Tag: somnath shyam

somnath shyam

  • Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদাধিকার অনুযায়ী কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কাঁচরাপাড়া পুরসভা। অথচ তিনি সেই পুরসভাতেই আর যান না। কার্যত কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে মুকুলপুত্রকে। পুরসভায় কেন যান না, তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন তিনি নিজেই।

    ঠিক কী বলেছেন শুভ্রাংশু? (Subhranshu Roy)

    শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বলেন, আমি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। আমাকে ট্রেড লাইসেন্স, অ্যাসেসমেন্ট দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দফতরে বেশিরভাগই অনলাইনে কাজ হয়ে যায়। ফলে, পুরসভায় আমার কোনও কাজ নেই। পুরসভায় গিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে হয়। এমনকী বিল্ডিং-এর অনুমোদনের দায়িত্ব রয়েছে আমার ওপর। তবে, সেটা দোতলা পর্যন্ত। তার ওপরে বিল্ডিং হলে তার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের ওপরে রয়েছে। ফলে, এই দফতরে আমার বিশেষ কোনও কাজ নেই বললেই চলে। থাকল পড়ে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব। তবে, এই কাজ করতে গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে। সেখানেও আমার কোনও স্বাধীনতা নেই। অথচ পুরসভাকে আরও অনেক ভালোভাবে চালানো যেতে পারত। অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যেত। কিন্তু, কোনও কিছুই করা হচ্ছে না। আর পুরসভায় গিয়ে ঠুঁটো হয়ে চুপচাপ বসে থাকতে আমি রাজি নই। আমি এসবের কোনও তোয়াক্কা করি না। আর কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না। বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হচ্ছেন কমল অধিকারী। তিনি বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই।

    অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়ে সোমনাথ-সুবোধকে তুলোধনা

    দিন দুয়েক আগে অর্জুন সিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধনা করেছিলেন। দলের অনুমতি পেলে দুজনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছিলেন। আর অর্জুনের বিরুদ্ধে বারবার সোমনাথ শ্যাম মুখ খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি। কারণ, সাংসদ তৃণমূলের শীর্য নেতৃত্বের কথা মতো দলে এসেছেন। যা বলার তা দলের ভিতরে বলা উচিত। সবমিলিয়ে শুভ্রাংশু রায়ের এই কোণঠাসা নিয়ে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: অপরাধীদের নিয়ে ঘুরছেন অর্জুন! পুলিশের কাছে নালিশ তৃণমূল বিধায়কের

    Arjun Singh: অপরাধীদের নিয়ে ঘুরছেন অর্জুন! পুলিশের কাছে নালিশ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ফের অর্জুন-সোমনাথ-সুবোধ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে। সাংসদ  অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। একইসঙ্গে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী অর্জুনের (Arjun Singh) বিরুদ্ধে  সমালোচনা করেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বলে সাংসদ এবং বিধায়কদের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় রাজনৈতিক মহলে  চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অর্জুনকে (Arjun Singh) পল্টুরাম বললেন সুবোধ

    মঙ্গলবার কাঁচরাপাড়া কাঁপা মোড় সংলগ্ন বাবু ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে আবারও বিস্ফোরক সুবোধ এবং সোমনাথ। দুজনেরই আক্রমণের লক্ষ্য ছিল সংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh)। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দলের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বলেন, ২০১৯ সালে বীজপুর থেকে টিটাগড় যে সন্ত্রাস, তাণ্ডব হয়েছিল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও তা করার চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্যের সেরা থানার পুরস্কার পাওয়া বীজপুরকে নতুন করে অশান্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এরপরই সুবোধ অধিকারীর গলায় কার্যত হুঁশিয়ারির সুর। সাংসদ অর্জুন সিং কে নিশানা করে বলেন, ‘ তিনি দাগী আসামীদের নিয়ে বীজপুরে অনেক জায়গায় পিকনিক করছেন। সেই ছবি আমি পুলিশ এবং প্রশাসনকে পাঠিয়েছি।  ২০১৯ সালে প্রতিবাদ হয়েছে। আবারও আমি সাবধান করতে চাই। আবারও যদি এই কাজ করতে যান তাহলে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে এবং সামল দিতে হবে আপনাকে’। সাংসদের নাম না করে সুবোধের কটাক্ষ, পল্টুরাম নীতীশ কুমার এখানেও আছে। যে ছেলেকে বিজেপিতে ঢুকিয়ে রেখেছে এবং নিজে তৃণমূলে ঘোরাঘুরি করছে। অর্থাৎ এক পা বিজেপিতে এবং এক পা তৃণমূলে। আবার আমাদের নামেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে আমরা নাকি দিল্লিতে গিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করার জন্য! আমরা তো তৃণমূলেই থাকবো, কিন্তু তিনি যে আগামী দিনে আবার পল্টুরাম হবেন না তার গ্যারান্টি কে নেবে? এরপরই মঞ্চের সামনে আসনে বসা মানুষদের উদ্দেশে সুবোধ বলেন, ‘ ২০২৪ সালে আবার অনেক পল্টুরাম পাবেন। তারা অনেক কথা বলবে। কিন্তু, সেদিকে কান দেবেন না’।

    জগদ্দলের বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের নিশানাতেও সেই অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একসময়ের মুকুল রায়ের খাস তালুক কাঁচরাপাড়ায় দাঁড়িয়ে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘এখানে নাকি বড় বড় নেতারা থাকতেন। যারা পাল্টিবাজ। সেই পাল্টিবাজদের মত কিছু নেতা গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছেন আমি এবং সুবোধ নাকি দিল্লিতে রওনা দিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করতে।  আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা পাল্টিবাজ নই। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের খুন করার চক্রান্ত করছে সাংসদ। এর আগে ইছাপুরে শহর তৃণমূলের সভাপতি গোপাল মজুমদারের পিছনেও সাংসদের হাত রয়েছে। ভারাটে খুনিরা তা স্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara:  নাম না করে অর্জুনকে ফের তুলোধনা করলেন সোমনাথ

    Bhatpara: নাম না করে অর্জুনকে ফের তুলোধনা করলেন সোমনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অর্জুন সিংকে নিশানা করে আক্রমণ করলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। ভাটপাড়ায় (Bhatpara) খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের স্মৃতিতে জগদ্দল সার্কাস মোড়ে তাঁর বাড়ির কাছে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।

    অর্জুনকে নিয়ে কী বললেন সোমনাথ? (Bhatpara)

    অর্জুনের নাম না করে সোমনাথ বলেন,’ একই ঘর থেকে সকালে বিজেপি বেরোচ্ছে। সন্ধ্যেয় বেরোচ্ছে অন্য পার্টির লোক। একই ঘর থেকে দু-দুটো পার্টি, এরকম বহুরূপী চাল কীভাবে চলতে পারে? যে বা যারা এসব করছে তারা যেন ভেবে নেয় মানুষ মূর্খ নয়। এসব রাজনীতি আগে চলত। ২০১৯ সালের পরে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে ওই চালাকি এখন আর চলে না’। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি বিশেষ কারও সম্পর্কে কোনও কথা বলতে আসিনি। আমার প্রশ্ন, ভাটপাড়ার (Bhatpara) তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের খুনিরা কারা, কীভাবে খুন করালো, কোন পরিবার থেকে বেরিয়ে খুন হচ্ছে সেটা কেন দেখা হবে না? দলীয় কর্মী খুনের পিছনে যে বা যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে বলছি। এখানে ব্যক্তি কোনও বিষয়ই নয়’। এদিন জগদ্দলের বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, ২০০৫ অথবা ২০০৬ সাল নাগাদ চোরাই গাড়িতে করে হেরোইন এবং আর্মস নিয়ে নেপাল বর্ডারে কে গ্রেফতার হয়েছিল তা খুঁজে বের করতে, না হলে তার কাছে থাকা হলুদ ফাইল আগামীদিনে এর উত্তর দেবে।  

    ভাটপাড়া পুরসভায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন

    বিধায়কের প্রশ্ন, ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভা থেকে যে কোম্পানি সাড়ে চার কোটি টাকা নিয়ে রেখেছে, তার সঙ্গে কার যোগ আছে, কেন সেই টাকা পুরসভাকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না, কোনও মঞ্চ থেকে তার কেন জবাব নেই। আরও প্রশ্ন, ভাটপাড়া নৈহাটি সমবায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতি,ভাটপাড়া পুরসভায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, পেনশন ও মিড ডে মিলে দুর্নীতি সহ জুট মিল থেকে মাটি বিক্রি, কারখানার ভেতর থেকে লোহার স্ক্রাব বিক্রির কেন কোনও জবাব নেই সেই প্রশ্নও তোলেন বিধায়ক। উল্লেখ্য, যেসব দুর্নীতির কথা সোমনাথ বলছেন, সেই সময় ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন অর্জুন সিং। ফলে, অভিযোগের তির যে তার দিকেই তা একপ্রকার স্পষ্ট। যদিও সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘ কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা কারোর উদ্দেশ্যে আমি কিছু বলিনি। আমি শুধু ভিকি যাদব খুনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বলেছি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: খুনের আশঙ্কা করতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি সোমনাথের, তৃণমূলে কি গুরুত্বহীন অর্জুন!

    Arjun Singh: খুনের আশঙ্কা করতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি সোমনাথের, তৃণমূলে কি গুরুত্বহীন অর্জুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি খুন হয়ে যেতে পারি। শুক্রবার সন্ধ্যায় টিটাগড়ের একটি জুট মিলের সামনে দলীয় অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সোমনাথ শ্যাম। আর বিধায়কের এই বক্তব্যের পরই তাঁর নিরাপত্তারক্ষী অনেকটাই বৃদ্ধি করা হল। প্রসঙ্গত, এর আগে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) মত ছিল, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের নিরাপত্তা তুলে দিক প্রশাসন। কারণ, পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া তিনি কোনও কাজ করেন না। মানুষের সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই বিধায়কের। তারপরই জগদ্দলের বিধায়কের খুন হওয়ার আশঙ্কা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির ঘটনা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তৃণমূলেই কি গুরত্ব হারাচ্ছে অর্জুন! বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে এটা নিয়ে এখন চর্চা চলছে। কারণ, নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়ার কথা দল কোনও কানেই তুলল না। উলটে তাঁর প্রতিপক্ষের নিরাপত্তার বাড়িয়ে শক্তিবৃদ্ধি করল দল।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    সোমনাথ শ্যাম বলেন, ভাটপাড়ায় প্রতি দিন কোনও না কোনও গন্ডগোল হয়। এই পরিবেশের পরিবর্তন প্রয়োজন বলে আমি আওয়াজ তুলেছি। আমাদের এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছে। দেখলাম, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই ভয় পাচ্ছেন। আমি বলেছি, আমিও দল করি। আমিও খুন হয়ে যেতে পারি। কিন্তু, প্রতিবাদ করবই। সত্যের জন্য লড়াই করে যাব। আকাশ যাদব খুনের মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন ভিকি যাদব। তিনি খুন হয়ে গেছেন। আমি রাজ পান্ডে শ্যুট আউট সহ বিভিন্ন কেস নিয়ে সোচ্চার হয়েছি। অপরাধী এবং মাস্টারমাইন্ড এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি। আমিও যে কোন সময় খুন হয়ে যেতে পারি। তারই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাজনীতিতে রীতিমত নাড়াচাড়া পড়ে গিয়েছে। তিনি যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলছিলেন তখন তার পাশে উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মানুষের কাজ করে তৃণমূল। আমরা মানুষের পাশে থাকি। এদিন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করেন সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, জগদ্দল উৎসবের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলাম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে নৈহাটিতে অর্জুন সিং (Arjun Singh) কে নিয়ে সুব্রত বক্সি বৈঠকের জন্য গেলেও সোমনাথ শ্যাম সেই বৈঠকে যান নি।

    নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন বিধায়ক ও মন্ত্রী?

    অর্জুনের (Arjun Singh) সঙ্গে সোমনাথের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এই অবস্থায় শুক্রবার রাতে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের খুন হওয়ার আশঙ্কার পরই শনিবার সকাল থেকেই দেখা গেল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তা বৃদ্ধি হয়েছে। শনিবার থেকে সোমনাথ এবং মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের নিরাপত্তায় আরও চার জন করে সশস্ত্র পুলিশকে নিয়োজিত করা হয়েছে। দু’জনেরই নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দশে। নিরাপত্তা বৃদ্ধির পর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, যে ভাবে তৃণমূলের কর্মীরা খুন হচ্ছেন তাতে এই নিরাপত্তা দিয়ে কোনও ভরসা নেই। অন্য দিকে, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন,আমার নিরাপত্তার বহর বেড়েছে। আর কেন নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, সেটা প্রশাসন ভাল জানে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: ভাটপাড়ায় সোমনাথ অনুগামীদের বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব! নাম না করে ফের অর্জুনকে তুলোধনা

    Bhatpara: ভাটপাড়ায় সোমনাথ অনুগামীদের বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব! নাম না করে ফের অর্জুনকে তুলোধনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার দুপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে নাম না করে তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এরপর রবিবার রাতেই ভাটপাড়ার (Bhatpara) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকপীড় এলাকায় চলল দুষ্কৃতী তাণ্ডব। রাত দুটোর পরে বেশ কয়েকজন যুবক সাত-আটটি বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্তরা সোমনাথ শ্যাম অনুগামী হিসেবে দলে পরিচিত।  ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান সোমনাথ শ্যাম। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটা বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। পরে, তিনি বলেন, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে কিছু দুষ্কৃতী এটা করেছে। পিছনে মদতদাতা অন্য কেউ আছে। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। তিনি নাম না বললেও এই হামলার পিছনে অর্জুন অনুগামীরা রয়েছে তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    থানায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা! (Bhatpara)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইট-পাটকেল, মদের বোতল ছোঁড়া হয়  বাড়িগুলিতে। ভাঙা হয়েছে দরজা, জানালা। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই এই জিনিস করা হয়েছে। দল বেঁধে এসে এলাকায় তান্ডব চালানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নতুন বছরের প্রথম দিন সকালে ভাটপাড়া (Bhatpara) থানায় বিক্ষোভ দেখান। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ জানালেন ভাটপাড়া থানায়। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    নাম না করে ফের অর্জুনকে আক্রমণ করলেন সোমনাথ

    সোমবার নৈহাটির মামুদপুরে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে অর্জুনের নাম না করে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ছেলে বিজেপিতে, আর বাবা তৃণমূলে। ছেলের সাক্ষী দেওয়ার জন্য ১৩ জন তৃণমূল কর্মী এখন জেলে রয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় বিজেপির ভাটপাড়ার (Bhatpara) বিধায়ক পবন সিং ওই সাক্ষী দিয়েছিলেন। তাঁর বাবা দলকে শক্তিশালী করবেন? আসলে তিনি দুর্বল করতে এসেছেন। দলে থেকে দলের কর্মীদের খুন করাচ্ছে কে, তা বারাকপুরের মানুষ জানে। কেন তিনি প্রকাশ্যে সাংসদের বিরুদ্ধে বলছেন, সেই প্রশ্নের জবাবে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ২০১৯ সাল থেকে তিনি (অর্জুন সিং) যা করেছেন, আমি সেটাই মানুষের কাছে তুলে ধরছি। আমাকে কেউ বলতে বারণও করেনি। অবশ্য সুব্রত বক্সির নির্দেশে অর্জুন সিং মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ফলে, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সোমনাথের বাণে বার বার বিদ্ধ হচ্ছে অর্জুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: নাম না করে অর্জুনকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তৃণমূলেরই বিধায়ক!

    Arjun Singh: নাম না করে অর্জুনকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তৃণমূলেরই বিধায়ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম না করে অর্জুন সিংকে (Arjun Singh) গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। শুধু তাই নয়, নোয়াপাড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি গোপাল মজুমদার খুনের ঘটনায় নতুন করে মামলাটির তদন্ত করারও তিনি দাবি জানিয়েছেন। এই খুনের ঘটনার মূলচক্রীকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমার কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে। সবকিছু হলুদ ফাইলে জমা রয়েছে। পুলিশ কমিশনারকে এ বিষয়ে আবেদন জানাব। মূলত তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এই খুনের পিছনে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের দাপুটে নেতা রয়েছে বলে তিনি ইঙ্গিত করেন। অর্জুন সিং ইস্যুকে সোমনাথ শ্যাম ফের মুখ খোলায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    বারাকপুরে জিইয়ে রইল তৃণমূলের দ্বন্দ্ব (Arjun Singh)

    বেশ কিছুদিন ধরে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) সঙ্গে সোমনাথের দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কোন্দল ঠেকাতে রাজ্য নেতৃত্ব সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সির নির্দেশ মেনে সোমনাথ ইস্যুতে অর্জুন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। শনিবার সুব্রত বক্সি নিজে উদ্যোগী হয়ে নৈহাটি উৎসবে এসে অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্বে ইতি টানতে চেয়েছিলেন। দুপক্ষকে একসঙ্গে বসিয়ে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছিলেন এই রাজ্য নেতা। সমঝোতা বৈঠকে হাজির হয়ছিলেন অর্জুন। তবে, গড়হাজির ছিলেন সোমনাথ। ফলে, বৈঠক ভেস্তে যায়। ফলে, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব জিইয়ে রইল তা বলাবাহুল্য।  এই ঘটনার মধ্যেই সোমনাথ সিং এর অর্জুনের নাম না করে এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     ফের বিস্ফোরক সোমনাথ, ঠিক কী বললেন?

    সোমনাথ শ্যাম বলেন, ২০১৯ সালের পর থেকে বহু কর্মী আমাদের দলে খুন হয়েছেন। এমনকী বিকাশ বসু খুনের ঘটনার পিছনে কারা রয়েছেন তা খুঁজে বের করা দরকার। কারণ, আমাদের দলের মধ্যে থেকেই কেউ কেউ কর্মীদেরকে খুন করে আমাদের দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। আমরা তা হতে দেবো না। আমার কাছে যে হলুদ ফাইল রয়েছে, তাতে এই ধরনের তথ্যই রয়েছে। সেইসব তথ্যই এবার সামনে আনব। নোয়াপাড়া তৃণমূল নেতা গোপাল মজুমদারকে যারা খুন করেছিল তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুধু ভাড়াটে খুনিরাই ধরা পড়েছিল। কিন্তু, এই খুনের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের এখনও ধরা হয়নি। আমরা এই খুনের মামলাটির পুনরায় তদন্ত করার জন্য পুলিশকে বলবো। তবে, তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত অর্জুনের (Arjun Singh) দিকে।

    অর্জুনকে তোপ দাগলেন বীজপুরের বিধায়ক

    সোমনাথ শ্যামের মতোই অর্জুন সিংয়ের নাম না করে তোপ দাগলেন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের পর আমাদের একাধিক কর্মী খুন হয়েছেন, দেড় হাজার কর্মী ঘর ছাড়া ছিলেন। বহু বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। ৭০ থেকে ৮০টি পার্টি অফিস দখল করে নিয়েছিল বিজেপি। এখন বিজেপি থেকে আমাদের দলে আসা হনু কোন ডালে বসে সেটার দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ভেস্তে গেল অর্জুন-সোমনাথ সমঝোতা বৈঠক, জিইয়ে রইল তৃণমূলের কোন্দল

    Arjun Singh: ভেস্তে গেল অর্জুন-সোমনাথ সমঝোতা বৈঠক, জিইয়ে রইল তৃণমূলের কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে অর্জুন-সোমনাথ দ্বৈরথ চলছেই। লোকসভা ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি ঠিক করতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে অর্জুন সিং-এর সঙ্গে সোমনাথ শ্যামের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো নৈহাটিতে সমস্ত রকম প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে সেই বৈঠকে গড় হাজির ছিলেন সোমনাথ শ্যাম। ফলে, অর্জুন (Arjun Singh)-সোমনাথ মীমাংসা বৈঠক ভেস্তে গেল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

    সোমনাথ ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অর্জুন! (Arjun Singh)

    বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সোমনাথের সঙ্গে অর্জুন সিং এর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তবে, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনার পর অর্জুন (Arjun Singh) ভাইপো পাপ্পু সিং গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সাংসদ-বিধায়কের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। এমনকী দুপক্ষের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অর্জুন অনুগামীরা প্রকাশ্যে সোমনাথ শ্যামের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। যা নিয়ে আখেরে দলের মুখ পুড়েছে। জেলা নেতৃত্ব এই সমস্যার সমাধান করতে না পারার কারণে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য নেতৃত্ব। সুব্রত বক্সি নিজে উদ্যোগী হন। সোমনাথ ইস্যুতে অর্জুনকে চুপ থাকতে নির্দেশ দেন। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে সোমনাথের বিরুদ্ধে অর্জুন আর কোনও কথা বলেননি। ঠিক ছিল, নৈহাটি উৎসব উপলক্ষ্যে সুব্রত বক্সি এসে সোমনাথ শ্যাম এবং অর্জুন সিং কে নিয়ে একসঙ্গে বসে বৈঠক করবেন। গত কয়েকদিন ধরে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল।

    সোমনাথ গড়হাজির থাকায় ভেস্তে যায় সমঝোতা বৈঠক

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে সুব্রত বক্সি কলকাতা থেকে নৈহাটি যাওয়ার সময় ভাটপাড়া থেকে অর্জুন সিং (Arjun Singh) কে গাড়িতে তুলে নেন। এরপর ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ সোজা চলে যান নৈহাটি পুরসভায়। সেখানে স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের ঘরে ৫টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। সেখানে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়, সনৎ দে উপস্থিত ছিলেন। সোমনাথ শ্যামের বৈঠকে আসার কথা থাকলেও তিনি গড় হাজির ছিলেন। প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর সুব্রতবাবু অর্জুনকে নিয়ে নৈহাটি উৎসবে চলে যান। সেখানে সুব্রত বক্সি ও অর্জুন সিং কে সংবর্ধনা দেয়া হয়। ততক্ষণে পার্থ ভৌমিক অনুষ্ঠানে হাজির হন।  সুব্রত বক্সির পাশাপাশি অর্জুন সিং বক্তব্য রাখেন। নৈহাটি উৎসবের দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।

    বৈঠক নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    অর্জুন-সোমনাথের বৈঠকের বিষয়ে সুব্রত বাবুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বৈঠকের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। অর্জুন সিং বলেন, দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, আমাকে বৈঠকের ব্যাপারে কোনও কিছু ডাকা হয়নি। ফলে বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘আমার বিরুদ্ধে পুলিশ চক্রান্ত করছে’, কেন বললেন অর্জুন সিং?

    Arjun Singh: ‘আমার বিরুদ্ধে পুলিশ চক্রান্ত করছে’, কেন বললেন অর্জুন সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নিষেধ করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। দলের রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সির নির্দেশ মেনে সোমনাথ ইস্যুতে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তবে, বুধবার বারাকপুর মহকুমা আদালতে এসে ভাইপো পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার ও বার বার হেফাজতে নেওয়া ইস্যুতে পুলিশকে তুলোধনা করলেন তিনি। পাশাপাশি অর্জুন অনুগামীরা এদিন ফের সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন।

    সোমনাথের চক্রান্তেই গ্রেফতার, বিস্ফোরক অর্জুন ভাইপো

    তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ভাইপো পাপ্পু সিংকে কয়েকদিন আগে পুলিশ গ্রেফতার করে। পাঁচদিন হেফাজতে থাকার পর বুধবার তাঁকে ফের বারাকপুর আদালতে তোলা হয়। দাপুটে এই তৃণমূল নেতাকে আদালতে তোলা হবে বলে এদিন সকাল থেকেই পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। আদালত চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ড্রোন দিয়ে গোটা এলাকার নজরদারি করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতের কাছে দরবার করা হয়। বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পাপ্পু সিং বলেন, সোমনাথ শ্যামের চক্রান্তেই আমাকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। পাপ্পু সিংয়ের আইনজীবী রাকেশ সিং বলেন, পাঁচ দিন হেফাজতে থাকার পর তার কাছ থেকে কোনও কিছু পুলিশ পায়নি। ভিকি যাদব খুনে ধৃত পঙ্কজের সঙ্গে আটমাস আগে কথা হয়েছিল পাপ্পুর। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ এসব করছে। পুলিশের একাংশে চক্রান্তের শিকার হয়েছে পাপ্পু।

    পুলিশকে তুলোধোনা করলেন অর্জুন (Arjun Singh)

    এদিন অর্জুন সিং (Arjun Singh) আদালতে এসে বলেন, আমার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য পুলিশ চক্রান্ত করছে। পাঁচ দিনে পাপ্পুর কাছে কিছু পাওয়া যায়নি,  সাত দিন তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হল। চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে পাপ্পু আমার সমস্ত কিছু দেখাশোনা করত। নির্বাচনটাও করত। ও সামনে আসত না। আমার অফিস ও সামলাত। তাই, এভাবে ওকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সেখানেই আসল সত্য প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ‘জগদ্দলের বিধায়কের মায়ের স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন বাবা’, স্বীকার করলেন অর্জুন

    Barrackpore: ‘জগদ্দলের বিধায়কের মায়ের স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন বাবা’, স্বীকার করলেন অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্বে রাশ টেনেছে দল। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ইতিমধ্যেই অর্জুন সিংকে সোমনাথ ইস্যুতে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সেই নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়েই ফের বিস্ফোরক অর্জুন। আবারও জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধোনা করলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের পরও আরও একবার সোমনাথ-অর্জুনের দ্বৈরথ ফের প্রকাশ্যে চলে এলো।

    অর্জুনকে নিয়ে কী বলেছিলেন সোমনাথ? (Barrackpore)

    তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুন হওয়ার পর থেকেই উত্তাল বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি। এই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অর্জুনের ভাইপো পাপ্পু সিংকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারপর থেকেই সোমনাথ-অর্জুনের দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। দলীয় মিটিং, পথসভায় প্রকাশ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে সোমনাথ এবং অর্জুন সিংকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। দুদিন আগেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, আমার কাছে হলুদ ফাইল রয়েছে। সেখানে অর্জুন সিং এর সমস্ত তথ্য রয়েছে। হলুদ ফাইল খুললেই সাংসদের সমস্ত দুর্নীতি  সামনে চলে আসবে।

    বাবার দৌলতে বিধায়কের মা চাকরি পেয়েছেন: অর্জুন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্জুন বলেন, দলের রাজ্য সভাপতি আমাকে চুপ থাকতে বলেছেন। তাই এই বিষয়ে আমি আর বেশি কোনও কথা বলবো না। এরপরই তিনি বলতে শুরু করেন, আমি কোন হলুদ ফাইল, নীল ফাইলের কথা বলবো না। যেটা সত্যি, জগদ্দল এর মানুষ যেটা জানেন, আমি সেই কথাই বলবো। তিনি বলেন, জগদ্দল এর বিধায়কের মায়ের প্রাইমারি স্কুলে চাকরি আমার বাবা করে দিয়েছিলেন। সেখানে মিঠু সাউ বলে একজনকে নেওয়ার কথা ছিল। তাকে বাদ দিয়ে বিধায়কের মাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল প্রাইমারি স্কুলে। এটা সবাই জানেন।

    তোলাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই আক্রমণ

    সোমনাথ শ্যামের এই বার বার আক্রমণ প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, আমি বিজেপিতে যাওয়ার পর বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে রমরমিয়ে তোলাবাজি শুরু হয়েছিল। আমি তৃণমূলে ফিরে আসতেই তোলাবাজিতে লাগাম টেনেছি। এবার দল যদি আমার উপর আস্থা রাখে এবং আমি যদি ফের সাংসদ নির্বাচিত হই তাহলে তাদের তোলাবাজি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এখন আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। কিন্তু, এলাকার মানুষ জানেন, অর্জুন সিং কেমন মানুষ। এসব নোংরামো করে ভোট ব্যাঙ্কে কোন প্রভাব পড়বে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে! হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    Barrackpore: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে! হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অর্জুন সিংকে এবার প্রার্থী করা হবে, না তাঁর জায়গায় নতুন কাউকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে নিয়ে দলের অন্দরে জোর জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন অর্জুনের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্জুনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।

    হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন সোমনাথ? (Barrackpore)

    বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের ভাটপা়ড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের ভাইপো গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। বিধায়ক এবং সাংসদ একে পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগেন। এমনকী মধ্যমগ্রামে জেলা পার্টি অফিসের বৈঠকে সোমনাথ হাজির হতেই মিটিঁং ছেড়ে চলে যান অর্জুন। এবার সেই অর্জুনের উদ্দেশে সোমনাথ বলেন, ‘আমার কাছে একটা হলুদ ফাইল আছে, সেটা আমি খুলব। তাতে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া-সহ নানা দুর্নীতির তথ্য আছে। সেই ফাইল খুললে পালাবার পথ পাবেন না অর্জুন সিংহ। সাদ্দাম হুসেনের মতো লুকনোর জায়গা পাবেন না।’ সাংসদের উদ্দেশে বিধায়কের আরও প্রশ্ন, ‘আপনার থেকে বড় চোর কে আছে? চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা, পরীক্ষার্থীদের টাকা, ভাটপাড়া পুরসভাকে দেউলিয়া করেছেন আপনি। কত মানুষের গ্র্যাচুইটির টাকা চলে গেল আপনার পেটে! এত টাকার হিসাব দিতে হবে। জবাব দিতে হলে পদত্যাগ করে আসুন, আমিও আসব। সামনাসামনি কথা হবে। তখন দৌড় করাব আমি।’

    কী বললেন অর্জুন?

    এমনিতেই সোমনাথের আচরণে বেজায় চটেছেন অর্জুন। দুদিন আগে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়টি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। তাই, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব। আর এবার সোমনাথের হলুদ ফাইল প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, একজন লোহা চোর কী বলছে, তার জবাব আমি দেব না। দলের উচ্চ নেতৃত্ব দেখছেন বিষয়টি। যা বলার, তাঁরাই বলবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share