Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি! জানেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর কী কী বলল ইডি?

    SSC Scam: ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি! জানেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর কী কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় টাকার অঙ্ক ৩৫০ কোটি ছুঁয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত তৃণমূলের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন আদালতে ইডি জানায়, ১০০, ২০০ নয়, রাজ্যে স্কুলে নিয়োগে ৩৫০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, দুর্নীতির টাকার অঙ্ক ক্রমেই বেড়ে চলছে। ১১১ কোটি টাকা থেকে তা পৌঁছে গিয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়। এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়।’ 

    ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়,আগে মনে হয়েছিল ১১১ কোটির দুর্নীতি, এখন মনে হচ্ছে ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি (SSC Scam)। কুন্তলের কাছ থেকে নগদে ১ কোটিরও বেশি টাকা পেয়েছিলেন শান্তনু। এদিন ইডির তরফে বলা হয়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২টি ফোন পাওয়া গেছে, তা আসলে সোনার খনি, খতিয়ে দেখতে হবে। আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত রয়েছে এই কেসে। কেস ডায়েরিতে সব স্পষ্ট  করা হবে। এদিন শান্তনুকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য সওয়াল করে ইডি। তারা জানায়, বিপুল সম্পত্তির মালিক শান্তনু । তার উৎস জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে । শান্তনুর দুটি মোবাইল ফোন ভর্তি রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায়। অ্যাডমিট কার্ড, রোল নম্বর বিভিন্ন তথ্য রয়েছে শান্তনুর ফোনে। হেফাজতে রেখে তার থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চায় ইডি। এদিন শান্তনুর জামিনের আবেদন খারিজ করে,তাঁকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    সব দায় কুন্তলের

    প্রসঙ্গত, এদিন নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) দায় কুন্তলের উপরেই চাপিয়ে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন শান্তনু।  তাঁর দাবি, নিয়োগ মামলায় মূল পাণ্ডা কুন্তল ঘোষ। মামলা এগোলে প্রমাণ হয়ে যাবে যে তিনি নির্দোষ।  তিনি বলেন, ‘কুন্তল টাকা পাচার করেছে অন্য রাজ্যে। কুন্তল এজেন্টদের ভয় দেখাচ্ছে, অন্য রাজ্যে টাকা পাঠাচ্ছে ওর লোকজন কয়েকশো এজেন্টের থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে কুন্তল। কারও নির্দেশে টাকা দেওয়া হয়নি, মিথ্যা কথা বলছে কুন্তল। আমি কোনও কিছুতে জড়িত নই, আগামীদিনে প্রমাণ হবে। আমার সব লিগাল, আগামীদিনে প্রমাণ হবে’। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের তালিকায় প্রকট হচ্ছে তৃণমূল-যোগ, কারা তাঁরা?

    Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের তালিকায় প্রকট হচ্ছে তৃণমূল-যোগ, কারা তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস থেকে লাগাতার নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ সামনে আসায় মুখ পুড়েছে রাজ্যের। শুক্রবার গ্ৰুপ সি-র চাকরি বাতিলের তালিকা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। কারণ এই ৮৪২ জনের বাতিল হওয়া তালিকায় জ্বলজ্বল করছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শাসক দলের একের পর এক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে তাঁদের পরিবারের সদস্যের নাম। কারা নেই সেখানে, রাজ্যের মন্ত্রীর ভাই থেকে তৃণমূল নেতার স্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়কের মেয়ে, জামাই, ভাইঝি ইত্যাদি।

    কোন জায়গায় শাসকদলের কোন কোন পরিজনরা চাকরি হারালেন…

    মিনাখা

    সূত্রের খবর, গ্রুপ সি-র চাকরি পেয়েছিলেন মিনাখার তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের মেয়ে বিনতা মণ্ডল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার তাঁর চাকরি গেল। ওএমআর শিটে ৬০টি প্রশ্নের মধ্যে ৫৮টির জবাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ওই ৫৮টির মধ্যে মাত্র চারটি ঠিক উত্তর ছিল, বাকি সব ভুল। বেলঘরিয়া নন্দননগর আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের গ্রুপ সি-র কর্মী ছিলেন বিনতা। আরও জানা গিয়েছে, ডিএ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি স্কুলেও গিয়েছিলেন বিনতা (Recruitment Scam) ।

    উত্তর দিনাজপুর

    ভুয়ো চাকরির তালিকায় এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শচীন সিংহ রায়ের ভাইপো ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বসন্ত রায়ের ছেলের নাম উঠে এসেছে। কালিয়াগঞ্জ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শচীন সিংহ রায়। পার্শ্ববর্তী বাড়ি তাঁর দাদা প্রয়াত তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহ রায়। অর্জুন সিংহ রায়ের পুত্রই হলেন শুভাশিস সিংহ রায়। তবে শচীন তাঁর ভাইপোর এই চাকরি হারানোর বিষয়ে কোন দায় নিতে চাননি।

    অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বসন্ত রায়ের ছেলে অলোক কুমার রায়। অলোক গ্রুপ সি পদে আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী হাই স্কুলে কাজ করেছিলেন। তবে বসন্ত রায়ের কথায়, “চাকরি নিয়ে কেস হতে পারে শুনে ছয় মাস আগেই চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে এসেছে আমার ছেলে।  ওই জঙ্গলের মধ্যে ছেলের মন টিকছিল না।”

    আবার ইটাহারের ছয়ঘড়া হাইস্কুলের গ্রুপ সি পদে কর্মরত ছিলেন সামসুর রহমান। তিনি হেমতাবাদ ব্লকের যুব তৃণমূল সহ সভাপতি এবং হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। ফলে সামসুরও চাকরি হারিয়েছেন (Recruitment Scam) ।

    হুগলি

    হুগলির ধনিয়াখালী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্পিতা বারিকের কন্যা রণিতা বারিক। অন্যদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ধনিয়াখালী বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের বোনঝি রণিত বারিক। রণিতার নামও রয়েছে এই তালিকায়।

    দুর্গাপুর

    দুর্গাপুরের আইএনটিটিইউসির-সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণব মুখোপাধ্যায়। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ-সির চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল সে। এরপর দুর্গাপুর প্রোজেক্টস্ টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে চাকরি পায় সে। ছেলের চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে সমীরবাবুকে প্রশ্ন করা হলে উল্টে তিনি বলেন, “আমি কখনোই চাইনি আমার ছেলে এই চাকরি করুক।” আবার চাকরি হারানো নিয়ে শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সমীরবাবু। তিনি বলেন, “দল করাটাই এতদিন ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শিক্ষা দফতর তো সব দেখে শুনেই চাকরি দিয়েছিল। আজ সরকার এদের পাশে দাঁড়াবে না? বেকার ছেলেমেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করা হল এই সরকারের আমলে (Recruitment Scam) ।”

    আমতা

    এবারে আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে আমতার পঞ্চায়েত প্রধানের। জানা গিয়েছে, আমতা বিধানসভার সাবসীট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন শেখ সাদ্দাম হোসেন। তাঁর নামও ছিল এই তালিকায়।

    মালদা

    হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গেল মালদহের তৃণমূল নেতার দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে মাম্পি দাস, শম্পা দাস এবং জামাই বিপ্লব দাসের চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের রায়ে (Recruitment Scam)।

  • SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জেরে গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হলো। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানাল এসএসসি। শনিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ওই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দুপুর ৩ টের মধ্যে নিয়োগপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। 

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই নিয়োগ

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই ‘গ্রুপ সি’-তে চাকরি করছেন ৫৭ জন। শুক্রবার এই তথ্য পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন এটাও কি শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার কাজ? যাঁরা বেআইনিভাবে কাজ করছেন তাঁদের নিয়োগ (SSC Scam) বাতিলের নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী তাঁরা যেন শনিবার থেকে স্কুলে ঢুকতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশের পরই তৎপর হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রথম দফায় ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ৮৪২ জন গ্রুপ সি (Group C) কর্মীর চাকরি বাতিলের (SSC Scam) নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ৮৪২ জনের মধ্যে ৭৮৫ জনের কাছে এসএসসির সুপারিশপত্র এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র আছে। তাই প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওই সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা এবং পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। অপর ৫৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কমিশনের সুপারিশ ছাড়াই চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যে হেতু এসএসসি সুপারিশপত্র দেয়নি, তাই ওই ৫৭ জনের চাকরি কলকাতা হাই কোর্ট বাতিল করেছে, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিক এসএসসি। সেই নির্দেশ মতোই কাজ করে এসএসসি। ওই ৫৭ জন কারা, তাঁদের নাম কী, রোল নম্বর কী ছিল, এখন তাঁরা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন, তার তথ্য তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের রঙিন জীবনযাপন করতেন। টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে ছিল তাঁর ওঠা-বসা। ইডি সূত্রে খবর, টলিউডের একাধিক উঠতি অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। ই এম বাইপাসের ধারে একটি অভিজাত ফ্ল্যাটেই এই উঠতি মডেলদের নিয়ে রীতিমতো জমাটি পার্টির আয়োজন করতেন কুন্তল। চলত হুল্লোড়, মদ্যপান থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবনও, দাবি ইডির।

    মাদক কারবারিদের সঙ্গেও পরিচয়

    ইডি সূত্রে খবর, ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক অভিজাত আবাসনে তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই বসত ‘রেভ পার্টি’র আসর। নায়ক–নায়িকা থেকে উঠতি মডেল ওখানে আসতেন। রাতভর চলত হুল্লোড় থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবন। এমনকী ওই পার্টিতে নিয়মিত দেখা যেত দুই ড্রাগ কারবারিকে। তারা সেখানে নিষিদ্ধ মাদক সরবরাহ করত বলে তথ্য পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকরা। টলিউডের আরও ৬ জন অভিনেতা–অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল কুন্তলের। হয়েছে আর্থিক লেনদেনও, (SSC Scam) এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। যুবনেতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সন্তানদের জন্মদিনের পার্টিতে হাজির থেকেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

    গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকার লেনদেন

    কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিতে অভিনয় জগতের গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন ইডি অফিসাররা। আবার সোমার পার্লারের উদ্বোধনের জন‌্য বনি সেনগুপ্তর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ‌্যায়কে বলা হয়েছিল। ‘পারিশ্রমিক’ নিয়েই কুন্তলের কথায় কৌশানী নিউটাউনে গিয়ে ওই পার্লার উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, কুন্তল প্রসঙ্গে সোমা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে কুন্তলের ২০১৮ সালের পর থেকে যোগাযোগ ছিল না। ব্যবসার জন্য কিছু অর্থ তিনি কুন্তলের থেকে ধার নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন সোমা। তাঁর কথায়, এই টাকা তিনি ফেরত দেননি এবং কুন্তলও কখনও তা ফেরত চাননি।  ইডি সূত্রের দাবি, দুনীর্তিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ এবং এই সোমা চক্রবর্তীর মধ্যে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত নথিও হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে শুক্রবার ইডি দফতরে আরও এক বার ডেকে পাঠানো হয়েছিল সোমাকে। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল তাঁর ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    সোমা-কুন্তল সম্পর্ক

    সোমার সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় হয়েছিল শহরের একটি অভিজাত ক্লাবে। সেটা ২০১৫ সাল। তার পর থেকে একাধিক বার কুন্তল এবং সোমাকে বিভিন্ন ক্লাবে, পাবে একসাথে দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই নাকি ব্যবসার জন্য সোমাকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির প্রশ্নোত্তর পর্বে অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন সোমা।  তবে ইডির দাবি, সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা আসার পর তা অন্য বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। কেন সরানো হয়েছিল ওই টাকা? ইডি কর্তারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরানোর জন্য একের পর এক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আর কোন কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে এই টাকা, কোথায় কোথায় হয়েছে লেনদেন। সে সমস্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সোমাকে তাঁর অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত আরও তথ্য নিয়ে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: গ্রুপ সি-তে সুুপারিশ ছাড়াই চাকরি! বিচারপতির নির্দেশে তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র

    Justice Abhijit Ganguly: গ্রুপ সি-তে সুুপারিশ ছাড়াই চাকরি! বিচারপতির নির্দেশে তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ সি-তে সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এরপরেই শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly ) নির্দেশ দেন ২ ঘণ্টার মধ্যে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC)। সেই নির্দেশের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি।

    কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ পত্র ছাড়াই গ্রুপ সি তে চাকরি করছেন ৫৭ জন! এ কথা জেনেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly )। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন,  “এই ৫৭ জন কী করে চাকরি পেল? এদের সুপারিশপত্র কে দিয়েছে? শান্তিপ্রসাদ সিনহা?” এর পরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, বিকাল ৩ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে ওয়েবসাইটে এই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আর সেই মত সময়ের অনেক আগেই এসএসসি প্রকাশ করে তালিকা।

    ওই ৫৭ জন কারা, তাঁদের নাম কী, রোল নম্বর কী ছিল। এখন তাঁরা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন। তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসএসসি-র ওয়েবসাইটে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ৫৭ জনের কাছে কমিশনের সুপারিশপত্র নেই। কিন্তু নিয়োগপত্র রয়েছে।

    আরও পড়ুন:১২ মার্চ পানিপথে বসছে আরএসএস-এর প্রতিনিধি বৈঠক! কী কী আলোচনা হবে?

    প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে চাকরির জন্য সুপারিশ দেয় কমিশন। তার ভিত্তিতেই নিয়োগ করা হয়। শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মী সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই লাগে কমিশনের সুপারিশ। অভিযোগ, ২০১৬ সালের গ্রুপ সি পদে নিয়োগে আরএসএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। ফলে এবারে তাদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ৫৭ জনের চাকরির ভবিষ্যৎ কী?

    সূত্রের খবর, তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই এই মামলার ফের শুনানি হবে। আজ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজই দুপুর সাড়ে তিনটের পর। তারপরেই বোঝা যাবে এই ৫৭ জনের চাকরি থাকবে নাকি বাতিলের নির্দেশ দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SSC Scam: ইভেন্টে আলাপ, কুন্তলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই! দাবি অভিনেত্রী কৌশানীর

    SSC Scam: ইভেন্টে আলাপ, কুন্তলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই! দাবি অভিনেত্রী কৌশানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে টলিউড যোগ নতুন নয়। এবার নাম জড়িয়েছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের। সঙ্গে তাঁর বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Kaushani Mukherjee)। অর্পিতা, হৈমন্তীর পর এবার কৌশানী? প্রশ্ন অনেকের মনেই। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরে কৌশানী এদিন বলেন, ‘কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। একটা ইভেন্ট করেছিলাম, টাকা পেয়েছি, গল্প শেষ।’ একুশের ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে কৌশানী তৃণমূলের টিকিটে লড়েছিলেন। 

    কুন্তল-বনি যোগ

    সম্প্রতি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছে ইডি। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে তলবও করা হয় অভিনেতাকে। হাজিরাও দেন বনি। তিনি জানান, কুন্তল তাঁকে একটি ল্যান্ড রোভার ডিসকভারি গাড়ি দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। সেই সঙ্গে বনি এও বলেন, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতেই ওই গাড়ি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। বদলে কিছু ইভেন্টে তিনি কাজ করে দিয়েছিলেন। বনির বান্ধবী কৌশানীকে নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কুন্তলের সঙ্গে অভিনেত্রীর যোগাযোগ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়।

    কৌশানীর দাবি

    প্রসঙ্গ না এড়িয়ে কৌশানী বলেন, “আমি কুন্তলকে বনির মাধ্যমে চিনেছি। একটা ইভেন্ট করেছি। ব্যস। ফিনিশ। আমি কুন্তলের সঙ্গে কোনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে নেই যে ওঁর সম্বন্ধে জানতে যাব।” কৌশানী এও বলেন, বনির পেশাদার জীবনের যাবতীয় কিছু দেখাশোনা করেন ওঁর মা। তাই তিনি এসবের কিচ্ছু জানেন না। অভিনেত্রীর কথায়, ‘বনির প্রফেশনাল দিকটা ওঁর মা দেখেন। বাবা, মা আর বনি মিলে সবটা সামলান। আমি ওঁর অভিভাবক নই যে এটা কোরো না, ওটা কোরো না নির্দেশ দেব।’বনির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও তা হাটের মাঝে তিনি কখনও নামিয়ে আনেন না বলে জানিয়েছেন কৌশানী। তাঁর কথায়, ‘বনির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক চার দেওয়ালের মধ্যে। সেটাকে আমি কখনও বাইরে আনি না।’

    আরও পড়ুন: বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছে! অভিনেতা সম্পর্কে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    বনিকে গাড়ি নিয়ে কখনও জিজ্ঞেস করেননি তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে কৌশানীর দাবি, ‘বনি এত সফল একজন অভিনেতা। তিনি একটা গাড়ি কিনতে পারেন না? এটা নিয়ে কি সন্দেহ হওয়ার কথা?’ তবে কৌশানী বিষয়টিকে যতই সহজ করে দেখানোর চেষ্টা করুন না কেন ইডির প্রশ্ন বন্ধু এত দামি গাড়ি কিনলেন, তার বিষয়ে কিছুই জানতে চাইলেন না কৌশানী? সেটা বিশ্বাস করতে একটু হলেও খটকা লাগছে তদন্তকারীদের।  সঙ্গে আরও একটি তথ্য। বনির ‘বিশেষ বন্ধু’ কৌশানীও কুন্তল-ঘনিষ্ঠ সোমা চক্রবর্তীর নখ সাজানোর পার্লারের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে তবে কি নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কৌশানীরও। নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে এই সোমার অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে। সল্টলেকে সোমার একটি নেল পার্লার আছে। তবে সোমার ব্যাপারে কৌশানীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সোমা চক্রবর্তী নামটাই শুনছি এই প্রথম। ওঁর পার্লারের হয়ে মডেলিং করার কথা তো মনেই পড়ছে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bonny Sengupta: কুন্তলের টাকায় দামী গাড়ি কিনেছিলেন! ইডিকে কী বললেন টলি অভিনেতা বনি?

    Bonny Sengupta: কুন্তলের টাকায় দামী গাড়ি কিনেছিলেন! ইডিকে কী বললেন টলি অভিনেতা বনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে যুক্ত হয়েছে টলিউডের অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta) নাম। তবে এখানেই শেষ নয়, এর পরই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এল প্রকাশ্যে। অভিযোগ, বনিকে নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই হয়েছিল সেই লেনদেন। আজ ইডি দফতরে জেরার মাঝে বিরতির সময়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে খোদ বনি স্বীকার করে বলেন, “উনি (কুন্তল) আমাকে একবারই (টাকা) দিয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে একটি গাড়ি কিনেছিলাম আমি। উনি আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।” কত টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল? প্রশ্ন করা হলে ও তাঁকে ৩৫- ৪০ লক্ষ টাকা বলাতে তিনি বলেন, “ওই রকমই।”

    কুন্তল ও বনির মধ্যে টাকার লেনদেন!

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta) শুক্রবার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু একদিন আগেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান তিনি। এর পর দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরার পর দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলাকালীন তিনি বাইরে বেরোন। সেখানেই উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, “২০১৭ সালে আমার কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আলাপ হয়। কিছু ইভেন্ট এবং অনুষ্ঠানের জন্য অর্গানাইজার মারফত পরিচয় হয় তাঁর সঙ্গে। আমি ওনার জন্য ২২ থেকে ২৫টি ইভেন্ট করেছিলাম। সেই বাবদ পারিশ্রমিক হিসেবে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা নিই।” তিনি বলে দেন, “যে টাকা নিয়েছি, তার সমস্ত কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি দিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া যে অর্থ নিয়েছি, তার বদলে কাজও করেছি। তাই ওই টাকাকে আমার পারিশ্রমিকই বলা যেতে পারে।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন কুন্তলের থেকে সেই টাকা ব্যাঙ্কেই নিয়েছিলেন ও যেই গাড়িটি কিনেছিলেন ওই টাকায়, সেটি বিক্রিও করে দিয়েছেন বনি।

    বনি (Bonny Sengupta) আরও জানান, কুন্তল পরে টলিউডে সিনেমা প্রযোজনা করবেন বলে জানালে, তাতে অভিনয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বনি। যদিও তিনি জানিয়েছেন, পরে সেই ছবি প্রযোজনার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন কুন্তল।

    আরও পড়ুন: বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছে! অভিনেতা সম্পর্কে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    প্রশ্নের মুখে বনি-কৌশানির প্রোডাকশন হাউজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নতুন প্রোডাকশন হাউস বিকে এন্টারটেইনমেন্ট খুলেছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) এবং তাঁর বান্ধবী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বনির কাছে ইডি-র তলব আসার পর থেকেই সেই প্রোডাকশন সংস্থা নিয়ে টলিউডের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। এদিন এবিষয়ে বনিকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালেই শেষ বার তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল কুন্তলের। তার পরে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। এছাড়াও প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে যে, নিয়ো দুর্নীতির টাকা কি টলিউডেও ব্যবহার করা হয়েছে?

    এদিন বনি (Bonny Sengupta) বিরতির সময়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন। ফলে বিরতি শেষ হলে আবার সিজিও কমপ্লেক্সেই ফিরে যান ও ইডির মুখোমুখি হন। তবে আজকের জেরা শেষে পরে তাঁকে আবার আসতে বলা হবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়াল টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta)। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তবে তলবের একদিন আগেই হাজিরা দিলেন তিনি। তলব করা হয়েছিল শুক্রবার। তার একদিন আগেই ইডির দফতরে হাজির হলেন বাংলা সিনেমার অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই তিনি পৌঁছলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে। আর বনির প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাফ জানালেন, ভোটের সময় বিজেপিতে এসেছিলেন বনি সেনগুপ্ত। গত দুবছর পার্টির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। তিনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকেই এটা দেখতে হবে। এরসঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।

    কী সম্পর্ক রয়েছে বিজেপির সঙ্গে বনির?

    ২০২১-এ রাজ্যের ‘হাই ভোল্টেজ’ বিধানসভা নির্বাচনের আগে টলিপাড়ার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে নিয়ে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। মা পিয়া সেনগুপ্ত তৃণমূলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বনি। উল্লেখ্য, ২০২১-এ বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনি, দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন ২০২২-সালেই। তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি, তাই এক বছরেই মোহভঙ্গ। এবারে বিজেপির সঙ্গে অভিনেতার আর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) ।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলবের একদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা

    বিরোধী দলনেতা কী বললেন?

    এদিন যখন সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও গিয়েছেন বনি, অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সংবাদমাধ্যমে বনিকে নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “বনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে তাকেই ব্যক্তিগতভাবে তার জবাব দিতে হবে। বিজেপি এইসব ‘অ্যালাউ’ করে না। ভোটের সময় ওরকম অনেক তারকারাই দলে যোগ দেন। ২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই।”

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দেওয়া নথিতে বনি সেনগুপ্তের নামও রয়েছে। সে বিষয় নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে বনিকে ডেকে পাঠিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বনির কয়েকজন এজেন্টকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি গেল আরও ১৫৭ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষকের! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসির

    SSC Scam: চাকরি গেল আরও ১৫৭ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষকের! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় চাকরি গেল আরও ১৫৭ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষকের। প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি গিয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে অবৈধ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের চাকরি যাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পদক্ষেপ

    শুক্রবার রাতে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক ‘অবৈধ’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (SSC Scam) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের ভিত্তিতেই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ উঠেছিল। ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত, সাদা খাতা দিয়েও সার্ভারে কারও নম্বর ছিল ৫০, কারও ৫৩। ৯৫২জনের মধ্যে চাকরি বাতিল হতে চলেছে ৮০৫ জনের, প্রথম ধাপে চাকরি গিয়েছিল ৬১৮ জনের। এবার আরও ১৫৭ জনের চাকরি গেল।

    ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ (SSC Scam) নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। ছিল ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগও। মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আদালতে কমিশন জানায়, ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বিকৃতি করে বেনিয়মে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জন চাকরি করছেন। তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৮০৫ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। এমনকী বেতন বন্ধ করতে বলেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই ধাপে ধাপে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে। দুই দফা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৭৭৫ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করল কমিশন। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    চাকরি বাতিলের প্রভাব উচ্চ মাধ্যমিকে

    এই চাকরি বাতিলের (SSC Scam) প্রভাব উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এসে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে হবে বলেই মত সংসদের আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র গুলিতে কতজন শিক্ষকের সমস্যা (SSC Scam) হতে পারে সেই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদের আধিকারিকেরা। আগামী ১৪ই মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগেই এই সমস্যার সমাধান করতে চায় পর্ষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জেরা নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমাকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জেরা নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে  (Recruitment Scam) উঠে এসেছে নতুন নাম। তিনি হলেন সোমা চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে কুন্তলের যোগ থাকার অভিযোগে তাঁকে গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি আধিকারিকরা। সেই মত হাজিরাও দেন তিনি। সূত্রের খবর, দীর্ঘ ছ’ঘন্টা কুড়ি মিনিট ধরে সোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। মূলত লেনদেনের বিষয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ কী বললেন?

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে  (Recruitment Scam) ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর লেনদেনের কথা জানতে পেরেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। গতকাল দুপুরেই ইডি অফিসে যান তিনি। সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান তিনি। গতকাল সোমার বয়ান রেকর্ড হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। পাশাপাশি, বেশ কিছু তথ্যও জমা দিয়েছেন সোমা। জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি তিনি। ক্যামেরা দেখেই হাত দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন। পরে একটি অটোতে চেপে চলে যান তিনি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতায় একটি পার্লার রয়েছে তাঁর।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    কুন্তলের কী দাবি?

    তবে সোমার কথা বলতেই কুন্তল বলেছেন, “আমি চিনি না।” ইডি সূত্রের খবর, ওই ‘রহস্যময়ী নারী’কে গাড়ি, ফ্ল্যাট, টাকা ইত্যাদি দিয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা। সোমাকে চিনতে অস্বীকার করে কুন্তল বলেন, “আমি জানি না। আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যার সঙ্গে যোগাযোগ আছে খুঁজে দেখুন।” সোমাকে ফ্ল্যাট দেওয়ার দাবি নিয়ে কুন্তলের বক্তব্য, “আমার নিজেরই ফ্ল্যাট নেই তো কাকে ফ্ল্যাট দেব।” উল্লেখ্য, গতকাল আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় কুন্তলকে। তাঁকে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত  (Recruitment Scam)।

    প্রসঙ্গত, গতকালই কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পর এই পার্লার মালিক সোমার নাম উঠে এসেছে। ইডি সূত্রের খবর, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সোমা চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছিল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কুন্তলের টাকা স্যালোঁ ব্যবসাতেও খাটানো হত? কেন সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে? আর এসব জানতেই তলব করা হয়েছিল সোমাকে। তবে টাকা লেনদেনের আসল কারণ এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share