Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশনে বাঁচানোর চেষ্টা! সুপার নিউমেরারি পদ বাতিল হাইকোর্টের

    SSC Scam: মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশনে বাঁচানোর চেষ্টা! সুপার নিউমেরারি পদ বাতিল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে সুপার নিউমেরারি বা অতিরিক্ত শূন্যপদ (SSC Scam) তৈরির সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গতকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চকারি বহাল রাখার রায়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই উচ্চ আদালতের অন্য একটি রায়ে বেজায় ধাক্কা খেল মমতা সরকার। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, রাজ্যের সিদ্ধান্তকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বিচারপতি সাফ জানান, নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবেই সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগ করা যায় না।

    ১৬০০ সুপার নিউমেরারি পদ খারিজ (SSC Scam)

    শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকে শরীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে ওয়েটিং লিস্ট থেকে অতরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৬০০ সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ১৯ মে এবং ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই দুই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি রায় দান করার সময় বলেন, “আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণে এই অতিরক্ত শুন্যপদগুলি বেআইনি (SSC Scam), মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশন দয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ওই পদে কোনও নিয়োগ নয়, ২০১৯ সালের প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর তৈরি করা হয়েছে এই শূন্যপদে। কারণ পদগুলি বৈধ নয়। অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হলে শূন্যপদ ঘোষণা করতে হয়।” তবে উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি মামলার বিষয়ে শুনানি হবে আগামী জানুয়ারি মাসে।

    চরম ধাক্কা মমতা সরকারের

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপার নিউমেরারি পদ (SSC Scam) তৈরির উপর অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। উল্লেখ্য যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় সুপার নিউমেরারি সিদ্ধান্ত ছিল, সেখানে অবশ্য হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। তবে রাজ্য সরকার গত এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেখিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগের অনুমতি দিক আদালত। কিন্তু ৭ মে হাইকোর্টে এই পদের উপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপর মামলা ডিভিশন বেঞ্চে গেলে ফের বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চেই পাঠানো হয় মামলা।

  • SSC scam: “ডিভিশন বেঞ্চের রায় অযোগ্যদের হাতে বড় অস্ত্র”, ৩২ হাজার বহালে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    SSC scam: “ডিভিশন বেঞ্চের রায় অযোগ্যদের হাতে বড় অস্ত্র”, ৩২ হাজার বহালে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় ৩২০০০ নিয়োগকে মানবিক দৃষ্টিকোণে বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের সাফ কথা, সমস্ত তথ্য এবং প্রমাণের সাপেক্ষে মামলায় ভুক্তভুগিদের পরিবার এবং গত ৯ বছর ধরে চাকরি করার ভিত্তিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার সিদ্ধান্তকে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায়কে টেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এসএসসি নিয়োগ দুর্নিতি মামলায় এক এক বেঞ্চে এক এক বিচারপতির আলাদা আলাদা মত। আমি মনে করি আইন এবং বিচার প্রক্রিয়ায় সব সময় তথ্য এবং নথি দেখে ন্যায় বিচার দেওয়া উচিত।”

    অভিজিৎ বাবু ঠিক জায়গাটা ধরে ছিলেন (SSC scam)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) মামলা এবং ৩২০০০ চাকরি বহাল প্রসঙ্গে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, “এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিলে বিচারপতিরা (Calcutta High Court) কি মানবিক আচরণ করেননি? প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ৯ বছরের চাকরি এবং পরিবারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক-একটি বেঞ্চে বিচারপতিরা এক-এক রকমের মত প্রকাশ করে থাকেন। সিঙ্গেল বেঞ্চে রায় ছিল তথ্য ভিত্তিক। আর ডিভিশন বেঞ্চের রায় ছিল মানবিক। সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার হলফনামা দিয়ে স্বীকার করা হয়েছে যে ঠিক ভাবে নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হয়নি। ফলে ডিভিশন বেঞ্চের রায় অযোগ্য বা টাকা দিয়ে যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা কার্যত তাদের হাতে বড় অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে কোনও নিয়োগ স্বচ্ছভাবে হয়নি। সম্প্রতি পুলিশের যে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে সেখানেও কোনও রকম কার্বন কপি দেওয়া হয়নি। আমার মনে হয় প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে জায়গাটা ধরে ছিলেন সেখানে সেই জায়গায় কোনও বেঠিক হওয়ার প্রশ্ন নেই। টাকার দিয়ে মমতার সরকার চাকরি বিক্রি যে করেছে সেকথা আদালতেও বার বার প্রমাণিত হয়েছে।”

    সমস্ত বঞ্চিতরা এখনও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) মামলার রায়ে (Calcutta High Court) প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, “আদালতের দেওয়া রায়ের কপি বিস্তারিত ভাবে হাতে পেলে আরও বিশ্লেষণ করব। তবে এটাও ঠিক সমস্ত বঞ্চিতরা এখনও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন। তবে আজকের রায়ে যারা চাকরি করেছে তাদের উদ্দেশে কিছু বলার নেই। কারণ তারাও পরিস্থিতির স্বীকার। আমার সহানুভূতি তাদের সঙ্গে সবসময় রয়েছে। তবে মানিক ভট্টাচার্য যে কুকর্ম করেছেন তার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী নিজে রয়েছেন। পদ্ধতি গত ত্রুটির কথা আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে। ৩২ হাজারে কথা ভেবে মানবিক দৃষ্টিকোণে রায় দিয়েছে। তারা এখন কি করবেন এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়।”

    বঞ্চিত পরিবারের কোনও মূল্য নেই?

    এইমামলার (SSC scam) অপর দিকে বঞ্চিতদের পক্ষে আদালতে লড়াই করেছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি মামলার রায় নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নামক গ্রহণ যতদিন থাকবে, ততদিন আপনাদের খুব একটা কিছু হবে না। যারা এখন পড়াশোনা করছেন তারাও নিশ্চয়ই দেখছেন রাজ্যে কী চলছে। চুরির সময়কালটা বেশি হয়ে গেলে মনে হয় চুরি মান্যতা পেয়ে যায়।। যারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের পরিবারের কোনও মূল্য নেই?”

    লড়াই চলবে

    আদালতের (Calcutta High Court) মানবিক যুক্তির কথাকে তুলে ধরে তরুণজ্যোতি আরও বলেন, “মানবিকতা আর ন্যায়বিচার (SSC scam) এক জিনিস নয়। সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর সেলিব্রেশন সেই পার্থক্যটাই আড়াল করছে। সুপ্রিম কোর্টে এমন বহু রায় আছে, ত্রিপুরা চাকরি বাতিল মামলা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক এসএসসি মামলার জাজমেন্ট—যেখানে দুর্নীতির চাকরি বাতিলের নীতি স্পষ্ট। আজকের রায়ে বেঞ্চ জানাল, দুর্নীতির তদন্ত আগের মতোই চলবে এবং যাদের বিভিন্ন ইস্যু সহ রিজার্ভেশন নিয়ে যে সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলাগুলি চলছে তাদের কেস সিঙ্গেল বেঞ্চে চলবে। আদালতের রায় শিরোধার্য। লড়াই চলবে। এ রায় যেদিকেই যেত, শেষ কথা তো সুপ্রিম কোর্টেই হত—এখনও হবে। এ লড়াই কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা আজ সবটাই বুঝতে পারছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যতদিন তৃণমূল থাকবে ততদিন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি চলবে।

  • Calcutta High Court: ৩২ হাজার শিক্ষকের স্বস্তি, চাকরি বাতিল হচ্ছে না জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ৩২ হাজার শিক্ষকের স্বস্তি, চাকরি বাতিল হচ্ছে না জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বহাল থাকছে বত্রিশ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের র্যবেক্ষণ, দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। বিচারপতি বলেন, “যাঁরা ৯ বছর ধরে কাজ করছেন তাঁদের পরিবারের কথাও ভাবতে হবে। যাঁরা সফল হননি তাঁদের জন্য সব ড্যামেজ করা যায় না।”

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ

    প্রাথমিক স্কুলের ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের ‘টেট’-এর ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পরে ২০২৩ সালের মে মাসের ১২ তারিখ ওই মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে চাকরিচ্যুত হন প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষক। মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কোর্ট যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন পুরো বিষয়টি বিবেচনা করতে হয়েছে। এখানে প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সিবিআই-এরও। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বক্তব্য, আদালত কোনও ‘রোমিং এনকোয়ারি’ চালাতে পারে না।

    গোটা প্রক্রিয়াকে নষ্ট করা যায় না

    দ্বিতীয়ত, যাঁরা এতদিন ধরে চাকরি করছিলেন, তাঁদের পড়াশোনা করানোর ধরনের উপর কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তৃতীয়ত, যখন এই সাক্ষাৎকার পর্ব (ইন্টারভিউ প্রসেস) চলছিল, সেই সময় যিনি পরীক্ষক ছিলেন তিনি টাকা নিয়ে অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছেন তাঁর কোনও প্রমাণ নেই। যার ফলে গোটা সাক্ষাৎকার পর্বে যে গলদ হয়েছে সেটা একেবারে বলা যাচ্ছে না। এদিন কোর্ট এও বলেছে, মামলা যাঁরা করেছিলেন, তাঁরা কেউ চাকরি করছিলেন না। ফলে যাঁরা পাশ করেননি তাঁদের জন্য গোটা প্রক্রিয়াকে নষ্ট করা যায় না। আর সেই যুক্তিতেই ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়কে খারিজ করল।

    একগুচ্ছ অভিযোগ

    প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের নিয়োগের আইন মানা হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ বিধি মানা হয়নি।নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও সিলেকশন কমিটি ছিল না। থার্ড পার্টি এজেন্সি প‍্যানেল তৈরি করেছিল। অ‍্যাপটিটিউট টেস্ট নেওয়া হয়নি। অ‍্যাপটিটিউট টেস্টের কোনও গাইডলাইনই ছিল না। অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। ⁠কাট অব মার্কস নিয়ে উপযুক্ত তথ‍্য ছিল না বোর্ডের কাছে। শূন‍্যপদের অতিরিক্ত নিয়োগ হয়। এবং ⁠নূন্যতম যোগ্যতা নেই, এমন প্রার্থীরাও চাকরি পান। তবে এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় কিছু নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে, কিন্তু তার জন্য সবার চাকরি বাতিল করা উচিত বলে মনে করে না হাইকোর্ট।

     

     

     

  • SSC Scam: বুধবারের মধ্যে ৭২৯৩ জন দাগির সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    SSC Scam: বুধবারের মধ্যে ৭২৯৩ জন দাগির সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) শিক্ষক নিয়োগে এবার ৭২৯৩ জন দাগির সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কমিশনকে সাফ নির্দেশ, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীর নাম, ঠিকানা সব কিছুকে প্রকাশ্যে আনতে হবে। উল্লেখ্য, অযোগ্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট থেকে আগেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একই দাবিতে যোগ্য প্রার্থীরা কমিশনের বিরুদ্ধে বারবার রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এবং এসএসসির ঘুম ভাঙেনি। ফলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ ঠিক কবে কার্যকর হয় তাই এখন দেখার।

    দ্রুত তালিকা প্রকাশ করতে হবে (SSC Scam)

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) থেকে সুপ্রিমকোর্ট সর্বত্র বারবার দাগিদের তালিকা প্রকাশের কথা জানিয়ে একাধিকবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসএসসি তালিকা প্রকাশ করলেও তা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে দাগিদের আর পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না বলেও সাফ নির্দেশ ছিল উচ্চ আদালতের। কিন্তু পরীক্ষায় অযোগ্যদের বসার ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। খোদ যোগ্য প্রার্থীরাই অযোগ্যদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, “এসএসসি কমিশন (SSC Scam) দাগিদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর সমস্ত কিছু দিয়ে বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করবে। এবার দ্রুত তালিকা প্রকাশ করতে হবে।” উল্লেখ্য গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন দাগি নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক যাঁরা চাকরি করছিলেন তাঁদের যাবতীয় তথ্য সমেত নাম প্রকাশ করেছে।

    তালিকায় শিক্ষক-শিক্ষিকা, এবং অশিক্ষক কর্মীরা রয়েছেন

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এসএসসি (SSC Scam) গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি-র ৩৫১২ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে ৭২৯৩ জনের অযোগ্য নাম জানিয়েছিল। এবার আগামী বুধবারের মধ্যে ৭২৯৩ জনের সম্পূর্ণ নাম প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন এসএসসিকে আউট অফ প্যানেল, র‍্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচদের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে নিয়োগ যাতে স্বচ্ছ হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এই তালিকায় শিক্ষক-শিক্ষিকা, এবং অশিক্ষক কর্মীরা রয়েছেন। এসএসসি ৩৫১২ জনের দাগি অশিক্ষ কর্মীদের তালিকা এবং দাগি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক-শিক্ষকদের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে তাঁরা সকলেই চাকরি করছিলেন।

    তৃণমূলের রাজত্বে সবচেয়ে বড়সড় দুর্নীতি হল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সদ্য জামিনে জেলের বাইরে এসেছেন। সমস্ত সাক্ষ্য, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যে চার্জশিট জমাও করেছে। এখন দোষীদের শাস্তি ঘোষণা কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

  • SSC Scam: তালিকায় অযোগ্যরা? ফল বেরোতেই ফের এসএসসি নিয়ে মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে

    SSC Scam: তালিকায় অযোগ্যরা? ফল বেরোতেই ফের এসএসসি নিয়ে মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে বসেই তোলাবাজি করছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডলে অডিও পোস্ট করে শুভেন্দুর অভিযোগ, এখনও চাকরির জন্য টাকা তুলছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। অবিলম্বে এই কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করুক ইডি। অপরাধী প্রমাণিত হলে নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলা রাজ্য থেকে সরানো হোক। ইডির কাছে এমনই আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সম্প্রতি এসএসসি ২০২৫-এর একাদশ-দ্বাদশের ফল প্রকাশ হয়েছে। তবে তা নিয়েও এক গুচ্ছ বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগে ফের মামলা দায়ের হয়েছে।

    জেলে বসেই চাকরি বিক্রি করছেন জীবনকৃষ্ণ 

    জেলে বসেই চাকরি বিক্রি করছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মোবাইল ফোনের স্ক্রিনশট ও অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এটাই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সততার প্রতীক’? প্রশ্ন তুলে কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য ইডি-র কাছে আর্জি জানিয়েছন তিনি। শুভেন্দু বলেন, এক্সামের রেজাল্টেও যেভাবে প্রভাব খাটিয়েছেন, জেলে উনি ফোন ব্যবহার করছেন। জেলে গিয়ে কিছু হবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো চোরেরা, জীবনকৃষ্ণ সাহাদের মতো চোরেদের ইডি ধরে পাঁচ দিন, দশ দিন পিসি-তে রাখছে, তারপর তো জেলে পাঠাতে হচ্ছে। জেলে তো ফাইভ স্টার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর পর ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এদিন তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠস্বর বলে দাবি করে, একাধিক অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে, শুভেন্দু অধিকারী আরও লিখেছেন, ইডি-কে অনুরোধ করছি, এই কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখুন এবং দোষী প্রমাণিত হলে, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলাগুলি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সরানোর চেষ্টা করুন।

    নতুন তালিকাতেও অযোগ্যদের নাম 

    শনিবর রাতেই, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য, কল ফর ভেরিফিকেশন তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। সেই তালিকা ঘিরেও নতুন করে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ভয়ঙ্কর অভিযোগ, এবারেও তালিকাতে অনেক অযোগ্যের নাম রয়েছে। এখন প্রশ্ন আবারও, কীভাবে তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারলেন? সুপ্রিম কোর্ট যেখানে আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল, অযোগ্যদের সবার আগে বাদ দিতে হবে, তাঁরা যেন কোনওভাবেই পরীক্ষায় না বসতে পারেন। সেখানে মামলাকারীর বক্তব্য, একাদশ দ্বাদশের ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন অযোগ্যের নাম তালিকায়। এমনকি তাঁদের কয়েকজন ইন্টারভিউতেও ডাক পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের নামেক তালিকায় নাম রয়েছে ক্লার্কদেরও। এই নিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। মামলা গ্রহণ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

    আদালতমুখী হওয়ার সিদ্ধান্ত

    কাট অফ’ যেখানে ৭০ শতাংশের বেশি, সেখানেই থমকে নতুনরা। পূর্ণ নম্বর ৬০ পেয়েও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থী ডাক পেয়েছেন। আবার ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের আন্দোলনের প্রথম সারির নেতৃত্বের অনেকেই ডাক পেলেন না। তবে এখনই আন্দোলন বা আদালতমুখী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তাঁরা। তবে এহেন পরিস্থিতিতে রবিবারই একটি চাঞ্চল্যকর নাম প্রকাশ্যে আসে। নীতীশ রঞ্জন প্রামাণিক! তাঁর নাম রয়েছে অযোগ্যদের তালিকায়। কিন্তু তাঁর নাম রয়েছে একাদশ দ্বাদশের পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাতেও। ইন্টারভিউয়ের জন্যও ডাক পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ চিহ্নিত অযোগ্যই ডাকা পেয়েছেন ইন্টারভিউয়ের জন্য। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই SSC-র নতুন ফল নিয়ে নতুন বিতর্ক তুঙ্গে। ধীরে ধীরে আরও অভিযোগ সামনে আসতে থাকে।

    বিশেষভাবে সক্ষম, তাই আবেদন

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চিহ্নিত অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। এরপর চিহ্নিত অযোগ্যদের কেউ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার জন্য আবেদন জানালেও তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, বিশেষভাবে সক্ষম চাকরিহারারা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। নীতীশের পরিবার দাবি করছে, বিশেষভাবে সক্ষম, তাই আবেদন করতে পেরেছেন । কিন্তু যাঁদের নাম ‘দাগীদের’ তালিকায়, তাঁরা আদৌ পরীক্ষায় বসতে পারবেন কিনা, তা স্পষ্ট বলা ছিল না সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারকপিতে। এবার এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই নতুন করে মামলা হল হাইকোর্টে।

     বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলা গ্রহণ করেন

    সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ এক পার্টটাইম শিক্ষক। মামলাকারীর দাবি, অভিজ্ঞতার জন্য কোনো নম্বর পাবেন না পার্টটাইম শিক্ষকরা বলে জানায় এসএসসি। যদিও তার অনেক সহকর্মী অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর পেয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর নাম ইন্টারভিউ তালিকায় থাকার কথা নয়। তবে তা সত্ত্বেও তালিকায় রয়েছেন বহু ‘অযোগ্য’। ফিরদৌস শামিম বলেন, “ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সুবিধা পেয়েছেন ‘অযোগ্য’রা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ‘অযোগ্য’ প্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু ইন্টারভিউ তালিকায় বহু ‘অযোগ্য’র নাম রয়েছে। এটা অসম্ভব বিষয়।” বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলা গ্রহণ করেন। আগামী বুধবার মামলা শুনানি সম্ভাবনা।

  • Calcutta High Court: ফের স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি চাকরিহারাদের ভাতায়, হাইকোর্টের তোপের মুখে মমতা সরকার

    Calcutta High Court: ফের স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি চাকরিহারাদের ভাতায়, হাইকোর্টের তোপের মুখে মমতা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির গ্রুপ-ডি এবং গ্রুপ-সি চাকরি হারাদের ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকার আরও একবার হাইকোর্টের তোপের মুখে। চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়ার মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদের সময়সীমাকে আরও একবার বৃদ্ধি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা নির্দেশ দেন, চাকরি হারাদের আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি সময় পর্যন্ত রাজ্য সরকার কোনও রকম ভাতা দিতে পারবে না । কোর্টের স্পষ্ট মত, যেখানে দেশের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দুর্নীতির (SSC scam) কারণে চাকরি বাতিল হয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকার ভাতা দেবে কোন যুক্তিতে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের অধিকাংশ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ (Calcutta High Court)!

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। টাকার বিনিময়ে রাজ্য সরকার চাকরি বিক্রি করেছিল— এই মর্মে ১৮০০ জনের বেশি অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ চাকরি প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতা-মন্ত্রীর সমর্থক বা ঘনিষ্ঠ। চাকারি হারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা সরকার গ্রুপ সি কর্মীদের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়। আর এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রথমে চলতি মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষের আগেই পুনরায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করে দেন বিচারপতি সিন্‌হা।

    ভাতা দিলে কি পাওয়া যাবে?

    রাজ্য সরকারের দেওয়া ভাতার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রথম থেকেই কোর্টের (Calcutta High Court) স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, টাকার বিনিময়ে পেছনের দরজার দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তারা আর যাই হোক যোগ্য নয়। সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি এবং অযোগ্যদের কীভাবে সরকার পক্ষ ভাতা দেওয়ার নৈতিক অধিকার রাখতে পারে। অযোগ্যদের ভাতা দিলে কি পাওয়া যাবে? তবে রাজ্যের অবশ্য বক্তব্য ছিল চাকরিহারাদের সাময়িক আর্থিক সাহায্য প্রদান করতেই ভাতার ভাবনা। তবে এই বিষয়ে রাজনীতির একাংশের মত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনরকম আলোচনা ছাড়া এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। সেইসঙ্গে ওয়াকিবহাল মহলের মত, সরকার কীভাবে দাগিদের ভাতা দিতে পারে! এই ভাবনাটাই সম্পূর্ণ ভাবে দুর্নীতিকে (SSC scam) উৎসাহী করবে।

  • TET: টেট পাশ না করলে শিক্ষকদের চাকরি যাবে, সুপ্রিম নির্দেশে কাদের ছাড়?

    TET: টেট পাশ না করলে শিক্ষকদের চাকরি যাবে, সুপ্রিম নির্দেশে কাদের ছাড়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকতায় পদোন্নতি বা চাকরি চালিয়ে যেতে হলে টেট উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক – এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পাঁচ বছরের বেশি চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেও টেট পাশ না করলে শিক্ষকতায় থাকা যাবে না। তবে যে সব শিক্ষক ২০০৯ সালের শিশুদের বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে শিক্ষা অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার আগে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের টেট পাশ করার জন্য ২ বছরের সময় দেওয়া হয়েছে।

    টেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যে শিক্ষকরা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন না, তাঁরা চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন বা টার্মিনাল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের জন্য আবেদন করতে পারেন। আসলে ২০১১-র ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন ঘোষণা করেছিল শিক্ষকপদে নিয়োগে যোগ্য হতে টেট বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবের কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছে, যাঁদের অবসর পেতে আর পাঁচ বছর বাকি, তাঁদের জন্য ছাড়। তাঁরা টেট না পাশ করলেও চাকরি করে অবসর নিতে পারবেন। কিন্তু এই সময়ে পদোন্নতি পাবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এসেছে একাধিক মামলার প্রেক্ষিতে। তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য সরকারও এই বিষয়ে মামলা করেছিল। প্রশ্ন ছিল – শিক্ষকতার জন্য টেট আদৌ বাধ্যতামূলক কিনা। এনসিটিই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য যখন ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করেছিল, তখনই টেট চালু হয়।

    সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে করণীয়

    তবে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রেও টেট বাধ্যতামূলক হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য কয়েকটি ন্যূনতম শর্ত তৈরি করেছিল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। তারপর চালু করা হয়েছিল টেট। পশ্চিমবঙ্গেও টেট পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়। যদিও পরীক্ষার পর দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এগোনো এবং দুর্নীতির অভিযোগে একাধিকবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

  • Jiban Krishna Saha: সম্পত্তি ও নগদ মিলিয়ে জীবনকৃষ্ণের ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Jiban Krishna Saha: সম্পত্তি ও নগদ মিলিয়ে জীবনকৃষ্ণের ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) নামে ও ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা সম্পত্তি ও নগদ মিলিয়ে ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। গ্রেফতারের পর তাঁর, স্ত্রী টগরী সাহা এবং একাধিক আত্মীয়ের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক নগদ লেনদেন ও বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে এবার তলব করা হচ্ছে সেই সব চাকরিপ্রার্থীদের, যাঁদের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকার লেনদেন (Jiban Krishna Saha)

    ইডির অনুমান, জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অন্তত ৭৫ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা এসেছে। এর মধ্যে কমপক্ষে সাতজন প্রার্থীর কাছ থেকে মোট ৪৬ লক্ষ টাকা গ্রহণ করা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা সাহার স্ত্রী টগরী সাহার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। তদন্তে উঠে এসেছে, দুর্নীতির টাকা  খাটানোর জন্য একাধিক ব্যক্তি, আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের নামে জমি, ফ্ল্যাট এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এইভাবেই অবৈধ অর্থ লেনদেন ও সম্পত্তি গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা শেষমেশ ধরা পড়ে যায় তদন্তকারীদের নজরে।

    মোট প্রায় ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে বিধায়ক টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি ইডির

    শুধু জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) ক্ষেত্রেই, ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইডি, যা বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট অঙ্কে লেনদেন করে গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ২০ জন প্রার্থীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের আগামী সপ্তাহে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই জীবন কৃষ্ণকে টাকা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। মোট প্রায় ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে বিধায়ক টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের, এবং সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন এই প্রথম ২০ জন।

  • Abhijit Gangopadhyay: আবার একটা জালিয়াতি! এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Gangopadhyay: আবার একটা জালিয়াতি! এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি ও বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ‘‘আবার একটা জালিয়াতি হতে চলেছে—এটা আগে থেকেই আন্দাজ করা সম্ভব।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাতে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সেখানে ১৮০৬ জনের নাম দেখা যায়। এনিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, এই সংখ্যাটা অনেক বেশি হওয়া উচিত। অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার।

    কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে ভাবে রাজ্য সরকার পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে শুরু করেছে, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে প্রবঞ্চনা শুরু করে দিয়েছে, তাতে আমার তো মনে হয় না বিষয়টা স্বচ্ছ ভাবে হবে। এই পরীক্ষা স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাত থেকে নিয়ে নেওয়া উচিত বা একটা সুপারভাইজারি বডি তৈরি করে এই কাজটা করা উচিত।’’ তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে স্বচ্ছতার জন্য লিস্ট বের করতে বলেছিল, সেটা হল না। রাজ্য কত রকমের ভাঁওতাবাজি চালাবে? সুপ্রিম কোর্টকেও ভাঁওতা দিচ্ছে।”এই তালিকার উপর কোনওভাবে নির্ভর করা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।

    কী কী পদ্ধতিতে দুর্নীতি হয়েছিল?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ (Abhijit Gangopadhyay) বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঠিক কী কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেন, “ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে। একদল পরীক্ষাতেই বসেনি, চাকরি পেয়ে গিয়েছে। লিস্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সুপারিশ করে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে একদলকে। এছাড়া এসএসসি যতজনকে সুপারিশ করেছিল, তার থেকে বেশি লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সব তালিকা এখানে নেই।” তাঁর মতে, অযোগ্যদের সংখ্যা অন্তত পাঁচ থেকে ছ’হাজার (SSC)।

    স্বচ্ছতার সঙ্গে বের হয়নি তালিকা

    তালিকায় ওই দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোন স্কুলে কাজ করত, সেটাও দেওয়া হয়নি। তাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলছেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে স্বচ্ছতার জন্য লিস্ট বের করতে বলেছিল, সেটা হল না। রাজ্য কত রকমের ভাঁওতাবাজি চালাবে? সুপ্রিম কোর্টকেও ভাঁওতা দিচ্ছে।” এই তালিকার উপর কোনওভাবে নির্ভর করা যাবে না বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘আবারও দুর্নীতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, পরীক্ষার সময় ওএমআর সরবরাহ এবং আলাদা সিল কভারে সেগুলি নিয়ে যাওয়ার কাজটা স্কুল সার্ভিস কমিশন ছাড়া অন্য কোনও অথরিটিকে দিয়ে করাতে হবে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকে দেখতে বলেছেন তিনি।

    কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর রায়েই বাতিল হয় ২৬ হাজার চাকরি

    ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানি করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রায়ের ভিত্তিতেই প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে এবং নির্দেশ দেয়, অযোগ্যদের বাদ দিয়ে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে। এই নির্দেশ অনুযায়ীই ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে পরীক্ষা আয়োজন করছে এসএসসি। কিন্তু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই সংস্থা (SSC) আগেও ভরসা রাখতে পারেনি—তাই পরীক্ষার দায়িত্ব এসএসসি-এর হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করছেন।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জীবনকৃষ্ণ তো এজেন্ট, কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গিয়েছে জানেন?’’ শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    Suvendu Adhikari: ‘‘জীবনকৃষ্ণ তো এজেন্ট, কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গিয়েছে জানেন?’’ শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি হেফাজতে তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। বিজেপির অভিযোগ, একাধিক বিধায়কদের দিয়ে তালিকা বানিয়ে তিনি চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন এবং পরে তা তৃণমূলেরই শীর্ষ নেতাদের কাছে গিয়েছে। ঠিক এই দাবিই করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘প্রমাণ’ হিসেবে একটি ছবি (Photo) দেখিয়ে শুভেন্দু জানান, জীবনকৃষ্ণরা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।

    নিশানায় অভিষেক

    ছেলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জীবনকৃষ্ণের বাবা সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। বলেন, জীবন বিধায়ক হওয়ার পরেই বেআইনি উপায়ে অঢেল সম্পত্তি করেছে! কার্যত এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা, ‘‘জীবনকৃষ্ণ আসল নয়।’’ তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, সে টাকা তুলেছে। কিছুটা নিজের কাছে রেখে বাকিটা ভাগাভাগি করেছে। এই প্রেক্ষিতেই একটি ছবি দেখিয়েছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে জীবনকৃষ্ণর সঙ্গে রয়েছেন সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ছবি কথা বলে। আর এটা পুরনো ছবি নয়, ১২ অগাস্টের। সমঝদারো কো ইশারা কাফি হ্যায়।’’

    চাকরি-বিক্রির এজেন্ট

    স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ আগেই মিলেছে। চাকরি-বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করে বিধায়ক হওয়ার পর ‘ঘুষের চাকরি’র নেটওয়ার্ক বানিয়ে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এমনই দাবি করেছে ইডি। বিধায়ক, তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের নামে আর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, তারও খোঁজ চলছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, জীবনকৃষ্ণরা হিমশৈলের চূড়া মাত্র, কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গিয়েছে, ছবিতে সব স্পষ্ট, জীবনের মতো কালেক্টরদের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরা সবাই টাকা তুলে কালীঘাটে পৌঁছে দিত। ইডি সূত্রে দাবি, তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ার আগে চাকরি-বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। বড়ঞার বিধায়ক হওয়ার পর ১০-১২ জনকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেন চাকরি-বিক্রির নেটওয়ার্ক। এই এজেন্টদের দিয়েই ‘ঘুষ দিলে চাকরি’ হবে বলে চাকরিপ্রার্থীদের টোপ দেওয়া হত।সূত্রের দাবি, লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে, অযোগ্য়দের সরকারি চাকরি বিক্রি করেছেন তিনি।

LinkedIn
Share