Tag: spying for Pakistan

  • Pak Spy in India: হিমাচলে ধৃত যুবক, পাক গুপ্তচর সন্দেহে রাজস্থানে আটক প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    Pak Spy in India: হিমাচলে ধৃত যুবক, পাক গুপ্তচর সন্দেহে রাজস্থানে আটক প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে (Spying for Pakistan) আটক করা হল রাজস্থানের (Rajasthan) সরকারি কর্মচারী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতার প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে। ধৃত ব্যক্তির নাম সাকুর খান মাঙ্গালিয়া (Sakur Khan Mangaliya)। বুধবার রাজস্থানের সিআইডি এবং জয়পুরের অন্যান্য বিশেষ গোয়েন্দা দল জয়সলমেরের এক সরকারি দফতর থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। পাক গুপ্তচর (Pak Spy in India) সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে হিমাচলপ্রদেশের এক যুবককেও। নাম অভিষেক, হিমাচলেরই দেহরা এলাকার বাসিন্দা।

    প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    সূত্রের খবর, ধৃত সাকুর খান মাঙ্গালিয়া জয়সলমেরের বাসিন্দা। বর্তমানে রাজস্থানের কর্মসংস্থান দফতরে কর্মরত তিনি। পূর্বে তিনি কংগ্রেস সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী শালে মোহাম্মদের আপ্তসহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। ধৃত ব্যক্তি সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, পাক দূতাবাসের এক আধিকারিকের পাশাপাশি আইএসআইয়ের সঙ্গেও সম্ভাব্য যোগসূত্র রয়েছে সাকুরের। এই তথ্য পাওয়ার পর থেকেই তাঁর উপর নজর রাখছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সাকুরের মোবাইলে একাধিক পাকিস্তানি নম্বর পেয়েছে তদন্তকারীরা। নম্বরগুলি তাঁর মোবাইলে কী করছে, সেই ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি বলেই খবর। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অতীতে ৬-৭ বার পাকিস্তানে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন সাকুর।

    সাকুরের ফোন বাজেয়াপ্ত

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ছদ্মবেশধারী পাক গুপ্তচরদের অনুসন্ধান। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোনও প্রান্তে পাকড়াও হচ্ছে পাক গুপ্তচররা। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তাঁর মোবাইলে কোনও সামরিক সম্পর্কিত ভিডিও বা সংবেদনশীল বিষয়বস্তু পাওয়া যায়নি। তবে দাবি, ডিভাইসে থাকা অনেক তথ্যই মুছে ফেলা হয়েছে। সাকুরের দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ আর্থিক লেনদেনের রেকর্ডও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সাকুরকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার সুধীর চৌধুরী বলেন, ‘সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত থাকার বিষয়ে সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সাকুরকে আটক করেছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ তদন্তের স্বার্থে তাঁর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানের সময় সাকুর জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে ছিলেন। তাঁর আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    হিমাচল প্রদেশের এক যুবককে গ্রেফতার

    পাক গুপ্তচর (Pakistani Spy) সন্দেহে অভিষেক নামে হিমাচল প্রদেশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, এই ব্যক্তি বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানের কাছে পাচার করছিলেন। বুধবার কাংড়া জেলার উনা-কাংড়া সীমান্তবর্তী এলাকায়, শ্রীমাতা চিন্তাপূর্ণী মন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেহরা সিটি পুলিশের এসপি ময়ঙ্ক চৌধুরী জানান, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযানে নেমেছিলাম এবং সফলভাবে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোন থেকে গুপ্তচরবৃত্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।” এসপি আরও জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)-এর ধারা ১৫২-এর অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, যাতে আরও তথ্য উঠে আসে।

    সাধারণের ভিতরেই চর

    অভিযুক্ত অভিষেক স্থানীয়দের কাছে একজন সাধারণ যুবক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কোনও রাজনৈতিক বা উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ও যোগাযোগ যন্ত্র সম্পর্কে ভাল জানতেন এবং ফোন ও ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারেও দক্ষ ছিলেন। পুলিশের ধারণা, এই প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই তিনি ভারতের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা কাঠামো সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে পাকিস্তানে পাচার করছিলেন। ঠিক কী ধরনের তথ্য পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে।

    পাক চরের নেটওয়ার্ক

    এই গ্রেফতারির পর হিমাচলপ্রদেশে পাক গুপ্তচর চক্রের বিস্তৃতি নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক একা নয়। তাঁর সঙ্গে আরও কিছু লোক যোগাযোগ রাখত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা এখন তাঁর কল রেকর্ড, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম খতিয়ে দেখছেন। এই ঘটনার পর হিমাচলপ্রদেশ প্রশাসন নাগরিকদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সন্দেহভাজন কোনও কার্যকলাপ চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এসপি চৌধুরী বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা কোনও রকম গাফিলতি সহ্য করব না। দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

  • ISI: গোপন তথ্য দিতেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে! এ বার গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের শাহজাদ

    ISI: গোপন তথ্য দিতেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে! এ বার গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের শাহজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফের গ্রেফতার করা হল একজনকে। শনিবারই উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলা থেকে সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) গ্রেফতার করে শাহজাদ নামের একজনকে। তাঁকে আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একাধিকবার পাকিস্তানেও গিয়েছেন শাহজাদ। সেখানে আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও হত তাঁর। সন্ত্রাস দমন শাখার আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, শাহজাদ রামপুর ও উত্তর প্রদেশের অন্যান্য অংশ থেকে সাধারণ মানুষদের পাকিস্তানে পাঠাত আইএসআই-র হয়ে কাজ করার জন্য।

    শাহজাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ

    জানা গিয়েছে, শাহজাদ পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর (ISI) হাতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা গোপন তথ্য তুলে দিতেন। আইএসআই-এর শীর্ষকর্তাদের একাংশের সঙ্গেও তাঁর সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই শাহজাদ নামের ওই যুবকের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৮ ও ১৫২ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    শাহজাদ একাধিক বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন

    আরও জানা যাচ্ছে, শাহজাদ একাধিক বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। সেখানেই আইএসআই-এর (ISI) মদতে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে নানা জিনিস চোরাচালান করতেন বলে জানা যাচ্ছে। চোরাচালানের কারবারের আড়ালেই এই চরবৃত্তি চলত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তরকারীরা। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে আইএসআই-এর (ISI) লোকজনকে ভারতের সিমকার্ড দেওয়া, এদেশে আইএসআই এজেন্টদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    জ্যোতির পরে হরিয়ানায় গ্রেফতার নোমান ইলাহী

    জ্যোতি মলহোত্রার পরেই পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (ISI) অভিযোগে হরিয়ানা থেকে নোমান ইলাহী নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, তিনি উত্তরপ্রদেশের শামলীর বাসিন্দা তবে কর্মসূত্রে থাকতেন হরিয়ানায়। হরিয়ানার পানিপথে একটি কারখানায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন নোমান। কাজের আড়ালেই চলত চরবৃত্তি। প্রসঙ্গত, চরবৃত্তির অভিযোগে কয়েক দিন আগে গ্রেফতার হয়েছেন হরিয়ানার বছর পঁচিশের এক পড়ুয়াও।

  • Pakistan: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ৯

    Pakistan: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ভারতেরই হরিয়ানা (Haryana) থেকে গ্রেফতার আরও এক। ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য আরহান নামের ওই যুবক পাকিস্তানে পাচার করে দিত বলে অভিযোগ। দিল্লিতে পাক দূতাবাসের এক কর্মচারীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। পুলিশ তার কাছ থেকে দীর্ঘ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হয়েছে ছবি এবং ভিডিও। আরমান নামের বছর ছাব্বিশের ওই যুবককে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানার নুহ জেলা থেকে। নুহ পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় সেনা ও সামরিক পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাঠাত ওই যুবক। দিল্লির পাক দূতাবাসের এক কর্মচারীর মাধ্যমে সে এই কাজ করত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে এ খবর পেয়েছিল নুহ পুলিশ। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় আরমানকে।

    আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Pakistan)

    আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের হয়ে চরের কাজ করছিল সে। সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে, বিশেষত হোয়াটসঅ্যাপে এই সংক্রান্ত তথ্য সে শেয়ার করত। পাকিস্তানের একাধিক নম্বরের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পাওয়া গিয়েছে। অনেক ছবি এবং ভিডিও-ও সে ওই নম্বরে পাঠিয়েছে। আরমানকে গ্রেফতারির পর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাকে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Pakistan)। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

    হরিয়ানা থেকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার

    প্রসঙ্গত, শনিবারই হরিয়ানা থেকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রকে। অভিযোগ, পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান, গুপ্তচরদের কাছে তথ্য পাচার করার একটি চক্র তৈরি হয়েছে এ দেশে। এই চক্র সক্রিয় মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। জ্যোতি এবং আরমান সেই চক্রের সদস্য কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

    এদিকে, জ্যোতির পাশাপাশি গুজালা নামে আরও এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাক চর সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে মালেরকোটলার ইয়াসিন মহম্মদ, হরিয়ানার কৈঠালের দেবেন্দ্র সিং ধিঁলো-ও। উত্তরপ্রদেশের কৈরানার বাসিন্দা নোমান ইলাহিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। হরিয়ানার কাইথাল জেলার গুহলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেবেন্দর সিংকে। উত্তরাখণ্ডের রুরকির পেশায় দর্জি রাকিব খানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বিহারের সমস্তিপুরের মুচি সুনীল কুমারকেও। গত ৩ মে সেনানিবাস ও বিমানঘাঁটির তথ্য সংগ্রহ এবং ছবি তোলার অভিযোগে অমৃতসরে গ্রেফতার করা হয়েছিল পলক শের মাসিহ এবং সুরজ মাসিহ নামে দু’জনকে। অমৃতসর (Haryana) কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি হরপ্রীত সিং ওরফে পিট্টু ওরফে হ্যাপির মাধ্যমে তারা আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল (Pakistan)।

LinkedIn
Share