Tag: Sri Lanka

Sri Lanka

  • Chinese Spy Ship: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও  

    Chinese Spy Ship: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) ছেড়ে গেল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। দ্বীপরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। গত সপ্তাহে জাহাজটি নোঙর করে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা (Hambantota) বন্দরে। তার পর থেকে সেটি ছিল সেখানেই। সোমবার জাহাজটি  ছেড়ে যায় হাম্বানটোটা।

    কিছু দিন আগেই চিনের (China) ওই জাহাজটি রওনা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার দিকে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে নোঙর না করে, সেজন্য শি জিন পিংয়ের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কানে না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ (Yuan Wang 5) নামের ওই জাহাজটি।

    জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে ড্রাগনের দেশ। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। সেই জাহাজই সোমবার ছাড়ল শ্রীলঙ্কার বন্দর। এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশে যা ঘটেছে, যা কিছু যা আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়, সেগুলিতে আমাদের আগ্রহ রয়েছে বই কি!

    আরও পড়ুন : ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপর নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হাতিয়ে নিয়ে চিনে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ছিল ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। রসদ সংগ্রহ করতেই সেটি ভিড়েছিল হাম্বানটোটায়। প্রসঙ্গত, কলম্বো থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে হাম্বানটোটা বন্দর। চিন থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বন্দরটি গড়ে তোলে শ্রীলঙ্কা। ঋণ শোধ করতে না পারায় বন্দরটি চিনকেই লিজ দেওয়া হয়েছে ৯৯ বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : চিনা গুপ্তচর জাহাজ কী কারণে ভারতের মাথাব্যথার কারণ জানেন?

  • Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও আমেরিকার (America) উদ্বেগ সত্ত্বেও শেষমেশ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হামবানটোটা (Hambantota) বন্দরে এসে ভিড়ল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। ইয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজ না পাঠাতে চিনকে (China) অনুরোধ করেছিল কলম্বোও। সেসব আপত্তি-উদ্বেগ অগ্রাহ্য করেই হামবানটোটা বন্দরে নোঙর করেছে ওই চিনা গুপ্তচর জাহাজ।

    দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে না নোঙর করে, সেজন্য ড্রাগনের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কান না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে।  জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে বেজিং। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। করে নোঙরও।

    আরও পড়ুন : বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    জানা গিয়েছে, চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হস্তগত করে চিনে নিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, চিনের ওই জাহাজটি নিয়ন্ত্রিত হয় চিনা পিপলস আর্মির স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সের দ্বারা।

    এদিকে, এই গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কা এসে পৌঁছানোর আগেই মঙ্গলবার ভারতের তরফে কলম্বোকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয় একটি ডর্নিয়ার বিমান। মূলত মাদক পাচার ও জলসীমান্তে নজরদারি চালাতেই কলম্বোকে এই উপহার দিয়েছে নয়াদিল্লি। শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হস্তান্তরিত করা হয় বিমান। দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক নজরদারিতে আমাদের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার যাত্রা শুরু হল। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা বায়ুসেনার মাত্র ১৫ জন এই বিশেষ নজরদারি বিমানটি চালাতে পারবেন। মাস চারেক ধরে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে ভারতে।

    আরও পড়ুন : চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

  • Chinese Spy Ship: বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    Chinese Spy Ship: বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ (Chinese Spy Ship)  ইউয়ান ওয়াং-৫। বৃহস্পতিবার ওই বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল ওই গুপ্তচর জাহাজের। যদিও ওই বন্দরের মাস্টারের (Harbour Master) দাবি, তাঁর অনুমতি ছাড়া কোনও জাহাজ নোঙর করতে পারবে না ওই বন্দরে।

    দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত (India)। জাহাজটি যাতে ওই বন্দরে না ভেড়ে, সেজন্য আবেদন জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব আবেদন-আপত্তি গ্রাহ্য না করেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে। এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়।

    আরও পড়ুন :পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির ধারণা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে চিন। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে যেন ওই জাহাজ নোঙর না করে।

    জানা গিয়েছে, ২৩ হাজার টনের জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে পশ্চিম দিকে যাত্রা করেছে। ১১ অগাস্ট সকালে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ন’ টা নাগাদ জাহাজটির শ্রীলঙ্কা উপকূলের হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল। ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানেই থাকার কথাও ছিল জাহাজটির। শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কলম্বোর চিনা দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হয় জাহাজের নোঙর করাটা যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে দ্বীপরাষ্ট্রর তরফে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। এদিন হাম্বানটোটার বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁর অনুমতি ছাড়া ওই বন্দরে কোনও জাহাজ নোঙর করতে পারবে না।

    আরও পড়ুন : ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা অভিমুখে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ

     

  • Pak naval ship Taimur: পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    Pak naval ship Taimur: পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ অনুমতি না দিলেও পাকিস্তানের রণতরীকে বন্দরে ঠাঁই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল শ্রীলঙ্কা। চিনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় নির্মিত পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ পিএনএস তৈমুর সাংহাই বন্দর থেকে পাকিস্তান অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। চলতি মাসেই জাহাজটিকে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করার কথা রয়েছে। জাহাজটির পোতাশ্রয় হিসাবে প্রথমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরকে বেছে নেওয়া হলেও এই বিষয়ে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলেনি। পাকিস্তানি এই রণতরীকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলম্বো। আগামী ১২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত চিনা মিাসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজটি কলম্বো বন্দরে থাকবে বলে সূত্রের খবর। এর আগে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’-এর শ্রীলঙ্কা সফরে রাশ টেনেছিল রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার।

    আরও পড়ুন: এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    তৈমুর গভীর সমুদ্রে লড়াই করতে পারা এক বিশেষ ধরনের যুদ্ধজাহাজ। মালয়েশিয়ার লুমুট বন্দর থেকে বেরোনোর পর সাত থেকে ১০ অগস্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল তৈমুর। কিন্তু গোটা অগস্ট মাসকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুমাস হিসাবে স্মরণ করে থাকে বাংলাদেশ। অগস্ট মাসকে বাংলাদেশ সরকার ‘শোকের মাস’ বলেও অভিহিত করে থাকে। এই কারণ দেখিয়েই পাকিস্তানি রণতরীকে আশ্রয় দিতে চায়নি বাংলাদেশের হাসিনা প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?

    চিনা যুদ্ধজাহাজ প্রবেশে হাসিনা সরকারের অনুমতি না দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে নয়াদিল্লি সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কেই তুলে ধরা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ ভালো। চিনা যুদ্ধজাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দিলে, সেক্ষেত্রে দু‘দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর হত্যার পিছনে পাক মদতের রয়েছে অভিযোগ। ২০০৪ সালে আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার ছক কষেছিল কট্টরপন্থী ইসলামিক শক্তিগুলো। সেই কারণেই, পাক নৌবাহিনীতে যোগ দিতে চলা চিনা যু্দ্ধজাহাজকে বাংলাদেশ বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

  • Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি রাজাপক্ষের (Rajapaksas) বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েই একথা বললেন রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। দেশে যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বন্ধ আমদানি। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে করতে হচ্ছে লোডশেডিং। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। পাহাড় প্রমাণ সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা। এক সময় জনগণ গিয়ে দখল নিয়ে নেয় প্রেসিডেন্ট ভবন সহ নানা সরকারি অফিসের। জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে ভেবে তার আগেই রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। মালদ্বীপ হয়ে আপাতত তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    এদিকে, বুধবার শ্রীলঙ্কায় নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। বিপুল ভোটে জয়ী হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। রাষ্ট্রপতি পদে শপথও নেন তিনি। তার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত জনতা। তারা গো ব্যাক রনিল স্লোগানও দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রনিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠ। প্রতিবাদীদের এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে বিক্রমসিংহে বলেন, আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, আমি জনগণের বন্ধু।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    এদিন শপথ নেওয়ার পরেই নয়া রাষ্ট্রপতি চলে যান কলম্বোর একটি বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানেই তিনি জানান, যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিক্রমসিংহে বলেন, যদি আপনারা সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস দখল করার চেষ্টা করেন, সেটা গণতন্ত্র নয়। এটা আইন বিরুদ্ধ। তিনি বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। অল্প কিছু লোক দেশের সিংহভাগ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেবে, সেটা আমরা মেনে নেব না।

    রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নয়া রাষ্ট্রপতি। এদিকে, এদিনও ফের একবার শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে মোদির ভারত।

     

  • Sri Lanka Crisis: এবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দখল নিলেন শ্রীলঙ্কাবাসী

    Sri Lanka Crisis: এবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দখল নিলেন শ্রীলঙ্কাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) প্রেসিডেন্টের (President) প্রাসাদ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পর এবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরও (PM Office) দখল নিলেন বিক্ষোভকারীরা (Protesters)। তাদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার কলম্বোয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বাইরে অন্তত কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। দাবি করেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। 

    চিনা ঋণ নীতির ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার শূন্য। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে পড়েছে জ্বালানি, সংবাদপত্র ছাপার কাগজ সহ আরও নানা জিনিসপত্রের আমদানি। হু হু করে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। জ্বালানির অভাবে প্রায় বন্ধ বিদ্যুৎ উৎপাদন। তার জেরে ফি দিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে দেশে। দেশের এহেন পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্টকেই দুষছেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। জনরোষ আঁচ করে রাতের অন্ধকারে সপরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তাঁর ভবনের দখল নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিন নিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরও। এক টেলিভিশন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংহে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনা ও পুলিশকে। যদিও নিরাপত্তা রক্ষীদের সামনেই প্রধানমন্ত্রীর ভবনের দখল নিয়েছে জনতা। তাদের কেউ কেউ হাতে তুলে নিয়েছে জাতীয় পতাকা, কেউ কেউ আবার সেটি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করছে। পরে তুলছে ছবিও। বিদ্রোহীদের একাংশ জাতীয় টেলিভিশন স্টুডিওয়ও ঢুকে পড়েন।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা

    এদিকে, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে দেশের কার্যকরী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের হাতে। তাঁর নিজের অফিসের দখলও নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ফাটানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের সেল, ছোড়া হয়েছে জল কামান, দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। কোথাও কোথাও জারি করা হয়েছে কারফিউ। তার পরেও ছত্রভঙ্গ করা যায়নি বিক্ষোভকারীদের। কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের এক নেতা কল্পনা মধুভাসানি বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া বেআইনি জরুরি অবস্থা আমরা মানি না। আমরা চাই গোতাবায়া এবং রনিল দুজনেই ভাগুক। জরুরি অবস্থা জারি করার প্রয়োজন ওঁদের নেই। তিনি বলেন, জনতাকে রক্ষা করতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি, শ্রীলঙ্কাবাসীকে দমন করতেই জারি হয়েছে এমার্জেন্সি।  

      আরও পড়ুন : দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

  • Sri Lanka Crisis: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া? 

    Sri Lanka Crisis: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে পড়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। মালদ্বীপ থেকে আশ্রয়ের আশায় তিনি উড়ে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে (Singapore)। সেখান থেকে আশ্রয় চেয়েছিলেন ভারতে (India)। তবে বছর তিয়াত্তরের এই রাজনীতিবিদকে সটান না বলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাই গোতাবায়ার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়, তা জানা যায়নি।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে দেখা দেয় আকাল। তার পরেই আছড়ে পড়ে জনরোষ। ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ পালান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। সেখান থেকে উড়ে যান সিঙ্গাপুরে। তবে সেখানে তাঁর স্থায়ী ঠাঁই জোটেনি। সিঙ্গাপুরের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সে দেশে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে গোতাবায়াকে। তবে তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত সফরের জন্য সে দেশে গোতাবায়াকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় চাওয়ার জন্য কোনও আর্জি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকেও করা হয়নি। সিঙ্গাপুরের তরফে তাঁকে আশ্রয় দেওয়াও হয়নি।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?

    স্ত্রী এবং দুজন মিলিটারি সিকিউরিটি অফিসারকে নিয়ে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া। ভায়া মালদ্বীপ হয়ে তিনি আপাতত রয়েছেন সিঙ্গাপুরে। সূত্রের খবর, সিঙ্গাপুরে গোতাবায়ার এক পক্ষকাল থাকার অনুমতি মিলেছে। সিঙ্গাপুর সরকার আর তা বাড়াতে চাইছেন না। ওই সূত্রেই জানা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন ভারত সরকারের কাছেও। তবে তাঁকে মুখের ওপর না বলে দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কাবাসীর বিপক্ষে যাক এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না সাউথ ব্লক। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    এদিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া দেশ না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ আদালত। প্রাক্তন তিন আধিকারিক, যাঁদের মধ্যে দুজন প্রাক্তন সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর, তাঁদেরও আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    চলতি মাসের ২০ তারিখে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা দ্বীপরাষ্ট্রে। তিনিই রাজাপক্ষের কার্যকালের  মেয়াদ শেষ করবেন। এই সময়সীমার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংহে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনিই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারেন। সেই প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্য সাংসদদের দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

     

  • Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেনায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। একই অবস্থা জাম্বিয়ারও। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের হাঁড়ির হাল আরও কয়েকটি দেশের। এই তালিকায় যোগ হতে চলেছে পাকিস্তানের নামও। অন্ততঃ ইন্টারন্যাশনাল রেটিং এজেন্সির বক্তব্য এমনই।

    চিনা (China) ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। দেশের জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য। বিদেশি মুদ্রার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা হচ্ছে লোডশেডিং। একই কারণে বিদেশ থেকে আনানো যাচ্ছে না সংবাদপত্র ছাপার কাগজ। যার জেরে দীর্ঘ দিন এদেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সংবাদপত্র ছাপার কাজ। জ্বালানির দাম অগ্নিমূল্য হওয়ায় রাস্তায় গাড়িঘোড়াও চলছে কম। জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট হাউসের দখল নিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের আমজনতা।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা

    কেবল শ্রীলঙ্কা নয়, অর্থনীতির করুণ দশা পৃথিবীর আরও কয়কটি দেশেরও। টার্কি, ইজিপ্ট, টিউনিশিয়া, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান (Pakistan), ঘানা এবং এল সালভাডর রয়েছে এই তালিকায়। এই দেশগুলিও বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারছে না। এই দেশগুলিতেও জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যে মূল্য আকাশ ছোঁওয়া। সেই সঙ্গে বাড়ছে গ্লোবাল ইন্টারেস্ট রেটও। 

    ফিচ রেটিংসের বিচারে কেবল এই দেশগুলোই নয়, তারা চিহ্নিত করেছে ১৭টি দেশকে। যারা এখনই বৈদেশিক ঋণ শোধে অপারগ। এদের মধ্যে রয়েছে শেহবাজ শরিফের দেশ পাকিস্তানও। এই ১৭টি দেশের তালিকায় রয়েছে বৃহৎ শক্তিধর দেশ রাশিয়াও। আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অর্থনৈতিক লেনদেন করতে পারছে না পুতিনের দেশ। প্রত্যাশিতভাবেই তারাও পারছে না বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে।

    আরও পড়ুন : অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    শ্রীলঙ্কা, জাম্বিয়ার পর এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে পাকিস্তান, লেবানন, টিউনিশিয়া, ঘানা, ইথিওপিয়া, ইউক্রেন, তাজিকিস্তান, এল সালভাদর, সুরিনাম, ইকুয়েডর, বেলিজ, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, বেলারুশ এবং ভেনেজুয়েলা। এই দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রার হাঁড়ির হাল। তাই যে কোনও সময় এদের গায়েও সেঁটে যেতে পারে ঋণখেলাপির তকমা।

     

  • India steps up vigil: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী

    India steps up vigil: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী। রাজনৈতিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে সেখান থেকে দেশে অনুপ্রবেশ রুখতে সক্রিয় ভারত। তাই সামুদ্রিক সীমান্তে হোভারক্রাফ্ট, বিমান এবং টহলদারি নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে। এর ফলে দেশে অনুপ্রবেশ রোখা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তামিলনাড়ু উপকূল থেকে কেরালা উপকূলের কিছু অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, উপকূলরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। তারা সর্বদা সচেতন। 

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা
     
    দ্বীপরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পরপরই নজরদারি ক্রমে বাড়ানো হয়। গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। বিক্ষোভকারীদের জন্যে ঘর-ছাড়া খোদ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। অন্যদিকে প্রবল গণ-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রনিল বিক্রমসিংঘে (Ranil Wickremesinghe)। পদ ছেড়েও স্বস্তিতে নেই প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে লোক ঢুকে গিয়েছে।  খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। ১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Economic Crisis) মধ্যে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ। সূত্রের খবর, সেখান থেকে অনেকেই তামিলনাড়ু ও কেরল উপকূল দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি নয়, বলেই স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। কিন্তু যেকোনও অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রেই সদা সতর্ক ভারত। তামিলনাড়ু উপকূলীয় পুলিশ কঠোরভাবে পাহাড়া দিচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় সমুদ্র উত্ত্বাল হয়ে উঠবে। তাই এই অবস্থায় ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের জন্য সমুদ্রপথ ব্যবহার করার চেষ্টা করলে খুব একটা সুবিধে হবে না। অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে প্রকৃতি প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে,  ডর্নিয়ার সার্ভিল্যান্স এয়ারক্রাফ্ট সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারির জন্য সর্বদা সক্রিয়। মায়ানমারের মান্দালেতে মোতায়েন করা হোভারক্রাফ্ট ইউনিটগুলিও নজরদারি চালাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • Sri Lanka: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    Sri Lanka: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেনার দায়ে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। বিপদ আঁচ করে গা ঢাকা দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickramasinghe)। দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হওয়ার জন্য প্রসিডেন্টকেই দুষছেন শ্রীলঙ্কাবাসী। ঘটনার জেরে ফুঁসছে গোটা দ্বীররাষ্ট্র। প্রতিবেশী এই দেশটির সংকটে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে ভারত। ঋণের দায়ে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ভারত

    আরও পড়ুন : কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই দুর্দশা থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য বিক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দেশ। সেই কারণেই এই সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। সংকট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, শ্রীলঙ্কার দিকে নজিরবিহীন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কা যাতে এই সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য তিনশো আশি কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গত মে মাসে সরকার বদলে জনরোষ সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে গেলেও ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্র। কারণ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে দেশটিকে ফের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেছেন। তার পরেই পথে নেমেছে জনতা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বাসভবন দখল করেছেন আম শ্রীলঙ্কাবাসী। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, শ্রীলঙ্কাকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, শক্তি, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ভারত শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে। 

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    এই সংকটকালেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ ডলার মূল্যের চাল, গুঁড়ো দুধ সহ প্রয়োজনীয় নানা খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ওষুধ সহ অন্যান্য মানবিক সাহায্যও পাঠানো হয়েছে। ডিজেল, জ্বালানি এবং গ্যাসোলিনও পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। সাহায্য করা হয়েছে চারশো কোটি ডলারও। ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব এবং কৌলশগত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কেসি সিং বলেন, শ্রীলঙ্কায় কৌশলগত পদক্ষেপ বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছে ভারত। বর্তমানে ভারতের মূল লক্ষ্য হল, শ্রীলঙ্কার ওপর থেকে চিনা প্রভাব খর্ব করা। 

    এদিকে, ভারতের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য। তিনি বলেন, স্থায়ী সরকার হওয়ার পরে আইএমএফ, ভারত এবং আমাদের সমস্ত বন্ধুদেশ শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে। সংকটের শুরু থেকেই ভারত শ্রলঙ্কার পাশে রয়েছে, সাহায্যে করে চলেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। শ্রীলঙ্কায় ভারতের অবদান অপরিসীম।

     

LinkedIn
Share