Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: স্বেচ্ছাবসর চান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত সিট কর্তা, আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই

    SSC Scam: স্বেচ্ছাবসর চান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত সিট কর্তা, আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় গঠিত হয়েছিল সিবিআইয়ের (CBI) সিট। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশেই গঠিত হয়েছিল সিট। এবার সেই সিটেরই সদস্য ধরমবীর সিংহ (Dharambir Singh) চাইলেন স্বেচ্ছাবসর নিতে। ঘটনার জেরে শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। ধরমবীর সিবিআইয়ের এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। তিনিই জানিয়েছেন স্বেচ্ছাবসরের আর্জি। কিন্তু যেহেতু সিট গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া ধরমবীরের এই আবেদনে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয় সিবিআইয়ের। বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিটে কয়েকজন বাঙালি অফিসার রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও এদিন আদালতে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    প্রাথমিক কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলা…

    সিবিআইয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত অধিকর্তা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের সুপারিশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারির (SSC Scam) তদন্তে সিবিআইকে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় উপেন জানিয়েছিলেন, সিট গঠিত হলে সিটের সদস্যরা কেবল এই মামলারই তদন্ত করবেন। তাঁরা অন্য কোনও মামলায় ব্যস্ত হতে পারবেন না। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাহলে প্রধানমন্ত্রীও প্রভাব খাটাতে পারবেন না। উপেন এও জানিয়েছিলেন, এই কেলেঙ্কারির তদন্তে তিনি সিবিআইকে সব রকম সহযোগিতা করবেন। এর পরেই উপেনের সুপারিশ মেনে গঠন করা হয় সিট।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারির দুই মামলায় তদন্তের জন্য একটি সিট গঠন করতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই আদালতকে জানিয়ে দেবে, সিটের সদস্য কারা। প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত চলাকালীন সিটের কোনও সদস্য অন্য কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই মামলা থেকে বেরিয়েও যেতে পারবেন না তাঁরা। আদালতের নজরদারিতে হবে পুরো মামলার তদন্ত (SSC Scam)। তাই ধরমবীর চাইলেই স্বেচ্ছাবসর নিতে পারবেন না। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: স্বস্তিতে জিতেন্দ্র তেওয়ারি! কয়লাকাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ মতো আগেই সিটের সদস্যদের নাম জমা দিয়েছিল সিবিআই। তারা জানিয়েছিল, ছয় আধিকারিককে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছিল, তদন্তকারী দলের মাথায় রয়েছেন এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। একজন পুলিশ সুপার, দুজন ডিএসপি এবং তিনজন ইনস্পেক্টর। তদন্তে কলকাতা শাখার প্রধান রাজীব মিশ্র ও পূর্বাঞ্চলের যুগ্ম অধিকর্তা বেণুগোপাল নজরদারি করবেন বলেও জানিয়েছিল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও কেন গ্রেফতার নয় তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও কেন গ্রেফতার নয় তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবুও তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) একই মামলায় তাঁর ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। কিন্তু তাপস সাহার ক্ষেত্রে সেই তৎপর দেখাচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। প্রথম থেকেই এই অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। এবার একই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    হাইকোর্টের প্রশ্ন

    বৃহস্পতিবার, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। তখন বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘তাপস সাহাকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি? কেনই বা তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না?’ এই মামলায় বিচারপতি আরও বলেন, ১০ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। জমা দিতে হবে কেস ডায়েরিও। তবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আপাতত দেননি বিচারপতি মান্থা। তিনি রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তের মেয়াদ ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছেন।

    তাপস সাহার বিরুদ্ধে মামলা

    স্কুলে (SSC Scam) চাকরি দেওয়ার নামে ২০১৮ সালে ৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তাপস সাহার বিরুদ্ধে মামলা করেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এই ঘটনায় রাজ্যের দুর্নীতি দমনশাখা চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। সেই তালিকায় ছিলেন তাপস সাহা। কিন্তু তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও, তাপস সাহার ক্ষেত্রে এক যাত্রায় পৃথক ফল দেখা যায়। চার্জশিট পেশ করতে না পারায় নিম্ন আদালতে জামিন পেয়ে যান তাপস সাহা। পরে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি হাইকোর্টে মামলা করেন। এই মামলাতে বিচারপতি মান্থার কড়া মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অভিযুক্তরা। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পরই হামলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুজনের, জখম একাধিক কর্মী, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    চাকরি দেওয়ার নাম করে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল লাখ লাখ টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছিল তেহট্ট থানায়। তদন্তে নেমে বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল ও তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে আপ্ত সহায়কের টাকা তোলার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। ইতিমধ্যেই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান সহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। রয়েছেন জেলে। এবার দেখার, তাপস সাহার কী হয়! তবে তিনি আপাতত হাইকোর্টের উপর আস্থা রেখেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাইসা-কর্তা নীলাদ্রি দাসকে নিয়ে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। সিবিআই-এর দাবি, সুবীরেশ-নীলাদ্রি আঁতাঁতেই চলেছিল চাকরি কেনাবেচা। বাঙালি অফিসার নীলাদ্রি দাসকে পেয়ে দুর্নীতির কাজ আরও সহজ হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যের।

    সুবীরেশ-নীলাদ্রি যোগ

    ২০১৪-র জানুয়ারি থেকে ২০১৮-র জুলাই মাস পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সুবীরেশের কার্যকালের মধ্যেই, ২০১৫ সাল থেকে ওএমআর বিকৃতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন নীলাদ্রি। চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা টাকা দিতেন, তাঁদের নাম এসএসসি-র মাধ্যমে জানানো হত নীলাদ্রিকে। নাইসা-র ডিরেক্টর পুনীত কুমার বাঙালি হিসেবে নীলাদ্রি দাসকে এসএসসি-র সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়ায় সুবীরেশের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।

    ধরা পড়েও ছাড়া পান নীলাদ্রি

    চার বছর আগে একবার চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং প্রতারণার মামলায় ধরা পড়েছিলেন নীলাদ্রি দাস। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি। মামলার চার্জশিটেও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। সূত্রের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টে নীলাদ্রির জামিনের বিরোধিতাও করেনি সিআইডি। সিবিআই সূত্রের দাবি, এই তদন্তে প্রয়োজনে সিআইডি আধিকারিকদেরও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, নীলাদ্রির কি পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ মহলেও যোগাযোগ ছিল? না হলে তিনি এত সহজে ছাড় পেলেন কী করে? সুবীরেশের ক্ষেত্রেও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    সিবিআই-এর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষা দফতরের পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত নীলাদ্রি। সুবীরেশের সঙ্গে নীলাদ্রির যোগসূত্রও মিলেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এসএসসি-র যে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় চলছে, সেগুলির বেশির ভাগই ২০১৯ সালের আগে হয়েছে। অর্থাৎ, সিআইডি যখন নীলাদ্রিকে ধরেছিল তখন নিয়োগ দুর্নীতিতে তার সব কাজই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। দুর্নীতির চক্র ঘাঁটতে গিয়েই শিক্ষা দফতর, এসএসসি-র শীর্ষ মহলের যোগসূত্র জানতে পেরেছিল সিআইডি। সেই কারণেই তদন্ত ধীর গতিতে চলে এবং নীলাদ্রিকে ছেড়ে দেওয়া হয়,বলে অনুমান সিবিআই-এর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে কাকলি! প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের এক কর্মীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে কাকলি! প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের এক কর্মীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের কর্মীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। বুধবার সল্টলেকের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালাল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগের কর্মী অর্ণব বসুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। মূলত ওই কর্মী চাকরি চুরি সংক্রান্ত কোনও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত কি না সেটাই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই তল্লাশিতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গিয়েছে কি না সেটা জানা যায়নি। এদিনই কলকাতার ইডি দফতরে পৌঁছন নিয়োগকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের স্ত্রী কাকলি শীল। 

    সিজিও কমপ্লেক্সে কাকলি

    বুধবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন কাকলি। এর আগে গত শনিবারও তিনি ইডি অফিসে গিয়েছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গ্রেফতার সল্টলেকের প্রোমোটার অয়ন শীলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। সূত্ররে খবর, অয়নের স্ত্রী এবং ছেলে দিল্লিতে থাকেন। কাকলি দিল্লি থেকে ফিরেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। তদন্তে নেমে অয়ন শীলের ব্যাঙ্ক লকারের হদিশ পেয়েছে ইডি। লকারে অয়নের সঙ্গে যৌথভাবে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রী কাকলির। এর আগেও কয়েকবার অয়ন পত্নীর সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। অয়ন শীলের ছেলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    ইডি সূত্রে খবর, অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের দ্বিতীয় ডিরেক্টর কাকলি শীল। কাকলি যদিও এর আগে দাবি করেছিলেন, স্বামীর ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। একই সঙ্গে স্বামীর প্রযোজিত সিনেমায় তাঁর স্বামীর ‘ঘনিষ্ঠ’ শ্বেতা চক্রবর্তীর অভিনয় নিয়েও তিনি অনেক পরে জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেন কাকলি। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর এবং কাকলির নামে দু’টি যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। পাশাপাশি কাকলির নামে দু’টি আলাদা অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ফের সিবিআই হেফাজতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা

    SSC Scam: ফের সিবিআই হেফাজতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে জেলবন্দি এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ফের নিজেদের হেফাজতে পেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত এই আবেদন মঞ্জুর  করে। ২৭ মার্চ পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদের ঠাঁই হল সিবিআই হেফাজত।

    সুপারিশপত্রে হাতের লেখা শান্তিপ্রসাদের  

    এর আগে ধৃত এজেন্ট আব্দুল খালেকের কাছে একটি সুপারিশপত্র পাওয়া গিয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, সেই হাতের লেখা শান্তিপ্রসাদের। কিন্তু কেন তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন গত শুনানিতে সিবিআইকে করে আদালত। তার পরেই হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা এবং তদন্তে আরও কিছু সূত্র বেরিয়ে আসার যুক্তিতে শান্তিপ্রসাদকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারীরা।

    কী বলছেন সিবিআই-এর আইনজীবী

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে গত ১৭ এবং ১৯ মার্চ প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরাও করেছেন তদন্তকারীরা। এর আগে দু’বার শান্তিপ্রসাদকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। আর কত বার?’ যদিও সিবিআই কৌঁসুলি দাবি করেন, ‘এই মামলায় অনেকগুলি নতুন সূত্র সামনে এসেছে। যে কারণে হেফাজতে রেখে জেরা করা দরকার।

    শান্তিপ্রসাদের অনুযোগ 

    এ দিকে সিবিআই সূত্রের খবর, শান্তিপ্রসাদ এ দিন এক তদন্তকারীর কাছে অনুযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে কুভাষা ব্যবহার করেন তদন্তকারীরা।’ সিবিআইয়ের সেই অফিসার শান্তিপ্রসাদকে আশ্বস্ত করেন, এমনটা আর হবে না। একই সঙ্গে খানিকটা হাল্কা চালে বলেন, ক্যান্টিনের ভালো খাবার, পানমশলা দেওয়া হবে। তা শুনে হেসে ফেলেন শান্তিপ্রসাদ।

    গ্রেফতার ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক সংস্থার আধিকারিক

    এদিকে, ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক সংস্থার সিইও নীলাদ্রি দাসকে গ্রেফতার করল সিবিআই। শুক্রবার টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গাজিয়াবাদের নাইসা সংস্থার ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআইয়ের সূত্রে দাবি, গ্রুপ-সির ৩৪৮১ টি, গ্রুপ-ডির ২৮২৩ টি, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৫২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯০৭টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগা-পাতলা চেহারা। দেখতে সুন্দর। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। চাকরি করতেন কামারহাটি পুরসভায়। সঙ্গে ছিল মডেলিংয়ের নেশা। ধীর গতিতে চলছিল জীবন। কিন্তু হঠাতই ছক ভাঙা জীবনের বাইরে গিয়ে তরতরিয়ে উঠতে শুরু করে নৈহাটির সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে শ্বেতা চক্রবর্তীর কেরিয়ার গ্রাফ। কিন্তু কী করে? প্রশ্ন উঠছিল শ্বেতার চেনা-বৃত্তে। কিন্তু কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বেন শ্বেতা তা ভাবতে পারেনি নৈহাটির ৭/ডি বিজয়নগর জেলেপাড়ার বাসিন্দারা। 

    অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা শ্বেতার

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অয়ন শীলের (Ayan Shil) গ্রেফতারির পরই উঠে এসেছে শ্বেতার নাম, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে যাঁর অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। ধৃত অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। ২০১৫ সালের আগে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন শ্বেতা। ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত কারণে ট্রান্সফার নিয়ে বলাগড়ের নিত্যানন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে যোগ দেন তিনি। অন্যদিকে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতেরই কার্যনির্বাহী সহায়ক ছিলেন অয়ন শীল। সূত্রের খবর, সেই সময় থেকেই অয়ন-শ্বেতার পরিচয়। কিন্তু,পরবর্তীকালে দুজনেই চাকরি ছেড়ে দেন। 

    গাড়ি কিনতেও অয়নের সাহায্য 

    ইডি সূত্রের খবর, নৈহাটির বাড়ি ছেড়ে ২ বছর ধরে অয়নের ভাগ্নির পরিচয়ে কামারহাটির রথতলায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতেন শ্বেতা। তাঁকে গাড়ি কিনতেও সাহায্য করেছিলেন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের ঠিকানা থেকে পাওয়া একটা নথিতে শ্বেতাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানোর উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে কামারহাটি পুরসভায় সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করেন শ্বেতা। নিয়মিত অফিসও করতেন তিনি কিন্তু নিয়োগ তদন্তে অয়নের নাম উঠে আসার পর গত কয়েকদিন ধরে তিনি পুরসভায় আসছিলেন না। একাধিক সূত্রের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার প্রভাবশালী এক প্রবীণ বিধায়কের সঙ্গে অয়নের মধুর সম্পর্ক থাকার সুবাদেই কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান শ্বেতা।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    টলিউডে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও ঢেলেছিলেন অয়ন শীল। বান্ধবী শ্বেতাকে সিনেমায় নামাতে নিজের প্রোডাকশন হাউসও খোলেন তিনি। শ্বেতা একাধারে কামারহাটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন আবার পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। সূত্রের খবর ২০১৭ সালে অয়নের স্ত্রীর মাধ্যমেই শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অয়নের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করতেন শ্বেতা। অয়নের প্রোডাকশন হাউসের প্রোযোজনায় নির্মিত ছবি ‘কবাডি কবাডি’তেই ডেবিউ করেছিলেন তিনি। ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা। ছবির পরিচালনায় ছিলেন কৌশিক গাঙ্গুলী। যদিও ছবির কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। বড় পর্দায় দেখা না গেলেও বহু শর্ট ফিল্ম ও মডেলিং প্রজেক্টে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    SSC Scam: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। দ্রুত তালিকা প্রকাশের দাবিতে আজ আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীদের এসএসসি ভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল এসএসসি ভবন প্রাঙ্গণে।  একের পর এক চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করেছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বলতে গেলে গোটা শিক্ষা দফতর এখন জেলে। এর মধ্যেই নিয়োগের দাবিতে সরব হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের এই অভিযান ঘিরে সপ্তাহের মাঝে উত্তাল হল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ চত্বর।

    পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় চাকরিপ্রার্থীদের

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানের অনুমতি নেই জানিয়ে বাধা দেয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। এসএসসি ভবনের দিকে আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা অগ্রসর হতেই ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে। বহু চাকরি প্রার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রোর আশপাশের এলাকায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব চাকরিপ্রার্থীরা মেধাতালিকা প্রকাশ করে দ্রুত নিয়োগের দাবি করেছেন।

    ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট হয়েছিল এই পরীক্ষা

    ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি আপার প্রাইমারিতে নিয়োগের জন্য অফলাইনে বিজ্ঞপ্তি দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট। মোট শূন্যপদ ছিল ১৪ হাজার ৩৩৯। এর পর ফল প্রকাশ হয় এবং ইন্টারভিউ হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু চূড়ান্ত মেধাতালিকা এসএসসি প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ। মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপার প্রাইমারির নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে মেধাতালিকা আদালতে জমা করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু অভিযোগ, ওই সময়সীমার মধ্যে মেধাতালিকা জমা দেয়নি এসএসসি। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ফের মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাতেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতেই বুধবার এসএসসি ভবন অভিযানে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নতুন করে এফআইআর করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওই বছর প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) প্রমাণ পাওয়ায় এ নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য গত ২ মার্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক এফআইআর করারও অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালত সেই নির্দেশ দেওয়ার পরে শনিবার, ১৮ তারিখ এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।

    নয়া অভিযোগ

    নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) নেপথ্যে থাকা অনেক মাথাই এখনও আড়ালে রয়ে গিয়েছে আশঙ্কা করে সিবিআইকে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২ মার্চ ওই শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, সিবিআইয়ের সঙ্গে ইডিও এই মামলার তদন্ত করবে। তাদের ২০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার ১৮ মার্চ এই সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এফআইআরে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাত পরিচয় কিছু কর্মী এবং কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    সিবিআই-এর এফআইআর-এ নামোল্লেখ না করে নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, তথ্য-বিকৃতি, অপরাধের জন্য সরকারি নথি জাল-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২০২০-র বেআইনি নিয়োগের নেপথ্যে অন্যতম প্রধান চক্রী হিসেবে আদালত চিহ্নিত করেছে এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে। ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল ওই কোম্পানি। তাঁদের দেখা উত্তরপত্রে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি সিবিআইকে বলেছিলেন, কী ভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এই সংস্থাকে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সমস্ত বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় আদলত। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: রিসর্টের মালিক কে? নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী আকাশকে প্রশ্ন ইডির

    SSC Scam: রিসর্টের মালিক কে? নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী আকাশকে প্রশ্ন ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। শনিবার সকালে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে বলাগড়ের রিসর্টে নিয়ে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকেরা। খাতায়কলমে বলাগড়ের চাঁদড়া বটতলা এলাকার ওই রিসর্টের মালিক  তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই রিসর্টের মালিক আকাশ হলেও, আদতে ওই রিসর্টের মালিক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর নাম জড়ানোর পর থেকেই নামে-বেনামে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর একাধিক সম্পত্তির হদিস মিলেছে। ইডির দাবি, একাধিক বাড়ি, রেস্তরাঁ, বিলাসবহুল বাগানবাড়ির মালিক এই শান্তনু। 

    বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে জমি কব্জা

    বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বন্দুক দেখিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা। শনিবার বলাগড়সহ হুগলিতে শান্তনুর একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চলে শান্তনুর বলাগড়ের রিসর্টেও। স্থানীয় ২ ব্যক্তির দাবি, ওই জমি মাথায় বন্দুক ধরে বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল শান্তনুর পোষা গুন্ডারা। জমি হারানো এক ব্যক্তি দাবি করেন,”বছর খানেক আগে জমি বিক্রির জন্য শান্তনু আমাকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আমি জমি বিক্রি করতে রাজি ছিলাম না। জমি বিক্রির জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে শান্তনুর পোষা গুন্ডারা। আমাকে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। চাপের মুখে জলের দড়ে আড়াই বিঘা জমি বিক্রি করতে বাধ্য হই।”

    ১০০ দিনের কাজের আওতায় পাঁচিল তৈরি

    ১০০ দিনের সরকারি কাজের নাম করে গ্রামবাসীদের দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিয়েছেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই অভিযোগ তুলছেন এলাকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগ, বলাগড়ে শান্তনুর যে রিসর্ট রয়েছে, তার চারপাশে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে বেশ কিছু জমি। ১০০ দিনের কাজের টাকাতেই সেই কাজ করানো হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কারও কারও অভিযোগ, শান্তনুর রিসর্টের কাজ করেও তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাননি।

    আরও পড়ুুন: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    রিসর্টের মালিকানা ঘিরে জল্পনা

    বলাগড়ে ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট তৈরি করে শান্তনু। মোটা টাকা বিনিয়োগ করেই যে এই ঝাঁ চকচকে রিসর্টটি তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই গোয়েন্দাদের। সংশয় রয়েছে ওই রিসর্টের মালিকানা নিয়ে। কাগজে কলমে ওই রিসর্টটির মালিক শান্তনুর ছায়াসঙ্গী সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। বলাগড়ের জিরাট কলেজের কর্মী তিনি। তবে কাগজে তাঁর নাম থাকলেও আদপে রিসর্টটি শান্তনুর এমনই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। আকাশ এলাকায় শান্তনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ইডির সন্দেহ, রিসর্ট নিয়ে আকাশ অনেক কিছু জানেন। এমনকী শান্তনুর সঙ্গে আকাশের নিয়মিত আর্থিক লেনদেনও হত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এসএসসির চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High Court)। আগামী শুক্রবার রিপোর্ট নিয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি। এদিন ২০১১ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ ঘিরে একটি মামলায় কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, “আদালতের সঙ্গে খেলবেন না। আপনারা নিয়োগ করছেন,আবার আপনারাই ভুল প্রশ্ন করছেন? সব পরিকল্পিত। বলতে দ্বিধা নেই, একটা গোটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে কমিশন।”

    কোন মামলায় এমন মন্তব্য বিচারপতির?

    ২০১১ সালের আপার প্রাইমারি প্রার্থীদের পরীক্ষায় ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন করেছিল এসএসসি (SSC)। এমনটাই অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন ৮৩ জন। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court। কিন্তু কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সেই নম্বর না দেওয়ায় এসএসসি-কে চরম ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    আর কী বললেন বিচারপতি?

    এদিন তিনি (Calcutta High Court হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। আপনাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আমি সব নিয়োগে সন্দেহ করছি। আমাকে বাধ্য করবেন না আরও কড়া পদক্ষেপ করতে। আপনারা ভেবেছেন কী? আপনারা কোর্টের নির্দেশের উপরে খবরদারি করছেন! আগেও এই মামলায় আমি বলেছিলাম, দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু আজও দেখছি সেই একই পথে হাঁটছে এসএসসি।”

    ভর্ৎসনার শেষে এদিন আদালত (Calcutta High Court স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানায়, এই মামলায় এসএসসি-র চেয়ারম্যান যে হলফনামা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এরপরেই  আগামী শুক্রবার, ২৪ মার্চ রিপোর্ট নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share