্থা হবে। বিজেপি জয় ছিনিয়ে নেবে।’ অবশ্য শুধু অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই থেমে থাকেননি শাহ। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে আলোচনায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের কথায়, ‘এসআইআর বিরোধিতা করলে বিহারের মতো বাংলা-তামিলনাড়ুতেও সাফ হয়ে যাবে।’

    রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র বিতর্ক

    এর পাশাপাশি বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর অতীতে করা অভিযোগেরও এদিন জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেস সাংসদ হরিয়ানায় ভোটচুরির অভিযোগও করেছিলেন। এই নিয়ে রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। রাহুল সংসদে দাঁড়িয়ে শাহকে সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ বলেন, ‘‘সংসদ এভাবে চলবে না। আমি যে ক্রমে কথা বলব তা আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি ৩০ বছর ধরে বিধানসভা এবং সংসদে নির্বাচিত হয়েছি। সংসদীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা শাহের

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে ভোটচুরি প্রসঙ্গে এদিন শাহ বলেন, ‘‘আপনার পরিবার ভোটচোর। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসের অন্দরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ২৮টি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সমর্থন পেয়েছিলেন, যেখানে নেহরু পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি। কিন্তু প্যাটেলের বদলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নেহরু। এটিই ছিল দেশের প্রথম ভোটচুরি।’’ নেহরু প্রসঙ্গের পরে জরুরি অবস্থার কথা টেনে শাহ নিশানা করেন ইন্দিরাকে। তিনি বলেন, ‘‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল। তখন তিনি গদি বাঁচাতে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। এটি ছিল গণতন্ত্রের উপর আঘাত এবং ভোটচুরির দ্বিতীয় নির্লজ্জ উদাহরণ।’’ তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীও। শাহ অভিযোগ করেন, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘সোনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগে কী ভাবে ভোটার হয়েছিলেন? ভোটচুরির এই তৃতীয় উদাহরণটি সম্প্রতি দেওয়ানি আদালতেও গিয়েছে।’’

  • SIR in Bengal: রাজনৈতিক এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক, বাংলায় মৃত-ভুয়ো ভোটার কত? তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন

    SIR in Bengal: রাজনৈতিক এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক, বাংলায় মৃত-ভুয়ো ভোটার কত? তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার কাজ শেষ। এসআইআর-এর মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত মৃত, স্থানান্তরিত এবং অনুপস্থিত বা নিখোঁজ ভোটারের যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টের হাতে তুলে দিতে বলল নির্বাচন কমিশন। ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, এনিউমারেশন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি পোলিং স্টেশন পুনর্বিন্যাসের কাজও শেষ হচ্ছে এ দিন।

    রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক

    বুধবার রাজ্যের সিইও দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মৃত, ভুয়ো, অনুপস্থিত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কোন বুথে কত মৃত, স্থানান্তরিত, অনুপস্থিত ও ভুয়ো ভোটার রয়েছেন তার তালিকা তৈরি করছেন বিএলও-রা। কাজ শেষ হয়ে গেলেই তাতে বিএলও ও বিএলএ স্বাক্ষর করবেন। তার পরে বিএলও অ্যাপের নতুন অপশন ‘BLO-BLA MOM’-এ সেই তালিকা আপলোড করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছে কমিশন।

    বিহারের নিয়মেই বাংলায় এসআইআর

    বিহারের এসআইআরে যে নিয়ম মানা হয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও তা মানতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বুধবার কমিশনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের বলা হয়েছে, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই মৃত, স্থানান্তরিত এবং নিখোঁজদের তালিকা বিএলএ-দের দেখাতে হবে। প্রতি রাজনৈতিক দল যে কর্মীদের এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করেছে, তাঁদের হাতে তালিকা তুলে দেওয়া হবে। যাঁরা একাধিক বার ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, একটি জায়গার তালিকায় তাঁদের নাম রেখে বাকি জায়গা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, যাঁদের বাড়িতে তিন বার বা তার বেশি গিয়েও বিএলও ফিরে এসেছেন, যাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি, তাঁদেরও নাম খসড়া তালিকায় থাকবে না।

    বৈধ ভোটার যাতে তালিকা থেকে বাদ না-পড়েন তাই বৈঠক

    পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। মোট পাঁচ লক্ষ বিএলও এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। এ ছা়ড়া, বিভিন্ন দলের বিএলএর সংখ্যা ১২ লক্ষেরও বেশি। কমিশন জানিয়েছে, বুথ স্তরে এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএলওরা। তাতে প্রাথমিক ভাবে খসড়ায় কোনও ভুল থাকলে তা ধরা পড়বে এবং সংশোধন করে নেওয়া যাবে। কোনও বৈধ ভোটার যাতে তালিকা থেকে বাদ না-পড়েন, তা নিশ্চিত করতেই বিএলও-বিএলএ বৈঠক প্রয়োজন, জানিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে আনকালেক্টেবল এনিউমারেশন ফর্মের সংখ্যা প্রায় ৫৭ লক্ষ। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ প্রায় শেষ

    প্রসঙ্গত, মূলত চারটি ক্ষেত্রে একটি ফর্ম ‘আনকালেক্টবল’ থাকে। যদি কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়ে থাকে, দ্বিতীয়ত যদি কোনও ভোটারের দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকে, তৃতীয়ত যদি কোনও ভোটার নিখোঁজ থাকেন এবং চতুর্থ হল যদি কোনও ভোটার পাকাপাকিভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে যান। ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকা ত্রুটিভুক্ত করতে রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআর। কাজে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে তা নিশ্চিত করতে বারবার বৈঠক করছে কমিশন। বাংলা-সহ যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর হচ্ছে সেখানে অবর্জাভার পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা খতিয়ে দেখছে পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৩,৭৪,৪৬০ জন অনুপস্থিত ভোটারের একটি তালিকা বিএলও-দের কাছে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজও প্রায় শেষ। এর পরে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই মৃত, ভুয়ো, অনুপস্থিত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

    তালিকা কোথায় দেখবেন?

    নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জেলা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং বুথ ভিত্তিক মৃত-ভুয়ো-স্থানান্তরিত-অনুপস্থিত ভোটারদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই তালিকা দেখা যাবে ডিইও-এর ওয়েবসাইটে। পাশাপাশি রাজ্যের সিইও-এর ওয়েবসাইটেও তালিকা দেখতে পারবেন ভোটাররা। কোনও ভোটার চাইলে নিজের এপিক নম্বর দিয়েও সার্চ করতে পারবেন। মৃত, ভুয়ো, অনুপস্থিত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের তালিকার পরে আগামী ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এই সংক্রান্ত দাবিদাওয়া এবং অভিযোগ জানানো যাবে ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা, বিতর্কের নিষ্পত্তি করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

     

     

     

     

  • SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর প্রক্রিয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। ওই তালিকা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক অফিস এবং ডিইও অফিসে টাঙানো থাকবে। সূত্রের খবর ওই দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে যাচাই ও শুনানি (SIR Verification and Hearing) পর্ব‌। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব। এরই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে হবে। এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা পর্যন্ত সেই সব ভিডিয়ো সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন।

    শুনানি পর্ব- নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন

    বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, এনুমারেশন পর্ব (Enumeration Phase) শেষ হচ্ছে। ঠিক চার দিন পরে, ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপরই শুরু হবে শুনানি পর্ব- এই প্রস্তুতি নিতে আজ থেকেই কমিশন তৎপরতা শুরু করেছে। কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট ফর্মের ৯৯.৭৫ শতাংশ ডিজিটাইজ করা হয়েছে, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৮১টি ফর্ম অনলাইনে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এখনও ৯ হাজার ৬৩টি এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ করা যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আবহে এখনও পর্যন্ত বাদ যেতে পারে ৫৭ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই তথ্যই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই সংখ্যাটা বাড়ছে। রিপোর্টে দাবি করা হল, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা ৫৭ লক্ষ ১ হাজার ৫৪৮।

    আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে

    কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত আনকালেক্টবল ফর্মের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ আট হাজার ৫৭৪। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৯৩, নিখোঁজ ভোটার ১১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৪৩, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৩২, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭০৬। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও বেশ কিছু জায়গায় আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হয়নি। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    জাল নথি পেশ করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে

    অন্যদিকে, ২০০২ সালের পুরনো ভোটার তালিকার সঙ্গে মিল না থাকায় এখন রাজ্যে প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ ‘আনম্যাপড’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই, তাদের সবাইকে শুনানির মুখোমুখি হতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়া মাত্র সংশ্লিষ্ট ইআরও (ইলেকশন রিটেনিং অফিসার) নোটিস পাঠাতে শুরু করবেন। নোটিস পেলে নির্দিষ্ট দিন ওই অফিসে গিয়ে কমিশনের নির্ধারিত ১১টি নথি-র মধ্যে কমপক্ষে একটি দেখাতে হবে। যারা প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারবেন না, তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবে। এছাড়াও, এমন অনেক ভোটার আছেন, যাদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় থাকলেও কমিশন ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদেরকেও শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে তাদের ফর্মে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে এবং কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। কমিশন একথাও মনে করিয়ে দিয়েছে, এসআইআরে যদি কেউ জাল নথি পেশ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে। তথ্যের জালিয়াতির অভিযোগে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।

    সিসিটিভি-র নজরদারিতে শুনানি পর্ব

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন যে শুনানি পর্ব যেন সিসিটিভি-র নজরদারিতে হয়। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি ছিল যে, সম্পূর্ণ শুনানি পর্ব মাইক্রো অবজার্ভারদের উপস্থিতিতে করতে হবে। প্রথম বিষয়টি অর্থাৎ সিসিটিভির নজরদারি কমিশন মেনে নিলেও দ্বিতীয় বিষয়টি অর্থাৎ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে এখনও কমিশন (ECI) কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশনের দফতর থেকে জেলাগুলিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘যাচাই ও শুনানি’ পর্ব শুধু এবং শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই করতে হবে। অন্য কোনও সরকারি বা বেসরকারি অফিসে এই শুনানি করা যাবে না। সেই সঙ্গে সঙ্গে এটাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এই পুরো যাচাই এবং শুনানি পর্ব, বিশেষ করে শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং ও ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত এই এসআইআর পর্ব শেষ হয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (Voter List) প্রকাশ করা হচ্ছে অথবা কমিশন নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। কমিশন মনে করছে, এভাবে কাজ করলে আশা করা যায় খসড়া থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়া পর্যন্ত পুরো কাজ নির্ভুল হবে।

  • SIR: এসআইআরে জাল তথ্য-নথি দিলেই সাত বছরের জেল! কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের

    SIR: এসআইআরে জাল তথ্য-নথি দিলেই সাত বছরের জেল! কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরে (SIR) জাল নথি দিলে সাত বছরের জেল হতে পারে। ভুয়ো ভোটারদের আটকাতে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন মিশন। গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-এর দফতর লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে এসআইআরে কেউ নথি জাল করলে জমা করলে আইন মেনে সাজা হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করা হতে পারে। কমিশন এসআইআর-এর কাজে বিএলও-দের সঠিক তথ্য দিয়ে ডিজিটাইজেশনের কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে। মৃত, অবৈধ ভোটার বা স্থানান্তরিত হয়েছে এমন নাম যদি নিবিড় তালিকায় থাকে তাহলে কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভুল কাজ করলে কমিশন (Election Commission) কোনও ভাবেই মেনে নেবে না।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ

    নির্বাচন কমিশনের (SIR) তরফে বলা হয়েছে, “ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি ভোটার কার্ড, জন্ম, বিবাহ, মৃত্যুর শংসাপত্র, আদালতের নথি, সরকারি অফিসের নথি, কোনও সরকারি কর্মচারীর প্রদত্ত শংসাপত্র, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে জাল প্রমাণপত্র জমা করে থাকেন তাহলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেলা এবং জরিমানা হতে পারে। এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার থাকবে।”

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় স্ক্যান হবে

    এসআইআর (SIR) প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল শাসকের দিকে অভিযোগ তুলে বিজেপি বার বার বলেছে, ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন করার ঝাড়াই-বাছাই-এর কাজে সুযোগ বুঝে অনুপ্রবেশকারী বা ভুয়ো ভোটারদের নাম তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই রাজ্যে বাংলাদেশিরা জাল নথি দিয়ে নিজেদের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করছেন। এরপর দিব্যি নিশ্চিন্তে বসবাস করছেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্যকে নিজের বাবা-মায়ের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ ব্যবহার করছেন। আবার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের ব্লক স্তরে সরকারি দফতর থেকে টাকার বিনিময়ে জন্ম সনদ, ওবিসি-র মতো সার্টিফিকেটও নাকি দেওয়া হচ্ছে। তবে ভুয়ো কাগজ নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও ব্যবহার করা হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, এআই ব্যবহার করে ভোটারদের নাম, ছবি যুক্ত যাবতীয় তথ্য নিখুঁত ভাবে স্ক্যান করা হবে, ফলে জাল তথ্য দেওয়া ভোটারদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে। অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিনতে সুবিধা হবে।

    প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে হেয়ারিংয়ে ডাকা হবে

    ১৪ ডিসেম্বর হল এসআইআর-এর (SIR) এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার শেষ সময়। এই তালিকায় যদি ভোটারদের নাম ভুল থাকে, কোনও অভিযোগ থেকে বা সংশোধন থাকে তাহলে তা কারেকশন করার শেষ সময় আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা, বিতর্কের সমাধান করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা এবং আলোচনা করে তথ্যে সন্দেহ থাকলে তাকে দূর করার নানা কাজও করবে কমিশন। তার সময় সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কাজ করা হবে।

    কত নাম বাদ?

    কমিশনের আগে বিএলওদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, কোনও যোগ্য ভোটার যেন বাদ না পড়ে। কোনও অযোগ্য ভোটার যেন তালিকায় না ঢুকে থাকে। আর যদি এ দু’টি কাজ করতে গিয়ে ফাঁক থাকে তার দায় বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিএলওকেই। কমিশনের স্পষ্ট বার্তা কাজের প্রশংসা অবশ্যই থাকবে, কিন্তু অবহেলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।

    এসআইআরে (SIR) শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের ৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটারের নাম বাদ পড়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে মৃত ভোটারের নাম রয়েছে ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯। বাকি সংখ্যা খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং ঠিকানা বদল করেছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে বাতিলের তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নামও রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই তথ্য এবং নিবিড় সংশোধনের তালিকা যাতে আরও নির্ভুল হয়, সেই কথা বলে কমিশন (Election Commission) কড়া বার্তা দিয়েছে। রাজ্যে এই কাজকে আরও ভালো ভাবে করার জন্য কমিশন ৫ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে।

  • SIR in Bengal: অপসারণের পরেও কাজ! বারুইপুরে দুই বিএলও-সহ চার জনকে শোকজ কমিশনের

    SIR in Bengal: অপসারণের পরেও কাজ! বারুইপুরে দুই বিএলও-সহ চার জনকে শোকজ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও এমুনারেশন ফর্ম (Enumeration Form) আপলোড করেছেন এক বিএলও (BLO)। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিএলও-র পাশাপাশি অপর আর এক বিএলও এবং তাঁদের কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইআরও, এইআরও-কেও শোকজ করল কমিশন (Election Commission)। বারুইপুর পূর্বের ৯৪ নম্বর বুথের দুই বিএলও (বুথ স্তরের আধিকারিক), ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এবং এইআরও (সহকারী ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)-কে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলেছে কমিশন।

    দুই বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-কে শো কজ

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের হাড়দহের ৯৪ নম্বর বুথে (Booth Number 94) প্রথম যিনি বিএলও ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের স্থানীয় পদাধিকারী। তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। ওই বিএলও-কে নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ায় তাঁকে রিমুভ করে দ্রুত অন্য একজনকে বিএলও (BLO) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু অভিযোগ, অপসারণের পরেও ওই বিএলও কাজ করে যান। ওই বুথে নতুন যে বিএলও এসেছেন, তিনি নিযুক্ত হয়েও পুরনো বিএলও-কে কাজ চালিয়ে যেতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আগে ওই বুথে বিএলও ছিলেন সোমা সেন। পরে বিএলও হয়েছিলেন দেবী হালদার। পর্যবেক্ষক দুই বিএলও-র সই দেখে চিহ্নিত করেছেন। ওই বুথে ইআরও হলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী। দুই বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-কে শো কজ করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। সেই সূত্রে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট অফিসারদের শোকজ করে কারণ দর্শাতে বলেছে কমিশন।

    দোষ প্রমাণিত হওয়ায় কড়া পদক্ষেপ

    বাংলার এসআইআরের (SIR in West Bengal) কাজ সুস্পষ্টভাবে খতিয়ে দেখতে একাধিক রোল অবজার্ভার (Roll Observer) রাজ্যে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ECI)। তাঁদেরই একজন সি মুরুগান। সূত্রের খবর, তিনিই এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করে স্পেশ্যাল অবজার্ভার (Special Observer) সুব্রত গুপ্তকে জানান। পরে তিনি সিইও দফতরে (CEO Office) রিপোর্ট দেন এবং সিইও দফতর কমিশনকে জানায়। শুধু ওই বিএলও নন, তাঁর জায়গায় যিনি কাজের জন্য নিযুক্ত হয়েছিলেন সেই বিএলও এবং ওই এলাকার ইআরও, ডিইও-র ভূমিকাও খতিয়ে দেখে কমিশন। দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এরপরই কড়া পদক্ষেপ করা হল।

    স্পেশ্যাল রোল অবজার্ভারের কাজ

    নানা ঘটনার পর ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR West Bengal) পর্বে আরও কঠোর হয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গত শুক্রবারের বৈঠকেই যার ইঙ্গিত মিলেছিল। সোমবার সকালেই সেই ইঙ্গিতকে বাস্তবায়িত করে কমিশন নতুন নির্দেশিকা জারি করে। পাঁচ ডিভিশনে পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় আইএএস অফিসারকে স্পেশ্যাল রোল অবজার্ভার (Special Roll Observer) হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। যাঁদের প্রত্যেকেই কেন্দ্রের মন্ত্রকের যুগ্মসচিব। কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, এই পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব থাকবে তিনটি বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা। কোনও যোগ্য নাগরিক যাতে ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, তা দেখাই বিশেষ পর্যবেক্ষকদের প্রধান কাজ। কোনও অযোগ্য ব্যক্তি যাতে তালিকায় ঢুকতে না পারেন, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে। দাবি–আপত্তি থেকে গণনা, নোটিস নিষ্পত্তি এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ – প্রতিটি ধাপে কঠোর পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন এঁরা।

  • SIR: ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ ঠিক করতে বিএলও-দের কড়া বার্তা কমিশনের, বেঁধে দেওয়া হল ডেডলাইন

    SIR: ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ ঠিক করতে বিএলও-দের কড়া বার্তা কমিশনের, বেঁধে দেওয়া হল ডেডলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরকে নির্ভুল করতে বিএলও-দেরকে আরও কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। এসআইআর-এর কাজে (SIR) সময়ের মধ্যে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ শুধরে নিতে বিএলও-দের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সঙ্গে সতর্কবার্তা— যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভুলকে ঠিক না করা হয়, তাহলে সেগুলিকে ইচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সেক্ষেত্রে বিএলও-দের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই নিয়ে কাজের অতিরিক্ত চাপের জন্য তৃণমূল সমর্থিত বিএলওরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। অপর দিকে বিজেপির তরফে অভিযোগ, এক শ্রেণির বিএলওরা প্রত্যক্ষভাবে শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন। মৃত, অবৈধ ভোটার এবং স্থানান্তরিত হয়েছে এমন ভোটারদের নাম রেখে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভুল কাজ করলে কমিশন (Election Commission) কড়া অবস্থান নেবে বলে এখন থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।

    বিএলওরা ভুল প্রসঙ্গ কানে দেননি

    কাজের চাপ এবং স্বচ্ছতার কথা ভেবে (Election Commission) এনুমারেশন ফর্ম (SIR) দেওয়া এবং সংগ্রহের জন্য এক সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সময়ে কাজ করতে না পারার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বিএলও অসুস্থ এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তাই সকল বিষয়কে মাথায় রেখে ফর্ম জমা করার কাজকে ৪ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিন বাড়িয়ে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসআইআর-এ যদি কোনও ভুল ধরা পরে, তাহলে এই ভুলকে অনিচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে ধরা হবে। সময়ের মধ্যে তা শুধরে নেওয়ার সুযোগও পাবেন বিএলও-রা। কিন্তু, তার পরে হলে, তা ইচ্ছাকৃত ভুল বলে ধরা হবে। কমিশন কোনও ভাবেই কাজের ভুলকে সাধারণ ভুল হিসেবে গ্রহণ করবে না। তবে আগেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রোল অবজার্ভাররা বহু বিএলও-কে নিজেদের ভুল ঠিক করে নিতে বলেছিলেন। প্রয়োজনে রিপোর্টও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিএলওরা কোনও ভাবেও কানে দেননি। এই অবস্থায় কমিশনের তরফ থেকে সরাসরি বার্তা এসেছে। অপর দিকে বাংলার এসআইআর কাজকে আরও গতি দিতে পাঁচজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন।

    খসড়া বের হলে কমিশনের পদক্ষেপ

    কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রোল পর্যবেক্ষকরা (SIR) একাধিক বিএলওকে সতর্ক করেছে। কিন্তু কোথাও কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ভুল কাজের কোনও রকম সংশোধন করা হয়নি। এরপর অনিচ্ছাকৃত ভুল শুধরে নেওয়া হয়নি। আগামী ১১ ডিসেম্বর খসড়া লিস্ট প্রকাশ হলে কমিশন কী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাই এখন দেখার।

  • SIR In Bengal: মৃত্যুহীন বুথ ২২০৮ থেকে নামল ২টিতে! বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নামের সংখ্যা বাড়ল

    SIR In Bengal: মৃত্যুহীন বুথ ২২০৮ থেকে নামল ২টিতে! বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নামের সংখ্যা বাড়ল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ প্রায় শেষের পথে। ১৬ ডিসেম্বর এসআইআর-এর (SIR In Bengal) খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। বাংলায় ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আবহে এখনও পর্যন্ত বাদ যেতে পারে ৫৬ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম। সোমবার পর্যন্ত এই তথ্যই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই সংখ্যাটা বাড়ছে।

    ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১ জনের নাম বাদের তালিকায়

    নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১ জনের নাম বাদের তালিকায় চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৪৫। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৯, নিখোঁজ ভোটার ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭১০, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২১৫, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮৩২। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও একাধিক জেলায় এখনও আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হয়নি। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, মূলত চারটি ক্ষেত্রে একটি ফর্ম ‘আনকালেক্টবল’ থাকে। যদি কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়ে থাকে, দ্বিতীয়ত যদি কোনও ভোটারের দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকে, তৃতীয়ত যদি কোনও ভোটার নিখোঁজ থাকেন এবং চতুর্থ হল যদি কোনও ভোটার পাকাপাকিভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে যান।

    মৃত্যুহীন বুথ নামল মাত্র ২ টিতে

    অন্যদিকে, রাজ্যের মোট দু’হাজারেরও বেশি বুথে কোনও ‘মৃত’ ভোটার নেই বলে জানা গিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, ২ হাজার ২০৮টি পোলিং স্টেশনে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা ডুপ্লিকেট ভোটারের খোঁজ মেলেনি। তার ফলে পূরণ করা সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসে। এই অবাক করা তথ্য সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট চায় তারা। এরপর ২২০৮টি যে বুথ ছিল সেটা কমতে কমতে এসে দাঁড়াল ২টি বুথে। প্রথমে ২,২০৮, দ্বিতীয়বার ৪৮০, তৃতীয়বার ২৯, চতুর্থবার ৭ ৭-এর পর এবার মৃত্যুহীন বুথ নামল মাত্র ২টিতে! শুধুমাত্র হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেই এই বুথ রয়েছে। যেখানে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত হওয়া, ডুপ্লিকেট ভোটার নেই। অর্থাৎ, গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচন কমিশন যে ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার কথা বলছিল বারবার, সেই প্রক্রিয়া চলছে।

    বিজেপি-নেতৃত্বের কথাই ঠিক প্রমাণিত

    ২২০৮টি বুথে কোনও ‘আন-কালেক্টবল’ ফর্ম নেই, এ বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপি নেতারা। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, “আমি শুধু একটা কথাই বলব, যদি কেউ মরতে না চান, যদি সারাজীবন বেঁচে থাকতে চান, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন। নিশ্চিতভাবে বেঁচে থাকবেন। ২০০০-এর উপর বুথে কোনও মৃত্যু হয়নি, কেউ অন্য কোথাও যায়নি, এটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। অদ্ভুত এক ভূতুড়ে জায়গা। আর জেলা প্রশাসন হচ্ছে গেছো ভূত।” বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা আমাদের পিসি সরকারের ম্যাজিক। আমাদের যে পিসির সরকার…অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই সমস্ত এলাকায় কেউ মারা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষকে বলব ওই এলাকাতেই, সবাই নিজের নিজের জেলায় যে বুথে কেউ মারা যায়নি, সেই বুথে ভোটার তালিকায় নাম লেখান। যাতে কেউ মারা না যান। ওখানে গেলে আপনারা অমরত্ব লাভ করবেন।” এনিয়ে পাল্টা দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দেখা গেল বিজেপি-নেতৃত্বের কথাই ঠিক হলো।

  • SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর কাজকে দ্রুত বাস্তবায়নে ৫ ডিভিশনে পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের

    SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর কাজকে দ্রুত বাস্তবায়নে ৫ ডিভিশনে পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR) কাজকে আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পাঁচ পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই পর্যবেক্ষকরা রাজ্যের ৫ ডিভিশনে কাজ করবে। এগুলি হল— প্রেসিডেন্সি, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদা, এবং জলপাইগুড়ি। উল্লেখ্য, আগেই নির্বাচন কমিশন (Election Commission) একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে সুব্রত গুপ্তকে নিয়োগ করেছিল। একই ভাবে রাজ্যে রয়েছে ১২ জন এসআইআর পর্যবেক্ষক। বিভিন্ন জেলায় তাঁদের নিযুক্ত করা হয়েছে। এবার আরও ৫ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে হলেন, কুমার রবিকান্ত সিংহ, নীরজ কুমার বানসোড়, আলোক তিওায়ারি, পঙ্কজ যাদব এবং কৃষ্ণকুমার নিরালা।

    মৃত ভোটার ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯ (SIR)

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এসআইআরে (SIR) শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের ৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটারের নাম বাদ পড়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে মৃত ভোটারের নাম রয়েছে ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯। বাকি সংখ্যা খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং ঠিকানা বদল করেছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে বাতিলের তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নামও রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই তথ্য এবং নিবিড় সংশোধনের তালিকা যাতে আরও নির্ভুল হয়, সেই কথা বলে কমিশন (Election Commission) কড়া বার্তা দিয়েছে। এই কাজকে আরও ভালো ভাবে করার জন্য কমিশন ৫ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে।

    কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি এমন বুথ কত?

    কমিশনের (Election Commission) তথ্যে আরও জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে মৃত এবং স্থানান্তরিত ভোটার একজনকেও (SIR) পাওয়া যায়নি এমন বুথের সংখ্যা হল ৭। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে প্রথমে যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল, সেই অনুসারে এই রকম বুথের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। তাতে বলা হয়েছিল ২২০৮টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি। এমনকি সেখান থেকে অন্যত্র হস্তান্তর হয়নি। এই বিষয় নিয়ে রাজনীতির আঙ্গিনায় ব্যাপাক চর্চা এবং পর্যালোচনা হয়েছিল, পরে অবশ্য সংশোধন করা হয়েছে।

    ভুয়ো ভোটারদের তথ্য যাচাই করতে হবে

    এদিকে এসআইআর-এর (SIR) কাজের প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার মুখে বিশেষ বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কাজের গতিপ্রকৃতি দেখতে, ভোটার তালিকায় ঝাড়াই-বাছাই করে আরও নিখুঁত করতে করা হয়েছে বৈঠক। জাল ভোটারদের খোঁজ করতে তৎপর হয়েছে কমিশন। একই নামে একাধিক ভোটার, আলাদা আলদা ব্যক্তি কিনা এই নাম নিশ্চিত করতে বিএলওদের তথ্য দিতে বলা হয়েছে। গত সোমবার থেকে পোর্টালে বিশেষ অপশন দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ তারিখের মধ্যে ভুয়ো ভোটারদের তথ্য যাচাই করতে হবে। তবে কাজকে আরও নিখুঁত করতে কমিশন প্রথম পর্যায়ের কাজে সমীক্ষা করতে বসেছে। ডিজিটাইজেশন পর্বে বেশ কিছু অভিযোগও এসেছে। এবার বিস্তারিত তথ্য জানতে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হয়েছে। রাজ্যের এখনও জমা না পড়া এনুমারেশন ফর্মের সংখ্যা হল প্রায় ৫৬ লক্ষ। যার মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৬৫।

    কাজের পরিসর আরও ৭ দিন বাড়তে পারে

    গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এসআইআর-এর (SIR) কাজ শুরু হয়েছে। আগে বলা হয়েছিল ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। ৯ ডিসেম্বর ছিল খসড়া তালিকা প্রকাশের সময়কাল। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকশিত হবে চূড়ান্ত তালিকা। কিন্তু গত ৩০ নভেম্বর একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে সময়কে ৭ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে ১১ ডিসেম্বর, ১২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১৬ ডিসেম্বর। এরপর নাম সংশোধন, অভিযোগ, আপত্তি বিষয়ে কমিশনকে (Election Commission) জানানো যাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে প্রয়োজন আনুযায়ী কমিশন আরও বেশকিছুদিন বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে কমিশন জানিয়েছে।

    ভোটের আগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি

    এসআইআর (SIR) প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী প্রথম থেকেই আপত্তি তুলেছেন। ওপর দিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা এবং ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে কমিশনের কাছে বারবার অভিযোগ করে দ্রুত ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। তবে তৃণমূল, মুখে কমিশনশনকে (Election Commission) বারবার হুমকি দিলেও তালিকা সংশোধনের কাজে সহযোগিতা এবং ক্যাম্পেরও আয়োজন করেছে। তবে বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের যেমন নাম ঢোকানোর কাজ করছে তৃণমূল। আবার একই ভাবে তৃণমূল বেঁছে বেঁছে হিন্দুদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এসআইআর ইস্যুতে রাজনৈতিক পারদ এখন চরম শিখরে।

LinkedIn
Share