Tag: ssc recruitment case

ssc recruitment case

  • ED Raids: এসএসসি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা ইডির, এবার ঝোপে ফোন ছুড়লেন তৃণমূল বিধায়ক

    ED Raids: এসএসসি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা ইডির, এবার ঝোপে ফোন ছুড়লেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তেড়েফুঁড়ে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED Raids)। সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ইডির অভিযান চলেছে। সূত্র অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলাতেও ইডির তল্লাশি অভিযান চলছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে ইডি (SSC Recruitment Case)। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজেও বাড়িতেই উপস্থিত রয়েছেন। ইডির অন্তত পাঁচ আধিকারিক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

    সাঁইথিয়াতে জীবনকৃষ্ণের পিসির বাড়িতে চলছে ইডি হানা (ED Raids)

    শুধু তার নিজের বাড়ি নয়, জীবনকৃষ্ণ সাহার শ্বশুরবাড়িতেও হানা দিয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা (ED Raids)। একইসঙ্গে অভিযান চলছে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও। জানা যাচ্ছে, মায়া সাহা সম্পর্কে জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি হন। এর আগেও এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম উঠে এসেছিল। সেই সময় সিবিআই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সিবিআই হানার সময় জীবনকৃষ্ণ মোবাইল ফেলে দেন পুকুরে। মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় দু’দিন পর। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল। পরে ২০২৪ সালে তিনি জামিনে মুক্ত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনে রয়েছেন। এবার তাঁর আত্মীয়র বাড়িতেও হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ঝোপে ফোন ছুড়ে ফেললেন জীবনকৃষ্ণ, এবারেও হল না রক্ষা

    সূত্রের মারফত আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র জেলাগুলিতেই নয়, কলকাতার একাধিক এলাকাতেও ইডির অভিযান (ED Raids) চলছে। প্রতিটি অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে (SSC Recruitment Case)। সোমবার সকালেই মুর্শিদাবাদের জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রামের বাড়ির সামনে দুটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়—একটিতে ছিলেন ইডির আধিকারিকরা (ED Raids), অন্যটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সূত্রের দাবি, এ বার ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেন জীবনকৃষ্ণ। কেন্দ্রীয় সংস্থার তিন জওয়ান তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। অভিযোগ, পালানোর সময় বাড়ির পিছনের ঝোপে একটি মোবাইল ফেলে দিয়েছেন তিনি। পরে তা উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর ইডির পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে এবং জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সম্প্রতি এই মামলাতেই নিউটাউনে ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ইডির আরও একটি দল পৌঁছে যায় পুরুলিয়ায় দুর্নীতি মামলায় জড়িত প্রসন্ন রায়ের শ্বশুরবাড়িতে। পাশাপাশি,  তল্লাশি চলেছে বড়ঞার এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতেও।

  • SSC Scam: পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারাদের! রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Scam: পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারাদের! রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম দুয়ারেও শেষ রক্ষা হল না। এসএসসির (SSC Scam) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে যত পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়েছিল, তার সব ক’টি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। খারিজ রাজ্য এবং এসএসসির রিভিউ পিটিশনও। যার ফলে কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ই বহাল রইল। ফলে, পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া আপাতত আর কোনও উপায় রইল না চাকরিহারাদের কাছে।

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ধাক্কা

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করেছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ পরীক্ষার প্রকৃত ওএমআর শিট মিলছে না। সিবিআই এবং বাগ কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে স্পষ্ট যে, দুর্নীতি হয়েছে। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন, চাকরিহারাদের একাংশ-সহ বিভিন্ন পক্ষ। ৫ অগাস্ট সেই নিয়ে শুনানি শেষ হয়। বিচারপতিদের চেম্বারেই চলে শুনানি। দুই বিচারপতির বেঞ্চ এ বার জানিয়ে দিল, পুনর্বিবেচনার আর্জি আদালতে শুনানির দরকার নেই। তারা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

    ২৬ হাজার চাকরি বাতিল বহাল

    গত ৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল। নতুন করে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট রায়ে আরও বলা হয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। আগে রায়ে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাদের আবেদন ছিল, এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অনেক স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক শূন্য হয়ে যাবে। ফলে ক্ষতি হবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের।

    পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরিহারাদের

    গত ১৭ এপ্রিল পর্ষদের ওই আবেদন মেনে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। শর্তসাপেক্ষে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, দাগি অযোগ্যদের বাদ রেখে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকেরা স্কুলে যেতে পারবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে। তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। ওই নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। পাশাপাশি, রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর অর্থ আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরিহারাদের।

  • SSC Recruitment Case: ‘‘এসএসসি অটোনমাস বডি, আমরা ইন্টারফেয়ার করি না’’! দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা মমতার, লাভ হবে কি?

    SSC Recruitment Case: ‘‘এসএসসি অটোনমাস বডি, আমরা ইন্টারফেয়ার করি না’’! দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা মমতার, লাভ হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আজ, বৃহস্পতিবার ‘সুপ্রিম’ রায়ে বাতিল হয়ে গেল ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি (SSC Recruitment Case)। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়টি মানবিকতার স্বার্থে তিনি মেনে নিতে পারছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারির দায় ঝেড়ে ফেলতে এদিন তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নির্দেশ দেন, দ্রুত নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বুঝিয়ে বলা হোক। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে নিয়োগ হবে। সুপ্রিম কোর্টে ‘রামধাক্কা’ খেয়ে বোধহয় ‘সম্বিত’ ফিরেছে মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি জানান, এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা। তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, “এসএসসি অটোনমাস বডি, আমরা ইন্টারফেয়ার করি না।”

    ‘বিলম্বিত বোধদয়’ নাকি দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা! (SSC Recruitment Case)

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ‘বিলম্বিত বোধদয়ে’র পরেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্ন হল, শীর্ষ আদালতে গোঁত্তা খাওয়ার পরে এখন কি নিজের গদি বাঁচাতে এসএসসিকে বলির পাঁঠা করছেন মুখ্যমন্ত্রী? এসএসসি যদি অটোনমাস বডি হয়, তাহলে তা এতদিন বলা হয়নি কেন?  সরকার যদি হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে কেন জেলে বন্দি রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক বড়-মেজ-ছোট নেতা? কেনই বা একটি স্বশাসিত সংস্থার হয়ে এত দিন ধরে সরকারি কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মামলা লড়ছিল রাজ্য সরকার? কেনই বা দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল বাঘা বাঘা আইনজীবীদের? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসএসসির মাথায় কারা ছিলেন, কার বা কাদের অঙ্গুলিহেলনে নিয়োগ হচ্ছিল, সবই জানেন রাজ্যবাসী। ফলে, সুপ্রিম-ধাক্কা খেয়ে এখান দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছেন মমতা, মত বিরোধীদের। সরকার ‘স্পনসর্ড’ কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন মুখ্যমন্ত্রীর সব রাগ গিয়ে পড়ছে বিরোধীদের ওপর! প্রত্যক্ষভাবে না হলেও, পরোক্ষভাবে তাঁর রাগ গিয়ে পড়ছে বিচারপতি থেকে শুরু করে আইনজীবীদের একাংশের ওপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ের তলার মাটি সরে গেলে এমনটাই হয়। এদিনও মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার নিশানা করেছেন বাম-বিজেপিকে। নাম করেই তোপ দেগেছেন সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং বিজেপির সুকান্ত মজুমদারকে।

    মমতার নিশানায় বিকাশ-সুকান্ত

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিকাশবাবু কেস করেছিলেন। তাঁর জন্যই আজ এতগুলো চাকরি গেল। উনি তো বিশ্বের বৃহত্তম (বৃহত্তম শব্দটি এখানে প্রযোজ্য কিনা, তা বলতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং) আইনজীবী। কেন যে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না এখনও…আমি ভাবছি, একটা রেকমেন্ড করব।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকেও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শুধু ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল বললে ভুল হবে। কারণ এঁদের সঙ্গে কয়েক লাখ পরিবার জড়িত। মনে রাখবেন, তাঁরা অচল হয়ে গেলে বিজেপি-সিপিএমও সচল থাকবে না। কোনও ঘটনা ঘটলে, দায়িত্ব আপনাদের হবে (Mamata Banerjee)। আর এসবের জবাব আপনারা পাবেন (SSC Recruitment Case)।”

    পাল্টা তোপ সুকান্তর

    এদিকে, ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক চাকরি খোয়ানোয় রাজ্য প্রশাসন ও এসএসসি কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সুকান্ত। তাঁর হুঁশিয়ারি, রামনবমী মিটলেই এ নিয়ে আন্দোলনে নামব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আজ মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের যে চাকরি চলে গেল, যাঁরা ২০১৬ সাল থেকে চাকরি করছেন, তাঁদের পরিবার রয়েছে। আজকে যোগ্য যাঁরা, যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদেরও চাকরি চলে গেল। শুধুমাত্র তৃণমূল পার্টির লোকেরা অযোগ্যদের– যাঁরা পয়সা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চাকরি বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ হাজার মানুষের চাকরির বলিদান দিয়ে দিলেন। এজন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যে ২৬ হাজার পরিবার পথে বসে গেল, তার জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর চ্যালাচামুণ্ডারা। যাঁরা লাখ লাখ টাকা নিয়ে কয়েকজন অযোগ্যকে চাকরি (Mamata Banerjee) পাইয়ে দিয়েছিলেন।”

    প্রশ্ন তুলে দিলেন সুকান্ত

    সুকান্ত বলেন, “আমার প্রশ্ন হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন, রাজ্য সরকার কেন যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করে দিল না (SSC Recruitment Case)? যদি আজ মহামান্য আদালতের সামনে রাজ্য সরকার এই পৃথকীকরণ করে দিত, তাহলে তো ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের চাকরি চলে যেত না। শুধুমাত্র অযোগ্যদের চাকরি চলে যেত, যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকত (SSC Recruitment Case)।” সুকান্ত বলেন, “আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের দুষ্কৃতী, জোচ্চোরদের জন্য এতগুলি পরিবার রাস্তায় বসল। আমরা ছেড়ে দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ার থেকে উৎখাত করব।”

  • Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (SSC Recruitment Case) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় আসল ওএমআর শিট না থাকার সমস্যার কথা তুলে ধরলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি জানান, আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, সে ক্ষেত্রে আদালত কী করতে পারে?

    সিবিআইয়ের বক্তব্য (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়কেই সমর্থন করছে সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী বলেন, “নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাইকোর্টের রায় যথার্থ। ওই রায়ই বহাল রাখা হোক।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে? তিনি বলেন, “এসএসসি না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?” চারটি বিভাগে কত নিয়োগ হয়েছিল, সে বিষয়টিও সিবিআই এবং এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Supreme Court)।

    গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি ছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেদিন প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কি না। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া কতটা কঠিন, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সেদিন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন, অনেকে চাকরির আবেদন না করেও, নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরির আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। ওই শুনানিতে তিনি পুরো প্যানেলই বাতিল করার জন্য সওয়াল (SSC Recruitment Case) করেন। তিনি বলেছিলেন, “পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তাই পুরো প্যানেলই বাতিল করা উচিত (Supreme Court)।”

  • SSC Recruitment Case: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত আরও ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি, জানাল ইডি

    SSC Recruitment Case: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত আরও ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি, জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Recruitment Case) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত আরও ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি। পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে মোট ৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সম্পত্তি নীলান্দ্রি দাস এবং আবদুল খালেকের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাঁদের বিরুদ্ধে উত্তরপত্রে নম্বর বিকৃত করার অভিযোগ রয়েছে। 

    উত্তরপত্র বিকৃত করার কাজ করেছিলেন নীলাদ্রি (SSC Recruitment Case)

    রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED) এবং সিবিআই তদন্ত (SSC Recruitment Case) করছে। এই আবদুল নিয়োগ মামলায় অন্যতম এজেন্ট বলে সন্দেহ করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘নাইসা’ নামে এক সংস্থার কর্ণধার ছিলেন নীলাদ্রি। নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার দায়িত্ব ছিল এই সংস্থার উপরই। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় নম্বর বদল করার অভিযোগ উঠেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে তিনি নিজে ওএমআর শিট অর্থাৎ উত্তরপত্র বিকৃত করার কাজ করেছিলেন। তবে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ২০১৫ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন তিনি। নাইসার আধিকারিক পোস্টে থেকেই নীলাদ্রি ২০১৫ সালেই উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এনডি ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে অন্য সংস্থা খুলেছিলেন। ওই সংস্থার মাধ্যমেই এই নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রের নম্বর বিকৃত করা হত।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ছাব্বিশে হবে হিন্দু সরকার’’, নন্দীগ্রামে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    এখনও পর্যন্ত মোট উদ্ধারকৃত সম্পত্তি ২৩৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা

    এবার এই আবদুল এবং নীলাদ্রির সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, এসএসসির (SSC Recruitment Case) তৎকালীন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশে উত্তরপত্রে নম্বরের গোলমালের পিছনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। একই ভাবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শান্তি প্রসাদ সিন‍্‍হা এবং অন্যদের সঙ্গে মিলে বেআইনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তাই শিক্ষক নিয়োগে বিরাট পরিমাণে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা (ED)। মামলায় এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, আগেই ২৩০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখন সব মিলিয়ে মোট উদ্ধারকৃত সম্পত্তির মূল্য ২৩৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: নিয়োগকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার ‘সৎ রঞ্জন’, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে শান্তনু-সুজয়

    SSC Recruitment Case: নিয়োগকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার ‘সৎ রঞ্জন’, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে শান্তনু-সুজয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পাওয়ার ছয়দিন পর আবার গ্রেফতার শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Case) অভিযুক্ত বাগদার ‘সৎ রঞ্জন’ (Ranjan) ওরফে চন্দন মণ্ডল। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রভাবশালী একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করেছিল সিবিআই। এবার ফের গ্রেফতার করেছে ইডি। অপর দিকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন দুজনই।

    গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে দুর্নীতির অভিযোগ (SSC Recruitment Case)

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগে টাকা নিয়ে মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে বাগদার বাসিন্দা রঞ্জনের (Ranjan)। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে (বিচার ভবনে) তাঁর ‘শোন অ্যারেস্ট’-এর আবেদন করেছিল ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর হতেই রঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আগামী সোমবার পর্যন্ত তাঁর ইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জড়িয়েছে। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। সিবিআই তাঁকে দুটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল। এই দুটি মামলা হল, গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে নিয়োগ মামলা। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলেই ছিলেন অভিযুক্ত রঞ্জন।

    আরও পড়ুনঃ কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার ইডির

    প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস ‘রঞ্জন’ নাম বলেছিলেন

    গত ২০ নভেম্বর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ নয়জনের জামিন মামলায় রায়দান ছিল। সেই তালিকায় ছিলেন রঞ্জন (Ranjan)। তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিলেন বিচারপতি সিনহা রায়। তবে জামিন মঞ্জুর হলেও জেল থেকে ছাড়া পাননি। একইভাবে রঞ্জনের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, “হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার যাবতীয় কাজ ২২ নভেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হয়। কিন্তু তারপরও কেন তাঁকে জেলে আটকে রাখা হয়েছিল জানা নেই। এই বিষয়ে আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।” কিন্তু মঙ্গলবার ফের তাঁকে গ্রেফতার (SSC Recruitment Case) করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত বছরের প্রথমে রাজ্যের প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস এই ‘রঞ্জন’-এর কথা তুলে ধরেছিলেন। টাকার বিনিময়ে লোককে চাকরি করে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment: এসএসসি মামলায় প্যানেল বাতিল! স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Recruitment: এসএসসি মামলায় প্যানেল বাতিল! স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ (SSC Recruitment) দিল না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের এজলাস জানিয়েছে, আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। এর ফলে চাকরি বাতিলের নির্দেশই বহাল রইল। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’’

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এর পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালত এদিন পর্যবেক্ষণে (SSC Recruitment) বলে, ‘‘কেন সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হল?’’ এদিন চাকরিহারাদের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, নির্বাচনের ডিউটিতে অনেকেই রয়েছেন তাই এই মামলার স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। কিন্তু তা শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে এসএসসির তরফ থেকে যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই করার বিষয়ে বলা হয়। সেক্ষেত্রে বিচারপতিদের বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, ‘‘ওএমআর শিট তো সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করা হয়েছে, তাহলে কীভাবে আপনারা কারা যোগ্য সেটাকে আলাদা করবেন!’’ তবে ওএমআর শিট সম্পূর্ণ হবে নষ্ট হয়ে গেলেও আজব দাবি জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং তাদের আইনজীবী বলেন, ‘‘আমরা যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’’

    সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত এসএসসি

    রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতের এদিন সওয়াল করে বলেন, ‘‘এই সময় নির্বাচন চলছে, এখন সিবিআই তদন্ত করলে পুরো মন্ত্রিসভা জেলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে তদন্তে স্থগিতাদেশ চায় রাজ্য (SSC Recruitment)। সুপ্রিম কোর্ট তা মঞ্জুর করে। এসএসসির আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতে প্রশ্ন তোলেন জানান, ৮ হাজার জনের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হলেও ২৩ হাজার চাকরি কেন বাতিল করা হল?’’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’’

    হাইকোর্টের রায়

    প্রসঙ্গত, সোমবারই এসএসসি মামলা (SSC Recruitment) ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয়। কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির রায়ের ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন  শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি চলে যায়। সাদা খাতা জমা দিয়ে যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, তাদেরকে ১২ শতাংশ সুদসহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: শুনানি শেষ এসএসসি নিয়োগ মামলার, কী বললেন বিচারপতি?

    SSC Recruitment Case: শুনানি শেষ এসএসসি নিয়োগ মামলার, কী বললেন বিচারপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে চলা শুনানি শেষ হল বুধবার। প্রতিদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে এসএসসি নিয়োগ মামলার (SSC Recruitment Case)। শুনানি শেষ হলেও, স্থগিত রয়েছে রায় ঘোষণা।

    ‘অতিরিক্ত নিয়োগ বাতিল হওয়া উচিত’ (SSC Recruitment Case)

    সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এদিন আদালত যে মন্তব্য করেছে, তাতেই রায়ের ইঙ্গিত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন শুনানি শেষে বিচারপতি বসাক বলেন, “এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। অতিরিক্ত নিয়োগ সরাসরি বাতিল হওয়া উচিত।” প্রসঙ্গত, এসএসসিতে বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment Case) সংক্রান্ত একাধিক মামলা দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে ঘোরাফেরা করছে।

    রায় ঘোষণা মুলতুবি

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (অধুনা অবসরপ্রাপ্ত), বিচারপতি অমৃতা সিনহা সহ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে এই মামলার। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য গঠিত হয় বিশেষ বেঞ্চ। বিশেষ বেঞ্চকে ছ’মাসের মধ্যেই শুনানি শেষ করতে বলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পর থেকে প্রতিদিনই শুনানি হয়েছে এই মামলার। এই বেঞ্চেই এদিন শেষ হয় শুনানি। যদিও রায় ঘোষণা মুলতুবি রেখেছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    এদিন মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ। শূন্যপদের চেয়েও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে যুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা উচিত। ওই সব দুর্নীতির টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত।” বিকাশের বক্তব্য, “এই দুর্নীতির ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত আদালতের। তা না হলে এই ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমবে না। অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতেই থাকবে।”

    এদিন মামলাকারীদের আইনজীবীরা অতিরিক্ত নিয়োগের খতিয়ানও প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে কমিশনের তরফে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল ১১ হাজার ৪২৫ জনের। সেবার পর্ষদ নিয়োগপত্র দিয়েছিল ১২ হাজার ৯৬৪টি। যার অর্থ, বাড়তি নিয়োগ হয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ জনের। ওই বছরই একাদশ-দ্বাদশে বাড়তি নিয়োগ হয়েছে ১৯৯ জনের। গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬৬৯ জনকে অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়। গ্রুপ-সি পদে বাড়তি নিয়োগ হয়েছিল ৪১৬জন (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে কী লুকোবেন? এসএসসির চেয়ারম্যানকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের 

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে কী লুকোবেন? এসএসসির চেয়ারম্যানকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (SSC Scam) তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে শুক্রবার আদালতের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন এসএসসির আইনজীবী। এরপরই মামলা থেকে অব্যাহতি চাইলেন এসএসসি আইনজীবী ডক্টর সুতনু পাত্র। শুক্রবার এসএসসি বোর্ডের সমস্ত সদস্যকে তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে এসএসসির বোর্ডের সদস্যদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশানুসারে এদিন উপস্থিত ছিলেন এসএসসির (SSC Scam) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং আরও দুই সদস্য। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ বারবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বেশ কিছু তথ্য় চেয়েছিল। প্রায় দু’সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পর আজ আদালতে যখন সেই তথ্য চায়, এসএসসির আইনজীবী বলেন, জায়গাটা ছোট। সবটা ভাল করে লিখতে পারছেন না। বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে ডেটা পেতে। পরবর্তী সময়ে তিনি বলেন, বারবার চাওয়ার পরও এসএসসির অফিসারদের কাছ থেকে তিনি কোনও সহায়তা পাচ্ছেন না। এতে বিচারপতি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন। বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘কী করা যাবে বলুন। আমরা জানি এই এজলাস ছোট। এসএসসির মত বড় বড় অনেক বাড়ি আমাদের নেই যে একটা বাড়ি থেকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হবে, একটি বাড়ি থেকে এসএমএস পাঠানো হবে।’ 

    আরও পড়ুন: তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু, প্রার্থী নিয়ে জল্পনা

    আদালতের প্রশ্ন

    আদালতে (Calcutta High Court) ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “প্রতিদিন সময় চাইছেন। কত দিন চলতে পারে এটা? গত মঙ্গলবার থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হচ্ছে নাইসার ব্যাপারে।কিন্তু তার উত্তর দিতে পারছেন না আপনি। আপনি তার মানে আদালতকে সহযোগিতা করতে পারছেন না।” একই সঙ্গে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “এসএসসির কোনও আধিকারিক তাঁদেরই দেওয়া হলফনামা পড়ে না, আর তাই তথ্যও জানে না! আপনারা কী লুকোতে চাইছেন এবং কেন লুকাতে চাইছেন?” এরপরই এসএসসির আইনজীবী সুতনু পাত্র এই মামলা থেকে অব্যাহতি চান। বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ সঙ্গে সঙ্গে তা গ্রহণ করে। আগামী সোমবার ফের মামলার শুনানি। সেদিন যাবতীয় তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বিশেষ বেঞ্চের পক্ষ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায়। তিনি একাই ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন তিনিই। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। প্রসন্ন ও তাঁর পরিচিতদের ৯০টি সংস্থা রয়েছে বলেও দাবি ইডির।

    গ্রেফতার প্রসন্ন

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকে। এর আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। মুক্তি পেয়েছিলেন জামিনে। এদিন রাতে ফের হলেন গ্রেফতার। এবার অবশ্য ইডির হাতে। মঙ্গলবার তাঁকে তোলা হয় নগর দায়রা আদালতে। সেখানেই ইডির দাবি, প্রসন্ন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের (SSC Recruitment Case) কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতেন। ওএমআর শিটে কারচুপিও করতেন বলে দাবি ইডির।

    ওএমআর শিটে কারচুপি

    আদালতে ইডি জানিয়েছে, কেলেঙ্কারি থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন প্রসন্ন। মোট ২ হাজার ৮১জনকে অবৈধভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ১৩৫জনকে। আর একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ৯৪৬জনকে। অনেক চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। ইডি আরও জেনেছে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১৮৩জনকে। ইডির দাবি, এই অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন প্রসন্ন। তাঁর অফিস থেকে ৩৯০টি দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৬-২০২১ সালের মধ্যে প্রচুর টাকার সম্পত্তি কিনেছেন প্রসন্নর পরিবার। তাঁর সংস্থার নামেও কেনা হয়েছে সম্পত্তি। কারচুপি করা হয়েছে সম্পত্তির দামেও। ইডি জানিয়েছে, প্রসন্নর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ২০০টি। সেগুলিতেও জমা করা হয়েছে প্রচুর নগদ টাকা।

    আরও পড়ুুন: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    প্রসন্নর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ঘনিষ্ঠ। তিনি একজন মিডলম্যান। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে প্রসন্নকে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share