Tag: SSC recruitment scam

SSC recruitment scam

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বড় পদক্ষেপ করল ইডি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের মামলায় ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একটি পোস্ট করেছে। যেখানে কয়েকশ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে। 

    কত কোটা টাকার সম্পত্তি

    শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী কাজল সোনি রায়ের নামে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে একাধিক হোটেল, রিসর্টও। বাজেয়াপ্ত করা মোট সম্পত্তির মূল্য ১৬৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ইডি যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তা মূলত প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকলেও একটি সংস্থার ভাগও তাতে রয়েছে। শ্রী দুর্গা ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে। ইডি জানিয়েছে, ওই সংস্থাটি প্রসন্নই নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করতেন। এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ফলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা মোট অর্থ এবং সম্পত্তির মূল্য দাঁড়াল ৫৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। 

    ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ

    আদালতের নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ (SSC Scam) সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। বিপুল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। আর এই তদন্ত নেমেই ‘মিডলম্যান’ হিসাবে প্রসন্ন রায়ের খোঁজ পান আধিকারিকরা। দীর্ঘ জেরার পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন। অন্যদিকে, ইডির তরফেও বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হয়। তদন্তকারীরা প্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পান। যা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠদের মোট ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির ফরেন্সিক অডিট করিয়েছিল সিবিআই। চার্জশিটে ইডির দাবি, অ্যাকাউন্টগুলিতে ৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ইডি আরও জানায়, প্রসন্নর স্ত্রীর আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। তাঁর অ্যাকাউন্টেও দু’কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: বড় দুর্নীতি, পিছিয়ে গেল পার্থর জামিন মামলা! ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Scam: বড় দুর্নীতি, পিছিয়ে গেল পার্থর জামিন মামলা! ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সাল থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বারবার তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের কাছে সময় চেয়েছে ইডি। তার জন্য এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে শুনানি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি সিটি রবি কুমার এবং বিচারপতি উজ্জল ভুয়ানের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থার কাছে হলফনামা চায়। 

    পিছিয়ে গেল শুনানি

    নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সালে পার্থকে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করেছিল ইডি। ওই মামলায় জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই শুনানিতেই বৃহস্পতিবার ইডির আইনজীবী এসভি রাজু এই জামিনের বিরোধিতা করেন। সেই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেন, এটি একটি বড় দুর্নীতির মামলা। এর পরেই ইডির কাছে হলফনামা চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ইডি হলফনামা দেওয়ার জন্য সময় চাইলে এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি। 

    আরও পড়ুন: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর (Partha Chatterjee) বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি।  টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্‌স’ আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। ইডির পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ আনে। দুই মামলাই এখনও বিচারাধীন। ইতিমধ্যে বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) দক্ষতায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। ওএমআর শিটের আসল সার্ভার বা হার্ডডিস্কের তথ্য জানতে প্রয়োজনে যে কোনও সংস্থা বা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। প্রসঙ্গত আদালতের তদন্তেই প্রাথমিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজাশেখার মান্থা বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

    বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ (CBI)

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার সিবিআইকে অলআউট ঝাঁপানোর নির্দেশ দেওয়া হল। ২০১৪ সালের ওএমআর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে সিবিআইকে হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশ। এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনে নিতে হবে বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা বা ব্যক্তিদের সাহায্য। শুক্রবার মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে এ সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    ওএমআর শিটের তথ্য চায় আদালত (High Court)

    এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে, ওএমআর শিটের ওরিজিনাল ডিস্ক নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আদালত জানতে চায়, এভাবে ডিস্ক নষ্ট করা যায় কি? নষ্ট করা গেলেও তথ্য উদ্ধার করা যায় কি না। আদালতের (High Court) ধারণা, তথ্য উদ্ধার করা যায়। ডিজিটাল রেকর্ড এত সহজে ধ্বংস করা যায় না। সে ব্যাপারে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁরা যে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।” প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও পরিবর্তে তার ডিজিটাইজড তথ্য রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই ওএমআর শিট স্ক্যান করেছে।

    আরও পড়ুন : হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    এর আগে ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর এই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার আদালতে ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: সিবিআইয়ের হাতে এসএসসি-র ইমেল! অযোগ্যদের হবে পর্দাফাঁস?

    SSC Recruitment Scam: সিবিআইয়ের হাতে এসএসসি-র ইমেল! অযোগ্যদের হবে পর্দাফাঁস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি-র (SSC) সার্ভার থেকে অযোগ্যদের তালিকা পেল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নেমে সিবিআই (CBI) এবার পেল চাকরি জালিয়াতির ইমেল। কাদের নম্বর বাড়ানো হবে সেই তালিকায় নাইসাকে ইমেল করেছিল এসএসসি। এসএসসির তরফে তিনজনকে ইমেল করা হয়েছিল। ইমেল করা হয় নাইসা কর্তা নীলাদ্রি দাস, পংকজ বনসল ও মোজাম্মেল হোসেনকে। এই ইমেলের সাহায্যেই নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) পর্দা ফাঁস করতে চায় সিবিআই।

    অযোগ্যদের তালিকা নাইসাকে ইমেল করেছিল এসএসসি

    সূত্রের খবর অযোগ্যদের তালিকা নাইসাকে ইমেল করেছিল এসএসসি। সেই ইমেলের কপি পেয়েছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে ওই মেলে একাধিক নামের উল্লেখ ছিল। অযোগ্যদের তালিকা সম্পূর্ণ নাকি অসম্পূর্ণ, তা এখনো সিবিআইয়ের তরফে খোলসা করে জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এসএসসি-র সার্ভার থেকে সেই ইমেইল খুঁজে পেয়েছে। এসএসসি তরফে তিনজনকে ইমেল করা হয়েছিল। অযোগ্যদের তালিকা দিয়ে তাঁদের নম্বর বাড়ানর জন্য এসএসসি-র তরফে একাধিক ইমেল করা হয়েছিল। এই ইমেল কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের নজরে এবার মোজাম্মেল হোসেন। তদন্তকারীদের অনুমান এসএসসির সার্ভারে এমন আরও ইমেল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২০১৬ প্যানেলের শিক্ষক ও স্কুল কর্মীদের নিজাম প্যালেসে তলব সিবিআইয়ের 

    ইতিমধ্যেই ২০১৬ প্যানেলের বহু শিক্ষক ও স্কুল কর্মীদের নথি সহ সিবিআই নিজাম প্যালেসে (Nijam Palace) তলব করেছে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের মাধ্যমে শিক্ষকদের তলব করার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যাদের তলব করা হয়েছে তাঁদের জিজ্ঞসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে অনেক রহস্য। যোগ্য অযোগ্য বাছাই এবং ইমেলের বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখে তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তদন্তকারীরা। অযোগ্যদের তালিকার উপর ভিত্তি করে সিবিআই যদি প্রমাণ করতে পারে টাকার বিনিময়ে এই ব্যক্তিরা চাকরি পেয়েছেন, তাহলে বেঁচে যেতে পারেন যোগ্য প্রার্থীরা। ফলে তদন্ত যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে অযোগ্যদের তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    সুপ্রিম কোর্টে চাকরিহারাদের সাময়িক স্বস্তি

    হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজারের। সেই জল গড়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট চাকরিহারাদের দিয়েছে সাময়িক স্বস্তি। তবে যোগ্য অযোগ্য বাছাই এখনও সম্পূর্ণ করা যায়নি সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন: বসিরহাট এবং দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির

    অভিযোগ লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে অযোগ্য প্রার্থীরা। যার জেরে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের প্রধান ইস্যু সন্দেশখালির পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সৎ চাকরিহারাদের জন্য সুকান্তকে লিগ্যাল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল খোলার নির্দেশ দিলেন মোদি

    Narendra Modi: সৎ চাকরিহারাদের জন্য সুকান্তকে লিগ্যাল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল খোলার নির্দেশ দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার জনসভা থেকে দুর্নীতি ইস্যু প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে এত টাকা মিলেছে, মেশিনও গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। সৎ চাকরিহারাদের পাশে বিজেপি রয়েছে। এটা মোদির গ্যারান্টি।”

    লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলার নির্দেশ মোদির (Narendra Modi)

    সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। এবার চাকরি হারানো যে শিক্ষকদের নথি ঠিক আছে, তাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘আমরা জানি শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পীড়িতদের জীবন কতটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এখানে রয়েছেন, তাঁকে আমার পরামর্শ, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক নির্দোষ মানুষও রয়েছেন। যাঁরা সত্যিই শিক্ষকের চাকরির দাবিদার, তাঁরা বাকিদের পাপের কারণে, সমস্যায় পড়েছেন। আমি রাজ্য সভাপতিকে বলেছি, যাঁরা সৎ তাঁদের কী ভাবে আমরা দলের পক্ষ থেকে সাহায্য করতে পারি! আমি বলেছি, প্রদেশ স্তরে একটি লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলা হোক। এতে যাঁরা সঠিক নথিপত্র থাকার পরেও সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের সুবিধা হবে এবং তাঁদের ন্যায় দিতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।’

    আরও পড়ুন: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    সৎ চাকরিহারাদের ন্যায় দিতে কাজ করবে রাজ্য ইউনিট, মোদির গ্যারান্টি

    এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আরও বলেন, ‘আমরা সৎ-দের পাশে থাকব। নির্বাচন চলতে থাকুক, কিন্তু বাংলার ইউনিট এই কাজ করবে। যাঁরা দোষ করেছেন তাঁরা সাজা পাবেন। কিন্তু, অনেক সৎ মানুষ রয়েছেন, যাঁদের কাছে আসল উপযুক্ত ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরাও ফেঁসে গিয়েছেন। যাঁরা সৎ, তাঁদের ন্যায় দিতে রাজ্য ইউনিট কাজ করবে, এটা মোদির গ্যারান্টি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court Judgement: “নিয়োগ দুর্নীতির প্রথম সুবিধাভোগী মমতা”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Supreme Court Judgement: “নিয়োগ দুর্নীতির প্রথম সুবিধাভোগী মমতা”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) ডিভিশন বেঞ্চের প্যানেল বাতিলের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Judgement) চ্যালেঞ্জ করে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়নি বরং শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে জুন মাস পর্যন্ত। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং বর্তমানে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Supreme Court Judgement)?

    রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Judgement) যাওয়া এবং কোর্টের রাজ্য সরকারকে কোনও বাড়তি সুবিধে না দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কেন অযোগ্যদের চাকরি হল। এর উত্তর আগে দিক ওরা। কেন ওএমআরের তথ্য নষ্ট করে দেওয়া হল এর উত্তর পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত প্যানেল সৃষ্টি করে যাদের বাড়তি নেওয়া হল তাঁরা কেন চাকরি করবেন। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কারা সুবিধাভোগী তা পুনরায় খুঁজে দেখার বিষয় উঠছে। এ বিষয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব, “প্রথম সুবিধাভোগীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো। তাঁদের এখনই সিবিআইইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী থাকার কোন অধিকার নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।”

    আর কী বললেন অভিজিৎ?

    হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে বিচারব্যবস্থা কাউকে রেয়াত করেননি। যারা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে তাদেরও আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “যারা এত গরীব। যারা যোগ্য। কেউ এমএ পাস করেছে, কেউ বিএড করেছে তাঁদের সিস্টেম অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছে। এক দুটো ভুল হয়ে থাকলে আমরা শুধরে নেব। তাই বলে তুমি চাকরি খেয়ে নেবে। আমরা ২ লক্ষ চাকরির রেডি রাখছি। লজ্জা করে না। তোর ভাই বোনের যদি চাকরি চলে যেত তুই তাহলে কি করতিস। তোর টাকা আছে। নিজের টাকা বাঁচাতে ভাজপা মেশিনে গেছিস।”সেদিন বিচারব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিরোধী দলকে আক্রমণ করার সময় শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাল্টা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “ওনারা তো বলেছিলেন হাইকোর্ট নাকি বিজেপির কোর্ট। তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court Judgement) কী বলবেন। সুপ্রিম কোর্ট ও কি বিজেপির কোর্ট। যে প্রশ্নগুলি তুলেছে আদালত তাঁর উত্তর কোথায়।”

    আরও পড়ুনঃ “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    রাজ্য সরকার মোটেও স্বস্তিতে নেই

    অতিরিক্ত পদ তৈরি সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছিলেন তাঁদের উপর সিবিআইয়ের কড়া পদক্ষেপের বিষয়ে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত । এ প্রসঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তি, “সেক্ষেত্রে পুরো মন্ত্রিসভা সিবিআই হেফাজতে চলে যেত। এই ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার করে দিয়েছিল যারা অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করেছিল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Judgement) যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তাতে রাজ্য সরকার মোটেও স্বস্তির জায়গাতে নেই। এমনকি প্যানেলে না থাকা চাকরি প্রাপকদের নিয়ে তাঁদের পর্যবক্ষণে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।” নিয়োগ দুর্নীতিকে ভয়ংকর দুর্নীতি আখ্যা দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আর্জি

    SSC Scam: চাকরি বাতিল নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। আজ, সেই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছিল মামলা। সোমবার এই মামলাটির শুনানি হতে চলেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে।

    কী ভাবছেন চাকরিহারারা

    চাকরিহারাদের দাবি, কেন কিছু অযোগ্য ব্যাক্তির জন্য যোগ্যরা এই কষ্ট ভোগ করবে। এর দায় এসএসসি, (SSC Scam) রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। চাকরিহারাদের আর্জি, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিচার করুক। কয়েকজন অযোগ্যর জন্য সমস্ত যোগ্যদের চাকরি যেন না যায়। গত সোমবার এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের ওই রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে মামলা করে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। মূল মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, “২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও নিয়মই মানা হয়নি। আদালতের নজরে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতি তো হয়েছেই। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে হাই কোর্ট। এমনকি বার বার বলা সত্ত্বেও যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দেয়নি এসএসসি। ফলে অনেক যোগ্য ব্যক্তির চাকরি চলে যায়। আশা করছি, সুপ্রিম কোর্টেও ওই রায় বহাল থাকবে।” 

    আরও পড়ুুন: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

    প্রধান বিচারপতি শুনবেন মামলা

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ ওই মামলা শুনবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সময়ে বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হলেও ‘মাস্টার অফ দি রোস্টার’(মামলার গুরুত্ব বুঝে নিজের কাছে রাখা) প্রধান বিচারপতি নিজের কাছে রাখেননি। কিন্তু, এই প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার মামলাটি তিনি নিজেই শুনবেন বলে ঠিক করেছেন। শীর্ষ আদালতের আইনজীবীদের একাংশ এই নিয়োগ বাতিল মামলাটি অন্য কারও এজলাসে না দিয়ে নিজের হাতে রাখার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখছেন। রাজ্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল। আইনজীবী মুকুল রোহতগি সওয়াল করতে পারেন চাকরিহারাদের হয়ে। সিবিআইয়ের হয়ে লড়বেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তুষার মেহতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আর্জি

    SSC Scam: চাকরি বাতিল নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। আজ, সেই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছিল মামলা। সোমবার এই মামলাটির শুনানি হতে চলেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে।

    কী ভাবছেন চাকরিহারারা

    চাকরিহারাদের দাবি, কেন কিছু অযোগ্য ব্যাক্তির জন্য যোগ্যরা এই কষ্ট ভোগ করবে। এর দায় এসএসসি, রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। চাকরিহারাদের আর্জি, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিচার করুক। কয়েকজন অযোগ্যর জন্য সমস্ত যোগ্যদের চাকরি যেন না যায়। গত সোমবার এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের ওই রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে মামলা করে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। মূল মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, “২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও নিয়মই মানা হয়নি। আদালতের নজরে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতি তো হয়েছেই। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে হাই কোর্ট। এমনকি বার বার বলা সত্ত্বেও যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দেয়নি এসএসসি। ফলে অনেক যোগ্য ব্যক্তির চাকরি চলে যায়। আশা করছি, সুপ্রিম কোর্টেও ওই রায় বহাল থাকবে।” 

    আরও পড়ুুন: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

    প্রধান বিচারপতি শুনবেন মামলা

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ ওই মামলা শুনবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সময়ে বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হলেও ‘মাস্টার অফ দি রোস্টার’(মামলার গুরুত্ব বুঝে নিজের কাছে রাখা) প্রধান বিচারপতি নিজের কাছে রাখেননি। কিন্তু, এই প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার মামলাটি তিনি নিজেই শুনবেন বলে ঠিক করেছেন। শীর্ষ আদালতের আইনজীবীদের একাংশ এই নিয়োগ বাতিল মামলাটি অন্য কারও এজলাসে না দিয়ে নিজের হাতে রাখার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখছেন। রাজ্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল। আইনজীবী মুকুল রোহতগি সওয়াল করতে পারেন চাকরিহারাদের হয়ে। সিবিআইয়ের হয়ে লড়বেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তুষার মেহতা। দুপুর ১২টা নাগাদ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি ওঠার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাল থেকে কাঁকর বাছতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষকতার চাকরি খুইয়েছেন ২৬ হাজার জন (SSC Recruitment Scam)। এই ভিড়ে যোগ্যদের পাশাপাশি রয়েছেন অযোগ্যরাও, যাঁরা শাসকদলের নেতাদের এজেন্টদের টাকা দিয়ে চাকরি বাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যোগ্যদের চাকরি কেন বাতিল হল, তা জানতে চেয়ে আন্দোলনে নেমে পড়েছেন চাকরি খোয়ানো ‘শিক্ষক’দের একাংশ।

    মাঠে সিবিআই (SSC Recruitment Scam)

    এহেন আবহে ঘুরপথে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলেই খবর। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এই মর্মে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরকে। ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেলেঙ্কারির গোড়ায় পৌঁছতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    কেলেঙ্কারি কবুল 

    শিক্ষক নিয়োগে যে কেলেঙ্কারি হয়েছিল, সেকথা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। তবে বাঁকা পথে কারা চাকরি পেয়েছিলেন, সেই অযোগ্যদের নাম বলেননি এসএসসি কর্তৃপক্ষ। যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই একই মর্মে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল সিবিআই (SSC Recruitment Scam)।

    সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও শব্বর রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খোয়া যায় প্রায় ছাব্বিশ হাজারজনের। এই সময়ই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই যেমন অতিরিক্ত নিয়োগে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে তদন্ত করতে পারবে, তারা অযোগ্যদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও পারবে। সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: “মুম্বই হামলার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি ইউপিএ সরকার”, তোপ জয়শঙ্করের

    হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। বুধবারই এ বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এক সঙ্গে প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার বড় প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এদিকে, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি করে ফর্ম পাঠিয়েছেন ডিআইরা। কোন স্কুলে কতজন চাকরি খুইয়েছেন, কোন কোন বিষয়ের শিক্ষকরা সেই তালিকায় রয়েছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে ডিআইদের তরফে। দ্রুত ওই তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা ডিআইদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share