Tag: Sonia Gandhi

Sonia Gandhi

  • Sonia Gandhi: সোনিয়াকে টানা ছ’ ঘন্টা জেরা ইডির, ফের তলব বুধে   

    Sonia Gandhi: সোনিয়াকে টানা ছ’ ঘন্টা জেরা ইডির, ফের তলব বুধে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আজ, বুধবার ফের ইডি (ED) দফতরে তলব  করা হয়েছে কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে (Sonia Gandhi)। এনিয়ে মোট তিনবার তলব করা হল কংগ্রেসের প্রবীণ নেত্রীকে। এর আগে মঙ্গলবারও ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন সোনিয়া। এদিন ঘণ্টা ছয়েক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বর্ষীয়ান নেত্রীকে। সূত্রের খবর, সোনিয়ার জবাবে সন্তুষ্ট নন ইডি কর্তারা। সেই কারণেই ফের মঙ্গলবার তলব করা হয় তাঁকে।

    এদিন সকাল ১১টা নাগাদ মেয়ে প্রিয়ঙ্কা ও ছেলে রাহুলকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হন সোনিয়া। মায়ের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে জিজ্ঞাসাবাদের পুরো সময়টাই ইডির দফতরে বসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। আর ইডির দফতরে তলবের প্রতিবাদে কংগ্রেসের তরফে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদিন ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র ও ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী কতটা জড়িত, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, এর মধ্যে তিনি প্রায় ৩০টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এদিন প্রথমে টানা আড়াই ঘণ্টা জেরা করা হয় কংগ্রেস নেত্রীকে। মাঝে মধ্যাহ্নভোজের জন্য ৯০ মিনিটের বিরতি দেওয়া হয়। দুপুর থেকে ফের শুরু হয় জেরা। চলে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    ইডির অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মণিকা শর্মার নেতৃত্বেই এদিন জেরা করা হয় সোনিয়াকে। কীভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র চালানো হত, কোথা থেকে সংবাদপত্র চালানোর টাকা আসত, কারা কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সোনিয়া এবং রাহুল ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে কতটা যুক্ত ছিলেন এসব বিষয়ে কংগ্রেস নেত্রীকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। সূত্রের খবর, এদিন সোনিয়া প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরার নাম নেন। তাঁর দাবি, কেবল দলের পূর্বতন কোষাধ্যক্ষ মতিলাল ভোরা এই লেনদেনের বিষয়টি জানতেন। জানা গিয়েছে, ইয়ং ইন্ডিয়া কংগ্রেসকে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। যদিও ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে এক কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল। এই ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ কলকাতার কোনও একটি কোম্পানি বলে ইডি সূত্রে খবর।  এদিকে, ইডি সূত্রে খবর, সোনিয়ার বয়ানের সঙ্গে রাহুলের বয়ানের ফারাক কতটা, মিল-ই বা কোথায় তা যাচাই করবেন ইডি কর্তারা। প্রসঙ্গত, এই মামলায় সোনিয়ার আগে রাহুলকে বার ছয়েক তলব করেছিল ইডি। তাঁকে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা।  

    আরও পড়ুন : আজ মানিক ভট্টাচার্যকে তলব ইডি-র, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

  • National Herald case: দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    National Herald case: দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) সামনে হাজির হলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। গতকাল নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান থাকায় ইডির কাছে হাজিরা স্থগিত রাখা হয়েছিল। একাধিকবার দিন পরিবর্তনের পর ২১ জুলাই দিল্লিতে ইডি দফতরে প্রথমবার হাজিরা দেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী। এদিন ইডি দফতর পর্যন্ত সোনিয়ার সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।

    গতমাসে একই মামলায় রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সোনিয়াকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গত সপ্তাহে। ইডি সূত্রের খবর, রাহুলের তুলনায় সোনিয়া তাদের প্রশ্নের জবাব অনেক দ্রুত দিয়েছেন। একবারও বয়ান বদল করেননি। রাহুল একাধিকবার শুধু মৌখিক বয়ান বদল করেছেন তাই-ই নয়, তিনি আইনজীবীর পরামর্শে লিখিত বয়ানও বদলান।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে দলনেত্রীকে ইডির তলবের প্রতিবাদে এদিন ফের দিল্লি সহ সারা দেশে কংগ্রেস সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা বিভিন্ন শহরে ইডি অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। দিল্লিতে কংগ্রেস রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিস্থলে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের আটকে দিয়েছে। রাহুল গান্ধী-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে আটক করা হয়। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা সকলেই প্রায় দিল্লিতে। রাজঘাটে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেন, আমরা দেশের প্রধান বিরোধী দল। আমাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে ইডি ডেকে পাঠাচ্ছে। অথচ প্রতিবাদও করতে দেবে না সরকার। কেন্দ্রীয় সংস্থা সোনিয়া গান্ধীকে হেনস্থা করছেন এই অভিযোগে সংসদ চত্বরে সাংসদ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল করেছে কংগ্রেস কর্মীরা। এই প্রতিবাদ মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে সংসদ টু সড়ক। 

    আরও পড়ুন: আল-কায়দা যোগ! বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার আসামের যুবক

    এদিকে কংগ্রেসের এই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি বলেছেন, ‘দেশ জুড়ে যে আর্থিক দুর্নীতিতে বিরোধীরা যুক্ত তা নিয়ে তদন্ত হওয়াই উচিত।’ তিনি প্রশ্নও করেন বিরোধীদের এই বিষয়টি পছন্দ নয় বলে কি এই নিয়ে তদন্ত, জিজ্ঞাসাবাদ বন্ধ থাকবে। কংগ্রেসের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবাদের নামে কংগ্রেস আসলে নাটক করে। রাজপথে শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ তাদের কাজ করেছে।

  • Ed Quizzes Sonia: টানা দু’ ঘণ্টা ইডি-র জেরা সোনিয়াকে, ফের তলব সোমবার

    Ed Quizzes Sonia: টানা দু’ ঘণ্টা ইডি-র জেরা সোনিয়াকে, ফের তলব সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার টানা দু ঘণ্টা ধরে কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। শাসক দল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। এদিন দিল্লিতে শশী থারুর, মল্লিকার্জুন খাড়গে সব ৭৫ জন কংগ্রেস সাংসদকে আটক করে পুলিশ।

    ইডি সূত্রের খবর, এদিন সোনিয়াকে ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। পরে সোনিয়ার অনুরোধে এদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  তবে তার আগে রেকর্ড করা হয় সোনিয়ার বয়ান। ইডি সূত্রে খবর, ২৫ জুলাই ফের ডাকা হতে পারে তাঁকে। এদিন সমন যাচাইকরণ এবং উপস্থিতিপত্রে স্বাক্ষরের মতো কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হয় জেরা। ছেড়ে দেওয়া হয় দুটো নাগাদ।

    আরও পড়ুন : ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    ন্যাশনাল হেরান্ড মামলায় জুন মাসেই ইডি তলব করেছিল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তলব করা হয়েছিল সোনিয়া পুত্র তথা  কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও। বিদেশে থাকার জন্য নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। পরে অবশ্য হাজিরা দেন। প্রায় পাঁচ দিন পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় রাহুলকে। লিপিবদ্ধ করা হয় তাঁর বয়ান। প্রায় একই সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ারও। কিন্তু করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ই চেয়ে নেন বাড়তি সময়। সেই মতো বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন সোনিয়া। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা।

    আরও পড়ুন : মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, প্রশ্নবাণে জর্জরিত নেত্রী

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হত। এর মালিক সংস্থা ছিল ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত এই সংবাদপত্র নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। তবে ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় হইচই। যার মূল হোতা ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই মামলারই তদন্ত চলছে। জেরা করা হয়েছে রাহুলকে। এবার জেরা করা হচ্ছে সোনিয়াকে।

     

  • Rashtrapatni Remark Row: অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে ফাটল কংগ্রেসেই, নিন্দার ঝড় বিজেপিতে

    Rashtrapatni Remark Row: অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে ফাটল কংগ্রেসেই, নিন্দার ঝড় বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) ‘রাষ্ট্রপত্নী’ (Rashtrapatni) মন্তব্যের জেরে ফাটল দলের অন্দরেই। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি (Manish Tewari) অধীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন কড়া প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানানো উচিত।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি (ED)। এনিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দেশের পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। সংসদে তিনি বলেছিলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। ভারতের রাষ্ট্রপতি না, না, রাষ্ট্রপত্নীর কাছে যাব।

    আরও পড়ুন : অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে তোলপাড় সংসদ, ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির

    অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি গন্ডগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। দুপক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচির জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার তীব্র নিন্দে করেন পদ্ম শিবিরের মহিলা নেত্রীরা। অধীরের মন্তব্যের জেরে ফাটল ধরেছে কংগ্রেসের অন্দরেও। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, যিনি কোনও একটি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন, তিনি নারীই হোন বা পুরুষ যেই হোন না কেন, তিনি সম্মানীয়। তিনি বলেন, যাঁর যে সম্মান প্রাপ্য, তাঁকে তা দিতে হয়। যিনি কোনও একটি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন, তিনি লিঙ্গ বৈষম্যের উর্ধ্বে। অধীরের মন্তব্যকে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক অপমান বলে দাবি করেছে বিজেপি। অধীরের পাশাপাশি এ ব্যাপারে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীরও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও কড়া নিন্দা করেছেন অধীরের। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অধীরের মন্তব্যকে অশালীন বলে উল্লেখ করেছন। তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী জনজাতি সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে অশালীন শব্দ প্রয়োগ করেছেন। প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের এর সমালোচনা করা উচিত। প্রত্যেক ভারতীয়ের কংগ্রেস, তার নেতারা এবং সোনিয়া গান্ধীকে বয়কট করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের

    উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কংগ্রেস সাংসদের এহেন মন্তব্য নিন্দার্হ। এটা সংবিধান, মহিলা ও জনজাতির মহিলাকে অপমান।এক দিক থেকে এটা জাতির অপমানও। ভারতবাসীর কাছে তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। জাতি কখনও এই জাতীয় মন্তব্য মেনে নেবে না।  

     

    অধীরের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনি বলেন, জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিতর্কিত মন্তব্য করতেই অভ্যস্ত অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর উচিত দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করা। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা রাষ্ট্রপতি। তাঁর প্রতি এহেন মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা করি। দেশবাসীর কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। অধীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের মতে, অধীরের মন্তব্য অসাংবিধানিক ও রাষ্ট্রপতি পদের অসম্মান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, নয়া রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে এহেন মন্তব্য অধীর আগেও করেছেন।

     

  • Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের  

    Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) নোটিশ পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)। সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে তিনি রাষ্ট্রপত্নী (Rashtrapatni) বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই কারণেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। এনিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দ্রৌপদী সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেছিলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। ভারতের রাষ্ট্রপতি না, না, রাষ্ট্রপত্নীর কাছে যাব। 

    অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি হইচই শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। দুপক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচির জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    অধীরের এহেন মন্তব্যে ভারতের মহিলা ও আদিবাসীদের অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। তাঁর অভিযোগ, দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার পর থেকেই কংগ্রেস বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে। ঘটনাটিকে বিজেপি নেতৃত্ব নারী বিদ্বেষী আখ্যা দিয়েছেন। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই অধীর বিষয়টিকে স্লিপ অফ টাং বলে স্বীকার করেছেন। তিনি এও জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেবেন।

    অধীরের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই জাতীয় মহিলা কমিশন অধীরকে নোটিশ পাঠিয়েছে। এবং তাঁকে ৩ আগস্ট কমিশনের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দিতে বলা হয়েছে লিখিত ব্যাখ্যাও। কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর(অধীর চৌধুরীর) মন্তব্য অপমানজনক, নারীবিদ্বেষী, মাননীয় রাষ্ট্রপতির সম্মানহানিকর। অধীরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন চিঠি লিখেছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধিকেও।

    এদিকে, অধীরের এই মন্তব্যের জেরে মধ্যপ্রদেশের দিনদরি জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগন্নাথ মার্কম বলেন, অধীরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

  • Rahul Gandhi: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    Rahul Gandhi: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) পাঁচ দিনে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরা করা হয়েছে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঠায় বসে ছিলেন ইডির আধিকারিকদের সামনে। জবাবও দিয়েছেন একের পর এক প্রশ্নবাণের। তবে ইডি (ED) সূত্রে খবর, ২০ শতাংশ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন রাহুল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইডি তলব করেছিল রাহুলকে। বিদেশ থাকায় নির্ধারিত দিনে হাজিরা দিতে না পারলেও, পরে ইডি দফতরে হাজিরা দেন এই কংগ্রেস নেতা। পাঁচ দিনে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবারও দু দফায় জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন সকাল থেকে টানা ন ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় রাহুলকে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে। এর পরে পরেই ফের ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয় রাহুলকে। আবারও চলে একপ্রস্ত জেরা। সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয় কংগ্রেস সাংসদকে।

    আরও পড়ুন : কেন রাহুল গান্ধীকে জেরা, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?

    ইডি সূত্রে খবর, রাহুল বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিলেও, ২০ শতাংশ প্রশ্নের জবাব দেননি। ইডির এক আধিকারিক বলেন, তিনি প্রায় ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। ওই প্রশ্ন গুলির সময় তিনি জানান, তিনি খুবই ক্লান্ত। রাহুলকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা করে জেরা করা হয়েছে। ইডির এক আধিকারিক বলেন, রাহুল যে উত্তরগুলি দিয়েছেন, সেগুলি তিনি আবার খুঁটিয়ে দেখেছেন, তাই সময় লেগেছে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    এদিকে, বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় সপ্তাহখানেক ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে। সম্প্রতি পান ছাড়া। এর পরেই চিকিৎসকদের পরামর্শে আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন সোনিয়া। এমতাবস্থায় ইডির কাছে হাজিরা দিতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি। বুধবার সোনিয়া নিজেই ইডি আধিকারিকদের চিঠি লিখে এই আর্জি জানিয়েছেন। ইডি তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। সূত্রের খবর, সোনিয়া হাজিরা দিলে রাহুল এবং সোনিয়াকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।

     

  • Sonia Gandhi Aide Booked: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    Sonia Gandhi Aide Booked: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) ব্যক্তিগত সচিবের (personal secretary) বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অভিযোগ এসেছে দলের ভিতর থেকেই! এক দলিত মহিলা কংগ্রেস কর্মীই এই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ৭১ বছর বয়সী ব্যক্তিগত সচিব পিপি মাধবন (PP Madhavan) তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। যদিও সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মাধবন। অভিযুক্তের পাল্টা দাবি কংগ্রেসের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুন দিল্লির উত্তমনগর (Delhi Uttam Nagar) থানায় পিপি মাধবনের নামে একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে। আইপিসি সেকশন ৩৭৬ এবং ৫০৬  ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার দাবি, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই দলিত মহিলার স্বামী দিল্লির কংগ্রেস অফিসে কাজ করতেন। ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই সূত্রেই ওই মহিলা কংগ্রেস অফিসে যাতায়াত শুরু করেন। সেখানেই পরিচয় হয় মাধবনের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    নির্যাতিতার অভিযোগ, আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনি কংগ্রেস অফিসে যান। ২১ জানুয়ারি তাঁকে ইন্টারভিউ-র জন্যে ডাকা হয়। ইন্টারভিউ নেন মাধবন। তখনই তিনি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। তার পরে একদিন মাধবন তাঁকে নিজেই গাড়িতে নিতে আসেন। একটা জায়গায় ড্রাইভারকেও বলেন, গাড়ি থামিয়ে বেরিয়ে যেতে। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানেই মাধবন ধর্ষণ করেন তাঁকে। এরপর মাঝ রাস্তায় তাঁকে নামিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।

    সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বিড়ম্বনায় পড়ছে কংগ্রেস। যদিও, সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে উড়িয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। হাত শিবিরের দাবি, যেহেতু অগ্নিবীর প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস, তাই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি তাঁদের ভয় দেখাতে চাইছে।    

    আরও পড়ুন: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    একের পর এক গুরুতর অভিযোগে বেশ অস্বস্তিতে হাত শিবির। সম্প্রতি, ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার (National Herald Magazine) তহবিল তছরুপের মামলায় সোনিয়া গান্ধী (Sonia  Gandhi) ও রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি (ED)। প্রথমবার গত ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়া গান্ধীকে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় ইডির থেকে সময় চেয়ে নেন সোনিয়া গান্ধী। তবে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।  এখন দলের শীর্ষ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ।

     

     

  • ED Quizzes Sonia: মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, প্রশ্নবাণে জর্জরিত নেত্রী

    ED Quizzes Sonia: মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, প্রশ্নবাণে জর্জরিত নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) দফতরে পৌঁছালেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বৃহস্পতিবার মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দফতরে যান তিনি। এদিন সোনিয়ার হাজিরা ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি (Delhi)। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেসের অন্তত ৭৫ জন সাংসদ। তাঁদেরকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। কেবল দিল্লি নয়, আরও কয়েকটি রাজ্যেও সোনিয়াকে ইডির ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।

    আরও পড়ুন : ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় জুন মাসেই ইডি তলব করেছিল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তলব করা হয়েছিল সোনিয়া পুত্র তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও (Rahul Gandhi)। বিদেশে থাকার জন্য নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। পরে অবশ্য হাজিরা দেন। প্রায় পাঁচ দিন পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় রাহুলকে। লিপিবদ্ধ করা হয় তাঁর বয়ানও।

    প্রায় একই সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ারও। কিন্তু করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ই চেয়ে নেন বাড়তি সময়। সেই মতো এদিন ইডি দফতরে হাজিরা দেন সোনিয়া। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। এঁদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও। পি চিদম্বরম, অজয় মাকেন, মানিকাম ঠাকুর, কেসি বেণুগোপাল, অধীররঞ্জন চৌধুরী, শশী তারুর, সচিন পাইলট, হরিশ রাওয়াত, অশোক গেহলট, কে সুরেশ সহ বেশ কয়েকজন সাংসদকে আটকও করে দিল্লি পুলিশ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, প্রতিবাদ করায় কংগ্রেস সাংসদ এবং কর্মীদের আটক করা হয়েছে। আমাদের পুরানো দিল্লির পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন। কয়েকটি গাড়িও পোড়ানো হয় বলে অভিযোগ। 

    সূত্রের খবর,  এদিন কার্যত প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয় সোনিয়াকে। জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির পাঁচ আধিকারিক। কংগ্রেসের অভিযোগ, দলনেত্রীকে হেনস্থা করতেই এসব করা হচ্ছে। সংসদে চলছে বাদল অধিবেশন। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই লোকসভা ও রাজ্যসভা সংসদের দুই কক্ষেই স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধীরা। হট্টগোলের জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি ঘোষণা করা হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। কংগ্রেসের এই প্রতিবাদের তীব্র নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। প্রসঙ্গত, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (PMLA) আওতায় রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের (Money Laundering) মামলা দায়ের করেছে ইডি। সেই মামলায়ই এদিন হাজিরা দেন সোনিয়া।

     

     

  • Rahul Gandhi: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    Rahul Gandhi: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চল্লিশ ঘণ্টা জেরা করা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও সন্তুষ্ট নয় ইডি (ED)। সেই কারণেই আজ, মঙ্গলবারও ফের ইডির জেরার মুখে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। গত সপ্তাহে তিন দিন টানা জেরা করা হয় রাহুলকে। সোমবার জেরা করা হয় আরও এক প্রস্ত। ইডির দাবি, তার পরেও মেলেনি সন্তোষজনক উত্তর। তাই মঙ্গলবার ফের জেরা করা হচ্ছে রাহুলকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (national herald case) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গত সপ্তাহে পরপর তিনদিন রাহুলকে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিদিন প্রায় দশ ঘণ্টা করে জেরা করা হয় তাঁকে। শুক্রবার বিরতি নিয়েছিলেন ‘ক্লান্ত’ রাহুল। সোমবার ফের ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। এদিনও ঘণ্টা দশেক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তলব করেছিল ইডি। বিদেশে থাকায় প্রথমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। নির্ধারিত সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি সোনিয়াও। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় হাজির হতে পারেননি তিনি। দেশে ফেরার পর ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এদিকে, সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন সোনিয়া। ২৩ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির তরফে।

    আরও পড়ুন : রাহুলের হাজিরাকে কেন্দ্র করে নয়া ছক কংগ্রেসের? সোনিয়াকে সময় দিল ইডি

    ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন এই তিনটি সংবাদপত্র অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে অধিগ্রাহণ করে রাহুল ও সোনিয়ার মালিকানাধীন ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক সংস্থা। রাহুল ও সোনিয়া ওই সংস্থার ৭৬ শতাংশের মালিক। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ ও মতিলাল ভোরা। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, এই অধিগ্রহণ নিয়ম মেনে হয়নি। ঘুরপথে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।এর পরেই তদন্ত শুরু করে ইডি। জেরা করা হয় রাহুলকে। বৃহস্পতিবার জেরা করা হবে সোনিয়াকে।

     

  • Rahul Gandhi: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    Rahul Gandhi: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় সোমবার আবারও ইডির (ED) জেরার মুখে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছন রাহুল। 

    গত সপ্তাহে টানা তিনদিন ৩০ ঘণ্টা রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। গত শুক্রবারই চতুর্থবার জেরার জন্য কংগ্রেস সাংসদকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু মা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখার করার জন্য তা পিছনোর আর্জি জানিয়ে ইডিকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল। তা মেনে নিয়ে ২০ জুন হাজিরার নির্দেশ দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেইমতোই এদিন ইডির দফতরে পৌঁছন রাহুল। চলে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।

    এদিকে, রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে কংগ্রেস। দিল্লির যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহ শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, সলমন খুরশিদ, ভি নারায়ণ স্বামীরা। কংগ্রেসের বিক্ষোভ আটকাতে দিল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইডি দফতরের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলকে ইডির (Enforcement Directorate) জেরা নিয়ে কড়া ভাষায় কংগ্রেসের সমালোচনা করে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, “এ দেশে না কেউ রানি ভিক্টোরিয়া (Queen Victoria ), না কেউ যুবরাজ চার্লস (Prince Charles)। যে তাঁকে জেরা করা যাবে না। এদেশে আইনের চোখে সবাই সমান। কারও বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বা উঠলে তদন্তকারী সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে।” তাঁর দাবি, জনগণ জানে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধী পরিবার এবং রাহুল গান্ধীর ভূমিকার কথা। সুতরাং,এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মনে করলে গান্ধী পরিবারের যে কোনও সদস্যকে ডেকে জেরা করতেই পারে। এই জেরার অধিকার তাদের রয়েছে। সম্বিত আরও বলেন, “ইডি কথার অর্থ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এন্টাইটেলমেন্ট ডিরেক্টরেট নয়। এটা যেন কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধী ভুলে না যান।”

    আরও পড়ুন: কেন রাহুল গান্ধীকে জেরা, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?

    এর আগে রাহুলকে তলব নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় মাকেন বলেন, “আমার জানা নেই যে কংগ্রেসকে (Congress) যেভাবে দিনের পর দিন হেনস্থা করা হচ্ছে, সেভাবে অন্য কোনও দলকে হেনস্থা করা হয়েছে কি না। আর এই হেনস্থার একমাত্র উদ্দেশ্য হল রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের মুখ বন্ধ করা। এভাবে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের মুখ বন্ধ করা যায় না।”

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় শুধু রাহুল নয় সনিয়া গান্ধীকেও ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি৷ কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত দিনে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেস সভানেত্রী৷ এই মুহূর্তে তিনি ভর্তি গঙ্গারাম হাসপাতালে৷ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে ইডি দফতরে তিনি যাবেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস৷

LinkedIn
Share