Tag: Sk

  • Sheikh Mujibur Rahman: বাংলাদেশের জনক মুজিবর রহমানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা পাক সেনার

    Sheikh Mujibur Rahman: বাংলাদেশের জনক মুজিবর রহমানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা পাক সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নেতৃত্বদানকারী শেখ মুজিবর রহমানকে (Sheikh Mujibur Rahman) বিশ্বাসঘাতক (Traitor) আখ্যা দিল পাক সেনাবাহিনী। মুজিবর বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা। গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশান্তরিত হন তিনি। পাক সেনা শেখ মুজিবরকে পাকিস্তানেরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তুলনা করেছে। বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডি কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান। এত সবের পরেও কোনও প্রতিবাদ করেনি বাংলাদেশ। পাক সেনার এই বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট হয় যে ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে যে সৌহার্দ্য দেখানো হয়, তা আসলে উপরিতলের এবং স্বল্পমেয়াদি। উভয় পক্ষের আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্খা পূরণের জন্যই এই সম্পর্ক। যদিও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের গভীর ক্ষত এখনও দগদগে হয়ে রয়েছে।

    পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্য (Sheikh Mujibur Rahman)

    ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সৌহার্দ্য সত্যিই ভূ-রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিল। ২০২৪ সালে এক সহিংস ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ইসলামাবাদ ও ঢাকার ঐতিহাসিক শত্রুতার সম্পর্ক এক ঝটকায় রূপ নেয় বহুল প্রশংসিত কৌশলগত অংশীদারিত্বে। দ্রুত অনুষ্ঠিত হয় দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ, উচ্চপর্যায়ের এবং সামরিক স্তরের কূটনৈতিক সফর। গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সামরিক সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে একের পর এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় (Sheikh Mujibur Rahman)।

    লোক দেখানো সৌহার্দ্য!

    তবে রাওয়ালপিন্ডি থেকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক বিবৃতি দক্ষিণ এশিয়ায় গড়ে ওঠা এই নতুন কূটনৈতিক সম্পর্ককে ঘিরে থাকা উচ্ছ্বাসকে ভেঙে দুরমুশ করে দিয়েছে। এতেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে লোক দেখানো এই সৌহার্দ্য কি কেবলমাত্র উপরিতলের, আর ভেতরে ভেতরে কি এখনও আগুনের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে ছাইয়ের মতো গভীর অবজ্ঞা ও শত্রুতা (Traitor)? যে একই পাক সেনাবাহিনী একদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে একের পর এক প্রতিরক্ষা চুক্তি করছে, তেমনি অন্যদিকে সেই সেনাবাহিনীই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জনককে হেয় ও অপমান করছে। ফলে ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে গড়ে ওঠা এই ঘনিষ্ঠতার নেপথ্যে প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েই উঠেছ গুরুতর প্রশ্ন।

    জঙ্গি কার্যকলাপ

    পাকিস্তান কি ভারতবিরোধী অবৈধ জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর জন্য বাংলাদেশকে শুধুই একটি ব্যাকইয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে? বাংলাদেশ কি ধীরে ধীরে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য একটি উর্বর ও প্রস্তুত ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠছে? পাকিস্তান কি বাংলাদেশকে কেবলমাত্র ভারত-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখছে (Sheikh Mujibur Rahman)? শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক মন্তব্য এসব গভীর সন্দেহকে আরও তীব্র করে তুলেছে। প্রসঙ্গত, মুজিবরই সেই মানুষ যিনি বলেছিলেন, “ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও বলব আমি বাঙালি, বাংলা আমাদর দেশ, বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে।” তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে ওঠার আগেই তিনি এই নামটির সঙ্গে নিজের অস্তিত্ব এক করেছিলেন। তাঁকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচিত হতে পারে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই অর্থে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন (Traitor)।

    দেশটাকে বাংলা নামে ডাকেন

    ১৯৫৫ সালের অগাস্ট মাসে করাচিতে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলছিল। দিনটি ছিল ২৫ অগাস্ট। এক পর্যায়ে সংসদে মাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবর রহমান তাঁর গমগমে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে স্পিকারকে বললেন, স্যার আপনি দেখবেন, ওরা পূর্ববাংলা নামের পরিবর্তে পূর্ব-পাকিস্তান নাম রাখতে চায়। আমরা বহুবার বলেছি, আপনারা এ দেশটাকে বাংলা নামে ডাকেন। বাংলা শব্দটার একটি নিজস্ব ইতিহাস আছে, আছে এর একটা ঐতিহ্য। আপনারা এই নাম পরিবর্তন করতে চাইলে আমাদের জনগণের সঙ্গে আলাপ করতে হবে (Sheikh Mujibur Rahman)।

    বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত এ দেশের নাম ছিল পূর্ববাংলা। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রে পূর্ব বাংলার নয়া নামকরণ হয় পূর্ব-পাকিস্তান। সুতরাং, এটা পরিষ্কার পূর্ব বাংলাকে পূর্ব-পাকিস্তান করার যে চক্রান্ত চলছিল, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান জাতীয় সংসদে তার প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি যে এই ভূখণ্ডের নামের ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন, এটাই তার প্রমাণ (Traitor)। ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। তাদের অভিযোগ, শেখ মুজিব পূর্ব-পাকিস্তানকে স্বাধীন করতে চাইছেন। এই মামলা দাঁড় করানোর জন্য যে কাগজপত্র প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তার মধ্যে ছিল বেনামে লেখা কতগুলো চিঠি ও একটি চিরকুট। তাতে লেখাছিল, বাংলাদেশ (Sheikh Mujibur Rahman)।

  • Sheikh Hasina: ইউনূস জমানায় রমরমা বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দল জামাত ইসলামির, ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা-পুত্র

    Sheikh Hasina: ইউনূস জমানায় রমরমা বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দল জামাত ইসলামির, ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দুই আগেই বাংলাদেশের দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। তার পরেই ভারতের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিল জামাত-ই-ইসলামি । জামাতের (Jamaat-E-Islami) সাধারণ সম্পাদক মিঞা গোলাম পরওয়ার বলেছিলেন, “প্রতিবেশী দেশ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দিয়ে অপরাধীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছে, যা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক আইন মেনে হাসিনাকে বাংলাদেশে আইনের কাছে পাঠানোর আহ্বান জানাচ্ছি।”

    জামাতের বাড়বাড়ন্ত (Sheikh Hasina)

    এমন পরিস্থিতিতে পদ্মা পারে জামাতের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, “বর্তমান প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সে দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত ভারতের।” তাঁর দাবি, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামপন্থী দল জামাত ইসলামি এখন ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনি বলেন, “এই গোষ্ঠী প্রচুর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিয়েছে। অথচ পূর্বতন সরকার জঙ্গি কার্যকলাপের দায়ে কারাদণ্ড দিয়েছিল তাদের। হাসিনা-পুত্রের মতে, এসব মুক্তি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি জানান, ভারত সরকার এই সব ঘটনা সম্পর্কে অবগত এবং তারা এটাও বুঝতে পারছে যে এগুলির সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থেও। ওয়াজেদ এও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রাজত্বে বাংলাদেশে লস্কর-ই-তৈবার নেটওয়ার্কও আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করছে।” তাঁর দাবি, এই সংগঠন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি লস্করের বাংলাদেশ শাখা এবং দিল্লির সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে।

    ভারতের জন্য গুরুতর উদ্বেগের

    তিনি বলেন (Sheikh Hasina), “এই ঘটনাগুলি ভারতের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হওয়া উচিত।” তাঁর মতে, দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের মুক্তি এসব নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করেছে। ওয়াজেদ বলেন, “পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই কার্যকলাপগুলি আঞ্চলিক নিরাপত্তা অংশীদারদের কঠোর নজরদারির দাবি রাখে।” ওয়াজেদ বলেন, “বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা সন্ত্রাস-সম্পর্কিত উদ্বেগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্ভবত কড়া নজর রাখছেন। ভারতীয় নেতৃত্ব বোঝেন যে প্রতিবেশী দেশে এই উগ্রবাদী সংগঠনগুলি ভারতের জন্যও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে (Jamaat-E-Islami)।” হাসিনা-পুত্র বলেন, “ভারত সরকার সব সময় আইনি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংবেদনশীল আঞ্চলিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করে।”

    হাসিনার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ

    এদিকে, বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ছাত্র–নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশকে ক্রমেই অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, দেশকে সম্পূর্ণ উগ্রবাদিতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, “দেশটি এখন এমন উগ্রপন্থীদের হাতে রয়েছে, যাদের পেছনে মদত রয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিরও।” অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতাও প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। তাদের দাবি, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস একজন পুতুল। তিনি সেই অনুযায়ী কাজ করছেন, যেভাবে তাঁকে দিয়ে করানো হচ্ছে।”

    জামাতের চিন সফর

    প্রসঙ্গত, চলতি (Sheikh Hasina) বছরের জুলাই মাসে ফের চিন সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠন জামাত ইসলামির একটি প্রতিনিধি দল। ৯ সদস্যের ওই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংগঠনের প্রধান সফিকুর রহমান। মাসখানেকর মধ্যে ওটাই ছিল তাদের দ্বিতীয় চিন সফর। বাংলাদেশের ওই মৌলবাদী সংগঠনের ঘন ঘন চিনে যাতায়াতকে ভালো চোখে দেখেননি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও। তখনই তাঁরা জানিয়েছিলেন, চিন-জামাতের সখ্যতা বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য আদৌ কোনও ভালো ইঙ্গিত দেয় না। একই সঙ্গে এটি সুখকরও নয় (Jamaat-E-Islami)।

    চিনা দূতাবাসে জামাত নেতারা

    এর আগে ঢাকায় থাকা তাদের দূতাবাসে জামাত নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চিন। ওই ঘটনাকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি ভারত। কারণ জামাত প্রকাশ্যেই নানা সময় ভারত বিরোধী মন্তব্য করে থাকে। সেক্ষেত্রে চিন জামাতকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে উসকানি দেওয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারে। যদিও এনিয়ে ভারত কিংবা বাংলাদেশের সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচন হতে পারে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ‘নৌকা’ বাদ দিয়েই। তবে এই নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব করার দাবি জানিয়েছিল জামাত। গত ১৯ জুলাই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে এনিয়ে নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে এই মৌলবাদী সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, ঢাকার ওই সমাবেশ থেকেই জামাত ইসলামি জানিয়ে (Jamaat-E-Islami) দিয়েছে, বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার ও সংসদকে কাজ করতে হবে ইসলামি বিধি-বিধান অনুযায়ী (Sheikh Hasina)।

    এহেন আবহে হাসিনা-পুত্রের ভারতের প্রতি এই সতর্কবার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

  • Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) দ্বারস্থ হলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sk Hasina)। আন্তর্জাতিক এই বিচারালয় রয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। এখানকার প্রসিকিউটরের কাছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি-র মাধ্যমে হাসিনা আইসিসির প্রসিকিউটরের কাছে রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী একটি কমিউনিকেশন দায়ের করেছেন। এই ধারাটি আইসিসিকে যে কোনও গুরুতর অভিযোগের তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেয়।

    হাসিনার অনুরোধ (Sk Hasina)

    কমিউনিকেশনে তিনি অনুরোধ করেছেন, আওয়ামি লিগ দলের নেতা-কর্মী, আগের মন্ত্রিসভা ও সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রতিশোধমূলক বিভিন্ন হিংসার তদন্ত শুরু করুন আইসিসির প্রসিকিউটর। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলাদেশে বিক্ষোভের পর অন্তর্বর্তী সরকার যেসব অপরাধ করেছে, যার ফলে ২০২৪ সালের অগাস্টে তাঁকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেগুলি আদালতের (আন্তর্জাতিক) এক্তিয়ারের মধ্যে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ রোম স্ট্যাটিউট অনুমোদন করে বাংলাদেশ। ওই বছরেরই ১ জুন থেকে বাংলাদেশে কার্যকরও হয় এটি। হাসিনার যুক্তি হল, এই অনুমোদনের ভিত্তিতেই তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়েরের আইনি অধিকার রাখেন।

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের মামলা

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, অভিযোগে উত্থাপিত ঘটনাগুলির মধ্যে হত্যাকাণ্ড, বেআইনি আটক এবং নিপীড়নের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে যেসব দাবি উঠেছে, সেগুলির যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি রয়েছে। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসির প্রসিকিউটরের তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। ওই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আদালতগুলিতে এসব অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে (Sk Hasina)। উল্লেখ্য, স্টিভেন পাওলস কেসি অতীতে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত বহু ব্যক্তির পক্ষেও আইনি লড়াই লড়েছেন, যাঁদের বেশিরভাগই গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত (ICC)।

    কমিউনিকেশনে হাসিনার দাবি

    কমিউনিকেশনটিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে আওয়ামি লিগের প্রায় ৪০০ নেতা ও কর্মীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেককে হত্যা করা হয়েছে নৃশংসভাবে পিটিয়ে। এই কমিউনিকেশনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং ভিডিও প্রমাণ, যেগুলিতে এসব হত্যার ভয়াবহ দৃশ্য এবং বিশদ বিবরণের উল্লেখ রয়েছে। কমিউনিকেশনে এও বলা হয়েছে, আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে স্রেফ অনুমান করে বহু ব্যক্তিকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিন না দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে জেলে। রাজনীতিক, বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক, মায় অভিনেতা ও গায়কদের মতো ব্যক্তিত্ব, যাঁদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক খুবই ক্ষীণ, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অপারেশন ডেভিলস হান্ট

    কমিউনিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৫ জন ব্যক্তি জেল কিংবা পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছেন। যাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের শরীরেই নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট (Sk Hasina)। আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (যা আদতে একটি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার) ডেভিলস হান্ট (Devils Hunt) নামে একটি অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের ঘোষিত উদ্দেশ্যই ছিল আওয়ামি ফ্যাসিবাদ দমন করা। এই অভিযানটি পরিচালিত হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে (ICC)। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অভিযানে ১২ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় প্রায় ১৮ হাজার জনকে। কমিউনিকেশনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার একটি দায়মুক্তি আদেশ (immunity order) জারি করে, যার মাধ্যমে আওয়ামি লিগের সমর্থকদের ওপর নির্যাতন চালানো যায় এবং অপরাধীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া হয় (Sk Hasina)।

    ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায়

    যেহেতু বাংলাদেশের আদালতে ন্যায়বিচারের কোনও সম্ভাবনা বা তদন্তের আশাই নেই, তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করাই ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে কমিউনিকেশনে। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের তরফে এমন একটা সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হল, যখন হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঝুলে রয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে আন্দোলন দমনের নামে ১৪০০ জনকে (ICC) হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়া-সহ মোট পাঁচটি অভিযোগে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে ওই ট্রাইব্যুনালে (Sk Hasina)।

LinkedIn
Share