Tag: Sonia

Sonia

  • Sonia Gandhi: ভারত-বিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত মিশেলকে ইন্দিরা পুরস্কার দিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস

    Sonia Gandhi: ভারত-বিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত মিশেলকে ইন্দিরা পুরস্কার দিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে নানা সময় গিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন কংগ্রেসের (Sonia Gandhi) প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী। এবার তাঁর দলই ইন্দিরা গান্ধী স্মারক ট্রাস্টের মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণ শান্তি, নিরস্ত্রীকরণ ও উন্নয়নের জন্য ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার দিয়েছে চিলির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মিশেল বাসেলেটকে। এই মিশেল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঘোর বামপন্থী মতাদর্শের জন্য পরিচিত। কাশ্মীর সংক্রান্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবের সমর্থক। ভারতবিরোধী মন্তব্যের জন্যও তিনি নানা সময় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন (Indira Gandhi Peace Prize)।

    মিশেলের হাতে পুরস্কার (Sonia Gandhi)

    এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি হয় বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫। পুরস্কারটি মিশেলের হাতে তুলে দেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন এবং ট্রাস্টের প্রধান সোনিয়া গান্ধী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মিশেলকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়ার ঘটনাটিকে স্রেফ একটি কাকতালীয় ঘটনা হিসেবে দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এটি কংগ্রেসের একটি সুপরিকল্পিত আদর্শগত বার্তা। মিশেলের পরিচয় এমন একটি রাজনৈতিক বর্ণনার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে মিলে যায় যা প্রায়ই বর্তমান ভারত সরকারের বিপরীতে নিজেকে উপস্থাপন করে, এমনকি জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নেও।

    তীব্র ভারত বিদ্বেষী

    মিশেল অতিবামপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি চিলির সোশ্যালিস্ট পার্টির আজীবন সদস্য। তাঁর দলের প্রধান লক্ষ্যই হল বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার এই অতিবামপন্থী আদর্শের ভিত্তিতে নির্মিত। তিনি তাঁর আন্তর্জাতিক ভূমিকার মধ্যেও এই আদর্শিক অবস্থান বজায় রেখেছেন। এমন নির্দিষ্ট মতাদর্শের একজন রাজনীতিককে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা এবং আন্তর্জাতিক মিত্র বাছাই সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তোলে (Sonia Gandhi)। মিশেল তীব্র ভারত বিদ্বেষী। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতিও তিনি সহানুভূতিশীল। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার হিসেবে মিশেল কূটনৈতিক ভাষার সীমানা ছাড়িয়ে ভারতের সার্বভৌম সিদ্ধান্তগুলির অন্যতম জোরালো আন্তর্জাতিক সমালোচকে পরিণত হন। তাঁর শাসনকাল উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে চিরকাল।

    কাশ্মীরের পরিস্থিতি

    এর কারণগুলি হল, কাশ্মীরে হস্তক্ষেপ (Indira Gandhi Peace Prize)। কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর ২০১৯ সালে মিশেল তাঁর রাষ্ট্রসংঘের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী লবির বক্তব্যের সঙ্গে সহমতও পোষণ করেছিলেন তিনি। তিনি সরাসরি দাবি করেছিলেন যে কাশ্মীরের জনগণকে প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়ায় পরামর্শ ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। তাঁর এই দাবি যা ভারতের সাংবিধানিক অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাওয়া গোষ্ঠীর বক্তব্যের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগও করেছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ইউএন হিউম্যান রাইটস অফিস কাশ্মীর নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল, ভারত সরকার সেটিকে অফিসিয়ালি প্রত্যাখ্যান করে “মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” এবং “স্পষ্ট পক্ষপাতদুষ্ট” বলে উল্লেখ করে। এসব রিপোর্টে ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইনি কাঠামোর সমালোচনা করা হয়েছিল এবং সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের হুমকিকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছিল (Sonia Gandhi)।

    ভারতকে লক্ষ্য করে বিবৃতি

    ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতির সমালোচনাও করেছিলেন মিশেল। তিনি এনআরসির বিষয়ে একাধিকবার ভারতকে লক্ষ্য করে বিবৃতি দেন, যাকে ভারত সরকার অযাচিত এবং বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয়। মিশেল বারবার ও ধারাবাহিকভাবে ভারতকে টার্গেট করেছে, যেখানে তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইনি পদক্ষেপগুলিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর বিবৃতিগুলিতে প্রায়ই কাশ্মীর এবং এনআরসি প্রসঙ্গে মুসলিম সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের কথা জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু ভারতের সামনে থাকা জটিল নিরাপত্তা ও জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জগুলি উপেক্ষিত হয়েছে। মিশেল নিজেকে বৈশ্বিক বিরোধ প্রচারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন (Indira Gandhi Peace Prize)। রাষ্ট্রসংঘের পদ ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক বিষয়গুলি নিয়ে তির্যক সমালোচনা করেছেন। তিনি বারংবার ইউএপিএর মতো ভারতীয় আইনগত কাঠামোর সমালোচনা করেছেন এবং নাগরিক স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এসবই ভারত সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের বিরোধী (Sonia Gandhi)।

    মিশেলের ভারতবিরোধী মন্তব্য

    পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধী চিলিতে মিশেলের নারী-অধিকার ও সামাজিক সংস্কারমূলক কাজের প্রশংসা করেন। যদিও রাষ্ট্রসংঘে তাঁর বিতর্কিত মেয়াদকাল বা ভারতের সঙ্গে তাঁর সরাসরি সংঘাতের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন সোনিয়া। সমালোচকদের মতে, এই নির্বাচিত প্রশংসা মিশেলের ভারতবিরোধী অবস্থানের প্রতি নীরব সমর্থনই প্রকাশ করে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শান্তি পুরস্কার এমন একজন বিদেশিকে দেওয়া হল, যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে ভারতের অবস্থানকে দুর্বল করেছেন। এর মাধ্যমে কংগ্রেস একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে দিল। কংগ্রেসের এহেন পদক্ষেপকে এমন একটি রাজনৈতিক জুয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা নিরঙ্কুশ জাতীয় সংহতির চেয়ে আন্তর্জাতিক বামপন্থী স্বীকৃতি এবং অভ্যন্তরীণ বিরোধী রাজনীতিকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। এই পুরস্কার আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে যে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে আদর্শ পুরস্কারপ্রাপক (Indira Gandhi Peace Prize) সেই ব্যক্তি, যাঁর আন্তর্জাতিক প্রভাব ভারতের কর্মকাণ্ড ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে কাজে লাগানো হয়েছে (Sonia Gandhi)।

  • National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত (National Herald Case) করতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল ইডির (ED) হাতে। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর অনুরোধে তাঁদের সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।

    লাখ লাখ টাকা অনুদান (National Herald Case)

    ইডির দাবি, রাহুল গান্ধীর সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে গান্ধীদের অনুরোধেই লাখ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। এই ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থাটিই বর্তমানে ন্যাশনাল হেরাল্ড চালায়। এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং মতিলাল ভোরা। এই সংস্থাই ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন – এই তিনটি সংবাদপত্র অধিগ্রহণ করে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে। ইডির দাবি, ঘুরপথে মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে গান্ধীদের পরিচালিত ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারি

    আদালতে ইডির অভিযোগ, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ১৪২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ৭৫১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার আগে পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন সোনিয়া, রাহুল। ইডির দাবি, সংস্থাটি (National Herald Case) যাতে আড়ে-বহরে বেড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে রাহুল ও সোনিয়া বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের ওই সংস্থায় অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানান। গান্ধী পরিবারকে খুশি করতে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা লাখ লাখ টাকা অনুদান দেন। এই তালিকায় রয়েছেন কর্নাটকের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, তেলঙ্গনার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা। ছোটবড় বহু কংগ্রেস নেতা গান্ধী পরিবারের ওই সংস্থায় মোটা টাকা অনুদান দেন। ২০২২ সালেও ওই সংস্থা বিপুল পরিমাণ অনুদান পেয়েছিল। ইডি (ED) এমনতর দাবি করলেও, এ ব্যাপারে অবশ্য কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি (National Herald Case)।

  • Sonia Gandhi: কেজিবি ও সোরোসের সঙ্গে যোগসাজশ! ভারতকে দুর্বল করার সব চেষ্টা করেন সোনিয়া গান্ধী

    Sonia Gandhi: কেজিবি ও সোরোসের সঙ্গে যোগসাজশ! ভারতকে দুর্বল করার সব চেষ্টা করেন সোনিয়া গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) হলেন সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি একবার আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেছিলেন, “আমার রাজীবকে ফিরিয়ে দাও, তাহলে আমি ফিরে যাব। যদি তাকে ফিরিয়ে দিতে না পারো, তবে আমাকে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে দাও।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাস্তবে তিনি এমন একটি দীর্ঘমেয়াদি মিশন পরিচালনা করেছেন যা ভারতকে ভিতর (KGB Ties) থেকে গভীরভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। রাশিয়ার কেজিবির সঙ্গে কথিত যোগসাজশ থেকে শুরু করে বিশ্ববাদী জর্জ সোরোসের সঙ্গে গভীর আঁতাত, বছরের পর বছর ধরে তাঁর কর্মকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টার ছবি তুলে ধরে—যার লক্ষ্য দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোকে ধ্বংস করা।

    টার্নিং পয়েন্ট (Sonia Gandhi)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০৪ সালে ক্ষমতায় তাঁর উত্থান ভারতের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট। এরপর আসে একের পর এক সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ—হিন্দু সংগঠনগুলিকে টার্গেট করা, ধর্মান্তরণকে মদত দেওয়া, জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করা এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপকে সহজ করা। একটি কম্প্রোমাইজড মিডিয়া ব্যবস্থা এবং গভীরভাবে প্রোথিত আমলাতান্ত্রিক নেটওয়ার্কের সমর্থনে তিনি রেখে গিয়েছেন প্রতারণা, বিভাজন ও ধ্বংসের উত্তরাধিকার। রাজীব গান্ধী হত্যার আগে কংগ্রেস পার্টি ও ভারতের শাসন ব্যবস্থার ওপর সোনিয়ার নিয়ন্ত্রণ প্রায় ছিল না বললেই চলে। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসেন পিভি নরসিমহা রাও, যিনি তাঁকে সম্পূর্ণভাবে প্রান্তিক করে দিয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনকালেও (১৯৯৯–২০০৪) সোনিয়া রাজনৈতিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ক্ষমতায় আসার পর ভয়ঙ্কর সূক্ষ্মতায় প্রকাশ পেতে শুরু করে সোনিয়ার দশকের পর দশক ধরে চালানো মিশনটি।

    কেজিবি-কংগ্রেস যোগ

    ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়ের সোভিয়েত গোয়েন্দা দলিলগুলি ইঙ্গিত দেয় যে কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে গভীর যোগাযোগ ছিল কেজিবির। এর মধ্যে সোনিয়াও অন্তর্ভুক্ত। রিপোর্টগুলি থেকে জানা যায়, কেজিবি অফশোর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার করত এবং রাজীব ও সোনিয়ার এই তহবিলে প্রবেশাধিকার ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এই সংযোগকে সাময়িকভাবে থামিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে সোনিয়ার উত্থানের ফলে একই ধরনের বিদেশি প্রভাব ফের মাথাচাড়া দেয়। ২০০৫ সালে সোনিয়ার (Sonia Gandhi) চাপে ইউপিএ সরকার ৯৩তম সংবিধান সংশোধনী আনে, যা হিন্দু-পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি সংখ্যালঘু-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি ছিল হিন্দুত্ব থেকে দলিত ও আদিবাসীদের বিচ্ছিন্ন করার একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা—ব্রিটিশযুগের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল (ভাগ কর ও শাসন কর)’ পলিশিরই প্রতিধ্বনি।

    হিন্দু স্কুলগুলিকে দুর্বল করা

    ২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইন হিন্দু-পরিচালিত স্কুলগুলির আরও ক্ষতি করে। এটি সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের বিধান দেয়। কিন্তু সংখ্যালঘু-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই আইনের আওতা থেকে মুক্ত রাখা হয়। ফলস্বরূপ, বহু হিন্দু স্কুল আর্থিক সঙ্কটে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে খ্রিস্টান মিশনারি ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিদেশি অর্থায়ন ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেয়ে ফুলেফেঁপে ওঠে (KGB Ties)।

    রেহাই পায়নি স্কুলের প্রার্থনাও

    ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির প্রার্থনা থেকে ‘অসতো মা সদগময়’ বাদ দেওয়ার জন্য একটি আবেদন দাখিল করা হয়। এটিকে সোনিয়া গান্ধীর আর একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়েছিল যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি থেকে হিন্দু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলা যায়। ইউপিএ শাসনেই দূরদর্শনের লোগো থেকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ অপসারণ করা হয়, যা ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকের সাংস্কৃতিক চেতনাকে মুছে ফেলার একটি প্রয়াস (Sonia Gandhi)।

    হিন্দু ধর্মকে ভেতর থেকে ভাঙার চেষ্টা

    এই শিক্ষাক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক হিন্দু সম্প্রদায়—যেমন কর্ণাটকের লিঙ্গায়েত এবং সাই ভক্ত সম্প্রদায়—স্বতন্ত্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করতে শুরু করে। এটি কংগ্রেসের কৌশলেরই একটি অংশ ছিল, যারা স্বাধীনতার পর শিখ, জৈন ও বৌদ্ধদের হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা করেছিল। সোনিয়ার মূল লক্ষ্য ছিল হিন্দু সমাজকে বিভক্ত করা, যাতে ধর্মান্তর ও বিদেশি প্রভাব সহজে ডানা মেলতে পারে।

    রাম সেতু এফিডেভিট: হিন্দু বিশ্বাসে আঘাত

    ২০০৭ সালে সোনিয়ার সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি এফিডেভিট জমা দিয়ে ঘোষণা করে যে ভগবান রাম, ভগবান হনুমান ও মা সীতা ‘কাল্পনিক চরিত্র’। তাই রাম সেতুর কোনও ধর্মীয় তাৎপর্য নেই। এটি হিন্দু বিশ্বাসের ওপর সরাসরি একটি আঘাত। কিন্তু বিজেপির প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়ে সরকার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।

    হিন্দু সন্ত্রাস’ ষড়যন্ত্র: ভুয়া শত্রু তৈরি

    ২০০৬ সালের আগে ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ শব্দটি শোনেনি বিশ্ব। কিন্তু মালেগাঁও ও সমঝোতা এক্সপ্রেস বোমা হামলার পরে সোনিয়ার সরকার হিন্দু গোষ্ঠীকে ফাঁসানোর জন্য প্রচার শুরু করে, যাতে তাদের জঙ্গি হুমকি হিসেবে চিত্রিত করা যায়। অবশ্য আদালতে এই মিথ্যা মামলাগুলো ভেস্তে যায়। কিন্তু কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ইসলামিস্ট জঙ্গি গোষ্ঠী ও হিন্দু সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি মিথ্যা সমতা তৈরি করতে সফল হয় (KGB Ties)।

    সোনিয়া গান্ধী যখন থেকে ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন, সেই পর্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করার চেষ্টা। সাচার কমিটি রিপোর্টে সেনাবাহিনীতে মুসলিম প্রতিনিধিত্বের ‘তদন্ত’ করার সুপারিশ করা হয়, যা সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী শক্তির তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সরকার এই পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এটি কংগ্রেসের ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার ইচ্ছাকেই প্রকাশ করে (Sonia Gandhi)।

    মন্দির লুট করার পাশাপাশি গির্জায় অর্থায়ন

    আরটিআই অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সরকারগুলি, বিশেষ করে কর্নাটকে, হিন্দু মন্দিরগুলি সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও শোষণের অধীনে থাকা সত্ত্বেও গির্জাগুলিতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। এই সুস্পষ্ট বৈষম্য ধর্মান্তরকে উৎসাহিত করেছিল এবং বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত ধর্মপ্রচারকদের অবাধে সম্প্রসারণের সুযোগ করে দিয়েছিল।

    কাঞ্চির শঙ্করাচার্যের গ্রেফতারি

    ২০০৪ সালে দীপাবলির রাতে কাঞ্চির শঙ্করাচার্য জয়েন্দ্র সরস্বতীকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তামিলনাড়ুর জয়ললিতা সরকারের পদক্ষেপ বলে মনে করা হলেও, পরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় জানান, এটি সোনিয়া গান্ধীর কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। কারণ? শঙ্করাচার্য ছিলেন খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরণের প্রধান বাধা। সোনিয়ার দীর্ঘদিনের বিদেশি শক্তিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে জর্জ সোরোস এবং ফোরাম অফ ডেমোক্র্যাটিক লিডার্স ইন এশিয়া প্যাসিফিক (এফডিএল-এপি)-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর (KGB Ties)।

    সোনিয়া-সোরোস যোগ

    নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে, সোনিয়া, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের মধ্যে গভীর যোগ ছিল। সোরোস একজন স্বঘোষিত গ্লোবালিস্ট। তিনি প্রকাশ্যে ‘মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর’ মিশন ঘোষণা করেছেন। ভারত-বিরোধী একাধিক উদ্যোগে অর্থায়নও করেছেন তিনি (Sonia Gandhi)।

    সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালিল শেট্টি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট, যা ক্রমাগত নরেন্দ্র মোদি-বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে, তার ৫০ শতাংশ অর্থ আসে মার্কিন বিদেশ দফতর থেকে। সোনিয়ার রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং পশ্চিমি ডিপ স্টেটের অ্যাজেন্ডার মধ্যে এই সরাসরি সংযোগ কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়—এটি ভারতকে অস্থিতিশীল করার একটি সুপরিকল্পিত বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ। তাঁর কথিত কেজিবি-সংযোগ থেকে শুরু করে সোরোস-মদতপুষ্ট গ্লোবালিস্ট (KGB Ties) শক্তিগুলির সঙ্গে তাঁর গভীর আঁতাত, সোনিয়া গান্ধীর শাসনকালকে সুপরিকল্পিত বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস বলেই চিহ্নিত করে (Sonia Gandhi)।

LinkedIn
Share