Tag: Sonia Gandhi

Sonia Gandhi

  • National Herald: রাহুলের হাজিরাকে কেন্দ্র করে নয়া ছক কংগ্রেসের? সোনিয়াকে সময় দিল ইডি

    National Herald: রাহুলের হাজিরাকে কেন্দ্র করে নয়া ছক কংগ্রেসের? সোনিয়াকে সময় দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Corruption Case) কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিন সপ্তাহের সময় চেয়ে নিয়েছিলেন নেত্রী। সোনিয়াকে তিন সপ্তাহের সময় দিতে রাজি হয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সোনিয়াকে নতুন সমন পাঠাবে ইডি।   

    আরও পড়ুন: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    গত ২ জুন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর করোনা ধরা পড়ে। সেইমতো তিনি ইডি কর্তৃপক্ষের কাছে সুস্থ হওয়ার জন্যে তিন সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন। কারণ চিকিৎসকরা এখনও তাঁকে ঘরের বাইরে বেরোনোর অনুমতি দেননি।

    আরও পড়ুন: হেরাল্ড কাণ্ডে তলব ইডির, আর কী কী মামলা রাহুলের বিরুদ্ধে?

    এদিকে আগামী ১৩ জুন, সোমবার ওই একই মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধীর। গত সোমবারই ইডির দফতরে যাওয়ার কথা ছিল জুনিয়র গান্ধীর। কিন্তু সেই সময় তিনি বিদেশ সফরে থাকায় হাজিরার জন্যে কিছুটা সময় চেয়ে নেন। তাঁকে এক সপ্তাহের সময় দেয় ইডি।

    শোনা যাচ্ছে রাহুলের এই হাজিরাকে হাতিয়ার করে দিল্লির রাস্তায় সরকার-বিরোধী প্রতিবাদের ঝড় তুলতে পারে কংগ্রেস (Congress)। ওই দিন রাহুলের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা, লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা মিছিল করে ইডি-র দফতরে যাবেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে মোদি (Modi) সরকার। আর এরই প্রতিবাদে মিছিল করবে কংগ্রেস। এমনকি আগামী অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হওয়ার পরিকল্পনাও করেছে কংগ্রেস।  

    আরও পড়ুন: ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থ পাচার মামলায় রাহুল-সোনিয়াকে নোটিস পাঠিয়েছে এই তদন্তকারী সংস্থা। ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক সংস্থা অভিযোগ করে যে, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটির পরিচালন সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় আর্থিক নয়ছয় হয়েছে।

     

  • Sonia Gandhi: ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে  উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    Sonia Gandhi: ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হন সোনিয়া। এর আগে তিনবার ইডির তরফে সনিয়াকে তলব করা হয়। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে আগের বার ইডির মুখোমুখি হতে পারেননি তিনি। এদিন সনিয়ার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। সোনিয়া ইডি দফতরে যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন সনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)।

    ইডি সূত্রের খবর, রাহুলের মতো সোনিয়াকেও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হতে পারে। কংগ্রেস সভানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ মহিলা আধিকারিকের একটি দল গঠন করেছে ইডি। শেষ মুহূর্তে সোনিয়ার সঙ্গে আইনজীবী এবং একজন চিকিৎসককে ইডি দফতরে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস (Congress)। যদিও ইডি দফতরে সোনিয়ার সঙ্গে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না।

    আরও পড়ুন: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে সনিয়া-পুত্র রাহুল গান্ধীকে একাধিকবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। তখন কংগ্রেসের সমস্ত নেতা দিল্লির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এদিনও একইভাবে পথে নেমেছে কংগ্রেস। এবারে প্রতিবাদ কর্মসূচি আরও বড় হবে বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস নেতাকর্মীরা এদিন ইডি দফতর ঘেরাও অভিযানে নেমে পড়েছেন। অনেক রাজ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। 

    এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় স্তরে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। আজ সংসদ অধিবেশনের আগেই রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ১৩টি বিরোধী দল সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সংসদের অধিবেশন শুরুর পরই সোনিয়াকে ইডির তলব নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। যার জেরে সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন মূলতুবি হয়ে যায়। কংগ্রেসের বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “যদি কোনও ভুল না থাকবে, তাহলে এত চিৎকার, বিরোধিতা কেন? তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তদন্তে সাহায্য করলেই সত্যিটা সামনে এসে যাবে।”

     

  • Sonia Gandhi: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    Sonia Gandhi: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid) সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। ২ জুন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। রাখা হয়েছিল হোম আইসোলেসনে। পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির (Delhi) গঙ্গারাম হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কংগ্রেস হাইকমান্ডের অবস্থা স্থিতিশীল।

    রাহুল গান্ধী বিদেশে থাকাকালীন সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন সোনিয়া। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনা সংক্রমিত। এর পরেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সর্বময় কর্ত্রীকে। পরে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজওয়ালা জানান, করোনা সংক্রমিত কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে তাঁকে। যাঁরা ওঁর শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন, তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।

    আরও পড়ুন : ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    এদিকে, সোনিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দুদিন আগেই মমতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সোনিয়া। কথা বলার সময় সোনিয়া কাশছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মমতা। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সোনিয়াকেও। সেই বৈঠকের আগেই তাঁকে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    প্রসঙ্গত, ১ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল ও সোনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়ায় তিনি আপাতত হাজিরা দিতে পারছেন না। তবে সোমবার ইডি দফতরে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। পায়ে হেঁটে গিয়ে ইডি দফতরে যান তিনি। তার আগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা।

     

     

  • Rajya Sabha Polls: শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    Rajya Sabha Polls: শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসে (Congress) ফিরল রিসর্ট সংস্কৃতি! বিধায়করা যাতে দল ভেঙে বিজেপিতে (BJP)  গিয়ে না ভিড়ে যান, তার জন্য তাঁদের বিভিন্ন হোটেলে ‘লুকিয়ে’ রেখেছিলেন রাজস্থান কংগ্রেস। প্রায় সেই একই ছবির রিমেক হতে চলেছে এবারও। সৌজন্যে রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)।

    একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতা হারাতে হারাতে প্রায় প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। দেশের মাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সোনিয়া (Sonia) গান্ধীর দল। এই দুই রাজ্য হল রাজস্থান ও ছত্তিশগড়। ১০ জুন রাজ্যসভা নির্বাচন। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে হবে এই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ২২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। কংগ্রেস ১০।

    আরও পড়ুন :রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    এই প্রার্থীরাও যে গেরুয়া-কূলে গিয়ে তরী ভেড়াবেন না, তা কে বলতে পারে? গেরুয়া খাতায় নাম লেখাতে পারেন বিধায়করাও। অতএব, ‘বন্দি’ করো বিধায়কদের! কংগ্রেস সূত্রে খবর, হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়কদের ছত্তীশগড়ের রায়পুরের একটি হোটেলে রাখা হতে পারে। আর ছত্তীশগড়ের বিধায়কদের রাখা হতে পারে রাজস্থানের উদয়পুরের এক হোটেলে।

    রাজ্যসভায় ক্রমেই শক্তিহীন হতে চলেছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় কংগ্রেসকে মাত দিতে তৈরি বিজেপি। হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে একটিও বাড়তি আসন ছাড়তে রাজি নন পদ্ম নেতৃত্ব। তাই এই চার রাজ্যের রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ‘ভোট’ জোগাড়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে।

    দুশো আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। বিজেপির ৭১। এই রাজ্যে রাজ্যসভার একটি আসন জিততে হলে কোনও প্রার্থীকে ৪১ জনের ‘ভোট’ পেতে হবে। সেই হিসেবে কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর জেতার পরে বাড়তি ভোট থাকছে ২৬টি। আবার বিজেপির প্রথম প্রার্থীকে জেতানোর পরে হাতে থাকছে ৩০টি ভোট। বিজেপির এক নেতার কথায়, তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে কংগ্রেসের প্রয়োজন ১৫টি ভোট। আর পদ্ম শিবিরের দ্বিতীয় প্রার্থীকে জেতাতে দরকার ১১টি ভোট। স্বভাবতই এগিয়ে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    হরিয়ানাতেও কংগ্রেসকে মাত দিতে সক্রিয় বিজেপি নেতৃত্ব। হরিয়ানা বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। সেরাজ্যে ভোট হবে রাজ্যসভার দুটি আসনে। একজন প্রার্থীকে জেতাতে প্রয়োজন ৩১টি ভোট। সেখানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যাও ৩১। এঁদের অনেকেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের আশঙ্কা বিজেপি ভাঙিয়ে নিতে পারে ওই বিধায়কদের। তাই ঝুঁকি না নিয়ে দলীয় বিধায়কদের রায়পুর কিংবা রাজস্থানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাত শিবির।

    দল বাঁচাতে আর উপায়ই বা কি!

     

  • PM Modi: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    PM Modi: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই খবর শোনার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ট্যুইট করে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য কামনা করেন। সোনিয়া গান্ধী করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেই নিজেকে নিভৃতবাস রেখেছেন। বৃহস্পতিবার সোনিয়া (Sonia) গান্ধীর  অসুস্থতার খবর প্রথম জানান কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala)। তিনি জানান, সোনিয়া গান্ধীর হালকা জ্বর এসেছিল ও অন্যান্য কোভিডের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে লেখেন, “কোভিড-১৯ (Covid-19) থেকে সোনিয়াজির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ৮ জুনে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা  সোনিয়ার। আর তার আগেই করোনায় আক্রান্ত হলেন কংগ্রেস নেত্রী। 

    আরও পড়ুন: কোভিড আক্রান্ত সোনিয়া, রয়েছেন নিভৃতবাসে, ইডি তলবের পরদিনই জানাল কংগ্রেস

    সোনিয়ার হাজিরা নিয়ে কংগ্রেস থেকে জানানো হয়েছে, সোনিয়াজি চাইছেন ৮ তারিখই তিনি ইডি-র দফতরে যাবেন। তবে অবশ্যই যদি সেই সময় কোভিড সংক্রান্ত জটিলতা না থাকে। পাশাপাশি, এই মামলায় তাদের যে কিছুই লুকোনোর নেই তাও মনে করিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। দল বলেছে, “আমরা আইনি, রাজনৈতিক, সামাজিক পথেই লড়াই করব।” 

    কংগ্রেস মন্ত্রী ও আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই মামলায় অর্থ পাচার বা বিনিময়ের কোনও প্রমাণই নেই। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধী দলকে নিশানা করতেই এই মামলা দায়ের করেছে এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অপব্যবহার করছে।

    আরও পড়ুন: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    এদিকে, সোনিয়া গান্ধীর পর এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও। করোনায় আক্রান্তের খবর শুক্রবার নিজেই ট্যুইট করে জানালেন তিনি। তিনি ট্য়ুইটে লেখেন, “আমার করোনা পজিটিভ এসেছে ও করোনার মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতেই রয়েছি। গত বেশ কয়েকদিন যাঁরা আমার কাছাকাছি এসেছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য অনুগ্রহ করছি।”

    [tw]


    [/tw]

  • Congress Chintan Shivir: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    Congress Chintan Shivir: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। শুক্রবার রাজস্থানের উদয়পুরে চিন্তন শিবিরে (Chintan Shivir) একথা বললেন কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia)। কংগ্রেস কর্মীদের ঋণ মেটানের আহ্বানও জানান তিনি।

    এদিন থেকে তিন দিনের চিন্তন শিবির শুরু হয়েছে কংগ্রেসের। উদ্বোধনী ভাষণ দেন সোনিয়া। সেখানেই জানান, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। বছর কয়েক ধরে একের পর এক নির্বাচনে গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। হাতছাড়া হয়েছে একাধিক রাজ্যের রশি। এক সময় যে রাজ্যগুলির একচেটিয়া রাশ ছিল কংগ্রেসের হাতে, সেগুলিতে থাবা বসিয়েছে বিজেপি।

    পরপর দু-টার্মে কেন্দ্রের তখ্তে বসেছে বিজেপি (BJP)। প্রত্যাশিতভাবেই শতাব্দী প্রাচীন দলে শুরু হয়েছে ক্ষয় রোগ। ধরেছে ভাঙন। এমতাবস্থায় দলকে খাদ থেকে ডাঙায় টেনে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেছেন বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। সোনিয়া বলেন, দলের দৈনন্দিন কার্যকারিতায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। একটি বড়, সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। চিন্তন শিবির সেই দিকেই একটি পদক্ষেপ।  

    আরও পড়ুন: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    দলকে বাঁচাতে হলে পার্টির সদস্যদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার ঊর্ধ্বে ওঠার মন্ত্রেও কংগ্রেস কর্মীদের দীক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী। কংগ্রেস কর্মীরা দলের কাছে ঋণী। সেই ঋণ শোধ করার ডাকও উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে দিয়েছেন সোনিয়া। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কংগ্রেস আমাদের সব কিছু দিয়েছে। এবার সেই ঋণ শোধ করতে হবে।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha election) কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে বলেও জানান কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেন, দল জনগণের প্রত্যাশার প্রতি উদাসীন নয়। দেশের রাজনীতিতে দল যে ভূমিকা পালন করেছে, তা আবারও পূরণ করুন।  

    কংগ্রেসের এই চিন্তন শিবিরে অংশ নিয়েছেন ৪৩০ জন প্রতিনিধি। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংগঠন, যুব ও কৃষক এই ছটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এজন্য প্রতিনিধিদের ছটি দলে ভাগ করা হয়েছে। দল যে ফের ঘুরে দাঁড়াবে, এদিন সেই আশাও ব্যক্ত করেন সোনিয়া। বলেন, আমি আশা করি যে আমরা যখন এখান থেকে বের হব, আমরা নতুন আত্মবিশ্বাস, শক্তি এবং সংকল্পের সঙ্গে তা করব।

      আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যু নিয়ে রাহুলের বিপরীতে গিয়ে হু-র দাবি খারিজ কংগ্রেসের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

      

  • Congress Chintan Shivir: আস্তিনে লুকানো কোন অস্ত্র? চিন্তন শিবিরের তথ্য পাচার রোধে নয়া ফরমান কংগ্রেসে

    Congress Chintan Shivir: আস্তিনে লুকানো কোন অস্ত্র? চিন্তন শিবিরের তথ্য পাচার রোধে নয়া ফরমান কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন (2024 lokshabha election)। বিজেপিকে (BJP) গদিচ্যুত করতে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতেই কংগ্রেস (congress) শাসিত রাজস্থানের (rajasthan) উদয়পুরে বসছে দলের চিন্তন শিবির (chintan shivir)। সেখানে চব্বিশের মহারণের যে রণকৌশল স্থির হবে, তা যাতে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য মোবাইল জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হল শিবিরে উপস্থিত প্রতিনিধিদের।

    টানা দু বার কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Modi) । ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারকে (UPA govt) পরাস্ত করে বিজেপিকে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসান নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ (Amit Shah) জুটি। এই জুটির নেতৃত্বেই একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেসকে হারিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিজেপি-রাজ। মোদি-শাহের জুটির রণকৌশলের জেরে বিভিন্ন রাজ্যে ঘায়েল হয়েছে বিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচনেও বিরোধীদের মাত দিতে এখন থেকেই অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

    পদ্ম শিবিরকে লোকসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী করতে আস্তিন গুটোচ্ছে কংগ্রেসও। যার কারণে দীর্ঘদিন পরে এবার ফের বসেছে চিন্তন শিবির। শুক্রবার শুরু হওয়া শিবির চলবে তিনদিন ধরে।

    শুক্রবার উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন প্রসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। স্বাগত ভাষণে তিনি জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসকে চাঙা করতে ঋণ শোধ করতে হবে কর্মীদের।

    দ্বিতীয় দিনেও আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। লোকসভা নির্বাচনে কুর্সিতে ফেরার কৌশল নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। সেই কৌশল যাতে বিধোধী শিবিরে পৌঁছে না যায় তাই ফোন জমা রাখতে বলা হয়েছে শিবিরে আসা কংগ্রেস প্রতিনিধিদের।

    বর্তমানে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র দুটি রাজ্যের রশি। একটি ছত্তিশগড়, অন্যটি রাজস্থান। এই রাজস্থানের দায়িত্বে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন (Ajay Maken)। তিনি বলেন, পার্টির গোপন খবর যাতে বাইরে চলে না যায় তাই শিবিরে উপস্থিত প্রতিনিধিদের ফোন জমা রাখতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, প্রত্যেকের জন্য লকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাবিও রয়েছে। সেখানেই যেন প্রতিনিধিরা ফোন জমা রাখেন।

    আরও পড়ুন : বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    বিজেপির ‘মেরুকরণের রাজনীতি’র মোকাবিলায় কী করা যায়, এই শিবিরে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। দলিত, সংখ্যালঘু এবং ওবিসি ভোটারদের কীভাবে ফের কংগ্রেসমুখী করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে। গত মাসে ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা বসেন। কংগ্রেসকে চাঙা করার গুচ্ছ দাওয়াইও দেন তিনি। তারই একটি দলিত, ওবিসি এবং সংখ্যালঘুদের ভোট হাতের ঝুলিতে ফেরানো। দলিত এবং ওবিসি ভোটে ভাগ বসিয়েই যে বিজেপি এবারও উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছে, বিধানসভা নির্বাচনের ফলেই তা স্পষ্ট। দেশজুড়ে এই ভোট কীভাবে ফেরানো হবে, তার উপায় বাতলানো হতে পারে কংগ্রেসের এই শিবিরে। বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির মোকাবিলায় কী করণীয়, তাও আলোচনা হবে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।

     

  • Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha election) বিজেপির (BJP) বিজয়রথ কীভাবে থামানো যাবে, সেই নিয়ে আলোচনা-বিশ্লেষণ করতে ১৩ মে থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে বসছে কংগ্রেসের (congress) চিন্তন শিবির (chintan shivir)।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অতীতে, পরিবার-তন্ত্রকে ইস্যু করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের এই অস্ত্রেই বিভিন্ন নির্বাচনে ঘায়েল হয়েছে কংগ্রেস। শুধু বিরোধী নয়, দলের অভ্যন্তরেও এই নিয়ে অনেক অপ্রিয় প্রশ্ন উঠেছে। দলের অন্দরে ও বাইরে উভয়ক্ষেত্রেই একাধিকবার, এই পরিবারতন্ত্রের জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে হাত-শিবিরকে। 

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিতে এবার আগে থেকে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে শতাব্দী-প্রাচীন দলটি। এবার তাই পরিবারতন্ত্রে ইতি টানতে চাইছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিরোধীদের জবাব দিতে এবার এক পরিবার এক টিকিট নীতি (one family, one ticket) চালু করতে পারেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। 

    সম্প্রতি, ভোটকূশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসকে চাঙা করার একগুচ্ছ খসড়া পেশ করেন হাইকমান্ডের কাছে। ওই খসড়ায়ই ছিল এক পরিবার, এক টিকিট নীতি লাগু করার কথা। পিকে কংগ্রেসে যোগ দেননি। তবে তাঁর প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। 

    সূত্রের খবর, দলের মধ্যেই প্রস্তাব উঠেছে, দলকে জেতাতে অবিলম্বে চালু হোক এক পরিবার এক টিকিট নীতি।  ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষস্তরে এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে। আসন্ন চিন্তন শিবিরেই প্রস্তাবে পড়তে পারে হাইকমান্ডের শিলমোহর। 

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    তবে সূত্রের খবর, এই নীতি-রূপায়ণের ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে! আর সেই ব্যতিক্রমের নাম গান্ধী পরিবার। অর্থাৎ, এক পরিবার এক টিকিট নীতি বাকি সকলের জন্য কার্যকর হলেও, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে নয়। অর্থাৎ, গান্ধী পরিবারকে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই খবর।

    সূত্রের খবর, আলোচনার সময়, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্যের কারণে হয়তো এবার আর রায়বেরিলি থেকে ভোটে লড়বেন না সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তবে আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)  লড়বেন বলেই খবর। এক পরিবার এক নীতি লাগু হলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার টিকিট পাওয়ার কথা নয়। যদিও প্রিয়ঙ্কাও লড়বেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।

    পরপর দু’দফায় দিল্লির তখতে বসেছে বিজেপি সরকার। দীর্ঘদিন ক্ষমতা থেকে দূরে শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষয় শুরু হয়েছে দলে। যার ফলশ্রুতিতে একের পর এক রাজ্যে ধরাশায়ী হচ্ছে দল। এমতাবস্থায় দলকে চাঙা করার একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই চিন্তন শিবিরে। তার মধ্যেই একটি হতে চলেছে, এক পরিবার এক টিকিট নীতি।

    কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, বিজেপি যাতে ফের পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করতে না পারে, সেই জন্যই এই নীতি চালু করার ভাবনা। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি গান্ধী পরিবারকে এই নীতি থেকে “ফ্রি পাস” দেওয়া হয়, তাহলে কংগ্রেসের দ্বিচারিতা আরও প্রকট হবে। সেক্ষেত্রে, নির্বাচনের আগে, বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র উঠে আসবে। 

    শুধু তাই নয়। দলের কংগ্রেসেরই অন্দরে এই নিয়ে আরও অসন্তোষ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইতিমধ্য়েই, দলের একাংশ রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে খুশি নয়। অনেকেই মনে করেন, পুনরুজ্জীবনের জন্য গান্ধী পরিবারের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কংগ্রেসকে। কিন্তু, তা আখেরে কতটা হয়, তা আসন্ন চিন্তন শিবিরেই বোঝা যাবে। 

  • Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Election) বিজেপির (BJP) মোকাবিলা করার আগে হারানো জমি কীভাবে ফিরে পাওয়া সম্ভব, সেই রোডম্যাপ তৈরি করতে উদয়পুরে চিন্তন শিবিরের (Chintan Shivir) আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। লক্ষ্য, আগামী নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করে তোলা। এই মর্মে, তিনদিনের সম্মেলন শেষে একাধিক বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করল শতাব্দী-প্রাচীন দলটি।

    সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কংগ্রেস থেকে বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা বেরিয়ে গিয়েছেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল পার্টির পুরনো ও নব্য নেতাদের মধ্যে মত-পার্থক্য প্রকট হয়ে পড়া। ফলে তরুণ নেতাদের আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে দল৷ সেই কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনতে সংগঠনের সব স্তরে ৫০ শতাংশ পদে ৫০ বছরের কমবয়সিদের প্রার্থী করা হবে। পাশাপাশি ২০২৪-এর নির্বাচন থেকে শুরু করে তার পরে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনেও ৫০ শতাংশ আসনে ৫০ বছরের কম বয়সীদের প্রার্থী করা হবে। সংগঠন ও প্রার্থী তালিকায় দলিত, সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং মহিলাদের যুক্তিসঙ্গত প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

    চিন্তন শিবির, যাকে কংগ্রেস উল্লেখ করেছে ‘নব সংকল্প শিবির’ (Nav Sankalp Shivir) হিসেবে, তার শেষ দিন দলীয় সংগঠনে একাধিক সংস্কার আনতে তিনদিনের সম্মেলন শেষে “উদয়পুর নব-সংকল্প ঘোষণাপত্র” (Udaipur Nav Sankalp Declaration) গৃহীত হল কংগ্রেসে। সেখানে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) স্বীকার করে নেন, কংগ্রেস এখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে তাঁর দাবি,  এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে দল। তিনি জানান, জনজাগরণ অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে যুক্ত করা হবে। তারপর দেশজুড়ো অভিযান চালানো হবে। রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi) একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেতাদের। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের বিষয়টি পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং এর কোন সহজ রাস্তা নেই।

    বস্তুত, চিন্তন শিবিরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে দ্বিতীয় পর্বের ‘জনজাগরণ অভিযান’ (Janajagaran Abhiyan) চালাবে কংগ্রেস। এরপর আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কংগ্রেস শুরু করতে চলেছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ (Bharat Jodo Yatra)।  কংগ্রেস বলেছে, ঠিক ৮০ বছর আগে,  সালে, মহাত্মা গান্ধী “ভারত ছাড়ো” স্লোগান দিয়েছিলেন এবং ২০২২ সালে, “জোড়ো ভারত” (এক ভারত) স্লোগানটি গ্রহণ করা উচিত।

    বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেসে “এক পরিবার এক টিকিট” চালু করার দাবি উঠেছে। সেই কারণে দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ‘এক ব্যক্তি এক পদ ও এক পরিবার ও একটি টিকিট’ এই নীতি চালু করতে চলেছে। উদয়পুরের সাংবাদিক সম্মেলনে তা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ও ‘এক পরিবার এক টিকিট’ তখনই বাদ দেওয়া হবে যখন কোনও একটি পরিবারের একাধিক সদস্য টানা পাঁচ বছরেও বেশি সময় কংগ্রেসের জন্য কাজ করেছেন। সেই অর্থে এক পরিবার একাধিক টিকিট পেতে পারে। যার অর্থ গান্ধী পরিবারের তিন জনই কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করতে পারবেন। 

    চিন্তন শিবিরে কংগ্রেসের নেওয়া অন্য বড় সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে জনমত গ্রহণের জন্য পৃথক বিভাগ গঠন। কর্পোরেট ধাঁচে জনতার মন বুঝতে জনসমীক্ষার জন্য ‘পাবলিক ইনসাইট’ শাখা, পদাধিকারীদের কাজের মূল্যায়নে ‘অ্যাসেসমেন্ট’ বিভাগ তৈরি হবে। তার ভিত্তিতেই নেতাদের পদোন্নতি, পদচ্যুত করা হবে। এআইসিসি ও প্রদেশ স্তরে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি গঠন হবে।

    এছাড়া, কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্লক কংগ্রেস কমিটির নীচে মণ্ডল কমিটি গঠন করা হবে। দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হবে। কেরালার ‘রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ থেকে তার সূত্রপাত হবে। আরেকটি গৃহীত সিদ্ধান্ত হল, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা গোষ্ঠী তৈরি হবে। কংগ্রেস সভানেত্রীর নেতৃত্বে সেই কমিটি নিয়মিত রাজনৈতিক বিষয় ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনায় বসবে।

     

     

  • Kapil Sibal: সৌহার্দ্যপূর্ণ বিদায়! দলত্যাগী কপিল সিব্বলকে নিয়ে চুপ কংগ্রেস হাইকমান্ড

    Kapil Sibal: সৌহার্দ্যপূর্ণ বিদায়! দলত্যাগী কপিল সিব্বলকে নিয়ে চুপ কংগ্রেস হাইকমান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (congress) সঙ্গে ৩০ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে দল ছেড়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কপিল সিব্বল (kapil sibal)। সমাজবাদী পার্টির (samajwadi party) সমর্থনে স্বতন্ত্র পার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন তিনি। দিনদশেক আগে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia gandhi) পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন সিব্বল। তবে সেটি প্রকাশ্যে এসেছে বুধবারই, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর।

    ’১৪ সালে কংগ্রেস দিল্লিতে ক্ষমতা হারাতেই বেসুরো গাইতে থাকেন সিব্বল। কংগ্রেসের শীর্ষ পদে বদলের দাবিতে দলের মধ্যে একটি উপদলও গজিয়ে ওঠে সিব্বলের নেতৃত্বে। কংগ্রেসের অন্দরে ভুঁইফোড় ওই উপদল জি-২৩ (G-23) নামে পরিচিত। সেই জি-২৩ এর কেউই ঘূনাক্ষরেও জানতে পারেননি যে কংগ্রেসের পাট চুকিয়ে ফেলেছেন সিব্বল। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ এই শিবিরও।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, ১৬ মে সোনিয়ার কাছে সিব্বল তাঁর সংক্ষিপ্ত পদত্যাগপত্র পাঠান। সেখানে উল্লেখ করেছেন, দলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ “সৌহার্দ্যপূর্ণ”। দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে সুযোগ দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পদত্যাগপত্রে। একইসঙ্গে এখনই তাঁর এগিয়ে যাওয়ার সময় বলেও জানিয়েছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

    সিব্বল যে দল ছেড়ে নতুন কিছু করতে যাচ্ছেন, কেবল জি-২৩ নয়, টের পাননি কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারাও। তাঁরাও জানতে পারলেন দেশের আমজনতার সঙ্গে। যেহেতু কংগ্রেসের সঙ্গে সিব্বলের বিচ্ছেদ সৌহার্দ্যপূর্ণ, তাই সিব্বল স্বয়ং কিংবা কংগ্রেস, কেউই কাউকে খুব একটা আক্রমণ করেননি। প্রবীণ এক কংগ্রেস নেতার ভাষায়, এটি কংগ্রেস এবং সিব্বলের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ বিচ্ছেদ ছিল। তাঁর মতে, সিব্বলের কংগ্রেস ত্যাগ জি-২৩ শিবিরেও বিশাল প্রভাব ফেলবে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তারিক আনোয়ার বলেন, সিব্বল দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কংগ্রেস তাঁকে সম্মান ও পদমর্যাদা দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই উচ্চাকাঙ্খা থাকে। তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারেও স্বাধীন। আনোয়ার বলেন, কংগ্রেস সত্তর বছর ক্ষমতায় ছিল। এখন যখন ক্ষমতায় নেই, তখন অনেকেই যাঁরা সংগ্রাম করতে চান না, শুধুই ক্ষমতা চান, তাঁরা চলে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন :কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে

    কংগ্রেস কর্মীরা যে দলের কাছে ঋণী, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা। বলেন, আমাদের উপলব্ধি করা উচিত যে আমরা কংগ্রেসের মন্ত্রী বা মুখপাত্র যাই হই না কেন, আমরা দলের কাছে অনেক ঋণী। দল আমাদের কাছে ঋণী নয়। এআইসিসি ইনচার্জ ত্রিপুরা অজয় ​​কুমার বলেন, প্রশ্ন হল, যে বা যাঁরা দলত্যাগ করছেন, তাঁরা কি (জনসাধারণের) ইস্যুতে লড়াই করতে প্রস্তুত নাকি তাঁরা কেবল তাঁদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে চলে যাচ্ছেন?

    সিব্বল বলেন, আমি ১৬ মে নিজেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমার কাগজপত্র জমা দিয়েছি। সংসদে একটি স্বাধীন কণ্ঠস্বর হতে হবে, এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমি সমাজবাদী পার্টির প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞ। অখিলেশ যাদব আমায় সমর্থন করেছেন।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেস কীভাবে সিব্বল-ক্ষত সামলায়, এখন তাই দেখার।

     

LinkedIn
Share