Tag: Sound sleep

Sound sleep

  • Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লে হানা দেয় নানা রোগ। বিশেষত জীবন যাপন সংক্রান্ত নানা রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা কিংবা উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কম বয়সে অনেকেই এই রোগ নিয়ে বিশেষ নজর দেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের একাংশ ডায়াবেটিসের মতোই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। বয়সের সীমারেখায় আর রোগ আটকে থাকছে না। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) ভুগছেন। কিন্তু উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক না থাকার জেরে নানান বিপদের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

    কেন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ একাধিক জটিল রোগের কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ১২০/৮০ হল যে কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ। ১৪০/৯০ রক্তচাপ ছাড়ালেই তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বলা যেতে পারে।
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ভারতে স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়ছে‌। আর তার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বিশেষত কম বয়সীদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতনতা একেবারেই তলানিতে। তাই অনেক সময়েই স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতো বড় বিপদ এড়ানো কঠিন হয়ে যায়। কম বয়স থেকেই অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক। এর ফলে অবসাদ এবং মানসিক চাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। এদেশে ডিমেনশিয়া একটি মহামারির আকার ধারণ করছে। দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ব্যহত হচ্ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) আক্রান্ত হলে ক্লান্তিবোধ, বমি ভাবের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ জানান দেয় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।

    নাক থেকে রক্তক্ষরণ

    লাগাতার সর্দি-কাশি কিংবা সাইনাসের মতো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ নাক থেকে রক্তপাত (Nosebleeds) হলে সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাক থেকে রক্তপাত উচ্চ রক্তচাপের (Hypertension) লক্ষণ। মাঝেমধ্যে নাক থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়।

    তীব্র মাথার যন্ত্রণা

    নানান কাজের চাপে অনেকের প্রায় মাথার যন্ত্রণা হয়। বিশেষত যারা দিনের দীর্ঘ সময় ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই মাথা যন্ত্রণার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বারবার মাথা যন্ত্রণার মতো লক্ষণ দেখা যায়। তীব্র মাথার যন্ত্রণা হলে, বিশেষত মাথার পিছনের অংশে যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    ঝাপসা দৃষ্টিতে বাড়তি সতর্কতা জরুরি (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখেন। হয়তো চোখে জল দিয়ে ধুয়ে সাময়িক সমস্যা মেটান। কিন্তু বারবার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে রেটিনা ও তার আশপাশের রক্তনালীতে চাপ বাড়ে। এর ফলেই দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

    শ্বাসকষ্টের সমস্যা

    শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা করলে ফুসফুসের উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো জীবন যাপন জরুরি। ধুমপান কিংবা মদ্যপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি। কারণ এগুলো এদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সময় মতো পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা (Hypertension) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Child Education: বাড়ছে পড়াশোনার চাপ! সন্তানের মনোযোগ আর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে‌ ঘরোয়া এই পদ্ধতি!

    Child Education: বাড়ছে পড়াশোনার চাপ! সন্তানের মনোযোগ আর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে‌ ঘরোয়া এই পদ্ধতি!

    মাধ্যম ডেস্ক: পড়াশোনার চাপ বাড়ছে! স্কুল স্তর থেকেই এখন পড়াশোনার পাশাপাশি অধিকাংশ পড়ুয়াদের খেলাধুলা আর নানান রকমের প্রশিক্ষণ থাকে। ফলে অনেক সময়েই শিশু (Child Education) ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দিতেও সমস্যা‌ হয়। আবার অনেক সময় পড়ার পরেও তারা মনে রাখতে পারে না। এই ধরনের সমস্যা নিয়ে অনেক অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদান এবং কিছু অভ্যাস এই ধরনের সমস্যা কমাতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের প্রথম থেকেই কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব (Memory) দিলে নানান সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। এখন দেখা যাক, সন্তানের মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কোন পদ্ধতির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে (Child Education)

    শিশুরোগ (Child Education) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুদের এখন‌ পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক পরিবারেই দেখা যাচ্ছে, কাজের চাপে বা অন্যান্য কারণে বাড়ির বড়রা অনেক দেরিতে ঘুমোতে যান। আর এই অভ্যাস ধীরে ধীরে শিশুরাও রপ্ত করে।‌ ফলে, তারাও অনেক রাতে ঘুমোনোয় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুল সকাল থেকেই হয়। তাই পড়ুয়াদের অনেকটাই ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়। যার ফলে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। দীর্ঘদিন অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের পেশিকে দূর্বল করে দেয়। তাছাড়া ঠিকমতো বিশ্রাম না হলে স্নায়ুর কার্যকারিতাও হ্রাস পায়। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি গ্রাস করে। আবার শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশপাশি পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। মস্তিষ্কের (Memory) পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। দীর্ঘদিন ঠিকমতো ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। তাই ঘুম অত‌্যন্ত প্রয়োজন। স্কুল পড়ুয়াদের অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সন্তানের ঘুমের সময় যাতে এক রকম থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

    নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মনোযোগ বাড়াতে শরীরের কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকা এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা সবচেয়ে জরুরি। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের এই দুই বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে অ্যাংজাইটি বা অবসাদের ঝুঁকি কমে। তার ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে‌। আবার রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে‌। তাই সন্তানের (Child Education) মনোযোগ বাড়াতে নিয়মিত আধঘণ্টা থেকে চল্লিশ মিনিট যোগাভ্যাসের পরামর্শ (Memory) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আখরোট এবং কাঠবাদাম বাড়াবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভালো অভ্যাসের পাশপাশি ভালো খাবার সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই নানান রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে দীর্ঘ প্রসারী। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস কমিয়ে দিতে পারে পড়ুয়ার নানান সমস্যা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত আখরোট এবং কাঠবাদাম খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, আয়রন সহ একাধিক উপাদানে ভরপুর এই দুই খাবার। তাই নিয়মিত আখরোট এবং কাঠবাদাম খেলে প্রচুর উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো উপাদান শিশুদের (Child Education) স্নায়ুর কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে। আবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবার নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। তাই সন্তানকে নিয়মিত এই দুই খাবার খাওনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Increasing Pain: ঘুম থেকে উঠেই ক্লান্তি, বাড়ছে যন্ত্রণা! কেন হচ্ছে এই সমস্যা?

    Increasing Pain: ঘুম থেকে উঠেই ক্লান্তি, বাড়ছে যন্ত্রণা! কেন হচ্ছে এই সমস্যা?

    মাধ্যম ডেস্কঃ ঘুম ভাঙার পরেই ক্লান্তি বোধ কিংবা একটা অবসন্নতা গ্রাস করে নিচ্ছে। অথবা ঘুম ভেঙেই শরীরে তীব্র যন্ত্রণা (Increasing Pain), মাথার ভিতরে অস্বস্তি (Tired)! কোনও কাজেই মনোযোগ দেওয়া যাচ্ছে না, কিংবা হাত-পায়ের জোর পাওয়া যাচ্ছে না।‌ তাই কাজ করার ইচ্ছেও তৈরি হচ্ছে না। ঘুম থেকে উঠে অনেকেই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে উঠে বহু মানুষ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। আর এই ভুক্তভোগীদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। ক্লান্তি বোধ কিংবা কাজ করার মতো প্রয়োজনীয় শক্তির অভাব যে দেখা দিচ্ছে, তার রেশ থাকছে দিনভর। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলেই এই ধরনের সমস্যা কমতে পারে। কেন‌ বাড়ছে এই সমস্যা?

    রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব (Increasing Pain)!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। আর তার জেরেই বাড়তে পারে ক্লান্তি। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখন ঘুমের জন্য বরাদ্দের সময়  কমছে। কম বয়সিদের রাত জাগার প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে রাতের জন্য ঘুমের বরাদ্দ সময় কম হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব (Tired) ঘটায়। পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্লান্তি (Increasing Pain) বাড়ায়। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর জেরে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে।

    অনিয়মিত ঘুমের রুটিন!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের ঘুমের নির্ধারিত সময় নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একেক দিন ঘুমের জন্য একেক সময় বরাদ্দ। এর ফলে বায়োলজিক্যাল ক্লক ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারছে না। শরীরের স্নায়ু ও পেশির আরামের সময় ঠিক থাকছে না। এর ফলেই শরীরে যন্ত্রণা দেখা দিচ্ছে। স্নায়ু ও পেশি দিনভর সক্রিয় থাকার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। সেটা না থাকার জেরেই ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তিবোধ ও দূর্বলতা (Tired) গ্রাস করছে।

    দিনের অধিকাংশ সময়ে বসে থাকা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অধিকাংশ সময়ে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে কাজ করেন। এর ফলে তাদের একভাবেই বসে থাকতে হয়। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর (Increasing Pain)। তাঁরা জানাচ্ছেন, একনাগাড়ে বসে থাকার জেরে শরীরের বিভিন্ন পেশির কার্যকারিতা ঠিকমতো হয় না। অনেক সময়েই এর জেরে রাতে ঘুম হয় না। তাই তাঁদের পরামর্শ, ক্যালোরি বার্ন হয় এমন কিছু কাজ নিয়মিত করা জরুরি।

    শরীরে জলের ঘাটতি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল পর্যাপ্ত না খেলে ঘুম থেকে উঠে একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। শরীরে জলের অভাব থাকলে হজমের গোলমাল হতে পারে, স্নায়ু দূর্বল হতে পারে, অন্ত্রের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরে জলের অভাব হলেও ঘুম থেকে উঠে নানান সমস্যা হতে পারে।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় যোগাভ্যাসের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। পাশপাশি শারীরিক কসরত করলে পেশি ও সক্রিয় থাকে। এর ফলে শরীরের একাধিক সমস্যা কমবে আবার ঘুমও ভালো হবে।

    রাতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমের জন্য বরাদ্দ করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। এতে শরীর ভালো থাকবে। বিশেষত মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে এই অভ্যাস খুবই জরুরি।

    মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না

    বেশি রাতে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে নানান শারীরিক সমস্যা কমাতে বিশেষত ঘুম থেকে উঠে বমিভাব বা পেটের সমস্যার মতো জটিলতা এড়াতে হলে রাতে হালকা খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত হতে হবে। এতে পাকস্থলী, লিভার ও অন্ত্র ও সুস্থ (Tired) থাকবে।

    দিনভর পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। যাতে রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরে জলের ঘাটতি না দেখা দেয়। রাতের ঘুম অন্তত সাত ঘণ্টা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব (Increasing Pain) হবে। নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Exam season: পরীক্ষার মরশুমে সন্তানের কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি?

    Exam season: পরীক্ষার মরশুমে সন্তানের কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শুরু হয়ে গিয়েছে পরীক্ষার মরশুম (Exam season)! একদিকে আবহাওয়ার রকমফের, আরেকদিকে পরীক্ষা। তাই এই মরশুমে সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের একাংশ। অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগে, ভাইরাস ঘটিত অসুখে কাবু হয়ে পড়ে, আবার অনেকের ভোগান্তি বাড়ায় হজমের গোলমাল, পেটের সমস্যা। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি যত্ন ও নজরদারি জরুরি। সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করবে?

    সকাল শুরু হোক তুলসীপাতা, কাঠবাদামের সঙ্গে (Exam season)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়।‌ ঘনঘন বদলে যায় তাপমাত্রার পারদ। আর এর প্রভাবে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। গলাব্যথা, সর্দি-কাশি-জ্বরে নাজেহাল হতে হয়। তাই তাঁদের পরামর্শ, সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েকটা তুলসীপাতা ভেজানো এক গ্লাস জল খেয়ে নেওয়া জরুরি! তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতার একাধিক ঔষধিগুণ রয়েছে। তুলসী পাতা সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এই তুলসী পাতা ভেজানো জল খেলে সর্দি-কাশির মোকাবিলা সহজ হবে। যে কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে দেহ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে পারবে। আরেকদিকে‌ খালি পেটে জল খেলে হজম শক্তি বাড়ে, পেটের গোলমাল কমে‌। তবে তার সঙ্গে গোটা পাঁচেক কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই খাবারের পুষ্টিগুণ প্রচুর। কাঠবাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খনিজ পদার্থ। তাই সকালে কাঠবাদাম খেলে সহজেই স্নায়ু সক্রিয় থাকে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

    নিয়মিত একটা লেবু

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় (Exam season) শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত একটা লেবু খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত যে কোনও একটা লেবু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা সহজ হয়। শরীর সুস্থ থাকে। বিশেষত সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমে।

    ভাতের সঙ্গে থাকুক টক দই (Exam season)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে অনেকেই পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমালে ভোগেন। তাই ভাতের সঙ্গে টক দই খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দই শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যার ফলে অন্ত্র ভালো থাকে। হজম হয়। তাই নিয়মিত টক দই খেলে একাধিক পেটের সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি

    পরীক্ষার দুশ্চিন্তায় (Exam season) বিশ্রামে ঘাটতি হলে চলবে না। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমোলে তবেই শরীর সুস্থ থাকবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, মস্তিষ্কের বিশ্রাম হলে তবেই স্মৃতিশক্তি বজায় থাকবে। আবার দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। বিশ্রাম ঠিকমতো না হলে স্ট্রেস হরমোন অতিরিক্ত ক্ষরণ হবে, যা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক।

    নিয়মিত যোগাভ্যাসের জন্য সময় বরাদ্দ (Exam season)

    পরীক্ষার চাপ কমাতে এবং সুস্থ থাকতে নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুটা সময় যোগাভ্যাসের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। এতে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। শরীরের সমস্ত পেশি ঠিকমতো কাজ করবে। মস্তিষ্কের স্নায়ু এবং কোষ সক্রিয় হবে। এর ফলে যে কোনও কাজে মনোযোগ বাড়বে। তাই সন্তান যাতে নিয়মিত যোগাভ্যাসের জন্য সময় বরাদ্দ করে, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Stroke: স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে! উত্তরোত্তর মানসিক চাপই কি সঙ্কটের মূলে? 

    Stroke: স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে! উত্তরোত্তর মানসিক চাপই কি সঙ্কটের মূলে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে বিপদ! কম বয়সিদের মধ্যে বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করছে উদ্বেগ। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছেন, আগাম সচেতনতা না বাড়লে এমন রোগের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা কঠিন হয়ে যাবে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে মৃত্যুর কারণ হিসেবে যেসব রোগের তালিকা রয়েছে, তাতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে স্ট্রোক (Stroke)। যেসব রোগে শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হয়, স্বাভাবিক জীবন‌যাপন ব্যাহত হয়, সেই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে এই রোগ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও পঞ্চাশোর্ধ্বদের এই রোগের প্রকোপ বেশি ছিল। কিন্তু এখন পঁচিশ পেরনোর পরেই বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।‌ এই প্রবণতা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা মনে করছেন। 

     কেন বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি? (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহে রক্তচাপ স্বাভাবিক না থাকলে স্নায়ুর উপরেও চাপ পড়ে। মস্তিষ্কের উপরেও তার প্রভাব দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপ তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তরুণ প্রজন্মের অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। 
    এছাড়াও মানসিক চাপ (Stress ও অবসাদ স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এমন সামাজিক ও কর্মজগতের চাপে থাকেন, তাতে মানসিক শান্তি ব্যাহত হয়। তাঁরা নানান অবসাদের শিকার হন। যার জেরে তাদের দেহে একাধিক হরমোন অধিক সক্রিয় থাকে। আবার পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এর জেরে মস্তিষ্কে নানান প্রতিক্রিয়া হয়। এর থেকেই স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বাড়ে। 
    অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে জানান চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়। এর ফলে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়। একাধিক রোগের কারণ এই অনিয়মিত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত বাজারের চটজলদি খাবার খান। এর ফলে তাঁদের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। আবার রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যায়। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। সবমিলিয়ে স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (Stroke) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর ও মনের বিশ্রাম সবচেয়ে বেশি জরুরি। স্ট্রোকের মতো রোগের দাপট এড়াতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাতে ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি নুন খাওয়া যাবে না।‌ কম তেলমশলার খাবার খাওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খাওয়া দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক চাপ দূর করতে এবং দেহের স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত যোগাভ্যাস দরকার। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হবে‌। আবার স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থেকে মানসিক শান্তি বজায় থাকবে‌। 
    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অপ্রয়োজনীয় রাত জাগার অভ‌্যাস ক্ষতিকারক। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমোনো দরকার। তাহলে স্ট্রোকের (Stroke) মতো রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Insomnia: বাঙালির অনিদ্রা কি বাড়ছে? ঘুমের সময় কমে যাওয়া কতখানি বিপজ্জনক?

    Insomnia: বাঙালির অনিদ্রা কি বাড়ছে? ঘুমের সময় কমে যাওয়া কতখানি বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাতের সংজ্ঞা ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। রাত বারোটাও এখন আর গভীর নয়! আধুনিক ব্যস্ত জীবনের দৌড়ঝাঁপ এখন আর শুধু দিনে নয়, রাতেও চলছে সমান তালে! দিনের মতোই রাতে হচ্ছে অফিস, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। আর এর জেরেই কমছে ঘুমের সময় (Insomnia)। যা বিপজ্জনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    অনিদ্রা কী? 

    অনিদ্রার ইংরেজি প্রতিশব্দ ইনসোমনিয়া (Insomnia)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটা আসলে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি। অর্থাৎ, রাতে না ঘুমিয়ে দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুম।

    বাঙালির কি ঘুম কমছে? 

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বাঙালির অনিদ্রা (Insomnia) বাড়ছে। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ইনসোমনিয়ার সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত শহুরে বাসিন্দাদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। ৩৩ শতাংশ শহুরে বাসিন্দা ইনসোমনিয়াতে ভোগেন। এরমধ্যে অবশ্য কিশোর-কিশোরীরাও রয়েছে। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যেও অনিদ্রা দেখা দিচ্ছে। 

    কতটা ঘুম পর্যাপ্ত? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারা দিনে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম (Insomnia) জরুরি। তার বেশি হলেও সমস্যা নেই। বিশেষত শিশু ও কৈশোরে পা দেওয়া ছেলেমেয়েরা যাতে ন্যূনতম  ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে পারে, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। 

    কম ঘুম কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রা বা কম ঘুমানোর অভ্যাস (Insomnia) বিপদ বাড়াচ্ছে। শরীরে একাধিক রোগের কারণ এই অনিদ্রা। উচ্চ রক্তচাপ সেই তালিকায় অন্যতম। কম ঘুম শরীরে রক্ত সঞ্চালনে নানান সমস্যা তৈরি করে। তার জেরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। তার উপরে হাইপারটেনশনের ঝুঁকিও থাকে। হাইপারটেনশন ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরি করে নানান হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই হৃদরোগ এড়াতেও পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। কম বয়সি বিশেষত স্কুলপড়ুয়াদের অনিদ্রার সমস্যা স্মরণশক্তি হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, রাতে ঘুমের সময় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ হয়। যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রাতের ঘুমের সময় কমলে হরমোন নিঃসরণ কমতে থাকে। দীর্ঘ সময় পরে যা স্মৃতিশক্তি কমার কারণ হতে পারে। ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় অনিদ্রার সমস্যা। হজমের সমস্যা, তার থেকে গ্যাস্ট্রিকের মতো ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায় অনিদ্রা। অতিরিক্ত রাত জাগলে অনেক সময়ই রাতের খাবার হজম হয় না। দীর্ঘদিন হজমের সমস্যা থাকলে, সে থেকে গ্যাস্ট্রিকের মতো জটিল রোগ তৈরি হয়। ওবেসিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাতে না ঘুমোনোর জেরে দেহে মেদ বৃদ্ধি হতে পারে। তবে, শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম প্রয়োজন। কারণ, অনিদ্রার জেরে অবসাদ, অস্থিরতার মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

    কীভাবে হবে পর্যাপ্ত ঘুম? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যতই ব্যস্ততা থাকুক, শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। তাই প্রথমেই একটা স্বাস্থ্যকর রুটিন দরকার। স্কুলপড়ুয়া, যারা ভোরে স্কুলে যায়, তাদের রাতের ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময় দরকার। অভিভাবকদের সে বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর দিকে নজর জরুরি। অর্থাৎ, প্রত্যেক দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে গেলে সহজেই অনিদ্রার (Insomnia) সমস্যা কমানো যাবে। কারণ, শরীরের একটি নির্দিষ্ট ঘড়ি আছে। সে টের পাবে, কখন তার বিশ্রাম প্রয়োজন। দিনে যতটা সম্ভব ঘুমোনো যাবে না। তবেই রাতের ঘুম হবে। প্রত্যেক দিন শারীরিক কসরত করতে হবে। তবেই স্নায়ু ঠিক সময়ে ঠিকমতো কাজ করবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share