Tag: SSC recruitment scam trial

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি-র (SSC Scam) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)-সহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (SSC Scam) গঠন করল আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ এই চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে এবার শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।

    কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন

    এই মামলায় শুধুই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নন, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, তাঁর কন্যা, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান-সহ আরও অনেক প্রভাবশালী নাম। আদালত সূত্রে খবর, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (IPC 120B), প্রমাণ নষ্ট করা (IPC 201), প্রতারণা (IPC 420), নথি জাল করা (IPC 467, 468) ও জাল নথি ব্যবহার (IPC 471)— এই ধারাগুলোতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে।

    কারা রয়েছেন?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় এই প্রথমবার চার্জ গঠন হলো। মামলার শুনানি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। মামলার নথি অনুযায়ী অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন— পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, সমরজিৎ আচার্য, নিয়োগ কর্তা (SSC Scam) কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, আধিকারিক অশোক সাহা ও পর্ণা বসু। নাম রয়েছে বেশ কিছু এজেন্টেরও, পাশাপাশি নাইসা আধিকারিক পঙ্কজ বনশল ও নীলাদ্রি দাসের।

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে (SSC Scam) দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারও তিনি হাসপাতালের শয্যা থেকে সওয়াল করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য— “আমায় মুক্তি দিন, সমাজের সামনে দাঁড়াতে দিন। জেলের অন্ধকারে আমাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।” তবে আদালত তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দেয়। একইভাবে পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আর্জি জানালেও বিচারক তা গ্রহণ করেননি। তাঁদের দাবি ছিল— তাঁরা নির্দোষ। আইনজীবীর সওয়ালে বলা হয়, অঙ্কিতা নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছিলেন। তখন পরেশ অধিকারী কোনও পদে ছিলেন না, তাই প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই ওঠে না। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী। কিন্তু সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ববিতা সরকার নামে আরেক প্রার্থী। ২০২২ সালের মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করে দেয় এবং প্রাপ্ত বেতনের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

LinkedIn
Share