Tag: Sri Lanka

Sri Lanka

  • Sri Lanka: বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    Sri Lanka: বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) গভীর সমুদ্রবন্দর হামবানটোটার (Hambantota Port) নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের (China) হাতে। এ সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষর হয় বছর পাঁচেক আগে। কেবল বাণিজ্যিক কাজেই চিন বন্দরটি ব্যবহার করবে এই আশ্বাস দেওয়ার পরেই সম্পাদন হয় চুক্তি।

    এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জাহাজ চলাচলের প্রধান কেন্দ্র ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দর। বাণিজ্যিক কারণে তাই দুই মহাদেশের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কার এই বন্দরটি। এই বন্দরেরই নিয়ন্ত্রণ চলে এল চিনের হাতে।

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    হামবানটোটা বন্দরের কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। শ্রীলঙ্কাকে এজন্য ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয় ড্রাগনের দেশ। বন্দর গড়তে যৌথভাবে কাজ শুরু করে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও সাইনো হাইড্রো কর্পোরেশন। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে যায় ২০১০ সালে। ঠিক তার পরের বছর নভেম্বরে শুরু হয় বাণিজ্যিক কাজকর্ম। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ঋণের আসল ও সুদ বাবদ চিনকে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার দিতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। ঋণের এই বিপুল বোঝার ভার কমাতে বন্দরটি চিনকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৭ সালে।

    আরও পড়ুন : আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    বন্দরের উন্নতিকল্পে চায়না মার্চেন্ট পোর্টস হোল্ডিং কোম্পানি বন্দরের ৮৫ শতাংশ স্টেক অধিগ্রহণের বিনিময়ে ১১২ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি হয়। বন্দরের বাকি স্টেক থাকে শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে। তার পরেও ফি বছর শ্রীলঙ্কা সরকারকে মোটা অঙ্কের টাকা চিনকে দিতে হয় বন্দর গড়তে নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ। যার জেরে ক্রমেই ঋণের ফাঁদে ডুবতে থাকতে দ্বীপরাষ্ট্র।

    যদিও পোর্টের ওয়েবসাইটে বন্দরে নানা সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও সেখানে অনেক কিছুই মেলে না বলে অভিযোগ। সেই কারণেই প্রধান জাহাজ কোম্পানিগুলি ওই বন্দর এড়িয়ে চলছে বলেও সূত্রের খবর।

     

  • Asia Cup: মরুশহরে হবে এশিয়া কাপ! ভারত সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া

    Asia Cup: মরুশহরে হবে এশিয়া কাপ! ভারত সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। তাই আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা নয়, এশিয়া কাপ (Asia Cup) হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE)।  বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে বিসিসিআইয়ের (BCCI) অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকের শেষে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) একথা জানান।  সৌরভ বলেন, ‘‘আসন্ন এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায় হচ্ছে না। খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। কারণ, ওই সময় একমাত্র সেখানেই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।’’

    এশিয়া কাপের আয়োজন করা যে সম্ভব নয় তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা হলে কোন দেশে হবে প্রতিযোগিতা। বুধবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের বক্তব্য জানায়। এসিসি-র তরফে জানানো হয়, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড আমাদের জানিয়েছে, তাদের দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলছে তার মধ্যে এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয়। ওদের বিদেশি মুদ্রারও সঙ্কট রয়েছে। এই অবস্থায় ছয়টি দেশকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় বড় প্রতিযোগিতা ওরা আয়োজন করতে পারবে না।’ 

    আরও পড়ুন: আবারও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নীরজ! বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রোহিত যাদবও

    ২৭ অগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। চলবে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ বারের প্রতিযোগিতা হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এই এশিয়া কাপ নিয়ে টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। করোনার জন্য দফায় দফায় এশিয়া কাপের সময় পিছিয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছে। তাই এবারে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC)এই টুর্নামেন্ট করতে বদ্ধপরিকর।

    এদিন বোর্ডের মিটিংয়ের পর ভারতীয় দলের দুটো হোম সিরিজের সূচিও জানিয়ে দেওয়া হয়। ভারত সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখানে তিনটে টি-টোয়েন্টি আর তিনটে একদিনের ম্যাচ খেলবে ডেভিড মিলাররা। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটে ম্যাচ হবে, মোহালি, নাগপুর আর হায়দরাবাদে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে। এর বাইরে ভারতীয় বোর্ড (BCCI) কর্তারা আসন্ন ঘরোয়া মরশুম নিয়েও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। করোনার জন্য শেষ দু’বছর কাঁটছাঁট করে ঘরোয়া ক্রিকেট করতে হয়েছিল। এবার অবশ্য পুরোদমে তা আয়োজন করা যাবে। ফিরতে চলেছে দলীপ আর ইরানি ট্রফি। দলীপ হতে পারে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে। ইরানি হয়তো ১-৫ অক্টোবর। টি-টোয়েন্টি শুরু হতে পারে ১১ অক্টোবর, বিজয় হাজারে ১২ নভেম্বর আর রনজি সম্ভবত ১৩ ডিসেম্বর থেকে।

  • Dinesh Gunawardena: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

    Dinesh Gunawardena: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী (Sri Lanka Prime Minister) দীনেশ গুণবর্ধনে (Dinesh Gunawardena)। শুক্রবার শপথগ্রহণ করলেন তিনি। ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe) দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পরই গুণবর্ধনেকে নিয়োগ করা হয়। ২০২০ সালের সংসদ নির্বাচনের পর গুণবর্ধনে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রক। গত এপ্রিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও হন তিনি। এবার দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিংহে তাঁকে বেছে নিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। সূত্রের খবর, যে যতক্ষণ দেশের বিরোধী দলগুলি দেশ চালাতে সহযোগিতা না করছে, ততক্ষণ পুরনো মন্ত্রিসভার সদস্যদের দিয়ে কাজ চালাবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।

    [tw]


    [/tw]

    গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বহুদিনের। তাঁর বাবা ফিলিপ গুণবর্ধনে ছিলেন ভারতীয় রাজনীতিবিদ জয়প্রকাশ নারায়ণ ও ভিকে কৃষ্ণা মেননের সহপাঠী। ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াইও করেছেন ফিলিপ ও তাঁর স্ত্রী। শ্রীলঙ্কায় সমাজতন্ত্রের জনক (father of socialism in Sri Lanka) ছিলেন ফিলিপ গুণবর্ধনে। দক্ষিণ এশিয়াকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালে ফিলিপ ও তাঁর স্ত্রী কুসুমা ব্রিটিশদের নজর এড়িয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে আসেন। ভারতের স্বাধীনতার জন্য গোপনে লড়াইও করেন তাঁরা। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁদের ধরে ফেলে। তৎকালীন বম্বের আর্থার রোড জেলে বন্দি করে রাখা হয় তাঁদের। পরে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ফিলিপ এবং তাঁর স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসেন। দীনেশ গুণবর্ধনের ভাবমূর্তিও তাঁর বাবার মতোই স্বচ্ছ্ব। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীও যে ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখবেন তা আশা করাই যায়।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!

    সূত্রের খবর, গুণবর্ধনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় দেশে নতুন করে বিক্ষোভের সূচনা হতে পারে বলেও মনে করছে দ্বীপরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা। নতুন প্রধানমন্ত্রী শুধু পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠই নন, তাঁর দল এসএলপিপি-র সদস্যও বটে। দ্বীপরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষই দায়ি বলে মনে করেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। এই অবস্থায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠকে আদৌও দেশের জনতা মেনে নেবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ।

  • Sri Lanka Crisis: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে মোদিকে পাশে থাকার আবেদন শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতার

    Sri Lanka Crisis: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে মোদিকে পাশে থাকার আবেদন শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (President Elections) আগের দিন প্রতিবেশী দেশ ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) পাশে থাকার আবেদন জানালেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমদাসা (Sajith Premadasa)। মঙ্গলবার মোদিকে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট পদে যেই জয়ী হোন না কেন, ভারত যেন তাঁর পাশে থাকে।

    চিনা ঋণের (Chinese Debt) ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বিদেশ থেকে আমদানি করা যাচ্ছে না জ্বালানি, খবরের কাগজ ছাপার নিউজপ্রিন্টও। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। এর পরেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জনতা। বিক্ষোভ দমন করতে নেওয়া হয় নানা পন্থা। তার পরেও দমানো যায়নি উত্তেজিত জনতাকে।

    [tw]


    [/tw]

    জনগণ গিয়ে দখল নেয় প্রেসিডেন্ট ভবন সহ নানা সরকারি অফিসের। জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে ভেবে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। এমতাবস্থায় আজ, বুধবার সেদেশে অনুষ্ঠিত হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রনিল বিক্রমসিংহের (Ranil Wickremesinghe) মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এসএলপিপির-ই বিদ্রোহী সদস্য ডালাস আলাহাপ্পেরুমা। প্রাক্তন এই সাংবাদিকের পিছনে সমর্থন রয়েছে শাসক দলের বিক্ষুব্ধদেরও। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বামপন্থী নেতা আনুরা কুমার দিসানায়েকও। তবে শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন দেশের প্রধান বিরোধী দল এসজেপি-র নেতা সাজিথ প্রেমদাসা।

    আরও পড়ুন : আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে করা এক ট্যুইটবার্তায় এই প্রেমদাসা-ই লেখেন, প্রেসিডেন্ট পদে যিনিই জয়ী হোন না কেন আমার একান্ত অনুরোধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং ভারতবাসীর কাছে, সেটা হল ভারত যেন শ্রীলঙ্কা মায়ের সঙ্গে থাকে। এই বিপর্যয় থেকে যেন আমার দেশকে তুলে আনে। এদিকে, সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কায় শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটদান পর্ব। ভোট দিয়েছেন ২২৩ জন সাংসদ। ভোট দেননি দুজন সাংসদ।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

     

  • Sri Lanka: এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!

    Sri Lanka: এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেউলিয়া শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার দেশ। এমতাবস্থায় দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ভারত (India) এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চিন (China) প্রস্তুত। অন্তত এমনই ইচ্ছে প্রকাশ করল ড্রাগনের দেশ।

    বেজিংয়ে আয়োজিত একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান শ্রীলঙ্কাকে চিন সরকারের তরফে সম্প্রতি ৭ কোটি ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে ভারত সরকার শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে সচেষ্ট। আমরা ভারত ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার উন্নতিতে কাজ করতে ইচ্ছুক। উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের উন্নতিতেও কাজ করতে আমরা মুখিয়ে রয়েছি।

    আরও পড়ুন : আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    দ্বীপরাষ্ট্রের বিপদে সবচেয়ে বেশি অর্থ সাহায্য করেছে ভারত। চিনের হিসেবে চলতি বছরেই ভারত সব মিলিয়ে অন্তত ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য করেছে। তবে তা যে দেশটির সংকটে যথেষ্ট নয়, তা বলাই বাহুল্য। এমতাবস্থায় আরও সাহায্যের প্রয়োজন। তবে আপাতত সেই সাহায্য না আসায় দেশটি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে।

    বস্তুত চিনা ঋণের ফাঁদে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। নানা প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে চড়া সুদ আদায় করছে ড্রাগনের দেশ। বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের সেই সুদ মেটাতে অপারগ দেশটি। যদিও আশা ছাড়তে রাজি নয় ড্রাগনের দেশ। এক চিনা আধিকারিক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শ্রীলঙ্কা বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং অংশীদারদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করবে। ঝাও-ও আশা করেন, শ্রীলঙ্কা চিনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    এদিকে, চিরশত্রু প্রতিবেশী দেশ চিনের মুখে ভারতের প্রশংসায় বিস্মিত কূটনৈতিক মহল। কিছুদিন আগেও ভারতকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলতে জলসীমাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল চিন। তার মুখেই শোনা গেল ভারত-প্রশস্তি। অবশ্য এই প্রথম নয়, ভারত যখন বিশ্বে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তখনও ভারতের প্রশংসা করেছিল ড্রাগনের দেশ।

    এদিনও ঝাও বলেন, আমরা দেখেছি, যে বিপদে শ্রীলঙ্কাকে ভারত যথেষ্ট সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ঐতিহ্যগত এবং প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে চিন সব সময় শ্রীলঙ্কার পাশে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে যে কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা আমরা গভীরভাবে অনুভব করছি। আমরাও ভারত ও অন্যান্য দেশের মতো শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে চাই।

    তবে শ্রীলঙ্কার অভিযোগ, চিন মুখে এসব বললেও, কোনও সাহায্য করেনি। উল্টে পুরানো ঋণের সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে গিয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার এটা একটা বড় কারণ। শ্রীলঙ্কার অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন।  ভারত পাশে দাঁড়ানোয় বিপাকে পড়েছে চিন। শ্রীলঙ্কাকে নানা খাতে বিপুল পরিমাণ ঋণ দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। ইতিমধ্যেই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে রাজাপক্ষের দেশ। তাই শ্রীলঙ্কা ক্রমেই ভারত-নির্ভর হয়ে পড়লে ঋণ আদায় তো হবেই না, উল্টে শক্তি বৃদ্ধি হবে ভারতের। কূটনৈতিক মহলের মতে, তাই শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা চিনের।   

    চিনের ভারত-স্তুতিতে মজছে না নয়াদিল্লিও। কারণ বন্ধু বেশে চিন আবার নয়া কোনও ফাঁদ পাতছে না তো? প্রশ্ন সব মহলেই।

     

  • Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির (Dumb Bets) কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। তার জেরেই ভেঙে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশ। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছেন সিআইএ (CIA) প্রধান বিল বার্নস (Bill Burns)। বিলের মতে, শ্রীলঙ্কার এই ভুল দেখে বিশ্বের অন্য দেশগুলির সচেতন হওয়া উচিত।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নেয় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। সরকারের এই ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল গুণতে হয় দ্বীপবাসীদের। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় আমদানি বন্ধ। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতির কারণ যে চিন থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া, তা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। বিল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রীলঙ্কার দিকে তাকানো উচিত। চিনের কাছে ঋণে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র। চিন থেকে ঋণ নিয়ে অবিবেচকের মতো কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা। যার জেরে ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। দুর্দশার শিকার হয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। বদলে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও। তিনি বলেন, কেবল মধ্য প্রাচ্য কিংবা দক্ষিণ এশিয়া নয়, গোটা বিশ্বকেই এ ব্যাপারে চোখকান খোলা রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    শ্রীলঙ্কায় পরিকাঠামো সহ নানা খাতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে চিন। বিপুল পরিমাণ সুদ মেটাতে গিয়েই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দেশ। ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ শ্রীলঙ্কা। জনসংখ্যা ২২ কোটির কাছাকাছি। অবস্থানগতভাবে ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় মোদি সরকারের থেকে প্রচুর সাহায্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার পরেও শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছে ভারতকে। যাতে বিপর্যয়ের হাত থেকে টেনে তোলা যায় দ্বীপরাষ্ট্রকে।

     

  • Sri Lanka Presidential Polls: শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    Sri Lanka Presidential Polls: শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) নয়া প্রেসিডেন্ট (New President) রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর অ্যাক্টিং প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন রনিল বিক্রমসিংহে। বুধবার ভোটে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হলেন তিনিই।

    বছর তিয়াত্তরের রনিল বিক্রমসিংহে ছ’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) ছিলেন। ২২৫ জন সাংসদের মধ্যে ১৩৪ জনের ভোট পেয়েছেন তিনি। তার পরেই জয়ী ঘোষণা করা হয় তাঁকে। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এসএলপিপির-ই বিদ্রোহী সদস্য ডালাস আলাহাপ্পেরুমা। প্রাক্তন এই সাংবাদিকের পিছনে সমর্থন ছিল শাসক দলের বিক্ষুব্ধদেরও। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮২টি। লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন বামপন্থী নেতা আনুরা কুমার দিসানায়েকও। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩টি ভোট। ভোট শুরু হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন দেশের প্রধান বিরোধী দল এসজেপি-র নেতা সাজিথ প্রেমদাসা। রনিল আপাতত ২০২৪-এর নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে থাকবেন। কারণ এই সময়ই রাষ্ট্রপতি হিসেবে গোতাবায়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে মোদিকে পাশে থাকার আবেদন শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতার

    আগে জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হতেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। তবে জরুরি ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা হয়। ঠিক হয়, জনগণ নন, আপাতত সাংসদরাই ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। সেই মতো কড়া নিরাপত্তায় ব্যালট পেপারে ভোট হয় এদিন। সংসদের ২২৫ জন সাংসদের মধ্যে ভোট দেন ২২৩ জন। ভোটদানে বিরত ছিলেন দুজন। যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বাতিল হয় চারটি ভোট। বৈধ ভোটের সংখ্যা ২১৯টি। জানা গিয়েছে, ৪৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সাংসদরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করলেন। ১৯৮২, ১৯৮৮, ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০১০, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে জনগণ ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছিলেন। এবারই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করলেন সাংসদরা। 

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    প্রসঙ্গত, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বিদেশ থেকে আমদানি করা যাচ্ছে না জ্বালানি। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। এর পরেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জনতা। জনরোষের আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

     

  • Sri Lanka crisis: শ্রীলঙ্কায় জরুরি ব্যবস্থা জারি রনিল বিক্রমাসিংঘের, সিঙ্গাপুরেও স্বস্তিতে নেই গোতাবায়া

    Sri Lanka crisis: শ্রীলঙ্কায় জরুরি ব্যবস্থা জারি রনিল বিক্রমাসিংঘের, সিঙ্গাপুরেও স্বস্তিতে নেই গোতাবায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলা করতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রোহ ঠেকাতে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) নতুন করে জরুরি অবস্থা জারি করলেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে (Acting President Ranil Wickremesinghe)। তিনি বলেছেন, দেশবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জরুরি পরিষেবার সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল।

    এদিন তিনি রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজ নিজ বিভেদ সরিয়ে রেখে সর্বদলীয় সরকার গঠন করার করার আহ্বান জানান। দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচত করতে শনিবার থেকেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে সেদেশের পার্লামেন্ট। সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেওয়া গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীলঙ্কার কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হন রনিল। আসন্ন নির্বাচনে তিনিই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ২০ তারিখ ভোটাভুটি হওয়ার কথা। 

    আরও পড়ুন: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?

    শ্রীলঙ্কার এই চরম সংকটে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত সহ কয়েকটি মিত্র রাষ্ট্র। এদিনই দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছেছে জ্বালানি। দেশে চরম আর্থিক দুরবস্থার জেরে খাদ্য থেকে শুরু করে সার ও ওষুধ আমদানি করার ক্ষমতা নেই প্রশাসনের। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের থেকে সাহায্য নিয়ে কথাবার্তা চলছে শ্রীলঙ্কার।

    এদিকে, সিঙ্গাপুরেও স্বস্তিতে নেই সদ্যপ্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। তাঁর থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে না বলে একপ্রকার জানিয়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার মালদ্বীপ থেকে বিশেষ বিমানে করে সিঙ্গাপুরে পৌঁছন গোতাবায়া। তাঁর সফরকে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করে সিঙ্গাপুর সরকার। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, গোতাবায়া সেখানে আশ্রয় চাননি বা তাঁকে আশ্রয় দেওয়াও হয়নি। 

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন?

    শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে (Sri Lanka Crisis) সর্বদলীয় বৈঠকে (All-Party Meeting) ডাক দিয়েছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার হতে চলেছে সেই বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। 

     

  • Sri Lanka: অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    Sri Lanka: অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচে উত্তপ্ত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri lanka)। ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে পরিস্থিতি। প্রেসিডেন্ট গোতবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) ও সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের (Mahinda Rajapaksa) পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরাল বিক্ষোভকারীরা। আগুন শাসকদলের আরও এক সাংসদ এবং এক প্রাক্তন এক মন্ত্রীর বাড়িতেও। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ ও তাঁর সহকারীদের সুরক্ষায় নামানো হল সেনা। মাহিন্দার সরকারি আবাসন থেকে গুলিবর্ষণ করা হয় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে। এরপরেই খেপে যান বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রথমে মূল ফটক ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস।

    মাসকয়েক ধরে অর্থনৈতিক সঙ্কটে (economic crisis) ভুগছে শ্রীলঙ্কা। দেশের বিদেশি মুদ্রার হাল তলানিতে। বিদেশি দেনার দায়ে বন্ধ নিউজপ্রিন্ট আমদানি। কাগজের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজের পরীক্ষা। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দর লাগামছাড়া। নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। ভিটেমাটি ছেড়ে দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে দলে দলে লোকজন ঠাঁই নিচ্ছেন পড়শি দেশের শরণার্থী শিবিরে। এমতাবস্থায় ক্রমেই চড়ছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের আঁচ। প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধীরা। বিক্ষোভ সামাল দিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাতেও অবশ্য দমানো যায়নি বিক্ষোভকারীদের।

    আরও পড়ুন :প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    শনিবার রাতে মাহিন্দার পৈতৃক বাড়মেদামুলানা ওয়ালাওয়াতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের। উত্তেজিত জনতা মেদামুলানাতে ডিএ রাজাপক্ষে সৌধেও আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয় মোরাতুয়া মেয়র শামন ফার্নান্দো, কুরুনেগালা মেয়র থুসারা শানজিওয়া এবং পার্লামেন্ট সদস্য সনৎ নিশান্থা, রমেশ পথিরানা, মহীপালা হেরাথ, থিসা কুট্টিয়ার্চি এবং নিমল লাঞ্জার বাড়িতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ ও তাঁর সহকারীদের সুরক্ষায় নামানো হয়েছে সেনা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে মাহিন্দার সরকারি আবাসন থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। কমবেশি জখম হন অন্তত ১৩০ জন। ক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে মূল ফটক ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেন। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জল কামান। তার পরেও পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আসেনি। তার জেরেই বিক্ষোভকারীদের কড়া হাতে দমন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনাকে। কলম্বোয় জারি করা হয়েছে কার্ফু। 

     

  • Sri Lanka: প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    Sri Lanka: প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থা জারি হল শ্রীলঙ্কায়। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্পণ করলেন সামরিক বাহিনীর হাতে। গণবিক্ষোভ সামাল দিতেই এই পদক্ষেপ বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর। প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র জানান, আইনের প্রয়োগ যথাযথ করতেই এই কড়া আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলি। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছে তারা।

    ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র। সম্প্রতি, ঋণখেলাপি তকমা লাগে দেশের মাথায়। তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে জ্বালানি সঙ্কট। বিদেশি মুদ্রার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজের পরীক্ষা। ডলার বাড়ন্তে আমদানি বন্ধ নিউজ প্রিন্ট। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সংবাদপত্র।

    জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। ইতিমধ্যেই ভিটে ছেড়ে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের শরণ নিতে শুরু করেছেন শ্রীলঙ্কাবাসীর একাংশ। এহেন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত সহ একাধিক দেশ। তার পরেও হাল ফেরেনি দেশের আর্থিক অবস্থার। তাই নিত্য বিক্ষোভ-অশান্তি। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    মাসকয়েক আগে পদত্যাগ করেছে গোটা মন্ত্রিসভা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার পরেও ফেরেনি শ্রীলঙ্কার আর্থিক হাল। এই অবস্থায় রাস্তায় নেমে পড়েছেন পড়ুয়ারাও। সংসদে যাওয়ার প্রধান রাস্তাও অবরোধ করে। আন্দোলনকারীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। তারপরেও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। আইইউএসএফ নেতা ওয়াসান্থা লিয়াংগে বলেন, আমরা পার্লামেন্টে যাওয়া-আসার সব রাস্তা বন্ধ করে দেব। তার আগে প্রেসিডেন্টকে ইস্তফা দিতে হবে। এদিকে, অনাস্থা আনতে স্পিকারের কক্ষেও এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা।

    ক্রমেই জোরাল হচ্ছে গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবি। কূটনৈতিক মহলের দাবি, এই সব পরিস্থিতি সামাল দিতেই তড়িঘড়ি জারি করা হল জরুরি অবস্থা। 

LinkedIn
Share