Tag: Sri Lanka

Sri Lanka

  • India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপন্ন প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। দেনার দায়ে আকণ্ঠ নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। প্রতিবেশী দেশটিকে কীভাবে ঋণের ফাঁস থেকে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছে মোদির (Modi) ভারত। কেবল তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    তার পর থেকে এ পর্যন্ত আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়নি শ্রীলঙ্কার।এমতাবস্থায় দ্বীপবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল ভারত। কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে শ্রীলঙ্কার আধিকারিকদের সঙ্গে ঋণ শোধ নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক হয়েছে। হাইকমিশন জানিয়েছে, আলোচনা হয়েছে আন্তরিক পরিবেশে। শ্রীলঙ্কা যাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে সাহায্য পেতে পারে, তার ব্যবস্থাও করার চেষ্টা চলছে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের?

    ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এও জানানো হয়েছে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থার কাছে শ্রীলঙ্কা একটি প্রেজেন্টেশন করবে। তুলে ধরবে তার ঋণ সমস্যার কথা। সেই ঋণ কীভাবে শোধ করা হবে, তা নিয়েও করা হবে পরিকল্পনা। হাইকমিশন এও জানিয়েছে, নয়াদিল্লি কলম্বোকে সমর্থন জুগিয়েই যাবে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্টও করবে। এভাবেই ভারত রূপায়ণ করবে তার ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) দেউলিয়া করেছে। ডুবিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতিকেও। এবার চিনের শ্যেনদৃষ্টি পড়ছে ইরাকের (Iraq) দিকে। প্রাকৃতিক তেলে সমৃদ্ধ ইরাক। এবার সেই দেশের তৈলক্ষেত্রের দখল নিতে মরিয়া ড্রাগনের দেশ।

    ঋণের ফাঁদে ফেলে চিন সর্বস্বান্ত করেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে। হাঁড়ির হাল করে ছেড়েছে সে দেশের অর্থনীতির। একই অবস্থা পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও। শাহবাজ শরিফের দেশের অর্থনীতির হালও করুণ। এ সবের জন্য এই দুই দেশের রাজনীতিকদের একটা বড় অংশ দুষছে চিনকে। কেবল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান নয়, ছোট অর্থনীতির দেশগুলির দিকেই নজর রয়েছে চিনের। যেনতেন প্রকারে সে দেশের অর্থনীতির মধ্যে একবার ঢুকতে পারলেই কেল্লাফতে। সর্বস্বান্ত করে ছাড়বে সেই দেশকে।

    বছর কয়েক আগে ওয়েস্ট এশিয়ান কানট্রি থেকে বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। ইরাক থেকেও সেনা সরিয়ে নিয়েছে জো বাইডেনের দেশ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইরাকে থাবা বসাতে চাইছে শি জিন পিংয়ের দেশ। ইরাকে তেলের ওপর চিনের ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে পদ্ধতিতে চিন ছোট অর্থনীতির দেশগুলিকে কবজা করেছে, এবার সেই একই পদ্ধতিতে লাল ফৌজের দেশ হস্তগত করতে চাইছে ইরাকের তৈলক্ষেত্রগুলি। প্রায় দু দশক আগে ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে আমেরিকা। সাদ্দাম হুসেন জমানার হাত থেকে ইরাকিদের মুক্তি দেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। সাদ্দাম জমানার পতনের পর আমেরিকা সরে যেতেই একটু একটু করে ইরাকের তৈলক্ষেত্র কবজা করার চেষ্টা করছে চিন।

    আরও পড়ুন : ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    ইরাকের তৈলক্ষেত্র হস্তগত করতে চেষ্টার কম কসুর করেনি ড্রাগনের দেশ। তবে এখনও অবধি প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে শি জিন পিংয়ের দেশের সেই চেষ্টা। বাধ সেধেছেন ইরাকের তৈলমন্ত্রী স্বয়ং। রাশিয়ার লুকোইল এবং ইউএস ওয়েল জায়েন্ট এক্সন মোবিল চিনের কোনও সংস্থাকে তার শেয়ার বেচতে চেয়েছিল। তাতে জল ঢেলে দেন ইরাকের তৈল মন্ত্রী। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা, ইরান এবং তুরস্কও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sri Lanka: শ্রীলঙ্কা ফিরলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া, কেমন সংবর্ধনা পেলেন জানেন?

    Sri Lanka: শ্রীলঙ্কা ফিরলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া, কেমন সংবর্ধনা পেলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সাত সপ্তাহ পরে শুক্রবার দেশে ফিরলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ (Gotabaya Rajapaksa)। দেউলিয়া অর্থনীতির জেরে প্রেসিডেন্ট (President) বদলের দাবিতে যখন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দ্বীপরাষ্ট্র, তখনই রাতের অন্ধকারে শ্রীলঙ্কা ছেড়েছিলেন গোতাবায়া। ফিরলেন প্রায় দু মাস বাদে। এদিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী এবং রাজনীতিকরা। সরকারি এক আধিকারিক বলেন, বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে সরকার পক্ষের রাজনীতিকরা ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে (Former President)।

    দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। এমতাবস্থায় দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এর পরে খেপে যায় জনতা। রাজাপক্ষ গো ব্যাক ধ্বনিতে মুখরিত হয় শ্রীলঙ্কার আকাশ বাতাস। হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী ঘিরে ধরে রাজাপক্ষের পৈত্রিক ভিটে। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় দ্বীপরাষ্ট্রের পুলিশ। এর পরেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সেনা পরিবৃত হয়ে রাতের অন্ধকারে দেশ ছাড়েন রাজাপক্ষ। জানা গিয়েছিল, সেনা বিমানে চড়ে রাজাপক্ষ চলে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। পরে সেখান থেকে উড়ে যান থাইল্যান্ড। সিঙ্গাপুর থেকেই তিনি তাঁর ইস্তফাপত্রটি প্রেরণ করেন। শুক্রবার ফিরলেন থাইল্যান্ড থেকেই। রাজাপক্ষ প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেওয়ার পর শ্রীলঙ্কার সংসদে হয় ভোটাভুটি। সেখানে জিতে রাষ্ট্রপতি পদে বসেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমসিংহে। সূত্রের খবর, তাঁকেই দেশে ফেরানোর আবেদন করেন রাজাপক্ষ।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও

    এদিন ব্যাংকক ভায়া সিঙ্গাপুরের একটি বাণিজ্যিক বিমানে চড়ে দেশে ফেরেন বছর তিয়াত্তরের রাজাপক্ষ। গত ৫২ দিন ধরে তিনি ছিলেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে। তার পর এদিন এলেন প্রকাশ্যে। রাজাপক্ষের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি বিক্রম সিংহকে দুষছেন বিরোধী দলের রাজনীতিকরা। যদিও শ্রীলঙ্কার সংবিধানই নিশ্চিত করে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কয়েকজন দেহরক্ষী, একটি গাড়ি এবং বাড়ি পাবেন। সেই মোতাবেকই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষ, তাঁর দাদা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা এই সুবিধা পাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Sri Lanka Relation: নয়াদিল্লি-কলম্বো সম্পর্ক নিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতীয় হাইকমিশনের  

    India Sri Lanka Relation: নয়াদিল্লি-কলম্বো সম্পর্ক নিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতীয় হাইকমিশনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India)-শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সম্পর্ক নিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূতের (Chinese Ambassador) করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। সম্প্রতি ওই মন্তব্য করেছিলেন  কলম্বোয় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত কুই ঝেনহোং (Qi Zhenhong)। শনিবার কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন তার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানায়, চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে। এটা তাঁর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য কিংবা তাঁদের দেশের দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন হতে পারে।

    সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে এসে ভিড়েছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। চিনের দাবি, জাহাজটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যদিও ভারতের আশঙ্কা ছিল, গুপ্তচরের কাজ করতেই জাহাজটিকে নোঙর করানো হয়েছে শ্রীলঙ্কার বন্দরে। ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে করা ট্যুইট সিরিজে এ প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বাধ্য হয়ে মাস কয়েক আগে নিজেদের দেউলিয়াও ঘোষণা করে কলম্বো। সেই প্রসঙ্গ টেনে ভারতীয় হাই কমিশন জানায়, অস্বচ্ছতা ও ঋণ সংক্রান্ত এজেন্ডা বিভিন্ন দেশের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ, বিশেষত ছোট দেশগুলির কাছে। হাই কমিশনের মতে, শ্রীলঙ্কা, যে দেশ এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত, তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন। অন্য কোনও দেশের এজেন্ডা পূরণের জন্য কোনও অনাকাঙ্খিত চাপ কিংবা অপ্রয়োজনীয় বিতর্কেরও প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও

    ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, আমরা চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য লক্ষ্য করেছি। তাঁর মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে। এটা তাঁর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য কিংবা তাঁর দেশের দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন। শ্রীলঙ্কার উত্তরের প্রতিবেশী দেশটি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য তাঁর দেশ যেভাবে ভারতের সঙ্গে ব্যবহার করে এই মন্তব্য তার প্রতিফলন হতে পারে। আমরা তাঁকে আশ্বস্ত করি এই বলে যে, ভারত একেবারেই আলাদা। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে চিনা গুপ্তচর জাহাজ নোঙর করার প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত। তার পরেই চিন জানিয়েছিল, হাম্বানটোটা বন্দরেই নোঙর করবে চিনা জাহাজটি। তারা এও জানিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার বন্দরে যাতে জাহাজটি ভিড়তে না পারে তাই ভারত অত্যধিক চাপ দিচ্ছে কলম্বোর ওপর। ভারত শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে বলেও ইঙ্গিত করেছিলেন চিনা রাষ্ট্রদূত। এরও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাফ জানিয়ে দেন, শ্রীলঙ্কা একটি স্বাধীন দেশ। তাই স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। ভারত সম্পর্কে চিনের করা এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করছি আমরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chinese Spy Ship: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও  

    Chinese Spy Ship: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) ছেড়ে গেল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। দ্বীপরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। গত সপ্তাহে জাহাজটি নোঙর করে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা (Hambantota) বন্দরে। তার পর থেকে সেটি ছিল সেখানেই। সোমবার জাহাজটি  ছেড়ে যায় হাম্বানটোটা।

    কিছু দিন আগেই চিনের (China) ওই জাহাজটি রওনা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার দিকে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে নোঙর না করে, সেজন্য শি জিন পিংয়ের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কানে না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ (Yuan Wang 5) নামের ওই জাহাজটি।

    জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে ড্রাগনের দেশ। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। সেই জাহাজই সোমবার ছাড়ল শ্রীলঙ্কার বন্দর। এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশে যা ঘটেছে, যা কিছু যা আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়, সেগুলিতে আমাদের আগ্রহ রয়েছে বই কি!

    আরও পড়ুন : ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপর নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হাতিয়ে নিয়ে চিনে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ছিল ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। রসদ সংগ্রহ করতেই সেটি ভিড়েছিল হাম্বানটোটায়। প্রসঙ্গত, কলম্বো থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে হাম্বানটোটা বন্দর। চিন থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বন্দরটি গড়ে তোলে শ্রীলঙ্কা। ঋণ শোধ করতে না পারায় বন্দরটি চিনকেই লিজ দেওয়া হয়েছে ৯৯ বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : চিনা গুপ্তচর জাহাজ কী কারণে ভারতের মাথাব্যথার কারণ জানেন?

  • Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও আমেরিকার (America) উদ্বেগ সত্ত্বেও শেষমেশ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হামবানটোটা (Hambantota) বন্দরে এসে ভিড়ল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। ইয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজ না পাঠাতে চিনকে (China) অনুরোধ করেছিল কলম্বোও। সেসব আপত্তি-উদ্বেগ অগ্রাহ্য করেই হামবানটোটা বন্দরে নোঙর করেছে ওই চিনা গুপ্তচর জাহাজ।

    দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে না নোঙর করে, সেজন্য ড্রাগনের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কান না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে।  জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে বেজিং। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। করে নোঙরও।

    আরও পড়ুন : বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    জানা গিয়েছে, চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হস্তগত করে চিনে নিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, চিনের ওই জাহাজটি নিয়ন্ত্রিত হয় চিনা পিপলস আর্মির স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সের দ্বারা।

    এদিকে, এই গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কা এসে পৌঁছানোর আগেই মঙ্গলবার ভারতের তরফে কলম্বোকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয় একটি ডর্নিয়ার বিমান। মূলত মাদক পাচার ও জলসীমান্তে নজরদারি চালাতেই কলম্বোকে এই উপহার দিয়েছে নয়াদিল্লি। শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হস্তান্তরিত করা হয় বিমান। দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক নজরদারিতে আমাদের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার যাত্রা শুরু হল। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা বায়ুসেনার মাত্র ১৫ জন এই বিশেষ নজরদারি বিমানটি চালাতে পারবেন। মাস চারেক ধরে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে ভারতে।

    আরও পড়ুন : চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

  • Chinese Spy Ship: বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    Chinese Spy Ship: বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ (Chinese Spy Ship)  ইউয়ান ওয়াং-৫। বৃহস্পতিবার ওই বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল ওই গুপ্তচর জাহাজের। যদিও ওই বন্দরের মাস্টারের (Harbour Master) দাবি, তাঁর অনুমতি ছাড়া কোনও জাহাজ নোঙর করতে পারবে না ওই বন্দরে।

    দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত (India)। জাহাজটি যাতে ওই বন্দরে না ভেড়ে, সেজন্য আবেদন জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব আবেদন-আপত্তি গ্রাহ্য না করেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে। এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়।

    আরও পড়ুন :পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির ধারণা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে চিন। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে যেন ওই জাহাজ নোঙর না করে।

    জানা গিয়েছে, ২৩ হাজার টনের জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে পশ্চিম দিকে যাত্রা করেছে। ১১ অগাস্ট সকালে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ন’ টা নাগাদ জাহাজটির শ্রীলঙ্কা উপকূলের হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল। ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানেই থাকার কথাও ছিল জাহাজটির। শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কলম্বোর চিনা দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হয় জাহাজের নোঙর করাটা যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে দ্বীপরাষ্ট্রর তরফে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। এদিন হাম্বানটোটার বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁর অনুমতি ছাড়া ওই বন্দরে কোনও জাহাজ নোঙর করতে পারবে না।

    আরও পড়ুন : ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা অভিমুখে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ

     

  • Pak naval ship Taimur: পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    Pak naval ship Taimur: পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ অনুমতি না দিলেও পাকিস্তানের রণতরীকে বন্দরে ঠাঁই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল শ্রীলঙ্কা। চিনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় নির্মিত পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ পিএনএস তৈমুর সাংহাই বন্দর থেকে পাকিস্তান অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। চলতি মাসেই জাহাজটিকে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করার কথা রয়েছে। জাহাজটির পোতাশ্রয় হিসাবে প্রথমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরকে বেছে নেওয়া হলেও এই বিষয়ে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলেনি। পাকিস্তানি এই রণতরীকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলম্বো। আগামী ১২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত চিনা মিাসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজটি কলম্বো বন্দরে থাকবে বলে সূত্রের খবর। এর আগে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’-এর শ্রীলঙ্কা সফরে রাশ টেনেছিল রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার।

    আরও পড়ুন: এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    তৈমুর গভীর সমুদ্রে লড়াই করতে পারা এক বিশেষ ধরনের যুদ্ধজাহাজ। মালয়েশিয়ার লুমুট বন্দর থেকে বেরোনোর পর সাত থেকে ১০ অগস্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল তৈমুর। কিন্তু গোটা অগস্ট মাসকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুমাস হিসাবে স্মরণ করে থাকে বাংলাদেশ। অগস্ট মাসকে বাংলাদেশ সরকার ‘শোকের মাস’ বলেও অভিহিত করে থাকে। এই কারণ দেখিয়েই পাকিস্তানি রণতরীকে আশ্রয় দিতে চায়নি বাংলাদেশের হাসিনা প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?

    চিনা যুদ্ধজাহাজ প্রবেশে হাসিনা সরকারের অনুমতি না দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে নয়াদিল্লি সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কেই তুলে ধরা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ ভালো। চিনা যুদ্ধজাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দিলে, সেক্ষেত্রে দু‘দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর হত্যার পিছনে পাক মদতের রয়েছে অভিযোগ। ২০০৪ সালে আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার ছক কষেছিল কট্টরপন্থী ইসলামিক শক্তিগুলো। সেই কারণেই, পাক নৌবাহিনীতে যোগ দিতে চলা চিনা যু্দ্ধজাহাজকে বাংলাদেশ বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

  • Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি রাজাপক্ষের (Rajapaksas) বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েই একথা বললেন রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। দেশে যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বন্ধ আমদানি। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে করতে হচ্ছে লোডশেডিং। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। পাহাড় প্রমাণ সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা। এক সময় জনগণ গিয়ে দখল নিয়ে নেয় প্রেসিডেন্ট ভবন সহ নানা সরকারি অফিসের। জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে ভেবে তার আগেই রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। মালদ্বীপ হয়ে আপাতত তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    এদিকে, বুধবার শ্রীলঙ্কায় নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। বিপুল ভোটে জয়ী হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। রাষ্ট্রপতি পদে শপথও নেন তিনি। তার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত জনতা। তারা গো ব্যাক রনিল স্লোগানও দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রনিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠ। প্রতিবাদীদের এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে বিক্রমসিংহে বলেন, আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, আমি জনগণের বন্ধু।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    এদিন শপথ নেওয়ার পরেই নয়া রাষ্ট্রপতি চলে যান কলম্বোর একটি বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানেই তিনি জানান, যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিক্রমসিংহে বলেন, যদি আপনারা সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস দখল করার চেষ্টা করেন, সেটা গণতন্ত্র নয়। এটা আইন বিরুদ্ধ। তিনি বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। অল্প কিছু লোক দেশের সিংহভাগ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেবে, সেটা আমরা মেনে নেব না।

    রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নয়া রাষ্ট্রপতি। এদিকে, এদিনও ফের একবার শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে মোদির ভারত।

     

  • Sri Lanka Crisis: এবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দখল নিলেন শ্রীলঙ্কাবাসী

    Sri Lanka Crisis: এবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দখল নিলেন শ্রীলঙ্কাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) প্রেসিডেন্টের (President) প্রাসাদ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পর এবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরও (PM Office) দখল নিলেন বিক্ষোভকারীরা (Protesters)। তাদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার কলম্বোয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বাইরে অন্তত কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। দাবি করেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। 

    চিনা ঋণ নীতির ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার শূন্য। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে পড়েছে জ্বালানি, সংবাদপত্র ছাপার কাগজ সহ আরও নানা জিনিসপত্রের আমদানি। হু হু করে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। জ্বালানির অভাবে প্রায় বন্ধ বিদ্যুৎ উৎপাদন। তার জেরে ফি দিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে দেশে। দেশের এহেন পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্টকেই দুষছেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। জনরোষ আঁচ করে রাতের অন্ধকারে সপরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তাঁর ভবনের দখল নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিন নিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরও। এক টেলিভিশন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংহে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনা ও পুলিশকে। যদিও নিরাপত্তা রক্ষীদের সামনেই প্রধানমন্ত্রীর ভবনের দখল নিয়েছে জনতা। তাদের কেউ কেউ হাতে তুলে নিয়েছে জাতীয় পতাকা, কেউ কেউ আবার সেটি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করছে। পরে তুলছে ছবিও। বিদ্রোহীদের একাংশ জাতীয় টেলিভিশন স্টুডিওয়ও ঢুকে পড়েন।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা

    এদিকে, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে দেশের কার্যকরী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের হাতে। তাঁর নিজের অফিসের দখলও নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ফাটানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের সেল, ছোড়া হয়েছে জল কামান, দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। কোথাও কোথাও জারি করা হয়েছে কারফিউ। তার পরেও ছত্রভঙ্গ করা যায়নি বিক্ষোভকারীদের। কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের এক নেতা কল্পনা মধুভাসানি বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া বেআইনি জরুরি অবস্থা আমরা মানি না। আমরা চাই গোতাবায়া এবং রনিল দুজনেই ভাগুক। জরুরি অবস্থা জারি করার প্রয়োজন ওঁদের নেই। তিনি বলেন, জনতাকে রক্ষা করতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি, শ্রীলঙ্কাবাসীকে দমন করতেই জারি হয়েছে এমার্জেন্সি।  

      আরও পড়ুন : দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

LinkedIn
Share