Tag: Sk shahjahan

Sk shahjahan

  • Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর হামলার ঘটনা আদালতে কার্যত স্বীকার করে নিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শাহজাহানের মতো এক তথাকথিত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আদালতে এক কথায় স্বীকার করে নিলেন নিজের অপরাধ! অবাক রাজনৈতিক মহল। শাহজাহানের স্বীকারোক্তিই তো পুলিশের কেস শক্ত করে দিল। সহজেই আরও জিজ্ঞাসাবাদের ‘অজুহাতে’ পুলিশের হেফাজতে চলে গেলেন শেখ শাহাজাহান। তিনি কি নিজেই চাইছেন পুলিশের কাছে থাকতে, বা বলা ভালো, রাজ্যে থাকতে?

    পুলিশের দাবি

    মিনাখাঁ থেকে শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবার সোজা তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালতে তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে পুলিশ। যদিও আদালত শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এ দিন পুলিশ আদালতে জমা দেওয়া নথিতে শাহজাহানকে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ করা হয়েছে ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে। তাঁকে জামিন দিলে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এবং ন্যাজাট থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ।

    নথিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। যে সমস্ত সমাজবিরোধী গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির সামনে ইডি আধিকারিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটে যুক্ত ছিল, তাদের চিহ্নিত করতে শাহজাহানই পথ বলেও নথিতে দাবি করেছে পুলিশ। লুট হওয়া মালপত্রের কিছুই এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরেই দাবি করা হয়েছে, শাহজাহান পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি লুটের মাল উদ্ধার করতে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। তাই পুলিশ হেফাজতেই থাক শহজাহান। 

    শাহজাহানের স্বীকারোক্তি

    এদিন আদালতে মাত্র ১০ মিনিট সওয়াল জবাব হয়। শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। তখনই শাহজাহান বলেন, ‘‘সাত সকালে কোনও নোটিশ ছাড়া ইডির আধিকারিকরা আমার বাড়তে এসেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমি গ্রেফতারির আশঙ্কা করে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই অনুগামীদের ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা করার নির্দেশ দিই। তাদের জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিতে বলি।’’ এত সহজে দোষ স্বীকার করে নিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা! প্রশ্ন উঠছে ইডির হাত থেকে বাঁচতেই এই স্বীকারোক্তি নয় তো? রাজ্য পুলিশের হেফাজতে থাকলে অন্তত কিছুদিন ঠেকানো যাবে ইডিকে।

    আরও পড়ুুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    সেফ কাস্টোডিতে শাহজাহান!

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের মামলা আপাতত সিআইডির হাতে দেওয়া হয়েছে। তারাই এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করতে চলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শাহজাহানকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থেকে বৃহস্পতিবার নিয়ে যাওয়া হয় ভবানী ভবনে। আগামী ১০ দিন তিনি সেখানেই থাকবেন। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের গোয়ান্দারা শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, বলে খবর। পুলিশের আনা অভিযোগ এক প্রকার মেনে নিয়েছেন সন্দেশখালির নেতা। পুলিশকে  সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সামনে লোকসভা নির্বাচন রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ইডি-র ওপর হামলার ঘটনাকে হাতিয়ার করেই শাহজাহানকে ইডি-র হাত থেকে বাঁচাতে চাইছে মমতার পুলিশ? ভোটের আগে ইডি ছুঁলে রক্ষে নেই তাই অন্তত কিছুদিন পুলিশের সেফ কাস্টোডিতে থাকাই ভাল! প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এই গ্রেফতারি সত্যিই ফেক, এই কাস্টোডি মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট। যেমনটা বলছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সিবিআই বা ইডি’ও গ্রেফতার করতে পারবে শাহজাহানকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Incident: সিবিআই বা ইডি’ও গ্রেফতার করতে পারবে শাহজাহানকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই বা ইডি যে কেউ গ্রেফতার করতে পারে শেখ শাহাজাহানকে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন সন্দেশখালি নিয়ে একটি মামলার (Sandeshkhali Incident) শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, সিবিআই, ইডি এবং রাজ্য পুলিশ যে কেউ শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারে। সন্দেশখালি নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিবর্তন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। নির্দেশনামার ৮ নম্বর প্যারার পুনর্বিবেচনা চেয়েছিল রাজ্য। সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার প্রধান বিচারপতি শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে এই মন্তব্য করেন।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, শাহজাহান গ্রেফতার করা যাবে না।’’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা ওই দিন পুলিশকে তদন্ত করতে বারণ করেছিলাম। আমরা কোথাও বলিনি যে নতুন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা যাবে না। শুধু মাত্র তদন্তের ক্ষেত্রেই নির্দেশ দিয়েছিলাম। অনেকেই বলছেন হাইকোর্ট অভিযুক্তকে রক্ষা করছে। ৪২টা এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি, তার দায় পুলিশ ঝেড়ে ফেলতে পারে না।’’

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    সওয়াল-জবাব

    এদিন শুনানি চলাকালীন রাজ্যের এজি সওয়াল করেন, ‘‘আমরা যদি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারি তাহলে আমাদের দেখাতে হবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হল।’’ এরপর রাজ্যেকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘তার মানে আপনারা জানেন যে তিনি কোথায় আছে।’’ এদিন ইডি জানায় যে রাজ্য পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হলে তথ্য প্রমাণ বিকৃত করা হবে। রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করলে তাকে লঘু ধারায় মামলা করা হবে এবং তার জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। সিবিআই গ্রেফতার করলে কোনও অসুবিধা নেই। এরপরই প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্য, সিবিআই বা ইডি যদি চায় তারাও শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। শুনানিতে ইডির তরফে সওয়াল করেন ধীরাজ ত্রিবেদী এব‌ং এসভি রাজু। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

    Sandeshkhali: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মতো এবার প্রতিবাদে বিস্ফোরক ঝুপখালির মহিলারাও। এলাকায় পুলিশি পাহারা এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের উপেক্ষা করেই ফের জনরোষের চিত্র লক্ষ্য করা গেল বৃহস্পতিবার। জোর করে চাষের জমি, মাছচাষের ভেড়ি এবং ফসলের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ যেমন শাহজাহান-শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে উঠেছিল, ঠিক তেমনই জেলিয়াখালি, ঝুপখালির মানুষও অনেকদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন একই অভিযোগে। এবার অভিযোগ শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজ ডাক্তার ওরফে সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে। শাহজাহানের পর কাঠগড়ায় ভাই সিরাজ! ভাইও নাকি ছিল কীর্তিমান।

    শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধে জনরোষ (Sandeshkhali)

    আজ ফের একবার জনরোষের চিত্র ধরা পড়ল ঝুপখালিতে (Sandeshkhali)। এলাকার এক মহিলা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “শাহজাহানের ভাই সিরাজ ওরফে সিরাজউদ্দিন আমার দোকানের জায়গা দখল করে নিয়েছে। শুধু আমার জায়গা নয়, গোটা এলাকা দখল করে নিয়েছে। ১৫ থেকে ১৬ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে গায়ের জোরে। আমাদের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করে নিয়েছে ওরা। শুধু তাই নয়, ভেড়িগুলিকে লোকের কাছে চড়া দামে বিক্রিও করে দিয়েছে। এলাকায় এই তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে নতুন করে আর যাতে ভেড়ি নির্মাণ না হয়, সেই দাবি জানাই।”

    আগুন সিরাজের আলাঘরে

    এই সব অভিযোগ তুলে আজ ময়দানে ফের নামেন এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষোভ আর প্রতিবাদ গিয়ে পড়ে সিরাজের উপর। তাঁর ভেড়ি এবং অফিস আলাঘর পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নেমেছে।

    পুলিশ এতদিন কোথায় ছিল?

    ঝুপখালির (Sandeshkhali) উত্তেজিত সাধারণ মহিলাদের সামাল দিতে গেলে পুলিশের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রামের আরও এক মহিলা বলেন, “সিরাজের ফাঁসি চাই। ওর হাতেপায়ে ধরে বলেছিলাম, আমার বাপের বাড়ির জমি নিও না। কিন্তু সব দখল করে নিয়েছে। ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে জীবন কাটাতে হচ্ছে। পুলিশ এতদিন কোথায় ছিল যখন আদিবাসীদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হত?”

    উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণের দেড় মাস পর রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি পরিদর্শনে গেলেও পালতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কার্যত প্রশ্নের ভয়ে কি সাংবাদিক সম্মেলন না করে চলে এলেন? প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহাজাহান। গত ৫ জানুয়ারি তাঁকে ধরতে গিয়েই আক্রান্ত হয় ইডি। সে থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। টানা ৫৫ দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহজাহান। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ইডির দাবি, তথ্য লোপাটের চেষ্টা করা হবে। এমনকী শাহজাহানকে আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ। তাই দ্রুত শাহজাহানকে ঘিরতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলছে তারই প্রস্তুতি। এরইমধ্যে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্ত,  অরূপ সোমকে।

    অরূপ সোমকে তলব

    শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী অরূপ সোমকে ডেকে পাঠাল এনফোরেসমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইডি’র সমন পেলেন তিনি। অনুমান, শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতেই এই তলব। চলতি সপ্তাহেই অরূপের দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসা সংক্রান্ত মামলায় তলব করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। এই ব্যবসায়ী শাহজাহানের থেকে চিংড়ি মাছ নিয়ে অন্যান্য কোম্পানিদের বিক্রি করত বলে জানা গিয়েছে। এই কোম্পানির সঙ্গেই শেখ শাহজাহানের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন যে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু শেখ শাহজাহান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, ফলে তাঁর অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি কালো টাকা আসত ৷ সেই কালো টাকা অরূপ সোমের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হত মাছের ব্যবসার নামে। ফলে কতবার কত কোটি টাকা তাঁদের মধ্যে লেনদেন হয়েছে, সেই সমস্ত বিশদে জানার জন্যই ফের অরূপ সোমকে ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    আরও পড়ুন: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    অরুণ সেনগুপ্তকে জেরা

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বিরাটির ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তও হাজির হলেন ইডির দফতরে। সোমবারই তাঁর মেয়ে এসেছিলেন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি নিয়ে সোমবার তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যান অরুণ-কন্যা। এরপরই এদিন যান অরুণ নিজে। আমদানি-রফতানির সংস্থা রয়েছে তাঁরও। চিংড়ি মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কাজ করে তাঁর সংস্থা। শেখ শাহজাহান সম্পর্কে দ্বিতীয় যে ইসিআইআর হয়েছে, মূলত তা অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার একটি পুরনো এফআইআরের ভিত্তিতে। অরুণ সেনগুপ্ত সি ফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের সঙ্গে অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার লেনদেন সংক্রান্ত যোগ ছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে  তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে”, আক্রমণ সুকান্তর

    Sandeshkhali: “হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে”, আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ শানালেন। রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ কিছুই করবে না, কেননা তারা শাহজাহানের পয়সায় লালিত-পালিত হয়। নারী নির্যাতনে আমরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা (Sandeshkhali) দেখতে পাচ্ছি এই রাজ্যে।” এছাড়াও তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অন্যের স্ত্রীকে কীভাবে পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া যায় তৃণমূলের নেতাদের মনোরঞ্জন করার জন্য?”

    সন্দেশখালিতে নারীরা অসুরক্ষিত (Sandeshkhali)!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বোঝাই যাচ্ছে মহিলাদের কী চোখে দেখে তৃণমূল। হাজার টাকা দাও, তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাও। এই অফার চলছে। হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। কোনও ব্যক্তির স্ত্রীকে রাতে ডেকে নিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন সকালে পৌঁছে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কত ভাগ পায়, আমার জানা নেই। পুলিশ সেটাই করছে, মানুষ যাতে মুখ খুলতে না পারে, তাদের বক্তব্য না রাখতে পারে। যেভাবে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, তাতে বাঙালি চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আর আজ চুপ থাকলে, আগামী দিনে আপনার-আমার বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে এমনটাই করবে তৃণমূল কংগ্রেস।”

    নিখোঁজ বিজেপি নেতা

    শেখ শাহজাহানের নিখোঁজ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “শাহজাহান কোথায় আছে পুলিশ জানে, শাহজাহানই (Sandeshkhali) পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে কাজ করাচ্ছে। শিবু হাজরা ও তাঁকে খুঁজে পাবে না। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন তখন পুলিশ গ্রেফতার করবে। আদালতের উচিত নির্দেশ দেওয়া যে শাহজাহানের কান ধরে টেনে নিয়ে আসা হয়। তারপর শুরু হবে খেলা।” আবার সন্দেশখালিতে বিজেপি কনভেনার বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিকাশ সিং আমাদের ওখানে বহু পুরনো নেতা। তাঁর স্ত্রী খুব চিন্তিত। আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম তাঁকে নৌকায় করে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উনাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করায় এসপি বলেন, আমরা বলতে বাধ্য নই। সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক কাজ করছে পুলিশ।”

    “মুখ্যমন্ত্রী ঘুমচ্ছেন” (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা এমন একটা বাক্স খুলে দিয়েছে যেখানে তৃণমূলের প্রাণ ভোমরা লুকিয়ে আছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জায়গায় কীভাবে অত্যাচার করেছে তা সবার সামনে চলে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে। তারা চাইছে না, এটা সবার সামনে আসুক। কীভাবে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মহিলাদের উপর এই ধরনের অত্যাচার হল? এই বাংলার জন্য আমরা গর্ববোধ করি? মহিলাদের নিয়ে একটা কথা বলারও অধিকার নেই এই অভদ্র তৃণমূলের। মুখ্যমন্ত্রী ঘুমচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা তাঁর বাড়ির মহিলাদের নিয়েই, আর কাউকে নিয়ে নয়।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share